আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১৮. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৬৯
১৯. ওযরের কারণে রমযানের রোযা ভঙ্গের ফিদয়া
রেওয়ায়ত ৫১. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তিনি জানিতে পারিয়াছেন যে, আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) যখন অতি বৃদ্ধ হন, তখন তিনি রোযা রাখিতে পারিতেন না, তাই তিনি ফিদয়া দিতেন।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমি ফিদয়া দেওয়াকে জরুরী মনে করি না। তবে দেওয়া আমার মতে উত্তম, যদি সামর্থ্য থাকে। যে ব্যক্তি ফিদয়া দিবে সে প্রতিদিনের পরিবর্তে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মুদ-এর (এক সের পরিমাণ ওজনের একটি পরিমাপ) সমপরিমাণ এক মুদ আহার করাইবে।
بَاب فِدْيَةِ مَنْ أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ مِنْ عِلَّةٍ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ كَبِرَ حَتَّى كَانَ لَا يَقْدِرُ عَلَى الصِّيَامِ فَكَانَ يَفْتَدِي قَالَ مَالِك وَلَا أَرَى ذَلِكَ وَاجِبًا وَأَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَفْعَلَهُ إِذَا كَانَ قَوِيًّا عَلَيْهِ فَمَنْ فَدَى فَإِنَّمَا يُطْعِمُ مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مُدًّا بِمُدِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৭০
১৯. ওযরের কারণে রমযানের রোযা ভঙ্গের ফিদয়া
রেওয়ায়ত ৫২. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে গর্ভবতী স্ত্রীলোক সম্পর্কে প্রশ্ন করা হইল- সে যদি সন্তান সম্বন্ধে আশঙ্কা করে এবং রোযা রাখা তাহার জন্য দুষ্কর হয় (তবে কি করিবে)? তিনি বলিলেনঃ সে রোযা রাখিবে না এবং প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকিনকে আহার দিবে এক মুদ গম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মুদ পরিমাপে।

মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ আহলে ইলম গর্ভবতীর জন্য রোযার কাযা ওয়াজিব মনে করেন না, যেমন আল্লাহ তাআলা বলিয়াছেন, (فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ) অর্থাৎ, তোমাদের মধ্যে কেহ পীড়িত হইলে বা সফরে থাকিলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূর্ণ করিয়া লইতে হইবে। (বাকারাঃ ১৮৪)

গর্ভবতী অবস্থাকে তাহারা রোগের মধ্যে একটি রোগ বলিয়া মনে করেন যাহার সঙ্গে রহিয়াছে সন্তানের আশঙ্কাও।
بَاب فِدْيَةِ مَنْ أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ مِنْ عِلَّةٍ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ سُئِلَ عَنْ الْمَرْأَةِ الْحَامِلِ إِذَا خَافَتْ عَلَى وَلَدِهَا وَاشْتَدَّ عَلَيْهَا الصِّيَامُ قَالَ تُفْطِرُ وَتُطْعِمُ مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينًا مُدًّا مِنْ حِنْطَةٍ بِمُدِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَالِك وَأَهْلُ الْعِلْمِ يَرَوْنَ عَلَيْهَا الْقَضَاءَ كَمَا قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَيَرَوْنَ ذَلِكَ مَرَضًا مِنْ الْأَمْرَاضِ مَعَ الْخَوْفِ عَلَى وَلَدِهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৭১
১৯. ওযরের কারণে রমযানের রোযা ভঙ্গের ফিদয়া
রেওয়ায়ত ৫৩. আব্দুর রহমান ইবনে কাসিম (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, তাহার পিতা বলিতেনঃ যাহার উপর রমযানের কাযা রহিয়াছে, সে রোযা রাখিতে সক্ষম, তবু কাযা (রোযা) রাখে নাই, এইভাবে পরবর্তী রমযান আসিয়া গিয়াছে, তবে সে প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকিনকে এক মুদ করিয়া গম দিবে, তদুপরি তাহার উপর কাযাও জরুরী হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সাঈদ ইবনে যুবায়র (রাহঃ) হইতেও অনুরূপ বর্ণনা তাহার নিকট পৌছিয়াছে।
بَاب فِدْيَةِ مَنْ أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ مِنْ عِلَّةٍ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مَنْ كَانَ عَلَيْهِ قَضَاءُ رَمَضَانَ فَلَمْ يَقْضِهِ وَهُوَ قَوِيٌّ عَلَى صِيَامِهِ حَتَّى جَاءَ رَمَضَانُ آخَرُ فَإِنَّهُ يُطْعِمُ مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينًا مُدًّا مِنْ حِنْطَةٍ وَعَلَيْهِ مَعَ ذَلِكَ الْقَضَاءُ وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ مِثْلُ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী: