আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩১৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৬৮
সূরা হজ্জ
৩১৬৮. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ..... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) এর সফর অবস্থায় যখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ
يا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ
তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান এ দিন কোনটি?
সাহাবীরা (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহ্ এবং রাসূলই ভাল জানেন।
তিনি বললেনঃ এটি হবে সে দিন যে দিন আল্লাহ্ তাআলা আদমকে বলবেন, জাহান্নামের দলটি পাঠাও। তিনি বলবেনঃ হে আমার রব, জাহান্নামের দলের সংখ্যা কি?
আল্লাহ্ বলবেনঃ (প্রতি হাজারে) নয়শত নিরানব্বই জন হল জাহান্নামের আর একজন হল জান্নাতের। তখন মুসলমানরা কাঁদতে শুরু করলেন।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা নিকটবর্তী হয়ে চলতে থাক এবং সঠিক পথে চল। প্রত্যেক নবুওয়াত-এর পূর্বেই এক একটি জাহিলী যুগ অতিক্রান্ত হয়েছে। জাহান্নামীদের এ সংখ্যা জাহিলীয়াতের যুগ থেকে নেয়া হবে। যদি তাদের থেকে এ সংখ্যা পূরণ না হয়ে তবে তা মুনাফিকদের থেকে নিয়ে পূরণ করা হবে। তোমরা এবং অন্যান্য উম্মতের দৃষ্টান্ত হল, কোন পশুর হাঁটুর দাগের মত বা উটের পার্শ্বের তিলের মত।
এরপর তিনি বললেনঃ আমি আশা করি তোমরা হবে জান্নাতীদের চার ভাগের এক ভাগ।
সাহাবীরা (খুশীতে) বললেনঃ আল্লাহু আকবার! এরপর নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি আশা করি তোমরা হবে জান্নাতীদের তিন ভাগের একভাগ। তখন সাহাবীরা ’আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, জানি না তিনি দুই-তৃতীয়াংশের কথা বলেছিলেন কি না।
يا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ
তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান এ দিন কোনটি?
সাহাবীরা (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহ্ এবং রাসূলই ভাল জানেন।
তিনি বললেনঃ এটি হবে সে দিন যে দিন আল্লাহ্ তাআলা আদমকে বলবেন, জাহান্নামের দলটি পাঠাও। তিনি বলবেনঃ হে আমার রব, জাহান্নামের দলের সংখ্যা কি?
আল্লাহ্ বলবেনঃ (প্রতি হাজারে) নয়শত নিরানব্বই জন হল জাহান্নামের আর একজন হল জান্নাতের। তখন মুসলমানরা কাঁদতে শুরু করলেন।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা নিকটবর্তী হয়ে চলতে থাক এবং সঠিক পথে চল। প্রত্যেক নবুওয়াত-এর পূর্বেই এক একটি জাহিলী যুগ অতিক্রান্ত হয়েছে। জাহান্নামীদের এ সংখ্যা জাহিলীয়াতের যুগ থেকে নেয়া হবে। যদি তাদের থেকে এ সংখ্যা পূরণ না হয়ে তবে তা মুনাফিকদের থেকে নিয়ে পূরণ করা হবে। তোমরা এবং অন্যান্য উম্মতের দৃষ্টান্ত হল, কোন পশুর হাঁটুর দাগের মত বা উটের পার্শ্বের তিলের মত।
এরপর তিনি বললেনঃ আমি আশা করি তোমরা হবে জান্নাতীদের চার ভাগের এক ভাগ।
সাহাবীরা (খুশীতে) বললেনঃ আল্লাহু আকবার! এরপর নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি আশা করি তোমরা হবে জান্নাতীদের তিন ভাগের একভাগ। তখন সাহাবীরা ’আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, জানি না তিনি দুই-তৃতীয়াংশের কথা বলেছিলেন কি না।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الحَجِّ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا نَزَلَتْ : ( يا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ ) إِلَى قَوْلِهِ : (ولَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ ) قَالَ أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ وَهُوَ فِي سَفَرٍ فَقَالَ " أَتَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ ذَلِكَ " . فَقَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " ذَلِكَ يَوْمَ يَقُولُ اللَّهُ لآدَمَ ابْعَثْ بَعْثَ النَّارِ فَقَالَ يَا رَبِّ وَمَا بَعْثُ النَّارِ قَالَ تِسْعُمِائَةٍ وَتِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ إِلَى النَّارِ وَوَاحِدٌ إِلَى الْجَنَّةِ " . قَالَ فَأَنْشَأَ الْمُسْلِمُونَ يَبْكُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَارِبُوا وَسَدِّدُوا فَإِنَّهَا لَمْ تَكُنْ نُبُوَّةٌ قَطُّ إِلاَّ كَانَ بَيْنَ يَدَيْهَا جَاهِلِيَّةٌ قَالَ فَيُؤْخَذُ الْعَدَدُ مِنَ الْجَاهِلِيَّةِ فَإِنْ تَمَّتْ وَإِلاَّ كَمُلَتْ مِنَ الْمُنَافِقِينَ وَمَا مَثَلُكُمْ وَالأُمَمِ إِلاَّ كَمَثَلِ الرَّقْمَةِ فِي ذِرَاعِ الدَّابَّةِ أَوْ كَالشَّامَةِ فِي جَنْبِ الْبَعِيرِ ثُمَّ قَالَ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الْجَنَّةِ " . فَكَبَّرُوا ثُمَّ قَالَ " إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الْجَنَّةِ " . فَكَبَّرُوا ثُمَّ قَالَ " إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الْجَنَّةِ " . فَكَبَّرُوا قَالَ وَلاَ أَدْرِي قَالَ الثُّلُثَيْنِ أَمْ لاَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
হাদীস নং:৩১৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৬৯
সূরা হজ্জ
৩১৬৯. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। চলতে চলতে সাহাবীরা একে অন্য থেকে দূরে পড়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উচ্চঃস্বরে এই আয়াত দু’টি তিলাওয়াত করলেন।
সাহাবীগণ এ আওয়াজ শুনে বাহনের গতি দ্রুত করে (তাঁর কাছে) এলেন। তাঁরা বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাঁদের কোন কথা বলার সমীপরবর্তী। তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান সেটি কোন দিন? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।
তিনি বললেনঃ এ হল সেই দিন যেদিন আল্লাহ্ তাআলা আদমকে ডাকবেন। আর তাঁর প্রভূ তাঁকে ডেকে বলবেনঃ হে আদম, জাহান্নামীদের পাঠাও।
আদম বলবেনঃ হে আমার রব, জাহান্নামীর সংখ্যা কি?
আল্লাহ্ বলবেনঃ প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন জাহান্নামের আর একজন হল জান্নাতের।
সবাই নিরাশ হয়ে গেলেন। এমনকি তাঁদের স্মিত হাসিও প্রকাশ পাচ্ছিল না। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাহাবীদের এ অবস্থা দেখে বললেনঃ তোমরা আমল করে যাও আর সুসংবাদ লাভ কর। যে সত্তার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ সেই সত্তার কসম, তোমরা তো দুই ধরনের মাখলুকের মাঝে রয়েছ। এই দুই সৃষ্টি যার সাথেই থাকে তাকেই বাড়িয়ে দেয়। এরা হল ইয়াজুজ-মাজুজ এবং বনু আদম ও বনু ইবলীসের যারা মারা গিয়েছে। অনন্তর সাহাবীরা যে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এর কতকটা তাতে বিদূরিত হয়।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা আমল কর আর সুসংবাদ লাভ কর। কসম সেই সত্তার যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! মানুষের মাঝে তোমরা হলে উটের পার্শ্বের তিলের মত বা কোন জন্তুর হাঁটুর দাগের মত।
সাহাবীগণ এ আওয়াজ শুনে বাহনের গতি দ্রুত করে (তাঁর কাছে) এলেন। তাঁরা বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাঁদের কোন কথা বলার সমীপরবর্তী। তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান সেটি কোন দিন? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।
তিনি বললেনঃ এ হল সেই দিন যেদিন আল্লাহ্ তাআলা আদমকে ডাকবেন। আর তাঁর প্রভূ তাঁকে ডেকে বলবেনঃ হে আদম, জাহান্নামীদের পাঠাও।
আদম বলবেনঃ হে আমার রব, জাহান্নামীর সংখ্যা কি?
আল্লাহ্ বলবেনঃ প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন জাহান্নামের আর একজন হল জান্নাতের।
সবাই নিরাশ হয়ে গেলেন। এমনকি তাঁদের স্মিত হাসিও প্রকাশ পাচ্ছিল না। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাহাবীদের এ অবস্থা দেখে বললেনঃ তোমরা আমল করে যাও আর সুসংবাদ লাভ কর। যে সত্তার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ সেই সত্তার কসম, তোমরা তো দুই ধরনের মাখলুকের মাঝে রয়েছ। এই দুই সৃষ্টি যার সাথেই থাকে তাকেই বাড়িয়ে দেয়। এরা হল ইয়াজুজ-মাজুজ এবং বনু আদম ও বনু ইবলীসের যারা মারা গিয়েছে। অনন্তর সাহাবীরা যে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এর কতকটা তাতে বিদূরিত হয়।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা আমল কর আর সুসংবাদ লাভ কর। কসম সেই সত্তার যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! মানুষের মাঝে তোমরা হলে উটের পার্শ্বের তিলের মত বা কোন জন্তুর হাঁটুর দাগের মত।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الحَجِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَتَفَاوَتَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ فِي السَّيْرِ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَوْتَهُ بِهَاتَيْنِ الآيَتَيْنِ أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ ) إِلَى قَوْلِهِ : ( إن عذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ ) فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ أَصْحَابُهُ حَثُّوا الْمَطِيَّ وَعَرَفُوا أَنَّهُ عِنْدَ قَوْلٍ يَقُولُهُ فَقَالَ " هَلْ تَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ ذَلِكَ " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " ذَاكَ يَوْمٌ يُنَادِي اللَّهُ فِيهِ آدَمَ فَيُنَادِيهِ رَبُّهُ فَيَقُولُ يَا آدَمُ ابْعَثْ بَعْثَ النَّارِ . فَيَقُولُ يَا رَبِّ وَمَا بَعْثُ النَّارِ فَيَقُولُ مِنْ كُلِّ أَلْفٍ تِسْعُمِائَةٍ وَتِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ إِلَى النَّارِ وَوَاحِدٌ فِي الْجَنَّةِ " . فَيَئِسَ الْقَوْمُ حَتَّى مَا أَبْدَوْا بِضَاحِكَةٍ فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي بِأَصْحَابِهِ قَالَ " اعْمَلُوا وَأَبْشِرُوا فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّكُمْ لَمَعَ خَلِيقَتَيْنِ مَا كَانَتَا مَعَ شَيْءٍ إِلاَّ كَثَّرَتَاهُ يَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَمَنْ مَاتَ مِنْ بَنِي آدَمَ وَبَنِي إِبْلِيسَ " . قَالَ فَسُرِّيَ عَنِ الْقَوْمِ بَعْضُ الَّذِي يَجِدُونَ . فَقَالَ " اعْمَلُوا وَأَبْشِرُوا فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا أَنْتُمْ فِي النَّاسِ إِلاَّ كَالشَّامَةِ فِي جَنْبِ الْبَعِيرِ أَوْ كَالرَّقْمَةِ فِي ذِرَاعِ الدَّابَّةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭০
সূরা হজ্জ
৩১৭০. মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল প্রমুখ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ (বায়তুল্লাহকে) আল আতীক (মুক্তি) নামকরণ করা হয়েছে, কেননা, আল্লাহ্ তাআলা এর উপর কোন পরাক্রমশালীকে কখনও বিজয়ী হতে দেননি।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الحَجِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا سُمِّيَ الْبَيْتُ الْعَتِيقَ لأَنَّهُ لَمْ يَظْهَرْ عَلَيْهِ جَبَّارٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭১
সূরা হজ্জ
৩১৭১. সুফিয়ান ইবনে ওয়াকী’ (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী (ﷺ)-কে যখন মক্কা থেকে বের করে দেওয়া হল তখন আবু বকর (রাযিঃ) বলেছিলেন, এরা (মুশরিকরা) তাদের নবীকে বের কের দিল তারা তো অবশ্যই ধ্বংস হবে। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেনঃ
أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ
আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ আমি জানতাম যে, অচিরেই কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম অবশ্যই হবে।
أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ
আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ আমি জানতাম যে, অচিরেই কাফিরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম অবশ্যই হবে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الحَجِّ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَإِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا أُخْرِجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَخْرَجُوا نَبِيَّهُمْ لَيَهْلِكُنَّ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ ) الآيَةَ . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لَقَدْ عَلِمْتُ أَنَّهُ سَيَكُونُ قِتَالٌ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ وَغَيْرُهُ عَنْ سُفْيَانَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ مُرْسَلاً لَيْسَ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭২
সূরা হজ্জ
৩১৭২. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার ..... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যখন নবী (ﷺ)-কে মক্কা থেকে বের করে দিল তখন একজন লোক বললঃ তাদের নবীকে বের করে দেয়া হয়েছে। তখন এই আয়াত নাযিল হলোঃ
أذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ * الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ
অর্থাৎ নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণকে অন্যায়ভাবে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
أذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ * الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ
অর্থাৎ নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণকে অন্যায়ভাবে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الحَجِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ لَمَّا أُخْرِجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ قَالَ رَجُلٌ أَخْرَجُوا نَبِيَّهُمْ فَنَزَلَتْ : ( أذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ * الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ ) النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: