আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৫৬
৩২. তামা, লোহা এবং এতদুভয়ের সদৃশ ওজন করা যায় এই জাতীয় স্ৰষ্যাদি বিক্রয় প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ৭২. যেইসব বস্ত্র ওজন করিয়া ক্রয় বিক্রয় করা হয় স্বর্ণ ও চাঁদি ব্যতীত (যেমন-) তামা, পিতল, রং সীসক, লোহা, কাজাব,(১) তীন,(২) তুলা এবং ইহার সদৃশ বস্তু যাহা ওজন করা হয়। মালিক (রাহঃ) বলেন (এই বিষয়ে) আমাদের নিকট ফয়সালা এই, এইরূপ এক জাতের দ্রব্য হইতে এক বস্তুর বিনিময় নগদ দুই বস্তুর গ্রহণ করাতে কোন দোষ নাই। এবং এক রতল লোহা দুই রতল লোহার বিনিময়ে আর দুই রতল উৎকৃষ্ট ধরনের তামার বিনিময়ে এক রতল উৎকৃষ্ট তামা গ্রহণ করাতেও কোন দোষ নাই। আর একই জাতের দ্রব্যে একটির বিনিময়ে দুইটি বস্তু ধারে গ্রহণ করাতে কোন মঙ্গল নাই [অর্থাৎ উহা নাজায়েয]। আর যদি বস্তুদ্বয় একটি অপরটি হইতে ভিন্ন জাতের হয় এবং উহাদের মধ্যে বিভিন্নতা স্পষ্ট হয়, তবে সেইরূপ বস্তু হইতে এক বস্তুর বিনিময়ে দুই বস্তু ধারে গ্রহণ করাতে কোন দোষ নাই আর যদি একে অপরের সদৃশ হয় যদিও উহাদের নাম বিভিন্ন রহিয়াছে। যেমন-রাং, সীসক, ব্রোঞ্জ, উৎকৃষ্ট তামা, ইহাতে এক বস্তুর বিনিময়ে দুই বস্তু ধারে গ্রহণ করাকে আমি মাকরূহ বলিয়া মনে করি।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই সকল দ্রব্য হইতে তুমি যাহা ক্রয় করিয়াছ, উহাকে যাহার নিকট হইতে তুমি ক্রয় করিয়াছ সে ব্যক্তি ব্যতীত অন্য লোকের কাছে কজা করার পূর্বে বিক্রয় করিলে কোন দোষ নাই। যদি উহার মূল্য নগদ গ্রহণ করিয়া থাকে এবং যদি উহাকে পরিমাপ পাত্রের দ্বারা কিংবা ওজন করিয়া ক্রয় করিয়া থাকে। আর যদি আন্দাজে (স্তুপ) ক্রয় করিয়া থাক, তবে উহাকে তুমি বিক্রয় করিতে পার যাহার নিকট হইতে ক্রয় করিয়াছ তাহাকে ভিন্ন অন্য কাহারো নিকট, কিংবা ধারে। কারণ যখন আন্দাজে ক্রয় করিয়াছ তখন উহা তোমার দায়িত্বে আসিয়াছে, [উহার ওজন সম্পর্কে বিক্রেতার আর কোন দায়-দায়িত্ব রহিল না।], পক্ষান্তরে যদিও ওজন করিয়া উহা ক্রয় করিয়াছ। তবে যাবত ওজন করিয়া উহা নিজ কব্জায় না আনিবে তাবত উহার প্রতি তোমার দায়িত্ব থাকিবে না। এই সব দ্রব্য সম্পর্কে যাহা আমি শুনিয়াছি, তন্মধ্যে ইহাই আমার মনঃপূত। আর লোকের আমলও সর্বদা ইহার উপর রহিয়াছে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই, যেই নব বস্তু পাত্র দ্বারা মাপা হয়, অথবা (বাটখারা ইত্যাদির দ্বারা) ওজন করা হয় এবং উহা খাদ্য বা পানীয় দ্রব্যের মধ্যে না হয়, যেমন-কুসুম,(৩) ফলের আঁটি, গাছের পাতা,(৪) কাতাম(৫) এবং উহার সাদৃশ বস্তু। এই সকল দ্রব্যের প্রত্যেক শ্রেণী হইতে একটির বিনিময়ে দুইটি নগদ গ্রহণ করাতে কোন দোষ নাই।

তবে এক শ্রেণীর দ্রব্য হইতে একটির বিনিময়ে দুইটি ধারে গ্রহণ করা যাইবে না। আর যদি উভয় দ্রব্যের মধ্যে শ্রেণী বা রকমের পার্থক্য হয় এবং সেই পার্থক্য স্পষ্টত বিদ্যমান হয়, তবে সেই দুই শ্রেণীর দ্রব্য হইতে একটির বিনিময়ে দুইটি বস্তু ধারে ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। এই সকল বিভিন্ন শ্রেণীর দ্রব্য যাহা কেহ ক্রয় করিয়াছে উহাকে পূর্ণ কব্জায় আনার পূর্বে যে ব্যক্তির নিকট হইতে ক্রয় করিয়াছে সে ব্যতীত অন্যের কাছে বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। যদি উহার মূল্য দ্বিতীয় ক্রেতার নিকট হইতে হস্তগত করিয়া থাকে।মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যাবতীয় শ্রেণীর দ্রব্যাদি হইতে কোন দ্রব্যের দ্বারা লোক উপকৃত হয়, যদিও ছোট কংকর এবং চুনা হউক। এই শ্রেণীর দুই দ্রব্য হইতে একটিকে দ্বিগুণ দ্রব্যের বিনিময়ে ধারে গ্রহণ করা সুদ এবং একটিকে একটি এবং অতিরিক্ত কোন বস্তুর বিনিময়ে ধারে গ্রহণ করিলে উহা সুদ বলিয়া গণ্য হইবে।
بَاب بَيْعِ النُّحَاسِ وَالْحَدِيدِ وَمَا أَشْبَهَهُمَا مِمَّا يُوزَنُ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَا كَانَ مِمَّا يُوزَنُ مِنْ غَيْرِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ مِنْ النُّحَاسِ وَالشَّبَهِ وَالرَّصَاصِ وَالْآنُكِ وَالْحَدِيدِ وَالْقَضْبِ وَالتِّينِ وَالْكُرْسُفِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِمَّا يُوزَنُ فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُؤْخَذَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ يَدًا بِيَدٍ وَلَا بَأْسَ أَنْ يُؤْخَذَ رِطْلُ حَدِيدٍ بِرِطْلَيْ حَدِيدٍ وَرِطْلُ صُفْرٍ بِرِطْلَيْ صُفْرٍ قَالَ مَالِك وَلَا خَيْرَ فِيهِ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ فَإِذَا اخْتَلَفَ الصِّنْفَانِ مِنْ ذَلِكَ فَبَانَ اخْتِلَافُهُمَا فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُؤْخَذَ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ فَإِنْ كَانَ الصِّنْفُ مِنْهُ يُشْبِهُ الصِّنْفَ الْآخَرَ وَإِنْ اخْتَلَفَا فِي الْاسْمِ مِثْلُ الرَّصَاصِ وَالْآنُكِ وَالشَّبَهِ وَالصُّفْرِ فَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ يُؤْخَذَ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ قَالَ مَالِك وَمَا اشْتَرَيْتَ مِنْ هَذِهِ الْأَصْنَافِ كُلِّهَا فَلَا بَأْسَ أَنْ تَبِيعَهُ قَبْلَ أَنْ تَقْبِضَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ إِذَا قَبَضْتَ ثَمَنَهُ إِذَا كُنْتَ اشْتَرَيْتَهُ كَيْلًا أَوْ وَزْنًا فَإِنْ اشْتَرَيْتَهُ جِزَافًا فَبِعْهُ مِنْ غَيْرِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ بِنَقْدٍ أَوْ إِلَى أَجَلٍ وَذَلِكَ أَنَّ ضَمَانَهُ مِنْكَ إِذَا اشْتَرَيْتَهُ جِزَافًا وَلَا يَكُونُ ضَمَانُهُ مِنْكَ إِذَا اشْتَرَيْتَهُ وَزْنًا حَتَّى تَزِنَهُ وَتَسْتَوْفِيَهُ وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي هَذِهِ الْأَشْيَاءِ كُلِّهَا وَهُوَ الَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ أَمْرُ النَّاسِ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَا يُكَالُ أَوْ يُوزَنُ مِمَّا لَا يُؤْكَلُ وَلَا يُشْرَبُ مِثْلُ الْعُصْفُرِ وَالنَّوَى وَالْخَبَطِ وَالْكَتَمِ وَمَا يُشْبِهُ ذَلِكَ أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِأَنْ يُؤْخَذَ مِنْ كُلِّ صِنْفٍ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ يَدًا بِيَدٍ وَلَا يُؤْخَذُ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ فَإِنْ اخْتَلَفَ الصِّنْفَانِ فَبَانَ اخْتِلَافُهُمَا فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُؤْخَذَ مِنْهُمَا اثْنَانِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ وَمَا اشْتُرِيَ مِنْ هَذِهِ الْأَصْنَافِ كُلِّهَا فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُبَاعَ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَى إِذَا قَبَضَ ثَمَنَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي اشْتَرَاهُ مِنْهُ قَالَ مَالِك وَكُلُّ شَيْءٍ يَنْتَفِعُ بِهِ النَّاسُ مِنْ الْأَصْنَافِ كُلِّهَا وَإِنْ كَانَتْ الْحَصْبَاءَ وَالْقَصَّةَ فَكُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِمِثْلَيْهِ إِلَى أَجَلٍ فَهُوَ رِبًا وَوَاحِدٌ مِنْهُمَا بِمِثْلِهِ وَزِيَادَةُ شَيْءٍ مِنْ الْأَشْيَاءِ إِلَى أَجَلٍ فَهُوَ رِبًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান