কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

৩৪. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৯৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫৭
ফিতনার যুগে ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা
৩৯৫৭। হিশাম ইব্‌ন আম্মার ও মুহাম্মাদ ইবন সাব্বাহ (রাহঃ)....আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের অবস্থা তখন কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে, যখন লোকেরা আটার ভূষি নিঃসরণের মত হবে এবং প্রেতাত্মার মত লোকগুলো থেকে যাবে। তাদের অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি ও আমানত দূরীভূত হয়ে যাবে। অতঃপর তারা মতপার্থক্যে নিঃপতিত হবে। তিনি এই বলে অঙ্গুলী মুষ্টিবদ্ধ করলেন (অর্থাৎ মু'মিন ও কাফিরের মধ্যে কোন তফাৎ থাকবে)। সাহাবা কিরাম (রাযিঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! যখন অবস্থা এরূপ হবে, তখন আমরা কি করবো? তিনি বললেনঃ যে সব জিনিষকে তোমরা ভাল মনে করবে তা ইখতিয়ার করবে এবং যা কিছু মন্দ জ্ঞান করবে তা পরিহার করবে। নিজেদের ব্যাপারে চিন্তা ফিকির করবে, সাধারণের ভাবধারা বর্জন করবে।
بَاب التَّثَبُّتِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏"‏ كَيْفَ بِكُمْ وَبِزَمَانٍ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ يُغَرْبَلُ النَّاسُ فِيهِ غَرْبَلَةً وَتَبْقَى حُثَالَةٌ مِنَ النَّاسِ قَدْ مَرِجَتْ عُهُودُهُمْ وَأَمَانَاتُهُمْ فَاخْتَلَفُوا وَكَانُوا هَكَذَا ‏"‏ ‏.‏ وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ قَالُوا كَيْفَ بِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ قَالَ ‏"‏ تَأْخُذُونَ بِمَا تَعْرِفُونَ وَتَدَعُونَ مَا تُنْكِرُونَ وَتُقْبِلُونَ عَلَى خَاصَّتِكُمْ وَتَذَرُونَ أَمْرَ عَوَامِّكُمْ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৩৯৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫৮
ফিতনার যুগে ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা
৩৯৫৮। আহমাদ ইব্‌ন আবাদা (রাযিঃ)...আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে আবু যার! তখন তোমার কি অবস্থা হবে, যখন লোকদের উপর মৃত্যু পতিত হবে, এমনকি একটা কবরের মূল্য হবে এক গোলামের মূল্য বরাবর। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমার জন্য যা পছন্দ করেন (অথবা বলেনঃ আল্লাহ ও তদীয় রাসূল (ﷺ) সম্যক জ্ঞাত)। তিনি বললেনঃ সবর করবে। অতঃপর তিনি বললেনঃ তখন তোমার কি হাল হবে, যখন লোকেরা দুর্ভিক্ষ তাড়িত হবে? ক্ষুধার তাড়না এত প্রকট রূপ ধারণ করবে যে, তুমি তোমার মসজিদে (সালাত আদায়ের জন্য) আসবে এবং সালাত শেষে নিজের বিছানায় ফিরে আসার শক্তি হারিয়ে ফেলবে। এবং তুমি তোমার বিছানা থেকে উঠে মসজিদে যাওয়ার শক্তিও রাখবে না। তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সম্যক জ্ঞাত আছেন। (অথবা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল আমার জন্য যা ভাল মনে করেন।) তিনি বললেনঃ তখন তুমি হারাম থেকে বেঁচে থাকা নিজের জন্য অপরিহার্য করে নিবে (যদিও ভূখা, নাংগা থাকতে হয়)। অতঃপর তিনি বললেনঃ যখন গণহত্যা চলবে, এমনকি মদীনা মুনাওয়ারা রক্তে রঞ্জিত হবে, তখন তোমার কি হাল হবে? حجار ة الزبت দ্বারা واقعة خرة বুঝানো হয়েছে)। আমি বললামঃ যা কিছু আল্লাহ ও তাঁর রাসূল পছন্দ করবেন। তিনি বললেনঃ তুমি যাদের সাথে আছ তারাই সত্য, মিলেমিশে থাকা। আবু যার (রাযিঃ) বললেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল। যারা এরূপ করবে, আমি কি তলোয়ার দ্বারা তাদের হত্যা করবো না? তিনি বললেনঃ তুমি যদি এরূপ কর, তাহলে বিপর্যয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে, বরং আপন ঘরে প্রবেশ করবে। আমি বললামঃ যদি তারা আমার ঘরে ঢুকে পড়ে, (তখন কি করবো)? তিনি বললেনঃ যদি তোমার তরবারীর ধারালো জ্যোতির ভয় হয়, তাহলে আপন চাদর মুড়ি দিয়ে ঘরে বসে থাকবে (এবং নিহত হয়ে যাবে)। সে হবে হত্যাকারী। সে তারও তোমার গোনাহের ভার বহন করবে এবং জাহান্নামী হয়ে যাবে।
بَاب التَّثَبُّتِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنِ الْمُشَعَّثِ بْنِ طَرِيفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ كَيْفَ أَنْتَ يَا أَبَا ذَرٍّ وَمَوْتًا يُصِيبُ النَّاسَ حَتَّى يُقَوَّمَ الْبَيْتُ بِالْوَصِيفِ ‏"‏ ‏.‏ يَعْنِي الْقَبْرَ قُلْتُ مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ - أَوْ قَالَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ - قَالَ ‏"‏ تَصَبَّرْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَيْفَ أَنْتَ وَجُوعًا يُصِيبُ النَّاسَ حَتَّى تَأْتِيَ مَسْجِدَكَ فَلاَ تَسْتَطِيعَ أَنْ تَرْجِعَ إِلَى فِرَاشِكَ وَلاَ تَسْتَطِيعَ أَنْ تَقُومَ مِنْ فِرَاشِكَ إِلَى مَسْجِدِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ أَوْ - مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ - قَالَ ‏"‏ عَلَيْكَ بِالْعِفَّةِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ كَيْفَ أَنْتَ وَقَتْلاً يُصِيبُ النَّاسَ حَتَّى تُغْرَقَ حِجَارَةُ الزَّيْتِ بِالدَّمِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ الْحَقْ بِمَنْ أَنْتَ مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ آخُذُ بِسَيْفِي فَأَضْرِبَ بِهِ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ قَالَ ‏"‏ شَارَكْتَ الْقَوْمَ إِذًا وَلَكِنِ ادْخُلْ بَيْتَكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنْ دُخِلَ بَيْتِي قَالَ ‏"‏ إِنْ خَشِيتَ أَنْ يَبْهَرَكَ شُعَاعُ السَّيْفِ فَأَلْقِ طَرَفَ رِدَائِكَ عَلَى وَجْهِكَ فَيَبُوءَ بِإِثْمِهِ وَإِثْمِكَ فَيَكُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫৯
ফিতনার যুগে ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা
৩৯৫৯। মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রাহঃ).....আবু মুসা আশ'আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদিগকে বললেন, কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে হারাজ ছড়িয়ে পড়বে। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহ রাসূল! 'হারাজ' কি জিনিস? তিনি বললেনঃ হারাজ মানে কতল হত্যা, খুন-খারাবী । অতঃপর কতক মুসলমান বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো এখনও এক বছরে এত এত জন মুশরিক মেরে ফেলেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এটা তো মুশরিকদের হত্যা করা নয়; বরং তোমরা নিজেরা একে অপরকে হত্যা করবে; এমনকি এক ব্যক্তি তার প্রতিবেশী চাচাতো ভাই এবং নিকট আত্মীয়-স্বজনকে হত্যা করবে। তখন কাওমের কতিপয় লোক জিজ্ঞাসা করলোঃ হে আল্লাহর রাসূল! সে সময় কি আমাদের বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়ে যাবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ না, সেকালের অধিকাংশ লোক হবে জ্ঞান পাপী ও বিবেক শূন্য। আর অবশিষ্ট থাকবে নির্বোধ ও মুর্খ ব্যক্তিরা, যাদের বিবেক বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা বলতে কিছুই থাকবে না। অতঃপর আবু মুসা আশ'আরী (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি ভেবেছিলাম সম্ভবত এই যুগ তোমাদের ও আমাকে স্পর্শ করবে। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, যদি এই যুগ তোমাদের ও আমাকে পেয়ে বসে, তাহলে না তুমি এর থেকে বাঁচতে পারবে, আর না আমি রক্ষা পাবো। যেমন আমাদের নবী (ﷺ) আমাদের নিকট থেকে অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তোমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না যে যেভাবে তথায় প্রবেশ করেছিলে। (অর্থাৎ যুদ্ধে অংশগ্রহণের পূর্বে যেমন তোমরা বে-গোনাহ ছিলে এবং অংশ গ্রহণের পরে গোনাহগার হয়ে গেলে)।
بَاب التَّثَبُّتِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، عَنِ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا أَسِيدُ بْنُ الْمُتَشَمِّسِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ إِنَّ بَيْنَ يَدَىِ السَّاعَةِ لَهَرْجًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْهَرْجُ قَالَ ‏"‏ الْقَتْلُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ بَعْضُ الْمُسْلِمِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَقْتُلُ الآنَ فِي الْعَامِ الْوَاحِدِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ لَيْسَ بِقَتْلِ الْمُشْرِكِينَ وَلَكِنْ يَقْتُلُ بَعْضُكُمْ بَعْضًا حَتَّى يَقْتُلَ الرَّجُلُ جَارَهُ وَابْنَ عَمِّهِ وَذَا قَرَابَتِهِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَعَنَا عُقُولُنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ لاَ تُنْزَعُ عُقُولُ أَكْثَرِ ذَلِكَ الزَّمَانِ وَيَخْلُفُ لَهُ هَبَاءٌ مِنَ النَّاسِ لاَ عُقُولَ لَهُمْ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ الأَشْعَرِيُّ وَايْمُ اللَّهِ إِنِّي لأَظُنُّهَا مُدْرِكَتِي وَإِيَّاكُمْ وَايْمُ اللَّهِ مَا لِي وَلَكُمْ مِنْهَا مَخْرَجٌ إِنْ أَدْرَكَتْنَا فِيمَا عَهِدَ إِلَيْنَا نَبِيُّنَا ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلاَّ أَنْ نَخْرُجَ كَمَا دَخَلْنَا فِيهَا ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬০
ফিতনার যুগে ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা
৩৯৬০। মুহাম্মাদ ইব্‌ন বাশশার (রাযিঃ)...... উদারসা বিনতে উহ্বান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ) বসরায় আসেন, তখন তিনি আমার পিতার কাছে চলে আসেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ হে আবু মুসলিম! তুমি কি এই কাওমের (সিরিয়াবাসীদের) বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করবে না? আবু মুসলিম বললেনঃ কেন করবো না, নিশ্চয়ই করবো। অতঃপর তিনি তাঁর এক দাসীকে ডাকলেন এবং বললেনঃ হে দাসী! আমার তরবারীটা দাও। আবু মুসলিম বলেন, আমি খাপের মধ্য থেকে সেটা এক বিঘৎ বরাবর বের করলাম। দেখতে পেলাম যে, সেটা একটা কাষ্ঠখণ্ড মাত্র। আবু মুসলিম বললেনঃ আমার অন্তরং্গ বন্ধু ও তোমার চাচাতো ভাই, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন নির্দেশ প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেনঃ যখন মুসলমানদের মাঝে বিপর্যয়ের ঘনঘটা নেমে আসবে, তখন একটা কাঠের তলোয়ার বানিয়ে নিবে। এখন আপনি যদি চান তাহলে আমি সেই কাঠের তলোয়ারটি নিয়ে আপনার সাথে বের হতে পারি। তিনি (আলী (রাযিঃ) বললেনঃ তোমার এবং তোমার তলোয়ারের কোন প্রয়োজন আমার নেই।
بَاب التَّثَبُّتِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدٍ، مُؤَذِّنُ مَسْجِدِ جُرْدَانَ قَالَ حَدَّثَتْنِي عُدَيْسَةُ بِنْتُ أُهْبَانَ، قَالَتْ لَمَّا جَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ هَاهُنَا الْبَصْرَةَ دَخَلَ عَلَى أَبِي فَقَالَ يَا أَبَا مُسْلِمٍ أَلاَ تُعِينُنِي عَلَى هَؤُلاَءِ الْقَوْمِ قَالَ بَلَى ‏.‏ قَالَ فَدَعَا جَارِيَةً لَهُ فَقَالَ يَا جَارِيَةُ أَخْرِجِي سَيْفِي ‏.‏ قَالَ فَأَخْرَجَتْهُ فَسَلَّ مِنْهُ قَدْرَ شِبْرٍ فَإِذَا هُوَ خَشَبٌ فَقَالَ إِنَّ خَلِيلِي وَابْنَ عَمِّكَ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَهِدَ إِلَىَّ إِذَا كَانَتِ الْفِتْنَةُ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ فَأَتَّخِذُ سَيْفًا مِنْ خَشَبٍ فَإِنْ شِئْتَ خَرَجْتُ مَعَكَ ‏.‏ قَالَ لاَ حَاجَةَ لِي فِيكَ وَلاَ فِي سَيْفِكَ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৯৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬১
ফিতনার যুগে ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা
৩৯৬১। ইমরান ইব্‌ন মুসা লায়সী (রাহঃ)....আবু মুসা আশ'আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে এমন ফিতনার সৃষ্টি হবে, যেমন ঘোর অন্ধকার রজনী। সকাল বেলা এক ব্যক্তি মু'মিন থাকবে সন্ধ্যেবেলা কাফির এবং সন্ধ্যেবেলা মু'মিন সকালবেলা কাফির। এই বিপর্যয়ের দিনে উপবেশনকারী দন্ডায়মান ব্যক্তির চাইতে উত্তম। দন্ডায়মান ব্যক্তি চলমান ব্যক্তির চাইতে উত্তম। পদব্রজে চলাচলকারী দ্রুত ধাবমান ব্যক্তির চাইতে উত্তম। সেই বিপর্যয়ের দিনে তীর-ধনুক ভেঙ্গে ফেলবে এবং কামানের রশি কেটে ফেলবে। আর নিজেদের তরবারিগুলো পাথরের উপর আঘাত করে ভোতা করে ফেলবে। যদি তোমাদের কারোর নিকট কেউ এসে পড়ে, তাহলে সে যেন আদম (আ)-এর দুইপুত্র হাবীল ও কাবীলের মধ্যে যে ভাল ছিল, সে যা করেছিল তাই করে।
بَاب التَّثَبُّتِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى اللَّيْثِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَرْوَانَ، عَنْ هُزَيْلِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ إِنَّ بَيْنَ يَدَىِ السَّاعَةِ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ يُصْبِحُ الرَّجُلُ فِيهَا مُؤْمِنًا وَيُمْسِي كَافِرًا وَيُمْسِي مُؤْمِنًا وَيُصْبِحُ كَافِرًا الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ وَالْقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي فَكَسِّرُوا قِسِيَّكُمْ وَقَطِّعُوا أَوْتَارَكُمْ وَاضْرِبُوا بِسُيُوفِكُمُ الْحِجَارَةَ فَإِنْ دُخِلَ عَلَى أَحَدٍ مِنْكُمْ فَلْيَكُنْ كَخَيْرِ ابْنَىْ آدَمَ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৬২
ফিতনার যুগে ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা
৩৯৬২। আবু বাকর ইবন আবু শায়রা (রাহঃ)....আবু বুরদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইবন মাসলমাহ (রাযিঃ)-এর কাছে গেলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ অচিরেই একটি ফিতনা বিচ্ছিন্নতা ও মতভেদ ছড়িয়ে পড়বে। তখন নিজেদের তরবারীসহ উহুদ পর্বতে আরোহন করবে এবং তার উপরে আঘাত করবে, যাতে তা ভেঙ্গে যায়। অতঃপর নিজের ঘরে বসে থাকবে, যতক্ষণ না কোন বিদ্রোহী কিংবা অনিষ্টকারী তোমাকে হত্যা করে কিংবা স্বাভাবিক পন্থায় তোমার মৃত্যু এসে যায়।

(মুহাম্মাদ ইবন মাসলামাহ (রাযিঃ) বলেন), এই ফিতনা তো এসে গেছে এবং আমি তাই করেছি, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলে গিয়েছেন।
بَاب التَّثَبُّتِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، - أَوْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ شَكَّ أَبُو بَكْرٍ - عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ إِنَّهَا سَتَكُونُ فِتْنَةٌ وَفُرْقَةٌ وَاخْتِلاَفٌ فَإِذَا كَانَ كَذَلِكَ فَأْتِ بِسَيْفِكَ أُحُدًا فَاضْرِبْهُ حَتَّى يَنْقَطِعَ ثُمَّ اجْلِسْ فِي بَيْتِكَ حَتَّى تَأْتِيَكَ يَدٌ خَاطِئَةٌ أَوْ مَنِيَّةٌ قَاضِيَةٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقَدْ وَقَعَتْ وَفَعَلْتُ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান