কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৫ টি
হাদীস নং: ২৯৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৬
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
২৯৯৬. হারূন ইবনে যায়দ ইবনে আবু যরকা (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) খায়বরবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করেন এবং তাদের খেজুর বাগান ও যমীনের উপর আধিপত্য স্থাপন করেন এবং তাদেরকে তাদের গৃহে অবরোধ করেন। তখন তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে এ শর্তে সন্ধি করে যে, সোনা, রূপা এবং যাবতীয় হাতিয়ার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অধিকারে থাকবে এবং অবশিষ্ট মালামাল হতে তাদের উট যা বহন করতে পারবে, তা তারা নিয়ে যাবে। কিন্তু তা এ শর্তে যে, তারা কিছুই গোপন করবে না এবং সরিয়েও রাখবে না। আর যদি তারা এরূপ করে, তবে মুসলমানদের পক্ষ হতে কোনরূপ যিম্মাদারী অথবা অঙ্গীকার (কার্যকর) থাকবে না। এ সময় তারা হুয়াই ইবনে আখতাবের (স্বর্ণমুদ্রাপূর্ণ) চামড়ার থলি গায়েব করে দেয়, যে খায়বরের যুদ্ধের আগে নিহত হয়েছিল। আর সে বনু নযীরের দেশ ত্যাগের সময় তাদের বহু গহনা-পত্র আত্মসাৎ করেছিল।
রাবী বলেনঃ নবী (ﷺ) সা’ইয়াকে জিজ্ঞাসা করেন যে, হুয়াই ইবনে আখতাবের থলি কোথায়? সে বলেঃ তা যুদ্ধে খরচ হয়ে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সাহাবীরা ঐ থলি পেয়ে যান। তখন তিনি ইবনে আবু হাকীককে (ইয়াহুদী) হত্যা করে তার স্ত্রী ও সন্তানদের বন্দী করেন এবং তাদের দেশ হতে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তখন তারা বলেঃ হে মুহাম্মাদ! আমাদের এখানে বসবাসের অনুমতি দিন। আমরা এ যমীনের উপর পরিশ্রম করে উপার্জন করব এবং এর অর্ধেক আমাদের এবং বাকী অর্ধেক আপনার। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (খায়বরের এ সম্পদ হতে) তাঁর সব স্ত্রীদের আলাদাভাবে আশি ওসাক খেজুর এবং বিশ ওসাক যব প্রদান করতেন।
রাবী বলেনঃ নবী (ﷺ) সা’ইয়াকে জিজ্ঞাসা করেন যে, হুয়াই ইবনে আখতাবের থলি কোথায়? সে বলেঃ তা যুদ্ধে খরচ হয়ে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সাহাবীরা ঐ থলি পেয়ে যান। তখন তিনি ইবনে আবু হাকীককে (ইয়াহুদী) হত্যা করে তার স্ত্রী ও সন্তানদের বন্দী করেন এবং তাদের দেশ হতে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তখন তারা বলেঃ হে মুহাম্মাদ! আমাদের এখানে বসবাসের অনুমতি দিন। আমরা এ যমীনের উপর পরিশ্রম করে উপার্জন করব এবং এর অর্ধেক আমাদের এবং বাকী অর্ধেক আপনার। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (খায়বরের এ সম্পদ হতে) তাঁর সব স্ত্রীদের আলাদাভাবে আশি ওসাক খেজুর এবং বিশ ওসাক যব প্রদান করতেন।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ - أَحْسِبُهُ - عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَاتَلَ أَهْلَ خَيْبَرَ فَغَلَبَ عَلَى النَّخْلِ وَالأَرْضِ وَأَلْجَأَهُمْ إِلَى قَصْرِهِمْ فَصَالَحُوهُ عَلَى أَنَّ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّفْرَاءَ وَالْبَيْضَاءَ وَالْحَلْقَةَ وَلَهُمْ مَا حَمَلَتْ رِكَابُهُمْ عَلَى أَنْ لاَ يَكْتُمُوا وَلاَ يُغَيِّبُوا شَيْئًا فَإِنْ فَعَلُوا فَلاَ ذِمَّةَ لَهُمْ وَلاَ عَهْدَ فَغَيَّبُوا مَسْكًا لِحُيَىِّ بْنِ أَخْطَبَ وَقَدْ كَانَ قُتِلَ قَبْلَ خَيْبَرَ كَانَ احْتَمَلَهُ مَعَهُ يَوْمَ بَنِي النَّضِيرِ حِينَ أُجْلِيَتِ النَّضِيرُ فِيهِ حُلِيُّهُمْ قَالَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِسَعْيَةَ " أَيْنَ مَسْكُ حُيَىِّ بْنِ أَخْطَبَ " . قَالَ أَذْهَبَتْهُ الْحُرُوبُ وَالنَّفَقَاتُ . فَوَجَدُوا الْمَسْكَ فَقَتَلَ ابْنَ أَبِي الْحُقَيْقِ وَسَبَى نِسَاءَهُمْ وَذَرَارِيَّهُمْ وَأَرَادَ أَنْ يُجْلِيَهُمْ فَقَالُوا يَا مُحَمَّدُ دَعْنَا نَعْمَلْ فِي هَذِهِ الأَرْضِ وَلَنَا الشَّطْرُ مَا بَدَا لَكَ وَلَكُمُ الشَّطْرُ . وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعْطِي كُلَّ امْرَأَةٍ مِنْ نِسَائِهِ ثَمَانِينَ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَعِشْرِينَ وَسْقًا مِنْ شَعِيرٍ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৭
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
২৯৯৭. আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমর (রাযিঃ) বলেনঃ হে জনগণ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বরের ইয়াহুদীদের সাথে এরূপ চুক্তি করেন যে, আমরা যখনই ইচ্ছা করব, তখনই তাদের বের করে দেব। কাজেই যদি কারও ধন-সস্পদ তাদের কাছে থাকে, তবে সে যেন তা নিয়ে নেয়। কেননা, আমি ইয়াহুদীদের দেশ হতে বের করে দেব। অবশেষে তিনি তাদের বের করে দেন।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ، قَالَ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ عَامَلَ يَهُودَ خَيْبَرَ عَلَى أَنَّا نُخْرِجُهُمْ إِذَا شِئْنَا فَمَنْ كَانَ لَهُ مَالٌ فَلْيَلْحَقْ بِهِ فَإِنِّي مُخْرِجٌ يَهُودَ . فَأَخْرَجَهُمْ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৮
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
২৯৯৮. সুলাইমান ইবনে দাউদ মোহরী (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন খায়বর বিজয় হয়, তখন ইয়াহুদীরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এ মর্মে দরখাস্ত পেশ করে যে, আপনি আমাদের এ শর্তে এখানে বসবাসের অনুমতি দিন, যা আমরা উপার্জন করব, আপনি তার অর্ধেক পাবেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আমি তোমাদের এখানে এ শর্তে বসবাসের অনুমতি দিচ্ছি যে, আমরা যখনই চাব, তখনই তোমাদের বহিষ্কার করতে পারব। পরে তারা এ শর্ত অনুযায়ী সেখানে বসবাস করতে থাকে। খায়বরের খেজুর দু’ভাগে বিভক্ত হতো এবং খুমুস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গ্রহণ করতেন। আর খুমুস হতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সব বিবিকে একশত ওসাক খেজুর এবং বিশ ওসাক যব প্রদান করতেন।
অবশেষে উমর (রাযিঃ) যখন ইয়াহুদীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তখন তিনি নবী (ﷺ)-এর বিবিদের কাছে এ মর্মে খবর পাঠান যে, আপনারা যে কেউ চাইলে, আমি তাঁকে এতগুলি খেজুর গাছ দেব, যা থেকে একশত ওসাক খেজুর পাওয়া যাবে এবং ঐ গাছ ও যমীন আপনাদের মালিকানায় থাকবে এবং তার পানিও এর শামিল থাকবে। একই রূপে কৃষিক্ষেত্র হতে এ পরিমাণ যমীন দেব, যা থেকে বিশ ওয়াক পরিমাণ যব উৎপন্ন হবে। আর আপনাদের থেকে যদি কেউ চান যে, আমি খুমুস হতে আপনাদের অংশ দেই, তবে আমি তা দেব।
অবশেষে উমর (রাযিঃ) যখন ইয়াহুদীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তখন তিনি নবী (ﷺ)-এর বিবিদের কাছে এ মর্মে খবর পাঠান যে, আপনারা যে কেউ চাইলে, আমি তাঁকে এতগুলি খেজুর গাছ দেব, যা থেকে একশত ওসাক খেজুর পাওয়া যাবে এবং ঐ গাছ ও যমীন আপনাদের মালিকানায় থাকবে এবং তার পানিও এর শামিল থাকবে। একই রূপে কৃষিক্ষেত্র হতে এ পরিমাণ যমীন দেব, যা থেকে বিশ ওয়াক পরিমাণ যব উৎপন্ন হবে। আর আপনাদের থেকে যদি কেউ চান যে, আমি খুমুস হতে আপনাদের অংশ দেই, তবে আমি তা দেব।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ لَمَّا افْتُتِحَتْ خَيْبَرُ سَأَلَتْ يَهُودُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقِرَّهُمْ عَلَى أَنْ يَعْمَلُوا عَلَى النِّصْفِ مِمَّا خَرَجَ مِنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُقِرُّكُمْ فِيهَا عَلَى ذَلِكَ مَا شِئْنَا " . فَكَانُوا عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ التَّمْرُ يُقْسَمُ عَلَى السُّهْمَانِ مِنْ نِصْفِ خَيْبَرَ وَيَأْخُذُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْخُمُسَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَطْعَمَ كُلَّ امْرَأَةٍ مِنْ أَزْوَاجِهِ مِنَ الْخُمُسِ مِائَةَ وَسْقٍ تَمْرًا وَعِشْرِينَ وَسْقًا شَعِيرًا فَلَمَّا أَرَادَ عُمَرُ إِخْرَاجَ الْيَهُودِ أَرْسَلَ إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُنَّ مَنْ أَحَبَّ مِنْكُنَّ أَنْ أَقْسِمَ لَهَا نَخْلاً بِخَرْصِهَا مِائَةَ وَسْقٍ فَيَكُونَ لَهَا أَصْلُهَا وَأَرْضُهَا وَمَاؤُهَا وَمِنَ الزَّرْعِ مَزْرَعَةُ خَرْصٍ عِشْرِينَ وَسْقًا فَعَلْنَا وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ نَعْزِلَ الَّذِي لَهَا فِي الْخُمُسِ كَمَا هُوَ فَعَلْنَا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৯
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
২৯৯৯. দাউদ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ...... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বরের উপর যুদ্ধ পরিচালনা করেন। আমরা যুদ্ধ করে তা জয় করি। অবশেষে বন্দীদের একত্রিত করা হয় (যাতে মুসলমানদের মাঝে তা সহজে বন্টন করা যায়)।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَزِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، أَنَّ إِسْمَاعِيلَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَهُمْ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزَا خَيْبَرَ فَأَصَبْنَاهَا عَنْوَةً فَجَمَعَ السَّبْىَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০০০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১০
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০০. রাবী ইবনে সুলাইমান মুয়াযযিন (রাহঃ) .... সাহল ইবনে আবী হাছমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বর যুদ্ধে প্রাপ্ত সমস্ত মালামাল দু’ভাগে বিভক্ত করেন। যার একাংশ তিনি তাঁর নিজের প্রয়োজন পূরণের জন্য গ্রহণ করেন এবং বাকী অংশটি আঠার ভাগে বিভক্ত করে মুসলমানদের মাঝে বন্টন করে দেন।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، حَدَّثَنِي سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ نِصْفَيْنِ نِصْفًا لِنَوَائِبِهِ وَحَاجَتِهِ وَنِصْفًا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ قَسَمَهَا بَيْنَهُمْ عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩০০১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৩
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০১. আব্দুল্লাহ ইবনে সা’ইদ কিনদী (রাহঃ) ..... বশীর ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন খায়বরকে তাঁর নবীর জন্য গনিমত হিসাবে প্রদান করেন, তখন তিনি তাকে ৩৬ ভাগে বিভক্ত করেন। এর প্রত্যেক ভাগে একশো অংশ ছিল। এর অর্ধেক অংশ তিনি তাঁর নিজের প্রয়োজনের জন্য রাখেন-যার মাঝে অতীহা ও কুতায়বা নামক দুটি গ্রাম ছিল আর এর সংলগ্ন অন্যান্য সস্পদও। আর বাকী অর্ধাংশ মুসলমানদের মাঝে বণ্টন করে দেন, যার মাঝে শাক ও নাতা নামক দু’টি গ্রাম ছিল এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সম্পদও। আর নবী (ﷺ)-এর অংশ এ দু’টি ভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، - يَعْنِي سُلَيْمَانَ - عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ لَمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ قَسَمَهَا عَلَى سِتَّةٍ وَثَلاَثِينَ سَهْمًا جَمَعَ كُلُّ سَهْمٍ مِائَةَ سَهْمٍ فَعَزَلَ نِصْفَهَا لِنَوَائِبِهِ وَمَا يَنْزِلُ بِهِ الْوَطِيحَةَ وَالْكُتَيْبَةَ وَمَا أُحِيزَ مَعَهُمَا وَعَزَلَ النِّصْفَ الآخَرَ فَقَسَمَهُ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ الشَّقَّ وَالنَّطَاةَ وَمَا أُحِيزَ مَعَهُمَا وَكَانَ سَهْمُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا أُحِيزَ مَعَهُمَا .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩০০২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১১
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০২. হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আসওয়াদ (রাহঃ) ..... বাশীর ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (ﷺ) এর কয়েকজন সাহাবী থেকে শুনেছেন। তাঁরা এ হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেছেনঃ খায়বরে প্রাপ্ত অর্ধেক মালে সমস্ত মুসলমানের অংশ ছিল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরও হিসসা ছিল। আর বাকী যে অর্ধেক মাল ছিল, তা মুসলমানদের বিশেষ প্রয়োজনে (বিপদাপদ, যুদ্ধ ইত্যাদি) রাখা হতো।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الأَسْوَدِ، أَنَّ يَحْيَى بْنَ آدَمَ، حَدَّثَهُمْ عَنْ أَبِي شِهَابٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ نَفَرًا، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالُوا فَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ فَكَانَ النِّصْفُ سِهَامَ الْمُسْلِمِينَ وَسَهْمَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَزَلَ النِّصْفَ لِلْمُسْلِمِينَ لِمَا يَنُوبُهُ مِنَ الأُمُورِ وَالنَّوَائِبِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩০০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১২
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৩. হুসাইন ইবনে আলী (রাহঃ) ..... বাশীর ইবনে ইয়াসার (রাযিঃ), যিনি একজন আনসার সাহাবীর গোলাম ছিলেন, তিনি নবী (ﷺ) এর কতিপয় সাহাবী হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন খায়বর জয় করেন, তখন তিনি (সেখানে প্রাপ্ত মালকে) ছত্রিশ ভাগে বিভক্ত করেন। তিনি প্রত্যেক অংশকে একশত ভাগে বণ্টন করেন। এর থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও মুসলমানদের জন্য অর্ধেক মাল রাখা হয়, আর বাকী অর্ধেক তাদের জন্য আলাদা সংরক্ষণ করা হয়, যারা প্রতিনিধি দলের সাথে আসবে এবং মানুযের বিপদাপদ ও প্রয়োজনে ব্যয় করা হবে।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، مَوْلَى الأَنْصَارِ عَنْ رِجَالٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا ظَهَرَ عَلَى خَيْبَرَ قَسَمَهَا عَلَى سِتَّةٍ وَثَلاَثِينَ سَهْمًا جَمَعَ كُلُّ سَهْمٍ مِائَةَ سَهْمٍ فَكَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلِلْمُسْلِمِينَ النِّصْفُ مِنْ ذَلِكَ وَعَزَلَ النِّصْفَ الْبَاقِيَ لِمَنْ نَزَلَ بِهِ مِنَ الْوُفُودِ وَالأُمُورِ وَنَوَائِبِ النَّاسِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩০০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৪
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৪. মুহাম্মাদ ইবনে মিসকীন ইয়ামামী (রাহঃ) .... বাশীর ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ), যখন আল্লাহ তাঁকে খায়বরকে মালে গনিমত হিসাবে প্রদান করেন, তখন তিনি এর সমস্ত মালামাল ছত্রিশ ভাগে বিভক্ত করেন। এরপর তিনি মুসলমানদের জন্য আঠার ভাগ আলাদা করে রাখেন, যার প্রত্যেক ভাগে একশ ব্যক্তি ছিল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও অন্যান্য সাহাবীদের ন্যায় ছিলেন, অর্থাৎ তিনিও একটি অংশ পান, য়েমন অন্য সাহাবীরা পেয়েছিলেন।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আঠার অংশ, অর্থাৎ বাকী অর্ধাংশ তাদের জন্য বরাদ্দ করেন, যারা ছিল দুঃস্থ ও বিপদগ্রস্ত এবং মুসলমানদের বিশেষ প্রয়োজনের জন্য। এ অর্ধাংশে ওয়াতীহ, কুতায়বা ও সালালিম (খায়বরের কিছু গ্রামের নাম) ছিল এবং এর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সম্পদও। অবশেষে খায়বরের সমস্ত মালামাল যখন নবী (ﷺ) ও মুসলমানদের করতলগত হয়, তখন এর তদারকির জন্য আর কোন কর্মচারী ছিল না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইয়াহুদীদের ডাকেন এবং তাদের এ শর্তে যমীন তোগ করতে দেন যে, তারা এর দেখাশুনা করবে এবং উৎপন্ন দ্রব্যের অর্ধেক তাঁকে দেবে।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আঠার অংশ, অর্থাৎ বাকী অর্ধাংশ তাদের জন্য বরাদ্দ করেন, যারা ছিল দুঃস্থ ও বিপদগ্রস্ত এবং মুসলমানদের বিশেষ প্রয়োজনের জন্য। এ অর্ধাংশে ওয়াতীহ, কুতায়বা ও সালালিম (খায়বরের কিছু গ্রামের নাম) ছিল এবং এর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সম্পদও। অবশেষে খায়বরের সমস্ত মালামাল যখন নবী (ﷺ) ও মুসলমানদের করতলগত হয়, তখন এর তদারকির জন্য আর কোন কর্মচারী ছিল না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইয়াহুদীদের ডাকেন এবং তাদের এ শর্তে যমীন তোগ করতে দেন যে, তারা এর দেখাশুনা করবে এবং উৎপন্ন দ্রব্যের অর্ধেক তাঁকে দেবে।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِسْكِينٍ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ خَيْبَرَ قَسَمَهَا سِتَّةً وَثَلاَثِينَ سَهْمًا جَمْعًا فَعَزَلَ لِلْمُسْلِمِينَ الشَّطْرَ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا يَجْمَعُ كُلُّ سَهْمٍ مِائَةً النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَهُمْ لَهُ سَهْمٌ كَسَهْمِ أَحَدِهِمْ وَعَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا وَهُوَ الشَّطْرُ لِنَوَائِبِهِ وَمَا يَنْزِلُ بِهِ مِنْ أَمْرِ الْمُسْلِمِينَ فَكَانَ ذَلِكَ الْوَطِيحَ وَالْكُتَيْبَةَ وَالسُّلاَلِمَ وَتَوَابِعَهَا فَلَمَّا صَارَتِ الأَمْوَالُ بِيَدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالْمُسْلِمِينَ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ عُمَّالٌ يَكْفُونَهُمْ عَمَلَهَا فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْيَهُودَ فَعَامَلَهُمْ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩০০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৫
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৫. মুহাম্মাদ ইবনে ঈসা (রাহঃ) ..... মুজাম্মি ইবনে ই’য়াকূব ইবনে মুজাম্মি ইবনে ইয়াযীদ আনসারী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার পিতা ই’য়াকূব ইবনে মুজাম্মি’কে বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি তাঁর চাচা আব্দুর রহমান ইবনে ইয়াযীদ আনসারী হতে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি তাঁর চাচা মুজাম্মি ইবনে জারিয়া আনসারী হতে, আর তিনি আল-কুরআনের কারীদের মাঝে একজন কারী ছিলেন। তিনি বলেনঃ খায়বরের ধন-সম্পদ হুদায়বিয়ায় অংশগ্রহণকারী সাহাবীদের মাঝে বণ্টন করা হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একে আঠার ভাগে বিভক্ত করেন। আর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সৈন্য সংখ্যা ছিল এক হাজার পাঁচ’শ, যার তিন’শ ছিল অশ্বারোহী, (এবং বাকী পদাতিক)। তিনি অশ্বারোহী সৈন্যদের দু’অংশ এবং পদাতিক বাহিনীর প্রত্যেককে এক অংশ হিসাবে প্রদান করেন।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُجَمِّعُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ مُجَمِّعِ بْنِ يَزِيدَ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَعْقُوبَ بْنَ مُجَمِّعٍ، يَذْكُرُ لِي عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَمِّهِ، مُجَمِّعِ بْنِ جَارِيَةَ الأَنْصَارِيِّ - وَكَانَ أَحَدَ الْقُرَّاءِ الَّذِينَ قَرَءُوا الْقُرْآنَ - قَالَ قُسِمَتْ خَيْبَرُ عَلَى أَهْلِ الْحُدَيْبِيَةِ فَقَسَمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا وَكَانَ الْجَيْشُ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ فِيهِمْ ثَلاَثُمِائَةِ فَارِسٍ فَأَعْطَى الْفَارِسَ سَهْمَيْنِ وَأَعْطَى الرَّاجِلَ سَهْمًا .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩০০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৬
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৬. হুসাইন ইবনে আলী আজালী (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আবী বকর এবং মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা (রাযিঃ) এর কোন এক ছেলে থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেনঃ খায়বর বিজয়ের পর সেখানে কিছু লোক অবশিষ্ট ছিল, যারা দূর্গের মাঝে অন্তরীণ ছিল। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এ মর্মে আবেদন করে যে, তিনি যেন তাদের জীবনের নিরাপত্তা দিয়ে ছেড়ে দেন। তিনি এ আবেদন গ্রহণ করেন। ফিদাকের অধিবাসীরা এ খবর জানতে পেরে, তারাও এ শর্তের উপর আত্মসমর্পণ করে। ফলে ফিদাকের মালামাল খাসভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রাপ্য হয়। কেননা, তা বিজয়ের জন্য ঘোড়া বা উট কিছুই দৌড়াতে হয়নি (অর্থাৎ কোন যুদ্ধ হয়নি)।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْعِجْلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ آدَمَ - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَبَعْضِ، وَلَدِ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ قَالُوا بَقِيَتْ بَقِيَّةٌ مِنْ أَهْلِ خَيْبَرَ تَحَصَّنُوا فَسَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَحْقِنَ دِمَاءَهُمْ وَيُسَيِّرَهُمْ فَفَعَلَ فَسَمِعَ بِذَلِكَ أَهْلُ فَدَكَ فَنَزَلُوا عَلَى مِثْلِ ذَلِكَ فَكَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَاصَّةً لأَنَّهُ لَمْ يُوجِفْ عَلَيْهَا بِخَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩০০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৭
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৭. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ...... যুহরী থেকে বর্ণিত। সা’ঈদ ইবনে মুসাইয়াব (রাহঃ) তাঁর নিকট বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বরের কিছু অংশ শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে জয় করেন। আবু দাউদ বলেনঃ হারিছ ইবনে মিসকীন হতে বর্ণিত, যার সাক্ষী আমি। ইবনে ওয়াহব তোমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। রাবী বলেনঃ মালিক ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেছেন যে, খায়বরের কিছু অংশ শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে জয় করা হয় এবং কিছু সন্ধির মাধ্যমে। কুতায়বা নামক স্থানটির অধিকাংশ শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিজিত হয় এবং কিছু সন্ধির দ্বারা। (রাবী বলেন,) আমি মালিককে জিজ্ঞাসা করিঃ কুতায়বা কি? তিনি বলেনঃ তা হলো, খায়বরের একটা জায়গা, যেখানে চল্লিশ হাজার খেজুর গাছ আছে।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم افْتَتَحَ بَعْضَ خَيْبَرَ عَنْوَةً . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقُرِئَ عَلَى الْحَارِثِ بْنِ مِسْكِينٍ وَأَنَا شَاهِدٌ أَخْبَرَكُمُ ابْنُ وَهْبٍ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ خَيْبَرَ كَانَ بَعْضُهَا عَنْوَةً وَبَعْضُهَا صُلْحًا وَالْكُتَيْبَةُ أَكْثَرُهَا عَنْوَةً وَفِيهَا صُلْحٌ . قُلْتُ لِمَالِكٍ وَمَا الْكُتَيْبَةُ قَالَ أَرْضُ خَيْبَرَ وَهِيَ أَرْبَعُونَ أَلْفَ عَذْقٍ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৮
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৮. ইবনে সারহা (রাহঃ) ..... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জানতে পেরেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যুদ্ধ-বিগ্রহের পর শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে খায়বর জয় করেন। আর সেখান থেকে যারা বহিষ্কৃত হওয়ার জন্য বের হয়েছিল, তারা যুদ্ধের পর বেরিয়ে গিয়েছিল।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم افْتَتَحَ خَيْبَرَ عَنْوَةً بَعْدَ الْقِتَالِ وَنَزَلَ مَنْ نَزَلَ مِنْ أَهْلِهَا عَلَى الْجَلاَءِ بَعْدَ الْقِتَالِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩০০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৯
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০০৯. ইবনে সারহা (রাহঃ) .... ইবনে শিহাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বরের মাল হতে (যা গনিমত হিসাবে পান) এক-পঞ্চমাংশ আলাদা করে নেন। এরপর বাকী সমস্ত মালামাল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের মাঝে এবং হুদায়বিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ঐ সমস্ত ব্যক্তির মাঝে বণ্টন করে দেন, যারা এ যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিল।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ خَمَّسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ ثُمَّ قَسَّمَ سَائِرَهَا عَلَى مَنْ شَهِدَهَا وَمَنْ غَابَ عَنْهَا مِنْ أَهْلِ الْحُدَيْبِيَةِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩০১০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২০
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬২. খায়বরের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।
৩০১০. আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) ..... উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যদি পরবর্তীকালের মুসলমানদের কথা খেয়াল না করতাম, তবে আমি যে শহর জয় করতাম, তা ঐভাবে বন্টন করে দিতাম, যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বরের মালামাল বন্টন করে দিয়েছিলেন।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ لَوْلاَ آخِرُ الْمُسْلِمِينَ مَا فَتَحْتُ قَرْيَةً إِلاَّ قَسَمْتُهَا كَمَا قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ .
তাহকীক: