আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১৮. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৬২
১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৪. খালিদ ইবনে আসলাম (রাহঃ) বর্ণনা করেন- উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) রমযান মাসে মেঘাচ্ছন্ন এক দিনে ইফতার করিলেন। তিনি মনে করিলেন যে, সন্ধ্যা হইয়াছে এবং সূর্য ডুবিয়াছে। অতঃপর এক ব্যক্তি আসিয়া বলিলঃ হে আমিরুল মু'মিনীন সূর্য উদিত হইয়াছে। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বললেনঃ বিষয়টির সমাধান সহজ, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছি।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উমর (রাযিঃ) ইহার দ্বারা আমাদের মতে কাযা মুরাদ নিয়াছেন। (আল্লাহ্ সর্বজ্ঞানী) তাহার উক্তি ‘বিষয়টির সমাধান সহজ’ ইহাতে মেহনতের স্বল্পতা ও ইহা সহজ হওয়াই তিনি বুঝাইতে চাহিয়াছেন। তিনি বলেনঃ ইহার পরিবর্তে আর একদিন রোযা রাখিব।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَخِيهِ خَالِدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَفْطَرَ ذَاتَ يَوْمٍ فِي رَمَضَانَ فِي يَوْمٍ ذِي غَيْمٍ وَرَأَى أَنَّهُ قَدْ أَمْسَى وَغَابَتْ الشَّمْسُ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ طَلَعَتْ الشَّمْسُ فَقَالَ عُمَرُ الْخَطْبُ يَسِيرٌ وَقَدْ اجْتَهَدْنَا قَالَ مَالِك يُرِيدُ بِقَوْلِهِ الْخَطْبُ يَسِيرٌ الْقَضَاءَ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ وَخِفَّةَ مَؤُونَتِهِ وَيَسَارَتِهِ يَقُولُ نَصُومُ يَوْمًا مَكَانَهُ
হাদীস নং:৬৬৩
১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৫. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলিতেনঃ যে ব্যক্তি সফর অথবা পীড়ার কারণে রোযা রাখে নাই, সে রমযানের রোযা রাখিবে একাধারে।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ يَصُومُ قَضَاءَ رَمَضَانَ مُتَتَابِعًا مَنْ أَفْطَرَهُ مِنْ مَرَضٍ أَوْ فِي سَفَرٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৬৬৪
১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৬. ইবনে শিহাব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত-আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাহারা উভয়ে রমযানের কাযা সম্পর্কে ইখতিলাফ (মতপার্থক্য) করিয়াছেন। একজন বলিয়াছেন, কায রোযা পৃথক পৃথক রাখা হইবে। আর একজন বলিয়াছেন, পৃথক পৃথক রাখা যাইবে না (অর্থাৎ একাধারে রাখিতে হইবে)। তাঁহাদের উভয়ের মধ্যে কে বলিয়াছেন পৃথক করা যাইবে, কে বলিয়াছেন পৃথক করা যাইবে না, তাহা আমার (নির্দিষ্ট) জানা নাই।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ وَأَبَا هُرَيْرَةَ اخْتَلَفَا فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ فَقَالَ أَحَدُهُمَا يُفَرِّقُ بَيْنَهُ وَقَالَ الْآخَرُ لَا يُفَرِّقُ بَيْنَهُ لَا أَدْرِي أَيَّهُمَا قَالَ يُفَرِّقُ بَيْنَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬৫
১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৭. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলতেনঃ যে রোযা অবস্থায় স্বেচ্ছায় বমি করে, তাহার উপর কায ওয়াজিব হইবে। আর যাহার অনিচ্ছাকৃত বমি হয়, তাহাকে করিতে হইবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مَنْ اسْتَقَاءَ وَهُوَ صَائِمٌ فَعَلَيْهِ الْقَضَاءُ وَمَنْ ذَرَعَهُ الْقَيْءُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৬৬৬
১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৮. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) শুনিয়াছেন- সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-কে রমযানের কাযা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হইলে তিনি বলিতেনঃ আমার নিকট পছন্দনীয় হইতেছে রমযানের কাযাকে পৃথক না করিয়া একাধারে রাখা।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ মালিক (রাহঃ)-কে আমি বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি রমযানের কাযা পৃথক পৃথক করিয়া রাখিয়াছে সেই ব্যক্তিকে রোযা পুনরায় রাখিতে হইবে না। সেই রোযাই তাহার পক্ষে যথেষ্ট হইবে। কিন্তু আমার নিকট একাধারে রাখাই পছন্দনীয়।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি রমযানের রোযা অথবা অন্য কোন ওয়াজিব রোযায় ভুলবশত আহার করে অথবা পান করে তাহাকে সেই দিনের পরিবর্তে অন্য একদিন কাযা করিতে হইবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يُسْأَلُ عَنْ قَضَاءِ رَمَضَانَ فَقَالَ سَعِيدٌ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ لَا يُفَرَّقَ قَضَاءُ رَمَضَانَ وَأَنْ يُوَاتَرَ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِيمَنْ فَرَّقَ قَضَاءَ رَمَضَانَ فَلَيْسَ عَلَيْهِ إِعَادَةٌ وَذَلِكَ مُجْزِئٌ عَنْهُ وَأَحَبُّ ذَلِكَ إِلَيَّ أَنْ يُتَابِعَهُ قَالَ مَالِك مَنْ أَكَلَ أَوْ شَرِبَ فِي رَمَضَانَ سَاهِيًا أَوْ نَاسِيًا أَوْ مَا كَانَ مِنْ صِيَامٍ وَاجِبٍ عَلَيْهِ أَنَّ عَلَيْهِ قَضَاءَ يَوْمٍ مَكَانَهُ
হাদীস নং:৬৬৭
১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৯. মালিক (রাহঃ) বর্ণনা করেন- হুমায়দ ইবনে কায়েস মক্কী (রাহঃ) বলিয়াছেন যে, আমি মুজাহিদ (রাহঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি বায়তুল্লাহ্ তওয়াফ করিতেছিলেন। এমন সময় তাহার নিকট একজন লোক আসিল এবং কাফফারার রোযা সম্পর্কে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল। উহা একাধারে রাখিতে হইবে, না আলাদা আলাদা রাখিতে পরিবে? হুমায়দ (রাহঃ) বলিলেনঃ ইচ্ছা করিলে আলাদা আলাদা রাখিতে পারিবে। মুজাহিদ (রাহঃ) বলিলেনঃ আলাদা আলাদা রাখিবে না, কারণ উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ)-এর কিরাআতে রহিয়াছে (ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مُتَتَابِعَاتٍ) অর্থাৎ তিন দিন একাধারে। ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন- মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ আমার নিকট পছন্দনীয় হইল, আল্লাহ্ তাআলা কুরআনে যেরূপ নির্ধারিত করিয়াছেন সেইরূপ একাধারে রোযা রাখা।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এমন এক স্ত্রীলোক সম্পর্কে, যে স্ত্রীলোকের রমযানে ফজর হইয়াছে রোযাবস্থায়। হঠাৎ তাহার তাজা রক্ত বাহির হইল, ঋতুর নির্দিষ্ট সময় ছাড়া। অতঃপর সে লক্ষ্য রাখিবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেইরূপ রক্ত দেখার জন্য কিন্তু কিছুই দেখিল না। অন্য একদিন ফজরে হঠাৎ আর এক দফা রূক্ত বাহির হইল কিন্তু ইহা পূর্বের তুলনায় কম। অতঃপর কয়েক দিন তাহার হায়েযের পূর্ব পর্যন্ত উহ বন্ধ রহিল। সেই স্ত্রীলোক নিজের নামায ও রোযার বিষয়ে কি করিবে? ইহার উত্তরে মালিক (রাহঃ) বলেন, সেই রক্ত হয়েযে গণ্য হইবে। যখন উহা দেখিবে রোযা ছাড়িয়া দিবে এবং সেই রোযা পরে কাযা করিবে। তাহার রক্ত বন্ধ হইয়া গেলে সে গোসল করিবে এবং রোযা রাখিবে।

মালিক (রাহঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করা হইল এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি রমযানের শেষ দিন মুসলমান হইল, তাহাকে রমযানের সকল রোযা করিতে হইবে কি? এবং যেদিন মুসলমান হইয়াছে সেই দিনের (রোযার) কাযা তাহার উপর ওয়াজিব হইবে কি? মালিক (রাহঃ) প্রশ্নের উত্তরে বলিলেনঃ তাহাকে বিগত রোযা কাযা করতে হইবে না। সে আগামীতে রোযা আরম্ভ করিবে, যেদিন মুসলমান হইয়াছে সেই দিনের রোযা রাখাটা আমার নিকট পছন্দনীয়।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَكِّيِّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ قَالَ كُنْتُ مَعَ مُجَاهِدٍ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَجَاءَهُ إِنْسَانٌ فَسَأَلَهُ عَنْ صِيَامِ أَيَّامِ الْكَفَّارَةِ أَمُتَتَابِعَاتٍ أَمْ يَقْطَعُهَا قَالَ حُمَيْدٌ فَقُلْتُ لَهُ نَعَمْ يَقْطَعُهَا إِنْ شَاءَ قَالَ مُجَاهِدٌ لَا يَقْطَعُهَا فَإِنَّهَا فِي قِرَاءَةِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مُتَتَابِعَاتٍ
قَالَ مَالِك وَأَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَكُونَ مَا سَمَّى اللَّهُ فِي الْقُرْآنِ يُصَامُ مُتَتَابِعًا وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الْمَرْأَةِ تُصْبِحُ صَائِمَةً فِي رَمَضَانَ فَتَدْفَعُ دَفْعَةً مِنْ دَمٍ عَبِيطٍ فِي غَيْرِ أَوَانِ حَيْضِهَا ثُمَّ تَنْتَظِرُ حَتَّى تُمْسِيَ أَنْ تَرَى مِثْلَ ذَلِكَ فَلَا تَرَى شَيْئًا ثُمَّ تُصْبِحُ يَوْمًا آخَرَ فَتَدْفَعُ دَفْعَةً أُخْرَى وَهِيَ دُونَ الْأُولَى ثُمَّ يَنْقَطِعُ ذَلِكَ عَنْهَا قَبْلَ حَيْضَتِهَا بِأَيَّامٍ فَسُئِلَ مَالِك كَيْفَ تَصْنَعُ فِي صِيَامِهَا وَصَلَاتِهَا قَالَ مَالِك ذَلِكَ الدَّمُ مِنْ الْحَيْضَةِ فَإِذَا رَأَتْهُ فَلْتُفْطِرْ وَلْتَقْضِ مَا أَفْطَرَتْ فَإِذَا ذَهَبَ عَنْهَا الدَّمُ فَلْتَغْتَسِلْ وَتَصُومُ وَسُئِلَ عَمَّنْ أَسْلَمَ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ رَمَضَانَ هَلْ عَلَيْهِ قَضَاءُ رَمَضَانَ كُلِّهِ أَوْ يَجِبُ عَلَيْهِ قَضَاءُ الْيَوْمِ الَّذِي أَسْلَمَ فِيهِ فَقَالَ لَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءُ مَا مَضَى وَإِنَّمَا يَسْتَأْنِفُ الصِّيَامَ فِيمَا يُسْتَقْبَلُ وَأَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَقْضِيَ الْيَوْمَ الَّذِي أَسْلَمَ فِيهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান