কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৩০১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০১
হাওযে কাওসারের আলোচনা
৪৩০১। আবু বাকর ইব্ন আবু শায়বা (রাহঃ)........ আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেনঃ বায়তুল্লাহ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত বিস্তৃত একটি হাউয (ঝরণা) আমার জন্য সংরক্ষিত আছে। এর পানি দুধের ন্যায় ধবধবে সাদা, পান পাত্রের সংখ্যা আকাশের তারকাপুঞ্জের সমান। তার কিয়ামতের দিন অন্যান্য নবী রাসূলের (ﷺ) অনুসারীর চাইতে আমার অনুগামীদের সংখ্যা হবে অনেক বেশী।
بَابُ ذِكْرِ الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا، حَدَّثَنَا عَطِيَّةُ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِنَّ لِي حَوْضًا مَا بَيْنَ الْكَعْبَةِ وَبَيْتِ الْمَقْدِسِ أَبْيَضَ مِثْلَ اللَّبَنِ آنِيَتُهُ عَدَدُ النُّجُومِ وَإِنِّي لأَكْثَرُ الأَنْبِيَاءِ تَبَعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৩০২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০২
হাওযে কাওসারের আলোচনা
৪৩০২। উসমান ইব্ন আবু শায়বা (রাহঃ)......হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার হাউযের পরিধি আয়লা থেকে আদন পর্যন্ত বিস্তৃত। সেই মহান সত্তার শপথ। যাঁর হাতে আমার প্রাণ। এ হাউযের পান পাত্রের সংখ্যা আকাশের নক্ষত্ররাজির চেয়েও অধিক। এর পানি দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি। সেই মহান সত্তার শপথ। যার হাতে আমার প্রাণ। নিশ্চয়ই আমি এ হাউযের তীর থেকে লোকদের তেমনিভাবে তাড়িয়ে দেব, যেমনিভাবে লোকেরা অপরিচিত উটকে তাদের কূপ থেকে তাড়িয়ে দেয়। জিজ্ঞাসা করা হলোঃ হে আল্লাহর রাসূল। আপনি কি আমাদের চিনতে পারবেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তোমরা আমার সামনে অযূর বদৌলতে হাত-পা উজ্জল- বিশিষ্ট অবস্থায় আসবে। যে নিদর্শন অন্য কোন উম্মাতের জন্য হবে না।
بَابُ ذِكْرِ الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ حَوْضِي لأَبْعَدُ مِنْ أَيْلَةَ إِلَى عَدَنَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لآنِيَتُهُ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ النُّجُومِ وَلَهُوَ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَذُودُ عَنْهُ الرِّجَالَ كَمَا يَذُودُ الرَّجُلُ الإِبِلَ الْغَرِيبَةَ عَنْ حَوْضِهِ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَعْرِفُنَا قَالَ " نَعَمْ تَرِدُونَ عَلَىَّ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ أَثَرِ الْوُضُوءِ لَيْسَتْ لأَحَدٍ غَيْرِكُمْ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৩০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৩
হাওযে কাওসারের আলোচনা
৪৩০৩। মাহমুদ ইবন খালিদ দিমাশকী (রাহঃ) …. আবু সাল্লাম হাবশী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন একদা উমার ইব্ন আব্দুল আযীয (রাহঃ) আমাকে ডেকে পাঠান। তখন আমি অতি দ্রুত তাঁর কাছে উপস্থিত হই । আমি যখন তাঁর কাছে এসে পৌছি, তিনি বলেনঃ আমি আপনাকে তাকলীফ দিলাম, হে আবু সাল্লাম। আপনার সাওয়ারীকে ও তাকলীফ দিয়েছি। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহ্ শপথ। হে আমীরুল মু'মিনীন। তিনি বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি আপনাকে, একখানা হাদীস শোনার জন্যই, এই কষ্ট দিয়েছি। আমি জানতে পেরেছি, আপনি তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর আযাদকৃত গেলাম সাওবান (রাযিঃ) থেকে হাউয সম্পর্কে বর্ণনা করছেন। আমি এ হাদীসখানি আপনার মুখ থেকে শুনতে আগ্রহী। তিনি বলেন, তখন আমি বললামঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাযিঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার হাউয আদন (এডেন) থেকে আইলা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। যার পানি দুধের চেয়েও সাদা, এবং মধুর চেয়েও সুমিষ্ট। এর পাত্র সংখ্যা আকাশের তারকারাজির সমান। যে কেউ এ হাউয থেকে এক ঢোক (চুমুক বা ফোঁটা) পানি পান করবে, সে আর কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না। সর্বপ্রথম যে সব লোক এ হাউযের পানি পান করার জন্য আমার নিকট আসবে, তারা হবে ফকীর মুহাজিরগণ। এদের পরিধানে ছিল ছিড়াফাঁটা ময়লা কাপড়, মাথার চুল ছিল উশকো-খুশকো, তারা অভিজাত সম্পদশালী মেয়েদের বিবাহ করতে পারতো না এবং তাদের (আপ্যায়নের জন্য) ঘরের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করা হতো না। রাবী বলেনঃ হাদীস শুনে উমার (রাযিঃ) কেঁদে ফেলেন এমনকি তাঁর দাঁড়ি অশ্রুসিক্ত হয়ে যা। এরপর তিনি বললেনঃ আমি তো সম্পদশালী মহিলা বিয়ে করেছি এবং আমার জন্য সব দরজাই তো উন্মুক্ত। এখন থেকে আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রাদি ময়লা না হওয়া পর্যন্ত ধোব না এবং মাথার চুল উশকো-খুশকো না হওয়া পর্যন্ত তেল লাগাব না।
بَابُ ذِكْرِ الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُهَاجِرٍ، حَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ سَالِمٍ الدِّمَشْقِيُّ، نُبِّئْتُ عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ الْحَبَشِيِّ، قَالَ بَعَثَ إِلَىَّ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَأَتَيْتُهُ عَلَى بَرِيدٍ فَلَمَّا قَدِمْتُ عَلَيْهِ قَالَ لَقَدْ شَقَقْنَا عَلَيْكَ يَا أَبَا سَلاَّمٍ فِي مَرْكَبِكَ . قَالَ أَجَلْ وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ . قَالَ وَاللَّهِ مَا أَرَدْتُ الْمَشَقَّةَ عَلَيْكَ وَلَكِنْ حَدِيثٌ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُحَدِّثُ بِهِ عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْحَوْضِ فَأَحْبَبْتُ أَنْ تُشَافِهَنِي بِهِ . قَالَ فَقُلْتُ حَدَّثَنِي ثَوْبَانُ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِنَّ حَوْضِي مَا بَيْنَ عَدَنَ إِلَى أَيْلَةَ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ أَوَانِيهِ كَعَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ مَنْ شَرِبَ مِنْهُ شَرْبَةً لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهَا أَبَدًا وَأَوَّلُ مَنْ يَرِدُهُ عَلَىَّ فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ الدُّنْسُ ثِيَابًا وَالشُّعْثُ رُءُوسًا الَّذِينَ لاَ يَنْكِحُونَ الْمُنَعَّمَاتِ وَلاَ يُفْتَحُ لَهُمُ السُّدَدُ " . قَالَ فَبَكَى عُمَرُ حَتَّى اخْضَلَّتْ لِحْيَتُهُ ثُمَّ قَالَ لَكِنِّي قَدْ نَكَحْتُ الْمُنَعَّمَاتِ وَفُتِحَتْ لِيَ السُّدَدُ لاَ جَرَمَ أَنِّي لاَ أَغْسِلُ ثَوْبِي الَّذِي عَلَى جَسَدِي حَتَّى يَتَّسِخَ وَلاَ أَدْهُنُ رَأْسِي حَتَّى يَشْعَثَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৩০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৪
হাওযে কাওসারের আলোচনা
৪৩০৪। নসর ইব্ন আলী (রাহঃ).....আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার হাউযের দুই তীরের ব্যবধান সানআ (ইয়ামানের রাজধানী) এর মদীনা মুনাওয়ারার মধ্যবর্তী স্থানের সমান অথবা মদীনা ও আম্মানের মধ্যবর্তী ব্যবধানের সমান।
بَابُ ذِكْرِ الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَا بَيْنَ نَاحِيَتَىْ حَوْضِي كَمَا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَالْمَدِينَةِ أَوْ كَمَا بَيْنَ الْمَدِينَةِ وَعَمَّانَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৫
হাওযে কাওসারের আলোচনা
৪৩০৫। হুমায়দ ইবন মাস'আদহ্ (রাহঃ)...... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লার নবী (ﷺ) বলেছেনঃ সেখানে (হাউয কাওসারের তীরে) আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জের পরিসংখ্যানের সমান স্বর্ণ ও রৌপ্য নির্মিত পানপাত্র সমূহ পরিদৃশ্যমান হবে।
بَابُ ذِكْرِ الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " يُرَى فِيهِ أَبَارِيقُ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ كَعَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৬
হাওযে কাওসারের আলোচনা
৪৩০৬। মুহাম্মাদ ইব্ন বাশশার (রাহঃ)..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, একবার তিনি কবরস্তানে গমন করেন এবং তিনি কবরবাসীদের উদ্দেশ্যে সালাম করেন। তিনি বলেনঃ 'হে ঈমানদার কবরবাসীরা! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। অচিরেই আল্লাহ চাহেত আমরা তোমাদের সাথে মিলিত হব। অতঃপর তিনি বললেনঃ আমি আকাঙ্ক্ষা রাখি যে, আমরা আমাদরে ভাইদের প্রত্যক্ষ করি। তাঁরা (সাহাবাই কিরাম) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আপনার ভাই নই? তিনি বললেনঃ তোমরা আমার সাহাবী। আর যারা আমার পরে আসবে, তারা আমার ভাই। আমি তোমদের আগেই হাউযের তীরে উপস্থিত হব। তাঁরা জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি সে লোকদের আপনার উম্মাত হিসেবে কিভাবে চিনবেন, যারা এখনও পয়দা হয়নি? তিনি বললেনঃ তোমরা কি দেখ না, যদি এক ব্যক্তির এতটা সাদা হাত-পাও শুভ কপালযুক্ত ঘোড়া, অপর ব্যক্তির কুৎসিত কালো ঘোড়ার পালে মিশে যায়, তাহলে সে কি তার ঘোড়াটি চিনবে না ? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, নিশ্চয়ই চিনবে। তিনি বললেনঃ তাঁরা (আমার উম্মাত ) কিয়ামতের দিন অযূর বদৌলতে সাদা কপাল ও শুভ্র হাত পা বিশিষ্ট হয়ে আসবে। অতঃপর তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের আগে হাউযের কিনারে যাব। এরপর বললেনঃ অনেক লোক আমার হাউয থেকে বিতাড়িত হবে, যেমন পথতোলা উট বিতাড়িত হয়। এরপর আমি তাদের ডেকে বলবোঃ তোমরা এদিকে এসো! তখন বলা হবেঃ এসব লোক আপনার পরে (দীন) পরিবর্তন করেছে এবং সর্ববস্থায় তারা তাদের পশ্চাতে ফিরে গেছে। তখন বলবোঃ সাবধান! দূর হও, দূর হও।
بَابُ ذِكْرِ الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ أَتَى الْمَقْبَرَةَ فَسَلَّمَ عَلَى الْمَقْبَرَةِ فَقَالَ " السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى بِكُمْ لاَحِقُونَ " . ثُمَّ قَالَ " وَدِدْتُ أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا إِخْوَانَنَا " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَلَسْنَا إِخْوَانَكَ قَالَ " أَنْتُمْ أَصْحَابِي وَإِخْوَانِي الَّذِينَ يَأْتُونَ مِنْ بَعْدِي وَأَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَعْرِفُ مَنْ لَمْ يَأْتِ مِنْ أُمَّتِكَ قَالَ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ رَجُلاً لَهُ خَيْلٌ غُرٌّ مُحَجَّلَةٌ بَيْنَ ظَهْرَانَىْ خَيْلٍ دُهْمٍ بُهْمٍ أَلَمْ يَكُنْ يَعْرِفُهَا " . قَالُوا بَلَى . قَالَ " فَإِنَّهُمْ يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ " . قَالَ " أَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ " . ثُمَّ قَالَ أَلاَ لَيُذَادَنَّ رِجَالٌ عَنْ حَوْضِي كَمَا يُذَادُ الْبَعِيرُ الضَّالُّ فَأُنَادِيهِمْ أَلاَ هَلُمُّوا . فَيُقَالُ إِنَّهُمْ قَدْ بَدَّلُوا بَعْدَكَ وَلَمْ يَزَالُوا يَرْجِعُونَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ . فَأَقُولُ أَلاَ سُحْقًا سُحْقًا " .