আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩০১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৫
সূরা আন-নিসা
৩০১৫. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি অসুস্থ ছিলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে দেখতে এলেন। আমি তখন বেহুঁশ হয়ে পড়েছিলাম। হুঁশ এলে বললামঃ আমি আমার সম্পদে কি ফায়সালা করব? তিনি চুপ করে রইলেন। তখন এই আয়াত নাযিল হয়ঃ
يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنْثَيَيْنِ
আল্লাহ্ তোমাদের সন্তানদের বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছেন। এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান। (৪ : ১১)।আবু দাউদ বুখারি, মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। একাধিক রাবী এটি মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ফযল ইবনে সাব্বাহ বাগদাদী (রাহঃ) জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ফযল ইবনে সাব্বাহ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে আরো বেশী বক্তব্য রয়েছে।
يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنْثَيَيْنِ
আল্লাহ্ তোমাদের সন্তানদের বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছেন। এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান। (৪ : ১১)।আবু দাউদ বুখারি, মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। একাধিক রাবী এটি মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ফযল ইবনে সাব্বাহ বাগদাদী (রাহঃ) জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ফযল ইবনে সাব্বাহ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে আরো বেশী বক্তব্য রয়েছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ مَرِضْتُ فَأَتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي وَقَدْ أُغْمِيَ عَلَىَّ فَلَمَّا أَفَقْتُ قُلْتُ كَيْفَ أَقْضِي فِي مَالِي فَسَكَتَ عَنِّي حَتَّى نَزَلَتْ : ( يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنْثَيَيْنِ ) قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ .
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَفِي حَدِيثِ الْفَضْلِ بْنِ الصَّبَّاحِ كَلاَمٌ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا .
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَفِي حَدِيثِ الْفَضْلِ بْنِ الصَّبَّاحِ كَلاَمٌ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৬
সূরা আন-নিসা
৩০১৬. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আওতাস যুদ্ধের সময় আমাদের হাতে অনেক নারী বন্দী আসে। তাদের মুশরিক স্বামী ছিল। সাহাবীদের অনেকেই তাদের অপছন্দ করেন। আল্লাহ্ তাআলা তখন এই আয়াতে নাযিল করেনঃ
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ
নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভূক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ। (৪ : ২৪ )। আবু দাউদ, মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান।
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ
নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভূক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ। (৪ : ২৪ )। আবু দাউদ, মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ الْهَاشِمِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ أَوْطَاسٍ أَصَبْنَا نِسَاءً لَهُنَّ أَزْوَاجٌ فِي الْمُشْرِكِينَ فَكَرِهَهُنَّ رِجَالٌ مِنْهُمْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৭
সূরা আন-নিসা
৩০১৭. আহমদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আওতাস যুদ্ধে আমাদের হাতে অনেক নারী বন্দী হয়ে আসে। নিজেদের কওমে যাদের স্বামীও ছিল। সাহাবীগণ এদের বিষয়টি নবী (ﷺ) এর কাছে উত্থাপন করলে এই আয়াত নাযিল হলঃ
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ
হাদীসটি হাসান। ছাওরী (রাহঃ) এই হাদীসটিকে উছমান আল-বাত্তি ......... আবুল খালীল ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই সনদে আবু আলকামা (রাহঃ) এর উল্লেখ নেই। আবুল খালীল (রাহঃ) এর নাম হল সালিহ ইবনে আবু মারইয়াম।
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ
হাদীসটি হাসান। ছাওরী (রাহঃ) এই হাদীসটিকে উছমান আল-বাত্তি ......... আবুল খালীল ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই সনদে আবু আলকামা (রাহঃ) এর উল্লেখ নেই। আবুল খালীল (রাহঃ) এর নাম হল সালিহ ইবনে আবু মারইয়াম।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ الْبَتِّيُّ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَصَبْنَا سَبَايَا يَوْمَ أَوْطَاسٍ لَهُنَّ أَزْوَاجٌ فِي قَوْمِهِنَّ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ : (وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَهَكَذَا رَوَى الثَّوْرِيُّ عَنْ عُثْمَانَ الْبَتِّيِّ عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ وَلاَ أَعْلَمُ أَنَّ أَحَدًا ذَكَرَ أَبَا عَلْقَمَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ إِلاَّ مَا ذَكَرَ هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ وَأَبُو الْخَلِيلِ اسْمُهُ صَالِحُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৮
সূরা আন-নিসা
৩০১৮. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আ’লা সানআনী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে কবীর গুনাহ্ সম্পর্কে রিওয়ায়াত আছে। তিনি বলেছেনঃ তা হল, আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা, পিতামাতার নাফরমানী করা, প্রাণ সংহার করা, মিথ্যা বলা। বুখারি ও মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। রাওহ ইবনে উবাদা এটিকে শু’বা (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি সনদে (উবাইদুল্লাহ্-এর স্থলে) আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু বকর বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তা সহীহ নয়।
হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। রাওহ ইবনে উবাদা এটিকে শু’বা (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি সনদে (উবাইদুল্লাহ্-এর স্থলে) আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু বকর বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তা সহীহ নয়।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْكَبَائِرِ قَالَ " الشِّرْكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ وَقَتْلُ النَّفْسِ وَقَوْلُ الزُّورِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ . وَرَوَاهُ رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ عَنْ شُعْبَةَ وَقَالَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَلاَ يَصِحُّ .
হাদীস নং:৩০১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৯
সূরা আন-নিসা
৩০১৯. হুমায়দ ইবনে মাসআদা (রাহঃ) ...... আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি কি তোমাদের সবচেয়ে গুরুতর কবীরা গুনাহসমূহের কথা বলব?
সাহাবীগণ আরয করলেনঃ অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা, পিতা-মাতার সঙ্গে নাফরমানী করা।
আবু বাকরা (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি কাত হয়ে ছিলেন। সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেনঃ মিথ্যা সাক্ষী দেয়া বা মিথ্যা কথা বলা। আবু বাকরা (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কথাটি বারবার এমনভাবে বলতে লাগলেন যে, আমরা মনে মনে বলতে লাগলাম, তিনি যদি চুপ করতেন (তবে ভাল হতো)। বুখারি ও মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
সাহাবীগণ আরয করলেনঃ অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা, পিতা-মাতার সঙ্গে নাফরমানী করা।
আবু বাকরা (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি কাত হয়ে ছিলেন। সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেনঃ মিথ্যা সাক্ষী দেয়া বা মিথ্যা কথা বলা। আবু বাকরা (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কথাটি বারবার এমনভাবে বলতে লাগলেন যে, আমরা মনে মনে বলতে লাগলাম, তিনি যদি চুপ করতেন (তবে ভাল হতো)। বুখারি ও মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، - بَصْرِيٌّ - حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ " . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ " . قَالَ وَجَلَسَ وَكَانَ مُتَّكِئًا قَالَ " وَشَهَادَةُ الزُّورِ أَوْ قَوْلُ الزُّورِ " . قَالَ فَمَا زَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُهَا حَتَّى قُلْنَا لَيْتَهُ سَكَتَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং:৩০২০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২০
সূরা আন-নিসা
৩০২০. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উনায়স জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ বড় বড় কবীরা গুনাহসমূহ হলঃ আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা, পিতা মাতার নাফরমানী করা, মিথ্যা কসম করা, কেউ যদি অপরিবর্তনীয় এবং অবশ্যম্ভাবী ভাবে যা প্রয়োগ হয় এমন হলফ করে আর তাতে মশার পাখার মত সামান্য মাত্র মিথ্যা ঢুকিয়ে দেয় তবুও তা কিয়ামতের দিন পর্যন্ত তার মনে দাগ হয়ে থাকবে।
হাদীসটি হাসান গারীব। আবু উমামা আনসারী (রাযিঃ) হলেন ইবনে সা’লাবা। তার নাম আমাদের জানা নেই। তিনি নবী (ﷺ) থেকে একাধিক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটি হাসান গারীব। আবু উমামা আনসারী (রাযিঃ) হলেন ইবনে সা’লাবা। তার নাম আমাদের জানা নেই। তিনি নবী (ﷺ) থেকে একাধিক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ مُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُذَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ أَكْبَرِ الْكَبَائِرِ الشِّرْكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ وَالْيَمِينُ الْغَمُوسُ وَمَا حَلَفَ حَالِفٌ بِاللَّهِ يَمِينَ صَبْرٍ فَأَدْخَلَ فِيهَا مِثْلَ جَنَاحِ بَعُوضَةٍ إِلاَّ جُعِلَتْ نُكْتَةً فِي قَلْبِهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَبُو أُمَامَةَ الأَنْصَارِيُّ هُوَ ابْنُ ثَعْلَبَةَ وَلاَ نَعْرِفُ اسْمَهُ وَقَدْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَحَادِيثَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
হাদীস নং:৩০২১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২১
সূরা আন-নিসা
৩০২১. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কবীরা গুনাহসমূহ হল, আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা, পিতামাতার নাফরমানী করা, অথবা তিনি বলেছেনঃ মিথ্যা কসম করা। এখানে শু’বা (রাহঃ)-এর সন্দেহ হয় যে, নবী (ﷺ) পিতা-মাতার প্রতি নাফরমানী না মিথ্যা কসমের কথা বলেছিলেন। সহীহ বুখারি
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْكَبَائِرُ الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ أَوْ قَالَ الْيَمِينُ الْغَمُوسُ " . شَكَّ شُعْبَةُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০২২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২২
সূরা আন-নিসা
৩০২২. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) .... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ পুরুষরা জিহাদ করে অথচ মহিলারা জিহাদ করতে পারে না। আর আমাদের জন্য (পুরুষের তুলনায়) মীরাছের অর্ধেক হিস্যা মাত্র। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ
وَلاَ تَتَمَنَّوْا مَا فَضَّلَ اللَّهُ بِهِ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ
যা দিয়ে আল্লাহ তোমাদের কতককে কতকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, তোমরা তার লোভ করবে না। (৪ঃ ৩২)।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে নাযিল হয়েছিলঃ إِنَّ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ৩৫)।
উম্মে সালামা (রাযিঃ) ছিলেন মদীনায় হিজরতকারী প্রথম মহিলা।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি মুরসাল। কেউ কেউ এটিকে ইবনে আবু নাজীহ ......... মুজাহিদ (রাহঃ) সূত্রে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন যে, উম্মে সালামা (রাযিঃ) অমুক অমুক কথা বলেছিলেন।
وَلاَ تَتَمَنَّوْا مَا فَضَّلَ اللَّهُ بِهِ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ
যা দিয়ে আল্লাহ তোমাদের কতককে কতকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, তোমরা তার লোভ করবে না। (৪ঃ ৩২)।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে নাযিল হয়েছিলঃ إِنَّ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ৩৫)।
উম্মে সালামা (রাযিঃ) ছিলেন মদীনায় হিজরতকারী প্রথম মহিলা।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি মুরসাল। কেউ কেউ এটিকে ইবনে আবু নাজীহ ......... মুজাহিদ (রাহঃ) সূত্রে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন যে, উম্মে সালামা (রাযিঃ) অমুক অমুক কথা বলেছিলেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ يَغْزُو الرِّجَالُ وَلاَ يَغْزُو النِّسَاءُ وَإِنَّمَا لَنَا نِصْفُ الْمِيرَاثِ . فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (وَلاَ تَتَمَنَّوْا مَا فَضَّلَ اللَّهُ بِهِ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ ) . قَالَ مُجَاهِدٌ فَأُنْزِلَ فِيهَا : ( إِنَّ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ ) وَكَانَتْ أُمُّ سَلَمَةَ أَوَّلَ ظَعِينَةٍ قَدِمَتِ الْمَدِينَةَ مُهَاجِرَةً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ . وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ مُرْسَلٌ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ قَالَتْ كَذَا وَكَذَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৩
সূরা আন-নিসা
৩০২৩. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহ্ তাআলাকে হিজরতের বিষয়ে মেয়েদের নিয়ে কিছু বলতে শুনলাম না। আল্লাহ্ তাআলা তখন নাযিল করেনঃ
إِنِّي لاَ أُضِيعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِنْكُمْ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى بَعْضُكُمْ مِنْ بَعْضٍ
আমি তোমাদের মধ্যে কোন কর্মনিষ্ঠা পুরুষ অথবা নারীর কর্ম বিফল করি না। তোমরা একে অপরের অংশ ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত। (সূরা আল-ই-ইমরান ৩ঃ ১৯৫)।
إِنِّي لاَ أُضِيعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِنْكُمْ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى بَعْضُكُمْ مِنْ بَعْضٍ
আমি তোমাদের মধ্যে কোন কর্মনিষ্ঠা পুরুষ অথবা নারীর কর্ম বিফল করি না। তোমরা একে অপরের অংশ ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত। (সূরা আল-ই-ইমরান ৩ঃ ১৯৫)।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ وَلَدِ أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لاَ أَسْمَعُ اللَّهَ ذَكَرَ النِّسَاءَ فِي الْهِجْرَةِ . فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى : ( إِنِّي لاَ أُضِيعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِنْكُمْ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى بَعْضُكُمْ مِنْ بَعْضٍ ) .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৪
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০২৪. হান্নাদ (রাহঃ) ....... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) তাঁর সামনে কুরআন তিলাওয়াত করতে নির্দেশ দিলেন, তিনি তখন মিম্বরে উপবিষ্ট ছিলেন। আমি সূরা নিসা থেকে তিলাওয়াত করলাম। যখন এই আয়াত পৌঁছলামঃ (فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيدًا) সে দিন কী অবস্থা হবে যে দিন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং আপনাকে উপস্থিত করব তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসাবে (৪ঃ ৪১)। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে তাঁর হাত দিয়ে চাপ দেন। আমি তাঁর দিকে তাকালাম। তাঁর দু’চোখ বেয়ে অশ্রু পড়ছিল।
আবুল আহওয়াস (রাহঃ) এটি আ’মাশ ......... ইবরাহীম ......... আলকামা ......... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আসলে তা হবে ইবরাহীম ......... উবাইদা-আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ)।
আবুল আহওয়াস (রাহঃ) এটি আ’মাশ ......... ইবরাহীম ......... আলকামা ......... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আসলে তা হবে ইবরাহীম ......... উবাইদা-আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ)।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْهِ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ . فَقَرَأْتُ عَلَيْهِ مِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ حَتَّى إِذَا بَلَغْتُ: ( فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيدًا ) غَمَزَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ وَعَيْنَاهُ تَدْمَعَانِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَى أَبُو الأَحْوَصِ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَإِنَّمَا هُوَ إِبْرَاهِيمُ عَنْ عَبِيدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ .
হাদীস নং:৩০২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৫
সূরা আন-নিসা
৩০২৫. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে একদিন বললেনঃ তুমি আমার সামনে তিলাওয়াত কর।
আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আপনার কাছে তিলাওয়াত করব? অথচ আপনারই উপর নাযিল হয়েছে তা! তিনি বললেনঃ অন্যের কাছ থেকে শুনতেও আমি ভালবাসি। আমি সূরা নিসা থেকে তিলাওয়াত করতে লাগলাম। অবশেষে যখন (وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيدًا) (৪ঃ ৪১) আয়াত পর্যন্ত পৌঁছলাম তিনি বলেনঃ তখন দেখলাম রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর দু‘চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে।বুখারি, মুসলিম
এই রিওয়ায়াতটি আবুল আহওয়াস-এর রিওয়ায়াত অপেক্ষা অধিক সহীহ।
আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আপনার কাছে তিলাওয়াত করব? অথচ আপনারই উপর নাযিল হয়েছে তা! তিনি বললেনঃ অন্যের কাছ থেকে শুনতেও আমি ভালবাসি। আমি সূরা নিসা থেকে তিলাওয়াত করতে লাগলাম। অবশেষে যখন (وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيدًا) (৪ঃ ৪১) আয়াত পর্যন্ত পৌঁছলাম তিনি বলেনঃ তখন দেখলাম রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর দু‘চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে।বুখারি, মুসলিম
এই রিওয়ায়াতটি আবুল আহওয়াস-এর রিওয়ায়াত অপেক্ষা অধিক সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اقْرَأْ عَلَىَّ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقْرَأُ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ قَالَ " إِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْ غَيْرِي " . فَقَرَأْتُ سُورَةَ النِّسَاءِ حَتَّى إِذَا بَلَغْتُ : (جِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيدًا ) قَالَ فَرَأَيْتُ عَيْنَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَهْمِلاَنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الأَحْوَصِ .
হাদীস নং:৩০২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৬
সূরা আন-নিসা
সওয়ায়দ ইবনে নসর (রাহঃ) ......... আ’মাশ (রাহঃ) থেকে মুআবিয়া ইবনে হিশাম (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতের অনুরূপ বর্ণিত আছে।
আব্দ হুমায়দ (রাহঃ) ....... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আব্দুর রহমান ইবনে আওফ একবার আমাদের জন্য আহারের আয়োজন করেন এবং আমাদের দাওয়াত করলেন। সেখানে আমাদেন মদ পান করান (তখনও মদ হারাম হয়নি)। আমাদেরকে মদের নেশায় ধরে। ইতোমধ্যে নামাযের ওয়াক্ত এসে পড়ে। এমতাবস্থায় লোকেরা আমাকেই ইমামত করতে এগিয়ে দেন। আমি (নামাযে) কিরা’আত করলামঃ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ لاَ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ وَنَحْنُ نَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ) এবং (وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ) এর স্থলে পড়ে পড়লাম (وَنَحْنُ نَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ) তোমরা যাদের ইবাদত কর আমরাও তাদের ইবাদত করি। তখন আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ
হে মুমিনগণ! মদ্যপানোম্মত্ত অবস্থায় তোমরা নামাযের নিকটবর্তী হবে না যতক্ষণ না তোমরা বল তা বুঝতে পার। (৪ঃ ৪৩)। (আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-গারীব-সহীহ।
আব্দ হুমায়দ (রাহঃ) ....... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আব্দুর রহমান ইবনে আওফ একবার আমাদের জন্য আহারের আয়োজন করেন এবং আমাদের দাওয়াত করলেন। সেখানে আমাদেন মদ পান করান (তখনও মদ হারাম হয়নি)। আমাদেরকে মদের নেশায় ধরে। ইতোমধ্যে নামাযের ওয়াক্ত এসে পড়ে। এমতাবস্থায় লোকেরা আমাকেই ইমামত করতে এগিয়ে দেন। আমি (নামাযে) কিরা’আত করলামঃ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ لاَ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ وَنَحْنُ نَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ) এবং (وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ) এর স্থলে পড়ে পড়লাম (وَنَحْنُ نَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ) তোমরা যাদের ইবাদত কর আমরাও তাদের ইবাদত করি। তখন আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ
হে মুমিনগণ! মদ্যপানোম্মত্ত অবস্থায় তোমরা নামাযের নিকটবর্তী হবে না যতক্ষণ না তোমরা বল তা বুঝতে পার। (৪ঃ ৪৩)। (আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-গারীব-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، نَحْوَ حَدِيثِ مُعَاوِيَةَ بْنِ هِشَامٍ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ صَنَعَ لَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ طَعَامًا فَدَعَانَا وَسَقَانَا مِنَ الْخَمْرِ فَأَخَذَتِ الْخَمْرُ مِنَّا وَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَقَدَّمُونِي فَقَرَأْتُ : ( قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) لاَ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ وَنَحْنُ نَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ . قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى : ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ صَنَعَ لَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ طَعَامًا فَدَعَانَا وَسَقَانَا مِنَ الْخَمْرِ فَأَخَذَتِ الْخَمْرُ مِنَّا وَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَقَدَّمُونِي فَقَرَأْتُ : ( قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) لاَ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ وَنَحْنُ نَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ . قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى : ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৭
সূরা আন-নিসা
৩০২৭. কুতায়বা (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবনুয-যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জনৈক আনসারী হাররা অঞ্চলের একটি নালা নিয়ে যুরায়র (রাযিঃ) এর সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হন। এই নালার মাধ্যমেই তাঁরা তাদের খেজুর বাগানগুলোতে পানি-সেচ করতেন। আনসারী বললেনঃ আপনি পানি আনতে নালা পথটি ছেড়ে দিন। যুবাইর (রাযিঃ) তা করতে অস্বীকার করলেন। উভয়েই বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে উল্লেখ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যুবাইর (রাযিঃ)-কে বললেনঃ হে যুবাইর! তোমার বাগানে পানি সেচ করে তোমার প্রতিবেশীর জন্য পানি ছেড়ে দিও।
আনসারী ব্যক্তিটি এতে রাগান্বিত হয়ে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! (যুবাইর) আপনার ফুফাত ভাই বলেই (এই ফায়সালা দিলেন)। এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর চেহারা পরিবর্তিত হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ হে যুবাইর! তুমি তোমার বাগানে পানি সেচ কর। এরপর আলগুলো পর্যন্ত পানি ভরাট না হওয়া পর্যন্ত তা ফিরিয়ে রাখবে।
যুবাইর (রাযিঃ) বলেনঃ আমার মনে হয় উক্ত বিষয়েই এই আয়াত নাযিল হয়ঃ
فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ
কিন্তু না, তোমার রবের কসম, তারা ততক্ষণ মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচার ভার আপনার উপর অর্পন না করে ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৪ঃ ৬৫)। সহীহ বুখারি, মুসলিম
মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। শুআয়ব ইবনে আবু হামযা (রাহঃ) এটি যুহরী ......... উরওয়া ইবনুয যুবাইর (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এতে আব্দুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ)-এর উল্লেখ নেই।
আনসারী ব্যক্তিটি এতে রাগান্বিত হয়ে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! (যুবাইর) আপনার ফুফাত ভাই বলেই (এই ফায়সালা দিলেন)। এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর চেহারা পরিবর্তিত হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ হে যুবাইর! তুমি তোমার বাগানে পানি সেচ কর। এরপর আলগুলো পর্যন্ত পানি ভরাট না হওয়া পর্যন্ত তা ফিরিয়ে রাখবে।
যুবাইর (রাযিঃ) বলেনঃ আমার মনে হয় উক্ত বিষয়েই এই আয়াত নাযিল হয়ঃ
فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ
কিন্তু না, তোমার রবের কসম, তারা ততক্ষণ মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচার ভার আপনার উপর অর্পন না করে ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৪ঃ ৬৫)। সহীহ বুখারি, মুসলিম
মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। শুআয়ব ইবনে আবু হামযা (রাহঃ) এটি যুহরী ......... উরওয়া ইবনুয যুবাইর (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এতে আব্দুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ)-এর উল্লেখ নেই।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا النَّخْلَ . فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرُّ فَأَبَى عَلَيْهِ فَاخْتَصَمُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلزُّبَيْرِ " اسْقِ يَا زُبَيْرُ وَأَرْسِلِ الْمَاءَ إِلَى جَارِكَ " . فَغَضِبَ الأَنْصَارِيُّ وَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ . فَتَغَيَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " يَا زُبَيْرُ اسْقِ وَاحْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ " . فَقَالَ الزُّبَيْرُ وَاللَّهِ إِنِّي لأَحْسِبُ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِي ذَلِك : (فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ قَدْ رَوَى ابْنُ وَهْبٍ هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَيُونُسَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَرَوَى شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنِ الزُّبَيْرِ وَلَمْ يَذْكُرْ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৮
সূরা আন-নিসা
৩০২৮. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ....... যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি (فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِئَتَيْنِ) কি হল তোমাদের যে মুনাফিকদের ব্যাপারে দুই দল হয়ে গেল? (৪ঃ ৮৮) আয়াতটি সম্পর্কে বলেছেনঃ উহুদ যুদ্ধের সময় মুসলিম বাহিনীর একদল লোক (মুনাফিক) যুদ্ধ ছেড়ে ফিরে এসেছিল। তাদের ব্যাপরে সাহাবীগণ দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একদল বলছিলেনঃ এদের হত্যা করা হোক। আরেকদল বলছিলেনঃ না, হত্যার দরকার নেই। তখন এই আয়াত নাযিল হয়ঃ (فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِئَتَيْنِ) (৪ঃ ৮৮)
নবী (ﷺ) বলেছেনঃ মদীনা হল তায়বা-পবিত্র নগরী। আগুন যেমন লোহার ময়লা-মরিচা বিদূরিত করে দেয় মদীনাও তেমনি মন্দ বিদুরীত করে। সহীহ বুখারি , মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। রাবী আব্দুল্লাহ্ ইবনে ইয়াযীদ হলেন আনসারী খাতমী। তিনি সাহাবী ছিলেন।
নবী (ﷺ) বলেছেনঃ মদীনা হল তায়বা-পবিত্র নগরী। আগুন যেমন লোহার ময়লা-মরিচা বিদূরিত করে দেয় মদীনাও তেমনি মন্দ বিদুরীত করে। সহীহ বুখারি , মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। রাবী আব্দুল্লাহ্ ইবনে ইয়াযীদ হলেন আনসারী খাতমী। তিনি সাহাবী ছিলেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ، يُحَدِّثُ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّهُ قَالَ فِي هَذِهِ الآيَةِ : ( فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِئَتَيْنِ ) قَالَ رَجَعَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ . فَكَانَ النَّاسُ فِيهِمْ فَرِيقَيْنِ فَرِيقٌ يَقُولُ اقْتُلْهُمْ . وَفَرِيقٌ يَقُولُ لاَ . فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : ( فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِئَتَيْنِ ) وَقَالَ " إِنَّهَا طِيبَةُ وَقَالَ إِنَّهَا تَنْفِي الْخَبِيثَ كَمَا تَنْفِي النَّارُ خَبَثَ الْحَدِيدِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ هُوَ الأَنْصَارِيُّ الْخَطْمِيُّ وَلَهُ صُحْبَةٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২৯
সূরা আন-নিসা
৩০২৯. হাসান ইবনে মুহাম্মাদ যাআফরানী (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি তার হত্যাকারীকে কপালের চুল ও মাথায় ধরে নিয়ে আসবে। তার গলার কাটা রগসমূহ থেকে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকবে। সে বলবে, হে আমার রব! এ আমাকে হত্যা করেছে। এমনকি সে তাকে আল্লাহ্ আল্লাহর আরশের কাছে নিয়ে যাবে।
রাবী বলেনঃ ইবনে আব্বাসের নিকট হত্যাকারীর তওবা প্রসঙ্গে আলোচনা করলে তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করলেনঃ
وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا
কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মু’মিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম ...... (৪ঃ ৯৩ )।
এই আয়াতটি মানসূখও হয়নি বা তার বিধনও পরিবর্তিত হয়নি। সুতরাং তার আর তাওবা কোথায়?
এই হাদীসটি হাসান-গারীব। কেউ কেউ এই হাদীসটি আমর ইবনে দীনারইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাঁরা এটি মারফু করেন নি।
রাবী বলেনঃ ইবনে আব্বাসের নিকট হত্যাকারীর তওবা প্রসঙ্গে আলোচনা করলে তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করলেনঃ
وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا
কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মু’মিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম ...... (৪ঃ ৯৩ )।
এই আয়াতটি মানসূখও হয়নি বা তার বিধনও পরিবর্তিত হয়নি। সুতরাং তার আর তাওবা কোথায়?
এই হাদীসটি হাসান-গারীব। কেউ কেউ এই হাদীসটি আমর ইবনে দীনারইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাঁরা এটি মারফু করেন নি।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَجِيءُ الْمَقْتُولُ بِالْقَاتِلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ نَاصِيَتُهُ وَرَأْسُهُ بِيَدِهِ وَأَوْدَاجُهُ تَشْخُبُ دَمًا يَقُولُ يَا رَبِّ هَذَا قَتَلَنِي حَتَّى يُدْنِيَهُ مِنَ الْعَرْشِ " . قَالَ فَذَكَرُوا لاِبْنِ عَبَّاسٍ التَّوْبَةَ فَتَلاَ هَذِهِ الآيَةََ: (وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا ) قَالَ وَمَا نُسِخَتْ هَذِهِ الآيَةُ وَلاَ بُدِّلَتْ وَأَنَّى لَهُ التَّوْبَةُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৩০
সূরা আন-নিসা
৩০৩০. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, বানু সুলায়ম গোত্রের এক ব্যক্তি একদল সাহাবী (রাযিঃ) এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে তার বকরীর পালও ছিল। সে সাহাবীদের সালাম করল। সাহাবীরা (পরস্পর) বললেনঃ এ তোমাদের থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যই সালাম করেছে। তখন তারা উঠে দাঁড়ালেন এবং তাকে হত্যা করলেন ও তার বকরীর পাল নিয়ে নিলেন। এই সব নিয়ে তারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এলেন। তখন আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلاَ تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَى إِلَيْكُمُ السَّلاَمَ لَسْتَ مُؤْمِنًا
হে মু’মিনগণ তোমরা যখন আল্লাহর পথে যাত্রা করবে তখন সব বিষয়ে পরিস্কার পরীক্ষা করে নিবে। যে তোমাদের সালাম করবে তাকে বলবে না যে তুমি মু’মিন নও ..... (৪ঃ ৯৪)। বুখারি, মুসলিম
হাদীসটি হাসান। এই বিষয়ে উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلاَ تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَى إِلَيْكُمُ السَّلاَمَ لَسْتَ مُؤْمِنًا
হে মু’মিনগণ তোমরা যখন আল্লাহর পথে যাত্রা করবে তখন সব বিষয়ে পরিস্কার পরীক্ষা করে নিবে। যে তোমাদের সালাম করবে তাকে বলবে না যে তুমি মু’মিন নও ..... (৪ঃ ৯৪)। বুখারি, মুসলিম
হাদীসটি হাসান। এই বিষয়ে উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي رِزْمَةَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرَّ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ عَلَى نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَعَهُ غَنَمٌ لَهُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ قَالُوا مَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ إِلاَّ لِيَتَعَوَّذَ مِنْكُمْ فَقَامُوا فَقَتَلُوهُ وَأَخَذُوا غَنَمَهُ فَأَتَوْا بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلاَ تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَى إِلَيْكُمُ السَّلاَمَ لَسْتَ مُؤْمِنًا ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৩১
সূরা আন-নিসা
৩০৩১. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, (لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ) মু’মিনদের মধ্যে যারা গৃহে উপবিষ্ট তারা সমান নয় (৪ঃ ৯৫) এই আয়াত নাযিল হলে আমর ইবনে উম্ম মাকতূম নবী (ﷺ) এর কাছে এলেন। তিনি ছিলেন অন্ধ। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি তো অন্ধ। আমাকে আপনি কি নির্দেশ দেন? আল্লাহ্ তাআলা তখন নাযিল করলেনঃ (غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ) তবে যারা অক্ষম তাদের কথা ভিন্ন ...... (৪ : ৯৪)।
নবী (ﷺ) বললেনঃ দু'আত ও কাঁধের মসৃণ হাড্ডি নিয়ে এস (বা বললেন) তখতী ও দু'আত নিয়ে এস (এবং তা লিখে নাও)। সহী বুখারি,মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আমর ইবনে উম্ম মাকতুম (রাযিঃ)-এর নাম আব্দুল্লাহ্ ইবনে উম্ম মাকতূম বলেও কথিত আছে। ইনি হলেন আব্দুল্লাহ্ ইবনে যাইদা। উম্মু মাকতূম হল তাঁর মা-এর নাম।
নবী (ﷺ) বললেনঃ দু'আত ও কাঁধের মসৃণ হাড্ডি নিয়ে এস (বা বললেন) তখতী ও দু'আত নিয়ে এস (এবং তা লিখে নাও)। সহী বুখারি,মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আমর ইবনে উম্ম মাকতুম (রাযিঃ)-এর নাম আব্দুল্লাহ্ ইবনে উম্ম মাকতূম বলেও কথিত আছে। ইনি হলেন আব্দুল্লাহ্ ইবনে যাইদা। উম্মু মাকতূম হল তাঁর মা-এর নাম।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ : (لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ ) جَاءَ عَمْرُو ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم - قَالَ وَكَانَ ضَرِيرَ الْبَصَرِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا تَأْمُرُنِي إِنِّي ضَرِيرُ الْبَصَرِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ : ( غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ ) الآيَةَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " ائْتُونِي بِالْكَتِفِ وَالدَّوَاةِ أَوِ اللَّوْحِ وَالدَّوَاةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَيُقَالُ عَمْرُو ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ وَيُقَالُ عَبْدُ اللَّهِ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَائِدَةَ وَأُمُّ مَكْتُومٍ أُمُّهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৩২
সূরা আন-নিসা
৩০৩২. হাসান ইবনে মুহাম্মাদ যাআফরানী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি (لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ) (৪ঃ ৯৫) আয়াতটি প্রসঙ্গে বলেনঃ অক্ষম না হয়েও যারা বদরে শরীক না হয়ে ঘরে বসে রয়েছে তারা এবং যারা বদরে বের হয়েছে তারা এক সমান নয়।
বদরের সময় আব্দুল্লাহ্ ইবনে জাহাশ এবং ইবনে উম্ম মাকতূম (রাযিঃ) বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা দু’জন তো অন্ধ। আমাদের জন্য এক্ষেত্রে কোন অবকাশ আছে কি? তখন নাযিল হয়ঃ (৪ঃ ৯৫)
لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ وفَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلََى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً বুখারি
এখানে যারা অক্ষম না হয়েও ঘরে বসে থাকে তাদের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহর পথে যারা জিহাদ করে তাদেরকে আল্লাহ্ তাআলা অক্ষম না হয়েও যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর বিরাট প্রতিদান ও বহু দরজা ফযীলত দিয়েছেন।
এই হাদীসটি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসাবে এই সূত্রে হাসান-গারীব। কথিত আছে, মিকসাম হলেন আব্দুল্লাহ্ ইবনে হারিছ-এর মাওলা বা আযাদকৃত দাস। তিনি আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর মাওলা। মিকসাম-এর কুনিয়াত হল আবুল কাসিম।
বদরের সময় আব্দুল্লাহ্ ইবনে জাহাশ এবং ইবনে উম্ম মাকতূম (রাযিঃ) বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা দু’জন তো অন্ধ। আমাদের জন্য এক্ষেত্রে কোন অবকাশ আছে কি? তখন নাযিল হয়ঃ (৪ঃ ৯৫)
لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ وفَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلََى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً বুখারি
এখানে যারা অক্ষম না হয়েও ঘরে বসে থাকে তাদের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহর পথে যারা জিহাদ করে তাদেরকে আল্লাহ্ তাআলা অক্ষম না হয়েও যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর বিরাট প্রতিদান ও বহু দরজা ফযীলত দিয়েছেন।
এই হাদীসটি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসাবে এই সূত্রে হাসান-গারীব। কথিত আছে, মিকসাম হলেন আব্দুল্লাহ্ ইবনে হারিছ-এর মাওলা বা আযাদকৃত দাস। তিনি আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর মাওলা। মিকসাম-এর কুনিয়াত হল আবুল কাসিম।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْكَرِيمِ، سَمِعَ مِقْسَمًا، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ : ( لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ ) عَنْ بَدْرٍ وَالْخَارِجُونَ إِلَى بَدْرٍ لَمَّا نَزَلَتْ غَزْوَةُ بَدْرٍ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ إِنَّا أَعْمَيَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَهَلْ لَنَا رُخْصَةٌ فَنَزَلَتْ : ( لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ ) و : (فَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلََى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً ) فَهَؤُلاَءِ الْقَاعِدُونَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ : ( وَفَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا * دَرَجَاتٍ مِنْهُ ) عَلَى الْقَاعِدِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرِ أُولِي الضَّرَرِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَمِقْسَمٌ يُقَالُ هُوَ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ وَيُقَالُ هُوَ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ وَكُنْيَتُهُ أَبُو الْقَاسِمِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৩৩
সূরা আন-নিসা
৩০৩৩. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ....... সাহল ইবনে সা’দ সাঈদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মারওয়ান ইবনুল হাকামকে মসজিদে উপবিষ্ট দেখতে পেয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে তাঁর পার্শ্বে বসলাম। তিনি আমার কাছে বর্ণনা করলেন যে, যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেনঃ নবী (ﷺ) তাঁকে লিখাচ্ছিলেনঃ (غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ) এমন সময় ইবনে উম্ম মাকতূম এলেন। নবী (ﷺ) তখনও আমাকে লিখাচ্ছিলেন। ইবনে উম্ম মাকতূম (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর কসম আমি যদি জিহাদে শরীক হতে পারতাম তবে অবশ্যই জিহাদ করতাম। ইবনে উম্ম মাকতূম ছিলেন অন্ধ।
আল্লাহ্ তাআলা তাঁর রাসূলের উপর ওহী নাযিল শুরু করলেন। তাঁর উরু ছিল আমার উরুর উপর। তা এত ভারী মনে হচ্ছিল যে, এর ওজনে আমার উরুর হাড্ডি যেন চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে। এরপর নবী (ﷺ) এর এই অবস্থা অপসৃত হয়। আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেনঃ (غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ) যারা অক্ষম তারা ছাড়া (৪ঃ ৯৫)। সহীহ বুখারি
হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই হাদীসটি এক সাহাবীর রিওয়ায়াত, একজন তাবিঈ থেকে বর্ণিত। সাহল ইবনে সা’দ আনসারী রিওয়ায়াত করেছেন মারওয়ান ইবনে হাকাম থেকে। মারওয়ার সরাসরি নবী (ﷺ) থেকে কিছু শুনেন নি। ইনি একজন তাবিঈ।
আল্লাহ্ তাআলা তাঁর রাসূলের উপর ওহী নাযিল শুরু করলেন। তাঁর উরু ছিল আমার উরুর উপর। তা এত ভারী মনে হচ্ছিল যে, এর ওজনে আমার উরুর হাড্ডি যেন চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে। এরপর নবী (ﷺ) এর এই অবস্থা অপসৃত হয়। আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেনঃ (غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ) যারা অক্ষম তারা ছাড়া (৪ঃ ৯৫)। সহীহ বুখারি
হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই হাদীসটি এক সাহাবীর রিওয়ায়াত, একজন তাবিঈ থেকে বর্ণিত। সাহল ইবনে সা’দ আনসারী রিওয়ায়াত করেছেন মারওয়ান ইবনে হাকাম থেকে। মারওয়ার সরাসরি নবী (ﷺ) থেকে কিছু শুনেন নি। ইনি একজন তাবিঈ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ رَأَيْتُ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ فَأَقْبَلْتُ حَتَّى جَلَسْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَأَخْبَرَنَا أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمْلَى عَلَيْهِ لاَ يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ فَجَاءَهُ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ وَهُوَ يُمْلِيهَا عَلَىَّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ لَوْ أَسْتَطِيعُ الْجِهَادَ لَجَاهَدْتُ وَكَانَ رَجُلاً أَعْمَى . فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم وَفَخِذُهُ عَلَى فَخِذِي فَثَقُلَتْ حَتَّى هَمَّتْ تَرُضُّ فَخِذِي ثُمَّ سُرِّيَ عَنْهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ : ( غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . هَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ نَحْوَ هَذَا . وَرَوَى مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ . وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ رِوَايَةُ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ رَجُلٍ مِنَ التَّابِعِينَ رَوَاهُ سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ الأَنْصَارِيُّ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَمَرْوَانُ لَمْ يَسْمَعْ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مِنَ التَّابِعِينَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৩৪
সূরা আন-নিসা
৩০৩৪. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... ইয়া’লা ইবনে উমাইয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি উমর (রাযিঃ)-কে বললাম। আল্লাহ তাআলা তো বলেছেনঃ যখন তোমরা (শক্রর) আশঙ্কা করা তখন নামাযে কসর করবে (৪ঃ ১০১)। এখন তো মানুষ নিরাপদ হয়ে গেছে। (ইসলামও প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে)। উমর (রাযিঃ) বললেনঃ তুমি যাতে বিস্বয়বোধ করছ আমিও তাতে বিস্ময়বোধ করেছিলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছিলাম। তিনি বলেছিলেনঃ এতো আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অনুগ্রহ যা তিনি তোমাদের দান করেছেন। সুতরাং আল্লাহর এই দান তোমরা গ্রহণ কর।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَاهُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، قَالَ قُلْتُ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ إِنَّمَا قَالَ اللَّهُ : ( أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلاَةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا ) وَقَدْ أَمِنَ النَّاسُ . فَقَالَ عُمَرُ عَجِبْتُ مِمَّا عَجِبْتَ مِنْهُ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " صَدَقَةٌ تَصَدَّقَ اللَّهُ بِهَا عَلَيْكُمْ فَاقْبَلُوا صَدَقَتَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: