আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৫৫
৩১. পণ্যদ্রব্যাদি সলকে বিক্রয় করা
রেওয়ায়ত ৭১. কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আবাস (রাযিঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, তাহাকে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করিতেছে এমন এক ব্যক্তি সম্বন্ধে যে ব্যক্তি কতিপয় কাতানের পাগড়ী সলফে ক্রয় করিয়াছে। সে সেইগুলিকে কজা করার পূর্বে বিক্রয় করিতে ইচ্ছা করিল তবে ইহা জায়েব কি? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলিলেন-ইহা চাঁদির বিনিময়ে চাঁদি ক্রয় করার অনুরূপ। তিনি ইহাকে মাকরূহ বলিলেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞাত ( والله أعلم)। আমাদের মতে ক্রেতা যেই মূল্যে উহা ক্রয় করিয়াছে সেই মূল্যের অধিক মূল্যে যাহার নিকট হইতে ক্রয় করিয়াছে তাহারই নিকট উহা বিক্রি করিতে ইচ্ছা করিলে তবে এই বিক্রয় মাকরূহ হইবে। আর যদি যে ব্যক্তির নিকট হইতে উহা ক্রয় করিয়াছে সেই ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে তবে ইহাতে কোন দোষ নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা এই, যে ব্যক্তি সলফে ক্রয় করিয়াছে দাস অথবা জানোয়ার কিংবা পণ্য দ্রব্য। ইহাদের প্রত্যেকটির সঠিক গুণ বর্ণনা করা হইয়াছে, এইসব বস্তুতে সলফ করা হইয়াছে মেয়াদ পর্যন্ত। অতঃপর (সেই) মেয়াদ উপস্থিত হইল, তবে যেই বস্তুতে সলফ করিয়াছে সেই বস্তু কব্জা করার পূর্বে, যেই মূল্যে সলফ করা হইয়াছে সেই মূল্যের অধিক মূল্যে সেই বস্তু যাহার নিকট হইতে (পূর্বে) ক্রয় করিয়াছিল তাহার নিকট ক্রেতা পুনরায় বিক্রয় করিবে না। কারণ যদি এইরূপ করা হয় তবে ইহা সুদ [যাহা হারাম]। ইহা যেন এইরূপ করা হইল; যেমন ক্রেতা বিক্রেতাকে দিরহাম বা দীনার দিল, বিক্রেতা উহা দ্বারা উপকৃতও হইল। তারপর যখন পণ্য ক্রেতার নিকট সোপর্দ করার সময় উপস্থিত হইয়াছে তখন ক্রেতা সেই পণ্য কব্জা করিল না। বরং সে উহাকে পণ্যের মালিকের নিকট যেই মূল্যে সলফ নির্ধারিত হইয়াছিল সেই মূল্যের অধিক মূল্যে বিক্রয় করিল। ফল এই দাঁড়াইল যে, যে বস্তুকে সলফে ক্রয় করিয়াছিল সেই বস্তু মালিকের নিকট ফেরত দিল এবং নিজের পক্ষ হইতে (আরও কিছু) অতিরিক্ত প্রদান করিল।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি পশু কিংবা পণ্যের ব্যাপারে যাহার গুণাগুণ বর্ণনা করা হইয়াছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য স্বর্ণ কিংবা চাঁদির সলম করিয়াছে। অতঃপর মেয়াদ উপস্থিত হইয়াছে, তবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্বে কিংবা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরে ক্রেতার জন্য সেই সামগ্রীকে যেকোন পণ্যের বিনিময়ে বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। কিন্তু সেই পণ্য যেই পরিমাণই হউক না কেন উহা নগদ প্রদান করিবে; মূল্য বা বিনিময়ে প্রদানে বিলম্ব করিবে না। কিন্তু খাদ্যদ্রব্য হইলে তবে উহাকে কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করা হালাল হইবে না। আর সেই সামগ্ৰী [পশু কিংবা অন্য কোন পণ্য]-কে যাহার নিকট হইতে উহা ক্রয় করিয়াছে সেই লোক ব্যতীত অন্য কাহারো নিকট স্বর্ণ বা চাঁদির কিংবা অন্য কোন পণ্যের বিনিময়ে বিক্রয় করা ক্রেতার জন্য জায়েয হইবে উহাকে (সেই মুহূর্তে) কব্জা করিবে। উহা কব্জা করিতে বিলম্ব করিবে না। কারণ বিলম্ব করিলে খারাপ হইবে এবং উহাতে মাকরূহ হইবে। ইহা হইবে যেন ধারকে ধারে বিক্রয় করা। ধারকে ধারে বিক্রয় করার অর্থ হইতেছে কোন ব্যক্তি তাহার ঋণ যাহা অন্য ব্যক্তির জিম্মায় রহিয়াছে তাহা বিক্রয় করিতেছে, যেই ঋণ সে অন্য লোকের নিকট প্রাপ্য সেই ঋণের বিনিময়ে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন বস্তুতে সলম করিয়াছে, নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত আর সেই বস্তু খাদ্য বা পানীয় দ্রব্য নহে। তবে ক্রেতা উহাকে যাহার নিকট ইচ্ছা মুদ্রা কিংবা পণ্যের বিনিময়ে উহাকে পূর্ণ কব্জা করার পূর্বে যাহার নিকট হইতে উক্ত বস্তু ক্রয় করিয়াছে সে ব্যতীত অন্য লোকের নিকট বিক্রয় করিতে পারবে। কিন্তু যে ব্যক্তির নিকট হইতে ক্রয় করিয়াছে সে ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করা জায়েয হইবে না। তবে (জায়েয হইবে) এমন পণ্যের বিনিময়ে (বিক্রয় করা) যাহাকে (নগদ) কব্জা করিবে, উহা কব্জা করিতে বিলম্ব করিবে না, (অর্থাৎ) ধারে বিক্রয় করিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি সেই (সলমকৃত) দ্রব্য ক্রেতার কব্জায় দেওয়ার সময় উপস্থিত হয় নাই, তবে উহাকে মালিক বিক্রেতা-এর নিকট ভিন্ন জাতের পণ্য যাহার পার্থক্য সুস্পষ্ট এইরূপ পণ্যের বিনিময়ে বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই, উহাকে সঙ্গে সঙ্গে কব্জা করিবে। ইহাতে বিলম্ব করিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি দীনার কিংবা দিরহাম দ্বারা চারিটি গুণ ও পরিচয় বর্ণিত বস্ত্রের ব্যাপারে সলম্ করিয়াছে-নির্দিষ্ট মেয়াদে, যখন মেয়াদ-এর (শেষ) সময় উপস্থিত হইল তখন উহার মালিক ক্রেতা উহা তলব করিল, তাহার নিকট সেই বস্ত্র পাওয়া গেল না। বরং (তদস্থলে) পাওয়া গেল সেই জাতীয় বস্ত্র হইতে নিকৃষ্ট রকমের বস্ত্র। বস্ত্র আদায় করা যাহার জিম্মায় সে ক্রেতাকে বলিল, “আপনাকে চার বস্ত্রের পরিবর্তে আমার এই বস্ত্র হইতে আটটি বস্ত্র প্রদান করিব।” ইহাতে কোন দোষ নাই যদি তাহারা উভয়ে পরস্পর পৃথক হওয়ার পূর্বে সেই সব বস্ত্র কব্জা করে। মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি ইহাতে মেয়াদ প্রবেশ করে [অর্থাৎ নগদ আদান-প্রদান না করিয়া ধারে বিক্রয় হয়]। তবে উহা জায়েয হইবে না। আর যদি মেয়াদ [-এর শেষ সময়] আসার পূর্বে এইরূপ (চার বস্ত্রের পরিবর্তে আটটি বস্ত্র গ্রহণ করা) হয়, তবে ইহাও জায়েয হইবে না। কিন্তু যদি যেই বস্ত্রে সলম করা হইয়াছে সেই জাতের বস্ত্র হইতে ভিন্ন জাতের বস্ত্র ক্রেতার নিকট বিক্রয় করা হয় তবে জায়েয হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞাত ( والله أعلم)। আমাদের মতে ক্রেতা যেই মূল্যে উহা ক্রয় করিয়াছে সেই মূল্যের অধিক মূল্যে যাহার নিকট হইতে ক্রয় করিয়াছে তাহারই নিকট উহা বিক্রি করিতে ইচ্ছা করিলে তবে এই বিক্রয় মাকরূহ হইবে। আর যদি যে ব্যক্তির নিকট হইতে উহা ক্রয় করিয়াছে সেই ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে তবে ইহাতে কোন দোষ নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা এই, যে ব্যক্তি সলফে ক্রয় করিয়াছে দাস অথবা জানোয়ার কিংবা পণ্য দ্রব্য। ইহাদের প্রত্যেকটির সঠিক গুণ বর্ণনা করা হইয়াছে, এইসব বস্তুতে সলফ করা হইয়াছে মেয়াদ পর্যন্ত। অতঃপর (সেই) মেয়াদ উপস্থিত হইল, তবে যেই বস্তুতে সলফ করিয়াছে সেই বস্তু কব্জা করার পূর্বে, যেই মূল্যে সলফ করা হইয়াছে সেই মূল্যের অধিক মূল্যে সেই বস্তু যাহার নিকট হইতে (পূর্বে) ক্রয় করিয়াছিল তাহার নিকট ক্রেতা পুনরায় বিক্রয় করিবে না। কারণ যদি এইরূপ করা হয় তবে ইহা সুদ [যাহা হারাম]। ইহা যেন এইরূপ করা হইল; যেমন ক্রেতা বিক্রেতাকে দিরহাম বা দীনার দিল, বিক্রেতা উহা দ্বারা উপকৃতও হইল। তারপর যখন পণ্য ক্রেতার নিকট সোপর্দ করার সময় উপস্থিত হইয়াছে তখন ক্রেতা সেই পণ্য কব্জা করিল না। বরং সে উহাকে পণ্যের মালিকের নিকট যেই মূল্যে সলফ নির্ধারিত হইয়াছিল সেই মূল্যের অধিক মূল্যে বিক্রয় করিল। ফল এই দাঁড়াইল যে, যে বস্তুকে সলফে ক্রয় করিয়াছিল সেই বস্তু মালিকের নিকট ফেরত দিল এবং নিজের পক্ষ হইতে (আরও কিছু) অতিরিক্ত প্রদান করিল।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি পশু কিংবা পণ্যের ব্যাপারে যাহার গুণাগুণ বর্ণনা করা হইয়াছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য স্বর্ণ কিংবা চাঁদির সলম করিয়াছে। অতঃপর মেয়াদ উপস্থিত হইয়াছে, তবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্বে কিংবা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরে ক্রেতার জন্য সেই সামগ্রীকে যেকোন পণ্যের বিনিময়ে বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। কিন্তু সেই পণ্য যেই পরিমাণই হউক না কেন উহা নগদ প্রদান করিবে; মূল্য বা বিনিময়ে প্রদানে বিলম্ব করিবে না। কিন্তু খাদ্যদ্রব্য হইলে তবে উহাকে কব্জা করার পূর্বে বিক্রয় করা হালাল হইবে না। আর সেই সামগ্ৰী [পশু কিংবা অন্য কোন পণ্য]-কে যাহার নিকট হইতে উহা ক্রয় করিয়াছে সেই লোক ব্যতীত অন্য কাহারো নিকট স্বর্ণ বা চাঁদির কিংবা অন্য কোন পণ্যের বিনিময়ে বিক্রয় করা ক্রেতার জন্য জায়েয হইবে উহাকে (সেই মুহূর্তে) কব্জা করিবে। উহা কব্জা করিতে বিলম্ব করিবে না। কারণ বিলম্ব করিলে খারাপ হইবে এবং উহাতে মাকরূহ হইবে। ইহা হইবে যেন ধারকে ধারে বিক্রয় করা। ধারকে ধারে বিক্রয় করার অর্থ হইতেছে কোন ব্যক্তি তাহার ঋণ যাহা অন্য ব্যক্তির জিম্মায় রহিয়াছে তাহা বিক্রয় করিতেছে, যেই ঋণ সে অন্য লোকের নিকট প্রাপ্য সেই ঋণের বিনিময়ে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন বস্তুতে সলম করিয়াছে, নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত আর সেই বস্তু খাদ্য বা পানীয় দ্রব্য নহে। তবে ক্রেতা উহাকে যাহার নিকট ইচ্ছা মুদ্রা কিংবা পণ্যের বিনিময়ে উহাকে পূর্ণ কব্জা করার পূর্বে যাহার নিকট হইতে উক্ত বস্তু ক্রয় করিয়াছে সে ব্যতীত অন্য লোকের নিকট বিক্রয় করিতে পারবে। কিন্তু যে ব্যক্তির নিকট হইতে ক্রয় করিয়াছে সে ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করা জায়েয হইবে না। তবে (জায়েয হইবে) এমন পণ্যের বিনিময়ে (বিক্রয় করা) যাহাকে (নগদ) কব্জা করিবে, উহা কব্জা করিতে বিলম্ব করিবে না, (অর্থাৎ) ধারে বিক্রয় করিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি সেই (সলমকৃত) দ্রব্য ক্রেতার কব্জায় দেওয়ার সময় উপস্থিত হয় নাই, তবে উহাকে মালিক বিক্রেতা-এর নিকট ভিন্ন জাতের পণ্য যাহার পার্থক্য সুস্পষ্ট এইরূপ পণ্যের বিনিময়ে বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই, উহাকে সঙ্গে সঙ্গে কব্জা করিবে। ইহাতে বিলম্ব করিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি দীনার কিংবা দিরহাম দ্বারা চারিটি গুণ ও পরিচয় বর্ণিত বস্ত্রের ব্যাপারে সলম্ করিয়াছে-নির্দিষ্ট মেয়াদে, যখন মেয়াদ-এর (শেষ) সময় উপস্থিত হইল তখন উহার মালিক ক্রেতা উহা তলব করিল, তাহার নিকট সেই বস্ত্র পাওয়া গেল না। বরং (তদস্থলে) পাওয়া গেল সেই জাতীয় বস্ত্র হইতে নিকৃষ্ট রকমের বস্ত্র। বস্ত্র আদায় করা যাহার জিম্মায় সে ক্রেতাকে বলিল, “আপনাকে চার বস্ত্রের পরিবর্তে আমার এই বস্ত্র হইতে আটটি বস্ত্র প্রদান করিব।” ইহাতে কোন দোষ নাই যদি তাহারা উভয়ে পরস্পর পৃথক হওয়ার পূর্বে সেই সব বস্ত্র কব্জা করে। মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি ইহাতে মেয়াদ প্রবেশ করে [অর্থাৎ নগদ আদান-প্রদান না করিয়া ধারে বিক্রয় হয়]। তবে উহা জায়েয হইবে না। আর যদি মেয়াদ [-এর শেষ সময়] আসার পূর্বে এইরূপ (চার বস্ত্রের পরিবর্তে আটটি বস্ত্র গ্রহণ করা) হয়, তবে ইহাও জায়েয হইবে না। কিন্তু যদি যেই বস্ত্রে সলম করা হইয়াছে সেই জাতের বস্ত্র হইতে ভিন্ন জাতের বস্ত্র ক্রেতার নিকট বিক্রয় করা হয় তবে জায়েয হইবে।
بَاب السُّلْفَةِ فِي الْعُرُوضِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ وَرَجُلٌ يَسْأَلُهُ عَنْ رَجُلٍ سَلَّفَ فِي سَبَائِبَ فَأَرَادَ بَيْعَهَا قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَهَا فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ تِلْكَ الْوَرِقُ بِالْوَرِقِ وَكَرِهَ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَبِيعَهَا مِنْ صَاحِبِهَا الَّذِي اشْتَرَاهَا مِنْهُ بِأَكْثَرَ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي ابْتَاعَهَا بِهِ وَلَوْ أَنَّهُ بَاعَهَا مِنْ غَيْرِ الَّذِي اشْتَرَاهَا مِنْهُ لَمْ يَكُنْ بِذَلِكَ بَأْسٌ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِيمَنْ سَلَّفَ فِي رَقِيقٍ أَوْ مَاشِيَةٍ أَوْ عُرُوضٍ فَإِذَا كَانَ كُلُّ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ مَوْصُوفًا فَسَلَّفَ فِيهِ إِلَى أَجَلٍ فَحَلَّ الْأَجَلُ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ لَا يَبِيعُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ مِنْ الَّذِي اشْتَرَاهُ مِنْهُ بِأَكْثَرَ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي سَلَّفَهُ فِيهِ قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَ مَا سَلَّفَهُ فِيهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا فَعَلَهُ فَهُوَ الرِّبَا صَارَ الْمُشْتَرِي إِنْ أَعْطَى الَّذِي بَاعَهُ دَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ فَانْتَفَعَ بِهَا فَلَمَّا حَلَّتْ عَلَيْهِ السِّلْعَةُ وَلَمْ يَقْبِضْهَا الْمُشْتَرِي بَاعَهَا مِنْ صَاحِبِهَا بِأَكْثَرَ مِمَّا سَلَّفَهُ فِيهَا فَصَارَ أَنْ رَدَّ إِلَيْهِ مَا سَلَّفَهُ وَزَادَهُ مِنْ عِنْدِهِ قَالَ مَالِك مَنْ سَلَّفَ ذَهَبًا أَوْ وَرِقًا فِي حَيَوَانٍ أَوْ عُرُوضٍ إِذَا كَانَ مَوْصُوفًا إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى ثُمَّ حَلَّ الْأَجَلُ فَإِنَّهُ لَا بَأْسَ أَنْ يَبِيعَ الْمُشْتَرِي تِلْكَ السِّلْعَةَ مِنْ الْبَائِعِ قَبْلَ أَنْ يَحِلَّ الْأَجَلُ أَوْ بَعْدَ مَا يَحِلُّ بِعَرْضٍ مِنْ الْعُرُوضِ يُعَجِّلُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُ بَالِغًا مَا بَلَغَ ذَلِكَ الْعَرْضُ إِلَّا الطَّعَامَ فَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ أَنْ يَبِيعَهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ وَلِلْمُشْتَرِي أَنْ يَبِيعَ تِلْكَ السِّلْعَةَ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي ابْتَاعَهَا مِنْهُ بِذَهَبٍ أَوْ وَرِقٍ أَوْ عَرْضٍ مِنْ الْعُرُوضِ يَقْبِضُ ذَلِكَ وَلَا يُؤَخِّرُهُ لِأَنَّهُ إِذَا أَخَّرَ ذَلِكَ قَبُحَ وَدَخَلَهُ مَا يُكْرَهُ مِنْ الْكَالِئِ بِالْكَالِئِ وَالْكَالِئُ بِالْكَالِئِ أَنْ يَبِيعَ الرَّجُلُ دَيْنًا لَهُ عَلَى رَجُلٍ بِدَيْنٍ عَلَى رَجُلٍ آخَرَ قَالَ مَالِك وَمَنْ سَلَّفَ فِي سِلْعَةٍ إِلَى أَجَلٍ وَتِلْكَ السِّلْعَةُ مِمَّا لَا يُؤْكَلُ وَلَا يُشْرَبُ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ يَبِيعُهَا مِمَّنْ شَاءَ بِنَقْدٍ أَوْ عَرْضٍ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوْفِيَهَا مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهَا الَّذِي اشْتَرَاهَا مِنْهُ وَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَبِيعَهَا مِنْ الَّذِي ابْتَاعَهَا مِنْهُ إِلَّا بِعَرْضٍ يَقْبِضُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُ قَالَ مَالِك وَإِنْ كَانَتْ السِّلْعَةُ لَمْ تَحِلَّ فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَبِيعَهَا مِنْ صَاحِبِهَا بِعَرْضٍ مُخَالِفٍ لَهَا بَيِّنٍ خِلَافُهُ يَقْبِضُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُ قَالَ مَالِك فِيمَنْ سَلَّفَ دَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ فِي أَرْبَعَةِ أَثْوَابٍ مَوْصُوفَةٍ إِلَى أَجَلٍ فَلَمَّا حَلَّ الْأَجَلُ تَقَاضَى صَاحِبَهَا فَلَمْ يَجِدْهَا عِنْدَهُ وَوَجَدَ عِنْدَهُ ثِيَابًا دُونَهَا مِنْ صِنْفِهَا فَقَالَ لَهُ الَّذِي عَلَيْهِ الْأَثْوَابُ أُعْطِيكَ بِهَا ثَمَانِيَةَ أَثْوَابٍ مِنْ ثِيَابِي هَذِهِ إِنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِذَا أَخَذَ تِلْكَ الْأَثْوَابَ الَّتِي يُعْطِيهِ قَبْلَ أَنْ يَفْتَرِقَا فَإِنْ دَخَلَ ذَلِكَ الْأَجَلُ فَإِنَّهُ لَا يَصْلُحُ وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ قَبْلَ مَحِلِّ الْأَجَلِ فَإِنَّهُ لَا يَصْلُحُ أَيْضًا إِلَّا أَنْ يَبِيعَهُ ثِيَابًا لَيْسَتْ مِنْ صِنْفِ الثِّيَابِ الَّتِي سَلَّفَهُ فِيهَا
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِيمَنْ سَلَّفَ فِي رَقِيقٍ أَوْ مَاشِيَةٍ أَوْ عُرُوضٍ فَإِذَا كَانَ كُلُّ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ مَوْصُوفًا فَسَلَّفَ فِيهِ إِلَى أَجَلٍ فَحَلَّ الْأَجَلُ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ لَا يَبِيعُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ مِنْ الَّذِي اشْتَرَاهُ مِنْهُ بِأَكْثَرَ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي سَلَّفَهُ فِيهِ قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَ مَا سَلَّفَهُ فِيهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا فَعَلَهُ فَهُوَ الرِّبَا صَارَ الْمُشْتَرِي إِنْ أَعْطَى الَّذِي بَاعَهُ دَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ فَانْتَفَعَ بِهَا فَلَمَّا حَلَّتْ عَلَيْهِ السِّلْعَةُ وَلَمْ يَقْبِضْهَا الْمُشْتَرِي بَاعَهَا مِنْ صَاحِبِهَا بِأَكْثَرَ مِمَّا سَلَّفَهُ فِيهَا فَصَارَ أَنْ رَدَّ إِلَيْهِ مَا سَلَّفَهُ وَزَادَهُ مِنْ عِنْدِهِ قَالَ مَالِك مَنْ سَلَّفَ ذَهَبًا أَوْ وَرِقًا فِي حَيَوَانٍ أَوْ عُرُوضٍ إِذَا كَانَ مَوْصُوفًا إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى ثُمَّ حَلَّ الْأَجَلُ فَإِنَّهُ لَا بَأْسَ أَنْ يَبِيعَ الْمُشْتَرِي تِلْكَ السِّلْعَةَ مِنْ الْبَائِعِ قَبْلَ أَنْ يَحِلَّ الْأَجَلُ أَوْ بَعْدَ مَا يَحِلُّ بِعَرْضٍ مِنْ الْعُرُوضِ يُعَجِّلُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُ بَالِغًا مَا بَلَغَ ذَلِكَ الْعَرْضُ إِلَّا الطَّعَامَ فَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ أَنْ يَبِيعَهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ وَلِلْمُشْتَرِي أَنْ يَبِيعَ تِلْكَ السِّلْعَةَ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي ابْتَاعَهَا مِنْهُ بِذَهَبٍ أَوْ وَرِقٍ أَوْ عَرْضٍ مِنْ الْعُرُوضِ يَقْبِضُ ذَلِكَ وَلَا يُؤَخِّرُهُ لِأَنَّهُ إِذَا أَخَّرَ ذَلِكَ قَبُحَ وَدَخَلَهُ مَا يُكْرَهُ مِنْ الْكَالِئِ بِالْكَالِئِ وَالْكَالِئُ بِالْكَالِئِ أَنْ يَبِيعَ الرَّجُلُ دَيْنًا لَهُ عَلَى رَجُلٍ بِدَيْنٍ عَلَى رَجُلٍ آخَرَ قَالَ مَالِك وَمَنْ سَلَّفَ فِي سِلْعَةٍ إِلَى أَجَلٍ وَتِلْكَ السِّلْعَةُ مِمَّا لَا يُؤْكَلُ وَلَا يُشْرَبُ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ يَبِيعُهَا مِمَّنْ شَاءَ بِنَقْدٍ أَوْ عَرْضٍ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوْفِيَهَا مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهَا الَّذِي اشْتَرَاهَا مِنْهُ وَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَبِيعَهَا مِنْ الَّذِي ابْتَاعَهَا مِنْهُ إِلَّا بِعَرْضٍ يَقْبِضُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُ قَالَ مَالِك وَإِنْ كَانَتْ السِّلْعَةُ لَمْ تَحِلَّ فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَبِيعَهَا مِنْ صَاحِبِهَا بِعَرْضٍ مُخَالِفٍ لَهَا بَيِّنٍ خِلَافُهُ يَقْبِضُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُ قَالَ مَالِك فِيمَنْ سَلَّفَ دَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ فِي أَرْبَعَةِ أَثْوَابٍ مَوْصُوفَةٍ إِلَى أَجَلٍ فَلَمَّا حَلَّ الْأَجَلُ تَقَاضَى صَاحِبَهَا فَلَمْ يَجِدْهَا عِنْدَهُ وَوَجَدَ عِنْدَهُ ثِيَابًا دُونَهَا مِنْ صِنْفِهَا فَقَالَ لَهُ الَّذِي عَلَيْهِ الْأَثْوَابُ أُعْطِيكَ بِهَا ثَمَانِيَةَ أَثْوَابٍ مِنْ ثِيَابِي هَذِهِ إِنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِذَا أَخَذَ تِلْكَ الْأَثْوَابَ الَّتِي يُعْطِيهِ قَبْلَ أَنْ يَفْتَرِقَا فَإِنْ دَخَلَ ذَلِكَ الْأَجَلُ فَإِنَّهُ لَا يَصْلُحُ وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ قَبْلَ مَحِلِّ الْأَجَلِ فَإِنَّهُ لَا يَصْلُحُ أَيْضًا إِلَّا أَنْ يَبِيعَهُ ثِيَابًا لَيْسَتْ مِنْ صِنْفِ الثِّيَابِ الَّتِي سَلَّفَهُ فِيهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: