কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩০৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৪২
১৬৯. অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ সম্পর্কে।
৩০৩২. আহমদ ইবনে সানান ওয়াসিতী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, যখন পারসিকদের নবী ইনতিকাল করেন, তখন ইবলিস তাদের অগ্নিপূজায় লাগিয়ে দেয় (অর্থাৎ গুমরাহ করে ফেলে)।
باب فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ مِنَ الْمَجُوسِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّ أَهْلَ فَارِسَ لَمَّا مَاتَ نَبِيُّهُمْ كَتَبَ لَهُمْ إِبْلِيسُ الْمَجُوسِيَّةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৪৩
১৬৯. অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ সম্পর্কে।
৩০৩৩. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আবু শা’ছা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জাযা ইবনে মু’আবীয়ার লেখক ছিলাম, যিনি আহনাফ ইবনে কায়েসের চাচা ছিলেন। একবার উমর (রাযিঃ)-এর মৃত্যুর এক বছর আগে আমাদের নিকট (তাঁর লিখিত) এ মর্মের পত্র আসে; (যাতে এরূপ নির্দেশ ছিল যে), প্রত্যেক জাদুকরকে হত্যা করবে, অগ্নি-উপাসকদের প্রত্যেক মুহরিম ব্যক্তির সাথে বিবাহিত (তার বোন, খালা ইত্যাদি) কে বিচ্ছিন্ন করে দেবে, আর তাদের গুণগুণ শব্দ করা হতে বিরত থাকতে বলবে। তখন একদিনে আমরা তিনজন জাদুকরকে হত্যা করি এবং যে সব অগ্নি-উপাসকের সাথে কোন মুহরিম স্ত্রীলোকের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল, আল্লাহর কিতাব অনুসারে তাদের মাঝের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেই।
রাবী বলেনঃ একদা তিনি (আহনাফ ইবনে কায়স) অনেক খাদ্য পাক করে অগ্নি-উপাসকদের ডাকেন এবং তরবারি নিজের রানের উপর রাখেন। তখন তারা খাওয়ার পর কোন রূপ গুণশুন শব্দ করিনি। এরপর তারা এক বা দু’খচ্চরের বোঝা পরিমাণ রৌপ্য প্রদান করেন। আর উমর (রাযিঃ) অক্ষম অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ করেননি, যতক্ষণ না আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ’হাজার’ নামক স্থানের অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ করেছিলেন।
রাবী বলেনঃ একদা তিনি (আহনাফ ইবনে কায়স) অনেক খাদ্য পাক করে অগ্নি-উপাসকদের ডাকেন এবং তরবারি নিজের রানের উপর রাখেন। তখন তারা খাওয়ার পর কোন রূপ গুণশুন শব্দ করিনি। এরপর তারা এক বা দু’খচ্চরের বোঝা পরিমাণ রৌপ্য প্রদান করেন। আর উমর (রাযিঃ) অক্ষম অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ করেননি, যতক্ষণ না আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ’হাজার’ নামক স্থানের অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ করেছিলেন।
باب فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ مِنَ الْمَجُوسِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ بَجَالَةَ، يُحَدِّثُ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ وَأَبَا الشَّعْثَاءِ قَالَ كُنْتُ كَاتِبًا لِجَزْءِ بْنِ مُعَاوِيَةَ عَمِّ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ إِذْ جَاءَنَا كِتَابُ عُمَرَ قَبْلَ مَوْتِهِ بِسَنَةٍ اقْتُلُوا كُلَّ سَاحِرٍ وَفَرِّقُوا بَيْنَ كُلِّ ذِي مَحْرَمٍ مِنَ الْمَجُوسِ وَانْهَوْهُمْ عَنِ الزَّمْزَمَةِ فَقَتَلْنَا فِي يَوْمٍ ثَلاَثَةَ سَوَاحِرَ وَفَرَّقْنَا بَيْنَ كُلِّ رَجُلٍ مِنَ الْمَجُوسِ وَحَرِيمِهِ فِي كِتَابِ اللَّهِ وَصَنَعَ طَعَامًا كَثِيرًا فَدَعَاهُمْ فَعَرَضَ السَّيْفَ عَلَى فَخِذِهِ فَأَكَلُوا وَلَمْ يُزَمْزِمُوا وَأَلْقَوْا وِقْرَ بَغْلٍ أَوْ بَغْلَيْنِ مِنَ الْوَرِقِ وَلَمْ يَكُنْ عُمَرُ أَخَذَ الْجِزْيَةَ مِنَ الْمَجُوسِ حَتَّى شَهِدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَهَا مِنْ مَجُوسِ هَجَرَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৪৪ - ৩০৪৫
১৬৯. অগ্নি-উপাসকদের থেকে জিযিয়া কর গ্রহণ সম্পর্কে।
৩০৩৪. মুহাম্মাদ ইবনে মিসকীন ইয়ামামী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হাজার নামক স্থানে বসবাসকারী অগ্নি-উপাসকদের থেকে বাহরাইনের আসবাযিয়্যীন এর জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে। এরপর সে যখন বেরিয়ে আসে, তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করিঃ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল তোমাদের ব্যাপারে কী ফয়সালা দিয়েছেন? তখন সে বলেঃ খারাপ ফয়সালা দিয়েছেন। তখন আমি ধমক দিয়ে বলিঃ চুপ থাক। তখন সে বলেঃ (তিনি এরূপ ফয়সালা দিয়েছেন যে), মুসলমান হয়ে যাও, নয়ত কতল করা হবে।
রাবী বলেনঃ আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, তিনি তাদের নিকট হতে জিযিয়া কবুল করেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আরো বলেনঃ লোকেরা আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ)-এর কথার উপর আমল করতে শুরু করে, আর আমি যা আসবাযীর নিকট হতে শুনেছিলাম, তা পরিত্যাগ করে।[1]
অনুচ্ছেদঃ ১৭০. জিযিয়া কর আদায়ের ব্যাপারে কঠোরতা আরোপ সম্পর্কে।
৩০৩৪. সুলাইমান ইবনে দাউদ মোহরী (রাহঃ) ......... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদা হিশাম ইবনে হাকীম ইবনে হাযাম, জনৈক ব্যক্তিকে দেখতে পান, যিনি হিমসের গভর্নর ছিলেন যে, তিনি কয়েকজন কিবতীকে জিযিয়া আদায়ের জন্য রৌদ্রে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। তখন তিনি (হিশাম) জিজ্ঞাসা করেনঃ ব্যাপার কি? আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয় মহান আল্লাহ্ (আখিরাতে) তাদের শাস্তি দিবেন, যারা দুনিয়াতে লোকদের (অকারণে) শাস্তি দেয়।
রাবী বলেনঃ আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, তিনি তাদের নিকট হতে জিযিয়া কবুল করেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আরো বলেনঃ লোকেরা আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ)-এর কথার উপর আমল করতে শুরু করে, আর আমি যা আসবাযীর নিকট হতে শুনেছিলাম, তা পরিত্যাগ করে।[1]
অনুচ্ছেদঃ ১৭০. জিযিয়া কর আদায়ের ব্যাপারে কঠোরতা আরোপ সম্পর্কে।
৩০৩৪. সুলাইমান ইবনে দাউদ মোহরী (রাহঃ) ......... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদা হিশাম ইবনে হাকীম ইবনে হাযাম, জনৈক ব্যক্তিকে দেখতে পান, যিনি হিমসের গভর্নর ছিলেন যে, তিনি কয়েকজন কিবতীকে জিযিয়া আদায়ের জন্য রৌদ্রে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। তখন তিনি (হিশাম) জিজ্ঞাসা করেনঃ ব্যাপার কি? আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয় মহান আল্লাহ্ (আখিরাতে) তাদের শাস্তি দিবেন, যারা দুনিয়াতে লোকদের (অকারণে) শাস্তি দেয়।
باب فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ مِنَ الْمَجُوسِ
باب في التشديد في جباية الجزية
باب في التشديد في جباية الجزية
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِسْكِينٍ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ قُشَيْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ بَجَالَةَ بْنِ عَبْدَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَسْبَذِيِّينَ مِنْ أَهْلِ الْبَحْرَيْنِ - وَهُمْ مَجُوسُ أَهْلِ هَجَرَ - إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَكَثَ عِنْدَهُ ثُمَّ خَرَجَ فَسَأَلْتُهُ مَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ فِيكُمْ قَالَ شَرٌّ . قُلْتُ مَهْ قَالَ الإِسْلاَمُ أَوِ الْقَتْلُ . قَالَ وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ قَبِلَ مِنْهُمُ الْجِزْيَةَ . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَأَخَذَ النَّاسُ بِقَوْلِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَتَرَكُوا مَا سَمِعْتُ أَنَا مِنَ الأَسْبَذِيِّ .
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ هِشَامَ بْنَ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، وَجَدَ رَجُلًا وَهُوَ عَلَى حِمْصَ يُشَمِّسُ نَاسًا مِنَ الْقِبْطِ فِي أَدَاءِ الْجِزْيَةِ، فَقَالَ: مَا هَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ اللَّهَ يُعَذِّبُ الَّذِينَ يُعَذِّبُونَ النَّاسَ فِي الدُّنْيَا»
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ هِشَامَ بْنَ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، وَجَدَ رَجُلًا وَهُوَ عَلَى حِمْصَ يُشَمِّسُ نَاسًا مِنَ الْقِبْطِ فِي أَدَاءِ الْجِزْيَةِ، فَقَالَ: مَا هَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ اللَّهَ يُعَذِّبُ الَّذِينَ يُعَذِّبُونَ النَّاسَ فِي الدُّنْيَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান