কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩০২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৩৭
১৬৮. জিযিয়া কর নেয়া সম্পর্কে।
৩০২৭. আব্বাস ইবনে আব্দুল আযীম (রাহঃ) .... উছমান ইবনে আবী সুলাইমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) কে দুমার[১] শাসক উকায়দারের নিকট প্রেরণ করেন। তখন খালিদ ও তাঁর সঙ্গিরা তাঁকে গ্রেফতার করে তাঁর নিকট নিয়ে আসে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর মৃত্যুদণ্ড মউকুফ করেন এবং জিযিয়া কর দেওয়ার শর্তে তাঁর সাথে সন্ধি করেন।[১]

[১] খ্রিস্টান বাদশাহ উকায়দার দুমা শহরের অধিপতি ছিলেন। নবী (সা.) খালিদ (রা.)-কে তাঁকে জীবিত বন্দী করে। আনার নির্দেশ দেন। তাকে গেরেফতার করে আনা হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) জিযিয়া কর ধার্য করেন। পরে তিনি ইসলাম কবুল করেন।

[২] অমুসলিম নাগরিকদের নিকট হতে গৃহীত বার্ষিক খায়না বা করকে জিযিয়া বলা হয়। এই কর আদায়ের মাধ্যমে তাদের আনুগত্য প্রমাণিত হয় এবং তারা মুসলিম রাষ্ট্রে তাদের জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করে।
باب فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَعَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى أُكَيْدِرِ دُومَةَ فَأُخِذَ فَأَتَوْهُ بِهِ فَحَقَنَ لَهُ دَمَهُ وَصَالَحَهُ عَلَى الْجِزْيَةِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৩৮
১৬৮. জিযিয়া কর নেয়া সম্পর্কে।
৩০২৮. আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ নুফায়লী (রাহঃ) ..... মু’আয (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মু’আয (রাযিঃ)-কে ইয়ামানে প্রেরণ করেন, তখন তাঁকে এরূপ নির্দেশ দেন যে, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির নিকট হতে এক দীনার অথবা এক দীনার মূল্যের মু’আফিরী নামক কাপড়, যা ইয়ামানে উৎপন্ন হয় (তা জিযিয়া হিসাবে গ্রহণ করবে)।
باب فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مُعَاذٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا وَجَّهَهُ إِلَى الْيَمَنِ أَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ مِنْ كُلِّ حَالِمٍ - يَعْنِي مُحْتَلِمًا - دِينَارًا أَوْ عِدْلَهُ مِنَ الْمَعَافِرِيِّ ثِيَابٌ تَكُونُ بِالْيَمَنِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৩৯
১৬৮. জিযিয়া কর নেয়া সম্পর্কে।
৩০২৯. নুফায়লী (রাহঃ) .... মুআয (রাযিঃ) থেকে নবী (ﷺ) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
باب فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ مُعَاذٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৪০
১৬৮. জিযিয়া কর নেয়া সম্পর্কে।
৩০৩০. আব্বাস ইবনে আব্দিল আযীম (রাহঃ) ...... যিয়াদ ইবনে জাদীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আলী (রাযিঃ) বলেনঃ যদি আমি বেঁচে থাকি, তবে বনু তাগলীবের যুদ্ধক্ষম নাসারাদের হত্যা করব এবং তাদের সন্তান-সন্ততিদের বন্দী করব। কেননা, তাদের ও নবী (ﷺ) এর মাঝে যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল, তা আমি লিখেছিলাম। যাতে এরূপ শর্ত ছিল যে, তারা তাদের সন্তান-সন্ততিদের সাহায্য করবে না।
باب فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ هَانِئٍ أَبُو نُعَيْمٍ النَّخَعِيُّ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ حُدَيْرٍ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ لَئِنْ بَقِيتُ لِنَصَارَى بَنِي تَغْلِبَ لأَقْتُلَنَّ الْمُقَاتِلَةَ وَلأَسْبِيَنَّ الذُّرِّيَّةَ فَإِنِّي كَتَبْتُ الْكِتَابَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَنْ لاَ يُنَصِّرُوا أَبْنَاءَهُمْ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ بَلَغَنِي عَنْ أَحْمَدَ أَنَّهُ كَانَ يُنْكِرُ هَذَا الْحَدِيثَ إِنْكَارًا شَدِيدًا وَهُوَ عِنْدَ بَعْضِ النَّاسِ شِبْهُ الْمَتْرُوكِ وَأَنْكَرُوا هَذَا الْحَدِيثَ عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هَانِئٍ قَالَ أَبُو عَلِيٍّ وَلَمْ يَقْرَأْهُ أَبُو دَاوُدَ فِي الْعَرْضَةِ الثَّانِيَةِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৪১
১৬৮. জিযিয়া কর নেয়া সম্পর্কে।
৩০৩১. মুসাররিফ ইবনে আমর ইয়ামী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নযরানের খ্রিস্টানদের সাথে দু’হাজার জোড়া কাপড়ের বিনিময়ে এ শর্তে সন্ধি করেন যে, তারা এর অর্ধেক কাপড় সফর মাসে মুসলমানদের নিকট হস্তান্তর করবে এবং বাকী অর্ধেক রজব মাসে দেবে। তাছাড়া ত্রিশটি লৌহবর্ম, ত্রিশটি অশ্ব, ত্রিশটি উট এবং সব ধরনের ত্রিশটি যুদ্ধোপকরণ ধারস্বরূপ (মুসলমানদের) প্রদান করবে, যা দিয়ে যুদ্ধ-বিগ্রহ করা হয়। আর মুসলমানরা এ মর্মে যিম্মাদারী গ্রহণ করবে যে, এ সব অস্ত্রশস্ত্র আবার তাদের নিকট ফিরিয়ে দেবে, যদি ইয়ামানে কেউ বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তাছাড়া এ শর্তও ছিল যে, তাদের কোন গীর্জা ধ্বংস করা হবে না এবং কোন পাদ্রীকেও বহিষ্কার করা হবে না। আর যতক্ষণ না তারা নতুন কথা বলবে এবং সুদ না খাবে, ততক্ষণ তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করা হবে না।

রাবী ইসমাঈল বলেনঃ পরে তারা সুদ খাওয়া শুরু করে, (ফলে চুক্তি ভঙ্গের কারণে তাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়)।
باب فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ
حَدَّثَنَا مُصَرِّفُ بْنُ عَمْرٍو الْيَامِيُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، - يَعْنِي ابْنَ بُكَيْرٍ - حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ صَالَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهْلَ نَجْرَانَ عَلَى أَلْفَىْ حُلَّةٍ النِّصْفُ فِي صَفَرٍ وَالْبَقِيَّةُ فِي رَجَبٍ يُؤَدُّونَهَا إِلَى الْمُسْلِمِينَ وَعَارِيَةِ ثَلاَثِينَ دِرْعًا وَثَلاَثِينَ فَرَسًا وَثَلاَثِينَ بَعِيرًا وَثَلاَثِينَ مِنْ كُلِّ صِنْفٍ مِنْ أَصْنَافِ السِّلاَحِ يَغْزُونَ بِهَا وَالْمُسْلِمُونَ ضَامِنُونَ لَهَا حَتَّى يَرُدُّوهَا عَلَيْهِمْ إِنْ كَانَ بِالْيَمَنِ كَيْدٌ أَوْ غَدْرَةٌ عَلَى أَنْ لاَ تُهْدَمَ لَهُمْ بَيْعَةٌ وَلاَ يُخْرَجُ لَهُمْ قَسٌّ وَلاَ يُفْتَنُوا عَنْ دِينِهِمْ مَا لَمْ يُحْدِثُوا حَدَثًا أَوْ يَأْكُلُوا الرِّبَا . قَالَ إِسْمَاعِيلُ فَقَدْ أَكَلُوا الرِّبَا .