আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৬. সফর-মুসাফিরের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৫৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫০
সফর-মুসাফিরের অধ্যায়
সফরে নফল নামায আদায় করা।
৫৫০. কুতায়বা (রাহঃ) ...... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি আঠারবার রাসূল (ﷺ) এর সাথে সফরে ছিলাম। সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ার পর যোহরের পূর্বে দু’রাকআত (নফল) নামায পরিত্যাগ করতে আমি কখনও তাঁকে দেখিনি।
এই বিষয়ে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ বারা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি গারীব। এই বিষয়ে মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি লাঈস ইবনে সা’দ -এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে কিছু জানেন না। এমনিভাবে আবু বুসরা আল-গিফারীর নামও তিনি জানেন না। তবে তিনি তাকে ভাল মনে করেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (ﷺ) সফর অবস্থায় নামাযের পূর্বে বা পরে নফল আদায় করতেন না। আবার তাঁর বরাতে একথাও বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) সফর অবস্থায়ও নফল নামায আদায় করতেন।
রাসূল (ﷺ)-এর পর বিষয়টি সম্পর্কে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। কতক সাহাবী সফর অবস্থায়ও নফল নামায আদায়ের সপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। এ হল ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ) এরও অভিমত। আর একদল আলিম সফর অবস্থায় নামাযের পূর্বে বা পরে কোন নফল আদায় করতে হবে বলে মনে করেন না। তবে সফরে নফল আদায় না করা অর্থ হল না পড়ার এই সুযোগকে গ্রহণ করা। কিন্তু কেউ যদি এই অবস্থায়ও নফল আদায় করে তবে তার জন্য প্রভূত ফযীলত রয়েছে। অধিকাংশ আলিমের অভিমত এ-ই যে, তারা সফর অবস্থায় নফল আদায় করা পছন্দনীয় বলে মনে করেন।
এই বিষয়ে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ বারা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি গারীব। এই বিষয়ে মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি লাঈস ইবনে সা’দ -এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে কিছু জানেন না। এমনিভাবে আবু বুসরা আল-গিফারীর নামও তিনি জানেন না। তবে তিনি তাকে ভাল মনে করেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (ﷺ) সফর অবস্থায় নামাযের পূর্বে বা পরে নফল আদায় করতেন না। আবার তাঁর বরাতে একথাও বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) সফর অবস্থায়ও নফল নামায আদায় করতেন।
রাসূল (ﷺ)-এর পর বিষয়টি সম্পর্কে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। কতক সাহাবী সফর অবস্থায়ও নফল নামায আদায়ের সপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। এ হল ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ) এরও অভিমত। আর একদল আলিম সফর অবস্থায় নামাযের পূর্বে বা পরে কোন নফল আদায় করতে হবে বলে মনে করেন না। তবে সফরে নফল আদায় না করা অর্থ হল না পড়ার এই সুযোগকে গ্রহণ করা। কিন্তু কেউ যদি এই অবস্থায়ও নফল আদায় করে তবে তার জন্য প্রভূত ফযীলত রয়েছে। অধিকাংশ আলিমের অভিমত এ-ই যে, তারা সফর অবস্থায় নফল আদায় করা পছন্দনীয় বলে মনে করেন।
أبواب السفر
باب مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِي بُسْرَةَ الْغِفَارِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَفَرًا فَمَا رَأَيْتُهُ تَرَكَ الرَّكْعَتَيْنِ إِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ الظُّهْرِ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الْبَرَاءِ حَدِيثٌ غَرِيبٌ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْهُ فَلَمْ يَعْرِفْهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَلَمْ يَعْرِفِ اسْمَ أَبِي بُسْرَةَ الْغِفَارِيِّ وَرَآهُ حَسَنًا . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَتَطَوَّعُ فِي السَّفَرِ قَبْلَ الصَّلاَةِ وَلاَ بَعْدَهَا . وَرُوِيَ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَتَطَوَّعُ فِي السَّفَرِ . ثُمَّ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَأَى بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَتَطَوَّعَ الرَّجُلُ فِي السَّفَرِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَلَمْ تَرَ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُصَلَّى قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا . وَمَعْنَى مَنْ لَمْ يَتَطَوَّعْ فِي السَّفَرِ قَبُولُ الرُّخْصَةِ وَمَنْ تَطَوَّعَ فَلَهُ فِي ذَلِكَ فَضْلٌ كَثِيرٌ . وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَخْتَارُونَ التَّطَوُّعَ فِي السَّفَرِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫১
সফর-মুসাফিরের অধ্যায়
সফরে নফল নামায আদায় করা।
৫৫১. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ সফরে রাসূল (ﷺ) এর সঙ্গে যোহর দু’রাকআত আদায় করেছি এবং এরপর আরো দু’রাকআত (নফল) নামায আদায় করেছি।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান। ইবনে আবী লায়লা (রাহঃ)-ও এটিকে আতিয়্যা ও নাফি ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান। ইবনে আবী লায়লা (রাহঃ)-ও এটিকে আতিয়্যা ও নাফি ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
أبواب السفر
باب مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ فِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَطِيَّةَ وَنَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ .
হাদীস নং: ৫৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫২
সফর-মুসাফিরের অধ্যায়
সফরে নফল নামায আদায় করা।
৫৫২. মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদা আল-মুহারিবী (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল (ﷺ) এর সঙ্গে সফর ও মুকীম সর্বাবস্থায় নামায আদায় করেছি। মুকীম অবস্থায় যোহরের নামায চার রাকআত এবং এরপর (সুন্নত) দু’রাকআত আদায় করেছি; কিন্তু সফর অবস্থায় যোহর দু’রাকআত এবং এরপর (সুন্নত) দু’রাকআত আদায় করেছি। এমনিভাবে আসরও দু’রাকআত আদায় করেছি, তবে এরপর আর কোন (সুন্নত বা নফল) নামায আদায় করিনি। মাগরিবের নামায সফর ও মুকীম সর্বাবস্থায়ই এক বরাবর, সব সময় তা তিন রাকআতই, সফর বা মুকীম কোন অবস্থায় এতে হ্রাস-বৃদ্ধি হয় না। এ হল দিনের বিতর। এরপর রয়েছে দু’রাকআত (সুন্নত)।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, ইবনে আবী লায়লা (রাহঃ) এর চেয়েও অধিক পছন্দনীয় কোন রিওয়ায়াত আমাকে শুনাননি।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, ইবনে আবী লায়লা (রাহঃ) এর চেয়েও অধিক পছন্দনীয় কোন রিওয়ায়াত আমাকে শুনাননি।
أبواب السفر
باب مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، - يَعْنِي الْكُوفِيَّ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ هَاشِمٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطِيَّةَ، وَنَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ فِي الْحَضَرِ الظُّهْرَ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ وَصَلَّيْتُ مَعَهُ فِي السَّفَرِ الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ وَالْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ وَلَمْ يُصَلِّ بَعْدَهَا شَيْئًا وَالْمَغْرِبَ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ سَوَاءً ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ لاَ تَنْقُصُ فِي الْحَضَرِ وَلاَ فِي السَّفَرِ وَهِيَ وِتْرُ النَّهَارِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ مَا رَوَى ابْنُ أَبِي لَيْلَى حَدِيثًا أَعْجَبَ إِلَىَّ مِنْ هَذَا وَلاَ أَرْوِي عَنْهُ شَيْئًا .
তাহকীক: