কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৩০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৭
শাফা’আতের আলোচনা
৪৩০৭। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ প্রত্যেক নবীর জন্য (তাঁর উম্মাতের ব্যাপারে) এমন দু'আ রয়েছে, যা কবূল করা হয়। আর প্রত্যেক নবীই (তাঁর উম্মাতের জন্য) বিশেষ দু'আটি তাড়াতাড়ি করেন। কিন্তু আমি আমার দু'আ আমার উম্মতের শাফা'আতের জন্য জমা রেখেছি। সুতরাং আমার উম্মাতের মধ্যে যারা আল্লাহর সাথে শরীক না করে ইন্তিকাল করে, তারা তা (আমার শাফা'আত) প্রাপ্ত হবে।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةٌ مُسْتَجَابَةٌ فَتَعَجَّلَ كُلُّ نَبِيٍّ دَعْوَتَهُ وَإِنِّي اخْتَبَأْتُ دَعْوَتِي شَفَاعَةً لأُمَّتِي فَهِيَ نَائِلَةٌ مَنْ مَاتَ مِنْهُمْ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৮
শাফা’আতের আলোচনা
৪৩০৮। মুজাহিদ ইবন মুসা ও আবু ইসহাক হারভ, ইবরাহীম ইব্‌ন আব্দুল্লাহ ইবন হাতিম (রাহঃ) ...... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি আদম সন্তানদের সরদার, এতে কোন গর্ব নেই। (বরং আল্লাহর নি'আমতের শুকরিয়া ও বাস্তব অবস্থার বহিঃপ্রকাশ মাত্র) আর আমি হব প্রথম ব্যক্তি, কিয়ামতের দিন যার ব্যাপারে যমীনে ফাটল ধরবে, (অর্থাৎ কবরগাহ্ থেকে সর্বপ্রথম আমিই উঠবো), এতে কোন ফখর নেই। আমি হবো প্রথম শাফা'আতকারী এবং সর্বাগ্রে আমার শাফায়াইত কবুল করা হবে, এতে কোন ফখর নেই। আল্লাহর প্রশংসার পতাকা কিয়ামতের দিন আমার হাতে থাকবে, এতে কোন গর্ব নেই ।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، وَأَبُو إِسْحَاقَ الْهَرَوِيُّ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَاتِمٍ قَالاَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ الأَرْضُ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ وَلاَ فَخْرَ وَلِوَاءُ الْحَمْدِ بِيَدِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৯
শাফা’আতের আলোচনা
৪৩০৯। নসর ইব্‌ন আলী ও ইসহাক ইবন ইবরাহীম ইব্‌ন হাবীব (রাহঃ)...... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিন বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আর জাহান্নামীরা চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে বসবাস করবে- সেখানে তারা মরবে না এবং নতুনভাবে জীবিতও হবে না। তবে কতক লোক তাদের ভূল ভ্রান্তি ও গুনাহের দরুন জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে। আগুন তাদের দগ্ধীভূত করে ফেলবে, এমন কি তারা কয়লার মত হযে যাবে, তখন তাদের শাফা'আতের অনুমতি দেয়া হবে। তাদের দলে দলে (জাহান্নাম থেকে) নিয়ে আসা হবে, এবং তাদের জান্নাতের ঝরণার পাড়ে ছড়িয়ে রাখা হবে এবং বলা হবেঃ হে জান্নাতবাসীরা! তোমরা তাদের উপর পানি ঢেলে দাও। (নির্দেশ মতে পানি ঢেলে দেওয়া হবে) ফলে, সেথায় দ্রুত গতিতে নানাবিধ ফলের গাছ উৎপন্ন হবে, যেমনিভাবে বীজ নালার প্রবাহিত পানি দ্বারা অংকুরিত হয়। রাবী বলেনঃ তখন কাওমের এক ব্যক্তি বলে উঠলোঃ মনে হচ্ছিল যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বন বীথিকায় অবস্থান করতেন।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ أَمَّا أَهْلُ النَّارِ الَّذِينَ هُمْ أَهْلُهَا فَإِنَّهُمْ لاَ يَمُوتُونَ فِيهَا وَلاَ يَحْيَوْنَ وَلَكِنْ نَاسٌ أَصَابَتْهُمُ النَّارُ بِذُنُوبِهِمْ أَوْ بِخَطَايَاهُمْ فَأَمَاتَتْهُمْ إِمَاتَةً حَتَّى إِذَا كَانُوا فَحْمًا أُذِنَ لَهُمْ فِي الشَّفَاعَةِ فَجِيءَ بِهِمْ ضَبَائِرَ ضَبَائِرَ فَبُثُّوا عَلَى أَنْهَارِ الْجَنَّةِ فَقِيلَ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ أَفِيضُوا عَلَيْهِمْ فَيَنْبُتُونَ نَبَاتَ الْحِبَّةِ تَكُونُ فِي حَمِيلِ السَّيْلِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ كَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَدْ كَانَ فِي الْبَادِيَةِ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩১০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১০
শাফা’আতের আলোচনা
৪৩১০। আব্দুর রহমান ইব্‌ন ইবরাহীম দিমাশকী (রাহঃ)...... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন আমার শাফা'আত আমার উম্মাতের কবীরগুনাহে অভিযুক্তদের জন্যই কার্যকর হবে।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ لأَهْلِ الْكَبَائِرِ مِنْ أُمَّتِي ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৪৩১১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১১
শাফা’আতের আলোচনা
৪৩১১। ইসমাঈল ইব্‌ন আসাদ (রাহঃ).... আবু মুসা আশ'আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমকে ইখতিয়ার দেওয়া হয়েছে (দু'টো বিষয়ের) শাফা'আত করার অথবা আমার অর্ধেক উম্মাতের জান্নাতী হওয়ার। আমি শাফা'আতকে বেছে নিয়েছি। কেননা, তা ব্যাপক এবং অধিকতর ফলপ্রসূ। তোমরা কি মনে করছো যে, শাফা'আত কেবল মুক্তাকীদের জন্যই ? তা নয় বরং তা গুনাহগার, ভ্রান্তপথগামীও অপরাধে অভিযুক্তদের জন্য কার্যকর হবে।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ خُيِّرْتُ بَيْنَ الشَّفَاعَةِ وَبَيْنَ أَنْ يَدْخُلَ نِصْفُ أُمَّتِي الْجَنَّةَ فَاخْتَرْتُ الشَّفَاعَةَ لأَنَّهَا أَعَمُّ وَأَكْفَى أَتُرَوْنَهَا لِلْمُتَّقِينَ لاَ وَلَكِنَّهَا لِلْمُذْنِبِينَ الْخَطَّائِينَ الْمُتَلَوِّثِينَ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩১২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১২
শাফা’আতের আলোচনা
৪৩১২। নসর ইবন আলী (রাহঃ)..... আনাস ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলছেনঃ কিয়ামতের দিন ঈমানদার বান্দারা জমায়েত হবে। তখন তাদের অন্তরে ঢেলে দেওয়া হবে (অথবা তাদের অন্তরে এই বিষয়টি বদ্ধমূল করে দিবেন রাবী সাঈদ-এর সন্দেহ) এ সময় তারা বলবেঃ কেউ যদি আমার রবের কাছে আমাদের (নাজাতের) জন্য শাফা'আত করতেন, তাহলে (ময়দানে হাশরের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে) আমাদের শান্তি দিতে পারতেন। এরপর তারা আদম আলাইহিস্ সালামের কাছে উপস্থিত হয়ে বলবেঃ আপনি তো মানব জাতির পিতা আদম (আলাইহিস সালাম)। আল্লাহ আপন কুদরতী হাতে আপনাকে পয়দা করেছেন এব তাঁর ফিরিশতাদের দ্বারা আপনাকে সম্মানজনক সিজ্দা করিয়েছেন। আপনি আমাদের (নাজাতের) জন্য আপনার রবের নিকেট শাফা'আত করুন, যাতে তিনি আমাদের এ ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে শান্তি দেন। তখন তিনি বলেনঃ আমি তোমাদের এ বিষয়ের উপযুক্ত নই। (তিনি তাদের কাছে সেই গুনাহের কথা তুলে ধরবেন, যা তিনি করে বসেছিলেন এবং এ কারণে তিনি লজ্জাবোধ করবেন)। নবী-রাসূলগণ নিষ্পাপ এবং আদম (আ)-এর তাওবা কবুল হয়েছিল) বরং তোমরা নূহ (আলাইহিস সালামের) কাছে যাও। কেননা, তিনি ছিলেন যমীনবাসীর প্রতি আল্লাহ প্রেরিত প্রথম রাসূল। তখন তারা তাঁরা কাছে উপস্থিত হবে এবং শাফা'আতের জন্য নিবেদন করবে। তিনি বলবেনঃ তোমাদের এ বিষয়ে আমি উপযুক্ত নই। (তিনি সেই প্রশ্নের কথা স্মরণ করবেন, যা অজ্ঞাতসারে আল্লাহর কাছে নিবেদন করেছিলেন। তিনি এই কারণে লজ্জাবোধ করবেন)। (নূহ আলাইহিস সালাম তার পুত্র কেনান-এর জন্য আল্লাহর নাজাত চাইছিলেন অথচ সে মন্দ স্বভাবের ছিল)। বরং তোমরা আল্লাহর খলীল ইবরাহীম (আলাইহিস্ সালাম)-এর কাছে যাও। তখন তারা তাঁর নিকট হাযির হবে। তিনি বলবেন ঃ আমি তোমাদের এ বিষয়ের জন্য যোগ্য নই। বরং তোমরা মুসা (কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও। তিনি আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলেন, যার সাথে আল্লাহ তা'আলা কথা বলছেন এবং তাঁকে তাওরাত দান করেছেন। তখন তাঁর কাছে উপস্থিত হবে। তিনি আমি এ বিষয়ে তোমাদের যোগ্য নই। (এবং তিনি দুনিয়াতে একটি অন্যায় খুনের জন্য নিজের অপরাধের কথা স্মরণ করবেন। অথচ এই খুন ইচ্ছাকৃত ছিল না তিনি ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার খাতিরে ধমকানোর জন্য একটি ঘুষি মেরেছিলেন। ফলে সে কিবতী মারা গিয়েছিল)। তোমরা বরং ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও। তিনি ছিলেন আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল, আল্লাহর কালিমা এবং তাঁর রুহ্। তখন লোকেরা তাঁর কাছে এসে হাযির হবে। তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের এ বিষয়ের জন্য যোগ্য নই বরং তোমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) -এর কাছে যাও। এমন বান্দা আল্লাহ তা'আলা তাঁর আগের ও পরের যাবতীয় ত্রুটি বিচ্যুতি মাফ করে দিয়েছেন। তিনি সে বলেনঃ তখন তারা আমার নিকটে হাযির হবে। আমি তাদের সহ বেরিয়ে পড়বো। (রাবী বলেন, হাসান (রাহঃ) এর সূত্রে তিনি এই শব্দাবলী বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন । এরপর আমি মু'মিনদের দুইটি সারির মাঝখান দিয়ে চলতে থাকবো)।

রাবী কাতাদাহ্ (রাহঃ) বলেনঃ তারপর তিনি আনাস (রাযিঃ) এর বর্ণিত হাদীসের প্রতি ফিরে এসেছেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তখন আমি আমার রবের নিকট শাফা'আতের অনুমতি চাইব। আর আমাকে অনুমতি দেওয়া হবে। আমি তাঁকে দেখামাত্রই সিজ্দায় পড়ে যাব। তিনি (আল্লাহ) যতক্ষণ চাইবেন আমাকে সিজদায় নত রাখবেন। অতঃপর নির্দেশ দেওয়া হবেঃ হে মুহাম্মাদ মাথা উঠান। আপনি বলুন। শোনা হবে; আপনি চান তা দেওয়া হবে এবং আপনি শাফা'আত করুন, সে শাফা'আত কবুল করা হবে। এরপর আমি মাথা উঠাব)। আর তিনি যেভাবে আমাকে শিখিয়েছেন, সেভাবে তাঁর তারীফ ও প্রশংসা করবো। তারপর আমি শাফা'আত করব। তবে আমার শাফা'আতের জন্য একটা সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। আল্লাহ তা'আলা শাফা'আত প্রাপ্তদের জান্নাতে দাখিল করবেন। এরপর আমি দ্বিতীয়বার আমার (রবের কাছে ফিরে আসবো। আমি তাঁকে দেখা মাত্রই সিজদায় পতিত হবো। আল্লাহ তা'আলা যতক্ষণ চাইবেন, ততক্ষণ আমাকে সিজ্দায় নত রাখবেন। অতঃপর আমাকে বলা হবেঃ হে মুহাম্মাদ! আপনি মাথা উঠান। আপনি বলুন, শোনা হবে, আপনি চান, আপনাকে তা দেওয়া হবে এবং আপনি শাফা'আত করুন, আপনার শাফা'আত কবুল করা হবে। এরপর আমি আমার মাথা উঠাব। অতঃপর তাঁর শিক্ষা মাফিক আমি তাঁর তা'রীফ ও প্রশংসা করবো। তারপর আমি শাফা'আত করব। তবে আমার জন্য একটা সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। অতঃপর তিনি শাফা'আত প্রাপ্তদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। এরপর তৃতীয় বারের মত আমি (রবের কাছে) ফিরে যাব। আর যখন আমি আমার রবকে দেখব, তখনই সিজ্দায় পতিত হবো। আর আল্লাহ যতক্ষণ চাইবেন, আমাকে সিজদায় নত রাখবেন। তারপর বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠান। আপনি বলুন, শোনা হবে; আপনি চান, তা দান করা হবে। আপনি শাফা'আত করুন, আপনার শাফা'আত কবুল করা হবে। এরপর আমি মাথা উঠাব। এবং তাঁর তারীফ ও প্রশংসা করবো, যেবাবে তিনি আমাকে শিখিয়েছেন। তারপর আমি শাফা'আত করব। কিন্তু এবারেও একটা নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারন করে দেওয়া হবে। তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাদের (সুপারিশকৃতদের) জান্নাতে দাখিল করবেন। অতঃপর আমি চতুর্থ পর্যায়ে (রবের) কাছে ফিরে যাব এবং বলবঃ হে আমার রব। এখন তো আর কেউ অবশিষ্ট নেই। তবে কুরআন যাদের আটক রেখেছে। (অর্থাৎ কুরআনের দৃষ্টিতে যারা জাহান্নামী তারাই অবশিষ্ট রয়েছে।

রাবী বলেন, কাতাদা (রাহঃ) এই হাদীস বর্ণনাকালে বলেছেনঃ আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ পরিশেষে সেই ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে যে, বলেছেঃ 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু' (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই) এবং যার অন্তরে একটি গমের দানা পরিমাণ নেক আমল ছিল। আর সেই ব্যক্তিকেও জাহান্নাম থেকে বের করা হবে যে বলেছেঃ “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু", এবং যার কালবে এক রতি পরিমাণ নেক আমল (ঈমান) ছিল। সেই ব্যক্তিও জাহান্নাম থেকে বের করা হবে যে বলেছেঃ “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু" এবং যার অন্তরে অণু পরিমাণ নেক আমল (ঈমান) ছিল।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏"‏ يَجْتَمِعُ الْمُؤْمِنُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُلْهَمُونَ - أَوْ يَهُمُّونَ شَكَّ سَعِيدٌ - فَيَقُولُونَ لَوْ تَشَفَّعْنَا إِلَى رَبِّنَا فَأَرَاحَنَا مِنْ مَكَانِنَا فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ آدَمُ أَبُو النَّاسِ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَأَسْجَدَ لَكَ مَلاَئِكَتَهُ فَاشْفَعْ لَنَا عِنْدَ رَبِّكَ يُرِحْنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا ‏.‏ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - وَيَذْكُرُ وَيَشْكُو إِلَيْهِمْ ذَنْبَهُ الَّذِي أَصَابَ فَيَسْتَحْيِي مِنْ ذَلِكَ - وَلَكِنِ ائْتُوا نُوحًا فَإِنَّهُ أَوَّلُ رَسُولٍ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - وَيَذْكُرُ سُؤَالَهُ رَبَّهُ مَا لَيْسَ لَهُ بِهِ عِلْمٌ وَيَسْتَحْيِي مِنْ ذَلِكَ - وَلَكِنِ ائْتُوا خَلِيلَ الرَّحْمَنِ إِبْرَاهِيمَ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَلَكِنِ ائْتُوا مُوسَى عَبْدًا كَلَّمَهُ اللَّهُ وَأَعْطَاهُ التَّوْرَاةَ ‏.‏ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - وَيَذْكُرُ قَتْلَهُ النَّفْسَ بِغَيْرِ النَّفْسِ - وَلَكِنِ ائْتُوا عِيسَى عَبْدَ اللَّهِ وَرَسُولَهُ وَكَلِمَةَ اللَّهِ وَرُوحَهُ ‏.‏ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ وَلَكِنِ ائْتُوا مُحَمَّدًا عَبْدًا غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ ‏.‏ قَالَ فَيَأْتُونِي فَأَنْطَلِقُ - قَالَ فَذَكَرَ هَذَا الْحَرْفَ عَنِ الْحَسَنِ ‏.‏ قَالَ فَأَمْشِي بَيْنَ السِّمَاطَيْنِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ عَادَ إِلَى حَدِيثِ أَنَسٍ - قَالَ ‏"‏ فَأَسْتَأْذِنُ عَلَى رَبِّي فَيُؤْذَنُ لِي فَإِذَا رَأَيْتُهُ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ يَا مُحَمَّدُ وَقُلْ تُسْمَعْ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَحْمَدُهُ بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُودُ الثَّانِيَةَ فَإِذَا رَأَيْتُهُ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ لِي ارْفَعْ مُحَمَّدُ قُلْ تُسْمَعْ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَحْمَدُهُ بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُودُ الثَّالِثَةَ فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِيِّ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ مُحَمَّدُ قُلْ تُسْمَعْ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَحْمَدُهُ بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُودُ الرَّابِعَةَ فَأَقُولُ يَا رَبِّ مَا بَقِيَ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ ‏"‏ ‏.‏
قَالَ يَقُولُ قَتَادَةُ عَلَى أَثَرِ هَذَا الْحَدِيثِ وَحَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ شَعِيرَةٍ مِنْ خَيْرٍ وَيَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ بُرَّةٍ مِنْ خَيْرٍ وَيَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ خَيْرٍ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১৩
শাফা’আতের আলোচনা
৪৩১৩। সাঈদ ইবন মারওয়ান (রাহঃ)...... উসমান ইবন আফ্ফান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোক শাফা'আত করবেনঃ নবীগণ পরে আলিমগণ এরপর শহীদগণ।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَرْوَانَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ عَلَّاقِ بْنِ أَبِي مُسْلِمٍ عَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَشْفَعُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثَلَاثَةٌ الْأَنْبِيَاءُ ثُمَّ الْعُلَمَاءُ ثُمَّ الشُّهَدَاءُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১৪
শাফা’আতের আলোচনা
৪৩১৪। ইসমাঈল ইবন আব্দুল্লাহ রাক্কী (রাহঃ).... তুফায়ল ইবন উবাই ইব্‌ন কা'ব-এর পিতা (রাযিঃ) বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যেদিন কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে, সেদিন আমি নবীগণের ইমাম হবো এবং তাদের পক্ষ থেকে খতীব নির্বাচিত হবো, সর্বোপরি তাদের শাফা'আতকারী হবো। এতে কোন গর্ব নেই।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ كُنْتُ إِمَامَ النَّبِيِّينَ وَخَطِيبَهُمْ وَصَاحِبَ شَفَاعَتِهِمْ غَيْرَ فَخْرٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১৫
শাফা’আতের আলোচনা
৪৩১৫। মুহাম্মাদ ইব্‌ন বাশশার (রাহঃ)...... ইমরান ইবন হুসায়ন (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার শাফা'আতের বদৌলতে জাহান্নাম থেকে অনেক লোক পরিত্রাণ পাবে। যাদের জাহান্নামী বলা হবে।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيِّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ لَيَخْرُجَنَّ قَوْمٌ مِنَ النَّارِ بِشَفَاعَتِي يُسَمَّوْنَ الْجَهَنَّمِيِّينَ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১৬
শাফা’আতের আলোচনা
৪৩১৬। আবু বাক্‌র ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)... আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আবু জাদ'আ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তিনি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন যে, (কিয়ামতের দিন) আমার একজন উম্মাতের শাফা'আত ক্ৰমে বনু তামীম গোত্রের লোকজনের চাইতেও অধিক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাঁরা (সাহাবা-ই-কিরাম) জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! সেই ব্যক্তি কি আপনি ব্যতীত অন্য কেউ? তিনি বললেনঃ আমি ব্যতীত। আমি (আব্দুল্লাহ ইবন শাকীক (রাহঃ) জিজ্ঞাসা করলামঃ আপনি (আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আবু জাদ'আ (রাযিঃ)) কি এই হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছেন? তিনি বললেনঃ আমি তাঁর নিকট থেকেই শুনেছি।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْجَذْعَاءِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏"‏ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ بِشَفَاعَةِ رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَكْثَرُ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ سِوَاكَ قَالَ ‏"‏ سِوَاىَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ أَنَا سَمِعْتُهُ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৩১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১৭
শাফা’আতের আলোচনা
৪৩১৭। হিশাম ইব্‌ন আম্মার (রাহঃ).... আউফ ইব্‌ন মালিক আশজাই (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা কি জান, আমার রব আজ রাতে আমাকে কোন বিষয়ে ইখতিয়ার দান করেছেন ? আমরা বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেনঃ তিনি (আল্লাহ) আমাকে এ মর্মে ইখতিয়ার দিয়েছেন যে, আমার উম্মাতের অর্ধেক জান্নাত প্রবেশ করবে। কিংবা তাদের নাজাতের জন্য শাফা'আতের অনুমতি। আমি শাফা'আতকে ইখতিয়ার করলাম। আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন, যেন তিনি আমাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি বললেনঃ এ (শাফা'আত) প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কার্যকর হবে।
بَاب ذِكْرِ الشَّفَاعَةِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ سُلَيْمَ بْنَ عَامِرٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ الأَشْجَعِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ أَتَدْرُونَ مَا خَيَّرَنِي رَبِّيَ اللَّيْلَةَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّهُ خَيَّرَنِي بَيْنَ أَنْ يَدْخُلَ نِصْفُ أُمَّتِي الْجَنَّةَ وَبَيْنَ الشَّفَاعَةِ فَاخْتَرْتُ الشَّفَاعَةَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنَا مِنْ أَهْلِهَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ هِيَ لِكُلِّ مُسْلِمٍ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান