আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৫৪
৩০. সলফ এবং পণ্যাদির ক্রয়-বিক্রয় একটির বিনিময়ে অপরটির
রেওয়ায়ত ৭০. মালিক (রাহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিক্রয় এবং ঋণকে যুক্ত করা হইতে নিষেধ করিয়াছেন।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহার তফসীর (ব্যাখ্যা) এই, এক ব্যক্তি বলিল অপর ব্যক্তিকে, আমি আপনার পণ্য ক্রয় করিব এত এত (টাকা) মূল্যে এই শর্তে যে, আপনি আমাকে এত এত (টাকা) ঋণ দিবেন। যদি তাহাদের উভয়ের বেচাকেনা ইহার উপর সম্পাদিত হয় তবে ইহা নাজায়েয হইবে, আর যে ব্যক্তি ঋণের শর্ত করিয়াছে সে যদি শর্ত পরিহার করে তবে এই বেচাকেনা জায়েয হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কোন দোষ নাই বস্ত্র ক্রয় করাতে (বিভিন্ন প্রকারের যেমন-) কাতান, সাতাবী,(১) অথবা কাসাবী(২) [ইত্যাদি] ইতরিবী(৩) বা কাশশী,(৪) অথবা যীকো(৫) ইত্যাদি বস্ত্রের বিনিময়ে অথবা হারারী(৬) কিংবা মারবী(৭) বস্ত্র (ক্রয় করা) ইয়ামনী এবং সাকায়িক(৮) ও এতদুভয়ের সদৃশ অন্য কোন বস্ত্রের বিনিময়ে একটিকে দুইটির বিনিময়ে অথবা তিনটির বিনিময়ে, নগদ বা বাকী (ক্রয় করিতে কোন দোষ নাই), যদিও এক প্রকারের বস্ত্র হয়। যদি উহাতে [এক জাতের বস্ত্রে] ঋণ ধার প্রবেশ করে [অর্থাৎ ধারে বিক্রয় করা হয়] তবে উহাতে মঙ্গল নাই [অর্থাৎ উহা নাজায়েয]।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ (ক্রীত ও বিক্রীত বস্তুর মধ্যে) জাতগত পার্থক্য না হইলে এবং সেই পার্থক্য স্পষ্ট না হইলে ধারে বিক্রয় জায়েয হইবে না। আর যদি একটি অপরটির সদৃশ হয় তবে উহাদের নাম যদিও বিভিন্ন হয় তবুও উহা হইতে এক বস্তুর বিনিময়ে দুই বস্তু ধারে গ্রহণ করিবে না। ইহার দৃষ্টান্ত — যেমন হারাবী দুই বস্ত্র ধারে গ্রহণ করা মরবী কিংবা কুহী(৯) এক বস্ত্রের বিনিময়ে বা সাতাবী এক বস্ত্রের বিনিময়ে ফুরকবী(১০) দুই বস্ত্র গ্রহণ করা। এই সব রকমের বস্ত্র যদি এইরূপ (অর্থাৎ পরস্পর স্পষ্ট পার্থক্য না থাকে) হয় তবে উহা হইতে একটির বিনিময়ে দুইটি বস্ত্র ধারে ক্রয় করা জায়েয হইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই জাতীয় বস্ত্র হইতে কাহারও ক্রীত বস্ত্রকে উহা কব্জা করার পূর্বে যেই লোক হইতে ক্রয় করা হইয়াছে সেই ব্যক্তি ব্যতীত অন্য লোকের নিকট বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। যদি উহার মূল্য পরিশোধ করা হইয়া থাকে।
بَاب السَّلَفِ وَبَيْعِ الْعُرُوضِ بَعْضِهَا بِبَعْضٍ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعٍ وَسَلَفٍ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ آخُذُ سِلْعَتَكَ بِكَذَا وَكَذَا عَلَى أَنْ تُسْلِفَنِي كَذَا وَكَذَا فَإِنْ عَقَدَا بَيْعَهُمَا عَلَى هَذَا الْوَجْهِ فَهُوَ غَيْرُ جَائِزٍ فَإِنْ تَرَكَ الَّذِي اشْتَرَطَ السَّلَفَ مَا اشْتَرَطَ مِنْهُ كَانَ ذَلِكَ الْبَيْعُ جَائِزًا قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يُشْتَرَى الثَّوْبُ مِنْ الْكَتَّانِ أَوْ الشَّطَوِيِّ أَوْ الْقَصَبِيِّ بِالْأَثْوَابِ مِنَ الْإِتْرِيبِيِّ أَوْ الْقَسِّيِّ أَوْ الزِّيقَةِ أَوْ الثَّوْبِ الْهَرَوِيِّ أَوْ الْمَرْوِيِّ بِالْمَلَاحِفِ الْيَمَانِيَّةِ وَالشَّقَائِقِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ الْوَاحِدُ بِالْاثْنَيْنِ أَوْ الثَّلَاثَةِ يَدًا بِيَدٍ أَوْ إِلَى أَجَلٍ وَإِنْ كَانَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ فَإِنْ دَخَلَ ذَلِكَ نَسِيئَةٌ فَلَا خَيْرَ فِيهِ قَالَ مَالِك وَلَا يَصْلُحُ حَتَّى يَخْتَلِفَ فَيَبِينَ اخْتِلَافُهُ فَإِذَا أَشْبَهَ بَعْضُ ذَلِكَ بَعْضًا وَإِنْ اخْتَلَفَتْ أَسْمَاؤُهُ فَلَا يَأْخُذْ مِنْهُ اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ وَذَلِكَ أَنْ يَأْخُذَ الثَّوْبَيْنِ مِنْ الْهَرَوِيِّ بِالثَّوْبِ مِنْ الْمَرْوِيِّ أَوْ الْقُوهِيِّ إِلَى أَجَلٍ أَوْ يَأْخُذَ الثَّوْبَيْنِ مِنْ الْفُرْقُبِيِّ بِالثَّوْبِ مِنْ الشَّطَوِيِّ فَإِذَا كَانَتْ هَذِهِ الْأَجْنَاسُ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ فَلَا يُشْتَرَى مِنْهَا اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ تَبِيعَ مَا اشْتَرَيْتَ مِنْهَا قَبْلَ أَنْ تَسْتَوْفِيَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ إِذَا انْتَقَدْتَ ثَمَنَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান