আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১৮. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৬০
১৬. রোযার মান্নত করা এবং মৃত ব্যক্তির পক্ষ হইতে রোযা রাখা
রেওয়ায়ত ৪২. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল সেই ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি এক মাসের রোযার মান্নত করিয়াছে, তাহার জন্য নফল রোযা রাখা জায়েয কিনা? সাঈদ (রাহঃ) বললেনঃ নফলের পূর্বে মানতের (রোযা) আরম্ভ করবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) হইতেও আমার নিকট এইরূপ রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন- মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তির মৃত্যু হইয়াছে অথচ তাহার উপর মান্নত রহিয়াছে গোলাম আযাদ করার অথবা সাদ্‌কা প্রদানের অথবা কুরবানী করার। ফলে সে তাহার সম্পদ হইতে সেই মান্নত পূর্ণ করার অসিয়ত করিয়াছে। তবে সাদ্‌কা এবং কুরবানী তাহার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে পূর্ণ করা হইবে।

মান্নতকে অন্যান্য নফল অসিয়তের উপর অগ্রাধিকার প্রদান করা হইবে। তবে যদি অন্য অসিয়ত ও মানতের মত (ওয়াজিব) হয়। কারণ নফল কাজ বা নফল কাজের অসিয়ত ওয়াজিব অসিয়ত ও মানতের সমতুল্য নহে। মান্নত ইত্যাদি মৃত ব্যক্তির সকল সম্পদ হইতে আদায় না করিয়া এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ হইতে আদায় করা হইবে। যদি তাহার জন্য ইহা বৈধ হয়, তবে মুতাওয়াফফী (মৃত্যুর সন্নিকটে পৌছিয়াছে এমন ব্যক্তি) তাহার উপর ওয়াজিব বিষয়গুলিকে পিছাইয়া রাখিবে। এমতাবস্থায় যখন তাহার মৃত্যু উপস্থিত হইবে, তখন তাহার সম্পদের মালিক হইবে তাহার ওয়ারিসগণ, বিশেষত ঐ সকল বিষয় যেসব বিষয়ে তাহার পক্ষ হইতে তাকীদ করিবার জন্য তেমন কোন ব্যক্তি না থাকে। (স্বভাবতই ওয়ারিসগণ ঐসব মান্নত বা অসিয়ত পূর্ণ করিতে আগ্রহী হইবে না)। সকল সম্পদ হইতে ঐসব আদায় করা তাহার জন্য জায়েয হইলে সে এই সকল ব্যাপারে বিলম্ব করিবে। যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হইবে তখন সে উহা প্রকাশ করবে। হয়তো ঐ সকল (প্রকাশিত দাবি-দাওয়া) পূরণে তাহার সমস্ত সম্পত্তিই নিঃশেষ হইয়া যাইবে, তাহার জন্য ইহা জায়েয নহে।
بَاب النَّذْرِ فِي الصِّيَامِ وَالصِّيَامِ عَنْ الْمَيِّتِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ نَذَرَ صِيَامَ شَهْرٍ هَلْ لَهُ أَنْ يَتَطَوَّعَ فَقَالَ سَعِيدٌ لِيَبْدَأْ بِالنَّذْرِ قَبْلَ أَنْ يَتَطَوَّعَ قَالَ مَالِك وَبَلَغَنِي عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ مِثْلُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ نَذْرٌ مِنْ رَقَبَةٍ يُعْتِقُهَا أَوْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ بَدَنَةٍ فَأَوْصَى بِأَنْ يُوَفَّى ذَلِكَ عَنْهُ مِنْ مَالِهِ فَإِنَّ الصَّدَقَةَ وَالْبَدَنَةَ فِي ثُلُثِهِ وَهُوَ يُبَدَّى عَلَى مَا سِوَاهُ مِنْ الْوَصَايَا إِلَّا مَا كَانَ مِثْلَهُ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ الْوَاجِبُ عَلَيْهِ مِنْ النُّذُورِ وَغَيْرِهَا كَهَيْئَةِ مَا يَتَطَوَّعُ بِهِ مِمَّا لَيْسَ بِوَاجِبٍ وَإِنَّمَا يُجْعَلُ ذَلِكَ فِي ثُلُثِهِ خَاصَّةً دُونَ رَأْسِ مَالِهِ لِأَنَّهُ لَوْ جَازَ لَهُ ذَلِكَ فِي رَأْسِ مَالِهِ لَأَخَّرَ الْمُتَوَفَّى مِثْلَ ذَلِكَ مِنْ الْأُمُورِ الْوَاجِبَةِ عَلَيْهِ حَتَّى إِذَا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ وَصَارَ الْمَالُ لِوَرَثَتِهِ سَمَّى مِثْلَ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ الَّتِي لَمْ يَكُنْ يَتَقَاضَاهَا مِنْهُ مُتَقَاضٍ فَلَوْ كَانَ ذَلِكَ جَائِزًا لَهُ أَخَّرَ هَذِهِ الْأَشْيَاءَ حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ مَوْتِهِ سَمَّاهَا وَعَسَى أَنْ يُحِيطَ بِجَمِيعِ مَالِهِ فَلَيْسَ ذَلِكَ لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬১
১৬. রোযার মান্নত করা এবং মৃত ব্যক্তির পক্ষ হইতে রোযা রাখা
রেওয়ায়ত ৪৩. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করা হইলঃ একজন আর একজনের পক্ষে রোযা রাখিবে কি? অথবা একজন অন্যজনের পক্ষে নামায পড়িবে কি? তিনি উত্তরে বলিলেনঃ একজন আর একজনের পক্ষে রোযা রাখিবে না এবং একে অপরের পক্ষে নামাযও পড়িবে না।
بَاب النَّذْرِ فِي الصِّيَامِ وَالصِّيَامِ عَنْ الْمَيِّتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُسْأَلُ هَلْ يَصُومُ أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ أَوْ يُصَلِّي أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ فَيَقُولُ لَا يَصُومُ أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ وَلَا يُصَلِّي أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান