কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

২০. দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৬৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৬
দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায়
দাঁড়িয়ে নামায আদায়কালীন রুকুর পূর্ব মুহূর্তে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি করতেন?
১৬৪৯। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দীর্ঘ রাত্র পর্যন্ত নামায আদায়ে রত থাকতেন, যখন তিনি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতেন দাঁড়ানো অবস্থাতেই রুকু করতেন আর যখন বসে নামায আদায় করতেন, বসা অবস্থাতেই রুকু করতেন।
كتاب قيام الليل وتطوع النهار
باب كَيْفَ يَفْعَلُ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ قَائِمًا وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ عَنْ عَائِشَةَ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ بُدَيْلٍ، وَأَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي لَيْلاً طَوِيلاً فَإِذَا صَلَّى قَائِمًا رَكَعَ قَائِمًا وَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا رَكَعَ قَاعِدًا .
হাদীস নং: ১৬৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৭
দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায়
দাঁড়িয়ে নামায আদায়কালীন রুকুর পূর্ব মুহূর্তে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি করতেন?
১৬৫০। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহীম (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়েও নামায আদায় করতেন আর বসেও নামায আদায় করতেন। যখন তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় নামায আদায় করতেন দাঁড়ানো অবস্থাতেই রুকু করতেন আর যখন বসা অবস্থায় নামায শুরু করতেন, বসা অবস্থাতেই রুকু করতেন।
كتاب قيام الليل وتطوع النهار
باب كَيْفَ يَفْعَلُ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ قَائِمًا وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ عَنْ عَائِشَةَ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، قَالَ أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي قَائِمًا وَقَاعِدًا فَإِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ قَائِمًا رَكَعَ قَائِمًا وَإِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ قَاعِدًا رَكَعَ قَاعِدًا .
হাদীস নং: ১৬৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৮
দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায়
দাঁড়িয়ে নামায আদায়কালীন রুকুর পূর্ব মুহূর্তে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি করতেন?
১৬৫১। মুহাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) কখনো বসা অবস্থায় নামায শুরু করতেন। নামাযে কুরআন তিলাওয়াত করতেন তখনও তিনি বসা অবস্থায় থাকতেন। যখন তাঁর কিরাআতের ত্রিশ কি চল্লিশ আয়াত পরিমাণ অবশিষ্ট থাকত তখন তিনি দাঁড়িয়ে যেতেন এবং দাঁড়ানো অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করে রুকু করতেন আর সিজদা করতেন। তারপর দ্বিতীয় রাকআতেও অনুরূপ করতেন।
كتاب قيام الليل وتطوع النهار
باب كَيْفَ يَفْعَلُ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ قَائِمًا وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ عَنْ عَائِشَةَ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، وَأَبُو النَّضْرِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي وَهُوَ جَالِسٌ فَيَقْرَأُ وَهُوَ جَالِسٌ فَإِذَا بَقِيَ مِنْ قِرَاءَتِهِ قَدْرُ مَا يَكُونُ ثَلاَثِينَ أَوْ أَرْبَعِينَ آيَةً قَامَ فَقَرَأَ وَهُوَ قَائِمٌ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ يَفْعَلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ ذَلِكَ .
হাদীস নং: ১৬৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৯
দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায়
দাঁড়িয়ে নামায আদায়কালীন রুকুর পূর্ব মুহূর্তে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি করতেন?
১৬৫২। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে কখনো বসে নামায আদায় করতে দেখিনি। যখন তার বার্ধক্য এসে গেল। তখন তিনি বসে বসেও নামায আদায় করতেন, কুরআন তিলাওয়াত করতেন। যখন সূরার ত্রিশ কি চল্লিশ আয়াত পরিমাণ অবশিষ্ট থাকত তিনি দাঁড়িয়ে যেতেন এবং অবশিষ্ট আয়াতগুলো তিলাওয়াত করে নিতেন, তারপর রুকু করতেন।
كتاب قيام الليل وتطوع النهار
باب كَيْفَ يَفْعَلُ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ قَائِمًا وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ عَنْ عَائِشَةَ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى جَالِسًا حَتَّى دَخَلَ فِي السِّنِّ فَكَانَ يُصَلِّي وَهُوَ جَالِسٌ يَقْرَأُ فَإِذَا غَبَرَ مِنَ السُّورَةِ ثَلاَثُونَ أَوْ أَرْبَعُونَ آيَةً قَامَ فَقَرَأَ بِهَا ثُمَّ رَكَعَ .
হাদীস নং: ১৬৫০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫০
দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায়
দাঁড়িয়ে নামায আদায়কালীন রুকুর পূর্ব মুহূর্তে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি করতেন?
১৬৫৩। যিয়াদ ইবনে আইয়ুব (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসা অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করতেন। যখন রুকু করার ইচ্ছা করতেন লোকদের চল্লিশ আয়াত পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত করার সময় থাকতে দাঁড়িয়ে যেতেন।
كتاب قيام الليل وتطوع النهار
باب كَيْفَ يَفْعَلُ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ قَائِمًا وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ عَنْ عَائِشَةَ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي هِشَامٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ وَهُوَ قَاعِدٌ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ قَدْرَ مَا يَقْرَأُ إِنْسَانٌ أَرْبَعِينَ آيَةً .
হাদীস নং: ১৬৫১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫১
দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায়
দাঁড়িয়ে নামায আদায়কালীন রুকুর পূর্ব মুহূর্তে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি করতেন?
১৬৫৪। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... সা’দ ইবনে হিশাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার মদীনাতে গেলে আয়িশা (রাযিঃ) এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, তুমি কে? আমি বললাম, আমি সা’দ ইবনে হিশাম ইবনে আমির। তিনি বললেন, তোমার পিতার উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করুন! আমি বললাম, আপনি আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ এরূপ ছিলেন না? আমি বললাম, নিশ্চয়। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাত্রে ইশার নামায আদায় করতেন। তারপর তার বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে যেতেন।

যখন অর্ধরাত্রি হয়ে যেত তিনি তার প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার জন্য এবং উযুর পানি নেয়ার জন্য উঠে যেতেন এবং উযু করে নিতেন। তারপর মসজিদে প্রবেশ করে আট রাকআত নামায আদায় করতেন। আমার ধারণা হত, যেন তিনি উপরোক্ত রাকআত সমুহের কিরাআত, রুকু এবং সিজদাতে সমতা বিধান করতেন। অতঃপর একটি রাকআত দ্বারা উপরোক্ত নামায সমূহকে বেজোড় করে দিতেন। পরে বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। তারপর তিনি শুয়ে পড়তেন। কখনো কখনো বিলাল (রাযিঃ) এসে তাকে হালকা নিন্দ্রা আসার পূর্বেই নামাযের সংবাদ দিতেন আর কখনো কখনো তার হালকা নিন্দ্রা এসে যেত, এবং কখনো কখনো আমার সন্দেহ হয়ে যেত যে, তিনি হালকা নিদ্রা গেলেন কি না। ইতিমধ্যে তাকে নামাযের সংবাদ দেওয়া হত। এই ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায।

যখন তিনি বার্ধক্যে উপনীত হলেন এবং তার শরীর ভারী হয়ে গেল। আয়িশা (রাযিঃ) আল্লাহর যা ইচ্ছা ছিল তার ভারী হওয়া সম্পর্কে উল্লেখ করলেন। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) লোকদের নিয়ে ইশার নামায আদায় করতেন। তারপর নিদ্রা যেতেন। যখন অর্ধ রাত্রি হত তিনি উযুর পানি নেয়ার জন্য এবং প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার জন্য নিদ্রা থেকে উঠে যেতেন এবং উযু করতেন ও মসজিদে প্রবেশ করে দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। আমি ধারণা করতাম যে, উক্ত দু’রাকআত নামাযে কিরাআত, রুকু এবং সিজদায় সমতা বিধান করতেন।

অতঃপর একটি রাকআত দ্বারা উক্ত নামায সমূহকে বেজোড় করে দিতেন। তারপর বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। পরে নিদ্রা যেতেন। কখনো কখনো বিলাল (রাযিঃ) এসে তাকে হালকা নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে নামাযের সংবাদ দিতেন আর কখনো হালকা নিদ্রা যেতেন। আর কখনো কখনো আমরে সন্দেহ হয়ে যেত যে, তিনি হালকা নিদ্রা গেলেন কিনা। ইতিমধ্যে তাঁকে নামাযের সংবাদ দেয়া হত। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এই ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সব সময়ের নামায।
كتاب قيام الليل وتطوع النهار
باب كَيْفَ يَفْعَلُ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ قَائِمًا وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ عَنْ عَائِشَةَ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ - رضى الله عنها - قَالَتْ مَنْ أَنْتَ قُلْتُ أَنَا سَعْدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ . قَالَتْ رَحِمَ اللَّهُ أَبَاكَ . قُلْتُ أَخْبِرِينِي عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ وَكَانَ . قُلْتُ أَجَلْ . قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ صَلاَةَ الْعِشَاءِ ثُمَّ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ فَيَنَامُ فَإِذَا كَانَ جَوْفُ اللَّيْلِ قَامَ إِلَى حَاجَتِهِ وَإِلَى طَهُورِهِ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَيُصَلِّي ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ يُخَيَّلُ إِلَىَّ أَنَّهُ يُسَوِّي بَيْنَهُنَّ فِي الْقِرَاءَةِ وَالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ ثُمَّ يَضَعُ جَنْبَهُ فَرُبَّمَا جَاءَ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ أَنْ يُغْفِيَ وَرُبَّمَا يُغْفِي وَرُبَّمَا شَكَكْتُ أَغْفَى أَوْ لَمْ يُغْفِ حَتَّى يُؤْذِنَهُ بِالصَّلاَةِ فَكَانَتْ تِلْكَ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَسَنَّ وَلَحُمَ - فَذَكَرَتْ مِنْ لَحْمِهِ مَا شَاءَ اللَّهُ - قَالَتْ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالنَّاسِ الْعِشَاءَ ثُمَّ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ فَإِذَا كَانَ جَوْفُ اللَّيْلِ قَامَ إِلَى طَهُورِهِ وَإِلَى حَاجَتِهِ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ يَدْخُلُ الْمَسْجِدَ فَيُصَلِّي سِتَّ رَكَعَاتٍ يُخَيَّلُ إِلَىَّ أَنَّهُ يُسَوِّي بَيْنَهُنَّ فِي الْقِرَاءَةِ وَالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ثُمَّ يُوتِرُ بِرَكْعَةٍ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ ثُمَّ يَضَعُ جَنْبَهُ وَرُبَّمَا جَاءَ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ أَنْ يُغْفِيَ وَرُبَّمَا أَغْفَى وَرُبَّمَا شَكَكْتُ أَغْفَى أَمْ لاَ حَتَّى يُؤْذِنَهُ بِالصَّلاَةِ قَالَتْ فَمَا زَالَتْ تِلْكَ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .