আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৯৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯৩
সূরা আল-ই-ইমরান
২৯৯৩. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ
فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْعٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ
যাদের অন্তরে আছে বক্রতা শুধু তারাই ফেতনা-ফাসাদ ও ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে মুতাশাবিহাতের অনুসরণ করে (৩ঃ ৭) আয়াতটি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেছেন: এদের যখন দেখবে তখন এদের চিনে রাখবে। ইয়াযীদ (রাহঃ)-এর বর্ণনায় আছে যে নবী (ﷺ) এই কথা তিনবার বলেছিলেন।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।
فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْعٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ
যাদের অন্তরে আছে বক্রতা শুধু তারাই ফেতনা-ফাসাদ ও ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে মুতাশাবিহাতের অনুসরণ করে (৩ঃ ৭) আয়াতটি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেছেন: এদের যখন দেখবে তখন এদের চিনে রাখবে। ইয়াযীদ (রাহঃ)-এর বর্ণনায় আছে যে নবী (ﷺ) এই কথা তিনবার বলেছিলেন।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، وَهُوَ الْخَزَّازُ وَيَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ يَزِيدُ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو عَامِرٍ الْقَاسِمَ قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَوْلِهِ : ( فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْعٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ ) قَالَ " فَإِذَا رَأَيْتِيهِمْ فَاعْرِفِيهِمْ " . وَقَالَ يَزِيدُ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمْ فَاعْرِفُوهُمْ . قَالَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯৪
সূরা আল-ই-ইমরান
২৯৯৪. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এই আয়াতটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলঃ
هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ
তিনিই আপনার কাছে এই কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যার কতক তো মুহকামাত-দ্ব্যার্থহীন সুস্পষ্ট এইগুলোই কিতাবের মূল। আর কতক হল মুতাশাবিহাত রূপক (৩ঃ ৭)
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা যখন ঐ সব লোকদের দেখবে যারা মুতাশাবিহাত আয়াতসমূহের অনুসরণ করছে তখন জানবে এরাই তারা যাদের সম্বন্ধে আল্লাহ্ তাআলা তাঁর কিতাবে (৩ঃ ৭ আয়াত দ্রষ্টব্য) উল্লেখ করেছেন। সুতরাং তাদের থেকে তোমরা বেঁচে যাবে। বুখারি ও মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আইয়ুব ......... ইবনে আবু মূলায়কা সূত্রেও এই হাদীসটি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে। ইবনে আবু মূলায়কা ......... আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে একাধিক রাবী এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাদের সনদে কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর উল্লেখ নেই। এই হাদীসে ইয়াযীদ ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ)-ই কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর উল্লেখ করেছেন। ইবনে আবু মূলায়কা (রাহঃ) হলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু মূলায়কা। তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকেও সরাসরি হাদীস শুনেছেন।
هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ
তিনিই আপনার কাছে এই কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যার কতক তো মুহকামাত-দ্ব্যার্থহীন সুস্পষ্ট এইগুলোই কিতাবের মূল। আর কতক হল মুতাশাবিহাত রূপক (৩ঃ ৭)
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা যখন ঐ সব লোকদের দেখবে যারা মুতাশাবিহাত আয়াতসমূহের অনুসরণ করছে তখন জানবে এরাই তারা যাদের সম্বন্ধে আল্লাহ্ তাআলা তাঁর কিতাবে (৩ঃ ৭ আয়াত দ্রষ্টব্য) উল্লেখ করেছেন। সুতরাং তাদের থেকে তোমরা বেঁচে যাবে। বুখারি ও মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আইয়ুব ......... ইবনে আবু মূলায়কা সূত্রেও এই হাদীসটি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে। ইবনে আবু মূলায়কা ......... আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে একাধিক রাবী এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাদের সনদে কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর উল্লেখ নেই। এই হাদীসে ইয়াযীদ ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ)-ই কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর উল্লেখ করেছেন। ইবনে আবু মূলায়কা (রাহঃ) হলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু মূলায়কা। তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকেও সরাসরি হাদীস শুনেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ هَذِهِ الآيَةِ : ( هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ فَأُولَئِكَ الَّذِينَ سَمَّاهُمُ اللَّهُ فَاحْذَرُوهُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَرُوِيَ عَنْ أَيُّوبَ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ هَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ وَإِنَّمَا ذَكَرَ يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التُّسْتَرِيُّ عَنِ الْقَاسِمِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ . وَابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ سَمِعَ مِنْ عَائِشَةَ أَيْضًا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯৫
সূরা আল-ই-ইমরান
২৯৯৫. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ প্রত্যেক নবীর জন্যই নবীদের থেকে একজন অভিভাবক থাকেন। আমার অভিভাবক হলেন আমার পিতা এবং পরওয়ারদিগারের খালীল ইবরাহীম। এরপর তিনি পাঠ করলেনঃ
إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِإِبْرَاهِيمَ لَلَّذِينَ اتَّبَعُوهُ وَهَذَا النَّبِيُّ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاللَّهُ وَلِيُّ الْمُؤْمِنِينَ
মানুষের মধ্যে ইবরাহীমের ঘনিষ্ঠতম হল তারা যারা ইবরাহীমের অনুসরণ করেছে এবং এই নবী ও যারা ঈমান এনেছে। আর আল্লাহ্ই মুমিনদের অভিভাবর (৩ঃ৬৮)।
মাহমুদ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। এতে মাসরূক (রাহঃ)-এর উল্লেখ নেই। আবুয যুহা মাসরুক সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত অপেক্ষা এটি অধিক সহীহ। আবুয যুহা (রাহঃ) এর নাম হল মুসলিম ইবনে সুবায়হ।
আবু কুরায়ব (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে আবু নুআয়ম (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। এতে মাসরূকের উল্লেখ নেই।
إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِإِبْرَاهِيمَ لَلَّذِينَ اتَّبَعُوهُ وَهَذَا النَّبِيُّ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاللَّهُ وَلِيُّ الْمُؤْمِنِينَ
মানুষের মধ্যে ইবরাহীমের ঘনিষ্ঠতম হল তারা যারা ইবরাহীমের অনুসরণ করেছে এবং এই নবী ও যারা ঈমান এনেছে। আর আল্লাহ্ই মুমিনদের অভিভাবর (৩ঃ৬৮)।
মাহমুদ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। এতে মাসরূক (রাহঃ)-এর উল্লেখ নেই। আবুয যুহা মাসরুক সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত অপেক্ষা এটি অধিক সহীহ। আবুয যুহা (রাহঃ) এর নাম হল মুসলিম ইবনে সুবায়হ।
আবু কুরায়ব (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে আবু নুআয়ম (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। এতে মাসরূকের উল্লেখ নেই।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ وُلاَةً مِنَ النَّبِيِّينَ وَإِنَّ وَلِيِّيَ أَبِي وَخَلِيلُ رَبِّي " . ثُمَّ قَرَأَ : (إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِإِبْرَاهِيمَ لَلَّذِينَ اتَّبَعُوهُ وَهَذَا النَّبِيُّ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاللَّهُ وَلِيُّ الْمُؤْمِنِينَ ).
حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ وَلَمْ يَقُلْ فِيهِ عَنْ مَسْرُوقٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الضُّحَى عَنْ مَسْرُوقٍ وَأَبُو الضُّحَى اسْمُهُ مُسْلِمُ بْنُ صُبَيْحٍ .
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي نُعَيْمٍ وَلَيْسَ فِيهِ عَنْ مَسْرُوقٍ .
حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ وَلَمْ يَقُلْ فِيهِ عَنْ مَسْرُوقٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الضُّحَى عَنْ مَسْرُوقٍ وَأَبُو الضُّحَى اسْمُهُ مُسْلِمُ بْنُ صُبَيْحٍ .
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي نُعَيْمٍ وَلَيْسَ فِيهِ عَنْ مَسْرُوقٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯৬
সূরা আল-ই-ইমরান
২৯৯৬. হান্নাদ (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন মুসলিমের সম্পদ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে কেউ যদি মিথ্যা কসম করে তবে আল্লাহর সঙ্গে এমনভাবে সাক্ষাত করবে যে, তিনি তার উপর রাগাম্বিত থাকবেন।
আশআছ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, আমার বিষয়েই এটি নাযিল হয়েছিল। আমার ও এক ইয়াহুদীর মাঝে একটা যমীন ছিল। কিন্তু সে ব্যক্তি আমার হিস্যা অস্বীকার করে। তখন আমি বিষয়টি নবী (ﷺ) এর নিকট উল্লেখ করলাম, তিনি বললেনঃ তোমার কোন সাক্ষী আছে কি? আমি বললামঃ না।
তিনি ইয়াহুদীটিকে বললেনঃ তুমি কসম করে বল। আমি বললামঃ তা হলে তো সে কসম করে ফেলবে। আর মাল নিয়ে যাবে। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেনঃ
إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً
যারা আল্লাহ্ সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে এরা তারা পরকালে যাদের কোন অংশ নেই। (৩ঃ ৭৭)। ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই বিষয়ে ইবনে আওফা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
আশআছ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, আমার বিষয়েই এটি নাযিল হয়েছিল। আমার ও এক ইয়াহুদীর মাঝে একটা যমীন ছিল। কিন্তু সে ব্যক্তি আমার হিস্যা অস্বীকার করে। তখন আমি বিষয়টি নবী (ﷺ) এর নিকট উল্লেখ করলাম, তিনি বললেনঃ তোমার কোন সাক্ষী আছে কি? আমি বললামঃ না।
তিনি ইয়াহুদীটিকে বললেনঃ তুমি কসম করে বল। আমি বললামঃ তা হলে তো সে কসম করে ফেলবে। আর মাল নিয়ে যাবে। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেনঃ
إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً
যারা আল্লাহ্ সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে এরা তারা পরকালে যাদের কোন অংশ নেই। (৩ঃ ৭৭)। ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই বিষয়ে ইবনে আওফা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ هُوَ فِيهَا فَاجِرٌ لِيَقْتَطِعَ بِهَا مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ " . فَقَالَ الأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ فِيَّ وَاللَّهِ كَانَ ذَلِكَ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ مِنَ الْيَهُودِ أَرْضٌ فَجَحَدَنِي فَقَدَّمْتُهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلَكَ بَيِّنَةٌ " . فَقُلْتُ لاَ . فَقَالَ لِلْيَهُودِيِّ " احْلِفْ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذًا يَحْلِفَ فَيَذْهَبَ بِمَالِي فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: ( إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯৭
সূরা আল-ই-ইমরান
২৯৯৭. ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ...... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু তালহার একটি বাগান ছিলঃ
(لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ) أَوْ : (مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا)
‘তোমরা যা ভালবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনও পূণ্য লাভ করতে পারবে না’ (৩ঃ ৯২) অথবা কে সে যে আল্লাহ কে উত্তম ঋণ প্রদান করবে? (২ঃ ২৪৫) আয়াতটি নাযিল হলে আবু তালহা (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার এই বাগানটি আল্লাহর জন্য দান করলাম। গোপনে এটি আল্লাহর পথে দিতে পারলে সে কথা প্রকাশ করতাম না। তিনি বললেনঃ তোমার নিকট-আত্মীয়দের দিয়ে দাও। অথবা বললেন, অধিক নিকট-আত্মীয়দের দিয়ে দাও।আবু দাউদ, বুখারি, মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) এটিকে ইসহাক ইবনে আব্দুল্লাহ্ আবু তালহা-আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) সূত্রে বণানা করেছেন।
(لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ) أَوْ : (مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا)
‘তোমরা যা ভালবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনও পূণ্য লাভ করতে পারবে না’ (৩ঃ ৯২) অথবা কে সে যে আল্লাহ কে উত্তম ঋণ প্রদান করবে? (২ঃ ২৪৫) আয়াতটি নাযিল হলে আবু তালহা (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার এই বাগানটি আল্লাহর জন্য দান করলাম। গোপনে এটি আল্লাহর পথে দিতে পারলে সে কথা প্রকাশ করতাম না। তিনি বললেনঃ তোমার নিকট-আত্মীয়দের দিয়ে দাও। অথবা বললেন, অধিক নিকট-আত্মীয়দের দিয়ে দাও।আবু দাউদ, বুখারি, মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) এটিকে ইসহাক ইবনে আব্দুল্লাহ্ আবু তালহা-আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) সূত্রে বণানা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : (لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ) أَوْ : (مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا) قَالَ أَبُو طَلْحَةَ وَكَانَ لَهُ حِائِطٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ حَائِطِي لِلَّهِ وَلَوِ اسْتَطَعْتُ أَنْ أُسِرَّهُ لَمْ أُعْلِنْهُ . فَقَالَ " اجْعَلْهُ فِي قَرَابَتِكَ أَوْ أَقْرَبِيكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ .
হাদীস নং:২৯৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯৮
সূরা আল-ই-ইমরান
২৯৯৮. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর দিকে দাঁড়িয়ে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! প্রকৃত হাজী কে? তিনি বললেনঃ যে ধুলি ধূসর আলু থালু কেশধারী ও অপরিচ্ছন্ন লোক। আরেক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! হজ্জের কোন হজ্জটি উত্তম? তিনি বললেনঃ তালবিয়্যার উচ্ছস্বর এবং কুরবানীর রক্ত প্রবাহ। অন্য এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সাবীল - রাস্তা (এর সামর্থ্য) কি? তিনি বললেনঃ (মক্কা পর্যন্ত আসা-যাওয়ার মত) পাথেয় এবং বাহন।
ইবরাহীম ইবনে ইয়াযীদ খওযী মক্কী (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। কোন কোন হাদীসবিদ স্মরণ শক্তির দিক দিয়ে ইবরাহীম ইবনে ইয়াযীদের সমালোচনা করেছেন।
ইবরাহীম ইবনে ইয়াযীদ খওযী মক্কী (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। কোন কোন হাদীসবিদ স্মরণ শক্তির দিক দিয়ে ইবরাহীম ইবনে ইয়াযীদের সমালোচনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ الْمَخْزُومِيَّ، يُحَدِّثُ عَنِ ابَنِ عُمَرَ، قَالَ قَامَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَنِ الْحَاجُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " الشَّعِثُ التَّفِلُ " . فَقَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ أَىُّ الْحَجِّ أَفْضَلُ قَالَ " الْعَجُّ وَالثَّجُّ " . فَقَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ مَا السَّبِيلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ الْخُوزِيِّ الْمَكِّيِّ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ فِي إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯৯
সূরা আল-ই-ইমরান
২৯৯৯. কুতায়বা (রাহঃ) ..... আমির ইবনে সা’দ তার পিতা সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, (نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ) ’আমরা আহবান করি আমাদের পুত্রদের এবং তোমাদের পুত্রদের আমাদের নারীদের এবং তোমাদের নারীদের (৩ঃ ৬১), আয়াত নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইনকে ডাকলেন এবং বললেনঃ ইয়া আল্লাহ! এরা আমার পরিজন।
হাদীসটি হাসান-সহীহ গারীব।
হাদীসটি হাসান-সহীহ গারীব।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ، هُوَ مَدَنِيٌّ ثِقَةٌ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ هَذِهِ الآيَةَ : ( نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ ) دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا وَفَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ " اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০০০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০০
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০০০. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আবু গালিব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু উমামা (রাযিঃ) দামেশকের সিঁড়িতে (খারিজীদের কর্তিত) কিছু মাথা রক্ষিত দেখত পেলেন। তিনি বললেনঃ এরা হল জাহান্নামের কুকুর। এরা আসমানের নীচে সবচেয়ে নিকৃষ্ট নিহত ব্যক্তি। আর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নিহত ব্যক্তি হল যাদের এরা হত্যা করেছে। এরপর তিনি পাঠ করলেনঃ
يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ
সেদিন (কিয়ামতের দিন) কতক মুখ হবে উজ্জ্বল আর কতক মুখ হবে কাল (৩ঃ ১০৬) আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
আমি আবু উমামা (রাযিঃ) কে বললাম, আপনি কি নিজে তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট থেকে শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি যদি তা একবার, দু’বার, তিনবার, চারবার এরূপ সাতবার গণনা করলেন-রাসূলুল্লাহ্ থেকে না শুনতাম তবে তোমাদের কাছে তা বর্ণনা করতাম না।
হাদীসটি হাসান। আবু গালিব (রাহঃ) এর নাম হল হাযাওয়ার। আবু উমাম বাহিলী (রাযিঃ)-এর নাম হল সুদায়া ইবনে আজলান। তিনি ছিলেন বাহিলা গোত্রের সরদার।
يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ
সেদিন (কিয়ামতের দিন) কতক মুখ হবে উজ্জ্বল আর কতক মুখ হবে কাল (৩ঃ ১০৬) আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
আমি আবু উমামা (রাযিঃ) কে বললাম, আপনি কি নিজে তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট থেকে শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি যদি তা একবার, দু’বার, তিনবার, চারবার এরূপ সাতবার গণনা করলেন-রাসূলুল্লাহ্ থেকে না শুনতাম তবে তোমাদের কাছে তা বর্ণনা করতাম না।
হাদীসটি হাসান। আবু গালিব (রাহঃ) এর নাম হল হাযাওয়ার। আবু উমাম বাহিলী (রাযিঃ)-এর নাম হল সুদায়া ইবনে আজলান। তিনি ছিলেন বাহিলা গোত্রের সরদার।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ صَبِيحٍ، وَحَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، قَالَ رَأَى أَبُو أُمَامَةَ رُءُوسًا مَنْصُوبَةً عَلَى دَرَجِ مَسْجِدِ دِمَشْقَ فَقَالَ أَبُو أُمَامَةَ " كِلاَبُ النَّارِ شَرُّ قَتْلَى تَحْتَ أَدِيمِ السَّمَاءِ خَيْرُ قَتْلَى مَنْ قَتَلُوهُ " . ثُمَّ قَرَأَ : ( يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ قُلْتُ لأَبِي أُمَامَةَ أَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْ لَمْ أَسْمَعْهُ إِلاَّ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا أَوْ أَرْبَعًا حَتَّى عَدَّ سَبْعًا مَا حَدَّثْتُكُمُوهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَأَبُو غَالِبٍ يُقَالُ اسْمُهُ حَزَوَّرُ وَأَبُو أُمَامَةَ الْبَاهِلِيُّ اسْمُهُ صُدَىُّ بْنُ عَجْلاَنَ وَهُوَ سَيِّدُ بَاهِلَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০০১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০১
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০০১. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... বাহয ইবনে হাকীম তার পিতা তার পিতামহ থেকে বর্ণিত যে, আল্লাহর বাণীঃ (كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ) তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত মানুষের কল্যাণে তোমাদের আবির্ভাব (৩ঃ ১১০)’ প্রসঙ্গে তিনি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছেনঃ তোমরা হলে সত্তর উম্মত পূর্ণকারী। তোমরা হলে এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং আল্লাহর কাছে সবচেয়ে মর্যাদাবান।
হাদীসটি হাসান। একাধিক রাবীূ বাহয ইবনে হাকীম (রাহঃ) এর সূত্রে এই হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তারা এতে (كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ) আয়াতটির উল্লেখ করেন নি।
হাদীসটি হাসান। একাধিক রাবীূ বাহয ইবনে হাকীম (রাহঃ) এর সূত্রে এই হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তারা এতে (كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ) আয়াতটির উল্লেখ করেন নি।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي قَوْلِهِ : (كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ) قَالَ " إِنَّكُمْ تُتِمُّونَ سَبْعِينَ أُمَّةً أَنْتُمْ خَيْرُهَا وَأَكْرَمُهَا عَلَى اللَّهِ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ نَحْوَ هَذَا وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ ( كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ ) .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০০২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০২
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০০২. আহমদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) ...... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উহুদ যুদ্ধে নবী (ﷺ) এর সামনের চারটি দাঁত শহীদ হয়ে যায় এবং তাঁর চেহারার কপালে আঘাত লাগে। এমনকি তাঁর চেহারায় রক্ত প্রবাহিত হয়। তখন তিনি বললেনঃ এই সম্প্রদায় কিভাবে সফলতা লাভ করবে, যারা তাদের নবীর সঙ্গে এই আচরণ করে! অথচ নবী তাদের আল্লাহর দিকে আহবান জানাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে এই আয়াত নাযিল হয়ঃ
لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ
এ ব্যাপারে আপনাকে কোন কর্তৃত্ব দেওয়া হয়নি। আল্লাহ্ তাদের তওবার সযোগে দিবেন বা তাদের শাস্তি দিবেন ......... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ঃ ১২৮) মুসলিম, বুখারী
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ
এ ব্যাপারে আপনাকে কোন কর্তৃত্ব দেওয়া হয়নি। আল্লাহ্ তাদের তওবার সযোগে দিবেন বা তাদের শাস্তি দিবেন ......... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ঃ ১২৮) মুসলিম, বুখারী
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ يَوْمَ أُحُدٍ وَشُجَّ وَجْهُهُ شَجَّةً فِي جَبْهَتِهِ حَتَّى سَالَ الدَّمُ عَلَى وَجْهِهِ فَقَالَ " كَيْفَ يُفْلِحُ قَوْمٌ فَعَلُوا هَذَا بِنَبِيِّهِمْ وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ " . فَنَزَلَتْ : ( لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ ) إِلَى آخِرِهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৩
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০০৩. আহমদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর চেহারা (উহুদের দিন) যখমী হয়ে যায়, তাঁর সামনের দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং তাঁর কাঁধে তীরের আঘাত লাগে। এতে তাঁর চেহারায় রক্ত প্রবাহিত হতে লাগল। তিনি তা মুছতে ছিলেন এবং বলছিলেনঃ কিভাবে এই সম্প্রদায় সফল হবে যারা তাদের নবীর সঙ্গে এই আচরণ করল! অথচ তিনি তাদের আল্লাহর দিকে ডাকছেন। আল্লাহ্ তাআলা তখন এই আয়াত নাযিল করেনঃ
لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ
‘এ ব্যাপারে আপনাকে কোন কর্তৃত্ব দেওয়া হয়নি। আল্লাহ্ তাঁদের তওবার সুযোগ দিবেন কিংবা তাদের শাস্তি দিবেন, কেননা তারা জালিম।’ (৩ঃ ১২৮)
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ
‘এ ব্যাপারে আপনাকে কোন কর্তৃত্ব দেওয়া হয়নি। আল্লাহ্ তাঁদের তওবার সুযোগ দিবেন কিংবা তাদের শাস্তি দিবেন, কেননা তারা জালিম।’ (৩ঃ ১২৮)
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شُجَّ فِي وَجْهِهِ وَكُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ وَرُمِيَ رَمْيَةً عَلَى كَتِفِهِ فَجَعَلَ الدَّمُ يَسِيلُ عَلَى وَجْهِهِ وَهُوَ يَمْسَحُهُ وَيَقُولُ " كَيْفَ تُفْلِحُ أُمَّةٌ فَعَلُوا هَذَا بِنَبِيِّهِمْ وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ " . فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى : (لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ ) . سَمِعْتُ عَبْدَ بْنَ حُمَيْدٍ يَقُولُ غَلِطَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ فِي هَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৪
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০০৪. আবু সাইব সালম ইবনে জুনাদা ইবনে সালম কূফী (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণির্ত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উহুদ যুদ্ধের দিন বলেছিলেনঃ আয় আল্লাহ্! আবু সুফিয়ানকে লানত কর, হারিছ ইবনে হিশামকে লানত কর, সাফওয়ান ইবনে উমাইয়াকে লানত কর। তখন এই আয়াত (৩ঃ ১২৮) لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ নাযিল হয়ঃ (৩ঃ১২৮)
পরবর্তীতে আল্লাহ্ তাআলা তাদের তওবার তাওফীক দেন এবং তাঁরা ইসলাম গ্রহণ করেন। তাদের ইসলামী জীবন ছিল চমৎকার। বুখারি
হাদীসটি হাসান-গারীব। উমর ইবনে হামযা-সালিম সূত্রের হাদীসটিকে গারীব গণ্য কার হয়। যুহরী (রাহঃ)-ও সালিম-তাঁর পিতা ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
পরবর্তীতে আল্লাহ্ তাআলা তাদের তওবার তাওফীক দেন এবং তাঁরা ইসলাম গ্রহণ করেন। তাদের ইসলামী জীবন ছিল চমৎকার। বুখারি
হাদীসটি হাসান-গারীব। উমর ইবনে হামযা-সালিম সূত্রের হাদীসটিকে গারীব গণ্য কার হয়। যুহরী (রাহঃ)-ও সালিম-তাঁর পিতা ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ بْنِ سَلْمٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ " اللَّهُمَّ الْعَنْ أَبَا سُفْيَانَ اللَّهُمَّ الْعَنِ الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ اللَّهُمَّ الْعَنْ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ " . قَالَ فَنَزَلَتْ : (لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ ) فَتَابَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ فَأَسْلَمُوا فَحَسُنَ إِسْلاَمُهُمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ يُسْتَغْرَبُ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৫
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০০৫. ইয়াহয়া ইবনে হাবীব ইবনে আরাবী বসরী (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) চারজনের জন্য বদ দুআ করেছিলেন। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ (لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ) (৩ঃ১২৮)।
অনন্তর আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে হিদায়াত দান করেন। বুখারি
হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। নাফি‘ ......... ইবনে উমর সনদে বর্ণিত রিওয়ায়াত হিসাবে এটিকে গারীব গণ্য করা হয়। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব (রাহঃ) এটি ইবনে আজলান (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
অনন্তর আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে হিদায়াত দান করেন। বুখারি
হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। নাফি‘ ......... ইবনে উমর সনদে বর্ণিত রিওয়ায়াত হিসাবে এটিকে গারীব গণ্য করা হয়। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব (রাহঃ) এটি ইবনে আজলান (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو عَلَى أَرْبَعَةِ نَفَرٍ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ ) فَهَدَاهُمُ اللَّهُ لِلإِسْلاَمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ يُسْتَغْرَبُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَرَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৬
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০০৬. কুতায়বা (রাহঃ) ..... আসমা ইবনে হাকাম ফাযারী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আমি এমন ব্যক্তি ছিলাম যে, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে কোন হাদীস শুনতাম, তখন এর দ্বারা আল্লাহ্ তাআলা আমাকে যে উপকার পৌঁছাতে ইচ্ছা করতেন, সে উপকার আমি লাভ করতাম। আর যদি তাঁর সাহাবীদের কেউ আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করত তবে আমি তার কাছ থেকে হলফ নিতাম। সে হলফ করলে আমি তাকে বিশ্বাস করতাম। আর আবু বকর (রাযিঃ) আমার কাছে একটি হাদীস বর্ণনা করেন এবং আবু বকর (রাযিঃ) তো ছিলেন সত্যবাদী। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, কোন ব্যক্তি যদি গুনাহ্ করে ফেলে, এরপর সে উঠে তাহারাত হাসিল করে এর পরে নামায আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, আল্লাহ্ তাকে অবশ্যই ক্ষমা করে দেন। এরপর তিনি এই আয়াত পাঠ করলেনঃ
وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا
‘এবং যারা কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা নিজের প্রতি জুলম প্রতি জুলম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে’ আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ঃ ১৩৫)।
শু’বা প্রমুখ (রাহঃ) এই হাদীসটি উছমান ইবনুল মুগীরা সূত্রে মারফু’রূপে রিওয়ায়াত করেছেন। মিসআর এবং সুফিয়ান (রাহঃ) এটি উছমান ইবনে মুগীরা সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তাঁর মারফূ’ রূপে বর্ণনা করেননি। এই হাদীসটি ছাড়া আসমা (রাহঃ) এর আর কোন হাদীস আমাদের জানা নেই।
وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا
‘এবং যারা কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা নিজের প্রতি জুলম প্রতি জুলম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে’ আয়াতের শেষ পর্যন্ত (৩ঃ ১৩৫)।
শু’বা প্রমুখ (রাহঃ) এই হাদীসটি উছমান ইবনুল মুগীরা সূত্রে মারফু’রূপে রিওয়ায়াত করেছেন। মিসআর এবং সুফিয়ান (রাহঃ) এটি উছমান ইবনে মুগীরা সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তাঁর মারফূ’ রূপে বর্ণনা করেননি। এই হাদীসটি ছাড়া আসমা (রাহঃ) এর আর কোন হাদীস আমাদের জানা নেই।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ بْنِ الْحَكَمِ الْفَزَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، يَقُولُ إِنِّي كُنْتُ رَجُلاً إِذَا سَمِعْتُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا نَفَعَنِي اللَّهُ مِنْهُ بِمَا شَاءَ أَنْ يَنْفَعَنِي وَإِذَا حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ اسْتَحْلَفْتُهُ فَإِذَا حَلَفَ لِي صَدَّقْتُهُ وَإِنَّهُ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ وَصَدَقَ أَبُو بَكْرٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ رَجُلٍ يُذْنِبُ ذَنْبًا ثُمَّ يَقُومُ فَيَتَطَهَّرُ ثُمَّ يُصَلِّي ثُمَّ يَسْتَغْفِرُ اللَّهَ إِلاَّ غَفَرَ لَهُ " . ثُمَّ قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ : (وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ قَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَرَفَعُوهُ وَرَوَاهُ مِسْعَرٌ وَسُفْيَانُ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَلَمْ يَرْفَعَاهُ وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ مِسْعَرٍ فَأَوْقَفَهُ وَرَفَعَهُ بَعْضُهُمْ وَرَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَأَوْقَفَهُ وَلاَ نَعْرِفُ لأَسْمَاءَ بْنِ الْحَكَمِ حَدِيثًا إِلاَّ هَذَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৭
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০০৭. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... আবু তালহা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উহুদের দিন আমি মাথা তুলে তাকাতে লাগলাম। ঐ দিন এমন কেউ ছিল না, যে তার ঢালের আড়ালে তন্দ্রায় ঝিমুচ্ছিল না। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তাআলার বাণীঃ (ثم انزل عَلَيْكُمْ مِنْ بَعْدِ الْغَمِّ أَمَنَةً نُعَاسًا) আর দুশ্চিন্তার পর আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের উপর নাযিল করলেন প্রশান্তি তন্দ্রারূপে (৩ঃ ১৫৪)।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... যুবাইর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... যুবাইর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، قَالَ رَفَعْتُ رَأْسِي يَوْمَ أُحُدٍ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ وَمَا مِنْهُمْ يَوْمَئِذٍ أَحَدٌ إِلاَّ يَمِيدُ تَحْتَ حَجَفَتِهِ مِنَ النُّعَاسِ فَذَلِكَ قَوْلُهُ عَزَّ وَجَلََّّ : (فَأَنْزَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ بَعْدِ الْغَمِّ أَمَنَةً نُعَاسًا ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الزُّبَيْرِ، مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الزُّبَيْرِ، مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৮
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০০৮. ইউসুফ ইবনে হাম্মাদ (রাহঃ) ..... আবু তালহা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা উহুদের দিন যুদ্ধের ময়দানেই তন্দ্রাভিভূত হয়ে পড়েছিলাম। তিনি আরো বলেনঃ ঐ দিন তন্দ্রা যাদের আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল তিনি তাদের অন্যতম ছিলেন। তিনি বলেন, আমার তরবারী হাত থেকে পড়ে যায়। আমি তা তুলে নেই। আবার হাত থেকে পড়ে যায় আবার তা তুলে নেই। আরেক দল ছিল মুনাফিকদের। তাদের নিজেদের ছাড়া আর কোন চিন্তা ছিল না। এরা ছিল সবচেয়ে ভীরু। সবচেয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষ পরিত্যাগকারী সম্প্রদায়।বুখারি
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ، قَالَ غُشِينَا وَنَحْنُ فِي مَصَافِّنَا يَوْمَ أُحُدٍ حَدَّثَ أَنَّهُ كَانَ فِيمَنْ غَشِيَهُ النُّعَاسُ يَوْمَئِذٍ قَالَ فَجَعَلَ سَيْفِي يَسْقُطُ مِنْ يَدِي وَآخُذُهُ وَيَسْقُطُ مِنْ يَدِي وَآخُذُهُ وَالطَّائِفَةُ الأُخْرَى الْمُنَافِقُونَ لَيْسَ لَهُمْ هَمٌّ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ أَجْبَنُ قَوْمٍ وَأَرْعَبُهُ وَأَخْذَلُهُ لِلْحَقِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩০০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০০৯
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০০৯. কুতায়বা (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এই আয়াতটি নাযিল হয়ঃ (مَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَغُلَّ) ’গোপনে খেয়ানত করা নবীর দ্বারা সংঘটিত হতে পারে না (৩ঃ ১৬১)।’ একটি লাল চাদরের বিষয়ে। বদরের দিন এই চাদরটি হারিয়ে যায়। কিছু লোক বলতে লাগল যে, হয়ত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এটি নিয়েছেন। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ (مَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَغُلَّ) আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
হাদীসটি হাসান-গারীব। আব্দুস সালাম ইবনে হারব (রাহঃ) খুসায়ফ সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কোন কোন রাবী এই হাদীসটিকে খুসায়ফ ......... মিকসাম (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা এতে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেন নি।
হাদীসটি হাসান-গারীব। আব্দুস সালাম ইবনে হারব (রাহঃ) খুসায়ফ সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কোন কোন রাবী এই হাদীসটিকে খুসায়ফ ......... মিকসাম (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা এতে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেন নি।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، حَدَّثَنَا مِقْسَمٌ، قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : ( وَمَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَغُلَّ ) فِي قَطِيفَةٍ حَمْرَاءَ افْتُقِدَتْ يَوْمَ بَدْرٍ . فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ لَعَلَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَهَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَغُلَّ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رَوَى عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ عَنْ خُصَيْفٍ نَحْوَ هَذَا وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ خُصَيْفٍ عَنْ مِقْسَمٍ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০১০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১০
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০১০. ইয়াহয়া ইবনে হাবীব ইবনে আরাবী (রাহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার সামনে পড়লেন। তিনি বললেনঃ হে জাবির! কি ব্যপার, আমি তোমাকে মন-ভাঙ্গা দেখছি? আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার পিতা শহীদ হয়ে গেছেন। তিনি এক পরিবার ও ঋণ রেখে গেছেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলা তোমার পিতার সঙ্গে কী ব্যবহার করেছেন সে সুসংবাদ তোমাকে দিব কি? আমি বললামঃ অবশ্যই ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলা হিজাবের অন্তরাল ছাড়া কারো সঙ্গে কখনও কথা বলেন নি। কিন্তু তিনি তোমার পিতাকে যিন্দা করেন এবং সামনা-সামনি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাকে বললেনঃ হে আমার বান্দা! তুমি তোমার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ কর আমি তোমাকে দান করব। তিনি বললেনঃ হে আমার রব! আপনি আমাকে যিন্দা করে দেন, যাতে আমি দ্বিতীয়বারে আপনার নামে শহীদ হই। রাব্বুল আলামীন বলেছেনঃ আমার পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে যে, এদের কেউ আর ফিরে যারে না। তিনি বলেন আর এই আয়াত নাযিল হয়ঃ
وَلَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا
যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়েছে তাদের কখনও মৃত ভেবো না ...... শেষ পর্যন্ত (৩ঃ ১৬৯)।
এই সূত্রে হাদীসটি হাসান-গারীব। মুসা ইবনে ইবরাহীম-এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাদীনী প্রমুখ বড় বড় হাদীসবিদগণ মুসা ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) সূত্রে এরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আকীল (রাহঃ)-ও জাবির (রাযিঃ) সূত্রে এই হাদীসটি আংশিক বর্ণনা করেছেন।
وَلَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا
যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়েছে তাদের কখনও মৃত ভেবো না ...... শেষ পর্যন্ত (৩ঃ ১৬৯)।
এই সূত্রে হাদীসটি হাসান-গারীব। মুসা ইবনে ইবরাহীম-এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাদীনী প্রমুখ বড় বড় হাদীসবিদগণ মুসা ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) সূত্রে এরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আকীল (রাহঃ)-ও জাবির (রাযিঃ) সূত্রে এই হাদীসটি আংশিক বর্ণনা করেছেন।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي " يَا جَابِرُ مَا لِي أَرَاكَ مُنْكَسِرًا " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتُشْهِدَ أَبِي قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ وَتَرَكَ عِيَالاً وَدَيْنًا . قَالَ " أَفَلاَ أُبَشِّرُكَ بِمَا لَقِيَ اللَّهُ بِهِ أَبَاكَ " . قَالَ قُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " مَا كَلَّمَ اللَّهُ أَحَدًا قَطُّ إِلاَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ وَأَحْيَا أَبَاكَ فَكَلَّمَهُ كِفَاحًا فَقَالَ يَا عَبْدِي تَمَنَّ عَلَىَّ أُعْطِكَ . قَالَ يَا رَبِّ تُحْيِينِي فَأُقْتَلَ فِيكَ ثَانِيةً . قَالَ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ إِنَّهُ قَدْ سَبَقَ مِنِّي أَنَّهُمْ إِلَيْهَا لاَ يُرْجَعُونَ " . قَالَ وَأُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : (وَلَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ وَرَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ كِبَارِ أَهْلِ الْحَدِيثِ هَكَذَا عَنْ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০১১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১১
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০১১. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
(لَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ)
(৩ : ১৬৯) আয়াতটি সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ শোন, আমরাও এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। আমাদের অবহিত করা হয়েছে যে, তাঁদের (শহীদদের) রূহগুলি সবুজ পাখির ভিতর থাকে। সে পাখি জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা উড়ে বেড়ায় এবং তারা আরশের সঙ্গে লটকানো ঝাড়ে থাকে। তোমার রব একবার তাদের সম্মুখে আবির্ভূত হবেন। বলবেন, আরো কোন জিনিস তোমরা চাও কি? তা হলে আমি তা তোমাদের জন্য বাড়িয়ে দিব।
তারা বলবেঃ হে আমাদের রব! আর কি অতিরিক্ত চাইব? আমরা জান্নাতে অবস্থান করছি। যেখানে ইচ্ছা উড়ে বেড়াই। তারপর আবার তিনি আবির্ভূত হয়ে বলবেন, তোমরা আরো কিছু অতিরিক্ত চাও কি? তোমাদের জন্য তা বাড়িয়ে দিব।
এরা যখন দেখবে যে, তাদের কিছু না দিয়ে ছাড়া হচ্ছে না, তখন তারা বলবেঃ আপনি আমাদের শরীরে আমাদের রূহ ফিরিয়ে দিন, যাতে আমরা দুনিয়ায় ফিরে যাই এবং আবার আপনার পথে শহীদ হই। মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে আরো আছেঃ আমাদের নবী (ﷺ)-কে আমাদের সালাম পৌঁছে দিবেন এবং তাঁকে এই সংবাদ দিবেন যে, আমরা সন্তুষ্ট এবং আমাদের উপর (আমাদের রব) সন্তুষ্ট।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান।
(لَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ)
(৩ : ১৬৯) আয়াতটি সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ শোন, আমরাও এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। আমাদের অবহিত করা হয়েছে যে, তাঁদের (শহীদদের) রূহগুলি সবুজ পাখির ভিতর থাকে। সে পাখি জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা উড়ে বেড়ায় এবং তারা আরশের সঙ্গে লটকানো ঝাড়ে থাকে। তোমার রব একবার তাদের সম্মুখে আবির্ভূত হবেন। বলবেন, আরো কোন জিনিস তোমরা চাও কি? তা হলে আমি তা তোমাদের জন্য বাড়িয়ে দিব।
তারা বলবেঃ হে আমাদের রব! আর কি অতিরিক্ত চাইব? আমরা জান্নাতে অবস্থান করছি। যেখানে ইচ্ছা উড়ে বেড়াই। তারপর আবার তিনি আবির্ভূত হয়ে বলবেন, তোমরা আরো কিছু অতিরিক্ত চাও কি? তোমাদের জন্য তা বাড়িয়ে দিব।
এরা যখন দেখবে যে, তাদের কিছু না দিয়ে ছাড়া হচ্ছে না, তখন তারা বলবেঃ আপনি আমাদের শরীরে আমাদের রূহ ফিরিয়ে দিন, যাতে আমরা দুনিয়ায় ফিরে যাই এবং আবার আপনার পথে শহীদ হই। মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে আরো আছেঃ আমাদের নবী (ﷺ)-কে আমাদের সালাম পৌঁছে দিবেন এবং তাঁকে এই সংবাদ দিবেন যে, আমরা সন্তুষ্ট এবং আমাদের উপর (আমাদের রব) সন্তুষ্ট।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ قَوْلِهِ : (وَلَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ ) فَقَالَ أَمَا إِنَّا قَدْ سَأَلْنَا عَنْ ذَلِكَ فَأُخْبِرْنَا أَنَّ أَرْوَاحَهُمْ فِي طَيْرٍ خُضْرٍ تَسْرَحُ فِي الْجَنَّةِ حَيْثُ شَاءَتْ وَتَأْوِي إِلَى قَنَادِيلَ مُعَلَّقَةٍ بِالْعَرْشِ فَاطَّلَعَ إِلَيْهِمْ رَبُّكَ اطِّلاَعَةً فَقَالَ هَلْ تَسْتَزِيدُونَ شَيْئًا فَأَزِيدُكُمْ قَالُوا رَبَّنَا وَمَا نَسْتَزِيدُ وَنَحْنُ فِي الْجَنَّةِ نَسْرَحُ حَيْثُ شِئْنَا ثُمَّ اطَّلَعَ إِلَيْهِمُ الثَّانِيَةَ فَقَالَ هَلْ تَسْتَزِيدُونَ شَيْئًا فَأَزِيدُكُمْ فَلَمَّا رَأَوْا أَنَّهُمْ لَمْ يُتْرَكُوا قَالُوا تُعِيدُ أَرْوَاحَنَا فِي أَجْسَادِنَا حَتَّى نَرْجِعَ إِلَى الدُّنْيَا فَنُقْتَلَ فِي سَبِيلِكَ مَرَّةً أُخْرَى . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، مِثْلَهُ وَزَادَ فِيهِ وَتُقْرِئُ نَبِيَّنَا السَّلاَمَ وَتُخْبِرُهُ عَنَّا أَنَّا قَدْ رَضِينَا وَرُضِيَ عَنَّا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، مِثْلَهُ وَزَادَ فِيهِ وَتُقْرِئُ نَبِيَّنَا السَّلاَمَ وَتُخْبِرُهُ عَنَّا أَنَّا قَدْ رَضِينَا وَرُضِيَ عَنَّا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০১২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১২
সূরা আল-ই-ইমরান
৩০১২. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে মারফূ’রূপে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার সম্পদের যাকাত দেয় না আল্লাহ্ ত’আলা কিয়ামতের দিন তার গলায় একটা আযদাহা পেঁচিয়ে দিবেন। এরপর তিনি এই দিকে ইঙ্গিত বহু কুরআনের আয়াতটি তিলাওয়াত করলেনঃ
لَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ
আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যা তোমাদের দিয়েছেন তাতে যারা কৃপণতা করে তা তাদের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করব না ...... (৩ঃ ১৮০)
কখনও কখনও তিনি বলতেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই বিষয়ে ইঙ্গিতবহ এই আয়াতটি পাঠ করতেনঃ (سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ) - যে বিষয়ে তারা কৃপনতা করবে কিয়ামতের দিন তাই তাদের গলার বেড়ী হবে ....... (৩ঃ ১৮০)
কেউ যদি (মিথ্যা) কসম করে তার মুসলিম ভাইয়ের সম্পদ আত্মসাৎ করে তবে আল্লাহর সঙ্গে তার এমন অবস্থায় সাক্ষাত হবে যে, তিনি তাদের উপর ক্রোধান্বিত থাকবেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর প্রতি ইঙ্গিতবহ এই আয়াত পাঠ করলেনঃ (إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ) (৩ঃ ৭৭)। বুখারি, মুসলিম
হাদীসটি হাসান সহীহ।
شجاعاً আযদাহা সাপ।
لَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ
আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যা তোমাদের দিয়েছেন তাতে যারা কৃপণতা করে তা তাদের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করব না ...... (৩ঃ ১৮০)
কখনও কখনও তিনি বলতেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই বিষয়ে ইঙ্গিতবহ এই আয়াতটি পাঠ করতেনঃ (سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ) - যে বিষয়ে তারা কৃপনতা করবে কিয়ামতের দিন তাই তাদের গলার বেড়ী হবে ....... (৩ঃ ১৮০)
কেউ যদি (মিথ্যা) কসম করে তার মুসলিম ভাইয়ের সম্পদ আত্মসাৎ করে তবে আল্লাহর সঙ্গে তার এমন অবস্থায় সাক্ষাত হবে যে, তিনি তাদের উপর ক্রোধান্বিত থাকবেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর প্রতি ইঙ্গিতবহ এই আয়াত পাঠ করলেনঃ (إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ) (৩ঃ ৭৭)। বুখারি, মুসলিম
হাদীসটি হাসান সহীহ।
شجاعاً আযদাহা সাপ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَامِعٍ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي رَاشِدٍ وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَعْيَنَ عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا مِنْ رَجُلٍ لاَ يُؤَدِّي زَكَاةَ مَالِهِ إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي عُنُقِهِ شُجَاعًا " . ثُمَّ قَرَأَ عَلَيْنَا مِصْدَاقَهُ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ : (وَلَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ ) الآيَةَ . وَقَالَ مَرَّةً قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِصْدَاقَهُ : (سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ) " وَمَنِ اقْتَطَعَ مَالَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ بِيَمِينٍ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ " . ثُمَّ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِصْدَاقَهُ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ : (إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান