আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

১৩- যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ২৩৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৯-১
৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহণ করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৪৪। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয আম্বারি (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাসান ইবনে আলী (রাযিঃ) সাদ্‌কার একটি খেজুর হাতে নিয়ে তা মুখে দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ‘কাখ-কাখ’, ধ্বনি দ্বারা ইঙ্গিত করে বললেন, এ ফেলে দাও। তুমি কি জাননা আমরা সাদ্‌কা খাই না?
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، - وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ - سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ أَخَذَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ تَمْرَةً مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ فَجَعَلَهَا فِي فِيهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كِخْ كِخْ ارْمِ بِهَا أَمَا عَلِمْتَ أَنَّا لاَ نَأْكُلُ الصَّدَقَةَ " .
হাদীস নং: ২৩৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৯-২
৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহণ করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৪৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... শু’বা (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসে আছে যে, সাদ্‌কা আমাদের জন্য হালাল নয়।
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ " أَنَّا لاَ، تَحِلُّ لَنَا الصَّدَقَةُ " .
হাদীস নং: ২৩৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৯-৩
৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহণ করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৪৬। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার ও ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... শু’বা (রাহঃ) থেকে এ সনদে ইবনে মু’আয (রাযিঃ) এর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, সাদ্‌কা আমরা খাই না।
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ، أَبِي عَدِيٍّ كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ كَمَا قَالَ ابْنُ مُعَاذٍ " أَنَّا لاَ، نَأْكُلُ الصَّدَقَةَ " .
হাদীস নং: ২৩৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭০-১
৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহণ করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৪৭। হারুন ইবনে সাঈদ আয়লী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পরিবার পরিজনের নিকট প্রত্যাবর্তন করে আমার বিছানার উপর একটি খেজুর পড়ে আছে দেখতে পেলাম। এরপর খাওয়ার জন্য আমি তা উঠিয়ে নিই। তারপর আমার আশঙ্কা হয় তা সাদ্‌কার হতে পারে তাই আমি তা ফেলে দেই।
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ أَبَا يُونُسَ، مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِنِّي لأَنْقَلِبُ إِلَى أَهْلِي فَأَجِدُ التَّمْرَةَ سَاقِطَةً عَلَى فِرَاشِي ثُمَّ أَرْفَعُهَا لآكُلَهَا ثُمَّ أَخْشَى أَنْ تَكُونَ صَدَقَةً فَأُلْقِيهَا " .
হাদীস নং: ২৩৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭০-২
৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহণ করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৪৮। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... হাম্মাম ইবনে মুনাব্বিহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ বলে তিনি তার থেকে কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করলেন। এরপর বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহর শপথ! আমি আমার পরিবার পরিজনের নিকট প্রত্যাবর্তন করে একটি খেজুর বিছানায় অথবা ঘরের ভেতর পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পেলাম এবং খাওয়ার জন্য তা উঠিয়ে নিই। এরপর আমার ভয় হল, হয়ত তা সাদ্‌কা হবে। তাই আমি তা ফেলে দেই।
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ هَمَّامٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ، مُنَبِّهٍ قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَاللَّهِ إِنِّي لأَنْقَلِبُ إِلَى أَهْلِي فَأَجِدُ التَّمْرَةَ سَاقِطَةً عَلَى فِرَاشِي - أَوْ فِي بَيْتِي - فَأَرْفَعُهَا لآكُلَهَا ثُمَّ أَخْشَى أَنْ تَكُونَ صَدَقَةً - أَوْ مِنَ الصَّدَقَةِ - فَأُلْقِيهَا " .
হাদীস নং: ২৩৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭১-১
৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহণ করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৪৯। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদা নবী (ﷺ) একটি খেজুর পেয়ে বললেন, এটা যদি সাদ্‌কার খেজুর না হত তাহলে অবশ্যই আমি তা খেয়ে ফেলতাম।
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ تَمْرَةً فَقَالَ " لَوْلاَ أَنْ تَكُونَ مِنَ الصَّدَقَةِ لأَكَلْتُهَا " .
হাদীস নং: ২৩৫০
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭১-২
৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহণ করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৫০। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাস্তায় পড়ে থাকা একটি খেজুরের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করার সময় বললেন, যদি এটা সাদ্‌কা না হত তাহলে অবশ্যই আমি খেয়ে ফেলতাম।
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِتَمْرَةٍ بِالطَّرِيقِ فَقَالَ " لَوْلاَ أَنْ تَكُونَ مِنَ الصَّدَقَةِ لأَكَلْتُهَا " .
হাদীস নং: ২৩৫১
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭১-৩
৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহণ করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৫১। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) একটি খেজুর পেয়ে বললেন, যদি সাদ্‌কার না হত তাহলে অবশ্যই আমি এটা খেয়ে ফেলতাম।
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ تَمْرَةً فَقَالَ " لَوْلاَ أَنْ تَكُونَ صَدَقَةً لأَكَلْتُهَا " .
হাদীস নং: ২৩৫২
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭২-১
৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহণ করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৫২। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আসমা আয যুবাঈ (রাহঃ) ......... আব্দুল মুত্তালিব ইবনুল হারিস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাবী’আ ইবনুল হারিস এবং আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) একত্রিত হলেন। এরপর তারা আমার এবং ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সম্পর্কে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা যদি এ দু’জন যুবককে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পাঠাই এবং তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাথে কথা বলে; ফলে তিনি তাদেরকে যাকাত উসূলকারী নিয়োগ করেন এবং মানুষ যা যাকাত প্রদান করবে তা তারা তার নিকট পৌছিয়ে দেয় এবং তারা পারিশ্রমিক হিসাবে ঐ পরিমাণ পায় যা অন্যান্য লোকেরা পেয়ে থাকে; তবে ভাল হবে।

এ সময় আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) এসে তাদের নিকট দাঁড়ালেন। তারা এ বিষয়টি তার নিকট উল্লেখ করলেন। তখন আলী (রাযিঃ) বললেন, আপনারা পাঠাবেন না। কারণ আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ কাজ করবেন না। তখন রাবী’আ ইবনুল হারিস (রাযিঃ) আলী (রাযিঃ) এর প্রতি রেগে গেলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ। আপনি আমাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এ আচরণ করছেন। আল্লাহর কসম! আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জামাতা হবার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। কিন্তু আমরা তো এতে আপনার প্রতি ঈর্ষা করিনা।

এ কথা শুনে আলী (রাযিঃ) বললেন, তোমরা তাদেরকে পাঠিয়ে দাও। এরপর তারা চললেন এবং আলী (রাযিঃ) শুয়ে পড়লেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন যোহরের নামায আদায় করলেন তখন তারা অগ্রে গিয়ে হুজরার নিকট দাঁড়িয়ে রইলেন। এরপর নবী (ﷺ) এসে তাদের উভয়ের কান ধরে বললেন, তোমাদের মনে কি কথা জমা আছে বল। তারপর তিনি হুজরায় প্রবেশ করলেন। আমরাও তাঁর সাথে প্রবেশ করলাম। এ সময় তিনি যয়নাব বিনতে জাহশের গৃহে অবস্থান করছিলেন। রাবী বলেন, আমরা একে অন্যের উপর ভরসা করে ছিলাম। এ সময় আমাদের একজন কথা বলতে আরম্ভ করলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি মানুষের মধ্যে সর্বাধিক দয়াবান এবং আত্মীয়তা রক্ষাকারী। আমরা বিবাহের বয়সে পদার্পণ করেছি আমরা এসেছি, যেন আপনি আমাদেরকে এই যাকাতের মাল উসুলকারী নিয়োজিত করেন। আমরাও আপনার নিকট পৌছিয়ে দিব যেমন অন্যান্য লোকেরা পৌছিয়ে দেন এবং আমরাও (এর থেকে কিছু) পাব যেমন অন্যান্যরা পান।

বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে তিনি দীর্ঘক্ষণ নীরব থাকলেন। অবশেষে পূনরায় আমরা তার সাথে (এ বিষয়ে) কথা বলার ইচ্ছা করলাম। তখন যয়নাব (রাযিঃ) পর্দার অন্তরাল থেকে আমাদেরকে ইশারা করে বললেন, তাঁর সাথে এখন কোন কথা বলো না। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ) এর পরিবার পরিজনের জন্য সাদ্‌কার মাল ভক্ষণ করা বৈধ নয়। এতো মানুষের ময়লা। তোমরা মাহমিয়াকে আমার নিকট ডেকে আন। সে খুমুসের রক্ষণাবেক্ষণকারী ছিল। আর নাওফল ইবনুল হারিস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব কেও।

তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসলেন। তিনি মাহমিয়াকে বললেন, তুমি তোমার কন্যাকে ফযল ইবনে আব্বাসের নিকট বিয়ে দিয়ে দাও। তিনি তাই করলেন। এরপর নাওফল ইবনে হারিস (রাযিঃ) কে বললেন, তুমিও তোমার কন্যাকে এ ছেলেটির নিকট বিয়ে দিয়ে দাও। বর্ণনাকারী আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) বলেন, সুতরাং তিনি আমার নিকট নিজ কন্যাকে বিয়ে দিয়ে দিলেন। তারপর তিনি মাহমিয়াকে বললেন, খুমুসের মাল থেকে তাদেরকে এই এই পরিমাণ সাদ্‌কা দিয়ে দাও। ইমাম যুহরী বলেন, তিনি আমার নিকট তার নাম উল্লেখ করেন নি।
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ حَدَّثَهُ قَالَ اجْتَمَعَ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالاَ وَاللَّهِ لَوْ بَعَثْنَا هَذَيْنِ الْغُلاَمَيْنِ - قَالاَ لِي وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ - إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمَاهُ فَأَمَّرَهُمَا عَلَى هَذِهِ الصَّدَقَاتِ فَأَدَّيَا مَا يُؤَدِّي النَّاسُ وَأَصَابَا مِمَّا يُصِيبُ النَّاسُ - قَالَ - فَبَيْنَمَا هُمَا فِي ذَلِكَ جَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَوَقَفَ عَلَيْهِمَا فَذَكَرَا لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ لاَ تَفْعَلاَ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ بِفَاعِلٍ . فَانْتَحَاهُ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا تَصْنَعُ هَذَا إِلاَّ نَفَاسَةً مِنْكَ عَلَيْنَا فَوَاللَّهِ لَقَدْ نِلْتَ صِهْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا نَفِسْنَاهُ عَلَيْكَ . قَالَ عَلِيٌّ أَرْسِلُوهُمَا . فَانْطَلَقَا وَاضْطَجَعَ عَلِيٌّ - قَالَ - فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ سَبَقْنَاهُ إِلَى الْحُجْرَةِ فَقُمْنَا عِنْدَهَا حَتَّى جَاءَ فَأَخَذَ بِآذَانِنَا . ثُمَّ قَالَ " أَخْرِجَا مَا تُصَرِّرَانِ " ثُمَّ دَخَلَ وَدَخَلْنَا عَلَيْهِ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ - قَالَ - فَتَوَاكَلْنَا الْكَلاَمَ ثُمَّ تَكَلَّمَ أَحَدُنَا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْتَ أَبَرُّ النَّاسِ وَأَوْصَلُ النَّاسِ وَقَدْ بَلَغْنَا النِّكَاحَ فَجِئْنَا لِتُؤَمِّرَنَا عَلَى بَعْضِ هَذِهِ الصَّدَقَاتِ فَنُؤَدِّيَ إِلَيْكَ كَمَا يُؤَدِّي النَّاسُ وَنُصِيبَ كَمَا يُصِيبُونَ - قَالَ - فَسَكَتَ طَوِيلاً حَتَّى أَرَدْنَا أَنْ نُكَلِّمَهُ - قَالَ - وَجَعَلَتْ زَيْنَبُ تُلْمِعُ عَلَيْنَا مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ أَنْ لاَ تُكَلِّمَاهُ - قَالَ - ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الصَّدَقَةَ لاَ تَنْبَغِي لآلِ مُحَمَّدٍ . إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ ادْعُوَا لِي مَحْمِيَةَ - وَكَانَ عَلَى الْخُمُسِ - وَنَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ " . قَالَ فَجَاءَاهُ فَقَالَ لِمَحْمِيَةَ " أَنْكِحْ هَذَا الْغُلاَمَ ابْنَتَكَ " . لِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ فَأَنْكَحَهُ وَقَالَ لِنَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ " أَنْكِحْ هَذَا الْغُلاَمَ ابْنَتَكَ " . لِي فَأَنْكَحَنِي وَقَالَ لِمَحْمِيَةَ " أَصْدِقْ عَنْهُمَا مِنَ الْخُمُسِ كَذَا وَكَذَا " . قَالَ الزُّهْرِيُّ وَلَمْ يُسَمِّهِ لِي .
হাদীস নং: ২৩৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭২-২
৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহণ করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৫৩। হারুন ইবনে মারুফ (রাহঃ) ......... আব্দুল মুত্তালিব ইবনে রাবী’আ ইবনে হারিস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁর পিতা রাবী’আ ইবনুল হারিস ও আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) আব্দুল মুত্তালিব ইবনে রাবী’আ ও ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে বললেন, তোমরা উভয়েই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট যাও। এরপর তিনি মালিক (রাহঃ) এর বর্ণিত অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করবেন।

তবে এতে এও আছে যে তারপর আলী (রাযিঃ) চাঁদর বিছিয়ে এর উপর শুয়ে পড়লেন এবং বললেন, আমি হাসানের বাবা, প্রজ্ঞাবান ও রায় প্রদানে বলিষ্ঠ। আল্লাহর শপথ! আমি এ স্থান পরিত্যাগ করার পূর্বেই তোমাদের উভয়ের ছেলে ঐ উত্তর নিয়ে ফিরে আসবে যার জন্য তোমরা তাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পাঠিয়েছ।

এ হাদীসের মধ্যে এ কথাও বর্ণিত আছে যে, অতঃপর তিনি আমাদেরকে বললেন, এতো সাদ্‌কা এতো মানুষের ময়লা এ মুহাম্মাদ (ﷺ) এবং তাঁর পরিবার পরিজনের জন্য হালাল নয়।

হাদীসে এ কথাও বর্ণিত আছে যে, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমার নিকট মাহমিয়া ইবনে জু’আ (রাযিঃ) কে ডেকে নিয়ে আস। তিনি ছিলেন বর্নী আসাদের এক ব্যক্তি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে গনিমতের মালের খুমুস (এক পঞ্চমাংশ) উসূলকারী নিয়োগ করেছিলেন।
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ الْهَاشِمِيِّ، أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ، بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ رَبِيعَةَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَالْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالاَ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ ائْتِيَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ مَالِكٍ وَقَالَ فِيهِ فَأَلْقَى عَلِيٌّ رِدَاءَهُ ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَيْهِ وَقَالَ أَنَا أَبُو حَسَنٍ الْقَرْمُ وَاللَّهِ لاَ أَرِيمُ مَكَانِي حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْكُمَا ابْنَاكُمَا بِحَوْرِ مَا بَعَثْتُمَا بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ ثُمَّ قَالَ لَنَا " إِنَّ هَذِهِ الصَّدَقَاتِ إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ وَإِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ وَلاَ لآلِ مُحَمَّدٍ " . وَقَالَ أَيْضًا ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ادْعُوَا لِي مَحْمِيَةَ بْنَ جَزْءٍ " . وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أَسَدٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَعْمَلَهُ عَلَى الأَخْمَاسِ .