কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
১৬. চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৪৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭৬
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৭৯। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... আমরা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, আমার কাছে একজন ইয়াহুদী মহিলা এসে কিছু চাচ্ছিল। সে বলল, আল্লাহ আপনাকে কবরের আযাব থেকে মুক্তি দান করুন। তারপর যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসলেন, আমি তাকে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মানূষদের কি কবরের আযাব দেওয়া হবে? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে (তা থেকে) পানাহ চাচ্ছি তারপর তিনি বাহনে আরোহণ করলেন, ইতিমধ্যে সূর্যগ্রহণ লেগে গেল।
তখন আমি অন্যান্য মহিলাদের সাথে হুজরা সমুহের মধ্যবর্তী স্থানে ছিলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সওয়ারীর স্থান থেকে ফিরে এসে তাঁর নামাযের স্থানে আসলেন এবং মানুষদের নিয়ে নামায আদায় করলেন। তিনি নামাযে দাঁড়ালেন এবং দাঁড়ানোকে দীর্ঘায়িত করলেন, তারপর রুকু করলেন আর রুকুকেও দীর্ঘায়িত করলেন।
তারপর তার মাথা উঠালেন ও (পরবর্তী) দাঁড়ানোকেও দীর্ঘ করলেন। পুনরায় রুকু করলেন এবং রুকু দীর্ঘায়িত করলেন। তারপর মাথা উত্তোলন করলেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। পরে সিজদা করলেন এবং সিজদাকেও দীর্ঘ করলেন, তারপর দাঁড়ালেন এবং এ দাঁড়ানো ছিল প্রথম দাঁড়ানো অপেক্ষা সংক্ষিপ্ত। তারপর রুকু করলেন পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত। পরে তার মাথা উঠালেন ও দাঁড়ালেন যা পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। পরে রুকু করলেন যা পুর্ববতী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত। এরপর তার মাথা উঠালেন ও দাঁড়ালেন এবং তা পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল।
অতএব মোট চার রুকু এবং চার সিজদা। আর (ইত্যবসরে) সূর্য আলোকিত হয়ে গেল। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের কবরে দাজ্জালের পরীক্ষার ন্যায় পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এর পরে কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতে শুনেছি।
তখন আমি অন্যান্য মহিলাদের সাথে হুজরা সমুহের মধ্যবর্তী স্থানে ছিলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সওয়ারীর স্থান থেকে ফিরে এসে তাঁর নামাযের স্থানে আসলেন এবং মানুষদের নিয়ে নামায আদায় করলেন। তিনি নামাযে দাঁড়ালেন এবং দাঁড়ানোকে দীর্ঘায়িত করলেন, তারপর রুকু করলেন আর রুকুকেও দীর্ঘায়িত করলেন।
তারপর তার মাথা উঠালেন ও (পরবর্তী) দাঁড়ানোকেও দীর্ঘ করলেন। পুনরায় রুকু করলেন এবং রুকু দীর্ঘায়িত করলেন। তারপর মাথা উত্তোলন করলেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। পরে সিজদা করলেন এবং সিজদাকেও দীর্ঘ করলেন, তারপর দাঁড়ালেন এবং এ দাঁড়ানো ছিল প্রথম দাঁড়ানো অপেক্ষা সংক্ষিপ্ত। তারপর রুকু করলেন পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত। পরে তার মাথা উঠালেন ও দাঁড়ালেন যা পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। পরে রুকু করলেন যা পুর্ববতী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত। এরপর তার মাথা উঠালেন ও দাঁড়ালেন এবং তা পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল।
অতএব মোট চার রুকু এবং চার সিজদা। আর (ইত্যবসরে) সূর্য আলোকিত হয়ে গেল। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের কবরে দাজ্জালের পরীক্ষার ন্যায় পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এর পরে কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতে শুনেছি।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، - هُوَ الأَنْصَارِيُّ - قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ جَاءَتْنِي يَهُودِيَّةٌ تَسْأَلُنِي فَقَالَتْ أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ . فَلَمَّا جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُعَذَّبُ النَّاسُ فِي الْقُبُورِ فَقَالَ عَائِذًا بِاللَّهِ فَرَكِبَ مَرْكَبًا - يَعْنِي - وَانْخَسَفَتِ الشَّمْسُ فَكُنْتُ بَيْنَ الْحُجَرِ مَعَ نِسْوَةٍ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَرْكَبِهِ فَأَتَى مُصَلاَّهُ فَصَلَّى بِالنَّاسِ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ قَامَ قِيَامًا أَيْسَرَ مِنْ قِيَامِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ أَيْسَرَ مِنْ رُكُوعِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ أَيْسَرَ مِنْ قِيَامِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ أَيْسَرَ مِنْ رُكُوعِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ أَيْسَرَ مِنْ قِيَامِهِ الأَوَّلِ فَكَانَتْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " إِنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ كَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ " . قَالَتْ عَائِشَةُ فَسَمِعْتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭৭
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৮০। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহীম (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূর্য গ্রহণের সময় যমযমের নিকটস্থ ময়দানে চার রুকু এবং চার সিজদাসহ নামায আদায় করেছিলেন।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي كُسُوفٍ فِي صُفَّةِ زَمْزَمَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭৮
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৮১। আবু দাউদ (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে ভীষণ গরমের দিনে সুর্যের গ্রহণ লেগে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীদের নিয়ে নামায আদায় করলেন এবং দাঁড়ানোকে এত দীর্ঘায়িত করলেন যে, সাহাবীরা পড়ে যেতে লাগলেন। তারপর রুকু করলেন এবং তাও দীর্ঘায়িত করলেন এরপর মাথা উঠালেন এবং তাও দীর্ঘ করলেন। পরে রুকু করলেন এবং তাও দীর্ঘায়িত করলেন, পরে মাথা উঠালেন, আর তাও দীর্ঘায়িত করলেন।
তারপর দুটো সিজদা করলেন, তারপর দাঁড়ালেন এবং অনুরূপ করলেন। আর কখনো সম্মুখে এগিয়ে যেতে লাগলেন এবং কখনো পেছনে সরে যেতে লাগলেন এভাবে মোট চার রুকু এবং চার সিজদা হল। তারা বলতেন যে, তাদের কোন বড় ব্যক্তির মৃত্যু ছাড়া চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ হয় না। অথচ সূর্য এবং চন্দ্র হল আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দুটি নিদর্শন যা আল্লাহ তোমাদের দেখান। অতএব যখন সূর্যগ্রহণ লাগে তখন তোমরা সূর্য আলোকিত না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করবে।
তারপর দুটো সিজদা করলেন, তারপর দাঁড়ালেন এবং অনুরূপ করলেন। আর কখনো সম্মুখে এগিয়ে যেতে লাগলেন এবং কখনো পেছনে সরে যেতে লাগলেন এভাবে মোট চার রুকু এবং চার সিজদা হল। তারা বলতেন যে, তাদের কোন বড় ব্যক্তির মৃত্যু ছাড়া চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ হয় না। অথচ সূর্য এবং চন্দ্র হল আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দুটি নিদর্শন যা আল্লাহ তোমাদের দেখান। অতএব যখন সূর্যগ্রহণ লাগে তখন তোমরা সূর্য আলোকিত না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করবে।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، صَاحِبُ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمٍ شَدِيدِ الْحَرِّ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَصْحَابِهِ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى جَعَلُوا يَخِرُّونَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَصَنَعَ نَحْوًا مِنْ ذَلِكَ وَجَعَلَ يَتَقَدَّمُ ثُمَّ جَعَلَ يَتَأَخَّرُ فَكَانَتْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ كَانُوا يَقُولُونَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَخْسِفَانِ إِلاَّ لِمَوْتِ عَظِيمٍ مِنْ عُظَمَائِهِمْ وَإِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ يُرِيكُمُوهُمَا فَإِذَا انْخَسَفَتْ فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭৯
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৮২। মাহমুদ ইবনে খালিদ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে একবার সূয গ্রহণ লেগে গেল। তখন তিনি আদেশ দিলে আওয়ায দেওয়া হল যে, নামায অনুষ্ঠিত হবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মানুষদের নিয়ে নামায আদায় করলেন, দু’রুকু এবং সিজদা দ্বারা। পরে দাঁড়ালেন ও নামায আদায় করলেন দু’রুকু এবং সিজদা দ্বারা। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি কখনো এর চেয়ে দীর্ঘ কোন রুকু এবং সিজদা করিনি।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مَرْوَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلاَّمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ فَنُودِيَ الصَّلاَةُ جَامِعَةٌ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ رَكْعَتَيْنِ وَسَجْدَةً ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَسَجْدَةً . قَالَتْ عَائِشَةُ مَا رَكَعْتُ رُكُوعًا قَطُّ وَلاَ سَجَدْتُ سُجُودًا قَطُّ كَانَ أَطْوَلَ مِنْهُ . خَالَفَهُ مُحَمَّدُ بْنُ حِمْيَرٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৮০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮০
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৮৩। ইয়াহয়া ইবনে উসমান (রাহঃ) ......... আব্দুলাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুটো রুকু এবং দুটো সিজদা করলেন, তারপর দাঁড়ালেন এবং দুটো রুকু ও দুটো সিজদা করলেন, পরে গ্রহণ ছেড়ে গেল। আয়িশা (রাযিঃ) বলতেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর থেকে কোন দীর্ঘ রুকু এবং সিজদা করেননি।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ حِمْيَرٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سَلاَّمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي طُعْمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ فَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ وَسَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ وَسَجْدَتَيْنِ ثُمَّ جُلِّيَ عَنِ الشَّمْسِ . وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَقُولُ مَا سَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُجُودًا وَلاَ رَكَعَ رُكُوعًا أَطْوَلَ مِنْهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮১
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৮৪। আবু বকর ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম আবু হাফসা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আয়িশা (রাযিঃ) তার কাছে বর্ণনা করেছেন, একবার যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে সূর্য গ্রহণ লেগে গেল, তখন তিনি উযু করলেন এবং নির্দেশ দিলে আওয়ায দেওয়া হল যে, নামায অনুষ্ঠিত হবে। তখন তিনি দাঁড়ালেন এবং তার নামাযে দাঁড়ানোকে দীর্ঘায়িত করলেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি অনুমান করলাম যে, তিনি সূরা বাকারা পড়ছিলেন, তারপর রুকু করলেন-এবং রুকুকে দীর্ঘায়িত করলেন। এরপরে বললেন ″সামিআল্লাহু লিমান হামিদা″ তারপর দাঁড়ালেন পূর্বের দাঁড়ানোর সমপরিমাণ। কিন্তু সিজদা করলেন না। পরে রুকু এবং সিজদা করলেন। এরপরে দাঁড়ালেন এবং পূর্বের মতই দু’ রুকু এবং সিজদা করলেন। তারপর বসলেন এবং সূর্য গ্রহণও ছেড়ে গেল।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدٍ، سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَفْصَةَ، مَوْلَى عَائِشَةَ أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّهُ، لَمَّا كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ وَأَمَرَ فَنُودِيَ أَنَّ الصَّلاَةَ جَامِعَةٌ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ فِي صَلاَتِهِ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَحَسِبْتُ قَرَأَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ قَامَ مِثْلَ مَا قَامَ وَلَمْ يَسْجُدْ ثُمَّ رَكَعَ فَسَجَدَ ثُمَّ قَامَ فَصَنَعَ مِثْلَ مَا صَنَعَ رَكْعَتَيْنِ وَسَجْدَةً ثُمَّ جَلَسَ وَجُلِّيَ عَنِ الشَّمْسِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮২
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৮৫। হিলাল ইবনে বিশর (রাহঃ) ......... আবু সাইব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) তার কাছে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে একবার সূর্যের গ্রহণ লেগে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন, আর তার সাথে যারা ছিল তাঁরাও দাঁড়িয়ে গেল। তিনি দাঁড়ালেন আর রুকুকে দীর্ঘায়িত করলেন, তারপর রুকু করলেন আর রুকুকেও দীর্ঘায়িত করলেন। তারপর তাঁর মাথা উঠালেন ও সিজদা করলেন এবং সিজদাকেও দীর্ঘায়িত করলেন। তারপর মাথা উঠালেন ও বসলেন, আর বসাকেও দীর্ঘায়িত করলেন। তারপর সিজদা করলেন এবং এ সিজদাকেও দীর্ঘায়িত করলেন।
তারপর মাথা উঠালেন ও দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি প্রথম রাকআতে যা যা করেছিলেন অর্থাৎ দাঁড়ানো, রুকু, সিজদা, এবং বসা তদ্রূপ দ্বিতীয় রাকআতেও করলেন। তিনি দ্বিতীয় রাকআতের শেষ সিজদায় ফুঁক মারতে লাগলেন এবং কেঁদে কেঁদে বলতে লাগলেন, (হে আল্লাহ!) আমি তাদের মাঝে বিদ্যমান থাকাকালীন তুমি তাদের এমনতরো আযাব দেওয়ার আমার কাছে ওয়াদা করনি, তোমার কাছে মাগফিরাত চাওয়াকালীন তুমি তো আমার কাছে তাদের আযাব দেওয়ার ওয়াদা করনি। তারপর তিনি মাথা উঠালেন এবং সূর্যও আলোকিত হয়ে গেল।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়ালেন এবং মানুষদের লক্ষ্য করে খুতবা দিলেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসা এবং গুণগান করলেন। তারপর বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দুটি নিদর্শন। অতএব, যখন তোমরা তাদের কোনটার গ্রহণ দেখতে পাও, তখন আল্লাহ তাআলার নিকট অভিমুখে দ্রুত ধাবিত হও। ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই জান্নাত আমার নিকটবর্তী করে দেওয়া হয়েছিল যে, আমি যদি হস্ত প্রসারিত করতাম তাহলে আমি তার ফলরাশি ধরতে পারতাম, আর জাহান্নামও আমার নিকটবতীঃ করে দেওয়া হলো। আমি তার থেকে বেঁচে থাকতে লাগলাম এই ভয়ে যে তা তোমাদের বেহুশ করে ফেলে!
আমি তাতে হিময়ার গোত্রের এক মহিলাকে দেখতে পেলাম। তাকে একটি বিড়ালের কারণে আযাব দেওয়া হচ্ছে, যাকে সে বেঁধে রেখেছিল। তাকে যমীনের কীট-পতঙ্গ খাওয়ার জন্য ছেড়েও দিতনা আর তাকে সে খাদ্য ও পানিও দিত না, এমনকি বিড়ালটা মারা গিয়েছিল। আমি তাকে দেখতে পেলাম যে, বিড়ালটি ঐ মহিলাকে খামচাচ্ছে যখনই সে তার দিকে মুখ করছে, আর যখন সে পিছনে ফিরছে, তখন তার নিতম্বে খামচাচ্ছে। এমনকি আমি তাতে দা’দাগোত্রের চোর ভাইকেও দেখেছি, তাকে দু’শাখা বিশিষ্ট একটি লাঠি দ্বারা ঠেলে দু’মুখে নিক্ষেপ করা হচ্ছিল। আমি আরও তাতে মাথা বাকা লাঠি ওয়ালা মানুষটিকে দেখেছি, যে বক্র মাথা লাঠি দ্বারা হাজীদের মাল চুরি করত। দেখতে পেলাম, সে জাহান্নামে বক্র মাথা লাঠিতে ঠেস দিয়ে বলছে, আমি বক্র মাথা লাঠি দ্বারা চুরি করতাম।
তারপর মাথা উঠালেন ও দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি প্রথম রাকআতে যা যা করেছিলেন অর্থাৎ দাঁড়ানো, রুকু, সিজদা, এবং বসা তদ্রূপ দ্বিতীয় রাকআতেও করলেন। তিনি দ্বিতীয় রাকআতের শেষ সিজদায় ফুঁক মারতে লাগলেন এবং কেঁদে কেঁদে বলতে লাগলেন, (হে আল্লাহ!) আমি তাদের মাঝে বিদ্যমান থাকাকালীন তুমি তাদের এমনতরো আযাব দেওয়ার আমার কাছে ওয়াদা করনি, তোমার কাছে মাগফিরাত চাওয়াকালীন তুমি তো আমার কাছে তাদের আযাব দেওয়ার ওয়াদা করনি। তারপর তিনি মাথা উঠালেন এবং সূর্যও আলোকিত হয়ে গেল।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়ালেন এবং মানুষদের লক্ষ্য করে খুতবা দিলেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসা এবং গুণগান করলেন। তারপর বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দুটি নিদর্শন। অতএব, যখন তোমরা তাদের কোনটার গ্রহণ দেখতে পাও, তখন আল্লাহ তাআলার নিকট অভিমুখে দ্রুত ধাবিত হও। ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই জান্নাত আমার নিকটবর্তী করে দেওয়া হয়েছিল যে, আমি যদি হস্ত প্রসারিত করতাম তাহলে আমি তার ফলরাশি ধরতে পারতাম, আর জাহান্নামও আমার নিকটবতীঃ করে দেওয়া হলো। আমি তার থেকে বেঁচে থাকতে লাগলাম এই ভয়ে যে তা তোমাদের বেহুশ করে ফেলে!
আমি তাতে হিময়ার গোত্রের এক মহিলাকে দেখতে পেলাম। তাকে একটি বিড়ালের কারণে আযাব দেওয়া হচ্ছে, যাকে সে বেঁধে রেখেছিল। তাকে যমীনের কীট-পতঙ্গ খাওয়ার জন্য ছেড়েও দিতনা আর তাকে সে খাদ্য ও পানিও দিত না, এমনকি বিড়ালটা মারা গিয়েছিল। আমি তাকে দেখতে পেলাম যে, বিড়ালটি ঐ মহিলাকে খামচাচ্ছে যখনই সে তার দিকে মুখ করছে, আর যখন সে পিছনে ফিরছে, তখন তার নিতম্বে খামচাচ্ছে। এমনকি আমি তাতে দা’দাগোত্রের চোর ভাইকেও দেখেছি, তাকে দু’শাখা বিশিষ্ট একটি লাঠি দ্বারা ঠেলে দু’মুখে নিক্ষেপ করা হচ্ছিল। আমি আরও তাতে মাথা বাকা লাঠি ওয়ালা মানুষটিকে দেখেছি, যে বক্র মাথা লাঠি দ্বারা হাজীদের মাল চুরি করত। দেখতে পেলাম, সে জাহান্নামে বক্র মাথা লাঠিতে ঠেস দিয়ে বলছে, আমি বক্র মাথা লাঠি দ্বারা চুরি করতাম।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا هِلاَلُ بْنُ بِشْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي السَّائِبُ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، حَدَّثَهُ قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الصَّلاَةِ وَقَامَ الَّذِينَ مَعَهُ فَقَامَ قِيَامًا فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَسَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَجَلَسَ فَأَطَالَ الْجُلُوسَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَقَامَ فَصَنَعَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ مَا صَنَعَ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مِنَ الْقِيَامِ وَالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَالْجُلُوسِ فَجَعَلَ يَنْفُخُ فِي آخِرِ سُجُودِهِ مِنَ الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ وَيَبْكِي وَيَقُولُ " لَمْ تَعِدْنِي هَذَا وَأَنَا فِيهِمْ لَمْ تَعِدْنِي هَذَا وَنَحْنُ نَسْتَغْفِرُكَ " . ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَإِذَا رَأَيْتُمْ كُسُوفَ أَحَدِهِمَا فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَقَدْ أُدْنِيَتِ الْجَنَّةُ مِنِّي حَتَّى لَوْ بَسَطْتُ يَدِي لَتَعَاطَيْتُ مِنْ قُطُوفِهَا وَلَقَدْ أُدْنِيَتِ النَّارُ مِنِّي حَتَّى لَقَدْ جَعَلْتُ أَتَّقِيهَا خَشْيَةَ أَنْ تَغْشَاكُمْ حَتَّى رَأَيْتُ فِيهَا امْرَأَةً مِنْ حِمْيَرَ تُعَذَّبُ فِي هِرَّةٍ رَبَطَتْهَا فَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ فَلاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَلاَ هِيَ سَقَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ فَلَقَدْ رَأَيْتُهَا تَنْهَشُهَا إِذَا أَقْبَلَتْ وَإِذَا وَلَّتْ تَنْهَشُ أَلْيَتَهَا وَحَتَّى رَأَيْتُ فِيهَا صَاحِبَ السِّبْتِيَّتَيْنِ أَخَا بَنِي الدَّعْدَاعِ يُدْفَعُ بِعَصًا ذَاتِ شُعْبَتَيْنِ فِي النَّارِ وَحَتَّى رَأَيْتُ فِيهَا صَاحِبَ الْمِحْجَنِ الَّذِي كَانَ يَسْرِقُ الْحَاجَّ بِمِحْجَنِهِ مُتَّكِئًا عَلَى مِحْجَنِهِ فِي النَّارِ يَقُولُ أَنَا سَارِقُ الْمِحْجَنِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮৩
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৮৬। মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন তিনি দাঁড়ালেন এবং মানুষদের নিয়ে নামায আদায় করলেন। তিনি দাঁড়ানোকে দীর্ঘায়িত করলেন তারপর রুকু করলেন আর রুকুও দীর্ঘায়িত করলেন। তারপর দাঁড়ালেন এবং দাঁড়ানোকেও দীঘায়িত করলেন কিন্তু তা পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর রুকু করলেন এবং রুকুকেও দীর্ঘায়িত করলেন, কিন্তু পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর সিজদা করলেন আর সিজদাকেও দীর্ঘায়িত করলেন।
পরে তার মাথা উঠালেন এবং সিজদা করলেন। আর সিজদাও দীর্ঘায়িত করলেন কিন্তু তা পূর্ববর্তী সিজদা থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর দাড়ালেন ও দু’ রুকু করলেন এবং তাতেও পূর্বের ন্যায় করলেন। তারপর দু’টা সিজদা করলেন এবং তাতেও পূর্বের ন্যায় করলেন। এভাবে তিনি তার নামায থেকে অবসর হয়ে গেলেন। তারপর বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দু’টি নিদর্শন। নিশ্চয়ই কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে তাদের গ্রহণ হয় না। অতএব, তোমরা যখন তা দেখবে তখন দ্রুত আল্লাহর যিক্র এবং নামাযের প্রতি ধাবিত হবে।
পরে তার মাথা উঠালেন এবং সিজদা করলেন। আর সিজদাও দীর্ঘায়িত করলেন কিন্তু তা পূর্ববর্তী সিজদা থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর দাড়ালেন ও দু’ রুকু করলেন এবং তাতেও পূর্বের ন্যায় করলেন। তারপর দু’টা সিজদা করলেন এবং তাতেও পূর্বের ন্যায় করলেন। এভাবে তিনি তার নামায থেকে অবসর হয়ে গেলেন। তারপর বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দু’টি নিদর্শন। নিশ্চয়ই কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে তাদের গ্রহণ হয় না। অতএব, তোমরা যখন তা দেখবে তখন দ্রুত আল্লাহর যিক্র এবং নামাযের প্রতি ধাবিত হবে।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْعَظِيمِ، قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ، سَبَلاَنُ قَالَ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ فَصَلَّى لِلنَّاسِ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ وَهُوَ دُونَ السُّجُودِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَفَعَلَ فِيهِمَا مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ يَفْعَلُ فِيهِمَا مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى فَرَغَ مِنْ صَلاَتِهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَإِنَّهُمَا لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَافْزَعُوا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَإِلَى الصَّلاَةِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮৪
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৮৭। হিলাল ইবনে আলা (রাহঃ) ......... আসওয়াদ ইবনে কায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বসরার অধিবাসী ছা’লাবা ইবনে আব্বাদ আব্দী (রাহঃ) একদিন সামুরা ইবনে জুন্দুব (রাযিঃ)-এর খুতবায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার খুতবায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করলেন। সামুরা (রাযিঃ) বললেন, আমি এবং এক আনসারী গোলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে একদিন আমাদের লক্ষ্যস্থলে তীর নিক্ষেপ করছিলাম। ইতিমধ্যে যখন সূর্য দিগন্তে দর্শনার্থীদের দৃষ্টিতে দুই কি তিন বর্শার পরিমাণ মাত্র অবশিষ্ট রয়ে গেল, তা কাল হয়ে গেল।
তখন আমাদের একজন তার সাথীকে বলল, তুমি আমাদের সাথে মসজিদে চল। আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে সূর্যের এ অবস্থা তার উম্মতের জন্য কোন নতুন ঘটনার ইঙ্গিতবহ। তিনি বলেন, তখন আমরা মসজিদে গেলাম এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দেখতে পেলাম যে, তিনি লোকদের নিকট বের হয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অগ্রসর হয়ে নামাযে দাঁড়ালেন। তিনি নামাযে এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন যে, ইতিপূর্বে তিনি আমাদের নিয়ে নামাযে এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন নি। তার কোন আওয়াজ আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম না। তারপর তিনি আমাদের সহ এত দীর্ঘ রুকু করলেন যে, ইতিপূর্বে কোন নামাযে আমাদের নিয়ে এত দীঘায়িত রুকু করেন নি। আমরা তার কোন আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম না। তারপর তিনি আমাদের নিয়ে এত দীর্ঘ সিজদা করলেন যে, ইতিপূর্বে কোন নামাযে এরূপ দীর্ঘ সিজদা করেননি।
তার কোন আওয়াজ আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম না। তারপর তিনি অনুরূপভাবে দ্বিতীয় রাকআতেও করলেন। তিনি বলেন, তার দ্বিতীয় রাকআতে বসা অবস্থায় আলো বিকশিত হয়ে গেল। পরে তিনি সালাম ফিরালেন এবং আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তারীফ করলেন এবং এ কথার সাক্ষ্য দিলেন যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ নেই এবং এ কথারও সাক্ষ্য দিলেন যে, তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তার রাসুল। (সংক্ষিপ্ত)
তখন আমাদের একজন তার সাথীকে বলল, তুমি আমাদের সাথে মসজিদে চল। আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে সূর্যের এ অবস্থা তার উম্মতের জন্য কোন নতুন ঘটনার ইঙ্গিতবহ। তিনি বলেন, তখন আমরা মসজিদে গেলাম এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দেখতে পেলাম যে, তিনি লোকদের নিকট বের হয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অগ্রসর হয়ে নামাযে দাঁড়ালেন। তিনি নামাযে এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন যে, ইতিপূর্বে তিনি আমাদের নিয়ে নামাযে এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন নি। তার কোন আওয়াজ আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম না। তারপর তিনি আমাদের সহ এত দীর্ঘ রুকু করলেন যে, ইতিপূর্বে কোন নামাযে আমাদের নিয়ে এত দীঘায়িত রুকু করেন নি। আমরা তার কোন আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম না। তারপর তিনি আমাদের নিয়ে এত দীর্ঘ সিজদা করলেন যে, ইতিপূর্বে কোন নামাযে এরূপ দীর্ঘ সিজদা করেননি।
তার কোন আওয়াজ আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম না। তারপর তিনি অনুরূপভাবে দ্বিতীয় রাকআতেও করলেন। তিনি বলেন, তার দ্বিতীয় রাকআতে বসা অবস্থায় আলো বিকশিত হয়ে গেল। পরে তিনি সালাম ফিরালেন এবং আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তারীফ করলেন এবং এ কথার সাক্ষ্য দিলেন যে, আল্লাহ ভিন্ন কোন ইলাহ নেই এবং এ কথারও সাক্ষ্য দিলেন যে, তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তার রাসুল। (সংক্ষিপ্ত)
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا هِلاَلُ بْنُ الْعَلاَءِ بْنِ هِلاَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَيَّاشٍ، قَالَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي ثَعْلَبَةُ بْنُ عِبَادٍ الْعَبْدِيُّ، مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ أَنَّهُ شَهِدَ خُطْبَةً يَوْمًا لِسَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ فَذَكَرَ فِي خُطْبَتِهِ حَدِيثًا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمُرَةُ بْنُ جُنْدُبٍ بَيْنَا أَنَا يَوْمًا وَغُلاَمٌ مِنَ الأَنْصَارِ نَرْمِي غَرَضَيْنِ لَنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ قِيدَ رُمْحَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةٍ فِي عَيْنِ النَّاظِرِ مِنَ الأُفُقِ اسْوَدَّتْ فَقَالَ أَحَدُنَا لِصَاحِبِهِ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى الْمَسْجِدِ فَوَاللَّهِ لَيُحْدِثَنَّ شَأْنُ هَذِهِ الشَّمْسِ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أُمَّتِهِ حَدَثًا - قَالَ - فَدَفَعْنَا إِلَى الْمَسْجِدِ - قَالَ - فَوَافَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ خَرَجَ إِلَى النَّاسِ - قَالَ - فَاسْتَقْدَمَ فَصَلَّى فَقَامَ كَأَطْوَلِ قِيَامٍ قَامَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ مَا نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا ثُمَّ رَكَعَ بِنَا كَأَطْوَلِ رُكُوعٍ مَا رَكَعَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ مَا نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا ثُمَّ سَجَدَ بِنَا كَأَطْوَلِ سُجُودٍ مَا سَجَدَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا ثُمَّ فَعَلَ ذَلِكَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ ذَلِكَ - قَالَ - فَوَافَقَ تَجَلِّي الشَّمْسِ جُلُوسَهُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ فَسَلَّمَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَشَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَشَهِدَ أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ . مُخْتَصَرٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮৫
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৮৮। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... নু’মান ইবনে বাশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যূগে একবার সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন তিনি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তার কাপড় সামলাতে সামলাতে বের হয়ে মসজিদে পৌছে গেলেন এবং আমাদের তিনি এভাবে নামায আদায় করতে থাকলেন যে, সূর্য আলোকিত হয়ে গেল। যখন সূর্য আলোকিত হয়ে গেল, তখন তিনি বললেন, মানূষেরা ধারণা করে যে, সূর্য এবং চন্দ্র গ্রহণ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুর কারণেই হয়ে থাকে, কিন্তু ব্যাপারে তা নয়। কারো মৃত্যুর করেণে চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ হয় না, বরং তা আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দু’টি নিদর্শন। যখন আল্লাহর জন্য তাঁর কোন সৃষ্টির প্রতি তার নূরে বহিঃপ্রকাশ ঘটান, তখন ঐ সৃষ্টি তাঁর অনুগত হয়ে যায় (অথাৎ তার আলো নিষ্প্রভ হয়ে যায়)। অতএব, তোমরা যখন তা দেখ, তখন নামায আদায় কর, তোমাদের আদায়কৃত ফরয নামাযের মধ্যে নামায আদায়কৃত নামাযের (ফজরের নামাযের) মত।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ يَجُرُّ ثَوْبَهُ فَزِعًا حَتَّى أَتَى الْمَسْجِدَ فَلَمْ يَزَلْ يُصَلِّي بِنَا حَتَّى انْجَلَتْ فَلَمَّا انْجَلَتْ قَالَ " إِنَّ نَاسًا يَزْعُمُونَ أَنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ إِلاَّ لِمَوْتِ عَظِيمٍ مِنَ الْعُظَمَاءِ وَلَيْسَ كَذَلِكَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا بَدَا لِشَىْءٍ مِنْ خَلْقِهِ خَشَعَ لَهُ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَصَلُّوا كَأَحْدَثِ صَلاَةٍ صَلَّيْتُمُوهَا مِنَ الْمَكْتُوبَةِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮৬
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৮৯। ইবরাহীম ইবনে ইয়াকুব (রাহঃ) ......... কাবীসা ইবনে মুখারিক হিলালী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে মদীনায় ছিলাম। তখন তিনি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কাপড় সামলাতে সামলাতে বের হলেন। তারপর দু’রাকআত নামায আদায় করলেন এবং তা এত দীর্ঘায়িত করলেন যে, তার নামায সমাপ্তির সাথে সাথে সূর্যের আলো বিকশিত হয়ে গেল। তারপর আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তারীফ করলেন। তারপর বললেন যে, চন্দ্র-সূর্য আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দু’টি নিদর্শন। নিশ্চয়ই কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে তাদের গ্রহণ হয় না। অতএব তোমরা যখন তার কোন চিহ্ন দেখতে পাও, তখন নামায আদায় কর তোমাদের নামায আদায়কৃত ফরয নামাযের ন্যায়।
باب نَوْعٌ آخَرُ
وَأَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، أَنَّ جَدَّهُ، عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ الْوَازِعِ حَدَّثَهُ قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلاَلِيِّ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ وَنَحْنُ إِذْ ذَاكَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ فَخَرَجَ فَزِعًا يَجُرُّ ثَوْبَهُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ أَطَالَهُمَا فَوَافَقَ انْصِرَافُهُ انْجِلاَءَ الشَّمْسِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَإِنَّهُمَا لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَصَلُّوا كَأَحْدَثِ صَلاَةٍ مَكْتُوبَةٍ صَلَّيْتُمُوهَا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৪৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮৭
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৯০। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... কাবীসা হিলালী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন নবী (ﷺ) দু’রাকআত, দু’রাকআত করে নামায আদায় করতে লাগলেন। ইত্যবসরে সূর্য আলোকিত হয়ে গেল। তারপর তিনি বললেন, কারো মৃত্যুর কারণে চন্দ্র-সূর্যে গ্রহণ হয় না বরং তারা হল আল্লাহর সৃষ্ট বস্তু সমূহের মধ্যে দু’টি বস্তু, আর আল্লাহ তাআলা তার সৃষ্টিতে যা ইচ্ছা নব নব সৃষ্টি করেন এবং আল্লাহ তাআলা যখন তার কোন বস্তুতে তার নূরের বহিঃপ্রকাশ ঘটান তখন তা তার অনুগত হয়ে যায় (অর্থাৎ সেই বস্তুর আলো নিস্প্রভ হয়ে যায়)। অতএব সূর্য এবং চন্দ্রে যদি নতুন কিছু ঘটে, তবে তোমরা নামায আদায় করতে থাকবে, তা আলোকিত হওয়া অথবা আল্লাহ তাআলার নতুন কোন ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، - وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ - قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ قَبِيصَةَ الْهِلاَلِيِّ، أَنَّ الشَّمْسَ، انْخَسَفَتْ فَصَلَّى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ حَتَّى انْجَلَتْ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْخَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَكِنَّهُمَا خَلْقَانِ مِنْ خَلْقِهِ وَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُحْدِثُ فِي خَلْقِهِ مَا شَاءَ وَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا تَجَلَّى لِشَىْءٍ مِنْ خَلْقِهِ يَخْشَعُ لَهُ فَأَيُّهُمَا حَدَثَ فَصَلُّوا حَتَّى يَنْجَلِيَ أَوْ يُحْدِثَ اللَّهُ أَمْرًا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৪৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮৮
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৯১। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... নু’মান ইবনে বশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, যখন সূর্য এবং চন্দ্রের গ্রহণ লেগে যায়, তখন তোমরা সম্প্রতি নামায আদায়কৃত নামাযের ন্যায় নামায আদায় কর।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا خَسَفَتِ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ فَصَلُّوا كَأَحْدَثِ صَلاَةٍ صَلَّيْتُمُوهَا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮৯
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৯২। আহমদ ইবনে উসমান ইবনে হাকীম (রাহঃ) ......... নু’মান ইবনে বশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, যখন সূর্যগ্রহণ লেগে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নামাযের ন্যায় নামায আদায় করলেন। তিনি রুকু ও সিজদাও করলেন।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى حِينَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ مِثْلَ صَلاَتِنَا يَرْكَعُ وَيَسْجُدُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৯০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯০
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৯৩। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... নু’মান ইবনে বশীর (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একদিন অতি দ্রুত মসজিদ অভিমুখে বের হয়ে গেলেন, তখন সূর্যগ্রহণ লেগে গিয়েছিল। তারপর এমনিতে নামায আদায় করলেন যে, সূর্য আলোকিত হয়ে গেল। তারপর তিনি বললেন, জাহিলী যুগের লোকেরা বলত যে, কোন মহান ব্যক্তির মৃত্যু ব্যতীত চন্দ্র-সৃর্যের গ্রহণ হয় না। অথচ কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে চন্দ্র-সূর্যের গ্রহণ হয় না, বরং তারা আল্লাহর সৃষ্ট বস্তুসমূহের দুটি বস্তু। আল্লাহ তাআলা তার সৃষ্টিতে যা যা ইচ্ছা নতুন নতুন সৃষ্টি করেন। অতএব সূর্য এবং চন্দ্রের কারো যদি গ্রহণ লেগে যায়, তবে তোমরা নামায আদায় করতে থাকবে, তা আলোকিত হওয়া অথবা আল্লাহ তাআলার নতুন কোন ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا مُسْتَعْجِلاً إِلَى الْمَسْجِدِ وَقَدِ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى حَتَّى انْجَلَتْ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ أَهْلَ الْجَاهِلِيَّةِ كَانُوا يَقُولُونَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْخَسِفَانِ إِلاَّ لِمَوْتِ عَظِيمٍ مِنْ عُظَمَاءِ أَهْلِ الأَرْضِ وَإِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْخَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّهُمَا خَلِيقَتَانِ مِنْ خَلْقِهِ يُحْدِثُ اللَّهُ فِي خَلْقِهِ مَا يَشَاءُ فَأَيُّهُمَا انْخَسَفَ فَصَلُّوا حَتَّى يَنْجَلِيَ أَوْ يُحْدِثَ اللَّهُ أَمْرًا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৯১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯১
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৯৪। ইমরান ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে ছিলাম, ইতিমধ্যে সূর্যের গ্রহণ লেগে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চাদর সামলাতে সামলাতে বের হয়ে মসজিদ পর্যন্ত পৌছে গেলেন। অন্যান্য লোকেরাও মসজিদে একত্রিত হয়ে গেল। তখন তিনি আমাদের নিয়ে দু’রাকআত নামায আদায় করলেন, যখন সূর্য আলোকিত হয়ে গেল তিনি বললেন, চন্দ্র-সূর্য আল্লাহর নিদর্শন সমুহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন, আল্লাহ তাআলা তদ্বারা বান্দাদের ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন।
আর কারো জন্ম-মৃত্যুর কারণে তাদের গ্রহণ হয় না। অতএব তোমরা যখন তা দেখবে, তখন নামায আদায় করবে। তোমাদের মধ্যে যে ধারণা রয়েছে তা দূরীভূত হয়ে যায়। তা হল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর এক ছেলে ইবরাহীম (রাযিঃ) মৃত্যুবরণ করেছিল। তখন লোকেরা বলাবলি করতে লাগল যে, গ্রহণ তার মৃত্যুর কারণেই হয়েছে।
আর কারো জন্ম-মৃত্যুর কারণে তাদের গ্রহণ হয় না। অতএব তোমরা যখন তা দেখবে, তখন নামায আদায় করবে। তোমাদের মধ্যে যে ধারণা রয়েছে তা দূরীভূত হয়ে যায়। তা হল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর এক ছেলে ইবরাহীম (রাযিঃ) মৃত্যুবরণ করেছিল। তখন লোকেরা বলাবলি করতে লাগল যে, গ্রহণ তার মৃত্যুর কারণেই হয়েছে।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْكَسَفَتِ الشَّمْسُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَجُرُّ رِدَاءَهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى الْمَسْجِدِ وَثَابَ إِلَيْهِ النَّاسُ فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ فَلَمَّا انْكَشَفَتِ الشَّمْسُ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ يُخَوِّفُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهِمَا عِبَادَهُ وَإِنَّهُمَا لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَصَلُّوا حَتَّى يُكْشَفَ مَا بِكُمْ " . وَذَلِكَ أَنَّ ابْنًا لَهُ مَاتَ يُقَالُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ فَقَالَ لَهُ نَاسٌ فِي ذَلِكَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৪৯২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯২
অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৯৫। ইসমাঈল ইবনে মাসউদ (রাহঃ) ......... আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাদের সদ্য সমাপ্ত নামাযের ন্যায় দু’রাকআত নামায আদায় করেছিলেন আর তখন সূর্যগ্রহণের কথা উল্লেখ করলেন।
باب نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى رَكْعَتَيْنِ مِثْلَ صَلاَتِكُمْ هَذِهِ وَذَكَرَ كُسُوفَ الشَّمْسِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: