আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬৭
সারা বছর রোযা পালন করা।
৭৬৫. কুতায়বা ও আহমাদ ইবনে আব্দা (রাহঃ) ...... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূল (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল যে ব্যক্তি সারা বছর রোযা পালন করবে তার কেমন হবে? তিনি বললেন তার রোযা হলো না, ইফতারও হলো না।
এই বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, আব্দুল্লাহ ইবনু-শিখখীর, ইমরান ইবনে হুসাইন ও আবু মুসা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু কাতাদা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান। আলিমগণের একদল সাওমুদ্দাহর অর্থ্যাৎ সারা বছর রোযা পালন করা মাকরূহ বলে মনে করেন। তাঁরা বলেন, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ও আইয়্যামে তাশরীকের দিনগুলোতে যদি কেউ রোযা পালন করে তবে তা হবে রোযাুদ্দাহার। এই দিনগুলোতে যে রোযা পালন করবেনা সে উপরোক্ত নিষিদ্ধ সীমা থেকে বের হয়ে যাবে এবং সে রোযাুদ্দাহার পালনকারী রূপে গণ্য হবে না। ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) থেকে এই ধরণের অভিমত বর্ণিত আছে। ইমাম শাফেঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এরও বক্তব্য অনুরূপ। তাঁরা বলেন, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং আইয়্যামে তাশরীক এই যে পাঁচটি দিন রোযা পালন করতে রাসুল (ﷺ) নিষেধ করেছেন। সেই পাঁচটি দিন ছাড়া অন্য কোন দিনের রোযা পরিত্যাগ করা ওয়াজিব নয়।
এই বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, আব্দুল্লাহ ইবনু-শিখখীর, ইমরান ইবনে হুসাইন ও আবু মুসা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু কাতাদা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান। আলিমগণের একদল সাওমুদ্দাহর অর্থ্যাৎ সারা বছর রোযা পালন করা মাকরূহ বলে মনে করেন। তাঁরা বলেন, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ও আইয়্যামে তাশরীকের দিনগুলোতে যদি কেউ রোযা পালন করে তবে তা হবে রোযাুদ্দাহার। এই দিনগুলোতে যে রোযা পালন করবেনা সে উপরোক্ত নিষিদ্ধ সীমা থেকে বের হয়ে যাবে এবং সে রোযাুদ্দাহার পালনকারী রূপে গণ্য হবে না। ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) থেকে এই ধরণের অভিমত বর্ণিত আছে। ইমাম শাফেঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এরও বক্তব্য অনুরূপ। তাঁরা বলেন, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং আইয়্যামে তাশরীক এই যে পাঁচটি দিন রোযা পালন করতে রাসুল (ﷺ) নিষেধ করেছেন। সেই পাঁচটি দিন ছাড়া অন্য কোন দিনের রোযা পরিত্যাগ করা ওয়াজিব নয়।
باب مَا جَاءَ فِي صَوْمِ الدَّهْرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ بِمَنْ صَامَ الدَّهْرَ قَالَ " لاَ صَامَ وَلاَ أَفْطَرَ " . أَوْ " لَمْ يَصُمْ وَلَمْ يُفْطِرْ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَأَبِي مُوسَى . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي قَتَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ صِيَامَ الدَّهْرِ وَأَجَازَهُ قَوْمٌ آخَرُونَ وَقَالُوا إِنَّمَا يَكُونُ صِيَامُ الدَّهْرِ إِذَا لَمْ يُفْطِرْ يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الأَضْحَى وَأَيَّامِ التَّشْرِيقِ فَمَنْ أَفْطَرَ هَذِهِ الأَيَّامَ فَقَدْ خَرَجَ مِنْ حَدِّ الْكَرَاهِيَةِ وَلاَ يَكُونُ قَدْ صَامَ الدَّهْرَ كُلَّهُ . هَكَذَا رُوِيَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ نَحْوًا مِنْ هَذَا وَقَالاَ لاَ يَجِبُ أَنْ يُفْطِرَ أَيَّامًا غَيْرَ هَذِهِ الْخَمْسَةِ الأَيَّامِ الَّتِي نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْهَا يَوْمِ الْفِطْرِ وَيَوْمِ الأَضْحَى وَأَيَّامَ التَّشْرِيقِ .