কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৩২. যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কিয়ামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

হাদীস নং: ৪২৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১৫
যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কিয়ামতের বর্ণনা
১৪. দাজ্জাল বের হওয়া সম্পর্কে।
৪২৬৪. হাসান ইবনে আমর (রাহঃ) .... রিব’ঈ হিরাশ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা হুযাইফা এবং আবু মাসউদ (রাযিঃ) একত্রিত হলে, হুযাইফা (রাযিঃ) বলেনঃ দাজ্জালের সাথে যা থাকবে, সে সম্পর্কে আমি খুবি জ্ঞাত। তার সাথে একটি পানির সাগর এবং আগুনের নহর থাকবে। তোমরা যাকে আগুন মনে করবে, তা হবে পানি। রাবী আবু মাসউদ বদরী (রাযিঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরূপ শুনেছি।
كتاب الملاحم
باب خُرُوجِ الدَّجَّالِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ اجْتَمَعَ حُذَيْفَةُ وَأَبُو مَسْعُودٍ فَقَالَ حُذَيْفَةُ لأَنَا بِمَا مَعَ الدَّجَّالِ أَعْلَمُ مِنْهُ إِنَّ مَعَهُ بَحْرًا مِنْ مَاءٍ وَنَهْرًا مِنْ نَارٍ فَالَّذِي تَرَوْنَ أَنَّهُ نَارٌ مَاءٌ وَالَّذِي تَرَوْنَ أَنَّهُ مَاءٌ نَارٌ فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَأَرَادَ الْمَاءَ فَلْيَشْرَبْ مِنَ الَّذِي يَرَى أَنَّهُ نَارٌ فَإِنَّهُ سَيَجِدُهُ مَاءً . قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ الْبَدْرِيُّ هَكَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ .
হাদীস নং: ৪২৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১৬
যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কিয়ামতের বর্ণনা
১৪. দাজ্জাল বের হওয়া সম্পর্কে।
৪২৬৫. আবুল ওয়ালীদ তায়ালিসী (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যত নবী এসেছেন, তারা সবাই তাদের উম্মতকে কানা ও মিথ্যাবাদী দাজ্জাল সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করেছেন। জেনে রাখ! সে হবে কানা। আর তোমাদের মহান রব কানা নন এবং তার দু’চোখের মাঝখানে ’কাফির’ শব্দ লেখা থাকাবে।
كتاب الملاحم
باب خُرُوجِ الدَّجَّالِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَا بُعِثَ نَبِيٌّ إِلاَّ قَدْ أَنْذَرَ أُمَّتَهُ الدَّجَّالَ الأَعْوَرَ الْكَذَّابَ أَلاَ وَإِنَّهُ أَعْوَرُ وَإِنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَعْوَرَ وَإِنَّ بَيْنَ عَيْنَيْهِ مَكْتُوبًا كَافِرٌ " .
হাদীস নং: ৪২৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১৭
যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কিয়ামতের বর্ণনা
১৪. দাজ্জাল বের হওয়া সম্পর্কে।
৪২৬৬. মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না (রাহঃ) .... শুবা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তার কপালে ″কাফ″ ″ফা″ ″রা″ (অর্থাৎ কাফির) লেখা থাকবে।
كتاب الملاحم
باب خُرُوجِ الدَّجَّالِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، ك ف ر .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১৮
যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কিয়ামতের বর্ণনা
১৪. দাজ্জাল বের হওয়া সম্পর্কে।
৪২৬৭. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, দাজ্জালের কপালে লেখা ’কাফির’ শব্দটি প্রত্যেক মুসলমান পড়তে পারবে।
كتاب الملاحم
باب خُرُوجِ الدَّجَّالِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ " يَقْرَؤُهُ كُلُّ مُسْلِمٍ " .
হাদীস নং: ৪২৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১৯
যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কিয়ামতের বর্ণনা
১৪. দাজ্জাল বের হওয়া সম্পর্কে।
৪২৬৮. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দাজ্জালের খবর শুনবে, সে যেন তার থেকে দূরে থাকে। আল্লাহর শপথ! যে ব্যক্তি তার কাছে যাবে, সে তাকে মু’মিন মনে করে, তার অনুসারী হয়ে যাবে। কেননা, তার কাছে সন্দেহে নিক্ষেপকারী বস্তু থাকবে।
كتاب الملاحم
باب خُرُوجِ الدَّجَّالِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، عَنْ أَبِي الدَّهْمَاءِ، قَالَ سَمِعْتُ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ، يُحَدِّثُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَمِعَ بِالدَّجَّالِ فَلْيَنْأَ عَنْهُ فَوَاللَّهِ إِنَّ الرَّجُلَ لَيَأْتِيهِ وَهْوَ يَحْسِبُ أَنَّهُ مُؤْمِنٌ فَيَتَّبِعُهُ مِمَّا يُبْعَثُ بِهِ مِنَ الشُّبُهَاتِ أَوْ لِمَا يُبْعَثُ بِهِ مِنَ الشُّبُهَاتِ " . هَكَذَا قَالَ .
হাদীস নং: ৪২৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩২০
যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কিয়ামতের বর্ণনা
১৪. দাজ্জাল বের হওয়া সম্পর্কে।
৪২৬৯. হায়ওয়া ইবনে শুরায়হ (রাহঃ) .... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি তোমাদের কাছে দাজ্জাল সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণনা করেছি, এতসত্ত্বেও আমার ভয় হয়, তোমরা তাকে চিনতে পারবে না। (জেনে রাখ!) মাসীহ দাজ্জাল হবে বেঁটে, তার পদক্ষেপ হবে দীর্ঘ, মাথার চুল হবে কুঞ্চিত, আর সে হবে কানা। তার চোখ হবে সমতল, যা উপরে উঠে থাকবে না এবং নীচে থাকবে না। এরপরও যদি তোমরা সন্দীহান হও, তবে জেনে রাখ! তোমাদের রব কানা নন।
كتاب الملاحم
باب خُرُوجِ الدَّجَّالِ
حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنِي بَحِيرٌ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ جُنَادَةَ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنِّي قَدْ حَدَّثْتُكُمْ عَنِ الدَّجَّالِ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ لاَ تَعْقِلُوا إِنَّ مَسِيحَ الدَّجَّالِ رَجُلٌ قَصِيرٌ أَفْحَجُ جَعْدٌ أَعْوَرُ مَطْمُوسُ الْعَيْنِ لَيْسَ بِنَاتِئَةٍ وَلاَ جَحْرَاءَ فَإِنْ أُلْبِسَ عَلَيْكُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَعْوَرَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ عَمْرُو بْنُ الأَسْوَدِ وَلِيَ الْقَضَاءَ .
হাদীস নং: ৪২৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩২১
যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কিয়ামতের বর্ণনা
১৪. দাজ্জাল বের হওয়া সম্পর্কে।
৪২৭০. সাফওয়ান ইবনে সালিহ (রাহঃ) .... নাওয়াস ইবনে সামআন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেনঃ আমি যদি তোমাদের মধ্যে থাকাকালে সে বের হয়, তবে আমি তার প্রতি দোষারোপ করবো তোমাদের আগে। আর আমি যখন তোমাদের সাথে থকবো না, সে যদি তখন বের হয়, তখন তোমাদের উচিত হবে তার প্রতি দোষারোপ করাল। আর আল্লাহ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আমার খলীফা স্বরূপ হবেন, (অর্থাৎ তিনি তাদের দাজ্জালের হাত থেকে রক্ষা করবেন।) এরপর তোমরা যারা তার দেখা পাবে, তার উচিত হবে, তার সামনে সূরা কাহাফের প্রথম দিকের আয়াতগুলি পাঠ করা। কেননা, তা পাঠ করলে, তোমরা তার ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।

আমরা জিজ্ঞাসা করিঃ সে পৃথিবীতে কত দিন থাকবে? তিনি বলেনঃ চল্লিশ দিন। যার একদিন হবে এক বছরের সমান, আরেক দিন হবে এক মাসের সমান, অপর দিন হবে এক সপ্তাহের সমান। আর বাকী দিনগুলো হবে তোমাদের বর্তমান দিনের সমান। তখন আমরা জিজ্ঞাসা করিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে দিনটি এক বছরের সমান হবে, সেদিন আমরা এক দিন ও রাতে যত ওয়াক্ত নামায আদায় করি, সেরূপ নামায আদায় করলে যথেষ্ট হবে কি? তিনি বলেনঃ না। বরং তোমরা ঐ দিনের মধ্য হতে, তোমাদের জন্য নির্ধারিত সময় নিরূপণ করে নেবে, (এবং সে হিসাবে নামায আদায় করবে)। এরপর ঈসা ইবনে মারয়াম (আলাইহিস সালাম) দামিশক শহরের পূর্বে দিকে অবস্থিত সাদা-মিনারের নিকটবর্তী স্থানে অবতরণ করবেন। তিনি তাকে ‘লুদ’ নামক স্থানে পাবেন এবং সেখানে তাকে হত্যা করবেন।
كتاب الملاحم
باب خُرُوجِ الدَّجَّالِ
حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ الدِّمَشْقِيُّ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ جَابِرٍ الطَّائِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ الْكِلاَبِيِّ، قَالَ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الدَّجَّالَ فَقَالَ " إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ فَأَنَا حَجِيجُهُ دُونَكُمْ وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ وَاللَّهُ خَلِيفَتِي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فَمَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الْكَهْفِ فَإِنَّهَا جِوَارُكُمْ مِنْ فِتْنَتِهِ " . قُلْنَا وَمَا لُبْثُهُ فِي الأَرْضِ قَالَ " أَرْبَعُونَ يَوْمًا يَوْمٌ كَسَنَةٍ وَيَوْمٌ كَشَهْرٍ وَيَوْمٌ كَجُمُعَةٍ وَسَائِرُ أَيَّامِهِ كَأَيَّامِكُمْ " . فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي كَسَنَةٍ أَتَكْفِينَا فِيهِ صَلاَةُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ قَالَ " لاَ اقْدُرُوا لَهُ قَدْرَهُ ثُمَّ يَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عِنْدَ الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ فَيُدْرِكُهُ عِنْدَ بَابِ لُدٍّ فَيَقْتُلُهُ " .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩২২
যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কিয়ামতের বর্ণনা
১৪. দাজ্জাল বের হওয়া সম্পর্কে।
৪২৭১. ঈসা ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন। আর নামায আদায়ের কথা এভাবেই উল্লেখ করেছেন।
كتاب الملاحم
باب خُرُوجِ الدَّجَّالِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنِ السَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَذَكَرَ الصَّلَوَاتِ مِثْلَ مَعْنَاهُ .
হাদীস নং: ৪২৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩২৩
যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কিয়ামতের বর্ণনা
১৪. দাজ্জাল বের হওয়া সম্পর্কে।
৪২৭২. হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) .... আবু দারদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে। আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ হিশাম দাসতাওয়ারী (রাহঃ) কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে। ‘শুবা (রাহঃ) বলেছেনঃ সূরা কাহাফের শেষ অংশ, (যার মুখস্থ থাকবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।)
كتاب الملاحم
باب خُرُوجِ الدَّجَّالِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ حَدِيثِ أَبِي الدَّرْدَاءِ، يَرْوِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا قَالَ هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ عَنْ قَتَادَةَ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ " مَنْ حَفِظَ مِنْ خَوَاتِيمِ سُورَةِ الْكَهْفِ " . وَقَالَ شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ " مِنْ آخِرِ الْكَهْفِ " .
হাদীস নং: ৪২৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩২৪
যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কিয়ামতের বর্ণনা
১৪. দাজ্জাল বের হওয়া সম্পর্কে।
৪২৭৩. হুদবা ইবনে খালিদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমরা এবং ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর মাঝে কোন নবী আসবে না। অবশ্য তিনি (আসমান থেকে) অবতরণ করবেন। তোমরা যখন তাঁকে দেখবে, তখন তাঁকে এভাবে চিনবে যে, ‘তিনি হবেন মধ্যম আকৃতির, তাঁর দেহের রং হবে লাল-সাদা মিশ্রিত, তাঁর পরিধানের কাপড় হবে হালকা হলুদ রং বিশিষ্ট দু’খানি চাদর এবং তাঁর মাথায় চুল ভিজে না থাকা সত্ত্বেও সেখান থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি ঝরতে থাকবে।

তিনি ইসলামের জন্য লোকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন, ক্রুশ ভেঙে ফেলবেন, শূকর নিধন করবেন এবং জিযিয়া কর রহিত করবেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর সময়ে ইসলাম ব্যতীত আর সব মতবাদকে ধ্বংস করে দেবেন। তিনি-ই দাজ্জালকে হত্যা করবেন। এরপর তিনি পৃথিবীতে চল্লিশ বছর জীবিত থাকার পর ইনতিকাল করবেন এবং মুসলমানরা তাঁর জানাযার নামায আদায় করবেন।
كتاب الملاحم
باب خُرُوجِ الدَّجَّالِ
حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ آدَمَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ نَبِيٌّ - يَعْنِي عِيسَى - وَإِنَّهُ نَازِلٌ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَاعْرِفُوهُ رَجُلٌ مَرْبُوعٌ إِلَى الْحُمْرَةِ وَالْبَيَاضِ بَيْنَ مُمَصَّرَتَيْنِ كَأَنَّ رَأْسَهُ يَقْطُرُ وَإِنْ لَمْ يُصِبْهُ بَلَلٌ فَيُقَاتِلُ النَّاسَ عَلَى الإِسْلاَمِ فَيَدُقُّ الصَّلِيبَ وَيَقْتُلُ الْخِنْزِيرَ وَيَضَعُ الْجِزْيَةَ وَيُهْلِكُ اللَّهُ فِي زَمَانِهِ الْمِلَلَ كُلَّهَا إِلاَّ الإِسْلاَمَ وَيُهْلِكُ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ فَيَمْكُثُ فِي الأَرْضِ أَرْبَعِينَ سَنَةً ثُمَّ يُتَوَفَّى فَيُصَلِّي عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ " .