আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১৮. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৬৮
১৮. নফল রোযার কাযা
রেওয়ায়ত ৫০. ইবনে শিহাব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত- নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা ও হাফসা (রাযিঃ)-এর নফল রোযার নিয়তে ফজর হইল এবং তাহদের উভয়ের জন্য খাদ্যদ্রব্য হাদিয়াস্বরূপ প্রেরণ করা হয়। তাহারা উহা দ্বারা রোযা ভাঙিয়া ফেলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রবেশ করিলেন। ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, আয়েশা (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ হাফসা (রাযিঃ) ছিলেন পিতার মত সাহসী। আর তিনি আমার আগে কথা বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এবং আয়েশা আমরা উভয়ের নফল রোযা অবস্থায় ফজর হইল। অতঃপর আমাদের উদ্দেশ্যে খাদ্যদ্রব্য হাদিয়ারূপে প্রেরণ করা হয়। আমরা উহা দ্বারা রোযা ভাঙিয়া ফেলি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহার বক্তব্য শোনার পর বলিলেনঃ তোমরা এই রোযার পরিবর্তে অন্য একদিন (রোযা) কাযা করিবে।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ভুলবশত নফল রোযা অবস্থায় আহার অথবা পান করে, তাহার উপর কাযা ওয়াজিব নহে। নফল রোযা অবস্থায় যেই দিন আহার বা পান করিয়াছে সেই দিনের রোযা পূর্ণ করিবে এবং রোযা ভঙ্গ করিবে না। আর নফল রোযাদার যদি এমন কোন অসুবিধার সম্মুখীন হয়, যাহার কারণে রোযা ভাঙিতে হয়, তবে তাহাকে কাযা করিতে হইবে না, যদি কোন ওযরবশত রোযা ভাঙিয়া থাকে এবং ইচ্ছা করিয়া রোযা ভঙ্গ না করে। আর আমি সেই ব্যক্তির জন্য নফল নামাযের কাযা জরুরী মনে করি না, যে ব্যক্তি এমন কোন হাদাস-এর (পেশাব-পায়খানার আবেগ, বায়ু নির্গত হওয়ার আবেগ) কারণে নামায ভাঙিয়াছে, যাহাকে বাধা দিয়া রাখা যায় না, যাহাতে ওযুর প্রয়োজন হয়।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন- মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ কোন ব্যক্তি নেক আমলসমূহের মধ্যে কোন নেক আমলে প্রবৃত্ত হইলে (নেক আমল বলিতে) যথা নামায, রোযা, হজ্জ বা অনুরূপ কোন নেক আমল, যাহা লোকে নফলস্বরূপ করিয়া থাকে, সেই ব্যক্তির জন্য উহা ছাড়িয়া দেওয়া সমীচীন নহে, যতক্ষণ উহা সুন্নত মুতাবিক পূর্ণ না করে। যদি নামাযের নিয়তে তকবীর বলে তবে দুই রাক'আত না পড়া পর্যন্ত উহা ছাড়িবে না। রোযা রাখিলে সেই দিনের রোযা পূর্ণ না করা পর্যন্ত ইফতার করিবে না। ইহরাম বাঁধিলে তাহার হজ্জ পূর্ণ না করা পর্যন্ত ইহরাম ছাড়িবে না। যখন তাওয়াফে প্রবেশ করিবে সাত তাওয়াফ পূর্ণ না করা পর্যন্ত উহা ছাড়িবে না।

এই সকলের মধ্যে কোন ইবাদতই আরম্ভ করিয়া ছাড়িয়া দেওয়া উচিত নহে, যতক্ষণ উহা পূর্ণ না করে। তবে কোন ওযরবশত যাহা তাহার জন্য প্রকাশ পায়, যেরূপ লোকের ওযর প্রকাশ পাইয়া থাকে, যেমন পীড়াসমূহ যাহার কারণে মাযুর (অক্ষম) হইয়া যায় অথবা অন্য কোন কারণে অক্ষম বলিয়া গণ্য হয়। ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ তাআলা কিতাবে ইরশাদ করিয়াছেনঃ ‘পানাহার করিতে থাক, যতক্ষণ পর্যন্ত সাদা বর্ণের সুতা (সুবহে সাদিক) কালবর্ণের সুতা (সুবহে কাযিব) হইতে প্রকাশিত না হয়। অতঃপর রাত্রি পর্যন্ত রোযা পূর্ণ কর। ফলে তাহার উপর রোযা পূর্ণ করা ওয়াজিব।

যেমন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করিয়াছেনঃ তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ ও উমরাহ পূর্ণ কর। অতঃপর যদি কোন ব্যক্তি নফল হজ্জের ইহরাম বাধে যে ইতিপূর্বে ফরয হজ্জ আদায় করিয়াছে, সেই ব্যক্তির জন্য হজ্জ আরম্ভ করার পর উহা ছাড়িয়া দেওয়ার অনুমতি নাই। মাঝপথে ইহরাম ছাড়িয়া দিয়া হালাল হওয়া চলিবে না। যদি কোন ব্যক্তি কোন নফল কাজে প্রবৃত্ত হয়, তাহার জন্য উহা পূর্ণ করা ওয়াজিব, যেমন ফরযকে পূর্ণ করা হয়। আমি যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহা অতি উত্তম।
بَاب قَضَاءِ التَّطَوُّعِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عَائِشَةَ وَحَفْصَةَ زَوْجَيْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْبَحَتَا صَائِمَتَيْنِ مُتَطَوِّعَتَيْنِ فَأُهْدِيَ لَهُمَا طَعَامٌ فَأَفْطَرَتَا عَلَيْهِ فَدَخَلَ عَلَيْهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقَالَتْ حَفْصَةُ وَبَدَرَتْنِي بِالْكَلَامِ وَكَانَتْ بِنْتَ أَبِيهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصْبَحْتُ أَنَا وَعَائِشَةُ صَائِمَتَيْنِ مُتَطَوِّعَتَيْنِ فَأُهْدِيَ إِلَيْنَا طَعَامٌ فَأَفْطَرْنَا عَلَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اقْضِيَا مَكَانَهُ يَوْمًا آخَرَ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ مَنْ أَكَلَ أَوْ شَرِبَ سَاهِيًا أَوْ نَاسِيًا فِي صِيَامِ تَطَوُّعٍ فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ وَلْيُتِمَّ يَوْمَهُ الَّذِي أَكَلَ فِيهِ أَوْ شَرِبَ وَهُوَ مُتَطَوِّعٌ وَلَا يُفْطِرْهُ وَلَيْسَ عَلَى مَنْ أَصَابَهُ أَمْرٌ يَقْطَعُ صِيَامَهُ وَهُوَ مُتَطَوِّعٌ قَضَاءٌ إِذَا كَانَ إِنَّمَا أَفْطَرَ مِنْ عُذْرٍ غَيْرَ مُتَعَمِّدٍ لِلْفِطْرِ وَلَا أَرَى عَلَيْهِ قَضَاءَ صَلَاةِ نَافِلَةٍ إِذَا هُوَ قَطَعَهَا مِنْ حَدَثٍ لَا يَسْتَطِيعُ حَبْسَهُ مِمَّا يَحْتَاجُ فِيهِ إِلَى الْوُضُوءِ قَالَ مَالِك وَلَا يَنْبَغِي أَنْ يَدْخُلَ الرَّجُلُ فِي شَيْءٍ مِنْ الْأَعْمَالِ الصَّالِحَةِ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ وَالْحَجِّ وَمَا أَشْبَهَ هَذَا مِنْ الْأَعْمَالِ الصَّالِحَةِ الَّتِي يَتَطَوَّعُ بِهَا النَّاسُ فَيَقْطَعَهُ حَتَّى يُتِمَّهُ عَلَى سُنَّتِهِ إِذَا كَبَّرَ لَمْ يَنْصَرِفْ حَتَّى يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ وَإِذَا صَامَ لَمْ يُفْطِرْ حَتَّى يُتِمَّ صَوْمَ يَوْمِهِ وَإِذَا أَهَلَّ لَمْ يَرْجِعْ حَتَّى يُتِمَّ حَجَّهُ وَإِذَا دَخَلَ فِي الطَّوَافِ لَمْ يَقْطَعْهُ حَتَّى يُتِمَّ سُبُوعَهُ وَلَا يَنْبَغِي أَنْ يَتْرُكَ شَيْئًا مِنْ هَذَا إِذَا دَخَلَ فِيهِ حَتَّى يَقْضِيَهُ إِلَّا مِنْ أَمْرٍ يَعْرِضُ لَهُ مِمَّا يَعْرِضُ لِلنَّاسِ مِنْ الْأَسْقَامِ الَّتِي يُعْذَرُونَ بِهَا وَالْأُمُورِ الَّتِي يُعْذَرُونَ بِهَا وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ فِي كِتَابِهِ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمْ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنْ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنْ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ فَعَلَيْهِ إِتْمَامُ الصِّيَامِ كَمَا قَالَ اللَّهُ وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ فَلَوْ أَنَّ رَجُلًا أَهَلَّ بِالْحَجِّ تَطَوُّعًا وَقَدْ قَضَى الْفَرِيضَةَ لَمْ يَكُنْ لَهُ أَنْ يَتْرُكَ الْحَجَّ بَعْدَ أَنْ دَخَلَ فِيهِ وَيَرْجِعَ حَلَالًا مِنْ الطَّرِيقِ وَكُلُّ أَحَدٍ دَخَلَ فِي نَافِلَةٍ فَعَلَيْهِ إِتْمَامُهَا إِذَا دَخَلَ فِيهَا كَمَا يُتِمُّ الْفَرِيضَةَ وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান