আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩০৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৬
সূরা তাওবা
৩০৮৫. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ....... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) কে বললাম আপনারা মাছানীর (যে সূরার আয়াত সংখ্যা একশ’র কম) অন্তর্ভক্ত সূরা আনফাল আর মিঈন এর (একশ’ বা ততোধিক আয়াত বিশিষ্ট সূরা) অন্তর্ভূক্ত বারাআতকে মিলিত করেছেন আরও দুটোর মাঝে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম লাইনটি লিখেন নি সাথে সাথে সূরা আনফালকে সাবা’য়ে তুওয়াল (সাতটি দীর্ঘ সূরা)-এর অন্তর্ভূক্ত করেছেন- এরূপ করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করল?
উছমান (রাযিঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উপর এমন এক যামানাও এসেছে যখন তাঁর উপর বহুসংখ্যক সূরা এক সঙ্গে নাযিল হয়েছে। ঐ যুগে তাঁর উপর কোন বিষয় নাযিল হলে ওহী লেখকগণের কাউকে ডেকে তিনি বলতেন এ আয়াতগুলো যে সূরায় অমুক অমুক বিষয়ের উল্লেখ আছে, সে সূরায় অন্তর্ভূক্ত কর। কোন আয়াত নাযিল হলে বলতেন, এই আয়াতটি যে সূরায় অমুক অমুক বিষয়ের উল্লেখ আছে সে সূরায় অন্তর্ভূক্ত কর।
মদীনায় প্রথম দিকে যে সব সূরা নাযিল হয় সূরা আনফাল ছিল সেগুলোর অন্যতম আর বারাআত ছিল কুরআনের শেষের দিকে নাযিলকৃত সূরাসমূহের অন্যতম। কিন্তু এর বিষয়বস্ত হল সূরা আনফালের বিষয় বস্তর অনুরূপ। ফলে এটি আনফালের অন্তর্গত বলে আমি মনে করলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর ইনতিকাল হয়ে যায় কিন্তু তিনি এ কথা স্পষ্ট করে বর্ণনা করে যান নি যে, এটি আনফালের অংশ। এ কারণে আমি দু’টোকে মিলিত করেছি কিন্তু এতদুভয়ের মাঝে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম লিখিনি। আর এটিকে সাতটি দীর্ঘ সূরার অন্তর্ভূক্ত করেছি।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান। আওফ-ইয়াযীদ ফারসী ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিন্তু জানা নেই।
ইয়াযীদ ফারসী (রাহঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে একাধিক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাকে ইয়াযীদ ইবনে হুরমুযও বলা হয়। ইয়াযীদ রাকাশী (রাহঃ) হলেন ইয়াযীদ ইবনে আবান রাকাশী। তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পাননি। আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন। উভয়ই বসরাবাসী। ইয়াযীদ ফারসী (রাহঃ) ইয়াযীদ রাকাশী (রাহঃ) থেকে বয়সে বড়।
উছমান (রাযিঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উপর এমন এক যামানাও এসেছে যখন তাঁর উপর বহুসংখ্যক সূরা এক সঙ্গে নাযিল হয়েছে। ঐ যুগে তাঁর উপর কোন বিষয় নাযিল হলে ওহী লেখকগণের কাউকে ডেকে তিনি বলতেন এ আয়াতগুলো যে সূরায় অমুক অমুক বিষয়ের উল্লেখ আছে, সে সূরায় অন্তর্ভূক্ত কর। কোন আয়াত নাযিল হলে বলতেন, এই আয়াতটি যে সূরায় অমুক অমুক বিষয়ের উল্লেখ আছে সে সূরায় অন্তর্ভূক্ত কর।
মদীনায় প্রথম দিকে যে সব সূরা নাযিল হয় সূরা আনফাল ছিল সেগুলোর অন্যতম আর বারাআত ছিল কুরআনের শেষের দিকে নাযিলকৃত সূরাসমূহের অন্যতম। কিন্তু এর বিষয়বস্ত হল সূরা আনফালের বিষয় বস্তর অনুরূপ। ফলে এটি আনফালের অন্তর্গত বলে আমি মনে করলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর ইনতিকাল হয়ে যায় কিন্তু তিনি এ কথা স্পষ্ট করে বর্ণনা করে যান নি যে, এটি আনফালের অংশ। এ কারণে আমি দু’টোকে মিলিত করেছি কিন্তু এতদুভয়ের মাঝে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম লিখিনি। আর এটিকে সাতটি দীর্ঘ সূরার অন্তর্ভূক্ত করেছি।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান। আওফ-ইয়াযীদ ফারসী ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিন্তু জানা নেই।
ইয়াযীদ ফারসী (রাহঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে একাধিক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাকে ইয়াযীদ ইবনে হুরমুযও বলা হয়। ইয়াযীদ রাকাশী (রাহঃ) হলেন ইয়াযীদ ইবনে আবান রাকাশী। তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পাননি। আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন। উভয়ই বসরাবাসী। ইয়াযীদ ফারসী (রাহঃ) ইয়াযীদ রাকাশী (রাহঃ) থেকে বয়সে বড়।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَسَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ الْفَارِسِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ قُلْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مَا حَمَلَكُمْ أَنْ عَمَدْتُمْ، إِلَى الأَنْفَالِ وَهِيَ مِنَ الْمَثَانِي وَإِلَى بَرَاءَةَ وَهِيَ مِنَ الْمِئِينَ فَقَرَنْتُمْ بَيْنَهُمَا وَلَمْ تَكْتُبُوا بَيْنَهُمَا سَطْرَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ وَوَضَعْتُمُوهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ مَا حَمَلَكُمْ عَلَى ذَلِكَ فَقَالَ عُثْمَانُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِمَّا يَأْتِي عَلَيْهِ الزَّمَانُ وَهُوَ تَنْزِلُ عَلَيْهِ السُّوَرُ ذَوَاتُ الْعَدَدِ فَكَانَ إِذَا نَزَلَ عَلَيْهِ الشَّىْءُ دَعَا بَعْضَ مَنْ كَانَ يَكْتُبُ فَيَقُولُ ضَعُوا هَؤُلاَءِ الآيَاتِ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا وَإِذَا نَزَلَتْ عَلَيْهِ الآيَةُ فَيَقُولُ ضَعُوا هَذِهِ الآيَةَ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا وَكَانَتِ الأَنْفَالُ مِنْ أَوَائِلِ مَا أُنْزِلَتْ بِالْمَدِينَةِ وَكَانَتْ بَرَاءَةُ مِنْ آخِرِ الْقُرْآنِ وَكَانَتْ قِصَّتُهَا شَبِيهَةً بِقِصَّتِهَا فَظَنَنْتُ أَنَّهَا مِنْهَا فَقُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا أَنَّهَا مِنْهَا فَمِنْ أَجْلِ ذَلِكَ قَرَنْتُ بَيْنَهُمَا وَلَمْ أَكْتُبْ بَيْنَهُمَا سَطْرَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَوَضَعْتُهَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَوْفٍ عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَيَزِيدُ الْفَارِسِيُّ قَدْ رَوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ غَيْرَ حَدِيثٍ وَيُقَالُ هُوَ يَزِيدُ بْنُ هُرْمُزَ وَيَزِيدُ الرَّقَاشِيُّ هُوَ يَزِيدُ بْنُ أَبَانَ الرَّقَاشِيُّ وَلَمْ يُدْرِكِ ابْنَ عَبَّاسٍ إِنَّمَا رَوَى عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَكِلاَهُمَا مِنَ التَّابِعِينَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَيَزِيدُ الْفَارِسِيُّ أَقْدَمُ مِنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৭
সূরা তাওবা
৩০৮৬. হাসান ইবনে আলী কাললাল (রাহঃ) ..... সুলাইমান ইবনে আমর ইবনুল আহওয়াস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমার পিতা বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে হাযির ছিলেন। তিনি বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) প্রথমে আল্লাহর হামদ ও ছানা বর্ণনা করলেন এরপর ওয়ায নসীহত করলেন এবং বললেনঃ কোন দিনটি সর্বাধিক সম্মানিত? কোন দিনটি সর্বাধিক সম্মানিত? কোন দিনটি সর্বাধিক সম্মানিত? লোকেরা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! হজ্জে আকবারের এ দিনটি। তিনি বললেনঃ তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ, তোমাদের সম্মান তোমাদের উপর হারাম যেমন হারাম তোমাদের উপর আজকের দিনটি তোমাদের এই নগরে, তোমাদের এই মাসে। শোন, অপরাধী কেবল নিজের উপরই অপরাধ করে থাকে। পিতার অপরাধ তার পুত্রের উপর এবং পুত্রের অপরাধ তার পিতার উপর বর্তাবে না। শোন, এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। কোন মুসলিমের জন্য মুসলিম ভাইয়ের কিছূ হালাল হবে না যা সে নিজে তার জন্য হালাল করে দেয় তা ছাড়া।
শোন, জাহিলী যুগের সব সুদ বিলুপ্ত করা হল। তোমাদের জন্য তোমাদের মূলধন থাকবে। তোমরা নিজেরাও যুলুম করবে না এবং তোমাদের উপরও কোন যুলুম করা হবে না। তবে আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের সুদ ছারা,তা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা হলো। আর জাহিলী যুগের সব রক্তের দাবী বিলুপ্ত করা হল। সর্বপ্রথম আমি হারিছ ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের রক্তের দাবী বিলুপ্ত ঘোষণা করছি, সে বানু লায়ছ গোত্রে দুগ্ধ পোষ্য ছিল। হুযায়ল গোত্র তাকে হত্যা করল। শোন, তোমরা নারীদের ব্যপারে সদ্ব্যবহারের ওসীয়ত গ্রহণ কর। তারা তোমাদের কাছে আব্দ্ধ। এ ছাড়া তোমরা তাদের মালিক নও। কিন্তু তারা যদি সুস্পষ্ট অন্যায় কর্মে লিপ্ত হয়। তবে তাদের বিছানা পৃথক করে দিবে এবং হালকা ভাবে প্রহার করবে। এতে যদি তারা তোমাদের বাধ্য হয়ে যায় তবে আর তাদের বিরুদ্ধে পথ তালাশ করবে না। শোন, তোমাদের স্ত্রীদের উপরও তোমাদের হক হল যাদের তোমরা অপছন্দ কর তাদের তোমার বিছানায় বসাবে না। যাদের তোমরা অপছন্দ কর তাদের তোমার ঘরে প্রবেশের অনুমতি দিবে না। শোন, তোমাদের উপর তাদের হক হল, তাদের খোরপোষের বিষয়ে তাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শণ করবে। ইবনে মাজাহ
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবুল আহওয়াস (রাহঃ) এটি শাবীব ইবনে গারকাদা থেকে বর্ণনা করেছেন।
শোন, জাহিলী যুগের সব সুদ বিলুপ্ত করা হল। তোমাদের জন্য তোমাদের মূলধন থাকবে। তোমরা নিজেরাও যুলুম করবে না এবং তোমাদের উপরও কোন যুলুম করা হবে না। তবে আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের সুদ ছারা,তা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা হলো। আর জাহিলী যুগের সব রক্তের দাবী বিলুপ্ত করা হল। সর্বপ্রথম আমি হারিছ ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের রক্তের দাবী বিলুপ্ত ঘোষণা করছি, সে বানু লায়ছ গোত্রে দুগ্ধ পোষ্য ছিল। হুযায়ল গোত্র তাকে হত্যা করল। শোন, তোমরা নারীদের ব্যপারে সদ্ব্যবহারের ওসীয়ত গ্রহণ কর। তারা তোমাদের কাছে আব্দ্ধ। এ ছাড়া তোমরা তাদের মালিক নও। কিন্তু তারা যদি সুস্পষ্ট অন্যায় কর্মে লিপ্ত হয়। তবে তাদের বিছানা পৃথক করে দিবে এবং হালকা ভাবে প্রহার করবে। এতে যদি তারা তোমাদের বাধ্য হয়ে যায় তবে আর তাদের বিরুদ্ধে পথ তালাশ করবে না। শোন, তোমাদের স্ত্রীদের উপরও তোমাদের হক হল যাদের তোমরা অপছন্দ কর তাদের তোমার বিছানায় বসাবে না। যাদের তোমরা অপছন্দ কর তাদের তোমার ঘরে প্রবেশের অনুমতি দিবে না। শোন, তোমাদের উপর তাদের হক হল, তাদের খোরপোষের বিষয়ে তাদের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শণ করবে। ইবনে মাজাহ
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবুল আহওয়াস (রাহঃ) এটি শাবীব ইবনে গারকাদা থেকে বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ ثُمَّ قَالَ " أَىُّ يَوْمٍ أَحْرَمُ أَىُّ يَوْمٍ أَحْرَمُ أَىُّ يَوْمٍ أَحْرَمُ " . قَالَ فَقَالَ النَّاسُ يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا أَلاَ لاَ يَجْنِي جَانٍ إِلاَّ عَلَى نَفْسِهِ وَلاَ يَجْنِي وَالِدٌ عَلَى وَلَدِهِ وَلاَ وَلَدٌ عَلَى وَالِدِهِ أَلاَ إِنَّ الْمُسْلِمَ أَخُو الْمُسْلِمِ فَلَيْسَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ إِلاَّ مَا أَحَلَّ مِنْ نَفْسِهِ أَلاَ وَإِنَّ كُلَّ رِبًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ لَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لاَ تَظْلِمُونَ وَلاَ تُظْلَمُونَ غَيْرَ رِبَا الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَإِنَّهُ مَوْضُوعٌ كُلُّهُ أَلاَ وَإِنَّ كُلَّ دَمٍ كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ وَأَوَّلُ دَمٍ أَضَعُ مِنْ دِمَاءِ الْجَاهِلِيَّةِ دَمُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي لَيْثٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا فَإِنَّمَا هُنَّ عَوَانٌ عِنْدَكُمْ لَيْسَ تَمْلِكُونَ مِنْهُنَّ شَيْئًا غَيْرَ ذَلِكَ إِلاَّ أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ فَإِنْ فَعَلْنَ فَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلاَ تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً أَلاَ إِنَّ لَكُمْ عَلَى نِسَائِكُمْ حَقًّا وَلِنِسَائِكُمْ عَلَيْكُمْ حَقًّا فَأَمَّا حَقُّكُمْ عَلَى نِسَائِكُمْ فَلاَ يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ مَنْ تَكْرَهُونَ وَلاَ يَأْذَنَّ فِي بُيُوتِكُمْ مَنْ تَكْرَهُونَ أَلاَ وَإِنَّ حَقَّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو الأَحْوَصِ عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ .
হাদীস নং:৩০৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৮
সূরা তাওবা
৩০৮৭. আব্দুল ওয়ারিছ ইবনে আব্দুস সামাদ ইবনে আব্দুল ওয়ারিছ (রাহঃ) ...... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে হজ্জে আকবরের দিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেনঃ তা হল ইয়াওমুন নাহর - কুরবানীর দিন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ يَوْمِ الْحَجِّ الأَكْبَرِ فَقَالَ " يَوْمُ النَّحْرِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৮৯
সূরা তাওবা
৩০৮৮. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ হজ্জে আকবরের দিন হল ইয়াওমুন নাহর - কুরবানীর দিন।
মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রাহঃ) -এর রিওয়ায়াত অপেক্ষা এটি অধিক সহীহ। কেনন, এ হাদীসটি আবু ইসহাক-হারীছ আলী (রাযিঃ) থেকে একাধিক সূত্রে মাউকুফ রূপে বর্ণিত আছে। মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রাহঃ)-এর বর্ণনা ছাড়া অন্য কেউ মারফু’রূপে বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।
মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রাহঃ) -এর রিওয়ায়াত অপেক্ষা এটি অধিক সহীহ। কেনন, এ হাদীসটি আবু ইসহাক-হারীছ আলী (রাযিঃ) থেকে একাধিক সূত্রে মাউকুফ রূপে বর্ণিত আছে। মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রাহঃ)-এর বর্ণনা ছাড়া অন্য কেউ মারফু’রূপে বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ يَوْمُ النَّحْرِ . قَالَ هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ لأَنَّهُ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ مَوْقُوفًا وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَفَعَهُ إِلاَّ مَا رُوِيَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ مَوْقُوفًا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯০
সূরা তাওবা
৩০৮৯. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বারাআতের ঘোষণার জন্য আবু বকর (রাযিঃ)-কে (মক্কায়) প্রেরণ করেছিলেন। পরে তাঁকে ডেকে বললেনঃ পরিবারের কারো পক্ষ থেকেই এ ঘোষণা হওয়া উচিত। এরপর তিনি আলী (রাযিঃ)-কে ডেকে তাঁকে এ দায়িত্ব দিলেন।
(আবু ঈসা বলেন) আনাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতসমূহ থেকে হাদীসটি হাসান-গারীব।
(আবু ঈসা বলেন) আনাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতসমূহ থেকে হাদীসটি হাসান-গারীব।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَعَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِبَرَاءَةَ مَعَ أَبِي بَكْرٍ ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ " لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يُبَلِّغَ هَذَا إِلاَّ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِي " . فَدَعَا عَلِيًّا فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯১
সূরা তাওবা
৩০৯০. মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) আবু বকর (রাযিঃ)-কে (মক্কায়) প্রেরণ করেন এবং এ কথাগুলোর (বারাআতের) ঘোষণা প্রদানের জন্য তাঁকে নির্দেশ দেন। পরে তাঁর পেছনে পেছনে আলী (রাযিঃ)-কে পাঠান। আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর পথেই ছিলেন। হঠাৎ একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর উটনী কাসওয়া-এর আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি খুব বিচলিত হয়ে বেরিয়ে আসলেন। তিনি মনে করলেন হয়ত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এসেছেন। পরে দেখতে পেলেন যে, তিনি আলী (রাযিঃ)। তিনি তার কাছে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর পত্রটি হস্তান্তর করলেন এবং তিনি আলী (রাযিঃ)-কে এ বাণীগুলো প্রচার করার নির্দেশ দিলেন। পরে উভয়েই রওয়ানা হলেন এবং হজ্জ করলেন। আইয়ামে তাশরীকের সময় আলী (রাযিঃ) উটে দাঁড়ালেন এবং ঘোষণা দিলেনঃ মুশরিকদের থেকে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল দায়িত্ব মুক্ত। সুতরাং তোমরা এ ভূমিতে চার মাস চলাফেরা করতে পার। এই বছরের পর আর কোন মুশরিক হজ্জ করতে পারবে না। বায়তুল্লাহর তওয়াফ উলঙ্গ হয়ে আর করা যাবে না। জান্নাতে মু’মিন ছাড়া কেউ প্রবেশ করবে না। আলী (রাযিঃ)-ই ঘোষণা দিতেন, তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়লে আবু বকর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে এর ঘোষণা দিতেন।
(আবু ঈসা বলেন) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াত হিসাবে এ সূত্রে হাদীসটি গারীব।
(আবু ঈসা বলেন) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াত হিসাবে এ সূত্রে হাদীসটি গারীব।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَبَا بَكْرٍ وَأَمَرَهُ أَنْ يُنَادِيَ بِهَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ ثُمَّ أَتْبَعَهُ عَلِيًّا فَبَيْنَا أَبُو بَكْرٍ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ إِذْ سَمِعَ رُغَاءَ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْقَصْوَاءَ فَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ فَزِعًا فَظَنَّ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ عَلِيٌّ فَدَفَعَ إِلَيْهِ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ عَلِيًّا أَنْ يُنَادِيَ بِهَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ فَانْطَلَقَا فَحَجَّا فَقَامَ عَلِيٌّ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ فَنَادَى ذِمَّةُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ بَرِيئَةٌ مِنْ كُلِّ مُشْرِكٍ فَسِيحُوا فِي الأَرْضِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَلاَ يَحُجَّنَّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ وَلاَ يَطُوفَنَّ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ وَلاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ مُؤْمِنٌ وَكَانَ عَلِيٌّ يُنَادِي فَإِذَا عَيِيَ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَنَادَى بِهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯২
সূরা তাওবা
৩০৯১. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... যায়দ ইবনে ইউছায়্যি’ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমরা আলী (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনি কি বিষয় নিয়ে হজ্জে (৯ম হিজরী সনে) প্রেরিত হয়েছিলেন? তিনি বললেনঃ আমাকে চারটি বিষয়সহ প্রেরণ করা হয়েছিল। উলঙ্গ হয়ে কেউ তাওয়াফ করবে না; নবী (ﷺ) এবং যাদের মধ্যে কোন চুক্তি আছে তাদের চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে; আর যাদের সাথে কোন চুক্তি নেই তাদের জন্য অবকাশ হল চার মাসের; মুমিন ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এই বছরের পর আর কোন সময় মু’মিন ও মুশরিকরা এখানে একত্র হবে না।
হাদীসটি হাসান-সহীহ। এটি হল আবু ইসহাক থেকে ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত। সুফিয়ান ছাওরী (রাহঃ) এটি আবু ইসহাক - তাঁর কোন সঙ্গী ......... আলী (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এ বিষয়ে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
নসর ইবনে আলী প্রমুখ (রাহঃ) ......... আলী (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
হাদীসটি হাসান-সহীহ। এটি হল আবু ইসহাক থেকে ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত। সুফিয়ান ছাওরী (রাহঃ) এটি আবু ইসহাক - তাঁর কোন সঙ্গী ......... আলী (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এ বিষয়ে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
নসর ইবনে আলী প্রমুখ (রাহঃ) ......... আলী (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، قَالَ سَأَلْنَا عَلِيًّا بِأَىِّ شَيْءٍ بُعِثْتَ فِي الْحَجَّةِ قَالَ بُعِثْتُ بِأَرْبَعٍ أَنْ لاَ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ وَمَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَهْدٌ فَهُوَ إِلَى مُدَّتِهِ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ عَهْدٌ فَأَجَلُهُ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَلاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ نَفْسٌ مُؤْمِنَةٌ وَلاَ يَجْتَمِعُ الْمُشْرِكُونَ وَالْمُسْلِمُونَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهُوَ حَدِيثُ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ عَنْ عَلِيٍّ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، نَحْوَهُ .
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، نَحْوَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯২
সূরা তাওবা
৩০৯২. আলী ইবনে খাশরাম (রাহঃ) ....... আলী (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেন, এই উভয় রিওয়ায়াতই ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) থেকে ইবনে উছায়’ এবং ইউছায়্যি’ (রাহঃ) এর বরাতে বর্ণিত আছে। সহীহ হল যায়দ ইবনে ইউছায়্যি’ (রাহঃ)। শু’বা (রাহঃ)-ও আবু ইসহাক (রাহঃ) সূত্রে অন্য হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি এই নামের ক্ষেত্রে ভূল বুঝাবুঝির শিকার হয়েছেন। তিনি এই নামটি যায়দ ইবনে উছায়ল রূপে উল্লেখ করেছেন। এই ক্ষেত্রে তার সমর্থনে কোন রিওয়ায়াত নেই।
এ বিষয়ে আবু হুরাইরা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেন, এই উভয় রিওয়ায়াতই ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) থেকে ইবনে উছায়’ এবং ইউছায়্যি’ (রাহঃ) এর বরাতে বর্ণিত আছে। সহীহ হল যায়দ ইবনে ইউছায়্যি’ (রাহঃ)। শু’বা (রাহঃ)-ও আবু ইসহাক (রাহঃ) সূত্রে অন্য হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি এই নামের ক্ষেত্রে ভূল বুঝাবুঝির শিকার হয়েছেন। তিনি এই নামটি যায়দ ইবনে উছায়ল রূপে উল্লেখ করেছেন। এই ক্ষেত্রে তার সমর্থনে কোন রিওয়ায়াত নেই।
এ বিষয়ে আবু হুরাইরা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أُثَيْعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، كِلْتَا الرِّوَايَتَيْنِ يُقَالُ عَنْهُ عَنِ ابْنِ أُثَيْعٍ، وَعَنِ ابْنِ يُثَيْعٍ، وَالصَّحِيحُ، هُوَ زَيْدُ بْنُ أُثَيْعٍ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدٍ، غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ فَوَهِمَ فِيهِ وَقَالَ زَيْدُ بْنُ أُثَيْلٍ وَلاَ يُتَابَعُ عَلَيْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৩
সূরা তাওবা
৩০৯৩. আবু কুরায়ব ...... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কাউকে যদি দেখ যে, সে মসজিদে আসা যাওয়ার অভ্যাস রাখে তবে তোমরা তার ঈমানের সাক্ষ্য দিবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ
إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ
তারাই তো আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ্ ও পরকালে (৯ঃ ১৮)।
ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে এতে يَتَعَاد এর স্থলেيَتَعَاهَدُ শব্দ আছে। হাদীসটি হাসান-গারীব। রাবী আবুল হায়ছাম (রাহঃ) এর নাম হল সুলাইমান ইবনে আমর ইবনে আব্দ উতওয়ারী। তিনি আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ)-এর তত্ত্বাবধানে লালিত ইয়াতীম ছিলেন।
إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ
তারাই তো আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ্ ও পরকালে (৯ঃ ১৮)।
ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে এতে يَتَعَاد এর স্থলেيَتَعَاهَدُ শব্দ আছে। হাদীসটি হাসান-গারীব। রাবী আবুল হায়ছাম (রাহঃ) এর নাম হল সুলাইমান ইবনে আমর ইবনে আব্দ উতওয়ারী। তিনি আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ)-এর তত্ত্বাবধানে লালিত ইয়াতীম ছিলেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا رَأَيْتُمُ الرَّجُلَ يَعْتَادُ الْمَسْجِدَ فَاشْهَدُوا لَهُ بِالإِيمَانِ . قَالَ اللَّهُ تَعَالَى : ( إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ) . " .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ " يَتَعَاهَدُ الْمَسْجِدَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو الْهَيْثَمِ اسْمُهُ سُلَيْمَانُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدٍ الْعُتْوَارِيُّ وَكَانَ يَتِيمًا فِي حَجْرِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ " يَتَعَاهَدُ الْمَسْجِدَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو الْهَيْثَمِ اسْمُهُ سُلَيْمَانُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدٍ الْعُتْوَارِيُّ وَكَانَ يَتِيمًا فِي حَجْرِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৪
সূরা তাওবা
৩০৯৪. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ....... ছাওবান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ (الَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ) যারা সোনা ও রূপা পুঞ্জীভূত করে (৯ঃ ৩৪)। আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর এক দিন আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। কতক সাহাবী তাঁকে বললেনঃ সোনা-রূপার বিষয়ে এ (কঠোর) বাণী নাযিল হয়েছে। আমরা যদি জানতাম কোন সম্পদটি উত্তম তা হলে আমরা সে সম্পদ সঞ্চয় করতাম। তিনি বললেনঃ সর্বোত্তম সম্পদ হল যিক্ররত জিহ্বা, কৃতজ্ঞ অন্তর এবং মুমিনা স্ত্রী, যে স্বামীর ঈমানে সহযোগিতা করে।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করে বলেছিলামঃ সালিম ইবনে আবুল জা’দ (রাহঃ) কি সরাসরি ছাওবান (রাযিঃ) থেকে হাদীস শুনেছেন? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামঃ সাহাবীদের মধ্যে কার নিকট থেকে তিনি সরাসরি হাদীস শুনেছেন? তিনি বললেনঃ জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্, আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে তিনি সরাসরি হাদীস শুনেছেন এবং আরো কয়েকজন সাহাবীর কথা তিনি উল্লেখ করলেন।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করে বলেছিলামঃ সালিম ইবনে আবুল জা’দ (রাহঃ) কি সরাসরি ছাওবান (রাযিঃ) থেকে হাদীস শুনেছেন? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামঃ সাহাবীদের মধ্যে কার নিকট থেকে তিনি সরাসরি হাদীস শুনেছেন? তিনি বললেনঃ জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্, আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে তিনি সরাসরি হাদীস শুনেছেন এবং আরো কয়েকজন সাহাবীর কথা তিনি উল্লেখ করলেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ : ( وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ ) قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَقَالَ بَعْضُ أَصْحَابِهِ أُنْزِلَ فِي الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ مَا أُنْزِلَ . لَوْ عَلِمْنَا أَىُّ الْمَالِ خَيْرٌ فَنَتَّخِذَهُ فَقَالَ " أَفْضَلُهُ لِسَانٌ ذَاكِرٌ وَقَلْبٌ شَاكِرٌ وَزَوْجَةٌ مُؤْمِنَةٌ تُعِينُهُ عَلَى إِيمَانِهِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . سَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ فَقُلْتَ لَهُ سَالِمُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ سَمِعَ مِنْ ثَوْبَانَ فَقَالَ لاَ . فَقُلْتُ لَهُ مِمَّنْ سَمِعَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمِعَ مِنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَذَكَرَ غَيْرَ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৫
সূরা তাওবা
৩০৯৫. হুসাইন ইবনে ইয়াযীদ কূফী (রাহঃ) ...... আদী ইবনে হাতিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) এর কাছে আমি হাজির হলাম। আমার গলায় তখন একটি স্বর্ণের ক্রুশ ঝুলছিল। তিনি বললেনঃ হে আদী! এই মূর্তিটি ফেলে দাও। আমি তাঁকে সূরা বারাআত পাঠ করতে শুনেছিঃ (اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ ) তারা আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের পন্ডিতদের ও সংসার বিরাগীদের আহবার রূপে গ্রহণ করেছে। (৯ঃ ৩১)।
তিনি বললেনঃ এ কথা নয় যে তারা এদের ইবাদত করত। বস্তত এরা যদি তাদের জন্য কিছূ হালাল করে দিতে তখন তারা তা হালাল বলে গ্রহণ করত; এরা যখন কোন কিছু হারাম বলে স্থির করত তখন তারাও তা হারাম বলে গ্রহণ করত। হাদীসটি গারীব। আব্দুস সালাম ইবনে হারব-এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। রাবী গুতায়ফ ইবনে আ’য়ূন (রাহঃ) হাদীস বিষয়ে পরিচিত নন।
তিনি বললেনঃ এ কথা নয় যে তারা এদের ইবাদত করত। বস্তত এরা যদি তাদের জন্য কিছূ হালাল করে দিতে তখন তারা তা হালাল বলে গ্রহণ করত; এরা যখন কোন কিছু হারাম বলে স্থির করত তখন তারাও তা হারাম বলে গ্রহণ করত। হাদীসটি গারীব। আব্দুস সালাম ইবনে হারব-এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। রাবী গুতায়ফ ইবনে আ’য়ূন (রাহঃ) হাদীস বিষয়ে পরিচিত নন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ غُطَيْفِ بْنِ أَعْيَنَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَفِي عُنُقِي صَلِيبٌ مِنْ ذَهَبٍ . فَقَالَ " يَا عَدِيُّ اطْرَحْ عَنْكَ هَذَا الْوَثَنَ " . وَسَمِعْتُهُ يَقْرَأُ فِي سُورَةِ بَرَاءَةََ : ( اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ ) قَالَ " أَمَا إِنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يَعْبُدُونَهُمْ وَلَكِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا أَحَلُّوا لَهُمْ شَيْئًا اسْتَحَلُّوهُ وَإِذَا حَرَّمُوا عَلَيْهِمْ شَيْئًا حَرَّمُوهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ حَرْبٍ . وَغُطَيْفُ بْنُ أَعْيَنَ لَيْسَ بِمَعْرُوفٍ فِي الْحَدِيثِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৬
সূরা তাওবা
৩০৯৬. যিয়াদ ইবনে আইয়ুব বাগদাদী (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আবু বকর (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন, (হিজরতের সময়) ছাওর গুহায় আমি নবী (ﷺ)-কে বললামঃ এদের (মুশরিকদের) কেউ যদি তার পায়ের দিকে তাকায় তবে তো তার পায়ের নীচ দিয়ে আমাদের দেখে ফেলবে। তিনি বললেনঃ হে আবু বকর! তোমার কি ধারণা সে দু’জন সম্পর্কে যাদের তৃতীয় জন হলেন আল্লাহ। বুখারি ও মুসলিম
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। হাম্মাম (রাহঃ) সূত্রে এটি বর্ণিত। হাব্বান ইবনে হিলাল প্রমুখ (রাহঃ) এ হাদীসটি হাম্মাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। হাম্মাম (রাহঃ) সূত্রে এটি বর্ণিত। হাব্বান ইবনে হিলাল প্রমুখ (রাহঃ) এ হাদীসটি হাম্মাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، حَدَّثَهُ قَالَ قُلْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ فِي الْغَارِ لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ يَنْظُرُ إِلَى قَدَمَيْهِ لأَبْصَرَنَا تَحْتَ قَدَمَيْهِ . فَقَالَ " يَا أَبَا بَكْرٍ مَا ظَنُّكَ بِاثْنَيْنِ اللَّهُ ثَالِثُهُمَا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا يُعْرَفُ مِنْ حَدِيثِ هَمَّامٍ تَفَرَّدَ بِهِ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ هَمَّامٍ نَحْوَ هَذَا .
হাদীস নং:৩০৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৭
সূরা তাওবা
৩০৯৭. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি যে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে উবাই-এর মৃত্যুর পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে তার নামাযে জানাযা আদায়ের জন্য আহবান করা হল। তিনি সেখানে গেলেন। যখন তিনি নামাযের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালেন তখন আমি ঘুরে গিয়ে তার সীনার বরাবর দাঁড়ালাম এবং বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর দুশমন এই আব্দুল্লাহ্ ইবনে উবাই, যে অমুক দিন তা, অমুক দিন তা, অমুক দিন তা, অমুক দিন তা বলেছিল, আপনি কি তার নামাযে জানাযা আদায় করবেন? রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুচকি হাসছিলেন। শেষে আমি যখন অনেক বেশী বলে ফেললাম তিনি বললেনঃ উমর, সরে দাঁড়াও। আমাকে তো ইখতিয়ার দেওয়া হয়েছে, তাই আমি এর সালাতুল জানাযা আদায় করাকেই ইখতিয়ার করেছি। আমাকে তো বলা হয়েছেঃ আপনি এদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন বা না করুন, যদি সত্তর বারও এদের পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তবুও আল্লাহ কখনও এদের ক্ষমা করবেন না। (সূরা তওবা ৯ : ৮০)। আমি যদি জানতাম যে, সত্তর বারের বেশী এর জন্য ক্ষমা প্রর্থনা করলে আল্লাহ্ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন তবে আমি তাই করতাম। উমর (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর তিনি এর জানাযার নামায আদায় করলেন, তিনি তার জানাযার সঙ্গে গেলেন এবং যতক্ষণ না দাফন শেষ হয়েছে তার কবরে দাঁড়িয়ে রইলেন।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর প্রতি আমার দুঃসাহসিকতার জন্য আমি বিস্মত। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। আল্লাহর কসম, অল্পক্ষণ পরেই এ দু’টি আয়াত নাযিল হয়ঃ
اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ
ওদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনো তার জন্য জানাযার নামায পড়বে না এবং তার কবর পার্শ্বে দাঁড়াবে না ...... (৯ঃ ৮৪)।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার ইন্তিকাল পর্যন্ত আর কখনো কোন মুনাফিকের সালাতুল জানাযা পড়েন নি, তার কবর পার্শ্বেও দাঁড়ান নি।
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-গারীব-সহীহ।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর প্রতি আমার দুঃসাহসিকতার জন্য আমি বিস্মত। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। আল্লাহর কসম, অল্পক্ষণ পরেই এ দু’টি আয়াত নাযিল হয়ঃ
اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ
ওদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনো তার জন্য জানাযার নামায পড়বে না এবং তার কবর পার্শ্বে দাঁড়াবে না ...... (৯ঃ ৮৪)।
উমর (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার ইন্তিকাল পর্যন্ত আর কখনো কোন মুনাফিকের সালাতুল জানাযা পড়েন নি, তার কবর পার্শ্বেও দাঁড়ান নি।
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-গারীব-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ لَمَّا تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ دُعِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلصَّلاَةِ عَلَيْهِ فَقَامَ إِلَيْهِ فَلَمَّا وَقَفَ عَلَيْهِ يُرِيدُ الصَّلاَةَ تَحَوَّلْتُ حَتَّى قُمْتُ فِي صَدْرِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعَلَى عَدُوِّ اللَّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ الْقَائِلِ يَوْمَ كَذَا كَذَا وَكَذَا يَعُدُّ أَيَّامَهُ . قَالَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَبَسَّمُ حَتَّى إِذَا أَكْثَرْتُ عَلَيْهِ قَالَ " أَخِّرْ عَنِّي يَا عُمَرُ . إِنِّي خُيِّرْتُ فَاخْتَرْتُ قَدْ قِيلَ لِي : ( اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ ) لَوْ أَعْلَمُ أَنِّي لَوْ زِدْتُ عَلَى السَّبْعِينَ غُفِرَ لَهُ لَزِدْتُ " . قَالَ ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهِ وَمَشَى مَعَهُ فَقَامَ عَلَى قَبْرِهِ حَتَّى فُرِغَ مِنْهُ قَالَ فَعَجَبٌ لِي وَجُرْأَتِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَوَاللَّهِ مَا كَانَ إِلاَّ يَسِيرًا حَتَّى نَزَلَتْ هَاتَانِ الآيَتَانِ : (وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ قَالَ فَمَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَهُ عَلَى مُنَافِقٍ وَلاَ قَامَ عَلَى قَبْرِهِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৮
সূরা তাওবা
৩০৯৮. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আব্দুল্লাহ্ ইবনে উবাই-এর পুত্র আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) তাঁর পিতার মৃত্যুর পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বলেনঃ আপনার জামাটি দিন তা দিয়ে আমি তার কাফন দিব, আপনি তার সালাতুল জানাযা পড়ুন এবং তার জন্য ইস্তিগফার করুন। তখন তিনি তাঁর জামা দিলেন এবং বললেনঃ তোমরা (আনুষঙ্গিক) কাজ শেষ করে আমাকে সংবাদ দিও।
শেষে তিনি যখন তার জানাযার নামায আদায় করতে ইচ্ছা করলেন তখন উমর (রাযিঃ) তাঁকে টেনে ধরে বললেনঃ মুনাফিকদের জানাযার নামায আদায় করতে কি আল্লাহ্ আপনাকে নিষেধ করেন নি?
তিনি বললেনঃ আমাকে তো আল্লাহ্ তাআলা দু’টো বিষয়ের যে কোন একটি গ্রহণের ইখতিয়ার দিয়েছেনঃ এদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন বা না করুন ...... শেষে তিনি তার সালাতুল জানাযা আদায় করলেন। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেনঃ
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ
ওদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনো তার জন্য জানাযার নামায পড়বে না এবং তার কবর পার্শ্বের্ দাঁড়াবে না। (৯ঃ ৮৪)। এরপর তিনি মুনাফিকদের সালাতুল জানাযা পড়া ছেড়ে দেন। ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
শেষে তিনি যখন তার জানাযার নামায আদায় করতে ইচ্ছা করলেন তখন উমর (রাযিঃ) তাঁকে টেনে ধরে বললেনঃ মুনাফিকদের জানাযার নামায আদায় করতে কি আল্লাহ্ আপনাকে নিষেধ করেন নি?
তিনি বললেনঃ আমাকে তো আল্লাহ্ তাআলা দু’টো বিষয়ের যে কোন একটি গ্রহণের ইখতিয়ার দিয়েছেনঃ এদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন বা না করুন ...... শেষে তিনি তার সালাতুল জানাযা আদায় করলেন। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেনঃ
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ
ওদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনো তার জন্য জানাযার নামায পড়বে না এবং তার কবর পার্শ্বের্ দাঁড়াবে না। (৯ঃ ৮৪)। এরপর তিনি মুনাফিকদের সালাতুল জানাযা পড়া ছেড়ে দেন। ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ مَاتَ أَبُوهُ فَقَالَ أَعْطِنِي قَمِيصَكَ أُكَفِّنْهُ فِيهِ وَصَلِّ عَلَيْهِ وَاسْتَغْفِرْ لَهُ . فَأَعْطَاهُ قَمِيصَهُ وَقَالَ " إِذَا فَرَغْتُمْ فَآذِنُونِي " . فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يُصَلِّيَ جَذَبَهُ عُمَرُ وَقَالَ أَلَيْسَ قَدْ نَهَى اللَّهُ أَنْ تُصَلِّيَ عَلَى الْمُنَافِقِينَ فَقَالَ " أَنَا بَيْنَ خِيرَتَيْنِ : (اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ ) " . فَصَلَّى عَلَيْهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ: (وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ ) فَتَرَكَ الصَّلاَةَ عَلَيْهِمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৯
সূরা তাওবা
৩০৯৯. কুতায়বা (রাহঃ) ...... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই যে মসজিদটির ভিত্তি তাকওয়ার উপর’ - সে মসজিদটির বিষয়ে দুই ব্যক্তি বিতর্ক করে। একজন বললঃ এটি হল কুবা মসজিদ। অপরজন বললঃ এটি হল মসজিদে নববী। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ হল আমার এই মসজিদ।মুসলিম
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ-গরীভ। আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে এটি সূত্রেও বর্ণিত আছে। উনায়স ইবনে আবু ইয়াহয়া (রাহঃ) তৎপিতা ইয়াহয়া ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) সূত্রে এটি রিওয়ায়াত করেছেন।
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ-গরীভ। আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে এটি সূত্রেও বর্ণিত আছে। উনায়স ইবনে আবু ইয়াহয়া (রাহঃ) তৎপিতা ইয়াহয়া ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) সূত্রে এটি রিওয়ায়াত করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ تَمَارَى رَجُلاَنِ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ فَقَالَ رَجُلٌ هُوَ مَسْجِدُ قُبَاءَ وَقَالَ الآخَرُ هُوَ مَسْجِدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هُوَ مَسْجِدِي هَذَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ رَوَاهُ أُنَيْسُ بْنُ أَبِي يَحْيَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رضى الله عنه .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩১০০
আন্তর্জাতিক নং: ৩১০০
সূরা তাওবা
৩১০০. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেনঃ এ আয়াতটি কুবাবাসীদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছেঃ
فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ
সেখানে এমন লোক আছে যারা পবিত্রতা অর্জন ভালবাসে এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের আল্লাহ্ পছন্দ করেন।(৯ঃ ১০৮)।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেনঃ এরা পানির সাহায্যে শৌচক্রিয়া করতেন বলে তাঁদের বিষয়ে এ আয়াতটি নাযিল হয়।
এ হাদীসটি এ সূত্রে গারীব। এ বিষয়ে আবু আইয়ুব, আনাস ইবনে মালিক ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ
সেখানে এমন লোক আছে যারা পবিত্রতা অর্জন ভালবাসে এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের আল্লাহ্ পছন্দ করেন।(৯ঃ ১০৮)।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেনঃ এরা পানির সাহায্যে শৌচক্রিয়া করতেন বলে তাঁদের বিষয়ে এ আয়াতটি নাযিল হয়।
এ হাদীসটি এ সূত্রে গারীব। এ বিষয়ে আবু আইয়ুব, আনাস ইবনে মালিক ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي مَيْمُونٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي أَهْلِ قُبَاء : (فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ ) " . قَالَ كَانُوا يَسْتَنْجُونَ بِالْمَاءِ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِيهِمْ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ .
হাদীস নং:৩১০১
আন্তর্জাতিক নং: ৩১০১
সূরা তাওবা
৩১০১. মাহামূদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শুনতে পেলাম যে, এক ব্যক্তি তার মুশরিক পিতা-মাতার জন্য ইস্তিগফার করছে। আমি তাকে বললামঃ তুমি তোমার পিতা-মাতার জন্য ইস্তিগফার করছ অথচ তারা উভয়েই মুশরিক? লোকটি বললঃ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) কি তাঁর পিতার জন্য ইস্তিগফার করেন নি। অথচ সেও তো মুশরিক ছিল। আমি বিষয়টি নবী (ﷺ) -এর সমানে পেশ করলাম। তখন এই আয়াত নাযিল হয়ঃ
مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ
মুশরিকদের ব্যাপারে ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী ও মুমিনদের জন্য সংগাত নয়। (৯ঃ ১১৩)। ইবনে মাজাহ
এ হাদীসটি হাসান। এ বিষয়ে সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব তার পিতা মুসায়্যাব (রাযিঃ) সূত্রেও হাদীস বর্ণিত আছে।
مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ
মুশরিকদের ব্যাপারে ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী ও মুমিনদের জন্য সংগাত নয়। (৯ঃ ১১৩)। ইবনে মাজাহ
এ হাদীসটি হাসান। এ বিষয়ে সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব তার পিতা মুসায়্যাব (রাযিঃ) সূত্রেও হাদীস বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، كُوفِيٌّ عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً، يَسْتَغْفِرُ لأَبَوَيْهِ وَهُمَا مُشْرِكَانِ فَقُلْتُ لَهُ أَتَسْتَغْفِرُ لأَبَوَيْكَ وَهُمَا مُشْرِكَانِ . فَقَالَ أَوَلَيْسَ اسْتَغْفَرَ إِبْرَاهِيمُ لأَبِيهِ وَهُوَ مُشْرِكٌ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ : ( مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِيهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১০২
আন্তর্জাতিক নং: ৩১০২
সূরা তাওবা
৩১০২. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... কা’ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ তাবূক যুদ্ধ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যত যুদ্ধ করেছেন কোনটি থেকেই আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে পেছনে পড়ে থাকিনি, বদর যুদ্ধ ব্যতীত। আর বদর যুদ্ধে যারা পেছনে পড়ে থেকেছে তাদের কাউকেই নবী (ﷺ) ভৎর্সনা করেননি। সে যুদ্ধে তো তিনি মূলত (কুরাইশদের তেজারতী) কাফেলা ধরার উদ্দেশ্যে অভিযাত্রা করেছিরেন। আর কুরাইশরা তাদের কাফেলার সাহোয্যে বের হয়েছিল। তারপর পূর্ব নির্ধারিত সময় ছাড়া তারা (বদর) পরস্পর সম্মুখীন হয়। যেমন আল্লাহ্ তাআলা উল্লেখ করেছেন। আমার জীবনের কসম, মানুষের কাছে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সর্বাধিক মর্যাদাবান যুদ্ধ হল গাযওয়ায়ে বদর। এতদসত্ত্বেও আমরা আকাবা রাত্রিতে (আনসারীরা) ইসলামের উপর যে অঙ্গীকার করেছিলাম আমার সে বায়আতের স্থলে বদরে শরীক থাকটা আমার কাছে প্রিয়তম নয়। এই বদরের পর তাবুক পর্যন্ত আর কোন গাযওয়া থেকে ই আমি পেছনে থাকি নি। তাবুক যুদ্ধ ছিল নবী (ﷺ) এর শেষ যুদ্ধ। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ যুদ্ধে যাত্রার জন্য ঘোষণা দিয়ে দিলেন। ...... এরপর কা’ব দীর্ঘ হাদীসটির বিবরণ দেন।
তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) -এর কাছে (আমার তওবা কবুলের আয়াত নাযিল হওয়ার পর) আমি গেলাম। তিনি তখন মসজিদে উপবিষ্ট ছিলেন। মুসলিমরা ছিলেন তাঁর চতুষ্পার্শ্বে। চাঁদের মত জ্বলজ্বল করছিলেন তিনি। কোন বিষয়ে তিনি যদি আনন্দিত হতেন তবে উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় হয়ে যেতেন তিনি। আমি এসে তাঁর সামনে বসলাম। তিনি বললেনঃ হে কা’ব ইবনে মালিক! তোমার মা তোমাকে প্রসব করার পর থেকে সর্বোত্তম দিনটির জন্য তুমি সুসংবাদ গ্রহণ কর।
আমি বললামঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ্! এ সুসংবাদ কি আল্লাহর পক্ষ থেকে না আপনার পক্ষ থেকে? তিনি বললেনঃ না, এতো আল্লাহর পক্ষ থেকে। এরপর তিনি এ আয়াতগুলো তিলাওয়াত করলেনঃ
لَقََدْ تَابَ اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ الَّذِينَ اتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ الْعُسْرَةِ *** حَتَّى بَلَغََّ اللَّهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
আল্লাহ্ অনুগ্রহ পরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসারদের প্রতি যারা তার অনুগমন করেছিল সংকটকালে, এমনকি যখন তাদের এক দলে চিত্তবৈকল্যের উপক্রম হয়েছিল। পরে আল্লাহ্ তাদের ক্ষমা করলেন, তিনি তাদের প্রতি দয়ার্দ্র পরম দয়ালু। (৯ঃ ১১৭)
তিনি আরো বলেনঃ আমাদের বিষয়েই নাযিল হয়ঃ
اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভূক্ত হও। (৯ঃ ১১৯)
আমি বললামঃ হে আল্লাহর নবী! আমার তওবার শুকরিয়া হল আমি জীবনে অসত্য বলব না এবং আমার সমস্ত সম্পদ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের পথে সাদ্কাস্বরূপ দিয়ে দিলাম। নবী (ﷺ) বললেনঃ কিছু অর্থ-সম্পদ তোমার জন্য রেখে দাও। এ-ই তোমার জন্য উত্তম।
আমি বললামঃ খায়বর থেকে আমি যে হিস্যা পেয়েছি তা আমার জন্য রেখে দিলাম। কা’ব (রাযিঃ) আরো বলেনঃ আমি এবং আমার দুই সঙ্গী (তাবুক যুদ্ধে শরীক না হওয়ার বিষয়ে) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে যে সত্য কথা বলেছিলাম আমার ধারণায় ইসলাম গ্রহণের পর সে সত্য বলার চাইতে বড় কোন নিআমত আল্লাহ্ তাআলা আর আমাকে দান করেন নি। আমরা মিথ্যা বলিনি যদি মিথ্যা বলতাম তবে অন্যদের মত আমরাও ধ্বংস হয়ে যেতাম। আমি আশা করি, সত্য কথা বলার জন্য আল্লাহ্ তাআলা আর কাউকে এত পরীক্ষায় ফেলেন নি, যে পরীক্ষায় তিনি আমাকে ফেলেছিলেন। পরেও আর কখনও আমি মিথ্যার ইচ্ছাও করিনি। আশা করি অবশিষ্ট জীবনেও তিনি আমাকে হেফাজত করবেন। আবু দাউদ,বুখারি, মুসলিম
এ সনদের বিপরীত আরেক সনদে যুহরী (রাহঃ) সূত্রে এ হাদীসটির রিওয়ায়াত আছে। এতে বলা হয়েছে। আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে কা’ব ইবনে মালিক তার পিতা আব্দুল্লাহ্ ইবনে কা’ব ......... কা’ব (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত আছে। আবার অন্য কথাও বলা হয়েছে। ইউনুস ইবনে ইয়াযীদ এ হাদীসটি যুহরী ......... আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে মালিক তার পিতা আব্দুল্লাহ ......... কা’ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) -এর কাছে (আমার তওবা কবুলের আয়াত নাযিল হওয়ার পর) আমি গেলাম। তিনি তখন মসজিদে উপবিষ্ট ছিলেন। মুসলিমরা ছিলেন তাঁর চতুষ্পার্শ্বে। চাঁদের মত জ্বলজ্বল করছিলেন তিনি। কোন বিষয়ে তিনি যদি আনন্দিত হতেন তবে উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় হয়ে যেতেন তিনি। আমি এসে তাঁর সামনে বসলাম। তিনি বললেনঃ হে কা’ব ইবনে মালিক! তোমার মা তোমাকে প্রসব করার পর থেকে সর্বোত্তম দিনটির জন্য তুমি সুসংবাদ গ্রহণ কর।
আমি বললামঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ্! এ সুসংবাদ কি আল্লাহর পক্ষ থেকে না আপনার পক্ষ থেকে? তিনি বললেনঃ না, এতো আল্লাহর পক্ষ থেকে। এরপর তিনি এ আয়াতগুলো তিলাওয়াত করলেনঃ
لَقََدْ تَابَ اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ الَّذِينَ اتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ الْعُسْرَةِ *** حَتَّى بَلَغََّ اللَّهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
আল্লাহ্ অনুগ্রহ পরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসারদের প্রতি যারা তার অনুগমন করেছিল সংকটকালে, এমনকি যখন তাদের এক দলে চিত্তবৈকল্যের উপক্রম হয়েছিল। পরে আল্লাহ্ তাদের ক্ষমা করলেন, তিনি তাদের প্রতি দয়ার্দ্র পরম দয়ালু। (৯ঃ ১১৭)
তিনি আরো বলেনঃ আমাদের বিষয়েই নাযিল হয়ঃ
اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভূক্ত হও। (৯ঃ ১১৯)
আমি বললামঃ হে আল্লাহর নবী! আমার তওবার শুকরিয়া হল আমি জীবনে অসত্য বলব না এবং আমার সমস্ত সম্পদ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের পথে সাদ্কাস্বরূপ দিয়ে দিলাম। নবী (ﷺ) বললেনঃ কিছু অর্থ-সম্পদ তোমার জন্য রেখে দাও। এ-ই তোমার জন্য উত্তম।
আমি বললামঃ খায়বর থেকে আমি যে হিস্যা পেয়েছি তা আমার জন্য রেখে দিলাম। কা’ব (রাযিঃ) আরো বলেনঃ আমি এবং আমার দুই সঙ্গী (তাবুক যুদ্ধে শরীক না হওয়ার বিষয়ে) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে যে সত্য কথা বলেছিলাম আমার ধারণায় ইসলাম গ্রহণের পর সে সত্য বলার চাইতে বড় কোন নিআমত আল্লাহ্ তাআলা আর আমাকে দান করেন নি। আমরা মিথ্যা বলিনি যদি মিথ্যা বলতাম তবে অন্যদের মত আমরাও ধ্বংস হয়ে যেতাম। আমি আশা করি, সত্য কথা বলার জন্য আল্লাহ্ তাআলা আর কাউকে এত পরীক্ষায় ফেলেন নি, যে পরীক্ষায় তিনি আমাকে ফেলেছিলেন। পরেও আর কখনও আমি মিথ্যার ইচ্ছাও করিনি। আশা করি অবশিষ্ট জীবনেও তিনি আমাকে হেফাজত করবেন। আবু দাউদ,বুখারি, মুসলিম
এ সনদের বিপরীত আরেক সনদে যুহরী (রাহঃ) সূত্রে এ হাদীসটির রিওয়ায়াত আছে। এতে বলা হয়েছে। আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে কা’ব ইবনে মালিক তার পিতা আব্দুল্লাহ্ ইবনে কা’ব ......... কা’ব (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত আছে। আবার অন্য কথাও বলা হয়েছে। ইউনুস ইবনে ইয়াযীদ এ হাদীসটি যুহরী ......... আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে মালিক তার পিতা আব্দুল্লাহ ......... কা’ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمْ أَتَخَلَّفْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا حَتَّى كَانَتْ غَزْوَةُ تَبُوكَ إِلاَّ بَدْرًا وَلَمْ يُعَاتِبِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَحَدًا تَخَلَّفَ عَنْ بَدْرٍ إِنَّمَا خَرَجَ يُرِيدُ الْعِيرَ فَخَرَجَتْ قُرَيْشٌ مُغْوِثِينَ لِعِيرِهِمْ فَالْتَقَوْا عَنْ غَيْرِ مَوْعِدٍ كَمَا قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَلَعَمْرِي إِنَّ أَشْرَفَ مَشَاهِدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ لَبَدْرٌ وَمَا أُحِبُّ أَنِّي كُنْتُ شَهِدْتُهَا مَكَانَ بَيْعَتِي لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ حَيْثُ تَوَاثَقْنَا عَلَى الإِسْلاَمِ ثُمَّ لَمْ أَتَخَلَّفْ بَعْدُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى كَانَتْ غَزْوَةُ تَبُوكَ وَهِيَ آخِرُ غَزْوَةٍ غَزَاهَا وَآذَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالرَّحِيلِ . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ قَالَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ وَحَوْلَهُ الْمُسْلِمُونَ وَهُوَ يَسْتَنِيرُ كَاسْتِنَارَةِ الْقَمَرِ وَكَانَ إِذَا سُرَّ بِالأَمْرِ اسْتَنَارَ فَجِئْتُ فَجَلَسْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ " أَبْشِرْ يَا كَعْبُ بْنَ مَالِكٍ بِخَيْرِ يَوْمٍ أَتَى عَلَيْكَ مُنْذُ وَلَدَتْكَ أُمُّكَ " . فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَمِنْ عِنْدِ اللَّهِ أَمْ مِنْ عِنْدِكَ قَالَ " بَلْ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ " . ثُمَّ تَلاَ هَؤُلاَءِ الآيَاتِ : ( لَقََدْ تَابَ اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ الَّذِينَ اتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ الْعُسْرَةِ ) حَتَّى بَلَغََّ اللَّهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ ) قَالَ وَفِينَا أُنْزِلَتْ أَيْضًا : ( اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ ) قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ مِنْ تَوْبَتِي أَنْ لاَ أُحَدِّثَ إِلاَّ صِدْقًا وَأَنْ أَنْخَلِعَ مِنْ مَالِي كُلِّهِ صَدَقَةً إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَمْسِكْ عَلَيْكَ بَعْضَ مَالِكَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . فَقُلْتُ فَإِنِّي أُمْسِكُ سَهْمِي الَّذِي بِخَيْبَرَ قَالَ فَمَا أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَىَّ نِعْمَةً بَعْدَ الإِسْلاَمِ أَعْظَمَ فِي نَفْسِي مِنْ صِدْقِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ صَدَقْتُهُ أَنَا وَصَاحِبَاىَ لاَ نَكُونُ كَذَبْنَا فَهَلَكْنَا كَمَا هَلَكُوا وَإِنِّي لأَرْجُو أَنْ لاَ يَكُونَ اللَّهُ أَبْلَى أَحَدًا فِي الصِّدْقِ مِثْلَ الَّذِي أَبْلاَنِي مَا تَعَمَّدْتُ لِكَذِبَةٍ بَعْدُ وَإِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَحْفَظَنِي اللَّهُ فِيمَا بَقِيَ . قَالَ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ هَذَا الْحَدِيثُ بِخِلاَفِ هَذَا الإِسْنَادِ وَقَدْ قِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ عَمِّهِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ كَعْبٍ وَقَدْ قِيلَ غَيْرُ هَذَا وَرَوَى يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ .
হাদীস নং:৩১০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩১০৩
সূরা তাওবা
৩১০৩. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) বলেছেনঃ ইয়ামামা যুদ্ধে (বহু হাফিজ সাহাবীর) শাহাদাতের ঘটনার পর আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) আমাকে ডেকে পাঠালেন। সেখানে উমর (রাযিঃ)ও ছিলেন। তিনি বললেনঃ উমর আমার কাছে এসে বলেছেন, ইয়ামামার যুদ্ধে কুরআনের অনেক হাফিজ শহীদ হয়েছেন। আমার আশঙ্কা হয় যে, আরো অনেক স্থানে বহু হাফিযে কুরআন শহীদ হতে পারেন। এতে কুরআনের বহু অংশ বিলীন হয়ে যেতে পারে। সুতরাং কুরআন একত্রকরণের নির্দেশ দান করা আমি ভাল মনে করি। আবু বকর (রাযিঃ) উমর (রাযিঃ)-কে বললেন, আমি কি রূপে সে কাজ করি যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) করেন নি। উমর (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম, এ কাজ মঙ্গলজনক হবে। আবু বকর (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি আমাকে বারবার এমনভাবে বলতে লাগলেন যে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্ তাআলা এ বিষয়টি সম্পর্কে আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিলেন। যে বিষয়ে তিনি উমরের বক্ষ প্রশস্ত করেছিলেন। বিষয়টি সম্পর্কে উমর যেমন ভাবছেন এখন আমিও তা ভাবছি।
যায়দ (রাযিঃ) বলেন, আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে বললেনঃ তুমি একজন বুদ্ধিমান যুবক, তোমাকে আমরা কোন বিষয়ে সন্দেহ করি না। তুমি রাসূল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্য ওহী লিখতে। সুতরাং তুমি কুরআন শরীফ তালাশ করে সংগ্রহ করার কাজে লেগে যাও।
যায়দ (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম, তাঁরা যদি কোন পাহাড় স্থানান্তরিত করার দায়িত্ব আমাকে দিতেন তবে তা আমার কাছে এর চেয়ে বেশী ভারী মনে হতো না। আমি বললামঃ আপনারা কি রূপে এ কাজ করবেন যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করেন নি?
আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম, এটি ভাল কাজ। আবু বকর এবং উমর (রাযিঃ) উভয়েই আমাকে বারবার বিষয়টি বুঝতে লাগলেন, আল্লাহ্ তাআলা এ বিষয়ে আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিলেন, যে বিষয়ের জন্য আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) উভয়ের বক্ষ প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন। তারপর আমি কুরআন তালাশ করে সংগ্রহ করতে শুরু করলাম। আমি কাগজের টুকরা, খেজুর গাছের ডাল, মসৃণ পাথর এবং মানষের সীনায় যা রক্ষিত ছিল তা একত্রিত করতে থাকলাম। সূরা বারাআতের শেষের এ আয়াতটি খুযায়মা ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-এর কাছে পেলামঃ
قَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ * فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে এক রাসূল এসেছে। তোমাদের যা বিপন্ন করে তা তাঁর জন্য কষ্ট দায়ক। সে তোমাদের কঙ্গলকামী। মুমিনদের প্রতি সে দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু। এরপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তুমি বলবে আমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। আমি তারই উপর নির্ভর করি আর তিনি মহা আরশের অধিপতি।(৯ : ১২৮)। বুখারি ও মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
যায়দ (রাযিঃ) বলেন, আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে বললেনঃ তুমি একজন বুদ্ধিমান যুবক, তোমাকে আমরা কোন বিষয়ে সন্দেহ করি না। তুমি রাসূল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্য ওহী লিখতে। সুতরাং তুমি কুরআন শরীফ তালাশ করে সংগ্রহ করার কাজে লেগে যাও।
যায়দ (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম, তাঁরা যদি কোন পাহাড় স্থানান্তরিত করার দায়িত্ব আমাকে দিতেন তবে তা আমার কাছে এর চেয়ে বেশী ভারী মনে হতো না। আমি বললামঃ আপনারা কি রূপে এ কাজ করবেন যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করেন নি?
আবু বকর (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম, এটি ভাল কাজ। আবু বকর এবং উমর (রাযিঃ) উভয়েই আমাকে বারবার বিষয়টি বুঝতে লাগলেন, আল্লাহ্ তাআলা এ বিষয়ে আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিলেন, যে বিষয়ের জন্য আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) উভয়ের বক্ষ প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন। তারপর আমি কুরআন তালাশ করে সংগ্রহ করতে শুরু করলাম। আমি কাগজের টুকরা, খেজুর গাছের ডাল, মসৃণ পাথর এবং মানষের সীনায় যা রক্ষিত ছিল তা একত্রিত করতে থাকলাম। সূরা বারাআতের শেষের এ আয়াতটি খুযায়মা ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-এর কাছে পেলামঃ
قَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ * فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে এক রাসূল এসেছে। তোমাদের যা বিপন্ন করে তা তাঁর জন্য কষ্ট দায়ক। সে তোমাদের কঙ্গলকামী। মুমিনদের প্রতি সে দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু। এরপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তুমি বলবে আমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। আমি তারই উপর নির্ভর করি আর তিনি মহা আরশের অধিপতি।(৯ : ১২৮)। বুখারি ও মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، حَدَّثَهُ قَالَ بَعَثَ إِلَىَّ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ مَقْتَلَ أَهْلِ الْيَمَامَةِ فَإِذَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عِنْدَهُ فَقَالَ إِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَدْ أَتَانِي فَقَالَ إِنَّ الْقَتْلَ قَدِ اسْتَحَرَّ بِقُرَّاءِ الْقُرْآنِ يَوْمَ الْيَمَامَةِ وَإِنِّي لأَخْشَى أَنْ يَسْتَحِرَّ الْقَتْلُ بِالْقُرَّاءِ فِي الْمَوَاطِنِ كُلِّهَا فَيَذْهَبَ قُرْآنٌ كَثِيرٌ وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَأْمُرَ بِجَمْعِ الْقُرْآنِ . قَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ كَيْفَ أَفْعَلُ شَيْئًا لَمْ يَفْعَلْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عُمَرُ هُوَ وَاللَّهِ خَيْرٌ فَلَمْ يَزَلْ يُرَاجِعُنِي فِي ذَلِكَ حَتَّى شَرَحَ اللَّهُ صَدْرِي لِلَّذِي شَرَحَ لَهُ صَدْرَ عُمَرَ وَرَأَيْتُ فِيهِ الَّذِي رَأَى قَالَ زَيْدٌ قَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنَّكَ شَابٌّ عَاقِلٌ لاَ نَتَّهِمُكَ قَدْ كُنْتَ تَكْتُبُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْوَحْىَ فَتَتَبَّعِ الْقُرْآنَ . قَالَ فَوَاللَّهِ لَوْ كَلَّفُونِي نَقْلَ جَبَلٍ مِنَ الْجِبَالِ مَا كَانَ أَثْقَلَ عَلَىَّ مِنْ ذَلِكَ قَالَ قُلْتُ كَيْفَ تَفْعَلُونَ شَيْئًا لَمْ يَفْعَلْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ هُوَ وَاللَّهِ خَيْرٌ . فَلَمْ يَزَلْ يُرَاجِعُنِي فِي ذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ حَتَّى شَرَحَ اللَّهُ صَدْرِي لِلَّذِي شَرَحَ صَدْرَهُمَا صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ فَتَتَبَّعْتُ الْقُرْآنَ أَجْمَعُهُ مِنَ الرِّقَاعِ وَالْعُسُبِ وَاللِّخَافِ يَعْنِي الْحِجَارَةَ الرِّقَاقَ وَصُدُورِ الرِّجَالِ فَوَجَدْتُ آخِرَ سُورَةِ بَرَاءَةَ مَعَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ : ( قَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ * فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩১০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩১০৪
সূরা তাওবা
৩১০৪. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। হুযাইফা (রাযিঃ) উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-এর কাছে এলেন। উছমান (রাযিঃ) তখন আরমেনিয়া ও আযারবায়জান বিজয়ে ইরাকবাসীদের সঙ্গে শামবাসীদেরও যুদ্ধ-যাত্রার জন্য প্রস্তুত করছিলেন। হুযাইফা (রাযিঃ) কুরআনের (পাঠের) ক্ষেত্রে এদের পরস্পর মতানৈক্য দেখেছিলেন। তিনি উছমান (রাযিঃ)-কে বললেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! ইয়াহূদ নাসারারা যেরূপ মতানৈক্যে লিপ্ত হয়েছিল, আল্লাহর কিতাবে সেরূপ মতানৈক্যে লিপ্ত হওয়ার পূর্বে এ উম্মতকে আপনি রক্ষা করুন।
তখন উছমান (রাযিঃ) এই বলে হাফসা (রাযিঃ)-এর কাছে লোক পাঠালেন যে, আপনার কাছে রক্ষিত কুরআনের লিপিবদ্ধ কপিগুলো আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন, আমরা এটির বিভিন্ন কপি করে পুনরায় আপনার কাছে ফেরত পাঠাব।
হাফসা (রাযিঃ) কুরআনের লিপিবদ্ধ কপিগুলো উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-এর কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
উছমান (রাযিঃ) যায়দ ইবনে ছাবিত, সাঈদ ইবনে আস, আব্দুর রহমান ইবনে হারিছ ইবনে হিশাম ও আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ)-এর কাছে কপিগুলো পাঠিয়ে বললেন যে, তোমরা এই কপিগুলো মুসহাফে লিপিবদ্ধ কর। এই তিনজন কুরাইশী গ্রুপকে বললেনঃ তোমাদের এবং যায়দ ইবনে ছাবিতের মাঝে মতানৈক্য দেখা গেলে কুরাইশী ভাষা অনুসারে তা লিপিবদ্ধ করবে। কেননা কুরআন কুরাইশদের ভাষা অনুসারেই নাযিল হয়েছে।
যা হোক, তারা কুরআনের লিপিবদ্ধ কপিগুলো বিভিন্ন মুসহাফে লিপিবদ্ধ করেন। উছমান (রাযিঃ) বিভিন্ন দিকে তাদের কপি করা মুসহাফগুলো পাঠালেন।
যুহরী (রাহঃ) বলেনঃ খারিজা ইবনে যায়দ আমাকে বর্ণনা করেন যে, যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) বলেছেনঃ সূরা আহযাবের একটি আয়াত আমি খূঁজে পাচ্ছিলাম না। অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে তা পাঠ করতে আমি শুনেছি। সেটি হলঃ
مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ
মুমিনদের মধ্যে কিছু লোক আল্লাহর সঙ্গে তাদের কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করেছে। এদের কেউ কেউ শাহাদত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। (৩৩ : ২৩)
পরে তালাশ করে খুযায়মা ইবনে ছাবিত কিংবা আবু খুযায়মার কাছে সেটি পেলাম এবং উক্ত সূরায় তা যুক্ত করে দিলাম।
যুহরী (রাহঃ) বলেনঃ একদিন তারাالتابوت এবংالتابوه নিয়ে মতানৈক্য করেন। কুরাইশীরা বললেনঃ التابوت যায়দ (রাযিঃ) বললেনঃالتابوه তাঁদের এ মতানৈক্যের বিষয়টি উছমান (রাযিঃ)-এর কাছে পেশ করা হলে তিনি বললেনঃ তোমরাالتابوت লিখ। কেননা কুরআন কুরাইশের ভাষায় নাযিল হয়েছে।
যুহরী বলেনঃ উবাইদুল্লাহ ইবনে উতবা বলেছেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) যায়দ ইবনে ছাবিতের এ তৈরী কপি পছন্দ করেন নি। তিনি বলেছেনঃ হে মুসলিম সম্প্রদায়! কুরআনের মুসহাফ লিপিবদ্ধ করার কাজে আমাকে দূরে রাখা হয়েছে আর এর দায়িত্ব বহন করেছে এমন এক ব্যক্তি যে আল্লাহর কসম আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি তখন সে ছিল এক কাফিরের ঔরসে। (এই কথা বলে তিনি যায়দ ইবনে ছাবিতের দিকে ইঙ্গিত করেছেন)।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেছেনঃ হে ইরাকবাসী! তোমাদের কাছে যে মুসহাফগুলো রয়েছে সেগুলো লুকিয়ে রাখ। আল্লাহ্ তাআলা বলেছেনঃ
وَمَنْ يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
এবং কেউ অন্যায়ভাবে কিছু গোপন করলে যা সে অন্যায়ভাবে গোপন করবে কিয়ামতের দিন সে তা নিয়ে আসবে। (৩ : ১৬১) সুতরাং তোমরা তোমাদের মুসহাফসহ আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারবে। যুহরী বলেনঃ বিশিষ্ট সাহাবীগণের অনেকই ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-এর এ বক্তব্য অপছন্দ করেছেন বলে আমি সংবাদ পেয়েছি।
বুখারি
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ। এটি হল যুহরী (রাহঃ) -এর রিওয়ায়াত। তাঁর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
তখন উছমান (রাযিঃ) এই বলে হাফসা (রাযিঃ)-এর কাছে লোক পাঠালেন যে, আপনার কাছে রক্ষিত কুরআনের লিপিবদ্ধ কপিগুলো আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন, আমরা এটির বিভিন্ন কপি করে পুনরায় আপনার কাছে ফেরত পাঠাব।
হাফসা (রাযিঃ) কুরআনের লিপিবদ্ধ কপিগুলো উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-এর কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
উছমান (রাযিঃ) যায়দ ইবনে ছাবিত, সাঈদ ইবনে আস, আব্দুর রহমান ইবনে হারিছ ইবনে হিশাম ও আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ)-এর কাছে কপিগুলো পাঠিয়ে বললেন যে, তোমরা এই কপিগুলো মুসহাফে লিপিবদ্ধ কর। এই তিনজন কুরাইশী গ্রুপকে বললেনঃ তোমাদের এবং যায়দ ইবনে ছাবিতের মাঝে মতানৈক্য দেখা গেলে কুরাইশী ভাষা অনুসারে তা লিপিবদ্ধ করবে। কেননা কুরআন কুরাইশদের ভাষা অনুসারেই নাযিল হয়েছে।
যা হোক, তারা কুরআনের লিপিবদ্ধ কপিগুলো বিভিন্ন মুসহাফে লিপিবদ্ধ করেন। উছমান (রাযিঃ) বিভিন্ন দিকে তাদের কপি করা মুসহাফগুলো পাঠালেন।
যুহরী (রাহঃ) বলেনঃ খারিজা ইবনে যায়দ আমাকে বর্ণনা করেন যে, যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) বলেছেনঃ সূরা আহযাবের একটি আয়াত আমি খূঁজে পাচ্ছিলাম না। অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে তা পাঠ করতে আমি শুনেছি। সেটি হলঃ
مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ
মুমিনদের মধ্যে কিছু লোক আল্লাহর সঙ্গে তাদের কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করেছে। এদের কেউ কেউ শাহাদত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। (৩৩ : ২৩)
পরে তালাশ করে খুযায়মা ইবনে ছাবিত কিংবা আবু খুযায়মার কাছে সেটি পেলাম এবং উক্ত সূরায় তা যুক্ত করে দিলাম।
যুহরী (রাহঃ) বলেনঃ একদিন তারাالتابوت এবংالتابوه নিয়ে মতানৈক্য করেন। কুরাইশীরা বললেনঃ التابوت যায়দ (রাযিঃ) বললেনঃالتابوه তাঁদের এ মতানৈক্যের বিষয়টি উছমান (রাযিঃ)-এর কাছে পেশ করা হলে তিনি বললেনঃ তোমরাالتابوت লিখ। কেননা কুরআন কুরাইশের ভাষায় নাযিল হয়েছে।
যুহরী বলেনঃ উবাইদুল্লাহ ইবনে উতবা বলেছেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) যায়দ ইবনে ছাবিতের এ তৈরী কপি পছন্দ করেন নি। তিনি বলেছেনঃ হে মুসলিম সম্প্রদায়! কুরআনের মুসহাফ লিপিবদ্ধ করার কাজে আমাকে দূরে রাখা হয়েছে আর এর দায়িত্ব বহন করেছে এমন এক ব্যক্তি যে আল্লাহর কসম আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি তখন সে ছিল এক কাফিরের ঔরসে। (এই কথা বলে তিনি যায়দ ইবনে ছাবিতের দিকে ইঙ্গিত করেছেন)।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেছেনঃ হে ইরাকবাসী! তোমাদের কাছে যে মুসহাফগুলো রয়েছে সেগুলো লুকিয়ে রাখ। আল্লাহ্ তাআলা বলেছেনঃ
وَمَنْ يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
এবং কেউ অন্যায়ভাবে কিছু গোপন করলে যা সে অন্যায়ভাবে গোপন করবে কিয়ামতের দিন সে তা নিয়ে আসবে। (৩ : ১৬১) সুতরাং তোমরা তোমাদের মুসহাফসহ আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারবে। যুহরী বলেনঃ বিশিষ্ট সাহাবীগণের অনেকই ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-এর এ বক্তব্য অপছন্দ করেছেন বলে আমি সংবাদ পেয়েছি।
বুখারি
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ। এটি হল যুহরী (রাহঃ) -এর রিওয়ায়াত। তাঁর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ حُذَيْفَةَ، قَدِمَ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَكَانَ يُغَازِي أَهْلَ الشَّامِ فِي فَتْحِ أَرْمِينِيَّةَ وَأَذْرَبِيجَانَ مَعَ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَرَأَى حُذَيْفَةُ اخْتِلاَفَهُمْ فِي الْقُرْآنِ فَقَالَ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَدْرِكْ هَذِهِ الأُمَّةَ قَبْلَ أَنْ يَخْتَلِفُوا فِي الْكِتَابِ كَمَا اخْتَلَفَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى فَأَرْسَلَ إِلَى حَفْصَةَ أَنْ أَرْسِلِي إِلَيْنَا بِالصُّحُفِ نَنْسَخُهَا فِي الْمَصَاحِفِ ثُمَّ نَرُدُّهَا إِلَيْكِ فَأَرْسَلَتْ حَفْصَةُ إِلَى عُثْمَانَ بِالصُّحُفِ فَأَرْسَلَ عُثْمَانُ إِلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَسَعِيدِ بْنِ الْعَاصِي وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنِ انْسَخُوا الصُّحُفَ فِي الْمَصَاحِفِ وَقَالَ لِلرَّهْطِ الْقُرَشِيِّينَ الثَّلاَثَةِ مَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ أَنْتُمْ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَاكْتُبُوهُ بِلِسَانِ قُرَيْشٍ فَإِنَّمَا نَزَلَ بِلِسَانِهِمْ . حَتَّى نَسَخُوا الصُّحُفَ فِي الْمَصَاحِفِ بَعَثَ عُثْمَانُ إِلَى كُلِّ أُفُقٍ بِمُصْحَفٍ مِنْ تِلْكَ الْمَصَاحِفِ الَّتِي نَسَخُوا . قَالَ الزُّهْرِيُّ وَحَدَّثَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ قَالَ فَقَدْتُ آيَةً مِنْ سُورَةِ الأَحْزَابِ كُنْتُ أَسْمَعُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَؤُهَا : ( مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ ) فَالْتَمَسْتُهَا فَوَجَدْتُهَا مَعَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ أَوْ أَبِي خُزَيْمَةَ فَأَلْحَقْتُهَا فِي سُورَتِهَا . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَاخْتَلَفُوا يَوْمَئِذٍ فِي التَّابُوتِ وَالتَّابُوهِ فَقَالَ الْقُرَشِيُّونَ التَّابُوتُ . وَقَالَ زَيْدٌ التَّابُوهُ . فَرُفِعَ اخْتِلاَفُهُمْ إِلَى عُثْمَانَ فَقَالَ اكْتُبُوهُ التَّابُوتُ فَإِنَّهُ نَزَلَ بِلِسَانِ قُرَيْشٍ . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ كَرِهَ لِزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ نَسْخَ الْمَصَاحِفِ وَقَالَ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ أُعْزَلُ عَنْ نَسْخِ كِتَابَةِ الْمُصْحَفِ وَيَتَوَلاَّهَا رَجُلٌ وَاللَّهِ لَقَدْ أَسْلَمْتُ وَإِنَّهُ لَفِي صُلْبِ رَجُلٍ كَافِرٍ يُرِيدُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ وَلِذَلِكَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ اكْتُمُوا الْمَصَاحِفَ الَّتِي عِنْدَكُمْ وَغُلُّوهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ : ( وَمَنْ يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ) فَالْقُوا اللَّهَ بِالْمَصَاحِفِ . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَبَلَغَنِي أَنَّ ذَلِكَ كَرِهَهُ مِنْ مَقَالَةِ ابْنِ مَسْعُودٍ رِجَالٌ مِنْ أَفَاضِلِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ حَدِيثُ الزُّهْرِيِّ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান