কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৩০. ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪২০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৬
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
২. ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি না করা সম্পর্কে।
৪২০৭. উছমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) .... মুসলিম (রাহঃ) তার পিতা আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ অদূর ভবিষ্যতে এমন একটি ফিতনা প্রকাশ পাবে, যখন শায়িত ব্যক্তি উপবেশনকারীর চাইতে, উপবেশনকারী দণ্ডায়মান ব্যক্তির চাইতে এবং দণ্ডায়মান ব্যক্তি পথচারীর চাইতে উত্তম হবে।

তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি সে সময়ে আমাদের কি করার নির্দেশ দেন? তিনি বলেনঃ সে সময় যার কাছে উট থাকবে, সে যেন তার উটের সাথে গিয়ে মিশে; যার কাছে বকরী থাকবে, সে যেন তার বকরীর সাথে গিয়ে মিশে এবং যার কোন ক্ষেত থাকবে, সে যেন সেদিকে মনোসংযোগ করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। তিনি বলেনঃ যার এ সবের কিছুই থাকবে না, তার উচিত হবে, তার তরবারির ধার পাথরের উপর আঘাত করে নষ্ট করে ফেলা এবং যথাসম্ভব সে ফিতনা থেকে বেঁচে থাকা।
كتاب الفتن
باب فِي النَّهْىِ عَنِ السَّعْىِ، فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عُثْمَانَ الشَّحَّامِ، قَالَ حَدَّثَنِي مُسْلِمُ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهَا سَتَكُونُ فِتْنَةٌ يَكُونُ الْمُضْطَجِعُ فِيهَا خَيْرًا مِنَ الْجَالِسِ وَالْجَالِسُ خَيْرًا مِنَ الْقَائِمِ وَالْقَائِمُ خَيْرًا مِنَ الْمَاشِي وَالْمَاشِي خَيْرًا مِنَ السَّاعِي " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا تَأْمُرُنِي قَالَ " مَنْ كَانَتْ لَهُ إِبِلٌ فَلْيَلْحَقْ بِإِبِلِهِ وَمَنْ كَانَتْ لَهُ غَنَمٌ فَلْيَلْحَقْ بِغَنَمِهِ وَمَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَلْحَقْ بِأَرْضِهِ " . قَالَ فَمَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ شَىْءٌ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَلْيَعْمِدْ إِلَى سَيْفِهِ فَلْيَضْرِبْ بِحَدِّهِ عَلَى حَرَّةٍ ثُمَّ لِيَنْجُ مَا اسْتَطَاعَ النَّجَاءَ " .
হাদীস নং: ৪২০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৭
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
২. ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি না করা সম্পর্কে।
৪২০৮. ইয়াযীদ ইবনে খালিদ (রাহঃ) .... সাঈদ ইবনে আবী ওয়াককাস (রাযিঃ) এ হাদীস নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন যদি কেউ আমার ঘরে ঢুকে আমাকে হত্যা করতে চায়, তখন আমি কি করবো?

রাবী বলেনঃ তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তুমি আদমের উত্তম সন্তান (হাবিল)-এর মত হবে। এরপর ইয়াযীদ (রাহঃ) এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ (لَئِنْ بَسَطْتَ إِلَىَّ يَدَكَ) অর্থাৎ যদি তুমি আমাকে হত্যার জন্য তোমার হাত আমার দিকে সম্প্রসারিত কর, তবুও আমি তোমাকে হত্যার জন্য আমার হাত বিস্তার করবো না। (৫ঃ ২৮)
كتاب الفتن
باب فِي النَّهْىِ عَنِ السَّعْىِ، فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُفَضَّلٌ، عَنْ عَيَّاشٍ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَشْجَعِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ دَخَلَ عَلَىَّ بَيْتِي وَبَسَطَ يَدَهُ لِيَقْتُلَنِي قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُنْ كَابْنَىْ آدَمَ " . وَتَلاَ يَزِيدُ ( لَئِنْ بَسَطْتَ إِلَىَّ يَدَكَ ) الآيَةَ .
হাদীস নং: ৪২০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৮
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
২. ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি না করা সম্পর্কে।
৪২০৯. আমর ইবনে উছমান (রাহঃ) .... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী (ﷺ)-কে এরূপ বলতে শুনেছি। এরপর তিনি আবু বাকরা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করে বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ এ ফিতনায় যারা যারা মারা যাবে, তারা জাহান্নামে যাবে।

রাবী বলেনঃ তখন আমি ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিঃ এ অবস্থার সৃষ্টি কখন হবে? তিনি বলেনঃ যখন ব্যাপক হত্যা শুরু হবে, এমনকি বন্ধু ও বন্ধুর হাত থেকে রক্ষা পাবে না। আমি বলিঃ যদি আমি সে সময় পাই, তবে আপনি আমাকে কি করতে বলেন? তিনি বলেনঃ তুমি তোমার হাত ও মুখকে নিয়ন্ত্রিত করবে এবং নিজ ঘরে জড়-পদার্থের ন্যায় অবস্থান করবে।

এরপর উছমান (রাযিঃ)-কে যখন শহীদ করা হয়, তখন আমার ধারণা হয় যে, সে ফিতনা শুরু হয়েছে। তখন আমি আমার বাহনে সওয়ার হয়ে দামিশকে চলে যাই এবং সেখানে হুরায়ম ইবনে ফাতিক (রাযিঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করি এবং তাঁর কাছে এ হাদীস বর্ণনা করি। তখন তিনি আল্লাহর নামে শপথ করেন, যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং বলেনঃ আমি ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরূপ শুনেছি, যেরূপ তুমি ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করলে।
كتاب الفتن
باب فِي النَّهْىِ عَنِ السَّعْىِ، فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شِهَابُ بْنُ خِرَاشٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاشِدٍ الْجَزَرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ وَابِصَةَ الأَسَدِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، وَابِصَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فَذَكَرَ بَعْضَ حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ " قَتْلاَهَا كُلُّهُمْ فِي النَّارِ " . قَالَ فِيهِ قُلْتُ مَتَى ذَلِكَ يَا ابْنَ مَسْعُودٍ قَالَ تِلْكَ أَيَّامُ الْهَرْجِ حَيْثُ لاَ يَأْمَنُ الرَّجُلُ جَلِيسَهُ . قُلْتُ فَمَا تَأْمُرُنِي إِنْ أَدْرَكَنِي ذَلِكَ الزَّمَانُ قَالَ تَكُفُّ لِسَانَكَ وَيَدَكَ وَتَكُونُ حِلْسًا مِنْ أَحْلاَسِ بَيْتِكَ . فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ طَارَ قَلْبِي مَطَارَهُ فَرَكِبْتُ حَتَّى أَتَيْتُ دِمَشْقَ فَلَقِيتُ خُرَيْمَ بْنَ فَاتِكٍ فَحَدَّثْتُهُ فَحَلَفَ بِاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَسَمِعَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا حَدَّثَنِيهِ ابْنُ مَسْعُودٍ .
হাদীস নং: ৪২১০
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৯
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
২. ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি না করা সম্পর্কে।
৪২১০. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের আগে ফিতনা এরূপ ধারণ করবে, যেরূপ রাতের গভীর আধার। সে সময় লোক সকালে মু’মিন হলে, সন্ধ্যায় কাফিরে পরিণত হবে এবং সন্ধ্যায় মু’মিন হলে, সকালে কাফির হয়ে যাবে। এ সময় উপবেশনকারী দণ্ডায়মান ব্যক্তির চাইতে এবং পদচারী দ্রুতগামী ব্যক্তির চাইতে উত্তম হবে। এ ফিতনার সময় তোমরা তোমাদের তীর-ধনুক ভেঙে ফেলবে এবং তরবারি পাথরের উপর আঘাত করে ভোতা করে ফেলবে। এরপরও যদি কেউ তোমাদের উপর হামলা করতে চায়, তবে সে যেন আদমের উত্তম সন্তান (হাবিল) এর মত হয়।
كتاب الفتن
باب فِي النَّهْىِ عَنِ السَّعْىِ، فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَرْوَانَ، عَنْ هُزَيْلٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ بَيْنَ يَدَىِ السَّاعَةِ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ يُصْبِحُ الرَّجُلُ فِيهَا مُؤْمِنًا وَيُمْسِي كَافِرًا وَيُمْسِي مُؤْمِنًا وَيُصْبِحُ كَافِرًا الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي فَكَسِّرُوا قِسِيَّكُمْ وَقَطِّعُوا أَوْتَارَكُمْ وَاضْرِبُوا سُيُوفَكُمْ بِالْحِجَارَةِ فَإِنْ دُخِلَ - يَعْنِي عَلَى أَحَدٍ مِنْكُمْ - فَلْيَكُنْ كَخَيْرِ ابْنَىْ آدَمَ " .
হাদীস নং: ৪২১১
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬০
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
২. ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি না করা সম্পর্কে।
৪২১১. আবুল ওয়ালীদ তায়ালিসী (রাহঃ) .... আব্দুর রহমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি মদীনার এক রাস্তায় ইবনে উমর (রাযিঃ) এর হাত ধরে ছিলাম। এ সময় ঝলন্ত একটা মাথা দেখে তিনি বলেনঃ এ ব্যক্তির হন্তা চরম হতভাগ্য! সে স্থান অতিক্রম করার পর তিনি বলেনঃ আমি তো তাকে হতভাগ্য বলে মনে করি। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আমার কোন উম্মতের কাছে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে যায়, আর সে এরূপ বলে, তবে হত্যাকারী জাহান্নামী হবে এবং নিহত ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে।
كتاب الفتن
باب فِي النَّهْىِ عَنِ السَّعْىِ، فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ رَقَبَةَ بْنِ مَصْقَلَةَ، عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ سَمُرَةَ - قَالَ كُنْتُ آخِذًا بِيَدِ ابْنِ عُمَرَ فِي طَرِيقٍ مِنْ طُرُقِ الْمَدِينَةِ إِذْ أَتَى عَلَى رَأْسٍ مَنْصُوبٍ فَقَالَ شَقِيَ قَاتِلُ هَذَا . فَلَمَّا مَضَى قَالَ وَمَا أَرَى هَذَا إِلاَّ قَدْ شَقِيَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ مَشَى إِلَى رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي لِيَقْتُلَهُ فَلْيَقُلْ هَكَذَا فَالْقَاتِلُ فِي النَّارِ وَالْمَقْتُولُ فِي الْجَنَّةِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سُمَيْرٍ أَوْ سُمَيْرَةَ وَرَوَاهُ لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ عَنْ عَوْنٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سُمَيْرَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ لِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ - يَعْنِي بِهَذَا الْحَدِيثِ - عَنْ أَبِي عَوَانَةَ وَقَالَ هُوَ فِي كِتَابِي ابْنُ سَبْرَةَ وَقَالُوا سَمُرَةَ وَقَالُوا سُمَيْرَةَ هَذَا كَلاَمُ أَبِي الْوَلِيدِ .
হাদীস নং: ৪২১২
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬১
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
২. ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি না করা সম্পর্কে।
৪২১২. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেনঃ হে আবু যর! আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার খিদমতে হাযির। এরপর তিনি হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ তখন নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেন, হে আবু যর! যখন (মড়কের কারণে) বহু লোক মারা যাবে এবং (লোক না থাকার কারণে) একটি গোলামের বিনিময়ে একটি বাড়ি পাওয়া যাবে, তখন তুমি কি করবে? আমি বলিঃ এ ব্যাপারে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সমধিক অভিজ্ঞ; বা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল আমাকে যা নির্দেশ দেন, (আমি তাই করবো)। তিনি বলেনঃ সে সময় তুমি সবর করবে, অথবা তিনি বলেনঃ তুমি সবর কর।

এরপর তিনি বলেনঃ হে আবু যর! আমি বলিঃ আমি আপনার খিদমতে হাযির। তিনি বলেনঃ যখন তুমি আহযার-যায়ত’ নামক স্থানটিকে রক্ত-প্লাবিত দেখবে, তখন কি করবে? আমি বলিঃ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল যা বলেন, আমি তাই করবো। তিনি বলেনঃ তখন তুমি নিজের লোকদের কাছে ফিরে যাবে।

রাবী বলেনঃ এরপর আমি জিজ্ঞাসা করিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে সময় আমি তরবারি নিয়ে তা কি কাঁধে ঝুলিয়ে রাখবো না? তিনি বলেনঃ তবে তো তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।

রাবী বলেন, তখন আমি জিজ্ঞাসা করিঃ সে সময় আপনি আমাকে কি করতে বলেন? তিনি বলেনঃ তুমি তোমার ঘরে অবস্থান করবে। আমি বলিঃ তখন যদি হামলা করার জন্য কেউ সেখানে প্রবেশ করে? তিনি বলেনঃ যদি তুমি আক্রমণের আশঙ্কা কর, তবে তোমার মুখ চাদর দিয়ে ঢেকে নেবে (এবং নিহত হয়ে যাবে); ফলে, সে হত্যাকারী তার ও তোমার সমস্ত গুনাহের ভাগী হবে।

ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ ‘মুশআছ’-কে এ হাদীসে হাম্মাদ ইবনে যায়দ ছাড়া আর কেউ উল্লেখ করেননি।
كتاب الفتن
باب فِي النَّهْىِ عَنِ السَّعْىِ، فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنِ الْمُشَعَّثِ بْنِ طَرِيفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا أَبَا ذَرٍّ " . قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ قَالَ فِيهِ " كَيْفَ أَنْتَ إِذَا أَصَابَ النَّاسَ مَوْتٌ يَكُونُ الْبَيْتُ فِيهِ بِالْوَصِيفِ " . قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ أَوْ قَالَ مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ . قَالَ " عَلَيْكَ بِالصَّبْرِ " . أَوْ قَالَ " تَصْبِرُ " . ثُمَّ قَالَ لِي " يَا أَبَا ذَرٍّ " . قُلْتُ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ . قَالَ " كَيْفَ أَنْتَ إِذَا رَأَيْتَ أَحْجَارَ الزَّيْتِ قَدْ غَرِقَتْ بِالدَّمِ " . قُلْتُ مَا خَارَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ . قَالَ " عَلَيْكَ بِمَنْ أَنْتَ مِنْهُ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ آخُذُ سَيْفِي وَأَضَعُهُ عَلَى عَاتِقِي قَالَ " شَارَكْتَ الْقَوْمَ إِذًا " . قُلْتُ فَمَا تَأْمُرُنِي قَالَ " تَلْزَمُ بَيْتَكَ " . قُلْتُ فَإِنْ دُخِلَ عَلَىَّ بَيْتِي قَالَ " فَإِنْ خَشِيتَ أَنْ يَبْهَرَكَ شُعَاعُ السَّيْفِ فَأَلْقِ ثَوْبَكَ عَلَى وَجْهِكَ يَبُوءُ بِإِثْمِكَ وَإِثْمِهِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَذْكُرِ الْمُشَعَّثَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ غَيْرُ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ .
হাদীস নং: ৪২১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬২
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
২. ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি না করা সম্পর্কে।
৪২১৩. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) .... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের সামনে রাতের গভীর অন্ধকারের ন্যায় ফিতনা-ফ্যাসাদ সংঘটিত হবে। সে সময় একজন সকালে মুসলমান হবে, সন্ধ্যায় কাফিরে পরিণত হবে এবং সে সময় উপবেশনকারী দণ্ডায়মান ব্যক্তি হতে, দণ্ডায়মান ব্যক্তি চলাফেরাকারী ব্যক্তি হতে এবং চলমান ব্যক্তি দৌড়াদৌড়িকারী ব্যক্তি হতে উত্তম হবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেনঃ সে সময় আপনি আমাদের কি করতে বলেন? তিনি বলেনঃ তখন তোমরা তোমাদের ঘরের বিছানার ন্যায় (নির্জীব) হয়ে যাবে।
كتاب الفتن
باب فِي النَّهْىِ عَنِ السَّعْىِ، فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مُوسَى، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ بَيْنَ أَيْدِيكُمْ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ يُصْبِحُ الرَّجُلُ فِيهَا مُؤْمِنًا وَيُمْسِي كَافِرًا وَيُمْسِي مُؤْمِنًا وَيُصْبِحُ كَافِرًا الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ وَالْقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي " . قَالُوا فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ " كُونُوا أَحْلاَسَ بُيُوتِكُمْ " .
হাদীস নং: ৪২১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৩
ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয়
২. ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি না করা সম্পর্কে।
৪২১৪. ইবরাহীম ইবনে হাসান (রাহঃ) ..... মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহর শপথ! অবশ্যি আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, ঐ ব্যক্তি নেককার, যে ফিতনা থেকে দূরে থাকে; ঐ ব্যক্তি নেককার, যে ফিতনা থেকে দূরে থাকে, ঐ ব্যক্তি সৌভাগ্যবান যে ফিতনা থেকে দূরে থাকে। আর যে ব্যক্তি ফিতনাগ্রস্ত হওয়ার পর সবর করবে, সে খুবই ভাগ্যবান।
كتاب الفتن
باب فِي النَّهْىِ عَنِ السَّعْىِ، فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ الْمِصِّيصِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ جُبَيْرٍ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْمِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ، قَالَ ايْمُ اللَّهِ لَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ السَّعِيدَ لَمَنْ جُنِّبَ الْفِتَنَ إِنَّ السَّعِيدَ لَمَنْ جُنِّبَ الْفِتَنَ إِنَّ السَّعِيدَ لَمَنْ جُنِّبَ الْفِتَنَ وَلَمَنِ ابْتُلِيَ فَصَبَرَ فَوَاهًا " .
tahqiq

তাহকীক: