আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৮৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭৯
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৭৯। ইয়াহইয়া ইবন দুরস্ত বসরী (র.)... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ লোকেরা (সাধারণত নবী (ﷺ) কে হাদিয়া প্রদানের বেলায়) আয়িশা (রাযিঃ)-এর জন্য নির্ধারিত দিনটির তালাশে থাকত। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন: একদিন আমার সপত্নীরা উম্ম সালামা (রাযিঃ)-এর কাছে একত্রিত হলেন। তারা বললেনঃ হে উম্মে সালামা! লোকেরা তো তাদের হাদিয়া প্রদানের বেলায় আয়িশা-এর জন্য নির্ধারিত দিনের তালাশে থাকে। আয়িশা যেমন কল্যাণ ও সম্পদ চায়, আমরাও তো এই কল্যাণ ও সম্পদ চাই। আপনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে বলে দিবেন, তিনি যেন লোকদের নির্দেশ দেন যে, তিনি যেখানেই থাকুন না কেন, তারা তাদের হাদিয়া যেন সেখানেই পাঠিয়ে দেন।
উম্ম সালামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) -এর কাছে বিষয়টির উল্লেখ করেন। কিন্তু তিনি তা অগ্রাহ্য করলেন। পরে নবী (ﷺ) যখন পুনরায় তাঁর কাছে আসেন, তখনও তিনি ঐ বিষয়টি আবার উত্থাপন করেন। বললেন ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমার সাথীরা আলোচনা করেছিলেন যে, লোকেরা তাদের হাদিয়া নিয়ে আয়িশা (রাযিঃ)-এর জন্য নির্ধারিত দিনের তালাশে থাকে। সুতরাং আপনি যেন তাদের বলে দেন যে, যার ঘরেই আপনি থাকুন না কেন, তারা যেন তাদের হাদিয়া সেখানেই পাঠায়।
তৃতীয় আরেক দিনও উম্ম সালামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) -এর কাছে সে কথা বললেন । তখন নবী বললেন : হে উম্মু সালামা! আয়িশা-এর সম্বন্ধে তোমরা আমাকে কষ্ট দিও না। কারণ, আয়িশা ছাড়া তোমাদের মধ্যে কোন স্ত্রীলোকের সঙ্গে একই চাদরে আবৃত অবস্থায় আমার কাছে ওহী নাযিল হয় না । হাদীসটি গারীব।
কোন কোন রাবী এ হাদীসটি হাম্মাদ ইব্ন যায়দ-হিশাম ইব্ন উরওয়া-তাঁর পিতা হিশাম (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।
হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে আওফ ইবনুল হারিছ-রুমায়ছা-উম্ম সালামা (রাযিঃ) সূত্রেও এ ধরনের কিছু বর্ণিত আছে । যা হোক, হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে এ হাদীসটির রিওয়ায়াত ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা রয়েছে। সুলায়মান ইব্ন বিলাল (রাহঃ)-হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ)-হাম্মাদ ইব্ন যায়দ (রাহঃ)-এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
উম্ম সালামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) -এর কাছে বিষয়টির উল্লেখ করেন। কিন্তু তিনি তা অগ্রাহ্য করলেন। পরে নবী (ﷺ) যখন পুনরায় তাঁর কাছে আসেন, তখনও তিনি ঐ বিষয়টি আবার উত্থাপন করেন। বললেন ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমার সাথীরা আলোচনা করেছিলেন যে, লোকেরা তাদের হাদিয়া নিয়ে আয়িশা (রাযিঃ)-এর জন্য নির্ধারিত দিনের তালাশে থাকে। সুতরাং আপনি যেন তাদের বলে দেন যে, যার ঘরেই আপনি থাকুন না কেন, তারা যেন তাদের হাদিয়া সেখানেই পাঠায়।
তৃতীয় আরেক দিনও উম্ম সালামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) -এর কাছে সে কথা বললেন । তখন নবী বললেন : হে উম্মু সালামা! আয়িশা-এর সম্বন্ধে তোমরা আমাকে কষ্ট দিও না। কারণ, আয়িশা ছাড়া তোমাদের মধ্যে কোন স্ত্রীলোকের সঙ্গে একই চাদরে আবৃত অবস্থায় আমার কাছে ওহী নাযিল হয় না । হাদীসটি গারীব।
কোন কোন রাবী এ হাদীসটি হাম্মাদ ইব্ন যায়দ-হিশাম ইব্ন উরওয়া-তাঁর পিতা হিশাম (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।
হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে আওফ ইবনুল হারিছ-রুমায়ছা-উম্ম সালামা (রাযিঃ) সূত্রেও এ ধরনের কিছু বর্ণিত আছে । যা হোক, হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে এ হাদীসটির রিওয়ায়াত ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা রয়েছে। সুলায়মান ইব্ন বিলাল (রাহঃ)-হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ)-হাম্মাদ ইব্ন যায়দ (রাহঃ)-এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
بَابُ فَضْلِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ دُرُسْتَ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ النَّاسُ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، قَالَتْ: فَاجْتَمَعَ صَوَاحِبَاتِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَقُلْنَ: يَا أُمَّ سَلَمَةَ إِنَّ النَّاسَ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ وَإِنَّا نُرِيدُ الخَيْرَ كَمَا تُرِيدُ عَائِشَةُ، فَقُولِي لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرِ النَّاسَ يُهْدُونَ إِلَيْهِ أَيْنَمَا كَانَ، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ أُمُّ سَلَمَةَ فَأَعْرَضَ عَنْهَا، ثُمَّ عَادَ إِلَيْهَا فَأَعَادَتِ الكَلَامَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ صَوَاحِبَاتِي قَدْ ذَكَرْنَ أَنَّ النَّاسَ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ فَأْمُرِ النَّاسَ يُهْدُونَ أَيْنَمَا كُنْتَ، فَلَمَّا كَانَتِ الثَّالِثَةُ قَالَتْ ذَلِكَ. قَالَ: «يَا أُمَّ سَلَمَةَ لَا تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ، فَإِنَّهُ مَا أُنْزِلَ عَلَيَّ الوَحْيُ وَأَنَا فِي لِحَافِ امْرَأَةٍ مِنْكُنَّ غَيْرِهَا» وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْسَلًا. هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، هَذَا الحَدِيثُ عَنْ عَوْفِ بْنِ الحَارِثِ، عَنْ رُمَيْثَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، شَيْئًا مِنْ هَذَا، «وَهَذَا حَدِيثٌ قَدْ رُوِيَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَلَى رِوَايَاتٍ مُخْتَلِفَةٍ». وَقَدْ رَوَى سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، نَحْوَ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৮০
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৮০। আব্দ ইব্ন হুমায়দ (রাহঃ)... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, জিবরীল একটি সবুজ রংের রেশমী বস্ত্রখণ্ডে আয়িশার প্রতিকৃতি নিয়ে নবী (ﷺ) -এর কাছে এসে বললেন : ইনি হলেন দুনিয়া ও আখিরাতে আপনার স্ত্রী।
হাদীসটি হাসান-গারীব। আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর ইব্ন আলকামা ব্যতীত এটি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি
আব্দুর রহমান ইব্ন মাহদীও এ হাদীসটি আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর ইব্ন আলকামা (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। এ সনদে আয়িশা (রাযিঃ)-এর উল্লেখ নেই। আবু উসামা (রাহঃ) হিশাম ইবন উরওয়া -তাঁর পিতা উরওয়া-আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে নবী থেকে এর কিছু বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটি হাসান-গারীব। আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর ইব্ন আলকামা ব্যতীত এটি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি
আব্দুর রহমান ইব্ন মাহদীও এ হাদীসটি আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর ইব্ন আলকামা (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। এ সনদে আয়িশা (রাযিঃ)-এর উল্লেখ নেই। আবু উসামা (রাহঃ) হিশাম ইবন উরওয়া -তাঁর পিতা উরওয়া-আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে নবী থেকে এর কিছু বর্ণনা করেছেন।
باب فضل عائشة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ المَكِّيِّ، عَنْ ابْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ جِبْرِيلَ، جَاءَ بِصُورَتِهَا فِي خِرْقَةِ حَرِيرٍ خَضْرَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «هَذِهِ زَوْجَتُكَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ» هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ " وَقَدْ رَوَى: عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، هَذَا الحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مُرْسَلًا وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَائِشَةَ. وَقَدْ رَوَى أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا مِنْ هَذَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৮১
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৮১। সুওয়ায়দ ইব্ন নসর (রাহঃ)... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : হে আয়িশা। এই যে জিবরীল, তিনি তোমাকে সালাম বলছেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম : ওয়া আলাইহিস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আপনি তা দেখেন আমরা যা দেখি না।
এ হাদীসটি হাসান-সাহীহ।
এ হাদীসটি হাসান-সাহীহ।
باب فضل عائشة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ المُبَارَكِ قَالَ: أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَائِشَةُ هَذَا جِبْرِيلُ وَهُوَ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلَامَ» قَالَتْ: قُلْتُ وَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، تَرَى مَا لَا نَرَى: «هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৮৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৮২
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৮২। সুওয়ায়দ (রাহঃ)... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন ঃ জিবরীল তোমাকে সালাম বলছেন।
আমি বললাম : ওয়া আলাইহিস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
হাদীসটি সাহীহ ।
আমি বললাম : ওয়া আলাইহিস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
হাদীসটি সাহীহ ।
باب فضل عائشة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ المُبَارَكِ قَالَ: أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ جِبْرِيلَ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلَامَ»، فَقُلْتُ: وَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৮৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৮৩
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৮৩। হুমায়দ ইব্ন মাসআদা (রাহঃ)... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহাবীগণের যখনই কোন হাদীসের মর্ম সম্বন্ধে জটিলতা দেখা দিয়েছে আর সে বিষয়ে আমরা আয়িশা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছি, তখনই তাঁর কাছে আমরা এ বিষয়ে জ্ঞান পেয়েছি।
হাদীসটি হাসান-সাহীহ-গারীব।
হাদীসটি হাসান-সাহীহ-গারীব।
باب فضل عائشة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ سَلَمَةَ المَخْزُومِيُّ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: «مَا أَشْكَلَ عَلَيْنَا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ قَطُّ فَسَأَلْنَا عَائِشَةَ إِلَّا وَجَدْنَا عِنْدَهَا مِنْهُ عِلْمًا»: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৮৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৮৪
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৮৪। কাসিম ইব্ন দীনার কূফী (রাহঃ)... মুসা ইবন তালহা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন ঃ আয়িশা (রাযিঃ) অপেক্ষা বিশুদ্ধ স্পষ্টভাষী আর কাউকে আমি দেখিনি।
হাদীসটি হাসান-সাহীহ-গারীব ।
হাদীসটি হাসান-সাহীহ-গারীব ।
باب فضل عائشة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا القَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الكُوفِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ المَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، قَالَ: «مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَفْصَحَ مِنْ عَائِشَةَ»: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৮৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৮৫
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৮৫। ইবরাহীম ইবন ইয়াকুব ও বুন্দার (রাহঃ)... আমর ইবন আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে 'যাতুস সালাসিল' যুদ্ধে সেনাপতি নিয়োগ করেন। তিনি বলেন : আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে এসে বললাম : ইয়া রাসূলাল্লাহ্। লোকদের মাঝে আপনার সবচাইতে প্রিয় কে?
তিনি বললেন : আয়িশা।
আমি বললাম : পুরুষদের মাঝে?
তিনি বললেন : তাঁর পিতা।
হাদীসটি হাসান-সাহীহ।
তিনি বললেন : আয়িশা।
আমি বললাম : পুরুষদের মাঝে?
তিনি বললেন : তাঁর পিতা।
হাদীসটি হাসান-সাহীহ।
باب فضل عائشة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ وَاللَّفْظُ لِابْنِ يَعْقُوبَ، قَالَا: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ المُخْتَارِ قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ الحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ العَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعْمَلَهُ عَلَى جَيْشِ ذَاتِ السّلَاسِلِ قَالَ: فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: «عَائِشَةُ». قُلْتُ: مِنَ الرِّجَالِ؟ قَالَ: «أَبُوهَا»: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৮৬
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৮৬। ইবরাহীম ইবন সাঈদ জাওহারী (রাহঃ)... আমর ইব্ন আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, লোকদের মাঝে আপনার সবচাইতে প্রিয় কে?
তিনি বললেন : আয়িশা ৷
আমর ইব্ন আস (রাযিঃ) বললেন : পুরুষদের মাঝে ? নবী (ﷺ) বললেন ঃ তাঁর পিতা ।
ইসমাঈল-কায়স (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত হিসাবে হাদীসটি হাসান-গারীব ।
তিনি বললেন : আয়িশা ৷
আমর ইব্ন আস (রাযিঃ) বললেন : পুরুষদের মাঝে ? নবী (ﷺ) বললেন ঃ তাঁর পিতা ।
ইসমাঈল-কায়স (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত হিসাবে হাদীসটি হাসান-গারীব ।
باب فضل عائشة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الجَوْهَرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ العَاصِ أَنَّهُ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَيْكَ؟ قَالَ: «عَائِشَةُ». قَالَ: مِنَ الرِّجَالِ؟ قَالَ: «أَبُوهَا»: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৮৭
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৮৭। আলী ইব্ন হুজর (রাহঃ)... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ সব খাদ্যের মধ্যে 'ছারীদ’১ যেমন সর্বোত্তম খাদ্য, তেমনি সকল নারীর মধ্যে আয়িশার মর্যাদা শ্রেষ্ঠ ।
এ বিষয়ে আয়িশা ও আবু মুসা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সাহীহ। আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্দুর রহমান ইব্ন মা'মার (রাহঃ) হলেন আবু তুওয়ালা আনসারী মাদীনী । ইনি ছিকাহ রাবী । মালিক ইব্ন আনাস তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
এ বিষয়ে আয়িশা ও আবু মুসা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সাহীহ। আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্দুর রহমান ইব্ন মা'মার (রাহঃ) হলেন আবু তুওয়ালা আনসারী মাদীনী । ইনি ছিকাহ রাবী । মালিক ইব্ন আনাস তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب فضل عائشة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ» وَفِي البَابِ عَنْ عَائِشَةَ، وَأَبِي مُوسَى «وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ» وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ هُوَ: أَبُو طُوَالَةَ الْأَنْصَارِيُّ الْمَدِينِيُّ ثِقَةٌ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৮৮
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৮৮। মুহাম্মাদ ইব্ন বাশার (রাহঃ)... আমর ইব্ন গালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি আম্মার ইবন ইয়াসির (রাযিঃ)-এর কাছে আয়িশা (রাযিঃ)-এর বদনাম করে। তিনি তখন বললেন : ঘৃণিত ও বিতাড়িত হয়ে দূর হ'। তুই কি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর প্রিয়তমাকে কষ্ট দিচ্ছিস?
হাদীসটি হাসান-সাহীহ ।
হাদীসটি হাসান-সাহীহ ।
باب فضل عائشة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ غَالِبٍ، أَنّ رَجُلًا نَالَ مِنْ عَائِشَةَ عِنْدَ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، فَقَالَ: «أَغْرِبْ مَقْبُوحًا مَنْبُوحًا أَتُؤْذِي حَبِيبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৮৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৮৯
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৮৯। বুন্দার (রাহঃ)... আব্দুল্লাহ ইব্ন যিয়াদ আসাদী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমি আম্মার ইবন ইয়াসির (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি ঃ তিনি অর্থাৎ আয়িশা (রাযিঃ) হলেন দুনিয়া ও আখিরাতে নবী (ﷺ)-এর সহধর্মিণী।
হাদীসটি হাসান-সাহীহ।
হাদীসটি হাসান-সাহীহ।
باب فضل عائشة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ الأَسَدِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ، يَقُولُ: «هِيَ زَوْجَتُهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ»، يَعْنِي عَائِشَةَ «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৮৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৯০
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৯০। আহমাদ ইব্ন আব্দা যাববী (রাহঃ)... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : জিজ্ঞাসা করা হল ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! লোকদের মাঝে আপনার কাছে সবচাইতে প্রিয় কে?
তিনি বললেন : আয়িশা ।
বলা হল : পুরুষদের মাঝে?
তিনি বললেন : তাঁর পিতা।
আনাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসাবে হাদীসটি এ সূত্রে হাসান-সাহীহ-গারীব ।
তিনি বললেন : আয়িশা ।
বলা হল : পুরুষদের মাঝে?
তিনি বললেন : তাঁর পিতা।
আনাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসাবে হাদীসটি এ সূত্রে হাসান-সাহীহ-গারীব ।
باب فضل عائشة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا المُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَيْكَ؟ قَالَ: «عَائِشَةُ»، قِيلَ: مِنَ الرِّجَالِ. قَالَ: «أَبُوهَا»: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৯০
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৯০।
باب فضل عائشة رضي الله عنها
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا المُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَيْكَ؟ قَالَ: «عَائِشَةُ»، قِيلَ: مِنَ الرِّجَالِ. قَالَ: «أَبُوهَا»: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান