আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৪
রোযার ফযীলত।
৭৬২. ইমরান ইবনে মুসা আল-কাযযায (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের রব বলেছেন, প্রতিটি নেক কাজের প্রতিদান হলো দশগুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত। রোযা হলো আমারই জন্য। সুতরাং আমি নিজে এর প্রতিদান দিব। রোযা হলো জাহান্নাম থেকে ঢাল স্বরূপ। রোযা পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশক আম্বরের গন্ধের চেয়েও অধিক পছন্দনীয়। রোযা পালন অবস্থায় কোন জাহিল (মূর্খ) যদি তোমাদের কারো সাথে মূর্খতা প্রদর্শন করে তবে সে যেন বলে আমি তো রোযা পালন করছি।

এই বিষয়ে মুআয ইবনে জাবাল, সাহল ইবনে সা’দ, কাব ইবনে উজরা, সালামা ইবনে কায়সার বাশীর ইবনুল খাসাসিয়্যা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। বাশীর (রাযিঃ) এর নাম হল যাহম ইবনে মাবাদ। খাসাসিয়্যা হলেন তাঁর মাতা। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি এই সূত্রে হাসান-গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصَّوْمِ
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى الْقَزَّازُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ رَبَّكُمْ يَقُولُ كُلُّ حَسَنَةٍ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ وَالصَّوْمُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ الصَّوْمُ جُنَّةٌ مِنَ النَّارِ وَلَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ وَإِنْ جَهِلَ عَلَى أَحَدِكُمْ جَاهِلٌ وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَكَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ وَسَلاَمَةَ بْنِ قَيْصَرٍ وَبَشِيرِ ابْنِ الْخَصَاصِيَةِ . وَاسْمُ بَشِيرٍ زَحْمُ بْنُ مَعْبَدٍ وَالْخَصَاصِيَةُ هِيَ أُمُّهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
হাদীস নং:৭৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৫
রোযার ফযীলত।
৭৬৩. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেন, জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে; একে ‘‘রায়্যান’’ নামে অভিহিত করা হয়। এই দরজা দিয়ে রোযা পালনকারীদের ডাকা হবে। যারা রোযা পালনকারী তারা এই দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি এতে প্রবেশ করবে সে কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না। - ইবনে মাজাহ ১৬৪০

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصَّوْمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَبَابًا يُدْعَى الرَّيَّانَ يُدْعَى لَهُ الصَّائِمُونَ فَمَنْ كَانَ مِنَ الصَّائِمِينَ دَخَلَهُ وَمَنْ دَخَلَهُ لَمْ يَظْمَأْ أَبَدًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
হাদীস নং:৭৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৬
রোযার ফযীলত।
৭৬৪. কুতায়বা (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, সায়েমের জন্য দু‘টি আনন্দ। একটি আনন্দ হলো যখন সে ইফতার করে; আরেকটি হলো যখন সে তার রবের সঙ্গে সাক্ষাত করবে। - ইবনে মাজাহ ১৬৩৮, মুসলিম

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصَّوْمِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ فَرْحَةٌ حِينَ يُفْطِرُ وَفَرْحَةٌ حِينَ يَلْقَى رَبَّهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .