আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
১৭. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৮৬
১৩. শরীকানা সম্পদের যাকাত
রেওয়ায়ত ২৫. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ দুই ব্যক্তির অংশীদারিত্বে যদি কিছু পশু থাকে এবং রাখাল, চারণক্ষেত্র, পানি পান করাইবার বালতি, নর জাতীয় পশুও যদি উভয়েরই থাকে, আর উভয়য়েই স্ব-স্ব হিস্যার পশুগুলি শনাক্ত করিতে সক্ষম থাকে, তবে এই দুই শরীককে খলীতান (خليطان) বলা হয়। আর শনাক্ত করিতে সক্ষম না থাকিলে তাহাদিগকে শরীয়তের পরিভাষায় শরীকান (شريكان) বলা হয়।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ খলীতানের প্রত্যেকেই নিসাব পরিমাণ পশুর মালিক না হইলে তাহাদের কাহারও উপর যাকাত ধার্য হইবে না। যেমন একজনের যদি চল্লিশটি বা তদুর্ধ বকরী থাকে, আরেকজনের যদি কম হয়, তবে প্রথমজনের উপর যাকাত ওয়াজিব হইবে, দ্বিতীয়জনের উপর ওয়াজিব হইবে না। আর প্রত্যেক জনেরই যদি নিসাব পরিমাণ থাকে তবে উভয়ের মালিকানাধীন পশুসমূহ একত্র করিয়া যাকাত আদায় করা হইবে। সুতরাং একজনের যদি এক হাজার বা তদুর্ধ বকরী হয় আর অপরজনের থাকে চল্লিশ বা তদুর্ধ, তবে উভয় খলীত পরস্পরে হিসাব সম্পন্ন করিয়া স্ব-স্ব হিসানুসারে যাকাত প্রদান করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উটের মধ্যে খলীত হওয়ার হুকুম বকরীর মধ্যে খলীত হওয়ার মতই। যদি উভয় খলীতের প্রত্যেকের কাছে নিসাব পরিমাণ উট থাকে তবে উভয়ের নিকট হইতে একত্রে যাকাত আদায় করা হইবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ পাঁচটির কম উটে যাকাত ওয়াজিব হয় না। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ মাঠে বিচরণরত বকরীর সংখ্যা চল্লিশে পৌছিলে ইহাতে একটি বকরী ধার্য হয়।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই বক্তব্যটি আমার পছন্দনীয়। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ যাকাত ধার্য হওয়ার ভয়ে বিভক্ত সম্পদ একত্র বা একীভূত সম্পদ বিভক্ত করা যাইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই বক্তব্যটির অর্থ হইল, পৃথক পৃথক দলে বিভক্ত দল একত্র করা হইবে না, যেমন তিন ব্যক্তির প্রত্যেকেরই চল্লিশটি করিয়া বকরী ছিল। উহাতে প্রত্যেকের উপরই একটি করিয়া বকরী যাকাত ধার্য হইত। কিন্তু তাহারা নিজের মালিকানাধীন বকরীসমূহ একত্র করিয়া ফেলিল। ফলে ইহাতে সকলের উপর মাত্র একটি বকরী ওয়াজিব হয়। এমনিভাবে একত্রে যে পশুর দল রক্ষিত হয় সেইগুলিকে আলাদা করা হইবে না। উহার ব্যাখ্যা নিম্নরূপ
দুই খলীতের একশত একটি করিয়া বকরী ছিল। তাহাদের উপর তিনটি বকরী যাকাত ধার্য হইবে। কিন্তু যাকাত আদায়কারী আসিলে তাহারা তাহাদের বকরীগুলি পৃথক করিয়া লইল। ইহাতে তাহাদের প্রত্যেকের একটি করিয়া বকরী যাকাত ধার্য হয়। মোদ্দাকথা, যাকাতের ভয়ে পৃথক পৃথক দলকে একত্র করা হইবে না, অথবা একীভূত দলকে পৃথক করা হইবে না। মালিক (রাহঃ) বলেন, এই বিষয়ে আমি ইহাই শুনিয়াছি।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ খলীতানের প্রত্যেকেই নিসাব পরিমাণ পশুর মালিক না হইলে তাহাদের কাহারও উপর যাকাত ধার্য হইবে না। যেমন একজনের যদি চল্লিশটি বা তদুর্ধ বকরী থাকে, আরেকজনের যদি কম হয়, তবে প্রথমজনের উপর যাকাত ওয়াজিব হইবে, দ্বিতীয়জনের উপর ওয়াজিব হইবে না। আর প্রত্যেক জনেরই যদি নিসাব পরিমাণ থাকে তবে উভয়ের মালিকানাধীন পশুসমূহ একত্র করিয়া যাকাত আদায় করা হইবে। সুতরাং একজনের যদি এক হাজার বা তদুর্ধ বকরী হয় আর অপরজনের থাকে চল্লিশ বা তদুর্ধ, তবে উভয় খলীত পরস্পরে হিসাব সম্পন্ন করিয়া স্ব-স্ব হিসানুসারে যাকাত প্রদান করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উটের মধ্যে খলীত হওয়ার হুকুম বকরীর মধ্যে খলীত হওয়ার মতই। যদি উভয় খলীতের প্রত্যেকের কাছে নিসাব পরিমাণ উট থাকে তবে উভয়ের নিকট হইতে একত্রে যাকাত আদায় করা হইবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ পাঁচটির কম উটে যাকাত ওয়াজিব হয় না। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ মাঠে বিচরণরত বকরীর সংখ্যা চল্লিশে পৌছিলে ইহাতে একটি বকরী ধার্য হয়।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই বক্তব্যটি আমার পছন্দনীয়। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ যাকাত ধার্য হওয়ার ভয়ে বিভক্ত সম্পদ একত্র বা একীভূত সম্পদ বিভক্ত করা যাইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই বক্তব্যটির অর্থ হইল, পৃথক পৃথক দলে বিভক্ত দল একত্র করা হইবে না, যেমন তিন ব্যক্তির প্রত্যেকেরই চল্লিশটি করিয়া বকরী ছিল। উহাতে প্রত্যেকের উপরই একটি করিয়া বকরী যাকাত ধার্য হইত। কিন্তু তাহারা নিজের মালিকানাধীন বকরীসমূহ একত্র করিয়া ফেলিল। ফলে ইহাতে সকলের উপর মাত্র একটি বকরী ওয়াজিব হয়। এমনিভাবে একত্রে যে পশুর দল রক্ষিত হয় সেইগুলিকে আলাদা করা হইবে না। উহার ব্যাখ্যা নিম্নরূপ
দুই খলীতের একশত একটি করিয়া বকরী ছিল। তাহাদের উপর তিনটি বকরী যাকাত ধার্য হইবে। কিন্তু যাকাত আদায়কারী আসিলে তাহারা তাহাদের বকরীগুলি পৃথক করিয়া লইল। ইহাতে তাহাদের প্রত্যেকের একটি করিয়া বকরী যাকাত ধার্য হয়। মোদ্দাকথা, যাকাতের ভয়ে পৃথক পৃথক দলকে একত্র করা হইবে না, অথবা একীভূত দলকে পৃথক করা হইবে না। মালিক (রাহঃ) বলেন, এই বিষয়ে আমি ইহাই শুনিয়াছি।
بَاب صَدَقَةِ الْخُلَطَاءِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك فِي الْخَلِيطَيْنِ إِذَا كَانَ الرَّاعِي وَاحِدًا وَالْفَحْلُ وَاحِدًا وَالْمُرَاحُ وَاحِدًا وَالدَّلْوُ وَاحِدًا فَالرَّجُلَانِ خَلِيطَانِ وَإِنْ عَرَفَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مَالَهُ مِنْ مَالِ صَاحِبِهِ قَالَ وَالَّذِي لَا يَعْرِفُ مَالَهُ مِنْ مَالِ صَاحِبِهِ لَيْسَ بِخَلِيطٍ إِنَّمَا هُوَ شَرِيكٌ قَالَ مَالِك وَلَا تَجِبُ الصَّدَقَةُ عَلَى الْخَلِيطَيْنِ حَتَّى يَكُونَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مَا تَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا كَانَ لِأَحَدِ الْخَلِيطَيْنِ أَرْبَعُونَ شَاةً فَصَاعِدًا وَلِلْآخَرِ أَقَلُّ مِنْ أَرْبَعِينَ شَاةً كَانَتْ الصَّدَقَةُ عَلَى الَّذِي لَهُ الْأَرْبَعُونَ شَاةً وَلَمْ تَكُنْ عَلَى الَّذِي لَهُ أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ صَدَقَةٌ فَإِنْ كَانَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مَا تَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ جُمِعَا فِي الصَّدَقَةِ وَوَجَبَتْ الصَّدَقَةُ عَلَيْهِمَا جَمِيعًا فَإِنْ كَانَ لِأَحَدِهِمَا أَلْفُ شَاةٍ أَوْ أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا تَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ وَلِلْآخَرِ أَرْبَعُونَ شَاةً أَوْ أَكْثَرُ فَهُمَا خَلِيطَانِ يَتَرَادَّانِ الْفَضْلَ بَيْنَهُمَا بِالسَّوِيَّةِ عَلَى قَدْرِ عَدَدِ أَمْوَالِهِمَا عَلَى الْأَلْفِ بِحِصَّتِهَا وَعَلَى الْأَرْبَعِينَ بِحِصَّتِهَا قَالَ مَالِك الْخَلِيطَانِ فِي الْإِبِلِ بِمَنْزِلَةِ الْخَلِيطَيْنِ فِي الْغَنَمِ يَجْتَمِعَانِ فِي الصَّدَقَةِ جَمِيعًا إِذَا كَانَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مَا تَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ مِنْ الْإِبِلِ صَدَقَةٌ وَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي سَائِمَةِ الْغَنَمِ إِذَا بَلَغَتْ أَرْبَعِينَ شَاةً شَاةٌ وَقَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَا يُجْمَعُ بَيْنَ مُفْتَرِقٍ وَلَا يُفَرَّقُ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ أَنَّهُ إِنَّمَا يَعْنِي بِذَلِكَ أَصْحَابَ الْمَوَاشِي قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ لَا يُجْمَعُ بَيْنَ مُفْتَرِقٍ أَنْ يَكُونَ النَّفَرُ الثَّلَاثَةُ الَّذِينَ يَكُونُ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ أَرْبَعُونَ شَاةً قَدْ وَجَبَتْ عَلَى كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ فِي غَنَمِهِ الصَّدَقَةُ فَإِذَا أَظَلَّهُمْ الْمُصَدِّقُ جَمَعُوهَا لِئَلَّا يَكُونَ عَلَيْهِمْ فِيهَا إِلَّا شَاةٌ وَاحِدَةٌ فَنُهُوا عَنْ ذَلِكَ وَتَفْسِيرُ قَوْلِهِ وَلَا يُفَرَّقُ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ أَنَّ الْخَلِيطَيْنِ يَكُونُ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِائَةُ شَاةٍ وَشَاةٌ فَيَكُونُ عَلَيْهِمَا فِيهَا ثَلَاثُ شِيَاهٍ فَإِذَا أَظَلَّهُمَا الْمُصَدِّقُ فَرَّقَا غَنَمَهُمَا فَلَمْ يَكُنْ عَلَى كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا إِلَّا شَاةٌ وَاحِدَةٌ فَنُهِيَ عَنْ ذَلِكَ فَقِيلَ لَا يُجْمَعُ بَيْنَ مُفْتَرِقٍ وَلَا يُفَرَّقُ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ قَالَ مَالِك فَهَذَا الَّذِي سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: