কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪২৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮২
উম্মাতে মুহাম্মাদীর গুণাবলী
৪২৮২। আবু বাকর ইব্‌ন আবু শায়বা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আমার কাছে অযূর বদৌলতে শুভ্রকপাল, উত্তম চেহারা বিশিষ্ট লোকেরা আসবে। এটা আমা উম্মাতের বিশেষ নিদর্শন হবে। অন্য কোন উম্মাতের জন্য এমনটি হবে না।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ تَرِدُونَ عَلَىَّ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنَ الْوُضُوءِ سِيمَاءُ أُمَّتِي لَيْسَ لأَحَدٍ غَيْرِهَا ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৪২৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৩
উম্মাতে মুহাম্মাদীর গুণাবলী
৪২৮৩। মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে এক ডেরায় বসা ছিলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, জান্নাতের এক চতুর্থাংশ হবে তোমরাই? আমরা বললামঃ হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বললেনঃ তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, জান্নাতের এক তৃতীয়াংশ হবে তোমরা? আমরা বললামঃ জি হ্যাঁ। এরপর তিনি বললেনঃ সেই মহান সত্তার শপথ যাঁর নিয়ন্ত্রণে আমার প্রাণ, আমি আশা করি যে, জান্নাতের অর্ধেক হবে তোমরা। তার কারণ হচ্ছে এই যে, জান্নাতে শুধুমাত্র মুসলিম (তাওহীদবাদী-আত্মসমর্পণকারী) আত্মাই প্রবেশ করবে। আর মুশরিকদের তুলনায় তোমাদের পরিসংখ্যান হচ্ছে একটা কালো বর্ণের বলদের দেহে একটা সাদা পশমের মত, অথবা একটি লাল বলদের (গরুর) গায়ে একটা কালো পশমের মত।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي قُبَّةٍ فَقَالَ ‏"‏ أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَذَلِكَ أَنَّ الْجَنَّةَ لاَ يَدْخُلُهَا إِلاَّ نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ وَمَا أَنْتُمْ فِي أَهْلِ الشِّرْكِ إِلاَّ كَالشَّعَرَةِ الْبَيْضَاءِ فِي جِلْدِ الثَّوْرِ الأَسْوَدِ أَوْ كَالشَّعَرَةِ السَّوْدَاءِ فِي جِلْدِ الثَّوْرِ الأَحْمَرِ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৪২৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৪
উম্মাতে মুহাম্মাদীর গুণাবলী
৪২৮৪। আবু কুরায়ব ও আহমাদ ইবন সিনান (রাহঃ)...... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমান বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন একজন নবী (আ) আসবেন, যাঁর সঙ্গে থাকবে দুইজন লোক। আরেকজন নবী আসবেন, যাঁর সঙ্গে থাকবে তিন ব্যক্তি। (কোন কোন নবীর সাথে) এর চাইতে বেশী কিংবা এর চাইতে কম লোক থাকবে। তখন তাঁকে বলা হবেঃ তুমি কি তোমার কাওমের কাছে আল্লাহর পয়গাম পৌঁছায়ে ছিলে? তিনি বলবেনঃ হ্যাঁ, অতঃপর তার কাওমকে ডাকা হবে। এবং জিজ্ঞাসা করা হবেঃ তোমাদের কাছে ইনি কি আল্লাহর পয়গাম পৌছিয়েছেন? তখন তারা বলবেঃ না। এরপর তাঁকে (সে নবীকে) বলা হবেঃ তোমার সাক্ষী কারা ? তখন তিনি বললেনঃ মুহাম্মাদ (ﷺ) ও তাঁর উম্মাত। অতঃপর মুহাম্মাদ (ﷺ) -এর উম্মাতকে ডাকা হবে এবং জিজ্ঞেস করা হবেঃ এই নবী কি (তাঁর উম্মাতের কাছে আল্লাহ্ পয়গাম) পৌছায়েছেন? তখন তারা বলবেঃ হ্যাঁ। আবার জিজ্ঞেস করা হবেঃ তোমরা তা জানলে কি ভাবে? তারা বলবেঃ আমাদের নবী (ﷺ) আমাদের খবর দিয়েছেন যে, নিশ্চয় রাসূলগণ অবশ্যই আল্লাহর পয়গাম তাঁদের জাতির কাছে পৌছিয়েছেন। আমরা তাঁর বাণীর সত্যতা স্বীকার করেছি। রাবী বলেনঃ এই কথারই প্রতিধ্বনি রয়েছে তোমাদের জন্য আল্লাহর বাণীঃ “এভাবে আমি তোমাদের এক মধ্যপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষী স্বরূপ হতে পার এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী হবেন"। (২ঃ ১৪৩)।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ يَجِيءُ النَّبِيُّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَعَهُ الرَّجُلُ وَيَجِيءُ النَّبِيُّ وَمَعَهُ الرَّجُلاَنِ وَيَجِيءُ النَّبِيُّ وَمَعَهُ الثَّلاَثَةُ وَأَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ وَأَقَلُّ فَيُقَالُ لَهُ هَلْ بَلَّغْتَ قَوْمَكَ فَيَقُولُ نَعَمْ ‏.‏ فَيُدْعَى قَوْمُهُ فَيُقَالُ هَلَ بَلَّغَكُمْ فَيَقُولُونَ لاَ ‏.‏ فَيُقَالُ مَنْ شَهِدَ لَكَ فَيَقُولُ مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ ‏.‏ فَتُدْعَى أُمَّةُ مُحَمَّدٍ فَيُقَالُ هَلْ بَلَّغَ هَذَا فَيَقُولُونَ نَعَمْ ‏.‏ فَيَقُولُ وَمَا عِلْمُكُمْ بِذَلِكَ فَيَقُولُونَ أَخْبَرَنَا نَبِيُّنَا بِذَلِكَ أَنَّ الرُّسُلَ قَدْ بَلَّغُوا فَصَدَّقْنَاهُ ‏.‏ قَالَ فَذَلِكُمْ قَوْلُهُ تَعَالَى ‏(وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا)‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৫
উম্মাতে মুহাম্মাদীর গুণাবলী
৪২৮৫। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ) ......... রিফা'আ জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা (কোন সফর থেকে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ফিরে এলাম। তখন তিনি বললেনঃ মহান সত্তার শপথ। যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ। এমন কোন বান্দা নেই যে ঈমান আনার পর তার উপরে দৃঢ় থাকবে অথচ জান্নাতের দিকে পরিচালিত হবে না। আর আমি আশা করি যে, যতক্ষণ না তোমার এবং তোমাদের সন্তানেরা জান্নাতে নিজ নিজ ঠিকানা বানিয়ে নিবে, ততক্ষণে অন্যান্য লোকেরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর আমার মহান রব আমার সঙ্গে ওয়াদা করেছেন যে, তিনি বিনা হিসাবে আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোক জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رِفَاعَةَ الْجُهَنِيِّ، قَالَ صَدَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏ "‏ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا مِنْ عَبْدٍ يُؤْمِنُ ثُمَّ يُسَدَّدُ إِلاَّ سُلِكَ بِهِ فِي الْجَنَّةِ وَأَرْجُو أَلاَّ يَدْخُلُوهَا حَتَّى تَبَوَّءُوا أَنْتُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ ذَرَارِيِّكُمْ مَسَاكِنَ فِي الْجَنَّةِ وَلَقَدْ وَعَدَنِي رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُدْخِلَ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعِينَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৬
উম্মাতে মুহাম্মাদীর গুণাবলী
৪২৮৬। হিশাম ইব্‌ন আম্মার (রাহঃ)...... আবু উমামা বাহিলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছিঃ আমার মহান রব আমার সঙ্গে ওয়াদা করেছেন যে, তিনি আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোককে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তাদের কোন হিসাব হবে না এবং তাদের উপর কোন আযাবও পতিত হবে না। প্রতি হাজারের সাথে থাকবে সত্তর হাজার করে। আর আমার মহান রবের মুষ্টি হতে তিনটি মুষ্টিও থাকবে। আর রবের মুষ্টির অনুমাণ তিনিই করতে পারেন। কোন সৃষ্টির পক্ষে তা অনুমাণ করা সম্ভব নয়।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ الأَلْهَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ الْبَاهِلِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ وَعَدَنِي رَبِّي سُبْحَانَهُ أَنْ يُدْخِلَ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعِينَ أَلْفًا لاَ حِسَابَ عَلَيْهِمْ وَلاَ عَذَابَ مَعَ كُلِّ أَلْفٍ سَبْعُونَ أَلْفًا وَثَلاَثُ حَثَيَاتٍ مِنْ حَثَيَاتِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৭
উম্মাতে মুহাম্মাদীর গুণাবলী
৪২৮৭। ঈসা ইব্‌ন মুহাম্মাদ ইব্‌ন নাহহাস রামলীও আইউব ইবন মুহাম্মাদ রাক্কী (রাহঃ)...... বাহায ইবন হাকীম-এর দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন সত্তরটি উম্মাত (দল) পরিপূর্ণ হবে। তন্মধ্যে আমরাই হবো সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ النَّحَّاسِ الرَّمْلِيُّ، وَأَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الرَّقِّيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ نُكْمِلُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ سَبْعِينَ أُمَّةً نَحْنُ آخِرُهَا وَخَيْرُهَا ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪২৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৮
উম্মাতে মুহাম্মাদীর গুণাবলী
৪২৮৮। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খালিদ ইব্‌ন খিদাশ (রাহঃ)...... বাহায ইবন হাকীম (রাযিঃ)-এর দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা সত্তরতম উম্মাত (দল) পরিপূর্ণ করেছো। তোমরা সর্বাপেক্ষা উত্তম এবং আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা অধিক সম্মানিত।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ خِدَاشٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّكُمْ وَفَّيْتُمْ سَبْعِينَ أُمَّةً أَنْتُمْ خَيْرُهَا وَأَكْرَمُهَا عَلَى اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪২৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৯
উম্মাতে মুহাম্মাদীর গুণাবলী
৪২৮৯। আব্দুল্লাহ ইবন ইসহাক জাওহারী (রাহঃ)....বুরায়দাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতীদের সারির সংখ্যা হবে একশত বিশটি। যার আশিটি হবে এই উম্মাতের এবং অবশিষ্ট চল্লিশটি হবে অন্যান্য উম্মাতের।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ حَفْصٍ الأَصْبَهَانِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ أَهْلُ الْجَنَّةِ عِشْرُونَ وَمِائَةُ صَفٍّ ثَمَانُونَ مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ وَأَرْبَعُونَ مِنْ سَائِرِ الأُمَمِ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯০
উম্মাতে মুহাম্মাদীর গুণাবলী
৪২৯০। মুহাম্মাদ ইব্‌ন ইয়াহ্ইয়া (রাহঃ)...... ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমরা সর্বশেষ উম্মাত, যাদের হিসাব হবে সর্বাগ্রে। এরূপ ঘোষণা দেয়া হবেঃ উম্মী (নিরক্ষর) নবীর উম্মাত কোথায় এবং তাঁদের নবী (ﷺ) কোথায়? সুতরাং আমরা সর্বশেষ উম্মাত (দুনিয়াতে আবির্ভাবের প্রেক্ষাপটে) এবং অগ্রবর্তী উম্মাত (জান্নাতে দাখিল হওয়ার প্রেক্ষিতে)।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ إِيَاسٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ نَحْنُ آخِرُ الأُمَمِ وَأَوَّلُ مَنْ يُحَاسَبُ يُقَالُ أَيْنَ الأُمَّةُ الأُمِّيَّةُ وَنَبِيُّهَا فَنَحْنُ الآخِرُونَ الأَوَّلُونَ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৪২৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯১
উম্মাতে মুহাম্মাদীর গুণাবলী
৪২৯১। জুবারা ইবন মুগাল্লিস (রাহঃ)..... আবু বুরদাহ (রাযিঃ) এর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ কিয়ামতের দিন যখন সমগ্র সৃষ্টিকে একত্রিত করবেন, তখন উম্মাতে মুহাম্মাদীকে সিজ্দা করার নির্দেশ দেওয়া হবে। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁকে সিজ্দারত থাকবে। অতঃপর ঘোষণা দেওয়া হবেঃ তোমরা তোমাদের মাথা উঠাও। আমি তোমাদের সংখ্যা অনুপাতে জাহান্নামের ফেদিয়া করে দিয়েছি।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ أَبِي الْمُسَاوِرِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ إِذَا جَمَعَ اللَّهُ الْخَلاَئِقَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أُذِنَ لأُمَّةِ مُحَمَّدٍ بِالسُّجُودِ فَيَسْجُدُونَ لَهُ طَوِيلاً ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعُوا رُءُوسَكُمْ قَدْ جَعَلْنَا عِدَّتَكُمْ فِدَاءَكُمْ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪২৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯২
উম্মাতে মুহাম্মাদীর গুণাবলী
৪২৯২। জুবারা ইব্‌ন মুগাল্লিস (রাহঃ)....... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ এই উম্মাত হচ্ছে মারহুমাহ অর্থাৎ রহমতপ্রাপ্ত। এদের শাস্তি হবে এদের হাতেই অর্থাৎ এরা পরস্পরে কতল ও মারামারি হানাহানি করবে। আর কিয়ামতের দিন প্রত্যেক মুসলমানকে একজন করে মুশরিক সোপর্দ করা হবে এবং বলা হবে, জাতানাম থেকে বাঁচার জন্য এ হলো তোমাদের ফেদিয়া।[১]

[১] একের জন্য অন্যকে শাস্তি দেওয়ার বিধান নেই। তবে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যই আল্লাহ তা'আলা দু'টো পৃথক আবাস স্থল তৈরী করে রেখেছেন – একটি জান্নাতে অপরটি জাহান্নামে। কাফির, মুশরিকরা চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামের অধিবাসী হবে। তাদের জান্নাতের আবাসস্থলগুলো ওয়ারিস হিসাবে মুসলমানরা পেয়ে যাবেন। একেই ফেদিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন কুরআনুল করীমে ইরশাদ হচ্ছেঃ- أُولَئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ الَّذِينَ يَرِثُونَ الْفِرْدَوْسَ
“এরাই হবে তাদের ওয়ারিস যারা জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী হবে অর্থাৎ ঈমানদারগণ।
بَاب صِفَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ إِنَّ هَذِهِ أُمَّةٌ مَرْحُومَةٌ عَذَابُهَا بِأَيْدِيهَا فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ دُفِعَ إِلَى كُلِّ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَيُقَالُ هَذَا فِدَاؤُكَ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏