কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ৩০১১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২১
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬৩. মক্কা বিজয় সম্পর্কে।
৩০১১. উছমান ইবনে আবী শায়বা (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট, যে বছর মক্কা বিজয় হয়েছিল, আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) সুফিয়ান ইবনে হারবকে নিয়ে আসেন। তিনি ’মাররা-যাহরান’ নামক স্থানে ইসলাম কবুল করেন। তখন তাঁকে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবু সুফিয়ান এমন এক ব্যক্তি, যে নেতৃত্বের গৌরব পছন্দ করে। কাজেই আপনি যদি তাঁর জন্য এরূপ কিছু করতেন (তবে ভাল হতো)। তিনি বলেনঃ আচ্ছা, যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ থাকবে। আর যে ব্যক্তি নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখবে, সেও নিরাপদে থাকবে।[১]
[১] অর্থাৎ যারা যুদ্ধ করার জন্য আমাদের সামনে আসবে না, বরং নিজেদের ঘরে বসে থাকবে, তাদের সাথে আমরা যুদ্ধ করব না। তাদের জান-মাল পূর্ণ হিফাযতে থাকবে। মুসলিম বাহিনী তাদের উপর কোনরূপ হস্তক্ষেপ করবে না।
[১] অর্থাৎ যারা যুদ্ধ করার জন্য আমাদের সামনে আসবে না, বরং নিজেদের ঘরে বসে থাকবে, তাদের সাথে আমরা যুদ্ধ করব না। তাদের জান-মাল পূর্ণ হিফাযতে থাকবে। মুসলিম বাহিনী তাদের উপর কোনরূপ হস্তক্ষেপ করবে না।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي خَبَرِ مَكَّةَ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ جَاءَهُ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بِأَبِي سُفْيَانَ بْنِ حَرْبٍ فَأَسْلَمَ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ يُحِبُّ هَذَا الْفَخْرَ فَلَوْ جَعَلْتَ لَهُ شَيْئًا . قَالَ " نَعَمْ مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ وَمَنْ أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০১২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২২
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬৩. মক্কা বিজয় সম্পর্কে।
৩০১২. মুহাম্মাদ ইবনে আমর (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) যখন (মক্কা বিজয়ের সময়) ’মাররা-যাহরান’ নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন, তখন আমার মনে হয়, আল্লাহর শপথ! যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের (কুরাইশদের) শাস্তি প্রস্তাবের আগে, তাঁর বাহিনীসহ জোর পূর্বক মক্কায় প্রবেশ করেন, তবে সমস্ত কুরাইশ ধ্বংস হয়ে যাবে। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খচ্চরের পিঠে সওয়ার হয়ে রওয়ানা হই। এ সময় আমি এরূপ ধারণা করি যে, সম্ভবত আমার সঙ্গে মক্কার কোন লোকের সাক্ষাত হয়ে যাবে। তখন আমি তাকে বলবঃ সে যেন তাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেয়, যাতে তারা তাঁর নিকট হাযির হয়ে নিরাপত্তার আবেদন করতে পারে।
আমি যখন এরূপ মনে করে যাচ্ছিলাম, তখন হঠাৎ আমি আবু সুফিয়ান ও বুদায়ল ইবনে ওয়ারাকার কথোপকথন শুনতে পাই। তখন আমি বলিঃ হে আবু হানযালা! (আবু সুফিয়ানের কুনিয়াত)! তখন সে আমার কণ্ঠস্বর চিনতে পেরে বলেঃ আবুল ফযল নাকি? এটি আব্বাস (রাযিঃ)-এর কুনিয়াত। তখন আমি বলিঃ হ্যাঁ। তখন সে বলেঃ আমার মাতাপিতা আপনার জন্য কুরবানী হোক, অবশেষে ব্যাপার কি? তখন আমি বলিঃ এই তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং অন্যান্য লোকেরা। তখন সে (আবু সুফিয়ান) জিজ্ঞাসা করেঃ এখন বাঁচার জন্য বাহানা কি? তিনি (ইবনে আব্বাস) বলেনঃ তখন সে (আবু সুফিয়ান) আমার বাহনের পশ্চাতে আরোহণ করে এবং তাঁর সাথী (বুদায়ল) ফিরে যায়।
পরদিন সকালে আমি তাঁকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাযির হই। তখন আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবু সুফিয়ান এমন এক ব্যক্তি যে নেতৃত্বের গৌরব পছন্দ করে। কাজেই তাঁর জন্য গৌরবজনক কিছু করুন। তিনি বলেনঃ ঠিক আছে, যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ। আর যে ব্যক্তি নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে থাকবে, সে-ও নিরাপদ, আর যে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে, সে-ও নিরাপদ।
রাবী বলেনঃ এ ঘোষনা শোনার পর লোকেরা তাদের ঘরে এবং মসজিদে আশ্রয় গ্রহণ করে।
আমি যখন এরূপ মনে করে যাচ্ছিলাম, তখন হঠাৎ আমি আবু সুফিয়ান ও বুদায়ল ইবনে ওয়ারাকার কথোপকথন শুনতে পাই। তখন আমি বলিঃ হে আবু হানযালা! (আবু সুফিয়ানের কুনিয়াত)! তখন সে আমার কণ্ঠস্বর চিনতে পেরে বলেঃ আবুল ফযল নাকি? এটি আব্বাস (রাযিঃ)-এর কুনিয়াত। তখন আমি বলিঃ হ্যাঁ। তখন সে বলেঃ আমার মাতাপিতা আপনার জন্য কুরবানী হোক, অবশেষে ব্যাপার কি? তখন আমি বলিঃ এই তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং অন্যান্য লোকেরা। তখন সে (আবু সুফিয়ান) জিজ্ঞাসা করেঃ এখন বাঁচার জন্য বাহানা কি? তিনি (ইবনে আব্বাস) বলেনঃ তখন সে (আবু সুফিয়ান) আমার বাহনের পশ্চাতে আরোহণ করে এবং তাঁর সাথী (বুদায়ল) ফিরে যায়।
পরদিন সকালে আমি তাঁকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাযির হই। তখন আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবু সুফিয়ান এমন এক ব্যক্তি যে নেতৃত্বের গৌরব পছন্দ করে। কাজেই তাঁর জন্য গৌরবজনক কিছু করুন। তিনি বলেনঃ ঠিক আছে, যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ। আর যে ব্যক্তি নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে থাকবে, সে-ও নিরাপদ, আর যে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে, সে-ও নিরাপদ।
রাবী বলেনঃ এ ঘোষনা শোনার পর লোকেরা তাদের ঘরে এবং মসজিদে আশ্রয় গ্রহণ করে।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي خَبَرِ مَكَّةَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، - يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ بَعْضِ، أَهْلِهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ الظَّهْرَانِ قَالَ الْعَبَّاسُ قُلْتُ وَاللَّهِ لَئِنْ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ عَنْوَةً قَبْلَ أَنْ يَأْتُوهُ فَيَسْتَأْمِنُوهُ إِنَّهُ لَهَلاَكُ قُرَيْشٍ فَجَلَسْتُ عَلَى بَغْلَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَعَلِّي أَجِدُ ذَا حَاجَةٍ يَأْتِي أَهْلَ مَكَّةَ فَيُخْبِرُهُمْ بِمَكَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيَخْرُجُوا إِلَيْهِ فَيَسْتَأْمِنُوهُ فَإِنِّي لأَسِيرُ إِذْ سَمِعْتُ كَلاَمَ أَبِي سُفْيَانَ وَبُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ فَقُلْتُ يَا أَبَا حَنْظَلَةَ فَعَرَفَ صَوْتِي فَقَالَ أَبُو الْفَضْلِ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ مَا لَكَ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي قُلْتُ هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ . قَالَ فَمَا الْحِيلَةُ قَالَ فَرَكِبَ خَلْفِي وَرَجَعَ صَاحِبُهُ فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَوْتُ بِهِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَسْلَمَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ يُحِبُّ هَذَا الْفَخْرَ فَاجْعَلْ لَهُ شَيْئًا . قَالَ " نَعَمْ مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ وَمَنْ أَغْلَقَ عَلَيْهِ دَارَهُ فَهُوَ آمِنٌ وَمَنْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَهُوَ آمِنٌ " . قَالَ فَتَفَرَّقَ النَّاسُ إِلَى دُورِهِمْ وَإِلَى الْمَسْجِدِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩০১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৩
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬৩. মক্কা বিজয় সম্পর্কে।
৩০১৩. হাসান ইবনে সাব্বাহ (রাহঃ) .... ওয়াহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জাবির (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, তারা (মুসলমানরা) কি মক্কা বিজয়ের দিন গনিমতের মাল পেয়েছিল? তিনি বলেনঃ না।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي خَبَرِ مَكَّةَ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْكَرِيمِ - حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَقِيلِ بْنِ مَعْقِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ سَأَلْتُ جَابِرًا هَلْ غَنِمُوا يَوْمَ الْفَتْحِ شَيْئًا قَالَ لاَ .
হাদীস নং: ৩০১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৪
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৬৩. মক্কা বিজয় সম্পর্কে।
৩০১৪. মুসলিম ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ....... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) যখন মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন তিনি যুবাইর ইবনে আওয়াম, আবু উবাইদা ইবনে জাররাহ এবং খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ)-কে অশ্বপৃষ্ঠে আরোহিত অবস্থায় ছেড়ে দেন। এরপর তিনি বলেনঃ হে আবু হুরায়রা! আনসারদের ডেকে বলে দাও, তারা যেন এ রাস্তা ধরে অগ্রসর হয়। আর যে কেউ (এ রাস্তায়) তোমাদের সম্মুখীন হবে, তাকে হত্যা করে ফেলবে। এ সময় জনৈক ব্যক্তি এরূপ ঘোষণা দেয় যে, আজকের দিনের পর আর কোন কুরাইশ অবশিষ্ট থাকবে না।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তার গৃহে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ, যে ব্যক্তি তার অস্ত্রশস্ত্র সমর্পণ করবে, সে নিরাপদ। এ সময় কুরাইশ নেতারা কাবা শরীফের মধ্যে (নিরাপত্তার আাশায়) প্রবেশ করে, ফলে কাবা শরীফ ভরে যায়। আর নবী (ﷺ) তাওয়াফ সম্পন্ন করেন এবং মাকামে ইবরাহীমের পেছনে নামায আদায় করেন। এরপর তিনি কাবা ঘরের দরজার চৌকাঠ ধরেন। তখন তারা (কুরাইশ নেতারা) বেরিয়ে আসে এবং নবী (ﷺ) এর কাছে ইসলামের উপর বায়’আত গ্রহণ করে।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তার গৃহে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ, যে ব্যক্তি তার অস্ত্রশস্ত্র সমর্পণ করবে, সে নিরাপদ। এ সময় কুরাইশ নেতারা কাবা শরীফের মধ্যে (নিরাপত্তার আাশায়) প্রবেশ করে, ফলে কাবা শরীফ ভরে যায়। আর নবী (ﷺ) তাওয়াফ সম্পন্ন করেন এবং মাকামে ইবরাহীমের পেছনে নামায আদায় করেন। এরপর তিনি কাবা ঘরের দরজার চৌকাঠ ধরেন। তখন তারা (কুরাইশ নেতারা) বেরিয়ে আসে এবং নবী (ﷺ) এর কাছে ইসলামের উপর বায়’আত গ্রহণ করে।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب مَا جَاءَ فِي خَبَرِ مَكَّةَ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا سَلاَّمُ بْنُ مِسْكِينٍ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا دَخَلَ مَكَّةَ سَرَّحَ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ وَأَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ وَخَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ عَلَى الْخَيْلِ وَقَالَ " يَا أَبَا هُرَيْرَةَ اهْتِفْ بِالأَنْصَارِ " . قَالَ اسْلُكُوا هَذَا الطَّرِيقَ فَلاَ يُشْرِفَنَّ لَكُمْ أَحَدٌ إِلاَّ أَنَمْتُمُوهُ . فَنَادَى مُنَادٍ لاَ قُرَيْشَ بَعْدَ الْيَوْمِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ دَخَلَ دَارًا فَهُوَ آمِنٌ وَمَنْ أَلْقَى السِّلاَحَ فَهُوَ آمِنٌ " . وَعَمَدَ صَنَادِيدُ قُرَيْشٍ فَدَخَلُوا الْكَعْبَةَ فَغَصَّ بِهِمْ وَطَافَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ ثُمَّ أَخَذَ بِجَنْبَتَىِ الْبَابِ فَخَرَجُوا فَبَايَعُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الإِسْلاَمِ .
তাহকীক: