আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৬. সফর-মুসাফিরের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৮
কত দিন কসর নামায আদায় করা হবে।
৫৪৮. আহমদ ইবনে মানী (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, আমরা রাসূল (ﷺ)-এর সঙ্গে মদীনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে বের হই। তখন তিনি দু’রাকআত করে নামায আদায় করেছেন। আনাস (রাযিঃ)-কে বললামঃ রাসূল (ﷺ) কতদিন মক্কায় অবস্থান করেছিলেন? তিনি বললেনঃ দশ দিন। - ইবনে মাজাহ ১০৭৭, বুখারি ও মুসলিম

এই বিষয়ে ইবনে আব্বাস ও জাবির (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ আনাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (ﷺ) তাঁর কোন এক সফরে উনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থান করেন এবং দু‘রাকআত হিসেবে নামায আদায় করেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ আমরা যদি কোথাও দিনের ভেতর অবস্থান করি তবে দু’রাকআত করে নামায আদায় করি। আর এর বেশী অবস্থান করলে পুরো নামায আদায় করি।

আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ কেউ যদি দশ দিন অবস্থান করে, তবে তাকে পুরো নামায আদায় করতে হবে। ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ কেউ যদি কোন স্থানে পনের দিন অবস্থান করে, তবে তাকে পুরা নামায আদায় করতে হবে। তার বরাতে বার দিনের কথাও বর্ণিত আছে। সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ যদি কেউ কোন স্থানে চার দিন অবস্থান করে তবে তাকে চার রাকআত আদায় করতে হবে। কাতাদা এবং আতা আল-খুরাসানী (রাহঃ) তার বরাতে উক্ত কথা বর্ণনা করেছেন। কিন্তু দাউদ ইবনে আবী হিনদ (রাহঃ) তার বরাতে ভিন্নরূপে বক্তব্যও বর্ণনা করেছেন।

এই বিষয়ে ফকীহ আলিমগণেরও মতবিরোধ রয়েছে। সুফিয়ান সাওরী এবং কূফাবাসী আলিমগণ পনের দিন সময়ে অবস্থানের অভিমতটি গ্রহণ করেছেন। তারা বলেনঃ কেউ যদি কোন স্থানে পনের দিন অবস্থানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তবে তাকে পুরা নামায আদায় করতে হবে। ইমাম আওযাঈ (রাহঃ) বলেনঃ যদি কেউ কোন স্থানে বার দিন অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিলে পুরা নামায আদায় করতে হবে। ইমাম মালিক, শাফিঈ ও আহমদ (রাহঃ) বলেনঃ চার দিন অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিলে পুরা নামায আদায় করতে হবে।

ইমাম ইসহাক (রাহঃ) এই বিষয়ে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর হাদীসটিকে সবচেয়ে শক্তিশালী অভিমত বলে মনে করেন। কারণ, একে তো তিনি এতদ্বিষয়ে রাসূল (ﷺ) থেকে একটি রিওয়ায়াতও উল্লেখ করেছেন, দ্বিতীয়ত রাসূল (ﷺ)-এর ইন্‌তিকালের পর এতদনুসারে তিনি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বলেছেনঃ উনিশ দিন অবস্থানের সিদ্ধান্ত করলে নামায পুরা আদায় করতে হবে। আলিমগণ এই বিষয়ে একমত যে, যতদিন পর্যন্ত ইকামতের সিদ্ধান্ত না নিবে, ততদিন একজন মুসাফির কসর আদায় করবে। যদিও এভাবে বহু বছর কেটে যায়।
باب مَا جَاءَ فِي كَمْ تُقْصَرُ الصَّلاَةُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ . قَالَ قُلْتُ لأَنَسٍ كَمْ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ قَالَ عَشْرًا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَجَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَقَامَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ تِسْعَ عَشْرَةَ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَنَحْنُ إِذَا أَقَمْنَا مَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ تِسْعَ عَشْرَةَ صَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ وَإِنْ زِدْنَا عَلَى ذَلِكَ أَتْمَمْنَا الصَّلاَةَ . وَرُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ مَنْ أَقَامَ عَشَرَةَ أَيَّامٍ أَتَمَّ الصَّلاَةَ . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ مَنْ أَقَامَ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا أَتَمَّ الصَّلاَةَ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ . وَرُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ إِذَا أَقَامَ أَرْبَعًا صَلَّى أَرْبَعًا . وَرَوَى عَنْهُ ذَلِكَ قَتَادَةُ وَعَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ . وَرَوَى عَنْهُ دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ خِلاَفَ هَذَا . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ بَعْدُ فِي ذَلِكَ فَأَمَّا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ فَذَهَبُوا إِلَى تَوْقِيتِ خَمْسَ عَشْرَةَ وَقَالُوا إِذَا أَجْمَعَ عَلَى إِقَامَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ أَتَمَّ الصَّلاَةَ . وَقَالَ الأَوْزَاعِيُّ إِذَا أَجْمَعَ عَلَى إِقَامَةِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ أَتَمَّ الصَّلاَةَ . وَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ إِذَا أَجْمَعَ عَلَى إِقَامَةِ أَرْبَعَةٍ أَتَمَّ الصَّلاَةَ . وَأَمَّا إِسْحَاقُ فَرَأَى أَقْوَى الْمَذَاهِبِ فِيهِ حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ لأَنَّهُ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ تَأَوَّلَهُ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَجْمَعَ عَلَى إِقَامَةِ تِسْعَ عَشْرَةَ أَتَمَّ الصَّلاَةَ . ثُمَّ أَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّ الْمُسَافِرَ يَقْصُرُ مَا لَمْ يُجْمِعْ إِقَامَةً وَإِنْ أَتَى عَلَيْهِ سِنُونَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৯
কত দিন কসর নামায আদায় করা হবে।
৫৪৯. হান্নাদ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূল (ﷺ) এক সফরে বের হলেন এবং উনিশ দিন পর্যন্ত দু’রাকআত করে নামায আদায় করেছেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমরাও উনিশদিন পর্যন্ত দু’রাকআত করে নামায আদায় করতাম। এর বেশী যদি আমরা অবস্থান করতাম তবে চার রাকআত নামায আদায় করতাম। - ইবনে মাজাহ ১০৭৫, বুখারি

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি গারীব-হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي كَمْ تُقْصَرُ الصَّلاَةُ
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَافَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَفَرًا فَصَلَّى تِسْعَةَ عَشَرَ يَوْمًا رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنٍ . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَنَحْنُ نُصَلِّي فِيمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ تِسْعَ عَشْرَةَ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فَإِذَا أَقَمْنَا أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ صَلَّيْنَا أَرْبَعًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .