কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
১৬. চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৪৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭২
আয়িশা (রাযিঃ) থেকে আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৭৫। মুহাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন তিনি নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তাকবীর বললেন, মুসল্লীরাও তার পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দীর্ঘ কিরাআত পড়লেন। তারপর তাকবীর বললেন ও দীর্ঘ রুকু করলেন।
এরপর মাথা উঠালেন ও বললেন, ″সামিআল্লাহু লিমান হামিদা রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ″ তারপর দাঁড়ালেন ও দীর্ঘ কিরাআত পড়লেন, যা পূর্ববর্তী কিরাআত থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল, তারপর তাকবীর বললেন ও দীর্ঘ রুকু করলেন, যা পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল, পরে বললেন ″সামিআল্লাহু লিমান হামিদা, রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ″ তারপর সিজদা করলেন। পরে দ্বিতীয় রাকআতেও অনুরূপই করলেন। এভাবে তিনি চার রুকু এবং চার সিজদা আদায় করলেন, আর তার নামায সমাপ্ত করে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে সূর্যও আলোকিত হয়ে গেল।
পরে তিনি দাঁড়ালেন ও লোকদের সামনে খুতবা দিলেন ও আল্লাহ তাআলার যথোপযুক্ত প্রশংসা করে বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দুটো নিদর্শন। তাদের গ্রহণ কারো জন্ম-মৃত্যুর কারণে হয় না। অতএব, তোমরা যখন তাদের গ্রহণ দেখবে, তখন তোমরা নামায আদায় করতে থাকবে যাতে যতক্ষণ না তোমরা মুক্ত হও। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি আমার এই দাঁড়ানো অবস্থায় থেকে তোমাদের জন্য ওয়াদাকৃত সমুদয় বস্তু দেখতে পেয়েছি।
তোমরা আমাকে দেখেছ যে, যখন আমি অগ্রসর হয়েছি তখন আমি জান্নাতের একটি মাথা ধরার ইচ্ছা করেছিলাম, যখন তোমরা আমাকে পিছু হটতে দেখলে, তখন আমি জাহান্নামকে দেখলাম যে, তার কিয়দংশ কিয়দংশকে খেয়ে ফেলছে। আর আমি তাতে ইবনে লুহাইকেও দেখেছি, যে চতুষ্পদ জন্তুকে (পিঠে সওয়ার হওয়া, বোঝা বহন করানো ইত্যাদি কাজ থেকে অব্যাহিত দিয়ে) ছেড়ে দেওয়ার প্রথা চালু করেছিল।
এরপর মাথা উঠালেন ও বললেন, ″সামিআল্লাহু লিমান হামিদা রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ″ তারপর দাঁড়ালেন ও দীর্ঘ কিরাআত পড়লেন, যা পূর্ববর্তী কিরাআত থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল, তারপর তাকবীর বললেন ও দীর্ঘ রুকু করলেন, যা পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল, পরে বললেন ″সামিআল্লাহু লিমান হামিদা, রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ″ তারপর সিজদা করলেন। পরে দ্বিতীয় রাকআতেও অনুরূপই করলেন। এভাবে তিনি চার রুকু এবং চার সিজদা আদায় করলেন, আর তার নামায সমাপ্ত করে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে সূর্যও আলোকিত হয়ে গেল।
পরে তিনি দাঁড়ালেন ও লোকদের সামনে খুতবা দিলেন ও আল্লাহ তাআলার যথোপযুক্ত প্রশংসা করে বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দুটো নিদর্শন। তাদের গ্রহণ কারো জন্ম-মৃত্যুর কারণে হয় না। অতএব, তোমরা যখন তাদের গ্রহণ দেখবে, তখন তোমরা নামায আদায় করতে থাকবে যাতে যতক্ষণ না তোমরা মুক্ত হও। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি আমার এই দাঁড়ানো অবস্থায় থেকে তোমাদের জন্য ওয়াদাকৃত সমুদয় বস্তু দেখতে পেয়েছি।
তোমরা আমাকে দেখেছ যে, যখন আমি অগ্রসর হয়েছি তখন আমি জান্নাতের একটি মাথা ধরার ইচ্ছা করেছিলাম, যখন তোমরা আমাকে পিছু হটতে দেখলে, তখন আমি জাহান্নামকে দেখলাম যে, তার কিয়দংশ কিয়দংশকে খেয়ে ফেলছে। আর আমি তাতে ইবনে লুহাইকেও দেখেছি, যে চতুষ্পদ জন্তুকে (পিঠে সওয়ার হওয়া, বোঝা বহন করানো ইত্যাদি কাজ থেকে অব্যাহিত দিয়ে) ছেড়ে দেওয়ার প্রথা চালু করেছিল।
باب نَوْعٌ آخَرُ مِنْهُ عَنْ عَائِشَةَ،
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ فَكَبَّرَ وَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَاقْتَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ قَامَ فَاقْتَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ فَاسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ تَعَالَى لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَصَلُّوا حَتَّى يُفْرَجَ عَنْكُمْ " . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رَأَيْتُ فِي مَقَامِي هَذَا كُلَّ شَىْءٍ وُعِدْتُمْ لَقَدْ رَأَيْتُمُونِي أَرَدْتُ أَنْ آخُذَ قِطْفًا مِنَ الْجَنَّةِ حِينَ رَأَيْتُمُونِي جَعَلْتُ أَتَقَدَّمُ وَلَقَدْ رَأَيْتُ جَهَنَّمَ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ وَرَأَيْتُ فِيهَا ابْنَ لُحَىٍّ وَهُوَ الَّذِي سَيَّبَ السَّوَائِبَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭৩
আয়িশা (রাযিঃ) থেকে আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৭৬। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে একবার সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন আওয়াজ দেওয়া হল যে, নামায অনুষ্ঠিত হবে। লোকজন একত্রিত হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের নিয়ে দু’রাকআত নামায আদায় করলেন চার রুকুর এবং চার সিজদা সহকারে।
باب نَوْعٌ آخَرُ مِنْهُ عَنْ عَائِشَةَ،
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنُودِيَ الصَّلاَةُ جَامِعَةٌ فَاجْتَمَعَ النَّاسُ فَصَلَّى بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭৪
আয়িশা (রাযিঃ) থেকে আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৭৭। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে একবার সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের নিয়ে নামায আদায় করলেন, তিনি দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন। তারপর রুকু করলেন এবং রুকু দীর্ঘায়িত করলেন, তারপর দাঁড়ালেন যার দাড়ানোকে দীর্ঘায়িত করলেন এবং তা ছিল পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত। তারপর রুকু করলেন এবং রুকু দীর্ঘায়িত করলেন, কিন্তু তা পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর মাথা উঠালেন ও সিজদা করলেন, এরপর দ্বিতীয় রাকআতেও অনুরূপ করলেন। এভাবে নামায শেষ করলেন। ইতিমধ্যে সূর্য আলোকিত হয়ে গেল।
তখন তিনি মানুষদের সামনে খুতবা দিলেন। শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা এবং মহিমা প্রকাশ করলেন। তারপর বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহ তাআলার নিদর্শন সমুহের দু’টি নিদর্শন কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে তাদের গ্রহণ হয় না। অতএব, তোমরা যখন তা দেখবে তখন তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে দুআ করবে এবং তাকবীর বলবে ও সাদ্কা করবে। পরে তিনি বললেন, হে উম্মতে মুহাম্মাদী! আল্লাহ তাআলার কোন বান্দা কিংবা কোন মহিলা ব্যভিচারে লিপ্ত হোক এ কাজ থেকে আল্লাহর চেয়ে কঠোর নিষেধকারী আর কেউ নেই। হে উম্মতে মুহাম্মাদী! আল্লাহর শপথ! যদি তোমরা ঐ সকল বিষয়ে অবহিত হতে, যে বিষয়ে আমি অবহিত রয়েছি, তাহলে নিশ্চয়ই তোমরা কম হাসতে এবং অধিক কাঁদতে।
তখন তিনি মানুষদের সামনে খুতবা দিলেন। শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা এবং মহিমা প্রকাশ করলেন। তারপর বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহ তাআলার নিদর্শন সমুহের দু’টি নিদর্শন কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে তাদের গ্রহণ হয় না। অতএব, তোমরা যখন তা দেখবে তখন তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে দুআ করবে এবং তাকবীর বলবে ও সাদ্কা করবে। পরে তিনি বললেন, হে উম্মতে মুহাম্মাদী! আল্লাহ তাআলার কোন বান্দা কিংবা কোন মহিলা ব্যভিচারে লিপ্ত হোক এ কাজ থেকে আল্লাহর চেয়ে কঠোর নিষেধকারী আর কেউ নেই। হে উম্মতে মুহাম্মাদী! আল্লাহর শপথ! যদি তোমরা ঐ সকল বিষয়ে অবহিত হতে, যে বিষয়ে আমি অবহিত রয়েছি, তাহলে নিশ্চয়ই তোমরা কম হাসতে এবং অধিক কাঁদতে।
باب نَوْعٌ آخَرُ مِنْهُ عَنْ عَائِشَةَ،
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُو دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ فَسَجَدَ ثُمَّ فَعَلَ ذَلِكَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَادْعُوا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَكَبِّرُوا وَتَصَدَّقُوا " . ثُمَّ قَالَ " يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ مَا مِنْ أَحَدٍ أَغْيَرُ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَزْنِيَ عَبْدُهُ أَوْ تَزْنِيَ أَمَتُهُ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ وَاللَّهِ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭৫
আয়িশা (রাযিঃ) থেকে আর এক প্রকার বর্ণনা
১৪৭৮। মুহাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) ......... আমরাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আয়িশা (রাযিঃ) তার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, এক ইয়াহুদী মহিলা তার কাছে এসে বলল আল্লাহ তাআলা আপনাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মানুষদের কি কবরে আযাব দেওয়া হবে? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তা থেকে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে পানাহ চাচ্ছি। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন যে, নবী (ﷺ) কিছুক্ষণের জন্য বের হলেন, ইতিমধ্যে সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন আমরা হুজরা থেকে বের হয়ে গেলাম, এসময় আমাদের পাশে অনেক মহিলা একত্রিত হয়ে গেল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের কাছ ফিরে আসলেন তখন ছিল সূর্যোদয়ের এবং দ্বিপ্রহেরর মধ্যবর্তী সময়।
তিনি নামাযে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন। তারপর দীর্ঘ রুকু করলেন, এরপর তার মাথা উঠালেন ও দাঁড়িয়ে গেলেন, পূর্ববর্তী দাড়ানো থেকে সংক্ষিপ্তভাবে। তারপর রুকু করলেন পূর্ববর্তী রুকুর থেকে সংক্ষিপ্ত। পরে সিজদা করলেন, অতঃপর দ্বিতীয় রাকআতে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং অনুরূপই করলেন কিন্তু দ্বিতীয় রাকআতের রুকু এবং দাঁড়ানো প্রথম রাকআতের রুকু এবং দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর সিজদা করলেন এবং সূর্যও আলোকিত হয়ে গেল। যখন নামায শেষ করলেন মিম্বরের উপর বসলেন এবং তার খুতবার মধ্যে বললেন যে, নিশ্চয়ই মানুষ তাদের কবরে দাজ্জালের পরীক্ষার ন্যায় পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, আমরা তাকে এরপরে শুনতাম যে তিনি কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতেন।
তিনি নামাযে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন। তারপর দীর্ঘ রুকু করলেন, এরপর তার মাথা উঠালেন ও দাঁড়িয়ে গেলেন, পূর্ববর্তী দাড়ানো থেকে সংক্ষিপ্তভাবে। তারপর রুকু করলেন পূর্ববর্তী রুকুর থেকে সংক্ষিপ্ত। পরে সিজদা করলেন, অতঃপর দ্বিতীয় রাকআতে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং অনুরূপই করলেন কিন্তু দ্বিতীয় রাকআতের রুকু এবং দাঁড়ানো প্রথম রাকআতের রুকু এবং দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর সিজদা করলেন এবং সূর্যও আলোকিত হয়ে গেল। যখন নামায শেষ করলেন মিম্বরের উপর বসলেন এবং তার খুতবার মধ্যে বললেন যে, নিশ্চয়ই মানুষ তাদের কবরে দাজ্জালের পরীক্ষার ন্যায় পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, আমরা তাকে এরপরে শুনতাম যে তিনি কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতেন।
باب نَوْعٌ آخَرُ مِنْهُ عَنْ عَائِشَةَ،
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّ عَمْرَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهَا أَنَّ يَهُودِيَّةً أَتَتْهَا فَقَالَتْ أَجَارَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ قَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ النَّاسَ لَيُعَذَّبُونَ فِي الْقُبُورِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَائِذًا بِاللَّهِ . قَالَتْ عَائِشَةُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مَخْرَجًا فَخَسَفَتِ الشَّمْسُ فَخَرَجْنَا إِلَى الْحُجْرَةِ فَاجْتَمَعَ إِلَيْنَا نِسَاءٌ وَأَقْبَلَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَلِكَ ضَحْوَةً فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ دُونَ رُكُوعِهِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ الثَّانِيَةَ فَصَنَعَ مِثْلَ ذَلِكَ إِلاَّ أَنَّ رُكُوعَهُ وَقِيَامَهُ دُونَ الرَّكْعَةِ الأُولَى ثُمَّ سَجَدَ وَتَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ فِيمَا يَقُولُ " إِنَّ النَّاسَ يُفْتَنُونَ فِي قُبُورِهِمْ كَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ " . قَالَتْ عَائِشَةُ كُنَّا نَسْمَعُهُ بَعْدَ ذَلِكَ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান