আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩০৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৭৪
সূরা আল-আ’রাফ
৩০৭৪. আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ....... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) একদিন এই আয়াতটি পাঠ করলেনঃ (فَلََمَّا تَجَلَّى رَبُّهُ لِلْجَبَلِ جَعَلَهُ دَكًّا) রাবী হাম্মাদ (রাহঃ) তাজাল্লীর রূপ দেখাতে যেয়ে বলেছেনঃ এইরূপে। আর সুলাইমান (রাহঃ) এর ব্যাখ্যায় তার বৃদ্ধাঙ্গুলির কিনারা দিয়ে ডান হাতের অঙ্গুলিগুলোর মাথা স্পর্শ করলেন। নবী (ﷺ) বলেনঃ অনন্তর এই তাজাল্লীতে পাহাড়টি ধ্বসে যায় আর মুসা (আলাইহিস সালাম) বেহুঁশ হয়ে পড়েন।
হাদীসটি হাসান-সহীহ গারীব।
হাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) -এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আব্দুল ওয়াহাব ওয়াররক বাগদাদী (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
হাদীসটি হাসান-সহীহ গারীব।
হাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) -এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আব্দুল ওয়াহাব ওয়াররক বাগদাদী (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الأَعْرَافِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ : ( فَلََمَّا تَجَلَّى رَبُّهُ لِلْجَبَلِ جَعَلَهُ دَكًّا ) قَالَ حَمَّادٌ هَكَذَا وَأَمْسَكَ سُلَيْمَانُ بِطَرَفِ إِبْهَامِهِ عَلَى أَنْمُلَةِ إِصْبَعِهِ الْيُمْنَى قَالَ فَسَاخَ الْجَبَلُ ( وخَرَّ مُوسَى صَعِقًا ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الْوَرَّاقُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الْوَرَّاقُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৭৫
সূরা আল-আ’রাফ
৩০৭৫. আনসারী (রাহঃ) ..... মুসলিম ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে এই আয়াতটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলঃ
وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا بَلَى شَهِدْنَا أَنْ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غَافِلِينَ
উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কেও এই বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্ তাআলা আদমকে সৃষ্টি করে তাঁর ডান হাত তার ডান দিক থেকে পিঠে বুলালেন, ফলে তা থেকে তার একদল সন্তান-সন্ততি সৃষ্টি হল। আল্লাহ্ বললেনঃ আমি এদের জান্নাতের জন্য এবং জান্নাতবাসীদের আমলে আমল করার জন্য বানিয়েছি।
এরপর তিনি আদমের পিঠে হাত বুলালেন, এতে তার একদল সন্তান-সন্ততি সৃষ্টি হল। আল্লাহ্ তাআলা বললেনঃ এদের জাহান্নামের জন্য এবং জাহান্নামবাসীদের আমলে আমল করার জন্য বানিয়েছি। এক ব্যক্তি বললঃ তাহলে আর আমরা কিসের জন্য আমল করব, ইয়া রাসূলাল্লাহ্?
রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলা যখন জান্নাতের জন্য তার কোন বান্দাকে সৃষ্টি করেন তাকে দিয়ে জান্নাতবাসীদের আমল করান। মৃত্যু পর্যন্ত সে জান্নাতবাসী হওয়ার কোন না কোন আমলে আমল করে যায়। অনন্তর আল্লাহ্ তাআলা তাকে জান্নাতে দাখিল করে দেন। আর যদি কোন বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন তবে তাকে দিয়ে তিনি জাহান্নাবাসীদের আমল করান। মৃত্যু পর্যন্ত সে জাহান্নামীদের কোন না কোন আমল করে যায়। পরিণামে তিনি তাকে জাহান্নামে দাখিল করেন।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান।
রাবী মুসলিম ইবনে ইয়াসার সরাসরি উমর (রাযিঃ) থেকে হাদীস শুনেন নি। কেউ কেউ এই সনদে মুসলিম ইবনে ইয়াসার এবং উমর (রাযিঃ)-এর মাঝে আর একজনের উল্লেখ করেছেন।
وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا بَلَى شَهِدْنَا أَنْ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غَافِلِينَ
উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কেও এই বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্ তাআলা আদমকে সৃষ্টি করে তাঁর ডান হাত তার ডান দিক থেকে পিঠে বুলালেন, ফলে তা থেকে তার একদল সন্তান-সন্ততি সৃষ্টি হল। আল্লাহ্ বললেনঃ আমি এদের জান্নাতের জন্য এবং জান্নাতবাসীদের আমলে আমল করার জন্য বানিয়েছি।
এরপর তিনি আদমের পিঠে হাত বুলালেন, এতে তার একদল সন্তান-সন্ততি সৃষ্টি হল। আল্লাহ্ তাআলা বললেনঃ এদের জাহান্নামের জন্য এবং জাহান্নামবাসীদের আমলে আমল করার জন্য বানিয়েছি। এক ব্যক্তি বললঃ তাহলে আর আমরা কিসের জন্য আমল করব, ইয়া রাসূলাল্লাহ্?
রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলা যখন জান্নাতের জন্য তার কোন বান্দাকে সৃষ্টি করেন তাকে দিয়ে জান্নাতবাসীদের আমল করান। মৃত্যু পর্যন্ত সে জান্নাতবাসী হওয়ার কোন না কোন আমলে আমল করে যায়। অনন্তর আল্লাহ্ তাআলা তাকে জান্নাতে দাখিল করে দেন। আর যদি কোন বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন তবে তাকে দিয়ে তিনি জাহান্নাবাসীদের আমল করান। মৃত্যু পর্যন্ত সে জাহান্নামীদের কোন না কোন আমল করে যায়। পরিণামে তিনি তাকে জাহান্নামে দাখিল করেন।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান।
রাবী মুসলিম ইবনে ইয়াসার সরাসরি উমর (রাযিঃ) থেকে হাদীস শুনেন নি। কেউ কেউ এই সনদে মুসলিম ইবনে ইয়াসার এবং উমর (রাযিঃ)-এর মাঝে আর একজনের উল্লেখ করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الأَعْرَافِ
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، سُئِلَ عَنْ هَذِهِ الآيَةِِ ( وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا بَلَى شَهِدْنَا أَنْ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غَافِلِينَ ) قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلُ عَنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ بِيَمِينِهِ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلاَءِ لِلْجَنَّةِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَعْمَلُونَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلاَءِ لِلنَّارِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ يَعْمَلُونَ " . فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَفِيمَ الْعَمَلُ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ إِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلْجَنَّةِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيُدْخِلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ وَإِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلنَّارِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ النَّارِ فَيُدْخِلَهُ اللَّهُ النَّارَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَمُسْلِمُ بْنُ يَسَارٍ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عُمَرَ وَقَدْ ذَكَرَ بَعْضُهُمْ فِي هَذَا الإِسْنَادِ بَيْنَ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ وَبَيْنَ عُمَرَ رَجُلاً مَجْهُولاً .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৭৬
সূরা আল-আ’রাফ
৩০৭৬. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তাআলা যখন আদম সৃষ্টি করলেন তখন তাঁর পিঠে হাত বুলালেন। এতে তাঁর যে সব সন্তান-সন্ততি কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ্ তাআলা সৃষ্টি করবেন সব প্রাণই তাঁর পিঠ থেকে বের হয়ে এল। প্রত্যেকটি মানুষের দু’চোখের মাঝে জ্যোতির ঔজ্জ্বল্য প্রকাশ করলেন। এরপর তাদের আদম (আলাইহিস সালাম)-এর সামনে পেশ করলন। তিনি বললেনঃ হে পরওয়ারদিগার এরা কারা? আল্লাহ্ বললেনঃ এরা তোমার বংশধর।
আদম (আলাইহিস সালাম) এদের আরো একজনকে দেখলেন। তার দু’চোখের মাঝের উজ্জ্বলতায় তিনি বিস্মিত হলেন। তিনি বললেনঃ হে আমার রব! এইটি কে? আল্লাহ্ বললেনঃ এ হলো তোমার সন্তানদের শেষের দিকের উম্মতদের একজন। তার নাম দাউদ। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ হে আমার রব! তার বয়স কত নির্ধারণ করেছেন?
আল্লাহ্ বললেনঃ ষাট বছর।
আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ হে আমার রব! আমার বয়স থেকে চল্লিশ বছর একে দিয়ে দিন।
পরে আদমের বয়স শেষ হলে মৃত্যুর ফিরিশতা তাঁর জান কবয করতে এলেন। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ আমার বয়স থেকে তো এখনও চল্লিশ বছর বাকী।
মৃত্যুর ফিরিশতা বললেনঃ আপনি তো তা আপনার বংশধর দাউদকে দিয়েছিলেন।
আদম (আলাইহিস সালাম) অস্বীকার করলেন ফলে তার বংশধররাও অস্বীকার করে; আদম ভুলে যান তাঁর সন্তানরাও ভুলে যায়; আদম ভূল করেন তাঁর সন্তানরাও ভূল করে।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু হুরায়রা ......... নবী (ﷺ) থেকে একাধিক সূত্রে এটি বর্ণিত আছে।
আদম (আলাইহিস সালাম) এদের আরো একজনকে দেখলেন। তার দু’চোখের মাঝের উজ্জ্বলতায় তিনি বিস্মিত হলেন। তিনি বললেনঃ হে আমার রব! এইটি কে? আল্লাহ্ বললেনঃ এ হলো তোমার সন্তানদের শেষের দিকের উম্মতদের একজন। তার নাম দাউদ। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ হে আমার রব! তার বয়স কত নির্ধারণ করেছেন?
আল্লাহ্ বললেনঃ ষাট বছর।
আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ হে আমার রব! আমার বয়স থেকে চল্লিশ বছর একে দিয়ে দিন।
পরে আদমের বয়স শেষ হলে মৃত্যুর ফিরিশতা তাঁর জান কবয করতে এলেন। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ আমার বয়স থেকে তো এখনও চল্লিশ বছর বাকী।
মৃত্যুর ফিরিশতা বললেনঃ আপনি তো তা আপনার বংশধর দাউদকে দিয়েছিলেন।
আদম (আলাইহিস সালাম) অস্বীকার করলেন ফলে তার বংশধররাও অস্বীকার করে; আদম ভুলে যান তাঁর সন্তানরাও ভুলে যায়; আদম ভূল করেন তাঁর সন্তানরাও ভূল করে।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু হুরায়রা ......... নবী (ﷺ) থেকে একাধিক সূত্রে এটি বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الأَعْرَافِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَسَقَطَ مِنْ ظَهْرِهِ كُلُّ نَسَمَةٍ هُوَ خَالِقُهَا مِنْ ذُرِّيَّتِهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَجَعَلَ بَيْنَ عَيْنَىْ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ وَبِيصًا مِنْ نُورٍ ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى آدَمَ فَقَالَ أَىْ رَبِّ مَنْ هَؤُلاَءِ قَالَ هَؤُلاَءِ ذُرِّيَّتُكَ فَرَأَى رَجُلاً مِنْهُمْ فَأَعْجَبَهُ وَبِيصُ مَا بَيْنَ عَيْنَيْهِ فَقَالَ أَىْ رَبِّ مَنْ هَذَا فَقَالَ هَذَا رَجُلٌ مِنْ آخِرِ الأُمَمِ مِنْ ذُرِّيَّتِكَ يُقَالُ لَهُ دَاوُدُ . فَقَالَ رَبِّ كَمْ جَعَلْتَ عُمْرَهُ قَالَ سِتِّينَ سَنَةً قَالَ أَىْ رَبِّ زِدْهُ مِنْ عُمْرِي أَرْبَعِينَ سَنَةً . فَلَمَّا انْقَضَى عُمْرُ آدَمَ جَاءَهُ مَلَكُ الْمَوْتِ فَقَالَ أَوَلَمْ يَبْقَ مِنْ عُمْرِي أَرْبَعُونَ سَنَةً قَالَ أَوَلَمْ تُعْطِهَا ابْنَكَ دَاوُدَ قَالَ فَجَحَدَ آدَمُ فَجَحَدَتْ ذُرِّيَّتُهُ وَنَسِيَ آدَمُ فَنَسِيَتْ ذُرِّيَّتُهُ وَخَطِئَ آدَمُ فَخَطِئَتْ ذُرِّيَّتُهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৭৭
সূরা আল-আ’রাফ
৩০৭৭. মুহাম্মাদ ইবনুল মুছান্না ..... সামুরা ইবনে জুন্দব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ হাওয়া (আলাইহিস সালাম) গর্ভবর্তী হলে ইবলীস তাঁর কাছে এল, হাওয়া (আলাইহিস সালাম)-এর সন্তান বাঁচত না। ইবলীস তাঁকে বলেনঃ এবার এর নাম রাখবেন আব্দুল হারিছ। যা হোক, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তিনি এর নাম আব্দুল হারিছ রাখলেন। অনন্তর এটি জীবিত থাকে। এ ছিল শয়তানের প্ররোচণা ও মন্ত্রণা।
হাদীসটি হাসান-গারীব। উমর ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) সূত্রে রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছূ জানা নেই। কেউ কেউ এটিকে আব্দুস সামাদ (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সেটি মারফূ’ করেন নি।
হাদীসটি হাসান-গারীব। উমর ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) সূত্রে রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছূ জানা নেই। কেউ কেউ এটিকে আব্দুস সামাদ (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সেটি মারফূ’ করেন নি।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الأَعْرَافِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَمَّا حَمَلَتْ حَوَّاءُ طَافَ بِهَا إِبْلِيسُ وَكَانَ لاَ يَعِيشُ لَهَا وَلَدٌ فَقَالَ سَمِّيهِ عَبْدَ الْحَارِثِ . فَسَمَّتْهُ عَبْدَ الْحَارِثِ فَعَاشَ وَكَانَ ذَلِكَ مِنْ وَحْىِ الشَّيْطَانِ وَأَمْرِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ قَتَادَةَ . وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ وَلَمْ يَرْفَعْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৭৮
সূরা আল-আ’রাফ
আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হল... পূর্বে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الأَعْرَافِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمَّا خُلِقَ آدَمُ " . الْحَدِيثَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান