কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪২৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯৩
কিয়ামতের দিন আল্লাহর রহমত লাভের প্রত্যাশা
৪২৯৩। আবু বাকর ইব্ন আবু শায়বা (রাহঃ)......আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার একশত রহমত রয়েছে। তন্মধ্যে তিনি একটি রহমত সারা সৃষ্টির মাঝে বন্টন করে দিয়েছেন একটি রহমতের বদৌলতে তারা এক অপরকে ভালবাসে, পরস্পরে সৌহার্দ্রভাব পোষণ করে, এমনকি বন্য জীবজন্তুও তার বাচ্চাদের আদর সোহাগ করে। অবশিষ্ট নিরানব্বইটি রহমত আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাঁর বান্দাদের জন্য রেখে দিয়েছেন। তিনি তা দিয়ে তার বান্দাদের প্রতি কিয়ামতের দিন রহম করবেন।
بَاب مَا يُرْجَى مِنْ رَحْمَةِ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِنَّ لِلَّهِ مِائَةَ رَحْمَةٍ قَسَمَ مِنْهَا رَحْمَةً بَيْنَ جَمِيعِ الْخَلاَئِقِ فَبِهَا يَتَرَاحَمُونَ وَبِهَا يَتَعَاطَفُونَ وَبِهَا تَعْطِفُ الْوَحْشُ عَلَى أَوْلاَدِهَا وَأَخَّرَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ رَحْمَةً يَرْحَمُ بِهَا عِبَادَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
হাদীস নং:৪২৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯৪
কিয়ামতের দিন আল্লাহর রহমত লাভের প্রত্যাশা
৪২৯৪। আবু কুরায়ব ও আহমাদ ইবন সিনান (রাহঃ)...... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ আসমান ও যমীন সৃষ্টির দিনেই একশত রহমত পয়দা করেছেন। তার থেকে তিনি মাত্র একটি রহমত পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এর বদৌলতে মাতার সন্তানের প্রতি অনুরক্ত হয় এবং চতুস্পদ জীব জন্তু ও পক্ষীকূল এক অপরের সাথে দয়া ও প্রীতির বন্ধনে আব্দ্ধ হয়। আর অবশিষ্ট নিরানব্বইটি রহমত তিনি কিয়ামতের দিনের জন্য রেখে দিয়েছেন। যেদিন কিয়ামত হবে, সেদিন আল্লাহ্ এটি দিয়ে একশ' রহমত পূর্ণ করবেন।
بَاب مَا يُرْجَى مِنْ رَحْمَةِ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " خَلَقَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ مِائَةَ رَحْمَةٍ فَجَعَلَ فِي الأَرْضِ مِنْهَا رَحْمَةً فَبِهَا تَعْطِفُ الْوَالِدَةُ عَلَى وَلَدِهَا وَالْبَهَائِمُ بَعْضُهَا عَلَى بَعْضٍ وَالطَّيْرُ وَأَخَّرَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةٍ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ أَكْمَلَهَا اللَّهُ بِهَذِهِ الرَّحْمَةِ " .
হাদীস নং:৪২৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯৫
কিয়ামতের দিন আল্লাহর রহমত লাভের প্রত্যাশা
৪২৯৫। মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুল্লাহ ইব্ন নূমায়র ও আবু বাক্র ইব্ন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে দিন মহান আল্লাহ সৃষ্টিকূল পয়দা করেন, সেদিন তিনি আপন কুদরতী হাতে নিজের দায়িত্বে লিখলেন যেঃ আমার রহমত আমার গযবের উপর বিজয়ী। (অর্থাৎ আল্লাহর সত্তায় গযবের চাইতে রহমতের আধিক্যতা অনেক বেশী। এক মুহূর্তকাল ও তাঁর রহমত ব্যতিরেকে সৃষ্টির অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে না।)
بَاب مَا يُرْجَى مِنْ رَحْمَةِ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمَّا خَلَقَ الْخَلْقَ كَتَبَ بِيَدِهِ عَلَى نَفْسِهِ إِنَّ رَحْمَتِي تَغْلِبُ غَضَبِي " .
হাদীস নং:৪২৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯৬
কিয়ামতের দিন আল্লাহর রহমত লাভের প্রত্যাশা
৪২৯৬। মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুল মালিক ইব্ন আবু শাওয়ারিব (রাহঃ)...... মু'আয ইব্ন জাবাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, এ সময় আমি একটা গাধার পিঠে সাওয়ার ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ হে মু'আয। তুমি কি জান, বান্দার উপরে আল্লাহর কি হক এবং আল্লাহর দায়িত্ব বান্দার কি কি হক? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক অবহিত। তিনি বললেনঃ বান্দার উপরে আল্লাহর অধিকার হচ্ছে, বান্দা তাঁরই ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে অন্য কাউকে শরীক করবে না। আর আল্লাহর দায়িত্বে বান্দার হক হচ্ছে, তারা (বান্দা) যখন এমন আমল করবে, তখন তিনি তাদের শাস্তি দিবেন না।
بَاب مَا يُرْجَى مِنْ رَحْمَةِ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا عَلَى حِمَارٍ فَقَالَ " يَا مُعَاذُ هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ اللَّهِ عَلَى الْعِبَادِ وَمَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ " . قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " فَإِنَّ حَقَّ اللَّهِ عَلَى الْعِبَادِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا . وَحَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ إِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ أَنْ لاَ يُعَذِّبَهُمْ " .
হাদীস নং:৪২৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯৭
কিয়ামতের দিন আল্লাহর রহমত লাভের প্রত্যাশা
৪২৯৭। হিশাম ইবন আম্মার (রাহঃ)...... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কোন এক জিহাদে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি এক কাওমের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তখন জিজ্ঞেস করলেনঃ এরা কোন কাওম? তারা বললোঃ আমরা মুসলমান। সেখানে এক মহিলা রান্নাবান্নার জন্য উনূনে জ্বালানী ধরাচ্ছিল এবং তার কাছেই ছিল তার একপুত্র সন্তান। যখন উনূন থেকে ধুয়া বের হচ্ছিল, তখন সে তার শিশুটিকে সরিয়ে নিলো। অতঃপর সে মহিলা নবী (ﷺ) -এর নিকট এসে বললোঃ আপনি কি আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। সে বললোঃ আমর পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, আল্লাহ তা'আলা কি সর্বাপেক্ষা দয়ালু নন? তিনি বললেনঃ অবশ্যই। মহিলা বললো ঃ আল্লাহ্ কি তাঁর বান্দাদের প্রতি এর চাইতে অধিকতর রহমত (দেয়া প্রদর্শন) করেন না, যতটা মা তার সন্তানের প্রতি করে থাকে? তিনি বললেন: তাঁ। সে বললোঃ নিশ্চয় মা তার সন্তানকে আগুনে নিক্ষেপ করে না। এই কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাথা নিচু এবং কেঁদে দিলেন। অতঃপর তার দিকে মাথা উঠিয়ে বললেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের থেকে মন্দ স্বভাব, নাপরমান ও তাঁর সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণকারী এবং যে বলতে অস্বীকার করেঃ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু" (অর্থাৎ তাওহীদ অস্বীকারকারী) এদের ব্যতীত কাউকে শাস্তি দিবেন না।
بَاب مَا يُرْجَى مِنْ رَحْمَةِ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي بَعْضِ غَزَوَاتِهِ فَمَرَّ بِقَوْمٍ فَقَالَ مَنِ الْقَوْمُ فَقَالُوا نَحْنُ الْمُسْلِمُونَ . وَامْرَأَةٌ تَحْصِبُ تَنُّورَهَا وَمَعَهَا ابْنٌ لَهَا فَإِذَا ارْتَفَعَ وَهَجُ التَّنُّورِ تَنَحَّتْ بِهِ فَأَتَتِ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَتْ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَرْحَمِ الرَّاحِمِينَ قَالَ " بَلَى " . قَالَتْ أَوَلَيْسَ اللَّهُ بِأَرْحَمَ بِعِبَادِهِ مِنَ الأُمِّ بِوَلَدِهَا قَالَ " بَلَى " . قَالَتْ فَإِنَّ الأُمَّ لاَ تُلْقِي وَلَدَهَا فِي النَّارِ . فَأَكَبَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَيْهَا فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ لاَ يُعَذِّبُ مِنْ عِبَادِهِ إِلاَّ الْمَارِدَ الْمُتَمَرِّدَ الَّذِي يَتَمَرَّدُ عَلَى اللَّهِ وَأَبَى أَنْ يَقُولَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯৮
কিয়ামতের দিন আল্লাহর রহমত লাভের প্রত্যাশা
৪২৯৮। আব্বাস ইব্ন ওয়ালীদ দিমাশকী (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ শাকী (মন্দ স্বভাব বিশিষ্ট ব্যক্তি) ব্যতীত আর কেউ জাহান্নামে যাবে না। বলা হলোঃ হে আল্লাহর রাসূল। শাকী কে? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি কখনো আল্লাহর আনুগত্য করেনি এবং তাঁর নাফরমানী ত্যাগ করেননি।
بَاب مَا يُرْجَى مِنْ رَحْمَةِ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ هَاشِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لاَ يَدْخُلُ النَّارَ إِلاَّ شَقِيٌّ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنِ الشَّقِيُّ قَالَ " مَنْ لَمْ يَعْمَلْ لِلَّهِ بِطَاعَةٍ وَلَمْ يَتْرُكْ لَهُ مَعْصِيَةً " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯৯
কিয়ামতের দিন আল্লাহর রহমত লাভের প্রত্যাশা
৪২৯৯। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন? (অর্থ) “এক মাত্র তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী"। (৭৪ঃ ৫৬)। অতঃপর তিনি বললেনঃ মহান আল্লাহ বলেছেনঃ আমি এর উপযুক্ত যে, যেন আমাকেই একমাত্র ভয় করা হয়। আমার সাথে অন্য কোন ইলাহকে যেন শরীক না করা হয়। আর যে ব্যক্তি আমার সাথে অন্য কোন ইলাহ শরীক করা থেকে বিরত থাকবে, আমি এর উপযুক্ত যে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।
আবুল হাসান কাত্তান (রাহঃ)...... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এ আয়াতঃ هُوَ أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ সম্পর্কে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমাদের রব বলেছেনঃ আমি এর উপযুক্ত যেন আমাকেই ভয় করবে। আর আমার সঙ্গে অন্য কাউকে শরীক করানো হয়। এবং আমি এমন যে, যে ব্যক্তি আমার সঙ্গে অন্য কিছুর শরীক করতে ভয় করে, আমি তাকে ক্ষমা করি।
আবুল হাসান কাত্তান (রাহঃ)...... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এ আয়াতঃ هُوَ أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ সম্পর্কে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমাদের রব বলেছেনঃ আমি এর উপযুক্ত যেন আমাকেই ভয় করবে। আর আমার সঙ্গে অন্য কাউকে শরীক করানো হয়। এবং আমি এমন যে, যে ব্যক্তি আমার সঙ্গে অন্য কিছুর শরীক করতে ভয় করে, আমি তাকে ক্ষমা করি।
بَاب مَا يُرْجَى مِنْ رَحْمَةِ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، - أَخُو حَزْمٍ الْقُطَعِيِّ - حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَرَأَ - أَوْ تَلاَ - هَذِهِ الآيَةَ (هُوَ أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ) فَقَالَ " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنَا أَهْلٌ أَنْ أُتَّقَى فَلاَ يُجْعَلَ مَعِي إِلَهٌ آخَرُ فَمَنِ اتَّقَى أَنْ يَجْعَلَ مَعِي إِلَهًا آخَرَ فَأَنَا أَهْلٌ أَنْ أَغْفِرَ لَهُ " .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي حَزْمٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ فِي هَذِهِ الآيَةِ (هُوَ أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ ) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " قَالَ رَبُّكُمْ أَنَا أَهْلٌ أَنْ أُتَّقَى فَلاَ يُشْرَكَ بِي غَيْرِي وَأَنَا أَهْلٌ لِمَنِ اتَّقَى أَنْ يُشْرِكَ بِي أَنْ أَغْفِرَ لَهُ " .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي حَزْمٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ فِي هَذِهِ الآيَةِ (هُوَ أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ ) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " قَالَ رَبُّكُمْ أَنَا أَهْلٌ أَنْ أُتَّقَى فَلاَ يُشْرَكَ بِي غَيْرِي وَأَنَا أَهْلٌ لِمَنِ اتَّقَى أَنْ يُشْرِكَ بِي أَنْ أَغْفِرَ لَهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩০০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০০
কিয়ামতের দিন আল্লাহর রহমত লাভের প্রত্যাশা
৪৩০০। মুহাম্মাদ ইব্ন ইয়াহ্ইয়া (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ ইবন আমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন সমস্ত সৃষ্টির সামনে আমার একজন উম্মাতকে ডাকা হবে। তখন তার সামনে নিরানব্বইটি দফতর (লিখিত বিবরনী) পেশ করা হবে। এর প্রত্যেকটি দফতর দৃষ্টি সীমার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ হবে। অতঃপর মহান আল্লাহ্ বলবেনঃ তুমি কি এর কোনটা অস্বীকার কর? (অর্থাৎ দফতর সমূহে লিপিবদ্ধ পাপের ফিরিস্তির মধ্যে তুমি কি কোন্টা অস্বীকার কর?) তখন সে বলবেঃ না, হে আমার রব। আল্লাহ্ বললেনঃ তোমার উপর কি আমার সংরক্ষণকারী লিখক ফিরিশতারা যুলম করেছে? অতঃপর তিনি জিজ্ঞাসা করবেনঃ তোমার কাছে কি কোন নেকী আছে? তখন লোকটি ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়বে এবং বলবেঃ না। তখন আল্লাহ বলবেনঃ হ্যাঁ, আমার কাছে তোমার কিছু নেকী জমা আছে। আজ তোমার উপর কোন যুলুম করা হবে না। তখন তার সামনে একটি চিরকুট পেশ করা হবে, যাতে লেখা থাকবেঃ “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর বান্দাও রাসূল"। রাবী বলেন, তখন সে লোকটি বলবেঃ হে আমার রব। এত বড় বড় দফতর সমূহের মুকাবিলায় এই ক্ষুদ্র চিরকুট কি কাজে আসবে? তখন তিনি বলবেনঃ তুমি অত্যাচারিত হবে না। এরপর সেই দফতর সমূহ একটি পাল্লায় রাখা হবে, আর সেই ক্ষুদ্র চিরকুটটি আরেক পাল্লায়। তখন দফতর সমূহের সমূহের পাল্লা হাল্কা হয়ে উপরে উটে যাবে এবং চিরকুটের পাল্লা ভারী হয়ে যাবে।
মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহ্ইয়া (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসে শব্দের অর্থ البطاقة الرقعة মানে কাগজের চিরকূট । আর মিসরবাসীরা للرقعة بطا قة কে (কাগজের চিরকুট বলে থাকে।
মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহ্ইয়া (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসে শব্দের অর্থ البطاقة الرقعة মানে কাগজের চিরকূট । আর মিসরবাসীরা للرقعة بطا قة কে (কাগজের চিরকুট বলে থাকে।
بَاب مَا يُرْجَى مِنْ رَحْمَةِ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " يُصَاحُ بِرَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رُءُوسِ الْخَلاَئِقِ فَيُنْشَرُ لَهُ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ سِجِلاًّ كُلُّ سِجِلٍّ مَدَّ الْبَصَرِ ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَلْ تُنْكِرُ مِنْ هَذَا شَيْئًا فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ فَيَقُولُ أَظَلَمَتْكَ كَتَبَتِي الْحَافِظُونَ ثُمَّ يَقُولُ أَلَكَ عُذْرٌ أَلَكَ حَسَنَةٌ فَيُهَابُ الرَّجُلُ فَيَقُولُ لاَ . فَيَقُولُ بَلَى إِنَّ لَكَ عِنْدَنَا حَسَنَاتٍ وَإِنَّهُ لاَ ظُلْمَ عَلَيْكَ الْيَوْمَ فَتُخْرَجُ لَهُ بِطَاقَةٌ فِيهَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ قَالَ فَيَقُولُ يَا رَبِّ مَا هَذِهِ الْبِطَاقَةُ مَعَ هَذِهِ السِّجِلاَّتِ فَيَقُولُ إِنَّكَ لاَ تُظْلَمُ . فَتُوضَعُ السِّجِلاَّتُ فِي كِفَّةٍ وَالْبِطَاقَةُ فِي كِفَّةٍ فَطَاشَتِ السِّجِلاَّتُ وَثَقُلَتِ الْبِطَاقَةُ " . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْبِطَاقَةُ الرُّقْعَةُ وَأَهْلُ مِصْرَ يَقُولُونَ لِلرُّقْعَةِ بِطَاقَةً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান