আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১৭. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৮৭
১৪. বকরী গণনার বেলায় বকরীর বাচ্চাও ইহাতে শামিল হইবে
রেওয়ায়ত ২৬. সুফইয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) যাকাত উসুলকারী হিসাবে নিযুক্ত করিয়া তাহাকে এক অঞ্চলে পাঠাইয়াছিলেন। বকরী গণনা করার সময় তিনি বাচ্চাগুলিকেও গণনায় শামিল করিয়া নিতেন। ইহাতে এলাকাবাসিগণ তাহাকে বলিলেনঃ বাচ্চাগুলিকে আপনি গণনায় শামিল করেন কিন্তু যাকাতের মধ্যে ইহাকে গ্রহণ করেন না কেন? যাহা হউক, যাকাত উসুল করিয়া ফিরিয়া আসার পর উমর (রাযিঃ)-এর নিকট এলাকাবাসীদের প্রশ্নের কথা উল্লেখ করিলে তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, বকরীর বাচ্চা এমনকি যে সমস্ত বাচ্চা রাখালগণকে কোলে তুলিয়া নিয়া যাইতে হয় সেই ধরনের বাচ্চাগুলিকে পর্যন্ত গণনায় শামিল করা হইবে। কিন্তু যাকাতের বেলায় এইগুলি আমরা গ্রহণ করি না। খাওয়ার উদ্দেশ্যে পালিত মোটাতাজা বকরী, বাচ্চারা যাহার দুধের উপর নির্ভরশীল তেমন বাচ্চাওয়ালা বকরী, ছাগ, গর্ভবতী বকরও আমরা যাকাতে গ্রহণ করি না। এক বৎসর দুই বৎসর বয়সের যাহা একেবারে বাচ্চা নহে বা একেবারে বৃদ্ধ নহে এমন ধরনের বকরীই আমরা ইহাতে গ্রহণ করিয়া থাকি।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কাহারও নিকট যদি নিসাব পরিমাণ হইতে কম বকরী থাকে আর যাকাত উসুলকারীর আগমনের একদিন পূর্বেও যদি এই বকরীগুলির বাচ্চা জন্মে এবং ইহাতে নিসাব পরিমাণ হইয়া যায় তবে তাহার উপর যাকাত ওয়াজিব হইবে। কারণ গণনার বেলায় বকরীর বাচ্চাও বকরীর মধ্যে শামিল হইয়া থাকে। পক্ষান্তরে কাহারও নিকট যদি নিসাব পরিমাণের কম বকরী হয়, পরে ক্রয় বা হেবা বা ওয়ারিস সূত্রে সে যদি আরও কিছু বকরীর মালিক হয় এবং ইহাতে তাহার নিকট নিসাব পরিমাণ বকরী হইয়া যায়, তবে তাহার উপর যাকাত ওয়াজিব হইবে না। প্রথমোল্লিখিত মাসআলাটির নজীর হইল- কাহারও নিকট যদি নিসাব পরিমাণ হইতে কম মূল্যের সম্পদ থাকে, আর সে যদি এমন লাভে ইহা বিক্রয় করে যাহাতে নিসাব পরিমাণ হইয়া যায়, তবে পুঁজির সহিত লাভের উপরও যাকাত ধার্য হইবে। কিন্তু ঐ লাভ যদি হেবা বা মিরাস আকারের হয় তবে হেবা বা ওয়ারিস সূত্রে প্রাপ্তির দিন হইতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত ইহাতে যাকাত ওয়াজিব হইবে না। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সুতরাং লাভ যেমন পুঁজি ও সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হইয়া থাকে তদ্রূপ বকরীর সঙ্গে শামিল বলিয়া গণ্য হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অন্য একটি দিক হইতে এই পূর্বোল্লিখিত বিষয় দুইটির মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতাও রহিয়াছে। তাহা হইল- কাহারও নিকট যদি এতটুকু পরিমাণ স্বর্ণ বা রৌপ্য থাকে যতটুকুর উপর যাকাত ওয়াজিব হয়, পরে যদি ঐ ব্যক্তি অন্য আরও কোন সম্পদ অর্জন করে তবে পূর্বস্থ নিসাবের সঙ্গে ইহা সম্পৃক্ত হইবে না এবং যেদিন হইতে ইহা অর্জিত হইয়াছে সেইদিন হইতে পূর্ণ এক বৎসর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত উহাতে যাকাত ধার্য হইবে না। পক্ষান্তরে কাহারও নিকট যদি উট, গাভী ও বকরী ইত্যাদি নিসাব পরিমাণ পশু থাকে এবং পরে যদি আরও কিছু পশু তাহার অধিকারে আসে তবে পূর্বস্থ নিসাবের সমজাতীয় পশুর সঙ্গে এইগুলির উপরও যাকাত আদায় করিতে হইবে। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই মাসআলাটির বিষয়ে আমি যাহা শুনিয়াছি উক্ত ভাষাটিই তন্মধ্যে অধিক উত্তম।
بَاب مَا جَاءَ فِيمَا يُعْتَدُّ بِهِ مِنْ السَّخْلِ فِي الصَّدَقَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ الدِّيلِيِّ عَنْ ابْنٍ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُفْيَانَ الثَّقَفِيِّ عَنْ جَدِّهِ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بَعَثَهُ مُصَدِّقًا فَكَانَ يَعُدُّ عَلَى النَّاسِ بِالسَّخْلِ فَقَالُوا أَتَعُدُّ عَلَيْنَا بِالسَّخْلِ وَلَا تَأْخُذُ مِنْهُ شَيْئًا فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ذَكَرَ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ عُمَرُ نَعَمْ تَعُدُّ عَلَيْهِمْ بِالسَّخْلَةِ يَحْمِلُهَا الرَّاعِي وَلَا تَأْخُذُهَا وَلَا تَأْخُذُ الْأَكُولَةَ وَلَا الرُّبَّى وَلَا الْمَاخِضَ وَلَا فَحْلَ الْغَنَمِ وَتَأْخُذُ الْجَذَعَةَ وَالثَّنِيَّةَ وَذَلِكَ عَدْلٌ بَيْنَ غِذَاءِ الْغَنَمِ وَخِيَارِهِ
قَالَ مَالِك وَالسَّخْلَةُ الصَّغِيرَةُ حِينَ تُنْتَجُ وَالرُّبَّى الَّتِي قَدْ وَضَعَتْ فَهِيَ تُرَبِّي وَلَدَهَا وَالْمَاخِضُ هِيَ الْحَامِلُ وَالْأَكُولَةُ هِيَ شَاةُ اللَّحْمِ الَّتِي تُسَمَّنُ لِتُؤْكَلَ وَقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ تَكُونُ لَهُ الْغَنَمُ لَا تَجِبُ فِيهَا الصَّدَقَةُ فَتَوَالَدُ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَهَا الْمُصَدِّقُ بِيَوْمٍ وَاحِدٍ فَتَبْلُغُ مَا تَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ بِوِلَادَتِهَا قَالَ مَالِك إِذَا بَلَغَتْ الْغَنَمُ بِأَوْلَادِهَا مَا تَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ فَعَلَيْهِ فِيهَا الصَّدَقَةُ وَذَلِكَ أَنَّ وِلَادَةَ الْغَنَمِ مِنْهَا وَذَلِكَ مُخَالِفٌ لِمَا أُفِيدَ مِنْهَا بِاشْتِرَاءٍ أَوْ هِبَةٍ أَوْ مِيرَاثٍ وَمِثْلُ ذَلِكَ الْعَرْضُ لَا يَبْلُغُ ثَمَنُهُ مَا تَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ ثُمَّ يَبِيعُهُ صَاحِبُهُ فَيَبْلُغُ بِرِبْحِهِ مَا تَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ فَيُصَدِّقُ رِبْحَهُ مَعَ رَأْسِ الْمَالِ وَلَوْ كَانَ رِبْحُهُ فَائِدَةً أَوْ مِيرَاثًا لَمْ تَجِبْ فِيهِ الصَّدَقَةُ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ أَفَادَهُ أَوْ وَرِثَهُ قَالَ مَالِك فَغِذَاءُ الْغَنَمِ مِنْهَا كَمَا رِبْحُ الْمَالِ مِنْهُ غَيْرَ أَنَّ ذَلِكَ يَخْتَلِفُ فِي وَجْهٍ آخَرَ أَنَّهُ إِذَا كَانَ لِلرَّجُلِ مِنْ الذَّهَبِ أَوْ الْوَرِقِ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ ثُمَّ أَفَادَ إِلَيْهِ مَالًا تَرَكَ مَالَهُ الَّذِي أَفَادَ فَلَمْ يُزَكِّهِ مَعَ مَالِهِ الْأَوَّلِ حِينَ يُزَكِّيهِ حَتَّى يَحُولَ عَلَى الْفَائِدَةِ الْحَوْلُ مِنْ يَوْمَ أَفَادَهَا وَلَوْ كَانَتْ لِرَجُلٍ غَنَمٌ أَوْ بَقَرٌ أَوْ إِبِلٌ تَجِبُ فِي كُلِّ صِنْفٍ مِنْهَا الصَّدَقَةُ ثُمَّ أَفَادَ إِلَيْهَا بَعِيرًا أَوْ بَقَرَةً أَوْ شَاةً صَدَّقَهَا مَعَ صِنْفِ مَا أَفَادَ مِنْ ذَلِكَ حِينَ يُصَدِّقُهُ إِذَا كَانَ عِنْدَهُ مِنْ ذَلِكَ الصِّنْفِ الَّذِي أَفَادَ نِصَابُ مَاشِيَةٍ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান