আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

৬. সফর-মুসাফিরের অধ্যায়

হাদীস নং: ৫৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫১
সফরে নফল নামায আদায় করা।
৫৫১. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ সফরে রাসূল (ﷺ) এর সঙ্গে যোহর দু’রাকআত আদায় করেছি এবং এরপর আরো দু’রাকআত (নফল) নামায আদায় করেছি।

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান। ইবনে আবী লায়লা (রাহঃ)-ও এটিকে আতিয়্যা ও নাফি ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ فِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَطِيَّةَ وَنَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সফরে ফরযের আগে এবং পরে ছুন্নাত বা অন্য কোন নফল নামায পড়ার আমলও সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে চালু ছিলো। অনুরূপ বর্ণনা হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকেও হাসান সনদে বর্ণিত আছে। (ইবনে মাযা-১০৭২) শায়খ শুআইব আরনাউত রহ. এ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। এ ছাড়া হযরত ইবনে আবী শাইবা রহ. তাঁর মুসান্নাফ কিতাবে সাহাবায়ে কিরামের অনেকের আমল এর পক্ষে বর্ণনা করেছেন। তম্মধ্যে হযরত উমার, আবু যর, ইবনে আব্বাস, আলী এবং হযরত আয়েশা রা. অন্যতম। (ইবনে আবী শাইবা, অধ্যায়: যারা সফরে নফল পড়ে) ইমামগণ উভয় প্রকারের হাদীসের মধ্যে এভাবে সমন্বয় করেছেন যে, সফরে তাড়াহুড়া না থাকলে ছুন্নাত নামায পড়া উত্তম আর তাড়াহুড়া থাকলে না পড়াতে দোষ নেই। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/১৩১)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী - হাদীস নং ৫৫১ | মুসলিম বাংলা