আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩০৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৭৯
সূরা আল-আনফাল
৩০৭৮. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ..... মুসআব ইবনে সা’দ তার পিতা সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ বদর যুদ্ধের দিন আমি একটি তলোয়ার নিয়ে এলাম। বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহ্ আ’আলা মুশরিকের ব্যাপারে (তাদের পরাজিত করে) আমার হৃদয়কে শান্তি দান করেছেন। অথবা এরূপ কিছু বললেন। আপনি আমাকে এই তলোয়ারটি দিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ এটা তো আমারও নয় তোমারও নয়। আমি বললামঃ আমার আশঙ্কা হয় এটি এমন কাউকে দেওয়া হবে, যে আমার মত পরীক্ষার সম্মুখীন হতে পারবে না। পরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার কাছে এসে বললেনঃ তুমি এটি আমার কাছে চেয়েছিলে। তখন তো এটি আমার অধিকার ভূক্ত ছিল না। এখন এটি আমার হয়ে গেছে। সুতরাং এটি তোমাকে দিলাম। তখন এই আয়াত নাযিল হয়ঃ (يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأَنْفَالِ)। আবু দাউদ
হাদীসটি হাসান-সহীহ। সিমাক (রাহঃ)-ও এটি মুসআব ইবনে সা’দ (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এই বিষয়ে উবাদা সামিত (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদীসটি হাসান-সহীহ। সিমাক (রাহঃ)-ও এটি মুসআব ইবনে সা’দ (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এই বিষয়ে উবাদা সামিত (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
بَاب وَمِنْ سُورَةِ الأَنْفَالِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ جِئْتُ بِسَيْفٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ شَفَى صَدْرِي مِنَ الْمُشْرِكِينَ أَوْ نَحْوَ هَذَا هَبْ لِي هَذَا السَّيْفَ . فَقَالَ " هَذَا لَيْسَ لِي وَلاَ لَكَ " . فَقُلْتُ عَسَى أَنْ يُعْطَى هَذَا مَنْ لاَ يُبْلِي بَلاَئِي فَجَاءَنِي الرَّسُولُ فَقَالَ " إِنَّكَ سَأَلْتَنِي وَلَيْسَ لِي وَقَدْ صَارَ لِي وَهُوَ لَكَ " . قَالَ فَنَزَلَتْ : ( يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأَنْفَالِ ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ أَيْضًا . وَفِي الْبَابِ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮০
সূরা আল-আনফাল
৩০৭৯. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন বদর যুদ্ধ থেকে অবসর হলেন তখন তাঁকে বলা হল, কাফেলাটির উপর আপনি আক্রমণ করুন। কারণ, তাদের রক্ষাকারী কেউ নেই। তখন আব্বাস- যিনি তখন যুদ্ধবন্দী ছিলেন- তাঁকে ডাক দিয়ে বললেন, কাফেলার উপর আক্রমণ করা ঠিক হবে না। কারণ, আল্লাহ্ তাআলা তো আপনার সঙ্গে দু’টো দলের একটির ওয়াদা করেছিলেন। আর তিনি যা ওয়াদা করেছিলেন, তিনি তা আপনাকে প্রদান করেছেন। নবী (ﷺ) বললেনঃ আপনি সত্যি বলেছেন।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَاب وَمِنْ سُورَةِ الأَنْفَالِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَدْرٍ قِيلَ لَهُ عَلَيْكَ الْعِيرَ لَيْسَ دُونَهَا شَيْءٌ قَالَ فَنَادَاهُ الْعَبَّاسُ وَهُوَ فِي وَثَاقِهِ لاَ يَصْلُحُ وَقَالَ لأَنَّ اللَّهَ وَعَدَكَ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ وَقَدْ أَعْطَاكَ مَا وَعَدَكَ قَالَ " صَدَقْتَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮১
সূরা আল-আনফাল
৩০৮০. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (বদরের দিন) আল্লাহর নবী (ﷺ) মুশরিকদের দিকে তাকালেন। এরা ছিল এক হাজার। আর তাঁর সঙ্গীরা ছিলেন তিনশ দশের কিছু অধিক। এরপর নবী (ﷺ) কিবলার দিকে ফিরে হাত তুলে তাঁর রবকে ডাকতে লাগলেনঃ হে আল্লাহ্! তুমি যে ওয়াদা আমার সঙ্গে করেছ তা পূরণ কর। হে আল্লাহ্! এই মুসলিমদের এই ক্ষুদ্র দলটিকে যদি আজ তুমি ধ্বংস করে দাও তবে তো পৃথিবীতে আর তোমার ইবাদত করা হবে না।
কিবলার দিকে ফিরে হাত তুলে তিনি তাঁর রবকে ডাকতেই থাকলেন এমনকি তাঁর গায়ের চাদর কাঁধ থেকে গড়িয়ে পড়ে। তখন আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর কাছে এসে চাদরটি তাঁর কাঁধে তুলে দিলেন এবং পেছন দিক থেকে তাঁকে চেপে ধরে বললেনঃ হে আল্লাহর নবী! আল্লাহর কাছে আপনার এই আহবান যথেষ্ট হয়েছে। তিনি অবশ্যই আপনার সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার আজ পূর্ণ করবেন। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ
إِذْ تَسْتَغِيثُونَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّي مُمِدُّكُمْ بِأَلْفٍ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ مُرْدِفِينَ
যখন তুমি তোমার প্রভুর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছিলে তখন তিনি তা কবুল করলেন। অতএব আল্লাহ্ তাআলা মুসলিমদের ফিরিশতা পাঠিয়ে সাহায্য করলেন।[আনফালঃ ৯] মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। ইকরিমা ইবনে আম্মার-আবু যুমায়ল (রাহঃ) এর সূত্র ছাড়া উমর (রাযিঃ)-এর এ হাদীসটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আবু যুমায়ল (রাহঃ) এর নাম সিমাক হানাফী। রাবী বলেনঃ হাদীসোক্ত ঘটনাটি ছিল বদর যুদ্ধের।
কিবলার দিকে ফিরে হাত তুলে তিনি তাঁর রবকে ডাকতেই থাকলেন এমনকি তাঁর গায়ের চাদর কাঁধ থেকে গড়িয়ে পড়ে। তখন আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর কাছে এসে চাদরটি তাঁর কাঁধে তুলে দিলেন এবং পেছন দিক থেকে তাঁকে চেপে ধরে বললেনঃ হে আল্লাহর নবী! আল্লাহর কাছে আপনার এই আহবান যথেষ্ট হয়েছে। তিনি অবশ্যই আপনার সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার আজ পূর্ণ করবেন। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ
إِذْ تَسْتَغِيثُونَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّي مُمِدُّكُمْ بِأَلْفٍ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ مُرْدِفِينَ
যখন তুমি তোমার প্রভুর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছিলে তখন তিনি তা কবুল করলেন। অতএব আল্লাহ্ তাআলা মুসলিমদের ফিরিশতা পাঠিয়ে সাহায্য করলেন।[আনফালঃ ৯] মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। ইকরিমা ইবনে আম্মার-আবু যুমায়ল (রাহঃ) এর সূত্র ছাড়া উমর (রাযিঃ)-এর এ হাদীসটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আবু যুমায়ল (রাহঃ) এর নাম সিমাক হানাফী। রাবী বলেনঃ হাদীসোক্ত ঘটনাটি ছিল বদর যুদ্ধের।
بَاب وَمِنْ سُورَةِ الأَنْفَالِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو زُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ نَظَرَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمُشْرِكِينَ وَهُمْ أَلْفٌ وَأَصْحَابُهُ ثَلاَثُمِائَةٍ وَبِضْعَةَ عَشَرَ رَجُلاً فَاسْتَقْبَلَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْقِبْلَةَ ثُمَّ مَدَّ يَدَيْهِ وَجَعَلَ يَهْتِفُ بِرَبِّهِ " اللَّهُمَّ أَنْجِزْ لِي مَا وَعَدْتَنِي اللَّهُمَّ آتِنِي مَا وَعَدْتَنِي اللَّهُمَّ إِنْ تُهْلِكْ هَذِهِ الْعِصَابَةَ مِنْ أَهْلِ الإِسْلاَمِ لاَ تُعْبَدُ فِي الأَرْضِ " . فَمَا زَالَ يَهْتِفُ بِرَبِّهِ مَادًّا يَدَيْهِ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ حَتَّى سَقَطَ رِدَاؤُهُ مِنْ مَنْكِبَيْهِ فَأَتَاهُ أَبُو بَكْرٍ فَأَخَذَ رِدَاءَهُ فَأَلْقَاهُ عَلَى مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ الْتَزَمَهُ مِنْ وَرَائِهِ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ كَفَاكَ مُنَاشَدَتُكَ رَبَّكَ فَإِنَّهُ سَيُنْجِزُ لَكَ مَا وَعَدَكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (إِذْ تَسْتَغِيثُونَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّي مُمِدُّكُمْ بِأَلْفٍ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ مُرْدِفِينَ ) فَأَمَدَّهُمُ اللَّهُ بِالْمَلاَئِكَةِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ عَنْ أَبِي زُمَيْلٍ وَأَبُو زُمَيْلٍ اسْمُهُ سِمَاكٌ الْحَنَفِيُّ وَإِنَّمَا كَانَ هَذَا يَوْمَ بَدْرٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮২
সূরা আল-আনফাল
৩০৮১. সুফিয়ান ইবনে ওয়াকী’ (রাহঃ) ..... আবু বুরদা ইবনে আবু মুসা তার পিতা আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তাআলা আমার উম্মতের দু’টো নিরাপত্তার উপায় নাযিল করেছেনঃ
وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيهِمْ وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ
আল্লাহ্ এমন নন যে, আপনি তাদের মধ্যে থাকবেন অথচ তিনি তাদের শাস্তি দিবেন; এবং আল্লাহ্ এমনও নন যে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে অথচ তিনি তাদের শাস্তি দিবেন। (আনফাল ৮ঃ ৩৩)
আমি যখন চলে যাব তখন কিয়ামত পর্যন্ত তাদের জন্য ’ইস্তিগফার’-এর উপায়টি রেখে যাব।
হাদীসটি গারীব। ইসমাঈল ইবনে ইবরাহীমকে হাদীস রিওয়ায়াতের ক্ষেত্রে দুর্বল বলা হয়।
وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيهِمْ وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ
আল্লাহ্ এমন নন যে, আপনি তাদের মধ্যে থাকবেন অথচ তিনি তাদের শাস্তি দিবেন; এবং আল্লাহ্ এমনও নন যে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে অথচ তিনি তাদের শাস্তি দিবেন। (আনফাল ৮ঃ ৩৩)
আমি যখন চলে যাব তখন কিয়ামত পর্যন্ত তাদের জন্য ’ইস্তিগফার’-এর উপায়টি রেখে যাব।
হাদীসটি গারীব। ইসমাঈল ইবনে ইবরাহীমকে হাদীস রিওয়ায়াতের ক্ষেত্রে দুর্বল বলা হয়।
بَاب وَمِنْ سُورَةِ الأَنْفَالِ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَىَّ أَمَانَيْنِ لأُمَّتِي : ( وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيهِمْ ) ( وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ ) إِذَا مَضَيْتُ تَرَكْتُ فِيهِمْ الاِسْتِغْفَارَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ " . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৩
সূরা আল-আনফাল
৩০৮২. আহমদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) ..... উকবা ইবনে আমির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মিম্বরে এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ (وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ) পরে তিনবার বললেনঃ জেনে রাখ, শক্তি হল, তীর নিক্ষেপ। জেনে রাখ, অচিরেই তোমাদের হাতে পৃথিবী বিজীত হবে এবং তোমাদের নিজে ব্যয়-ভারের চিন্তা থেকে মুক্ত করে দেওয়া হবে। সুতরাং তীরন্দাজীর অনুশীলনী থেকে কেউ যেন কখনো তোমাদের বিরত না রাখে। ইবনে মাজাহ, মুসলিম
কোন কোন রাবী এই হাদীসটিকে উসামা ইবনে যায়দ-সালিহ ইবনে কায়সান-উকবা ইবনে আমির সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ওয়াকী’-এর রিওয়ায়াতটি অধিক সহীহ। সালিহ ইবনে কায়সার উকবা ইবনে আমির (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পান নি। তবে তিনি ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পেয়েছেন।
কোন কোন রাবী এই হাদীসটিকে উসামা ইবনে যায়দ-সালিহ ইবনে কায়সান-উকবা ইবনে আমির সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ওয়াকী’-এর রিওয়ায়াতটি অধিক সহীহ। সালিহ ইবনে কায়সার উকবা ইবনে আমির (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পান নি। তবে তিনি ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পেয়েছেন।
بَاب وَمِنْ سُورَةِ الأَنْفَالِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ رَجُلٍ، لَمْ يُسَمِّهِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ عَلَى الْمِنْبَرِ : ( وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ ) قَالَ " أَلاَ إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْىُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ أَلاَ إِنَّ اللَّهَ سَيَفْتَحُ لَكُمُ الأَرْضَ وَسَتُكْفَوْنَ الْمُؤْنَةَ فَلاَ يَعْجِزَنَّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَلْهُوَ بِأَسْهُمِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَوَاهُ أَبُو أُسَامَةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ وَحَدِيثُ وَكِيعٍ أَصَحُّ . وَصَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ لَمْ يُدْرِكْ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ وَقَدْ أَدْرَكَ ابْنَ عُمَرَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৪
সূরা আল-আনফাল
৩০৮৩. হান্নাদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, বদরের সময় যখন বন্দীদের নিয়ে আসা হয় তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ এই বন্দীদের সম্বন্ধে তোমাদের মতামত কি? এরপর রাবী এ হাদীস একটি ঘটনা বর্ণনা করেনঃ
وَمَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَكُونَ لَهُ أَسْرَى حَتَّى يُثْخِنَ فِي الأَرْضِ
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ মুক্তিপণ প্রদান বা শিরোচ্ছেদ ব্যতিরেকে এরা কেউ ছুটতে পারবে না। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেনঃ আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তবে সুহাঈল ইবনে বায়যা ছাড়া। কেননা, আমি তাঁকে ইসলামের আলোচনা করতে শুনেছি।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই কথা শুনে নীরব রইলেন। আমার মাথার উপর আসমান থেকে পাথর ভেঙ্গে পড়বে এই আশঙ্কার চেয়েও আজকের দিন আমি বেশী শঙ্কিত ছিলাম। অবশেষে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ সুহাঈল ইবনে বায়যা ছাড়া। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেনঃ এই সময় উমর (রাযিঃ)-এর বক্তব্যের সমর্থনে কুরআনের এই আয়াত নাযিল হয়ঃ
لَوْلاَ كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
কোন নবীর জন্য সঙ্গত নয় শক্রকে ব্যাপকভাবে পরাভূত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান। আবু উবাইদা ইবনে আব্দুল্লাহ সরাসরি তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ্ থেকে হাদীস শ্রবণ করেন নি।
وَمَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَكُونَ لَهُ أَسْرَى حَتَّى يُثْخِنَ فِي الأَرْضِ
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ মুক্তিপণ প্রদান বা শিরোচ্ছেদ ব্যতিরেকে এরা কেউ ছুটতে পারবে না। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেনঃ আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তবে সুহাঈল ইবনে বায়যা ছাড়া। কেননা, আমি তাঁকে ইসলামের আলোচনা করতে শুনেছি।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই কথা শুনে নীরব রইলেন। আমার মাথার উপর আসমান থেকে পাথর ভেঙ্গে পড়বে এই আশঙ্কার চেয়েও আজকের দিন আমি বেশী শঙ্কিত ছিলাম। অবশেষে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ সুহাঈল ইবনে বায়যা ছাড়া। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেনঃ এই সময় উমর (রাযিঃ)-এর বক্তব্যের সমর্থনে কুরআনের এই আয়াত নাযিল হয়ঃ
لَوْلاَ كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
কোন নবীর জন্য সঙ্গত নয় শক্রকে ব্যাপকভাবে পরাভূত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান। আবু উবাইদা ইবনে আব্দুল্লাহ সরাসরি তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ্ থেকে হাদীস শ্রবণ করেন নি।
بَاب وَمِنْ سُورَةِ الأَنْفَالِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ وَجِيءَ بِالأُسَارَى قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا تَقُولُونَ فِي هَؤُلاَءِ الأُسَارَى " . فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَنْفَلِتَنَّ مِنْهُمْ أَحَدٌ إِلاَّ بِفِدَاءٍ أَوْ ضَرْبِ عُنُقٍ " . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلاَّ سُهَيْلَ بْنَ بَيْضَاءَ فَإِنِّي قَدْ سَمِعْتُهُ يَذْكُرُ الإِسْلاَمَ . قَالَ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَمَا رَأَيْتُنِي فِي يَوْمٍ أَخْوَفَ أَنْ تَقَعَ عَلَىَّ حِجَارَةٌ مِنَ السَّمَاءِ مِنِّي فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ قَالَ حَتَّى قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِلاَّ سُهَيْلَ ابْنَ بَيْضَاءَ " . قَالَ وَنَزَلَ الْقُرْآنُ بِقَوْلِ عُمَرَ : ( وَمَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَكُونَ لَهُ أَسْرَى حَتَّى يُثْخِنَ فِي الأَرْضِ ) إِلَى آخِرِ الآيَاتِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِيهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৫
সূরা আল-আনফাল
৩০৮৪. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের পূর্ববির্তী বনি আদমের কারো জন্য গনিমত লব্ধ মাল হালাল ছিল না। আকাশ থেকে আগুন নেমে আসত এবং তা গ্রাস করে ফেলত।
সুলাইমান আল-আ’মাশ বললেনঃ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ছাড়া আজকের দিনে এ হাদীস আর কে বলতে পারে? বদরের সময় সাহাবীরা হালাল বলে ঘোষিত হওয়ার পূর্বই গনিমত ব্যবহারে লিপ্ত হয়ে পড়েন। তখন আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ
لَوْلاَ كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
আল্লাহর পূর্বে বিধান না থাকলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ তার জন্য তোমাদের উপর মহাশাস্তি আপতিত হতো। [আনফালঃ ৬৮]
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
সুলাইমান আল-আ’মাশ বললেনঃ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ছাড়া আজকের দিনে এ হাদীস আর কে বলতে পারে? বদরের সময় সাহাবীরা হালাল বলে ঘোষিত হওয়ার পূর্বই গনিমত ব্যবহারে লিপ্ত হয়ে পড়েন। তখন আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ
لَوْلاَ كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
আল্লাহর পূর্বে বিধান না থাকলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ তার জন্য তোমাদের উপর মহাশাস্তি আপতিত হতো। [আনফালঃ ৬৮]
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
بَاب وَمِنْ سُورَةِ الأَنْفَالِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَائِدَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَمْ تَحِلَّ الْغَنَائِمُ لأَحَدٍ سُودِ الرُّءُوسِ مِنْ قَبْلِكُمْ كَانَتْ تَنْزِلُ نَارٌ مِنَ السَّمَاءِ فَتَأْكُلُهَا " . قَالَ سُلَيْمَانُ الأَعْمَشُ فَمَنْ يَقُولُ هَذَا إِلاَّ أَبُو هُرَيْرَةَ الآنَ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ وَقَعُوا فِي الْغَنَائِمِ قَبْلَ أَنْ تَحِلَّ لَهُمْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى : (لَوْلاَ كِتَابٌ مِنَ اللَّهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ ) قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান