কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

২০. দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৬৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৩৯
পূর্ণ রাত্রি জাগরণ সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) এর মতপার্থক্য
১৬৪২। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... মাসরূক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, যখন রমযানের শেষ দশ দিন আসত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাত্রে ইবাদতের জন্য জাগ্রত হয়ে যেতেন এবং তার পরিবারবর্গকেও জাগিয়ে দিতেন আর লুঙ্গি শক্ত করে বেঁধে নিতেন।
باب الاِخْتِلاَفِ عَلَى عَائِشَةَ فِي إِحْيَاءِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها كَانَ إِذَا دَخَلَتِ الْعَشْرُ أَحْيَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اللَّيْلَ وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ وَشَدَّ الْمِئْزَرَ .
হাদীস নং:১৬৪০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪০
পূর্ণ রাত্রি জাগরণ সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) এর মতপার্থক্য
১৬৪৩। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু ইসহাক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) এর কাছে আসলাম। তিনি সম্পর্কে আমার ভ্রাতা এবং বন্ধু ছিলেন। আমি তাকে বললাম, হে আবু আমর! উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) আপনার নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায সম্পর্কে যা যা বর্ণনা করেছেন তা আপনি আমার কাছে বর্ণনা করুন। আবু আমর (রাহঃ) বললেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতের প্রথম দিকে নিদ্রা যেতেন এবং শেষের দিকে জাগ্রত হয়ে ইবাদত করতেন।
باب الاِخْتِلاَفِ عَلَى عَائِشَةَ فِي إِحْيَاءِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ أَتَيْتُ الأَسْوَدَ بْنَ يَزِيدَ وَكَانَ لِي أَخًا صَدِيقًا فَقُلْتُ يَا أَبَا عَمْرٍو حَدِّثْنِي مَا حَدَّثَتْكَ بِهِ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ قَالَتْ كَانَ يَنَامُ أَوَّلَ اللَّيْلِ وَيُحْيِي آخِرَهُ .
হাদীস নং:১৬৪১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪১
পূর্ণ রাত্রি জাগরণ সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) এর মতপার্থক্য
১৬৪৪। হারুন ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার জানা নেই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একরাত্রে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করেছেন কিংবা তিনি সারা রাত্র সকাল অবধি নামায আদায় করেছেন এবং রমযান ব্যতীত কখনো সম্পূর্ণ মাস রোযা পালন করেছেন।
باب الاِخْتِلاَفِ عَلَى عَائِشَةَ فِي إِحْيَاءِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ لاَ أَعْلَمُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِي لَيْلَةٍ وَلاَ قَامَ لَيْلَةً حَتَّى الصَّبَاحِ وَلاَ صَامَ شَهْرًا كَامِلاً قَطُّ غَيْرَ رَمَضَانَ .
হাদীস নং:১৬৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪২
পূর্ণ রাত্রি জাগরণ সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) এর মতপার্থক্য
১৬৪৫। শু’আয়ব ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) একবার তার কাছে আসলেন, তখন তার কাছে একজন মহিলা ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন এ মহিলা কে? আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, সে অমুক (হাওলা) সে রাত্রে নিদ্রা যায় না এবং তার নামাযের কথাও উল্লেখ করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা (তার নামাযের আদায়ের আধিক্য হেতু আমার কাছে তার প্রশংসা বর্ণনা থেকে) বিরত থাক। যতটুকু তোমাদের সাধ্যে থাকে ততটুকুই তোমরা কর্তব্য জ্ঞান করে নাও। আল্লাহর শপথ! আল্লাহ তাআলা কখনো তোমাদের সাওয়াব দেয়ার ব্যাপারে কুণ্ঠা বোধ করবেন না বরং তোমরাই ক্লান্ত হয়ে তার ইবাদাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তার কাছে সর্বাধিক পছন্দনীয় ইবাদাত হল ঐটা যা আমলকারী সর্বদা করে থাকে।
باب الاِخْتِلاَفِ عَلَى عَائِشَةَ فِي إِحْيَاءِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا امْرَأَةٌ فَقَالَ " مَنْ هَذِهِ " . قَالَتْ فُلاَنَةُ لاَ تَنَامُ . فَذَكَرَتْ مِنْ صَلاَتِهَا فَقَالَ " مَهْ عَلَيْكُمْ بِمَا تُطِيقُونَ فَوَاللَّهِ لاَ يَمَلُّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ حَتَّى تَمَلُّوا وَلَكِنَّ أَحَبَّ الدِّينِ إِلَيْهِ مَا دَاوَمَ عَلَيْهِ صَاحِبُهُ " .
হাদীস নং:১৬৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৩
পূর্ণ রাত্রি জাগরণ সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) এর মতপার্থক্য
১৬৪৬। ইমরান ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার মসজিদে প্রবেশ করে দু’খুঁটির মাঝখানে লম্বমান অবস্থায় একটা রশি দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কিসের রশি? সাহাবীরা বললেন, এটা যয়নাব (রাযিঃ) এর রশি। যখন তিনি নামায আদায় করতে দাঁড়াতে অসমর্থ হয়ে যান, তখন এ রশির সাথে লটকে থেকে নামায আদায় করে থাকেন। নবী (ﷺ) বললেন, ও রশি খুলে ফেল, তোমরা প্রফুল্লচিত্ততা অবশিষ্ট থাকা অবধি নামায আদায়ে রত থাকবে। আর যখনি ক্লান্ত হয়ে পড়বে তখন বসে পড়বে।
باب الاِخْتِلاَفِ عَلَى عَائِشَةَ فِي إِحْيَاءِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَرَأَى حَبْلاً مَمْدُودًا بَيْنَ سَارِيَتَيْنِ فَقَالَ " مَا هَذَا الْحَبْلُ " . فَقَالُوا لِزَيْنَبَ تُصَلِّي فَإِذَا فَتَرَتْ تَعَلَّقَتْ بِهِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " حُلُّوهُ لِيُصَلِّ أَحَدُكُمْ نَشَاطَهُ فَإِذَا فَتَرَ فَلْيَقْعُدْ " .
হাদীস নং:১৬৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৪
পূর্ণ রাত্রি জাগরণ সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) এর মতপার্থক্য
১৬৩৭। কুতায়বা ইবনে সাঈদ এবং মুহাম্মাদ ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... যিয়াদ ইবনে আলাকাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুগীরা ইবনে শু’বাকে বলতে শুনেছি যে, নবী (ﷺ) এত দীর্ঘক্ষণ নামাযে দাঁড়িয়ে রইলেন যে, তার কদমদ্বয় ফুলে গেল। তখন তাঁকে বলা হল, আল্লাহ তাআলা আপনার পূর্বাপর সমুদয় ক্রটি বিচ্যুতি মার্জনা করে দিয়েছেন। (এতদসত্ত্বেও আপনি ইবাদাতে এত ক্লেশ কেন করছেন?) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি কি তাহলে কৃতজ্ঞ বান্দা হব না?
باب الاِخْتِلاَفِ عَلَى عَائِشَةَ فِي إِحْيَاءِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، يَقُولُ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى تَوَرَّمَتْ قَدَمَاهُ فَقِيلَ لَهُ قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ . قَالَ " أَفَلاَ أَكُونُ عَبْدًا شَكُورًا " .
হাদীস নং:১৬৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৫
পূর্ণ রাত্রি জাগরণ সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) এর মতপার্থক্য
১৬৪৮। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এত দীর্ঘক্ষণ ব্যাপি নামায আদায়ে রত থাকতেন যে, তার কদমদ্বয় (অত্যধিক ফুলে যাওয়ার কারণে) ফেটে যাওয়ার উপক্রম হত।
باب الاِخْتِلاَفِ عَلَى عَائِشَةَ فِي إِحْيَاءِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ مِهْرَانَ، - وَكَانَ ثِقَةً - قَالَ حَدَّثَنَا النُّعْمَانُ بْنُ عَبْدِ السَّلاَمِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي حَتَّى تَزْلَعَ يَعْنِي تَشَقَّقُ قَدَمَاهُ .