কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২০. দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৬৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৩৮
পূর্ণরাত্রি জাগরণ
১৬৪১। আমর ইবনে উসমান (রাহঃ) ......... খাব্বাব ইবনে আরাত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বদরের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে শরীক ছিলেন। একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সারা রাত ব্যাপি নামায আদায় করলে তিনি গভীর মনোযোগ সহকারে ফজর অবধি তার প্রতি লক্ষ্য রাখেন। যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজ নামায আদায় করে সালাম ফিরিয়ে ফেললেন, খাব্বাব (রাযিঃ) তার কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার মাতা পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আপনি অত্র রাত্র এত দীর্ঘক্ষণ ব্যাপি নামায আদায়ে ব্যাপৃত রইলেন যে, আপনাকে আমি ইতিপূর্বে এত দীর্ঘক্ষণ ব্যাপি নামায আদায়ে ব্যাপৃত থাকতে দেখিনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ; তা ছিল আশা নিরাশার নামায।
আমি আমার রবের সমীপে তিনটি বিষয়ের প্রার্থনা করেছিলাম, তিনি দু’টি বিষয়ের প্রার্থনা কবুল করেছেন আর একটি বিষয়ের অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আমি আমার রবের সমীপে প্রার্থনা করেছিলাম, তিনি যেন আমাদের পূর্ববতী উম্মতদের ন্যায় আমাদের আযাব দ্বারা ধ্বংস করে না দেন। তিনি আমার এ প্রার্থনা কবুল করেছেন। আমি আমার রবের সমীপে প্রার্থনা করেছিলাম তিনি যেন আমাদের উপরে আমাদের বিপক্ষ (বিধর্মী) শক্তিসমূহকে বিজয়ী না করেন। তিনি আমার এ প্রার্থনাও কবুল করেছেন। আমি আমার রবের সমীপে এও প্রার্থনা করেছিলাম যে, তিনি যেন আমাদের বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে না দেন। কিন্তু তিনি আমার এ প্রার্থনা কবুল করেন নি।
আমি আমার রবের সমীপে তিনটি বিষয়ের প্রার্থনা করেছিলাম, তিনি দু’টি বিষয়ের প্রার্থনা কবুল করেছেন আর একটি বিষয়ের অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আমি আমার রবের সমীপে প্রার্থনা করেছিলাম, তিনি যেন আমাদের পূর্ববতী উম্মতদের ন্যায় আমাদের আযাব দ্বারা ধ্বংস করে না দেন। তিনি আমার এ প্রার্থনা কবুল করেছেন। আমি আমার রবের সমীপে প্রার্থনা করেছিলাম তিনি যেন আমাদের উপরে আমাদের বিপক্ষ (বিধর্মী) শক্তিসমূহকে বিজয়ী না করেন। তিনি আমার এ প্রার্থনাও কবুল করেছেন। আমি আমার রবের সমীপে এও প্রার্থনা করেছিলাম যে, তিনি যেন আমাদের বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে না দেন। কিন্তু তিনি আমার এ প্রার্থনা কবুল করেন নি।
باب إِحْيَاءِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، وَبَقِيَّةُ، قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي حَمْزَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابِ بْنِ الْأَرَتِّ، عَنْ أَبِيهِ ـ وَكَانَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ـ أَنَّهُ رَاقَبَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّيْلَةَ كُلَّهَا حَتَّى كَانَ مَعَ الْفَجْرِ، فَلَمَّا سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ صَلَاتِهِ جَاءَهُ خَبَّابٌ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بَابُي أَنْتَ وَأُمِّي، لَقَدْ صَلَّيْتَ اللَّيْلَةَ صَلَاةً مَا رَأَيْتُكَ صَلَّيْتَ نَحْوَهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَجَلْ، إِنَّهَا صَلَاةُ رَغَبٍ وَرَهَبٍ سَأَلْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فِيهَا ثَلَاثَ خِصَالٍ، فَأَعْطَانِي اثْنَتَيْنِ وَمَنَعَنِي وَاحِدَةً، سَأَلْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لَا يُهْلِكَنَا بِمَا أَهْلَكَ بِهِ الْأُمَمَ قَبْلَنَا، فَأَعْطَانِيهَا، وَسَأَلْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لَا يُظْهِرَ عَلَيْنَا عَدُوًّا مِنْ غَيْرِنَا، فَأَعْطَانِيهَا، وَسَأَلْتُ رَبِّي أَنْ لَا يَلْبِسَنَا شِيَعًا، فَمَنَعَنِيهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: