কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৩০. ফিতনাসমূহের বিবরণ ও করণীয় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৫ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪১৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪০
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪১৯২. উছমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ..... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে কিয়ামত পর্যন্ত যা ঘটবে, সে সব ঘটনার বর্ণনা দেন। যারা তা হিফাজত করেছে, তারা উত্তম কাজ করেছে; আর যারা তা ভুলে গেছে, তারা ভুলেই গেছে। আমার সাথীগণ তা জানে এবং চিনে। যখন তাদের সামনে ঐ ধরনের কিছু সংঘটিত হয়, তখন তাদের তা ঐরূপ স্মরণ আসে, যেরূপ কোন পরিচিত ব্যক্তি বহুদিন অনুপস্থিত থাকার পর তাকে দেখা মাত্রই চিনে ফেলে।
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا فَمَا تَرَكَ شَيْئًا يَكُونُ فِي مَقَامِهِ ذَلِكَ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ إِلاَّ حَدَّثَهُ حَفِظَهُ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ قَدْ عَلِمَهُ أَصْحَابُهُ هَؤُلاَءِ وَإِنَّهُ لَيَكُونُ مِنْهُ الشَّىْءُ فَأَذْكُرُهُ كَمَا يَذْكُرُ الرَّجُلُ وَجْهَ الرَّجُلِ إِذَا غَابَ عَنْهُ ثُمَّ إِذَا رَآهُ عَرَفَهُ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪৩
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪১৯৩. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) .... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আল্লাহর শপথ! আমি জানি না, আমার সাথীরা ভুলে গেছে কিনা? আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিয়ামত পর্যন্ত ফিতনা সৃষ্টিকারী কোন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করতে বাদ দেননি, যাদের সংখ্যা হবে তিনশ’রও বেশী। তিনি তাদের নাম, তাদের পিতার নাম এবং তাদের গোত্রের নাম আমাদের নিকট উল্লেখ করেন।
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ فَرُّوخَ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، أَخْبَرَنِي ابْنٌ لِقَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ وَاللَّهِ مَا أَدْرِي أَنَسِيَ أَصْحَابِي أَمْ تَنَاسَوْا وَاللَّهِ مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ قَائِدِ فِتْنَةٍ إِلَى أَنْ تَنْقَضِيَ الدُّنْيَا يَبْلُغُ مَنْ مَعَهُ ثَلاَثَمِائَةٍ فَصَاعِدًا إِلاَّ قَدْ سَمَّاهُ لَنَا بِاسْمِهِ وَاسْمِ أَبِيهِ وَاسْمِ قَبِيلَتِهِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪১
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪১৯৪. হারূন ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ এ উম্মতের মধ্যে চারটি বড় ফিতনা সৃষ্টি হবে, এরপর কিয়ামত হবে।
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ بَدْرِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَكُونُ فِي هَذِهِ الأُمَّةِ أَرْبَعُ فِتَنٍ فِي آخِرِهَا الْفَنَاءُ " .
হাদীস নং:৪১৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪২
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪১৯৫. ইয়াহয়া ইবনে উছমান (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে বসে ছিলাম। এ সময় তিনি ফিতনা সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করেন; এমন কি তিনি ‘ইহলাসের’ ফিতনার কথাও উল্লেখ করেন। এ সময় জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! ‘ইহলাসের’ ফিতনাটা কিরূপ? তিনি বলেনঃ তা হলো-পলায়ন ও ধ্বংস। এরপর তিনি সারা’ ফিতনার কথা উল্লেখ করে বলেনঃ তা এমন এক ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত হবে, যাকে লোকেরা আমার বংশের লোক বলে মনে করবে, কিন্তু আসলে সে আমার বংশের লোক হবে না। কেননা, আমার বন্ধু-বান্ধব তো মুত্তাকী লোকেরাই। এরপর লোকেরা এমন এক ব্যক্তির নেতৃত্বের উপর একমত হবে, যে দুর্বল চিত্ত ও লেংড়া হবে। (তার শাসনকাল দীর্ঘ হবে না।)

এরপর চরম ফিততা প্রকাশ পাবে, যা এ উম্মতের কাউকে এক চড় না দিয়ে ছাড়বে না। এরপর লোকেরা যখন বলাবলি করতে থাকবে যে, ফিতনার সময় শেষ হয়ে গেছে, তখন তা আরো বৃদ্ধি পাবে। তখন এমন অবস্থার সৃষ্টি হবে, সকালে যে মু’মিন থাকবে, সে সন্ধ্যায় কাফির হয়ে যাবে। এ সময় লোকেরা বিভিন্ন দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করবে। আর মুসলমানরা যে দুর্গে অবস্থান করবে, সেখানে কোন মুনাফিক থাকবে না এবং যেখানে মুনাফিকরা থাকবে, সেখানে কোন মু’মিন লোক থাকবে না। তোমরা যখন এ অবস্থায় পৌঁছবে, তখন দাজ্জাল বের হওয়ার অপেক্ষা করবে-ঐ দিন থেকেই বা পরের দিন।
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَالِمٍ، حَدَّثَنِي الْعَلاَءُ بْنُ عُتْبَةَ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ هَانِئٍ الْعَنْسِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ كُنَّا قُعُودًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ الْفِتَنَ فَأَكْثَرَ فِي ذِكْرِهَا حَتَّى ذَكَرَ فِتْنَةَ الأَحْلاَسِ فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا فِتْنَةُ الأَحْلاَسِ قَالَ " هِيَ هَرَبٌ وَحَرْبٌ ثُمَّ فِتْنَةُ السَّرَّاءِ دَخَنُهَا مِنْ تَحْتِ قَدَمَىْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي يَزْعُمُ أَنَّهُ مِنِّي وَلَيْسَ مِنِّي وَإِنَّمَا أَوْلِيَائِيَ الْمُتَّقُونَ ثُمَّ يَصْطَلِحُ النَّاسُ عَلَى رَجُلٍ كَوَرِكٍ عَلَى ضِلَعٍ ثُمَّ فِتْنَةُ الدُّهَيْمَاءِ لاَ تَدَعُ أَحَدًا مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ إِلاَّ لَطَمَتْهُ لَطْمَةً فَإِذَا قِيلَ انْقَضَتْ تَمَادَتْ يُصْبِحُ الرَّجُلُ فِيهَا مُؤْمِنًا وَيُمْسِي كَافِرًا حَتَّى يَصِيرَ النَّاسُ إِلَى فُسْطَاطَيْنِ فُسْطَاطِ إِيمَانٍ لاَ نِفَاقَ فِيهِ وَفُسْطَاطِ نِفَاقٍ لاَ إِيمَانَ فِيهِ فَإِذَا كَانَ ذَاكُمْ فَانْتَظِرُوا الدَّجَّالَ مِنْ يَوْمِهِ أَوْ مِنْ غَدِهِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪৪
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪১৯৬. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... সুবাই’ ইবনে খালিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন ‘তাসতুর’ নামক স্থান বিজিত হয়, তখন আমি একটি খচ্চর কেনার জন্য কূফায় গমন করি। সেখানে মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে কিছু লোককে বসে থাকতে দেখি। আর সেখানে এমন একজনকে বসা দেখতে পাই, যাকে দেখে আমার মনে হয়, লোকটি হিজাযের অধিবাসী। তিনি বলেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করি, ইনি কে? এরূপ জিজ্ঞাসা করাতে লোকেরা আমার প্রতি বিরক্ত হয়ে বলেঃ তুমি এ ব্যক্তিকে চিন না? ইনি তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবী হুযাইফা ইবনে ইয়ামান (রাযিঃ)।

তখন হুযাইফা (রাযিঃ) বলেনঃ লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট কল্যাণ ও মঙ্গলের বিষয়াদী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতো এবং আমি তাঁর নিকট অকল্যাণের বিষয়াদী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম। এ কথা শুনে লোকেরা তাঁর প্রতি বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকাতে থাকলে, তিনি বলেনঃ আমার কথা যারা খারাপ মনে করে, আমি তাদের দেখতে পাচ্ছি। এরপর তিনি বলেন, একদা আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! মহান আল্লাহ আমাদের যে কল্যাণ ও মঙ্গল দান করেছেন, এরপর কি আবার খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হবে, যেমন আগে ছিল? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। আমি বলিঃ এর থেকে বাঁচার ব্যবস্থা কি? তিনি বলেনঃ তরবারি। আমি জিজ্ঞাসা করিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরপর কি হবে? তিনি বলেনঃ এ সময় পৃথিবীতে যদি আল্লাহর কোন প্রতিনিধি থাকে এবং সে যুলুম করে তোমার পিঠ ভেঙ্গে দেয়, তোমার ধন-সম্পদ লুট করে নেয়, তবুও তুমি তার আনুগত্য করবে। আর যদি এরূপ কেউ না থাকে, তবে তুমি জঙ্গলে চলে যাবে এবং গাছের লতা-পাতা খেতে খেতে মরে যাবে।

আমি আরো জিজ্ঞাসা করিঃ এরপর কি হবে? তিনি বলেনঃ এরপর দাজ্জাল বের হবে, যার সাথে নহর ও আগুন থাকবে। যে তার আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে, সে অবশ্যই সাওয়াব পাবে এবং তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। আর যে তার নহরে নিক্ষিপ্ত হবে, সে অবশ্যই গুনাহগার হবে এবং তার নেকী বরবাদ হবে। রাবী বলেনঃ আমি বললামঃ এরপর কি হবে? তিনি বললেনঃ এরপর কিয়ামত হবে।
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ سُبَيْعِ بْنِ خَالِدٍ، قَالَ أَتَيْتُ الْكُوفَةَ فِي زَمَنِ فُتِحَتْ تُسْتَرُ أَجْلُبُ مِنْهَا بِغَالاً فَدَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا صَدْعٌ مِنَ الرِّجَالِ وَإِذَا رَجُلٌ جَالِسٌ تَعْرِفُ إِذَا رَأَيْتَهُ أَنَّهُ مِنْ رِجَالِ أَهْلِ الْحِجَازِ قَالَ قُلْتُ مَنْ هَذَا فَتَجَهَّمَنِي الْقَوْمُ وَقَالُوا أَمَا تَعْرِفُ هَذَا هَذَا حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ حُذَيْفَةُ إِنَّ النَّاسَ كَانُوا يَسْأَلُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَيْرِ وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ فَأَحْدَقَهُ الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقَالَ إِنِّي قَدْ أَرَى الَّذِي تُنْكِرُونَ إِنِّي قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ هَذَا الْخَيْرَ الَّذِي أَعْطَانَا اللَّهُ أَيَكُونُ بَعْدَهُ شَرٌّ كَمَا كَانَ قَبْلَهُ قَالَ " نَعَمْ " . قُلْتُ فَمَا الْعِصْمَةُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " السَّيْفُ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ثُمَّ مَاذَا يَكُونُ قَالَ " إِنْ كَانَ لِلَّهِ خَلِيفَةٌ فِي الأَرْضِ فَضَرَبَ ظَهْرَكَ وَأَخَذَ مَالَكَ فَأَطِعْهُ وَإِلاَّ فَمُتْ وَأَنْتَ عَاضٌّ بِجِذْلِ شَجَرَةٍ " . قُلْتُ ثُمَّ مَاذَا قَالَ " ثُمَّ يَخْرُجُ الدَّجَّالُ مَعَهُ نَهْرٌ وَنَارٌ فَمَنْ وَقَعَ فِي نَارِهِ وَجَبَ أَجْرُهُ وَحُطَّ وِزْرُهُ وَمَنْ وَقَعَ فِي نَهْرِهِ وَجَبَ وِزْرُهُ وَحُطَّ أَجْرُهُ " . قَالَ قُلْتُ ثُمَّ مَاذَا قَالَ " ثُمَّ هِيَ قِيَامُ السَّاعَةِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪৫
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪১৯৭. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ...... খালিদ ইবনে ইয়াশকুরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। রাবী হুযাইফা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করিঃ তরবারির পরে কি অবস্থা হবে? (অর্থাৎ তরবারি দিয়ে কাফির মুশরিকদের ধ্বংসের পর কি হবে?) তিনি বলেনঃ এমন লোক অবশিষ্ট থাকবে, যাদের অন্তর ফিতনা-ফ্যাসাদে পরিপূর্ণ থাকবে। এরপর হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেনঃ কাতাদা (রাহঃ) এ ফিতনাকে ঐ সময়ের ঘটনারূপে উল্লেখ করেন, যা আবু বকর (রাযিঃ)-এর সময় ধর্মত্যাগীদের সাথে অনুষ্ঠিত হয় অর্থাৎ রিদ্দার যুদ্ধ।
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ خَالِدٍ الْيَشْكُرِيِّ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ قُلْتُ بَعْدَ السَّيْفِ قَالَ " بَقِيَّةٌ عَلَى أَقْذَاءٍ وَهُدْنَةٌ عَلَى دَخَنٍ " . ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ قَالَ كَانَ قَتَادَةُ يَضَعُهُ عَلَى الرِّدَّةِ الَّتِي فِي زَمَنِ أَبِي بَكْرٍ " عَلَى أَقْذَاءٍ " . يَقُولُ قَذَى . " وَهُدْنَةٌ " . يَقُولُ صُلْحٌ " عَلَى دَخَنٍ " . عَلَى ضَغَائِنَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪৬
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪১৯৮. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) .... নসর ইবনে আসিম লায়ছি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা লায়ছ-গোত্রের প্রতিনিধিদের সাথে ইয়াশকুরী (রাহঃ) এর নিকট উপস্থিত হলে, তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমরা কারা? আমরা বলিঃ আমরা লায়ছ গোত্রের লোক। আমরা আপনার কাছে হুযাইফা (রাযিঃ) এর হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছি। তিনি হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ ভাল অবস্থার পর কি খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হবে? তিনি বলেনঃ ফিতনার সৃষ্টি হবে। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! ফিতনা-ফ্যাসাদের পর পুনরায় কি ভালো অবস্থার সৃষ্টি হবে? তিনি বলেনঃ হে হুযাইফা! আল্লাহর কিতাবের জ্ঞান অর্জন কর এবং এতে যা আছে তার অনুসরণ কর। তিনি তিনবার একথা বলেন।

রাবী হুযাইফা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ খারাপ অবস্থার পর কি আবার ভালো অবস্থার সৃষ্টি হবে? তিনি বলেনঃ هُدْنَةٌ عَلَى دَخَنٍ আর এরা হবে এমন এক জামাআত, যাদের দিল অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে।

রাবী বলেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করিঃ هُدْنَةٌ عَلَى دَخَنٍ এর অর্থ কি? ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বলেনঃ মানুষের অন্তর বা দিল যে অবস্থায় থাকবে, তা থেকে পরিবর্তিত হবে না।

রাবী বলেনঃ তখন আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ ভালো অবস্থার পর কি আবার খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হবে? তিনি বলেনঃ এরপর সর্বগ্রাসী ফিতনার সৃষ্টি হবে, তখন লোকদের আগুনের দরজার দিকে আহবান করা হবে। অতএব হে হুযাইফা! যদি তুমি সে সময় পাও, তবে তাদের কারো আনুগত্য করার চাইতে, তোমার জন্য উচিত হবে জঙ্গলে গিয়ে গাছের শিকড়, ফল-মূল ইত্যাদি খেতে খেতে মারা যাওয়া।
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ - عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ اللَّيْثِيِّ، قَالَ أَتَيْنَا الْيَشْكُرِيَّ فِي رَهْطٍ مِنْ بَنِي لَيْثٍ فَقَالَ مَنِ الْقَوْمُ فَقُلْنَا بَنُو لَيْثٍ أَتَيْنَاكَ نَسْأَلُكَ عَنْ حَدِيثِ حُذَيْفَةَ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ شَرٌّ قَالَ " فِتْنَةٌ وَشَرٌّ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ بَعْدَ هَذَا الشَّرِّ خَيْرٌ قَالَ " يَا حُذَيْفَةُ تَعَلَّمْ كِتَابَ اللَّهِ وَاتَّبِعْ مَا فِيهِ " . ثَلاَثَ مِرَارٍ . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ بَعْدَ هَذَا الشَّرِّ خَيْرٌ قَالَ " هُدْنَةٌ عَلَى دَخَنٍ وَجَمَاعَةٌ عَلَى أَقْذَاءٍ فِيهَا أَوْ فِيهِمْ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْهُدْنَةُ عَلَى الدَّخَنِ مَا هِيَ قَالَ " لاَ تَرْجِعُ قُلُوبُ أَقْوَامٍ عَلَى الَّذِي كَانَتْ عَلَيْهِ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ شَرٌّ قَالَ " فِتْنَةٌ عَمْيَاءُ صَمَّاءُ عَلَيْهَا دُعَاةٌ عَلَى أَبْوَابِ النَّارِ فَإِنْ تَمُتْ يَا حُذَيْفَةُ وَأَنْتَ عَاضٌّ عَلَى جِذْلٍ خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ تَتَّبِعَ أَحَدًا مِنْهُمْ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪৭
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪১৯৯. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যদি তুমি সে ফিতনার যুগে কোন খলীফা না পাও, তবে সেখান থেকে পালিয়ে যাবে। যতক্ষণ না তুমি মারা যাবে, ততক্ষণ জঙ্গলে গিয়ে ফল-মূল খেয়ে জীবন-ধারণ করবে।

রাবী হুযাইফা (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর আমি জিজ্ঞাসা করিঃ (ইয়া রাসূলাল্লাহ!) তারপর কি হবে? তিনি বলেনঃ এ সময় যদি কেউ তার ঘোড়ার-বাচ্চা প্রসব করাতে চায়, তবে সে ব্যক্তি সে সময়ও পাবে বা, বরং এর মধ্যেই কিয়ামত অনষ্ঠিত হবে।
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ، عَنْ صَخْرِ بْنِ بَدْرٍ الْعِجْلِيِّ، عَنْ سُبَيْعِ بْنِ خَالِدٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ حُذَيْفَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فَإِنْ لَمْ تَجِدْ يَوْمَئِذٍ خَلِيفَةً فَاهْرَبْ حَتَّى تَمُوتَ فَإِنْ تَمُتْ وَأَنْتَ عَاضٌّ " . وَقَالَ فِي آخِرِهِ قَالَ قُلْتُ فَمَا يَكُونُ بَعْدَ ذَلِكَ قَالَ " لَوْ أَنَّ رَجُلاً نَتَجَ فَرَسًا لَمْ تُنْتَجْ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২০০
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪৮
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪২০০. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন ইমামের নিকট বায়আত গ্রহণ করে, তার উচিত, সাধ্যমত তার আনুগত্য করা। এ সময় যদি অন্য কোন নেতা এসে তাঁর সাথে ঝগড়া শুরু করে দেয়, তবে তাকে হত্যা করবে।

রাবী আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেনঃ তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করিঃ তুমি কি ইহা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট থেকে শুনেছ? তিনি বলেনঃ অবশ্যই আমার দু’টি কান তা শ্রবণ করেছে এবং আমার অন্তর তা হিফাজত করেছে।

রাবী বলেন, আমি বলিঃ তোমার এই চাচার ছেলে মুআবিয়া আমাদের এরূপ-এরূপ করতে বলে? (অর্থাৎ সে আলী (রাযিঃ)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বলে।) তিনি বলেনঃ সে যেখানে আল্লাহর আনুগত্য করে, সেখানে তার আনুগত্য করবে এবং সে যেখানে আল্লাহর নাফরমানী করে, সেখানে তার আনুগত্য করবে না।
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ رَبِّ الْكَعْبَةِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ بَايَعَ إِمَامًا فَأَعْطَاهُ صَفْقَةَ يَدِهِ وَثَمَرَةَ قَلْبِهِ فَلْيُطِعْهُ مَا اسْتَطَاعَ فَإِنْ جَاءَ آخَرُ يُنَازِعُهُ فَاضْرِبُوا رَقَبَةَ الآخَرِ " . قُلْتُ أَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ وَوَعَاهُ قَلْبِي . قُلْتُ هَذَا ابْنُ عَمِّكَ مُعَاوِيَةُ يَأْمُرُنَا أَنْ نَفْعَلَ وَنَفْعَلَ . قَالَ أَطِعْهُ فِي طَاعَةِ اللَّهِ وَاعْصِهِ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ .
হাদীস নং:৪২০১
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪৯ - ৪২৫০
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪২০১. মুহাম্মাদ ইহন ইয়াহয়া (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আরবের ঐ ফিতনার প্রতি আফসোস! যা খুবই নিকটবর্তী। যে ব্যক্তি নিজের হাতকে তা থেকে ফিরিয়ে রাখবে, সে নাজাত পাবে।*

ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেন, ইবনে ওয়াহাব, জারির, উবাইদুল্লাহ নাফি’ (রাহঃ) সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সে সময় অতি নিকটবর্তী, যখন মুসলমানদের মদীনাতে ঘিরে ফেলা হবে, এমনকি সব চাইতে দূরে, সালাহ নামক স্থানে, তাদের পতাকাবাহী নেতা হবে।**

* সম্ভবতঃ এ হাদীসে উছমান (রাযিঃ), আলী (রাযিঃ) ও মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর সময়ের ফিতনার প্রতি ইংগিত করা হয়েছে, যা নবী (ﷺ) এর ভবিষ্যদ্বাণীর পর-পরই অনুষ্ঠিত হয়। – (অনুবাদক)

** সালাহ খায়বরের নিকট অবস্থিত একটি স্থানের নাম। সম্ভবতঃ এ অবস্থা হবে দাজ্জাল প্রকাশের সময়। -(অনুবাদক)
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ أَفْلَحَ مَنْ كَفَّ يَدَهُ " .

الَ أَبُو دَاوُدَ حُدِّثْتُ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُوشِكُ الْمُسْلِمُونَ أَنْ يُحَاصَرُوا إِلَى الْمَدِينَةِ حَتَّى يَكُونَ أَبْعَدُ مَسَالِحِهِمْ سَلاَحَ " .
হাদীস নং:৪২০২
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫১
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪২০২. আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) .... যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সালাহ হলো-খায়বরের নিকটবর্তী একটি স্থানের নাম।
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَنْبَسَةَ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ وَسَلاَحُ قَرِيبٌ مِنْ خَيْبَرَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫২
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪২০৩. সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) .... ছাওবান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা আমার জন্য যমীনকে সংকুচিত করে দেন। অথবা তিনি বলেনঃ মহান আল্লাহ যমীনকে আমার জন্য ছোট করে দেন। আর এ সময় আমাকে যমীনের পূর্ব ও পশ্চিম দিক দেখানো হয়। আমার উম্মতের হুকুমত অবশ্যই সে পর্যন্ত পৌঁছবে, যা আমাকে দেখানো হয়েছে। আর আমাকে দু’টি ধন-ভাণ্ডার দেওয়া হয়েছে, লাল এবং সাদা অর্থাৎ সোনা ও রূপা। আমি আমার মহান রবের নিকট এরূপ দুআ করি, তিনি যেন আমার উম্মতকে এক সাথে ধ্বংস না করেন এবং তাদের উপর এমন কোন শত্রুকে বিজয়ী না করেন, যে তাদের সমূলে ধ্বংস করবে।

আমার রব আমাকে বলেনঃ হে মহাম্মাদ! আমি যখন কোন হুকুম জারি করে, কখন তা রদ হয় না। তবে আমি তোমার উম্মতকে একই দুর্ভিক্ষের বছর এক সাথে ধ্বংস করবো না এবং তাদের উপর এমন কোন শত্রুকে বিজয় প্রদান করবো না, যে তাদের সমূলে ধ্বংস করবে; তবে তোমার উম্মতের মধ্যে এমন লোক সৃষ্টি হবে, যারা একে অন্যকে ধ্বংস ও বন্দী করবে।

তিনি আরো বলেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে মধ্যেকার গুমরাহকারী নেতাদের ব্যাপারে খুবই ভীত-সন্ত্রস্ত। যখন আমার উম্মতের লোকেরা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হবে, তখন তা কিয়ামত পর্যন্ত নিরস্ত হবে না। আর কিয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত আনুষ্ঠিত হবে না, যতক্ষণ না আমার উম্মতের সমস্ত গোত্র মুশরিকদের সাথে মিলে যাবে এবং মূর্তিপূজায় লিপ্ত হবে।

তিনি বলেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশ জন ভণ্ড নবীর আবির্ভাব ঘটবে, যাদের প্রত্যেকে নিজেকে নবী হিসাবে দাবী করবে। অথচ আমি-ই শেষ নবী, আমার পরে আর কোন নবির আবির্ভাব ঘটবে না। বস্তুত আমার উম্মতের এক জামাআত সব সময় সত্য ও ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, তাদের বিরোধীপক্ষ তাদের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। এ অবস্থায় মহান আল্লাহর নির্দেশ অর্থাৎ কিয়ামত এসে যাবে।
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الأَرْضَ " . أَوْ قَالَ " إِنَّ رَبِّي زَوَى لِيَ الأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا وَإِنَّ مُلْكَ أُمَّتِي سَيَبْلُغُ مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا وَأُعْطِيتُ الْكَنْزَيْنِ الأَحْمَرَ وَالأَبْيَضَ وَإِنِّي سَأَلْتُ رَبِّي لأُمَّتِي أَنْ لاَ يُهْلِكَهَا بِسَنَةٍ بِعَامَّةٍ وَلاَ يُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ وَإِنَّ رَبِّي قَالَ لِي يَا مُحَمَّدُ إِنِّي إِذَا قَضَيْتُ قَضَاءً فَإِنَّهُ لاَ يُرَدُّ وَلاَ أُهْلِكُهُمْ بِسَنَةٍ بِعَامَّةٍ وَلاَ أُسَلِّطُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ وَلَوِ اجْتَمَعَ عَلَيْهِمْ مَنْ بَيْنَ أَقْطَارِهَا أَوْ قَالَ بِأَقْطَارِهَا حَتَّى يَكُونَ بَعْضُهُمْ يُهْلِكُ بَعْضًا وَحَتَّى يَكُونَ بَعْضُهُمْ يَسْبِي بَعْضًا وَإِنَّمَا أَخَافُ عَلَى أُمَّتِي الأَئِمَّةَ الْمُضِلِّينَ وَإِذَا وُضِعَ السَّيْفُ فِي أُمَّتِي لَمْ يُرْفَعْ عَنْهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَلاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَلْحَقَ قَبَائِلُ مِنْ أُمَّتِي بِالْمُشْرِكِينَ وَحَتَّى تَعْبُدَ قَبَائِلُ مِنْ أُمَّتِي الأَوْثَانَ وَإِنَّهُ سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي كَذَّابُونَ ثَلاَثُونَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي وَلاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي عَلَى الْحَقِّ " . قَالَ ابْنُ عِيسَى " ظَاهِرِينَ " . ثُمَّ اتَّفَقَا " لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪২০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৩
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪২০৪. মুহাম্মাদ ইবনে আওফ (রাহঃ) .... আবু মালিক আশআরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তোমাদের তিন ধরনের ফিতনা থেকে বাঁচিয়েছেন। যথাঃ

১। তোমাদের নবী তোমাদের জন্য বদ-দুআ করবেন না, যাতে তোমরা সবাই এক সাথে হালাক হয়ে যাবে;

২। বাতিলের অনুসারীরা কখনই হকের অনুসারীদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না, এবং

৩। তোমরা সবাই এক সাথে গুমরাহ হবে না।
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنِي أَبِي، - قَالَ ابْنُ عَوْفٍ وَقَرَأْتُ فِي أَصْلِ إِسْمَاعِيلَ - قَالَ حَدَّثَنِي ضَمْضَمٌ، عَنْ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، - يَعْنِي الأَشْعَرِيَّ - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ أَجَارَكُمْ مِنْ ثَلاَثِ خِلاَلٍ أَنْ لاَ يَدْعُوَ عَلَيْكُمْ نَبِيُّكُمْ فَتَهْلِكُوا جَمِيعًا وَأَنْ لاَ يَظْهَرَ أَهْلُ الْبَاطِلِ عَلَى أَهْلِ الْحَقِّ وَأَنْ لاَ تَجْتَمِعُوا عَلَى ضَلاَلَةٍ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৪
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪২০৫. মুহাম্মাদ ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ ইসলামের চাকা পঁয়ত্রিশ, ছত্রিশ বা সাইত্রিশ বছর আবরতিত হবে। এ সময় যদি তারা ধ্বংস হয়, তবে তাদের রাস্তা হবে পূর্ববর্তীদের রাস্তার ন্যায়। আর এ সময় যদি তাদের দীন কায়েম হয়, তবে তা তাদের জন্য সত্তর বছর কায়েম থাকবে। রাবী বলেনঃ এ সময় আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করিঃ এ গণনার শুরু কি অতীত কাল হতে শুরু হবে, না সামনে থেকে? তিনি বলেনঃ এ হিসাবের শুরু অতীত থেকে হবে।*

* এ সময়টি হিজরত থেকে শুরু করে উছমান (রাযিঃ)-এর খিলাফতকাল পর্যন্ত সীমিত। যার পরিমাণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উল্লেখ করেন। - (অনুবাদক)
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ نَاجِيَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تَدُورُ رَحَى الإِسْلاَمِ لِخَمْسٍ وَثَلاَثِينَ أَوْ سِتٍّ وَثَلاَثِينَ أَوْ سَبْعٍ وَثَلاَثِينَ فَإِنْ يَهْلِكُوا فَسَبِيلُ مَنْ هَلَكَ وَإِنْ يَقُمْ لَهُمْ دِينُهُمْ يَقُمْ لَهُمْ سَبْعِينَ عَامًا " . قَالَ قُلْتُ أَمِمَّا بَقِيَ أَوْ مِمَّا مَضَى قَالَ " مِمَّا مَضَى " .
হাদীস নং:৪২০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৫
১. ফিতনা ফাসাদের উল্লেখ এবং এর নিদর্শনাবলী।
৪২০৬. আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামত নিকটবর্তী হবে, ‘ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান)’ ততই কম হবে এবং ফিতনা প্রকাশ পাবে, লোকজন অধিক কৃপন হবে এবং ‘হারাজ’ বৃদ্ধি পাবে। তখন বলা হয়ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! হারাজ কি? তিনি বলেন, হত্যা, আর হত্যা।*

* অর্থাৎ কিয়ামতের আগে দুনিয়াতে যুদ্ধ-বিগ্রহ, মারা-মারি, কাটাকাটি, হত্যা-সন্ত্রাস অধিক হারে বৃদ্ধি পাবে। -(অনুবাদক)
باب ذِكْرِ الْفِتَنِ وَدَلاَئِلِهَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَتَقَارَبُ الزَّمَانُ وَيَنْقُصُ الْعِلْمُ وَتَظْهَرُ الْفِتَنُ وَيُلْقَى الشُّحُّ وَيَكْثُرُ الْهَرْجُ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَّةُ هُوَ قَالَ " الْقَتْلُ الْقَتْلُ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান