কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৩২. যুদ্ধ-বিগ্রহ ও কিয়ামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪২৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩২৫
১৫. দাজ্জালের গোয়েন্দা সম্পর্কে।
৪২৭৪. নুফায়লী (রাহঃ) .... ফাতিমা বিনত কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঈশার নামায আদায়ে বিলম্ব করেন। এরপর তিনি বের হয়ে বলেনঃ তামীম দারীর বর্ণিত ঘটনা শুনতে গিয়ে আমার দেরী হয়ে গেছে। তা হলোঃ জনৈক ব্যক্তি জাহাজ যোগে ভ্রমণকালে, তুফানের ফলে সেটি সমুদ্রের কোন এক উপকূলে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে এক মহিলার দেখা পায়, যে তার নিজের মাথায় চুল ধরে টানছিল। এ অবস্থা দেখে সে ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞাসা করেঃ তুমি কে? সে বলেঃ আমি একজন গোয়েন্দা। তুমি এ প্রাসাদের দিকে চল। তখন আমি সেখানে গিয়ে দেখি যে, আসমান ও যমীনের মাঝখানে, শিকলে আব্দ্ধ একটি লোক, যে তার নিজের চুল ধরে টেনে ছিঁড়ছে।
باب فِي خَبَرِ الْجَسَّاسَةِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَّرَ الْعِشَاءَ الآخِرَةَ ذَاتَ لَيْلَةٍ ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ " إِنَّهُ حَبَسَنِي حَدِيثٌ كَانَ يُحَدِّثُنِيهِ تَمِيمٌ الدَّارِيُّ عَنْ رَجُلٍ كَانَ فِي جَزِيرَةٍ مِنْ جَزَائِرِ الْبَحْرِ فَإِذَا أَنَا بِامْرَأَةٍ تَجُرُّ شَعْرَهَا قَالَ مَا أَنْتِ قَالَتْ أَنَا الْجَسَّاسَةُ اذْهَبْ إِلَى ذَلِكَ الْقَصْرِ فَأَتَيْتُهُ فَإِذَا رَجُلٌ يَجُرُّ شَعْرَهُ مُسَلْسَلٌ فِي الأَغْلاَلِ يَنْزُو فِيمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ فَقُلْتُ مَنْ أَنْتَ قَالَ أَنَا الدَّجَّالُ خَرَجَ نَبِيُّ الأُمِّيِّينَ بَعْدُ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ أَطَاعُوهُ أَمْ عَصَوْهُ قُلْتُ بَلْ أَطَاعُوهُ . قَالَ ذَاكَ خَيْرٌ لَهُمْ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩২৬
১৫. দাজ্জালের গোয়েন্দা সম্পর্কে।
৪২৭৫. হাজ্জাজ ইবনে ইয়াকুব (রাহঃ) .... ফাতিমা বিনতে কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মুয়াযযিন-কে বলতে শুনি, ‘নামায একত্রকারী; (অর্থাৎ নামাযের জন্য একত্রিত হও।) এরপর আমি বের হয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে নামায আদায় করি। নামায শেষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাসি মুখে মিম্বরের উপর আরোহণ করে বলেনঃ সবাই নিজ-নিজ স্থানে বসে থাক। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমরা কি জান, কি জন্য আমি তোমাদের একত্রিত করেছি? তাঁরা বলেনঃ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল এ ব্যাপারে অধিক অবগত। তিনি বলেনঃ এখন আমি তোমাদের দ্বীনের কাজে উৎসাহিত ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য একত্রিত করিনি, বরং আমি তোমাদের (একটি ঘটনা শুনাবার জন্য) একত্রিত করেছি।

তাহলোঃ তামীমদারী খৃষ্টান ছিল, সে এসে বায়আত করে ইসলাম কবুল করেছে। আমি দাজ্জাল সম্পর্কে তোমাদের কাছে যা বর্ণনা করেছি, সে বলেছেঃ একবার সে ‘লাখাম’ ও ‘জুযাম’ গোত্রের ত্রিশজন লোকের সাথে জাহাজ যোগে সমুদ্র ভ্রমণে বের হয়। এক মাস সমুদ্রে চলার পর তাদের জাহাজটি একটি দ্বীপে গিয়ে পৌছায়। সেখানে তাঁরা লম্বা চুল বিশিষ্ট একটি আশ্চর্য ধরনের প্রাণীর সাক্ষাত পায়। তারা তাকে বলেঃ তুমি ধ্বংস হও, তুমি কে? তখন সে বলেঃ আমি একজন গোয়েন্দা। তোমরা এই প্রসাদে অবস্থানকারী ব্যক্তির কাছে চলো; কেননা, সে তোমাদের খবরের জন্য খুবই উদগ্রীব।

রাবী বলেনঃ যখন সে আমাদের কাছে সে ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে, তখন আমরা সে প্রাণী সম্পর্কে শংকিত হয়ে পড়ি যে, হয়তো সে শয়তান। আমরা সেখান থেকে দ্রুত চলে যাই এবং উক্ত প্রসাদে প্রবেশ করি এবং সেখানে বিশাল আকৃতির এমন এক ব্যক্তিকে দেখি, যার মত আর কাউকে এর আগে দেখিনি। সে শিকলে বাধা ছিল এবং তার দু’হাত ঘাড়ের সাথে আব্দ্ধ ছিল। এরপর পূর্ববতী হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

এরপর সে তাদের কাছে ‘বায়সান’ নামক স্থানের খেজুর, যাআর নামক কূপ এবং উম্মী-নবী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। সে বলেঃ আমি মাসীহ দাজ্জাল। অতি সত্বর আমাকে বের হওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে।

তারপর নবী (ﷺ) বলেনঃ দাজ্জাল শাম অথবা ইয়ামানের সমুদ্রে অবস্থিত একটি দ্বীপে বন্দী অবস্থায় আছে। এরপর তিনি বলেনঃ না, বরং সে পূর্বের দিকে আছে, আর তিনি তার হাত দিয়ে সে দিকে দু’বার ইশারা করেন। ফাতিমা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি এ হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি এবং মনে রেখেছি।
باب فِي خَبَرِ الْجَسَّاسَةِ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ حُسَيْنًا الْمُعَلِّمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، حَدَّثَنَا عَامِرُ بْنُ شَرَاحِيلَ الشَّعْبِيُّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، قَالَتْ سَمِعْتُ مُنَادِيَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنَادِي أَنَّ الصَّلاَةَ جَامِعَةٌ . فَخَرَجْتُ فَصَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَضْحَكُ قَالَ " لِيَلْزَمْ كُلُّ إِنْسَانٍ مُصَلاَّهُ " . ثُمَّ قَالَ " هَلْ تَدْرُونَ لِمَ جَمَعْتُكُمْ " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " إِنِّي مَا جَمَعْتُكُمْ لِرَهْبَةٍ وَلاَ رَغْبَةٍ وَلَكِنْ جَمَعْتُكُمْ أَنَّ تَمِيمًا الدَّارِيَّ كَانَ رَجُلاً نَصْرَانِيًّا فَجَاءَ فَبَايَعَ وَأَسْلَمَ وَحَدَّثَنِي حَدِيثًا وَافَقَ الَّذِي حَدَّثْتُكُمْ عَنِ الدَّجَّالِ حَدَّثَنِي أَنَّهُ رَكِبَ فِي سَفِينَةٍ بَحْرِيَّةٍ مَعَ ثَلاَثِينَ رَجُلاً مِنْ لَخْمٍ وَجُذَامٍ فَلَعِبَ بِهِمُ الْمَوْجُ شَهْرًا فِي الْبَحْرِ وَأَرْفَئُوا إِلَى جَزِيرَةٍ حِينَ مَغْرِبِ الشَّمْسِ فَجَلَسُوا فِي أَقْرَبِ السَّفِينَةِ فَدَخَلُوا الْجَزِيرَةَ فَلَقِيَتْهُمْ دَابَّةٌ أَهْلَبُ كَثِيرَةُ الشَّعْرِ قَالُوا وَيْلَكِ مَا أَنْتِ قَالَتْ أَنَا الْجَسَّاسَةُ انْطَلِقُوا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فِي هَذَا الدَّيْرِ فَإِنَّهُ إِلَى خَبَرِكُمْ بِالأَشْوَاقِ . قَالَ لَمَّا سَمَّتْ لَنَا رَجُلاً فَرِقْنَا مِنْهَا أَنْ تَكُونَ شَيْطَانَةً فَانْطَلَقْنَا سِرَاعًا حَتَّى دَخَلْنَا الدَّيْرَ فَإِذَا فِيهِ أَعْظَمُ إِنْسَانٍ رَأَيْنَاهُ قَطُّ خَلْقًا وَأَشَدُّهُ وَثَاقًا مَجْمُوعَةٌ يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ " . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَسَأَلَهُمْ عَنْ نَخْلِ بَيْسَانَ وَعَنْ عَيْنِ زُغَرَ وَعَنِ النَّبِيِّ الأُمِّيِّ قَالَ إِنِّي أَنَا الْمَسِيحُ وَإِنَّهُ يُوشِكُ أَنْ يُؤْذَنَ لِي فِي الْخُرُوجِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَإِنَّهُ فِي بَحْرِ الشَّامِ أَوْ بَحْرِ الْيَمَنِ لاَ بَلْ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ مَا هُوَ " . مَرَّتَيْنِ وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ قِبَلَ الْمَشْرِقِ قَالَتْ حَفِظْتُ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩২৭
১৫. দাজ্জালের গোয়েন্দা সম্পর্কে।
৪২৭৬. মুহাম্মাদ ইবনে সাদরান (রাহঃ) .... ফাতিমা বিনত কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা নবী (ﷺ) যোহরের নামায আদায় শেষে মিম্বরের উপর আরোহণ করেন। আর তিনি এর আগে কোন দিন জুমআর দিন ছাড়া মিম্বরে আরোহণ করেননি। এরপর তিনি এ হাদীস বর্ণনা করেন।
باب فِي خَبَرِ الْجَسَّاسَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صُدْرَانَ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ مُجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَامِرٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ صَعِدَ الْمِنْبَرَ وَكَانَ لاَ يَصْعَدُ عَلَيْهِ إِلاَّ يَوْمَ جُمُعَةٍ قَبْلَ يَوْمَئِذٍ ثُمَّ ذَكَرَ هَذِهِ الْقِصَّةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ صُدْرَانَ بَصْرِيٌّ غَرِقَ فِي الْبَحْرِ مَعَ ابْنِ مِسْوَرٍ لَمْ يَسْلَمْ مِنْهُمْ غَيْرُهُ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩২৮
১৫. দাজ্জালের গোয়েন্দা সম্পর্কে।
৪২৭৭. ওয়াসিল ইবনে আব্দুল আলা (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ‘একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিম্বরের উপর আরোহণ করেন, তারপর বলেনঃ কিছু লোক সমুদ্রে ভ্রমণকালে তাদের খাবার ফুরিয়ে যায়। তখন তারা খাদ্যের অন্বেষণে এক দ্বীপে গিয়ে উপস্থিত হলে, তাদের সাথে এক গোয়েন্দা রমণীর দেখা হয়।

রাবী ওয়ালীদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি তখন আবু সালামা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেঃ ঐ গোয়েন্দা রমণী কে ছিল? তিনি বলেনঃ সে এমন এক মহিলা ছিল, যে তার দেহের ও মাথার চুল টেনে ছিড়ছিল। সে মহিলা (তাদের) বলেঃ তোমরা এই প্রাসাদে প্রবেশ কর। এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ তখন সে (দাজ্জাল) ‘বায়সান’ নামক স্থানের খেজুর ও যাআর নামক কূপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে।

রাবী বলেনঃ সে-ই দাজ্জাল। আবু সালামা (রাযিঃ) আমাকে বলেন, জাবির (রাযিঃ) এ হাদীস সম্পর্কে আরো অনেক কিছু বর্ণনা করেন, যা আমার মনে নেই।

জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ দাজ্জাল হলো ইবনে সাইয়াদ, (যে মদীনার লোক ছিল এবং নবী (ﷺ) ও তাকে দেখেছিলন)। তখন আমি বলিঃ সে তো মারা গেছে? তিনি বলেনঃ যদিও সে মারা গেছে! আমি বলিঃ সে তো ইসলাম কবুল করেছিল? তিনি বলেনঃ যদিও সে ইসলাম কবুল করেছিল! আমি বলিঃ সে তো মদীনাতে প্রবেশ করেছিল? তিনি বলেনঃ যদিও সে মদীনাতে প্রবেশ করেছিল!
باب فِي خَبَرِ الْجَسَّاسَةِ
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُمَيْعٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى الْمِنْبَرِ " إِنَّهُ بَيْنَمَا أُنَاسٌ يَسِيرُونَ فِي الْبَحْرِ فَنَفِدَ طَعَامُهُمْ فَرُفِعَتْ لَهُمْ جَزِيرَةٌ فَخَرَجُوا يُرِيدُونَ الْخُبْزَ فَلَقِيَتْهُمُ الْجَسَّاسَةُ " . قُلْتُ لأَبِي سَلَمَةَ وَمَا الْجَسَّاسَةُ قَالَ امْرَأَةٌ تَجُرُّ شَعْرَ جِلْدِهَا وَرَأْسِهَا . قَالَتْ فِي هَذَا الْقَصْرِ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَسَأَلَ عَنْ نَخْلِ بَيْسَانَ وَعَنْ عَيْنِ زُغَرَ قَالَ هُوَ الْمَسِيحُ فَقَالَ لِي ابْنُ أَبِي سَلَمَةَ إِنَّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ شَيْئًا مَا حَفِظْتُهُ قَالَ شَهِدَ جَابِرٌ أَنَّهُ هُوَ ابْنُ صَيَّادٍ قُلْتُ فَإِنَّهُ قَدْ مَاتَ . قَالَ وَإِنْ مَاتَ . قُلْتُ فَإِنَّهُ أَسْلَمَ . قَالَ وَإِنْ أَسْلَمَ . قُلْتُ فَإِنَّهُ قَدْ دَخَلَ الْمَدِينَةَ . قَالَ وَإِنْ دَخَلَ الْمَدِينَةَ .