আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৩- যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ২৩৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৬-১
৩৬. খারিজীদের হত্যা করতে উৎসাহ দান
২৩৩৩। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর ও আব্দুল্লাহ ইবনে সাঈদ আশাজ্জ (রাহঃ) ......... সুওয়ায়দ ইবনে গাফালা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেন নি এরূপ কোন কথা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামে বলার চেয়ে আমার নিকট আকাশ হতে পতিত হওয়া অধিক পছন্দনীয়। যখন আমি এবং তোমরা পরস্পর কোন কথা বলি তখন মনে রাখবে যে, যুদ্ধে প্রতারণা সাদৃশ্য কৌশল বৈধ। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট শুনেছি; তিনি বলেন, শেষ যুগে একদল লোক বের হবে, তাদের বয়স কম হবে এবং জ্ঞানের দিক থেকে তারা হবে মুর্খ। তারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষের ন্যায় উত্তম কথা বলবে, কুরআন পাঠ করবে। কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে যেমন বেরিয়ে যায় তীর তার লক্ষ্যস্থল ভেদ করে। যখন তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে তখন তাদেরকে তোমরা হত্যা করে ফেলবে। কেননা তাদেরকে হত্যা করার মাঝে রয়েছে কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট প্রতিদান ঐ ব্যক্তির জন্য যে তাদেরকে হত্যা করবে।
باب التحريض على قتل الخوارج
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الأَشَجُّ، جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، - قَالَ الأَشَجُّ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ إِذَا حَدَّثْتُكُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلأَنْ أَخِرَّ مِنَ السَّمَاءِ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ أَقُولَ عَلَيْهِ مَا لَمْ يَقُلْ وَإِذَا حَدَّثْتُكُمْ فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ فَإِنَّ الْحَرْبَ خَدْعَةٌ . سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " سَيَخْرُجُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ قَوْمٌ أَحْدَاثُ الأَسْنَانِ سُفَهَاءُ الأَحْلاَمِ يَقُولُونَ مِنْ خَيْرِ قَوْلِ الْبَرِيَّةِ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ فَإِذَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاقْتُلُوهُمْ فَإِنَّ فِي قَتْلِهِمْ أَجْرًا لِمَنْ قَتَلَهُمْ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৬-২
৩৬. খারিজীদের হত্যা করতে উৎসাহ দান
২৩৩৪। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম, মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর মুকাদ্দমী, আবু বকর ইবনে নাফি (রাহঃ) ......... আ’মাশ (রাহঃ) সূত্রে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب التحريض على قتل الخوارج
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي، بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৬-৩
৩৬. খারিজীদের হত্যা করতে উৎসাহ দান
২৩৩৫। উসমান ইবনে আবি শাঈবা, আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, আবু কুরায়ব ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আ’মাশ (রাহঃ) সূত্রে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসের মধ্যে “তারা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর তার লক্ষ্যস্থল ভেদ করে বের হয়ে যায়” কথাটি উল্লেখ নেই।
باب التحريض على قتل الخوارج
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمَا " يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৬-৪
৩৬. খারিজীদের হত্যা করতে উৎসাহ দান
২৩৩৬। মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর মুকাদ্দমী, কুতায়বা ইবনে সাঈদ, আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি খারেজী সম্প্রদায় সম্পর্কে আলোচনা করলেন এবং বললেন, এদের মধ্য এক ব্যক্তি এমন হবে যার হস্তদ্বয় খাটো হবে। তোমরা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন না করলে, আল্লাহ তাআলা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর যবাণীতে তাদেরকে যারা হত্যা করবে তাদের সাথে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা আমি তোমাদেরকে বলে দিতে পারি। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁকে বললাম, আপনি এ কথা মুহাম্মাদ (ﷺ) থেকে শুনেছো কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি শুনেছি, এ কাবা গৃহের মালিকের শপথ, এ কাবা গৃহের মালিকের শপথ, এ কাবা গৃহের মালিকের শপথ।
باب التحريض على قتل الخوارج
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُمَا - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ ذَكَرَ الْخَوَارِجَ فَقَالَ فِيهِمْ رَجُلٌ مُخْدَجُ الْيَدِ - أَوْ مُودَنُ الْيَدِ أَوْ مَثْدُونُ الْيَدِ - لَوْلاَ أَنْ تَبْطَرُوا لَحَدَّثْتُكُمْ بِمَا وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ يَقْتُلُونَهُمْ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - قُلْتُ آنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ إِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ إِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৬-৫
৩৬. খারিজীদের হত্যা করতে উৎসাহ দান
২৩৩৭। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে আবীদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তার থেকে আমি যা শুনেছি তাই তোমাদের নিকট বর্ণনা করছি। এরপর তিনি আলী (রাযিঃ) থেকে আইয়ুবের অনুরূপ মারফুরূপে বর্ণনা করলেন।
باب التحريض على قتل الخوارج
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبِيدَةَ، قَالَ لاَ أُحَدِّثُكُمْ إِلاَّ مَا سَمِعْتُ مِنْهُ، . فَذَكَرَ عَنْ عَلِيٍّ، نَحْوَ حَدِيثِ أَيُّوبَ مَرْفُوعًا .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৬-৬
৩৬. খারিজীদের হত্যা করতে উৎসাহ দান
২৩৩৮। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে ওয়াহব জুহানী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ঐ সৈন্যদলের মধ্যে ছিলেন, যারা আলী (রাযিঃ) এর সাথে খারেজী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সফর করেছিলেন। আলী (রাযিঃ) বললেন, হে লোক সকল! আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমার উম্মত থেকে এমন একদল লোক বের হবে যারা কুরআন পাঠ করবে। কিন্তু তোমাদের কিরা’আত তাদের কিরা’আতের সামনে কিছুই নয়। তোমাদের নামায তাদের নামাযের তুলনায় কিছুই নয় এবং তোমাদের রোযা তাদের রোযার তুলনায় কিছুই নয়। তারা কুরআন পাঠ করবে আর ভাববে তা তাদের পক্ষে। প্রকৃতপক্ষে তা তাদের বিপক্ষে। তাদের নামায তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে যেমন তীর তার লক্ষ্যস্থল ভেদ করে বের হয়ে যায়, যে সেনাদল কর্তৃক তারা আক্রান্ত হবে তাদের সম্পর্কে নবী (ﷺ) এর মুখে যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে তা যদি সৈন্যগণ জানত তবে অবশ্যই তারা আমল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকত।
তাদের নিদর্শন এই যে, তাদের মাঝে এমন এক ব্যক্তি হবে যার বাহুর সঙ্গে হাত থাকবে না। স্তনের বোটার ন্যায় এর উপরে থাকবে সাদা কতগুলো পশম। [আলী (রাযিঃ)] বলেন, তোমরা মুআবিয়া (রাযিঃ) ও সিরিয়াবাসীদের দিকে আগ্রসর হচ্ছে এবং তাদেরকে এড়িয়ে যাচ্ছ অথচ তারা তোমাদের পেছনে তোমাদের সন্তান-সন্ততিদেরকে কষ্ট দিবে এবং তোমাদের ধন সম্পদ নষ্ট করবে। আল্লাহর শপথ! আমি আশঙ্কা করি তারাই ঐ কওম যারা অন্যায়ভাবে রক্তপাত ঘটাবে এবং মানুষের পশুগুলো লুণ্ঠন করবে। অতএব তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য চল।
সালামা ইবনে কুহায়ল (রাযিঃ) বলেন, এরপর যায়দ ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) আমার নিকট সৈন্যদের বিভিন্ন মনযিলে অবতরণের কথা বর্ণনা করলেন। তারপর বললেন, যেতে যেতে আমরা একটি পুল অতিক্রম করলাম। এরপর আমরা তাদের সাক্ষাত পেলাম। সে দিন খারেজীদের সেনাপতি ছিল, আব্দুল্লাহ ইবনে ওয়াহাব রাসিবী। সে তাদেরকে নির্দেশ দিল, তোমরা বর্শা রেখে দাও এবং তরবারী খাপ মুক্ত কর। আমি আশঙ্কা করছি, তারা তোমাদের প্রতি হামলা করবে যেমন হারুরার দিন হামলা করেছিল। এরপর তারা ফিরে গিয়ে নিজ বর্শা খুলে রেখে দিল এবং তরবারী কোষমুক্ত করল। মুসলমানগণ বর্শা দ্বারা তাদের প্রতি আক্রমণ করলে তারা নিতে হয়ে একের পর এক ধরাশায়ী হতে লাগল। সে দিন মুসলমানদের দুই ব্যক্তি কেবল শহীদ হয়েছিলেন।
তখন আলী (রাযিঃ) বললেন, তোমরা এদের মধ্যে খাটো হাত বিশিষ্ট লোকটিকে তালাশ কর। তারা সকলেই তাকে তালাশ করলেন কিন্তু কোথাও পেলেন না। এরপর আলী (রাযিঃ) স্বয়ং দাঁড়ালেন এবং একের পর এক পতিত লাশগুলোর কাছে গেলেন। এরপর তিনি লাশগুলো সরাবার নির্দেশ দিলেন। এ সময় তারা মাটির সাথে লেগে থাকা অবস্থায় খাটো হাত বিশিষ্ট লোকটিকে পেয়ে গেলেন।
তখন আলী (রাযিঃ) “আল্লাহু আকবার” ধ্বনি দিলেন এবং বললেন, আল্লাহ সত্য বলেছেন এবং তাঁর রাসুল (ﷺ) যথাযথভাবে পৌছিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আবীদা সালমানী (রাযিঃ) তার নিকট দাঁড়িয়ে বললেন, হে আমীযুল মু'মিনীন! তিনিই আল্লাহ , যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আপনি এ হাদীস শুনেছো কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, ঐ আল্লাহর শপথ! যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। এভাবে আবীদা তাকে তিনবার কসম করতে বললেন এবং তিনি তার কথায় কসম করলেন।
তাদের নিদর্শন এই যে, তাদের মাঝে এমন এক ব্যক্তি হবে যার বাহুর সঙ্গে হাত থাকবে না। স্তনের বোটার ন্যায় এর উপরে থাকবে সাদা কতগুলো পশম। [আলী (রাযিঃ)] বলেন, তোমরা মুআবিয়া (রাযিঃ) ও সিরিয়াবাসীদের দিকে আগ্রসর হচ্ছে এবং তাদেরকে এড়িয়ে যাচ্ছ অথচ তারা তোমাদের পেছনে তোমাদের সন্তান-সন্ততিদেরকে কষ্ট দিবে এবং তোমাদের ধন সম্পদ নষ্ট করবে। আল্লাহর শপথ! আমি আশঙ্কা করি তারাই ঐ কওম যারা অন্যায়ভাবে রক্তপাত ঘটাবে এবং মানুষের পশুগুলো লুণ্ঠন করবে। অতএব তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য চল।
সালামা ইবনে কুহায়ল (রাযিঃ) বলেন, এরপর যায়দ ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) আমার নিকট সৈন্যদের বিভিন্ন মনযিলে অবতরণের কথা বর্ণনা করলেন। তারপর বললেন, যেতে যেতে আমরা একটি পুল অতিক্রম করলাম। এরপর আমরা তাদের সাক্ষাত পেলাম। সে দিন খারেজীদের সেনাপতি ছিল, আব্দুল্লাহ ইবনে ওয়াহাব রাসিবী। সে তাদেরকে নির্দেশ দিল, তোমরা বর্শা রেখে দাও এবং তরবারী খাপ মুক্ত কর। আমি আশঙ্কা করছি, তারা তোমাদের প্রতি হামলা করবে যেমন হারুরার দিন হামলা করেছিল। এরপর তারা ফিরে গিয়ে নিজ বর্শা খুলে রেখে দিল এবং তরবারী কোষমুক্ত করল। মুসলমানগণ বর্শা দ্বারা তাদের প্রতি আক্রমণ করলে তারা নিতে হয়ে একের পর এক ধরাশায়ী হতে লাগল। সে দিন মুসলমানদের দুই ব্যক্তি কেবল শহীদ হয়েছিলেন।
তখন আলী (রাযিঃ) বললেন, তোমরা এদের মধ্যে খাটো হাত বিশিষ্ট লোকটিকে তালাশ কর। তারা সকলেই তাকে তালাশ করলেন কিন্তু কোথাও পেলেন না। এরপর আলী (রাযিঃ) স্বয়ং দাঁড়ালেন এবং একের পর এক পতিত লাশগুলোর কাছে গেলেন। এরপর তিনি লাশগুলো সরাবার নির্দেশ দিলেন। এ সময় তারা মাটির সাথে লেগে থাকা অবস্থায় খাটো হাত বিশিষ্ট লোকটিকে পেয়ে গেলেন।
তখন আলী (রাযিঃ) “আল্লাহু আকবার” ধ্বনি দিলেন এবং বললেন, আল্লাহ সত্য বলেছেন এবং তাঁর রাসুল (ﷺ) যথাযথভাবে পৌছিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আবীদা সালমানী (রাযিঃ) তার নিকট দাঁড়িয়ে বললেন, হে আমীযুল মু'মিনীন! তিনিই আল্লাহ , যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আপনি এ হাদীস শুনেছো কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, ঐ আল্লাহর শপথ! যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। এভাবে আবীদা তাকে তিনবার কসম করতে বললেন এবং তিনি তার কথায় কসম করলেন।
باب التحريض على قتل الخوارج
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ هَمَّامٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ الْجُهَنِيُّ، أَنَّهُ كَانَ فِي الْجَيْشِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَ عَلِيٍّ - رضى الله عنه - الَّذِينَ سَارُوا إِلَى الْخَوَارِجِ فَقَالَ عَلِيٌّ رضى الله عنه أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنْ أُمَّتِي يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَيْسَ قِرَاءَتُكُمْ إِلَى قِرَاءَتِهِمْ بِشَىْءٍ وَلاَ صَلاَتُكُمْ إِلَى صَلاَتِهِمْ بِشَىْءٍ وَلاَ صِيَامُكُمْ إِلَى صِيَامِهِمْ بِشَىْءٍ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ يَحْسِبُونَ أَنَّهُ لَهُمْ وَهُوَ عَلَيْهِمْ لاَ تُجَاوِزُ صَلاَتُهُمْ تَرَاقِيَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ " . لَوْ يَعْلَمُ الْجَيْشُ الَّذِينَ يُصِيبُونَهُمْ مَا قُضِيَ لَهُمْ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِمْ صلى الله عليه وسلم لاَتَّكَلُوا عَنِ الْعَمَلِ وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّ فِيهِمْ رَجُلاً لَهُ عَضُدٌ وَلَيْسَ لَهُ ذِرَاعٌ عَلَى رَأْسِ عَضُدِهِ مِثْلُ حَلَمَةِ الثَّدْىِ عَلَيْهِ شَعَرَاتٌ بِيضٌ فَتَذْهَبُونَ إِلَى مُعَاوِيَةَ وَأَهْلِ الشَّامِ وَتَتْرُكُونَ هَؤُلاَءِ يَخْلُفُونَكُمْ فِي ذَرَارِيِّكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَكُونُوا هَؤُلاَءِ الْقَوْمَ فَإِنَّهُمْ قَدْ سَفَكُوا الدَّمَ الْحَرَامَ وَأَغَارُوا فِي سَرْحِ النَّاسِ فَسِيرُوا عَلَى اسْمِ اللَّهِ . قَالَ سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ فَنَزَّلَنِي زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ مَنْزِلاً حَتَّى قَالَ مَرَرْنَا عَلَى قَنْطَرَةٍ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا وَعَلَى الْخَوَارِجِ يَوْمَئِذٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ الرَّاسِبِيُّ فَقَالَ لَهُمْ أَلْقُوا الرِّمَاحَ وَسُلُّوا سُيُوفَكُمْ مِنْ جُفُونِهَا فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يُنَاشِدُوكُمْ كَمَا نَاشَدُوكُمْ يَوْمَ حَرُورَاءَ . فَرَجَعُوا فَوَحَّشُوا بِرِمَاحِهِمْ وَسَلُّوا السُّيُوفَ وَشَجَرَهُمُ النَّاسُ بِرِمَاحِهِمْ - قَالَ - وَقُتِلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَمَا أُصِيبَ مِنَ النَّاسِ يَوْمَئِذٍ إِلاَّ رَجُلاَنِ فَقَالَ عَلِيٌّ رضى الله عنه الْتَمِسُوا فِيهِمُ الْمُخْدَجَ . فَالْتَمَسُوهُ فَلَمْ يَجِدُوهُ فَقَامَ عَلِيٌّ - رضى الله عنه - بِنَفْسِهِ حَتَّى أَتَى نَاسًا قَدْ قُتِلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ قَالَ أَخِّرُوهُمْ . فَوَجَدُوهُ مِمَّا يَلِي الأَرْضَ فَكَبَّرَ ثُمَّ قَالَ صَدَقَ اللَّهُ وَبَلَّغَ رَسُولُهُ - قَالَ - فَقَامَ إِلَيْهِ عَبِيدَةُ السَّلْمَانِيُّ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَسَمِعْتَ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِي وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ . حَتَّى اسْتَحْلَفَهُ ثَلاَثًا وَهُوَ يَحْلِفُ لَهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৬-৭
৩৬. খারিজীদের হত্যা করতে উৎসাহ দান
২৩৩৯। আবুত তাহির ও ইউনুস ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আযাদকৃত গোলাম উবাইদুল্লাহ ইবনে আবু রাফি (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। যখন খারেজী সম্প্রদায়ের লোকেরা বেরিয়ে গেল তখন তিনি (রাবী) আলী (রাযিঃ) এর সাথে ছিলেন, তারা বলতে লাগল যে, ″হুকুম একমাত্র আল্লাহর″ তখন আলী (রাযিঃ) বললেন, কথা তো হক কিন্তু এর উদ্দেশ্য বাতিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কতিপয় লোকের নিদর্শন বর্ণনা করেছেন, এ নিদর্শনগুলো এদের মাঝে আমি অবশ্যই দেখতে পাচ্ছি। দেখতে পাচ্ছি তারা মুখে সত্য কথা বলবে কিন্তু এ কথা তাদের এস্থানও অতিক্রম করবে না। এ সময় তিনি কণ্ঠনালীর দিকে ইশারা করেছেন। তারা সৃষ্টি জগতের সর্বাপেক্ষা ঘৃণিত লোক। তাদের মধ্যে একজন কাল লোক রয়েছে। তার একটি হাত বকরীর স্তনের মত অথবা স্তনের বোটার মত।
যখন আলী (রাযিঃ) তাদেরকে হত্যা করলেন তখন তিনি বললেন, তোমরা (তাকে) তালাশ কর। তারা তালাশ করলেন কিন্তু কিছুই পেলেন না। এরপর তিনি বললেন, তোমরা ফিরে যাও, আল্লাহর শপথ! আমি মিথ্যা বলিনি এবং আমার নিকট মিথ্যা বলা হয়নি, একথা তিনি দু’বার কিংবা তিনবার বললেন। অতঃপর তারা তাকে লাশের স্তুপের মধ্যে পেয়ে আলী (রাযিঃ) এর নিকট নিয়ে আসলেন এবং তার সামনে রেখে দিলেন।
উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, তাদের বিষয়টি আমি প্রত্যক্ষ করেছি এবং তাদের সম্পর্কে আলী (রাযিঃ) যা বলেছেন আমি তা শুনেছি। ইউনূস (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতে তিনি এ কথা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, বুকায়র বলেন, এক ব্যক্তি ইবনে হুনায়ন থেকে আমাকে বর্ণনা করেছেন, ইবনে হুনায়ন (রাহঃ) বলেছেন, আমি কাল লোকটিকে দেখেছি।
যখন আলী (রাযিঃ) তাদেরকে হত্যা করলেন তখন তিনি বললেন, তোমরা (তাকে) তালাশ কর। তারা তালাশ করলেন কিন্তু কিছুই পেলেন না। এরপর তিনি বললেন, তোমরা ফিরে যাও, আল্লাহর শপথ! আমি মিথ্যা বলিনি এবং আমার নিকট মিথ্যা বলা হয়নি, একথা তিনি দু’বার কিংবা তিনবার বললেন। অতঃপর তারা তাকে লাশের স্তুপের মধ্যে পেয়ে আলী (রাযিঃ) এর নিকট নিয়ে আসলেন এবং তার সামনে রেখে দিলেন।
উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, তাদের বিষয়টি আমি প্রত্যক্ষ করেছি এবং তাদের সম্পর্কে আলী (রাযিঃ) যা বলেছেন আমি তা শুনেছি। ইউনূস (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতে তিনি এ কথা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, বুকায়র বলেন, এক ব্যক্তি ইবনে হুনায়ন থেকে আমাকে বর্ণনা করেছেন, ইবনে হুনায়ন (রাহঃ) বলেছেন, আমি কাল লোকটিকে দেখেছি।
باب التحريض على قتل الخوارج
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ الْحَرُورِيَّةَ لَمَّا خَرَجَتْ وَهُوَ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ - رضى الله عنه - قَالُوا لاَ حُكْمَ إِلاَّ لِلَّهِ . قَالَ عَلِيٌّ كَلِمَةُ حَقٍّ أُرِيدَ بِهَا بَاطِلٌ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَفَ نَاسًا إِنِّي لأَعْرِفُ صِفَتَهُمْ فِي هَؤُلاَءِ " يَقُولُونَ الْحَقَّ بِأَلْسِنَتِهِمْ لاَ يَجُوزُ هَذَا مِنْهُمْ - وَأَشَارَ إِلَى حَلْقِهِ - مِنْ أَبْغَضِ خَلْقِ اللَّهِ إِلَيْهِ مِنْهُمْ أَسْوَدُ إِحْدَى يَدَيْهِ طُبْىُ شَاةٍ أَوْ حَلَمَةُ ثَدْىٍ " . فَلَمَّا قَتَلَهُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ - رضى الله عنه - قَالَ انْظُرُوا . فَنَظَرُوا فَلَمْ يَجِدُوا شَيْئًا فَقَالَ ارْجِعُوا فَوَاللَّهِ مَا كَذَبْتُ وَلاَ كُذِبْتُ . مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا ثُمَّ وَجَدُوهُ فِي خَرِبَةٍ فَأَتَوْا بِهِ حَتَّى وَضَعُوهُ بَيْنَ يَدَيْهِ . قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ وَأَنَا حَاضِرُ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِهِمْ . وَقَوْلِ عَلِيٍّ فِيهِمْ زَادَ يُونُسُ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ بُكَيْرٌ وَحَدَّثَنِي رَجُلٌ عَنِ ابْنِ حُنَيْنٍ أَنَّهُ قَالَ رَأَيْتُ ذَلِكَ الأَسْوَدَ .
হাদীস নং: ২৩৪০
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৭
৩৬. খারিজীদের হত্যা করতে উৎসাহ দান
২৩৪০। শায়বান ইবনে ফাররুখ (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমার পর আমার উম্মতের থেকে অথবা অচিরেই আমার পর আমার উম্মত থেকে এমন কওম আবির্ভূত হবে যারা কুরআন পাঠ করবে কিন্তু কুরআন তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যারে যেমন বেরিয়ে যায় তীর তার লক্ষ্যস্থল ভেদ করে। এরপর তারা আর দ্বীনের দিকে আসবে না। তারা সৃষ্টি জগতের সর্ব নিকৃষ্ট লোক হবে এবং তাদের স্বভাবও হবে নীচু ধরনের।
ইবনে সামিত (রাযিঃ) বলেন, হাকাম গিফারীর ভাই রাফি ইবনে আমর গিফারী (রাযিঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাত করে বললাম, এ কেমন কেমন হাদীস শুনতে পেলাম আবু যর (রাযিঃ) থেকে। তার নিকট আমি হাদীসটি উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেন, এ হাদীস আমিও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট শুনেছি।
ইবনে সামিত (রাযিঃ) বলেন, হাকাম গিফারীর ভাই রাফি ইবনে আমর গিফারী (রাযিঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাত করে বললাম, এ কেমন কেমন হাদীস শুনতে পেলাম আবু যর (রাযিঃ) থেকে। তার নিকট আমি হাদীসটি উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেন, এ হাদীস আমিও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট শুনেছি।
باب التحريض على قتل الخوارج
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ بَعْدِي مِنْ أُمَّتِي - أَوْ سَيَكُونُ بَعْدِي مِنْ أُمَّتِي - قَوْمٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ حَلاَقِيمَهُمْ يَخْرُجُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَخْرُجُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ ثُمَّ لاَ يَعُودُونَ فِيهِ هُمْ شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ " . فَقَالَ ابْنُ الصَّامِتِ فَلَقِيتُ رَافِعَ بْنَ عَمْرٍو الْغِفَارِيَّ أَخَا الْحَكَمِ الْغِفَارِيِّ قُلْتُ مَا حَدِيثٌ سَمِعْتُهُ مِنْ أَبِي ذَرٍّ كَذَا وَكَذَا فَذَكَرْتُ لَهُ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ وَأَنَا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৩৪১
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৮-১
৩৬. খারিজীদের হত্যা করতে উৎসাহ দান
২৩৪১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইউসায়র ইবনে আমর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাহল ইবনে হুনায়ফ (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, নবী (ﷺ) খারেজীদের সম্পর্কে যে আলোচনা করেছেন, তা কি আপনি শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি তা শুনেছি। এ সময় নবী (ﷺ) (পূর্ব দিকে হাত দিয়ে ইশারা করে) বললেন, তারা এমন কওম যারা মুখে কুরআন পাঠ করবে কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে যেমন বেরিয়ে যায় তীর তার লক্ষ্যস্থল ভেদ করে।
باب التحريض على قتل الخوارج
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ يُسَيْرِ بْنِ، عَمْرٍو قَالَ سَأَلْتُ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ هَلْ سَمِعْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ الْخَوَارِجَ فَقَالَ سَمِعْتُهُ - وَأَشَارَ بِيَدِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ " قَوْمٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ بِأَلْسِنَتِهِمْ لاَ يَعْدُو تَرَاقِيَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৮-২
৩৬. খারিজীদের হত্যা করতে উৎসাহ দান
২৩৪২। আবু কামিল (রাহঃ) ......... সুলাইমান শায়বানী (রাহঃ) এর সূত্রে এ সনদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এ উম্মতের থেকে কতিপয় সম্প্রদায় আবির্ভূত হবে।
باب التحريض على قتل الخوارج
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الشَّيْبَانِيُّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ يَخْرُجُ مِنْهُ أَقْوَامٌ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৮-৩
৩৬. খারিজীদের হত্যা করতে উৎসাহ দান
২৩৪৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে হুনায়ফ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পূর্বাঞ্চলে এমন এক সম্প্রদায় আবির্ভূত হবে যাদের মাথা মুণ্ডানো থাকবে।
باب التحريض على قتل الخوارج
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ، جَمِيعًا عَنْ يَزِيدَ، - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، - عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ أُسَيْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَتِيهُ قَوْمٌ قِبَلَ الْمَشْرِقِ مُحَلَّقَةٌ رُءُوسُهُمْ " .

তাহকীক: