কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট) - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৭ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬
তকদীর প্রসঙ্গে।
৭৬। আলী ইবন মুহাম্মাদ ও আলী ইবন মায়মূন রাক্কী (রাহঃ)....... 'আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, যিনি সত্যবাদী ও সত্যবাদী উপাধিতে ভূষিত ছিলেন ঃ বস্তুত তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টি (অর্থাৎ বীর্য) তার মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত স্থির রাখা হয়; এরপর তা অনুরূপভাবে রক্তপিণ্ডে পরিণত হয়। এরপর তা একইরূপে মাংসপিণ্ডে পরিণত হয় । অবশেষে আল্লাহ্ তার নিকট একজন ফিরিশতা পাঠান। তখন তাকে চারটি বিষয় লিপিবদ্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় এবং বলে : তার আমল, তার আয়ুষ্কাল, তার রিযিক এবং সে কি বদবখত না নেকবখত তা লিখ। ঐ সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, নিশ্চয়ই তোমাদের কেউ অবশ্যই জান্নাতীদের ন্যায় আমল করতে থাকে, এমনকি তার এবং জান্নাতের মাঝে এক হাত পরিমাণ দূরত্ব থাকে। ইত্যবসরে তকদীর তার দিকে এগিয়ে আসে, তখন সে জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করে; ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। আর তোমাদের কেউ অবশ্যই জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করতে থাকে, এমনকি তার এবং জাহান্নামের মাঝে এক হাত পরিমাণ দূরত্ব বিদ্যমান থাকে। এ সময় তকদীর তার দিকে এগিয়ে আসে, তখন সে জান্নাতীদের ন্যায় আমল করে, ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ قَالَ ‏ "‏ يُجْمَعُ خَلْقُ أَحَدِكُمْ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَبْعَثُ اللَّهُ إِلَيْهِ الْمَلَكَ فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ فَيَقُولُ اكْتُبْ عَمَلَهُ وَأَجَلَهُ وَرِزْقَهُ وَشَقِيٌّ أَمْ سَعِيدٌ ‏.‏ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُهَا وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৭
তকদীর প্রসঙ্গে।
৭৭। আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ)...... ইবন দায়লামী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ঃ একদা আমার অন্তরে তকদীর সম্পর্কে এরূপ সন্দেহের সৃষ্টি হয় যে, আমি ভীত সন্ত্রস্ত হই এ ভেবে যে, তা আমার দীন ও অন্যান্য কাজ নষ্ট করে দেবে। তখন আমি উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হই এবং আমি তাঁকে বলি ঃ হে আবু মুনযির! আমার অন্তরে তকদীর সম্পর্কে কিছু খটকা সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে আমি আমার ধর্ম-কর্ম বিনষ্ট হওয়ার আশংকা করছি। তাই আপনি আমার নিকট এতদসংক্রান্ত কিছু বর্ণনা করুন, হয়ত আল্লাহ্ এর দ্বারা আমার উপকার করবেন। তখন তিনি বললেন : যদি আল্লাহ্ আসমানবাসী ও যমীনের অধিবাসীদের শাস্তি দিতে চান, তিনি অবশ্যই তাদের শাস্তি দিতে পারেন। আর এতে তিনি তাদের প্রতি জালিমও নন। আর যদি তিনি তাদের প্রতি রহম করেন, তবে তাঁর রহমত, তাদের আমলের চাইতে তাদের জন্য উত্তম হবে। যদি তোমার কাছে উহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনা থাকে, অথবা (রাবীর সন্দেহ) উহুদ পাহাড়ের মত, আর তুমি তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ কর, তা তোমার থেকে কবূল করা হবে না, যতক্ষণ না তুমি তকদীরের প্রতি ঈমান আনবে। জেনে রাখ, যা কিছু তোমার উপর আপতিত হওয়ার, তা আপতিত হতে ভুল করবে না। আর যা কিছু আপতিত না হওয়ার, তা কখনও আপতিত হবে না। যদি এ আকীদার বিপরীত চিন্তা করে তোমার মৃত্যু হয়, তাহলে তুমি জাহান্নামে দাখিল হবে। আমি মনে করি, যদি তুমি ভাই আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর, তাহলে এতে তোমার কোনরূপ ক্ষতি হবে না [ইবন দায়লামী (রাহঃ) বলেনঃ অতঃপর আমি 'আব্দুল্লাহ্ (ইবন মাসউদ (রাযিঃ))-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। ইবন মাসউদও উবাই (রাযিঃ)-এর মতই বর্ণনা করলেন এবং তিনি আমাকে বললেন ঃ যদি তুমি হুযায়ফা (রাযিঃ)-এর কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে, তা হলে খুবই ভাল হতো। অতঃপর আমি হুযায়ফা (রাযিঃ)-এর কাছে যাই এবং তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। তিনিও তাঁদের মতই বললেন। আর আরো বললেন : তুমি যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)-এর কাছে গিয়ে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর। অতঃপর আমি যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)-এর কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করি। তখন তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি : যদি আল্লাহ্ আসমান ও যমীনের সকল অধিবাসীদের শাস্তি প্রদান করতে ইচ্ছা করেন, তাহলে তিনি তাদের শাস্তি দিতে পারেন। আর এ ব্যাপারে তিনি তাদের প্রতি জালিমও নন। আর যদি তিনি তাদের প্রতি রহম করেন, তাহলে তাঁর এ রহম তাদের সমস্ত নেক আমলের চাইতেও অধিকতর কল্যাণকর। আর যদি তোমার নিকট উহুদ পর্বত সমান সোনাও থাকে এবং তুমি তা আল্লাহ্র পথে ব্যয়ও কর, তাহলেও যতক্ষণ না তুমি সম্পূর্ণরূপে তকদীরের উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে, তোমার পক্ষ থেকে তা কবূল করা হবে না। জেনে রাখ! তোমার উপর যা আপতিত হওয়ার, (তা আপতিত হবেই); কখনও তা তোমাকে ভুল করবে না। আর যা তোমাকে ভুল করবে, তা কখনো তোমার উপর আপতিত হবে না। আর তুমি যদি এর বিপরীত বিশ্বাস নিয়ে মারা যাও, তবে তুমি জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سِنَانٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ خَالِدٍ الْحِمْصِيِّ، عَنِ ابْنِ الدَّيْلَمِيِّ، قَالَ وَقَعَ فِي نَفْسِي شَىْءٌ مِنْ هَذَا الْقَدَرِ خَشِيتُ أَنْ يُفْسِدَ عَلَىَّ دِينِي وَأَمْرِي فَأَتَيْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ فَقَلْتُ أَبَا الْمُنْذِرِ إِنَّهُ قَدْ وَقَعَ فِي قَلْبِي شَىْءٌ مِنْ هَذَا الْقَدَرِ فَخَشِيتُ عَلَى دِينِي وَأَمْرِي فَحَدِّثْنِي مِنْ ذَلِكَ بِشَىْءٍ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ ‏.‏ فَقَالَ لَوْ أَنَّ اللَّهَ عَذَّبَ أَهْلَ سَمَوَاتِهِ وَأَهْلَ أَرْضِهِ لَعَذَّبَهُمْ وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ وَلَوْ رَحِمَهُمْ لَكَانَتْ رَحْمَتُهُ خَيْرًا لَهُمْ مِنْ أَعْمَالِهِمْ ‏.‏ وَلَوْ كَانَ لَكَ مِثْلُ جَبَلِ أُحُدٍ ذَهَبًا أَوْ مِثْلُ جَبَلِ أُحُدٍ تُنْفِقُهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا قُبِلَ مِنْكَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ ‏.‏ فَتَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَأَنَّ مَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ ‏.‏ وَأَنَّكَ إِنْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا دَخَلْتَ النَّارَ وَلاَ عَلَيْكَ أَنْ تَأْتِيَ أَخِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فَتَسْأَلَهُ ‏.‏ فَأَتَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ فَسَأَلْتُهُ فَذَكَرَ مِثْلَ مَا قَالَ أُبَىٌّ وَقَالَ لِي وَلاَ عَلَيْكَ أَنْ تَأْتِيَ حُذَيْفَةَ ‏.‏ فَأَتَيْتُ حُذَيْفَةَ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ مِثْلَ مَا قَالاَ وَقَالَ ائْتِ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَاسْأَلْهُ ‏.‏ فَأَتَيْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ لَوْ أَنَّ اللَّهَ عَذَّبَ أَهْلَ سَمَوَاتِهِ وَأَهْلَ أَرْضِهِ لَعَذَّبَهُمْ وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ وَلَوْ رَحِمَهُمْ لَكَانَتْ رَحْمَتُهُ خَيْرًا لَهُمْ مِنْ أَعْمَالِهِمْ وَلَوْ كَانَ لَكَ مِثْلُ أُحُدٍ ذَهَبًا أَوْ مِثْلُ جَبَلِ أُحُدٍ ذَهَبًا تُنْفِقُهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا قَبِلَهُ مِنْكَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ كُلِّهِ فَتَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَمَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ وَأَنَّكَ إِنْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا دَخَلْتَ النَّارَ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৮
তকদীর প্রসঙ্গে।
৭৮। উসমান ইবন আবু শায়বা ও আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ)....... 'আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : আমরা নবী (ﷺ)-এর নিকট বসা ছিলাম। এ সময় তাঁর হাতে একখানা কাঠের টুকরা ছিল, যা দিয়ে তিনি মাটির উপর রেখা টানছিলেন। এরপর তিনি মাথা উঠিয়ে বললেন : তোমাদের প্রত্যেকের জন্য (পরকালে) জান্নাতে একটি স্থান এবং জাহান্নামে একটি স্থান নির্ধারণ করা রয়েছে। জিজ্ঞাসা করা হলো : ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তাহলে আমরা কি এর উপর ভরসা করব না? তিনি বললেনঃ না, তোমরা আমল করতে থাক এবং এর উপর ভরসা কর না। কেননা, যাদের জন্য যা কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে, তা তাদের জন্য সহজতর করা হবে। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেন :
فَأَمَّا من أعطى واثقى – وصدق بالحسنى - فسنيسره لليسرى - وأما من بخل واستغنى – وكذب بالحسنى -
فسنيسره للعسرى ، “সুতরাং কেউ দান করলে, মুত্তাকী হলে এবং যা উত্তম তা গ্রহণ করলে, আমি তার জন্য সুগম করে দেব সহজ পথ । আর কেউ কার্পণ্য করলে এবং নিজকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করলে এবং যা উত্তম তা বর্জন করলে, আমি তার জন্য সুগম করে দেব কঠোর পরিণামের পথ।” (৯২ : ৫-১০)
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَبِيَدِهِ عُودٌ فَنَكَتَ فِي الأَرْضِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ ‏"‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ وَقَدْ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنَ الْجَنَّةِ وَمَقْعَدُهُ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ نَتَّكِلُ قَالَ ‏"‏ لاَ اعْمَلُوا وَلاَ تَتَّكِلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ (فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى * وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى * فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى * وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى * وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى * فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى)‏ ‏.‏
হাদীস নং:৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৯
তকদীর প্রসঙ্গে।
৭৯। আবু বকর ইবন আবু শায়বা ও আলী ইবন মুহাম্মাদ তানাফিসী (রাহঃ)........ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : শক্তিশালী ও বীর্যবান মুমিন দুর্বল মুমিনের চাইতে উত্তম এবং আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় । উভয়ের জন্য কল্যাণ রয়েছে। যে কাজ তোমার উপকারে আসবে, তুমি তার আকাঙ্ক্ষা কর এবং আল্লাহর সাহায্য চাও এবং কখনো অলসতা প্রকাশ কর না । আর যদি তোমার কোন ক্ষতিও হয়, তাহলে এ কথা বলো না : যদি আমি কাজটি এভাবে এভাবে করতাম! বরং তুমি বলবে : আল্লাহ্ নির্ধারণ করে রেখেছেন। আর তিনি যা ইচ্ছা তাই করেন। কেননা (لَوْ) (যদি) শব্দটি শয়তানের কাজকে প্রশস্ত করে দেয়।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّنَافِسِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ الْمُؤْمِنُ الْقَوِيُّ خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ وَفِي كُلٍّ خَيْرٌ احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ وَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَلاَ تَعْجِزْ فَإِنْ أَصَابَكَ شَىْءٌ فَلاَ تَقُلْ لَوْ أَنِّي فَعَلْتُ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ وَلَكِنْ قُلْ قَدَّرَ اللَّهُ وَمَا شَاءَ فَعَلَ فَإِنَّ ‏"‏ لَوْ ‏"‏ تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيْطَانِ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৮০
তকদীর প্রসঙ্গে।
৮০। হিশাম ইবন 'আম্মার ও ইয়াকূব ইবন হুমায়দ ইবন কাসিব (রাহঃ)..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ঃ আদম (আ) এবং মুসা (আ)-এর মধ্যে (রূহের জগতে) বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। তখন মুসা (আ) তাঁকে বলেন : হে আদম! আপনি আমাদের পিতা। আপনি আমাদের হতাশ করেছেন এবং আপনার ভুলের কারণে আমাদের জান্নাত থেকে বের করেছেন। তখন আদম (আ) তাঁকে বললেন ঃ হে মুসা! আল্লাহ্ তোমাকে তাঁর কথোপকথনের দ্বারা সম্মানিত করেছেন এবং তিনি তাঁর কুদরতী হাতে তোমার জন্য তাওরাত কিতাব লিখে দিয়েছেন। তুমি কি আমাকে এমন বিষয়ের জন্য দোষারোপ করছো, যা আল্লাহ্ তা'আলা আমার সৃষ্টির চল্লিশ বছর পূর্বে আমার জন্য নির্ধারিত করে রেখেছেন ? তখন আদম (আ) বিতর্কে মুসা (আ)-এর উপর জয়ী হন। এতে আদম (আ) মুসা (আ)-এর সাথে বিতর্কে জয়ী হন। এতে আদম (আ) মুসা (আ)-এর সাথে বিতর্কে জয়ী হন। এ কথাটি তিনি তিনবার উল্লেখ করেন।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ طَاوُسًا، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يُخْبِرُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ لَهُ مُوسَى يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُونَا خَيَّبْتَنَا وَأَخْرَجْتَنَا مِنَ الْجَنَّةِ بِذَنْبِكَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ آدَمُ يَا مُوسَى اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلاَمِهِ وَخَطَّ لَكَ التَّوْرَاةَ بِيَدِهِ أَتَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدَّرَهُ اللَّهُ عَلَىَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي بِأَرْبَعِينَ سَنَةً فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى ‏"‏ ‏.‏ ثَلاَثًا ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৮১
তকদীর প্রসঙ্গে।
৮১। আব্দুল্লাহ ইবন 'আমির ইবন যুরারা (রাহঃ)...... আলী (রাযিঃ) থেকে বরনিত। তিনি বলেন সূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত মু'মিন হবে না, যতক্ষণ না সে চারটি বিষয়ের উপর ঈমান আনবে : একমাত্র আল্লাহর উপর, যাঁর কোন শরীক নেই; নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর রাসূল : মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি এবং তকদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান আনা।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ زُرَارَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ لاَ يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُؤْمِنَ بِأَرْبَعٍ بِاللَّهِ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَبِالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَالْقَدَرِ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৮২
তকদীর প্রসঙ্গে।
৮২। আবু বকর ইবন আবু শায়বা ও আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)- কে এক আনসার বালকের জানাযার জন্য ডাকা হলো। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)! এর জন্য সুসংবাদ, জান্নাতী চড়ুই পাখিদের থেকে একটি পাখি, যে কোন পাপকাজ করেনি এবং তা করার সুযোগও পায়নি। তখন তিনি বললেন : হে আয়েশা (রাযিঃ)! এর ব্যতিক্রম কি হতে পারে না? নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা'আলা এক শ্রেণীর লোকদের জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তিনি তাদের তখন জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন, যখন তারা তাদের পিতার ঔরসে ছিল । আর তিনি জাহান্নামের জন্য একদল সৃষ্টি করেছেন। তিনি তাদের জাহান্নামের জন্য তখন সৃষ্টি করেছেন, যখন তারা তাদের পিতার ঔরসে ছিল।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَمَّتِهِ، عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ دُعِيَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَى جِنَازَةِ غُلاَمٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ طُوبَى لِهَذَا عُصْفُورٌ مِنْ عَصَافِيرِ الْجَنَّةِ لَمْ يَعْمَلِ السُّوءَ وَلَمْ يُدْرِكْهُ ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ أَوَ غَيْرُ ذَلِكَ يَا عَائِشَةُ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ لِلْجَنَّةِ أَهْلاً خَلَقَهُمْ لَهَا وَهُمْ فِي أَصْلاَبِ آبَائِهِمْ وَخَلَقَ لِلنَّارِ أَهْلاً خَلَقَهُمْ لَهَا وَهُمْ فِي أَصْلاَبِ آبَائِهِمْ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩
তকদীর প্রসঙ্গে।
৮৩। আবু বকর ইবন আবু শায়বা ও আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ঃ একদা কুরায়শ সম্প্রদায়ের মুশরিকরা নবী (ﷺ)-এর সংগে তকদীরের ব্যাপারে ঝগড়া করার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হয়। তখন এ আয়াত নাযিল হয় :
يوم يسحبون في النار على وجوههم ذو قوا مس سقر - انا كل شئ خلقنه بقدر
“সে দিন তাদের উপুড় করে টেনে নেওয়া হবে জাহান্নামের দিকে, সেদিন বলা হবে : জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন কর । আমি সবকিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে।” (৫৪ ঃ ৪৮-৪৯)
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ مُشْرِكُو قُرَيْشٍ يُخَاصِمُونَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْقَدَرِ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ (يَوْمَ يُسْحَبُونَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ ذُوقُوا مَسَّ سَقَرَ * إِنَّا كُلَّ شَىْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ ‏)‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪
তকদীর প্রসঙ্গে।
৮৪। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবন আবু মুলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি উম্মুল মু'মিনীন 'আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁর সংগে তকদীর সম্পর্কে কিছু আলোচনা করেন। তখন তিনি ['আয়েশা (রাযিঃ)] বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি ঃ যে ব্যক্তি তকদীর সম্পর্কে কথাবার্তা বলবে, কিয়ামতের দিন তাকে ঐ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর যে ব্যক্তি এ বিষয়ে কোন কিছু বলবে না, তাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না আবুল হাসান কাত্তান (রাহঃ) ইয়াহ্ইয়া ইবন 'উসমান (রাহঃ) পূর্বোক্ত বর্ণনার অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ فَذَكَرَ لَهَا شَيْئًا مِنَ الْقَدَرِ فَقَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ مَنْ تَكَلَّمَ فِي شَىْءٍ مِنَ الْقَدَرِ سُئِلَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ لَمْ يُسْأَلْ عَنْهُ ‏"‏ ‏.‏
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَاهُ خَازِمُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شَيْبَانَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮৫
তকদীর প্রসঙ্গে।
৮৫। আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ)........ আমর ইবন শুয়াইব-এর দাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর সাহাবীদের কাছে বেরিয়ে আসলেন। সে সময় তারা তকদীর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করছিল। এর কারণে রাগে তাঁর (ﷺ) চেহারা ডালিমের দানার মত লাল হয়ে উঠল এবং তিনি বললেনঃ তোমাদের কি এ কাজের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, অথবা এর জন্য কি তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে? তোমরা তো কুরআনের কতক আয়াতকে কতক আয়াতের বিপরীতে উপস্থাপন করছ। এ জন্যই তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণ ধ্বংস হয়ে গেছে। রাবী বলেনঃ তখন আব্দুল্লাহ্ ইবন 'আমর (রাযিঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহচর্য ছাড়া আমি যত মজলিসেই উপস্থিত হয়েছি, এতটুকু লজ্জা কখনো পাইনি।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَلَى أَصْحَابِهِ وَهُمْ يَخْتَصِمُونَ فِي الْقَدَرِ فَكَأَنَّمَا يُفْقَأُ فِي وَجْهِهِ حَبُّ الرُّمَّانِ مِنَ الْغَضَبِ فَقَالَ ‏ "‏ بِهَذَا أُمِرْتُمْ أَوْ لِهَذَا خُلِقْتُمْ تَضْرِبُونَ الْقُرْآنَ بَعْضَهُ بِبَعْضٍ ‏.‏ بِهَذَا هَلَكَتِ الأُمَمُ قَبْلَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو مَا غَبَطْتُ نَفْسِي بِمَجْلِسٍ تَخَلَّفْتُ فِيهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَا غَبَطْتُ نَفْسِي بِذَلِكَ الْمَجْلِسِ وَتَخَلُّفِي عَنْهُ.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮৬
তকদীর প্রসঙ্গে।
৮৬। আবু বকর ইবন আবু শায়বা ও আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নেই, অশুভ লক্ষণ বলতে কিছুই নেই এবং হামাহ্ (এক প্রকার পাখি, যার দৃষ্টিশক্তি দিনের বেলায় কম থাকে এবং রাতের বেলা উড়ে ও আওয়াজ করে। আরবরা এটাকে কুলক্ষুণে বলে মনে করে) বলতে কোন কিছু নেই। তখন তাঁর কাছে একজন বেদুঈন দাঁড়িয়ে বললো : ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আপনি কি অবগত নন যে, খোস-পাঁচড়াযুক্ত উট সুস্থ উটের সংশ্রবে এলে সকল উট তাতে আক্রান্ত হয়? তখন তিনি বললেনঃ এটাই তোমাদের তকদীর । আচ্ছা বলত ! প্রথম উটটির ঐ রোগ কে দিল?
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي حَيَّةَ أَبُو جَنَابٍ الْكَلْبِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ هَامَةَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ الْبَعِيرَ يَكُونُ بِهِ الْجَرَبُ فَيُجْرِبُ الإِبِلَ كُلَّهَا قَالَ ‏"‏ ذَلِكُمُ الْقَدَرُ فَمَنْ أَجْرَبَ الأَوَّلَ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮৭
তকদীর প্রসঙ্গে।
৮৭। আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ)...... শা'বী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : 'আদী হাতিম (রাযিঃ) যখন।কূফায় আগমন করেন, তখন আমরা কূফার একদল ফকীহের সাথে তাঁর নিকট আসি এবং তাকে বলি ঃ আপনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট থেকে যা শুনেছেন, তা আমাদের কাছে বর্ণনা করুন। তখন তিনি বললেন ঃ একদা আমি নবী (ﷺ)-এর কাছে উপস্থিত হলে, তিনি বললেনঃ হে আদী ইবন হাতিম! তুমি ইসলাম গ্রহণ কর, শান্তি পাবে। আমি জিজ্ঞাসা করি : ইসলাম কি? তখন তিনি বললেন : তুমি এরূপ সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। আর তকদীরের ভাল-মন্দ, স্বাদ-বিস্বাদ সব কিছুর প্রতি ঈমান আনবে।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عِيسَى الْجَرَّارُ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى بْنِ أَبِي الْمُسَاوِرِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ الْكُوفَةَ أَتَيْنَاهُ فِي نَفَرٍ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏ فَقُلْنَا لَهُ حَدِّثْنَا مَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ فَقَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏"‏ يَا عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ أَسْلِمْ تَسْلَمْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ وَمَا الإِسْلاَمُ فَقَالَ ‏"‏ تَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَتُؤْمِنُ بِالأَقْدَارِ كُلِّهَا خَيْرِهَا وَشَرِّهَا حُلْوِهَا وَمُرِّهَا ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮
তকদীর প্রসঙ্গে।
৮৮। মুহাম্মাদ ইবন 'আব্দুল্লাহ্ ইবন নুমায়র (রাহঃ) ......আবু মুসা আশ'আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : কলবের দৃষ্টান্ত হলো পালকের মত, যাকে বাতাস এদিক ওদিক হেলাতে থাকে।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ غُنَيْمِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَثَلُ الْقَلْبِ مَثَلُ الرِّيشَةِ تُقَلِّبُهَا الرِّيَاحُ بِفَلاَةٍ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯
তকদীর প্রসঙ্গে।
৮৯। *আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) ...... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : জনৈক আনসার নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে বলেন : ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আমার একটি দাসী আছে। আমি কি তার থেকে আযল' করব ? তখন তিনি বললেন : তার জন্য যা কিছু নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অবশ্যই সে লাভ করবে। এর কিছুদিন পর ঐ আনসার ব্যক্তি তাঁর (ﷺ) কাছে উপস্থিত হয়ে বলেন : আমার দাসীটি গর্ভধারণ করেছে । তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ যার জন্য যা কিছু নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অবশ্যই হবে।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِي، يَعْلَى عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي جَارِيَةً أَعْزِلُ عَنْهَا قَالَ ‏"‏ سَيَأْتِيهَا مَا قُدِّرَ لَهَا ‏"‏ ‏.‏ فَأَتَاهُ بَعْدَ ذَلِكَ فَقَالَ قَدْ حَمَلَتِ الْجَارِيَةُ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ مَا قُدِّرَ لِنَفْسٍ شَىْءٌ إِلاَّ هِيَ كَائِنَةٌ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৯০
তকদীর প্রসঙ্গে।
৯০। আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ).... সাওবান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন নেককাজ ব্যতীত অন্য কিছুতেই আয়ু বৃদ্ধি পায় না এবং দু'আ ব্যতীত তকদীর পরিবর্তন হয় না। আর গুনাহের কারণেই মানুষকে তার রিজিক থেকে বঞ্চিত করা হয়।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ لاَ يَزِيدُ فِي الْعُمْرِ إِلاَّ الْبِرُّ وَلاَ يَرُدُّ الْقَدَرَ إِلاَّ الدُّعَاءُ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيُحْرَمُ الرِّزْقَ لِلْخَطِيئَةِ يَعْمَلُهَا ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৯১
তকদীর প্রসঙ্গে।
৯১। হিশাম ইবন 'আম্মার (রাহঃ) ......সুরাকা ইবন জু'শুম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম: ইয়া রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)! আমল কি তা, যা পূর্বেই লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং তদনুযায়ী তকদীর নির্ধারণ করা হয়েছে, না তা ভবিষ্যতের কাজ? তিনি বললেনঃ বরং তা, যা পূর্বে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এবং তদুনযায়ী তকদীর নির্ধারণ করা হয়েছে। আর তার জন্য যা কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে, তা সহজ করা হয়েছে।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ مُسْلِمٍ الْخَفَّافُ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْعَمَلُ فِيمَا جَفَّ بِهِ الْقَلَمُ وَجَرَتْ بِهِ الْمَقَادِيرُ أَوْ فِي أَمْرٍ مُسْتَقْبَلٍ قَالَ ‏ "‏ بَلْ فِيمَا جَفَّ بِهِ الْقَلَمُ وَجَرَتْ بِهِ الْمَقَادِيرُ وَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৯২
তকদীর প্রসঙ্গে।
৯২। মুহাম্মাদ ইবন মুসাফ্ফা হিমসী (র.) .. জাবির ইবন 'আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : এ উম্মতের মধ্যে তারাই মজুসী (অগ্নিপূজক), যারা আল্লাহর তকদীরকে অস্বীকার করে। এরা যদি রোগাক্রান্ত হয়, তাহলে তোমরা তাদের সেবা- শুশ্রূষা করবে না। আর যদি তারা মারা যায়, তবে তোমাকে তাদের জানাযায় অংশগ্রহণ করবে না। আর যদি তোমরা তাদের সাথে দেখা কর, তবে তোমরা তাদের সালাম করবে না।
بَابٌ فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ إِنَّ مَجُوسَ هَذِهِ الأُمَّةِ الْمُكَذِّبُونَ بِأَقْدَارِ اللَّهِ إِنْ مَرِضُوا فَلاَ تَعُودُوهُمْ وَإِنْ مَاتُوا فَلاَ تَشْهَدُوهُمْ وَإِنْ لَقِيتُمُوهُمْ فَلاَ تُسَلِّمُوا عَلَيْهِمْ ‏"‏ ‏.‏