আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৩- যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ২২৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৬
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২২৯৯। উসমান ইবনে আবি শাঈবা, যূহায়র ইবনে হারব ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম হানযালী (রাহঃ) ......... উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিশেষ ক্ষেত্রে বন্টন করলেন। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এদের ছাড়া অন্যেরা এর অধিক হকদার ছিল। তিনি বললেন, এরা দু’টি কাজের একটি গ্রহণের ইখতিয়ার দিয়েছে। এরা হয় অভাবে আমার কাছে সাওয়ালকরবে অথবা আমার প্রতি কৃপণতার অভিযোগ আনবে। অথচ আমি কৃপণ হতে রাজী নই।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ سَلْمَانَ، بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله عنه قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَسْمًا فَقُلْتُ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَغَيْرُ هَؤُلاَءِ كَانَ أَحَقَّ بِهِ مِنْهُمْ . قَالَ " إِنَّهُمْ خَيَّرُونِي أَنْ يَسْأَلُونِي بِالْفُحْشِ أَوْ يُبَخِّلُونِي فَلَسْتُ بِبَاخِلٍ " .
হাদীস নং: ২৩০০
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৭-১
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩০০। আমরুন নাকিদ ও ইউনুস ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলাম। তখন নযরানে তৈরী মোটা পাড়বিশিষ্ট একটি চাঁদর তাঁর গায়ে ছিল। তাঁর সঙ্গে এক বেদুঈনের সাক্ষাত হয়। সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চাঁদর ধরে এমন জোরে টান দিল যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর গর্দানের উপরিভাগে তাকিয়ে দেখলাম এ শক্ত টানের কারণে তাঁর গর্দানের উপর চাঁদরের পাড়ের দাগ বসে গেছে। তারপর সে বলল, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ প্রদত্ত যে মাল তোমার নিকট মওজুদ আছে এর থেকে আমাকে কিছু দেয়ার জন্য আদেশ কর। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দিকে তাকালেন এবং হেসে দিলেন! এরপর তাকে দান করার জন্য নির্দেশ দিলেন।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّازِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ مَالِكًا، ح وَحَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مَالِكُ، بْنُ أَنَسٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كُنْتُ أَمْشِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهِ رِدَاءٌ نَجْرَانِيٌّ غَلِيظُ الْحَاشِيَةِ فَأَدْرَكَهُ أَعْرَابِيٌّ فَجَبَذَهُ بِرِدَائِهِ جَبْذَةً شَدِيدَةً نَظَرْتُ إِلَى صَفْحَةِ عُنُقِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ أَثَّرَتْ بِهَا حَاشِيَةُ الرِّدَاءِ مِنْ شِدَّةِ جَبْذَتِهِ ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ مُرْ لِي مِنْ مَالِ اللَّهِ الَّذِي عِنْدَكَ . فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَضَحِكَ ثُمَّ أَمَرَ لَهُ بِعَطَاءٍ .
হাদীস নং: ২৩০১
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৭-২
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩০১। যুহাইর ইবনে হারব ও সালামা ইবনে শাবীব (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে ইকরিমা ইবনে আম্মারের হাদীসে এ কথাটি উল্লেখ আছে যে, বেদুঈন লোকটি চাদর ধরে তার দিকে নবী (ﷺ) কে এমনভাবে টান দিলে যে, তিনি বেদুঈনের বুকের উপর পড়ে গেলেন। আর হাম্মামের বর্ণনায় আছে যে, “সে তার সঙ্গে এমনভাবে টানাটানি করল যে, চাঁদরটি ছিড়ে একপার্শ্ব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘাড়ের উপর আটকে রইল।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، ح وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، كُلُّهُمْ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ، بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ . وَفِي حَدِيثِ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ مِنَ الزِّيَادَةِ قَالَ ثُمَّ جَبَذَهُ إِلَيْهِ جَبْذَةً رَجَعَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَحْرِ الأَعْرَابِيِّ . وَفِي حَدِيثِ هَمَّامٍ فَجَاذَبَهُ حَتَّى انْشَقَّ الْبُرْدُ وَحَتَّى بَقِيَتْ حَاشِيَتُهُ فِي عُنُقِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
হাদীস নং: ২৩০২
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৮-১
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩০২। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কয়েকটি ‘কাবা’ বিতরণ করলেন এবং মাখরামা (রাযিঃ) কে কিছু দিলেন না। তখন মাখরামা (রাযিঃ) বললেন, হে বৎস! তুমি আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট নিয়ে চল। আমি তাঁর সঙ্গে চললাম। তারপর তিনি বললেন, তুমি যাও এবং তাঁকে আমার পক্ষ থেকে ডাক। তিনি বলেন, আমি তাঁর পক্ষ থেকে তাঁকে ডাকলাম। তিনি বের হয়ে নিকট এলেন। এ সময় ঐগুলোর একটি ‘কাবা’ তাঁর সঙ্গে ছিল। তিনি বললেন, এটি আমি তোমার জন্য লুকিয়ে রেখেছিলাম। তারপর তিনি মাখরামা (রাযিঃ) এর দিকে তাকিয়ে বললেন, মাখরামা খুশী হয়েছে।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، أَنَّهُ قَالَ قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقْبِيَةً وَلَمْ يُعْطِ مَخْرَمَةَ شَيْئًا فَقَالَ مَخْرَمَةُ يَا بُنَىَّ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ قَالَ ادْخُلْ فَادْعُهُ لِي . قَالَ فَدَعَوْتُهُ لَهُ فَخَرَجَ إِلَيْهِ وَعَلَيْهِ قَبَاءٌ مِنْهَا فَقَالَ " خَبَأْتُ هَذَا لَكَ " . قَالَ فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ " رَضِيَ مَخْرَمَةُ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৩০৩
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৮-২
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩০৩। আবুল খাত্তাব যিয়াদ ইবনে ইয়াহয়া হাসসানী (রাহঃ) ......... মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট কয়েকটি ‘কাবা’ আসল। তখন আমার পিতা মাখরামা আমাকে বললেন, তুমি আমাকে তাঁর নিকট নিয়ে চল হয় তো এর থেকে তিনি আমাকেও কিছু দিবেন। তারপর আমার পিতা (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর) গূহ দ্বারে গিয়ে দাঁড়িয়ে একথা বলতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহ-(ﷺ) তাঁর আওয়াজ চিনে ফেললেন এবং বেরিয়ে এলেন, এ সময় তাকে সঙ্গে একটি ‘কাবা’ ছিল। তিনি মাখরামাকে ‘কাবা’ সৌন্দর্য দেখাতে দেখাতে বললেন, এটি তোমার জন্য লুকিয়ে রেখেছিলাম, এটি আমি তোমার জন্য আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْحَسَّانِيُّ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ وَرْدَانَ أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ قَدِمَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَقْبِيَةٌ فَقَالَ لِي أَبِي مَخْرَمَةُ انْطَلِقْ بِنَا إِلَيْهِ عَسَى أَنْ يُعْطِيَنَا مِنْهَا شَيْئًا . قَالَ فَقَامَ أَبِي عَلَى الْبَابِ فَتَكَلَّمَ فَعَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَوْتَهُ فَخَرَجَ وَمَعَهُ قَبَاءٌ وَهُوَ يُرِيهِ مَحَاسِنَهُ وَهُوَ يَقُولُ " خَبَأْتُ هَذَا لَكَ خَبَأْتُ هَذَا لَكَ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৩০৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০-৫
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩০৪। হাসান ইবনে আলী হুলওয়ানি এবং আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদল লোককে (কিছু মাল) দান করলেন। আমিও তাদের মাঝে বসাছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের থেকে এক ব্যক্তিকে এড়িয়ে গেলেন, তাকে দিলেন না। অথচ এ লোকটি এদের তুলনায় আমার কাছে অধিক যোগ্য ছিল। তাই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট গিয়ে তাকে গোপনে বললাম, অমুক লোকটির ব্যাপারে আপনার কি খেয়াল? আল্লাহর কসম! আমি তো তাকে একজন মূমিন বলে ধারণা করি। তিনি বলেন, বরং মুসলমান।
এরপর আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলাম। কিন্তু তার সম্বন্ধে আমি যা জানি তা আমাকে প্রভাবিত করল। ফলে পূনরায় আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অমুকের ব্যাপারে আপনার কি খেয়াল? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে অবশ্যই একজন মুমিন বলে মনে করি। তিনি বললেন, বরং মুসলিম। পুনরায় আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অমুকের ব্যাপারে আপনার কি খেয়াল? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে অবশ্যই একজন মুমিন বলে মনে করি তিনি বললেন, বরং মুসলিম। তার পরে নবী (ﷺ) বললেন, আমি কোন একজনকে কিছু দান করি অথচ অন্যজন তার চাইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়, এই আশঙ্কায় যে, অধোমুখী হয়ে সে জাহান্নামে পতিত হতে পারে। হুলওয়ানীর হাদীসে কথাটি তিনবারের স্থলে দু’বার বর্ণিত আছে।
এরপর আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলাম। কিন্তু তার সম্বন্ধে আমি যা জানি তা আমাকে প্রভাবিত করল। ফলে পূনরায় আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অমুকের ব্যাপারে আপনার কি খেয়াল? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে অবশ্যই একজন মুমিন বলে মনে করি। তিনি বললেন, বরং মুসলিম। পুনরায় আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অমুকের ব্যাপারে আপনার কি খেয়াল? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে অবশ্যই একজন মুমিন বলে মনে করি তিনি বললেন, বরং মুসলিম। তার পরে নবী (ﷺ) বললেন, আমি কোন একজনকে কিছু দান করি অথচ অন্যজন তার চাইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়, এই আশঙ্কায় যে, অধোমুখী হয়ে সে জাহান্নামে পতিত হতে পারে। হুলওয়ানীর হাদীসে কথাটি তিনবারের স্থলে দু’বার বর্ণিত আছে।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، سَعْدٍ أَنَّهُ أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَهْطًا وَأَنَا جَالِسٌ فِيهِمْ قَالَ فَتَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ رَجُلاً لَمْ يُعْطِهِ وَهُوَ أَعْجَبُهُمْ إِلَىَّ فَقُمْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَارَرْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرَاهُ مُؤْمِنًا . قَالَ " أَوْ مُسْلِمًا " . فَسَكَتُّ قَلِيلاً ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَعْلَمُ مِنْهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ فَوَاللَّهِ إِنِّي لأَرَاهُ مُؤْمِنًا . قَالَ " أَوْ مُسْلِمًا " . فَسَكَتُّ قَلِيلاً ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَعْلَمُ مِنْهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ فَوَاللَّهِ إِنِّي لأَرَاهُ مُؤْمِنًا . قَالَ " أَوْ مُسْلِمًا " . قَالَ " إِنِّي لأُعْطِي الرَّجُلَ . وَغَيْرُهُ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْهُ خَشْيَةَ أَنْ يُكَبَّ فِي النَّارِ عَلَى وَجْهِهِ " . وَفِي حَدِيثِ الْحُلْوَانِيِّ تَكْرَارُ الْقَوْلِ مَرَّتَيْنِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩০৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০-৬
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩০৫। ইবনে আবু উমর, যুহাইর ইবনে হারব, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে সালিহ (রাহঃ) এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসের মর্মে বর্ণনা করেছেন।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ، بْنُ حُمَيْدٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ عَلَى مَعْنَى حَدِيثِ صَالِحٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩০৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০-৭
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩০৬। হাসান ইবনে আলী আল হুলওয়ানী (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে সা’দ (রাহঃ) এর সূত্রে যুহরী কর্তৃক হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসে এও বর্ণিত আছে যে, তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর হাত আমার ঘাড় ও কাঁধের উপর মারলেন এবং বললেন, হে সা’দ! তুমি কি আমার সাথে লড়াই করতে চাইছ? আমি অবশ্যই কোন ব্যক্তিকে দান করি......।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ سَعْدٍ، يُحَدِّثُ بِهَذَا الْحَدِيثِ - يَعْنِي حَدِيثَ الزُّهْرِيِّ الَّذِي ذَكَرْنَا - فَقَالَ فِي حَدِيثِهِ فَضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ بَيْنَ عُنُقِي وَكَتِفِي ثُمَّ قَالَ " أَقِتَالاً أَىْ سَعْدُ إِنِّي لأُعْطِي الرَّجُلَ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩০৭
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৯-১
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩০৭। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া তুজীবী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুনায়ন যুদ্ধের দিন আল্লাহ তাঁর রাসুলকে হাওয়াযিন গোত্রের যে সম্পদ দান করলেন তা থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরাইশদের কিছু লোককে একশত উট দান করলেন। আনসারগণ বলতে লাগলেন, আল্লাহ তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে ক্ষমা করুন। তিনি কুরাইশদের দিচ্ছেন, আর আমাদেরকে বাদ দিচ্ছেন। অথচ আমাদের তরবারী থেকে এখনো তাদের রক্ত ঝরছে।
আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, তাদের এ কথাটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট বর্ণনা করা হল। তখন তিনি আনসারদের ডেকে পাঠালেন এবং তাদের চামড়ার একটি তাঁবুর মধ্যে সমবেত করলেন। তাঁরা সকলে সমবেত হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের নিকট আসলেন এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, কথাটি কী, যা তোমাদের থেকে আমার নিকট পৌছেছে? তখন প্রজ্ঞাবান আনসারগণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের জ্ঞানী লেকেরা কিছুই বলেনি, অবশ্য আমাদের মধ্যে কিছু অল্প বয়সের লোক বলেছে যে, আল্লাহ তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে ক্ষমা করুন, তিনি কুরাইশদের দান করছেন। আর আমাদের বাদ দিচ্ছেন। অথচ তাদের রক্ত এখনো আমাদের তরবারী থেকে ঝরছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যারা সবেমাত্র কুফুরি বর্জন করে ইসলাম গ্রহণ করেছে, এমন কতিপয় ব্যক্তিকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য আমি দান করেছি। তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা ধন দৌলত নিয়ে যাবে আর তোমরা আপন গৃহে প্রস্থান করবে আল্লাহর রাসুল (ﷺ) কে নিয়ে? আল্লাহর কসম! তোমরা যা নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে তা উত্তম এ জিনিস থেকে যা নিয়ে তারা প্রত্যাবর্তন করছো। তারপর আনসারগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা এতে সন্তুষ্ট আছি। এরপর তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের উপর অন্যকে অগ্রাধিকার পেতে দেখবে। এমতাবস্থায় তোমরা ধৈর্য ধারণ করবে, যে পর্যন্ত না আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে সাক্ষাত লাভ করবে। আমি অবশ্য হাউযে কাউসারের পাশে থাকব (সেখানে আমাকে তোমরা পাবে)।
আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, তাদের এ কথাটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট বর্ণনা করা হল। তখন তিনি আনসারদের ডেকে পাঠালেন এবং তাদের চামড়ার একটি তাঁবুর মধ্যে সমবেত করলেন। তাঁরা সকলে সমবেত হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের নিকট আসলেন এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, কথাটি কী, যা তোমাদের থেকে আমার নিকট পৌছেছে? তখন প্রজ্ঞাবান আনসারগণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের জ্ঞানী লেকেরা কিছুই বলেনি, অবশ্য আমাদের মধ্যে কিছু অল্প বয়সের লোক বলেছে যে, আল্লাহ তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে ক্ষমা করুন, তিনি কুরাইশদের দান করছেন। আর আমাদের বাদ দিচ্ছেন। অথচ তাদের রক্ত এখনো আমাদের তরবারী থেকে ঝরছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যারা সবেমাত্র কুফুরি বর্জন করে ইসলাম গ্রহণ করেছে, এমন কতিপয় ব্যক্তিকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য আমি দান করেছি। তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা ধন দৌলত নিয়ে যাবে আর তোমরা আপন গৃহে প্রস্থান করবে আল্লাহর রাসুল (ﷺ) কে নিয়ে? আল্লাহর কসম! তোমরা যা নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে তা উত্তম এ জিনিস থেকে যা নিয়ে তারা প্রত্যাবর্তন করছো। তারপর আনসারগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা এতে সন্তুষ্ট আছি। এরপর তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের উপর অন্যকে অগ্রাধিকার পেতে দেখবে। এমতাবস্থায় তোমরা ধৈর্য ধারণ করবে, যে পর্যন্ত না আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে সাক্ষাত লাভ করবে। আমি অবশ্য হাউযে কাউসারের পাশে থাকব (সেখানে আমাকে তোমরা পাবে)।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ أُنَاسًا، مِنَ الأَنْصَارِ قَالُوا يَوْمَ حُنَيْنٍ حِينَ أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَمْوَالِ هَوَازِنَ مَا أَفَاءَ فَطَفِقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعْطِي رِجَالاً مِنْ قُرَيْشٍ الْمِائَةَ مِنَ الإِبِلِ فَقَالُوا يَغْفِرُ اللَّهُ لِرَسُولِ اللَّهِ يُعْطِي قُرَيْشًا وَيَتْرُكُنَا وَسُيُوفُنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ . قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ فَحُدِّثَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ قَوْلِهِمْ فَأَرْسَلَ إِلَى الأَنْصَارِ فَجَمَعَهُمْ فِي قُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ فَلَمَّا اجْتَمَعُوا جَاءَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا حَدِيثٌ بَلَغَنِي عَنْكُمْ " . فَقَالَ لَهُ فُقَهَاءُ الأَنْصَارِ أَمَّا ذَوُو رَأْيِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَلَمْ يَقُولُوا شَيْئًا وَأَمَّا أُنَاسٌ مِنَّا حَدِيثَةٌ أَسْنَانُهُمْ قَالُوا يَغْفِرُ اللَّهُ لِرَسُولِهِ يُعْطِي قُرَيْشًا وَيَتْرُكُنَا وَسُيُوفُنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَإِنِّي أُعْطِي رِجَالاً حَدِيثِي عَهْدٍ بِكُفْرٍ أَتَأَلَّفُهُمْ أَفَلاَ تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالأَمْوَالِ وَتَرْجِعُونَ إِلَى رِحَالِكُمْ بِرَسُولِ اللَّهِ فَوَاللَّهِ لَمَا تَنْقَلِبُونَ بِهِ خَيْرٌ مِمَّا يَنْقَلِبُونَ بِهِ " . فَقَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ رَضِينَا . قَالَ " فَإِنَّكُمْ سَتَجِدُونَ أَثَرَةً شَدِيدَةً فَاصْبِرُوا حَتَّى تَلْقَوُا اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَإِنِّي عَلَى الْحَوْضِ " . قَالُوا سَنَصْبِرُ .
হাদীস নং: ২৩০৮
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৯-২
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩০৮। হাসান আল-হুলওয়ানী ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাওয়াযিন গোত্রের যে ধন সম্পদ থেকে আল্লাহ তাআলা তাঁর রাসুল (ﷺ) কে (ফায় হিসেবে) দিয়েছেন......... এরপর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসের মধ্যে রয়েছে যে, আনাস (রাযিঃ) বললেন, আমরা ধৈর্য্যধারণ করতে পারিনি কারণ আমাদের মধ্যে অল্পবয়সী রয়েছে।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مَا أَفَاءَ مِنْ أَمْوَالِ هَوَازِنَ . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ قَالَ أَنَسٌ فَلَمْ نَصْبِرْ . وَقَالَ فَأَمَّا أُنَاسٌ حَدِيثَةٌ أَسْنَانُهُمْ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩০৯
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৯-৩
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩০৯। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে আনাস (রাযিঃ) বলেছেন যে, তারা বললেন, “আমরা ধৈর্য্যধারণ করব”। যেমন যুহরি থেকে ইউনূসের রিওয়ায়াতে বর্ণিত আছে।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ . إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ قَالَ أَنَسٌ قَالُوا نَصْبِرُ . كَرِوَايَةِ يُونُسَ عَنِ الزُّهْرِيِّ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩১০
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৯-৪
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩১০। মুহাম্মাদ ইবনুল মাসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আনসারদের একত্রিত করলেন এবং বললেন, তোমাদের মধ্যে অন্য গোত্রের কেউ আছে কি? তারা বললেন, নেই। তবে আমাদের ভগ্নিপূত্রগণ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ভগ্নিপূত্রগণ কওমেরই অন্তর্ভুক্ত। অতঃপর তিনি পূনরায় বললেন, কুরাইশ লোকেরা সবেমাত্র জাহিলী যুগ বর্জন করেছে এবং সদ্য বিপদমুক্ত হয়েছে। অতএব আমার ইচ্ছা, আমি তাদের ক্ষতির প্রতিদান দিব এবং তাদের হৃদয়কে আকৃষ্ট করব। তোমরা কি সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা পার্থিব সম্পদ নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে আর তোমরা আল্লাহর রাসুল (ﷺ) কে নিয়ে বাড়ীতে প্রত্যাবর্তন করবে। যদি সমস্ত মানুষ এক প্রান্তরে চলতে থাকে আর আনসারগণ চলে অন্য একটি ঘাটি দিয়ে, তাহলে আমি অবশ্যই আনসারদের ঘাটিতে তাদের সাথে চলব।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الأَنْصَارَ فَقَالَ " أَفِيكُمْ أَحَدٌ مِنْ غَيْرِكُمْ " . فَقَالُوا لاَ إِلاَّ ابْنُ أُخْتٍ لَنَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ ابْنَ أُخْتِ الْقَوْمِ مِنْهُمْ " . فَقَالَ " إِنَّ قُرَيْشًا حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ وَمُصِيبَةٍ وَإِنِّي أَرَدْتُ أَنْ أَجْبُرَهُمْ وَأَتَأَلَّفَهُمْ أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَرْجِعَ النَّاسُ بِالدُّنْيَا وَتَرْجِعُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ إِلَى بُيُوتِكُمْ لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَسَلَكَ الأَنْصَارُ شِعْبًا لَسَلَكْتُ شِعْبَ الأَنْصَارِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩১১
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৯-৫
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩১১। মুহাম্মাদ ইবনে ওয়ালীদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গণিমতের মাল কুরাইশদের মধ্যে বন্টন করলেন। এতে আননারগণ বলতে লাগল যে, একি আাশ্চর্য। আমাদের তরবারী থেকে তাদের রক্ত ঝরছে আর আমাদের গণিমত তাদের দেওয়া হচ্ছে! এ সংবাদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পৌছলে তিনি তাদেরকে একত্রিত করলেন এবং বললেন, কী তা, যা তোমাদের পক্ষ হতে আমার নিকট পৌছেছে? তারা বললেন, যা আপনার কাছে পৌছেছে তা ঠিকই আর আনসাররা মিথ্যা কথা বলতেন না।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা কি সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা পার্থিব ধন-সম্পদ নিয়ে নিজ বাড়ীতে ফিরে যাবে আর তোমরা তোমাদের বাড়ীতে ফিরে যাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে সঙ্গে নিয়ে। যদি লোকজন কোন প্রান্তর বা ঘাঁটি দিয়ে চলে আর আনসারগণ চলে অন্য প্রান্তর বা ঘাঁটি দিয়ে, তবে অবশ্যই আমি আনসারদের প্রান্তর বা ঘাঁটিতেই চলব।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা কি সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা পার্থিব ধন-সম্পদ নিয়ে নিজ বাড়ীতে ফিরে যাবে আর তোমরা তোমাদের বাড়ীতে ফিরে যাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে সঙ্গে নিয়ে। যদি লোকজন কোন প্রান্তর বা ঘাঁটি দিয়ে চলে আর আনসারগণ চলে অন্য প্রান্তর বা ঘাঁটি দিয়ে, তবে অবশ্যই আমি আনসারদের প্রান্তর বা ঘাঁটিতেই চলব।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا فُتِحَتْ مَكَّةُ قَسَمَ الْغَنَائِمَ فِي قُرَيْشٍ فَقَالَتِ الأَنْصَارُ إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْعَجَبُ إِنَّ سُيُوفَنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ وَإِنَّ غَنَائِمَنَا تُرَدُّ عَلَيْهِمْ . فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَمَعَهُمْ فَقَالَ " مَا الَّذِي بَلَغَنِي عَنْكُمْ " . قَالُوا هُوَ الَّذِي بَلَغَكَ . وَكَانُوا لاَ يَكْذِبُونَ . قَالَ " أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَرْجِعَ النَّاسُ بِالدُّنْيَا إِلَى بُيُوتِهِمْ وَتَرْجِعُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ إِلَى بُيُوتِكُمْ لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا أَوْ شِعْبًا وَسَلَكَتِ الأَنْصَارُ وَادِيًا أَوْ شِعْبًا لَسَلَكْتُ وَادِيَ الأَنْصَارِ أَوْ شِعْبَ الأَنْصَارِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩১২
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৯-৬
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩১২। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আর’আরা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুনায়নের যুদ্ধে হাওয়াযিন, গাতফান ও অন্যান্য গোত্রের লোকেরা তাদের সন্তান সন্ততি এবং পশুপাল নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হল। নবী (ﷺ) এর সঙ্গে দশ হাজার সৈন্য ছিল এবং তাঁর সঙ্গে আরো ছিল ক্ষমাপ্রাপ্ত মক্কাবাসী। যুদ্ধ আরম্ভ হলে তারা সবাই পালিয়ে গেল, এমনকি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একাকী রয়ে গেলেন।
এ সময় তিনি উচ্চস্বরে দু’বার ডাক দিলেন। এ দু’য়ের মধ্যে কথা মিলিত ছিল না। আনাস (রাযিঃ) বলেন যে, তিনি ডান দিকে তাকিয়ে বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! তাঁরা বললেন, লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তারপর বাম দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! তারা বললেন, লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ! সুসংবাদ গ্রহণ করুন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি সাদা খচ্চরের উপর ছিলেন এরপর তিনি নেমে পড়লেন এবং বললেন, আমি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল। অবশেষে মুশরিকরা পরাজিত হল। ফলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লাভ করেন তাদের থেকে বহু গণিমতের মাল।
তিনি ঐগুলো মুহাজির এবং ক্ষমাপ্রাপ্ত মক্কাবাসীদের মধ্যে বন্টন করে দিলেন। কিন্তু আনসারদেরকে কিছু দিলেন না। এতে আনসারগণ বলতে লাগল, বিপদকালে আমাদের ডাকা হয় আর গণিমত আমাদের ছাড়া অন্যদেরকে দেওয়া হয়। এ খবর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পৌছার পর তিনি তাদের একটি তাঁবুতে সমবেত করলেন এবং বললেন হে আনসার সম্প্রদায়! এ কি কথা তোমাদের পক্ষ হতে আমার নিকট পৌছেছে? তারা নীরব রইলেন।
তারপর তিনি বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! তোমার কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা পার্থিব ধন-সম্পদ নিয়ে চলে যাবে আর তোমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) কে নিয়ে ফিরে যাবে এবং তার সঙ্গে মিলিত হয়ে থাকার সৌভাগ্য লাভ করবে। তারা বললেন, হ্যাঁ ইয়া রাসুলাল্লাহ! এতে আমরা সন্তুষ্ট আছি।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি লোকেরা একটি প্রান্তরে চলে আর আনসারগণ চলে অন্য একটি ঘাঁটিতে তাহলে আমি আনসারদের ঘাঁটিই অবলন্বন করব। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আবু হামযা (আনাস)! তুমি কি এ সময় উপস্থিত ছিলে? তিনি বললেন, আমি তাঁকে ছেড়ে কোথায় যেতে পারি?
এ সময় তিনি উচ্চস্বরে দু’বার ডাক দিলেন। এ দু’য়ের মধ্যে কথা মিলিত ছিল না। আনাস (রাযিঃ) বলেন যে, তিনি ডান দিকে তাকিয়ে বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! তাঁরা বললেন, লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তারপর বাম দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! তারা বললেন, লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ! সুসংবাদ গ্রহণ করুন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি সাদা খচ্চরের উপর ছিলেন এরপর তিনি নেমে পড়লেন এবং বললেন, আমি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল। অবশেষে মুশরিকরা পরাজিত হল। ফলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লাভ করেন তাদের থেকে বহু গণিমতের মাল।
তিনি ঐগুলো মুহাজির এবং ক্ষমাপ্রাপ্ত মক্কাবাসীদের মধ্যে বন্টন করে দিলেন। কিন্তু আনসারদেরকে কিছু দিলেন না। এতে আনসারগণ বলতে লাগল, বিপদকালে আমাদের ডাকা হয় আর গণিমত আমাদের ছাড়া অন্যদেরকে দেওয়া হয়। এ খবর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পৌছার পর তিনি তাদের একটি তাঁবুতে সমবেত করলেন এবং বললেন হে আনসার সম্প্রদায়! এ কি কথা তোমাদের পক্ষ হতে আমার নিকট পৌছেছে? তারা নীরব রইলেন।
তারপর তিনি বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! তোমার কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা পার্থিব ধন-সম্পদ নিয়ে চলে যাবে আর তোমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) কে নিয়ে ফিরে যাবে এবং তার সঙ্গে মিলিত হয়ে থাকার সৌভাগ্য লাভ করবে। তারা বললেন, হ্যাঁ ইয়া রাসুলাল্লাহ! এতে আমরা সন্তুষ্ট আছি।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি লোকেরা একটি প্রান্তরে চলে আর আনসারগণ চলে অন্য একটি ঘাঁটিতে তাহলে আমি আনসারদের ঘাঁটিই অবলন্বন করব। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আবু হামযা (আনাস)! তুমি কি এ সময় উপস্থিত ছিলে? তিনি বললেন, আমি তাঁকে ছেড়ে কোথায় যেতে পারি?
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ، - يَزِيدُ أَحَدُهُمَا عَلَى الآخَرِ الْحَرْفَ بَعْدَ الْحَرْفِ - قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ حُنَيْنٍ أَقْبَلَتْ هَوَازِنُ وَغَطَفَانُ وَغَيْرُهُمْ بِذَرَارِيِّهِمْ وَنَعَمِهِمْ وَمَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ عَشَرَةُ آلاَفٍ وَمَعَهُ الطُّلَقَاءُ فَأَدْبَرُوا عَنْهُ حَتَّى بَقِيَ وَحْدَهُ - قَالَ - فَنَادَى يَوْمَئِذٍ نِدَاءَيْنِ لَمْ يَخْلِطْ بَيْنَهُمَا شَيْئًا - قَالَ - فَالْتَفَتَ عَنْ يَمِينِهِ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ " . فَقَالُوا لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبْشِرْ نَحْنُ مَعَكَ - قَالَ - ثُمَّ الْتَفَتَ عَنْ يَسَارِهِ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ " . قَالُوا لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبْشِرْ نَحْنُ مَعَكَ - قَالَ - وَهُوَ عَلَى بَغْلَةٍ بَيْضَاءَ فَنَزَلَ فَقَالَ أَنَا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ . فَانْهَزَمَ الْمُشْرِكُونَ وَأَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَنَائِمَ كَثِيرَةً فَقَسَمَ فِي الْمُهَاجِرِينَ وَالطُّلَقَاءِ وَلَمْ يُعْطِ الأَنْصَارَ شَيْئًا فَقَالَتِ الأَنْصَارُ إِذَا كَانَتِ الشِّدَّةُ فَنَحْنُ نُدْعَى وَتُعْطَى الْغَنَائِمُ غَيْرَنَا . فَبَلَغَهُ ذَلِكَ فَجَمَعَهُمْ فِي قُبَّةٍ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ مَا حَدِيثٌ بَلَغَنِي عَنْكُمْ " . فَسَكَتُوا فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالدُّنْيَا وَتَذْهَبُونَ بِمُحَمَّدٍ تَحُوزُونَهُ إِلَى بُيُوتِكُمْ " . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ رَضِينَا . قَالَ فَقَالَ " لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَسَلَكَتِ الأَنْصَارُ شِعْبًا لأَخَذْتُ شِعْبَ الأَنْصَارِ " . قَالَ هِشَامٌ فَقُلْتُ يَا أَبَا حَمْزَةَ أَنْتَ شَاهِدٌ ذَاكَ قَالَ وَأَيْنَ أَغِيبُ عَنْهُ.

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৯-৭
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩১৩। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয, হামিদ ইবনে উমর ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মক্কা বিজয় করলাম। তারপর হুনায়নের যুদ্ধে অগ্রসর হলাম। এ সময় মুশরিকরা সুশৃঙ্খল ও সারিবদ্ধভাবে যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হল। প্রথম কাতারে ছিল তাদের অশ্বারোহী দল, তারপর পদাতিক বাহিনীর কাতার, তারপর মহিলাদের কাতার, তারপর বকরীর কাতার, তারপর উটের কাতার। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমরা। ছিলাম সংখ্যায় অনেক। আমারা সংখ্যা ছয় হাজার গিয়ে পৌছেছিল। আমাদের ডান দিকের অশ্বরোহী দলের সেনাপতি ছিলেন খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ)। এক সময় আমাদের ঘোড়াগুলো পাশ্চাদপদ হতে লাগল এবং আমাদের ঘোড়াগুলো দ্রুত ময়দান ছেড়ে গেল। আর বেদুঈন লোকেরা এবং আমদের কিছু জানা লোকও পালাল।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উচ্চস্বরে ডাক দিলেন, হে মুহাজির সম্প্রদায়! হে মুহাজির সম্প্রদায়! তিনি আবার বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! হে আনসার সম্প্রদায়! রাবী বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেছেন, হাদীসের পরবর্তী অংশ আমার চাচাদের কাছ থেকে বর্ণিত। আমরা বললাম, লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সন্মুখের দিকে অগ্রসর হলেন।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম আমরা আমাদের স্থানে পৌছার পূর্বেই আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের পরাজিত করে দিলেন। আমরা তাদের সকল সম্পদ হস্থগত করলাম। তারপর আমরা তায়িফের দিকে চললাম এবং তায়িফবাসীদের চল্লিশ দিন পর্যন্ত অবরোধ করে রাখলাম। তারপর আমরা মক্কার দিকে ফিরে এলাম এবং সেখানে অবতরণ করলাম।
রাবী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কতিপয় লোককে একশ করে উট দিতে লাগলেন। হাদীসের পরবর্তী অংশ কাতাদা, আবু তায়্যাহ ও হিশাম ইবনে যায়দ (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উচ্চস্বরে ডাক দিলেন, হে মুহাজির সম্প্রদায়! হে মুহাজির সম্প্রদায়! তিনি আবার বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! হে আনসার সম্প্রদায়! রাবী বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেছেন, হাদীসের পরবর্তী অংশ আমার চাচাদের কাছ থেকে বর্ণিত। আমরা বললাম, লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সন্মুখের দিকে অগ্রসর হলেন।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম আমরা আমাদের স্থানে পৌছার পূর্বেই আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের পরাজিত করে দিলেন। আমরা তাদের সকল সম্পদ হস্থগত করলাম। তারপর আমরা তায়িফের দিকে চললাম এবং তায়িফবাসীদের চল্লিশ দিন পর্যন্ত অবরোধ করে রাখলাম। তারপর আমরা মক্কার দিকে ফিরে এলাম এবং সেখানে অবতরণ করলাম।
রাবী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কতিপয় লোককে একশ করে উট দিতে লাগলেন। হাদীসের পরবর্তী অংশ কাতাদা, আবু তায়্যাহ ও হিশাম ইবনে যায়দ (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، وَحَامِدُ بْنُ عُمَرَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالَ ابْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ حَدَّثَنِي السُّمَيْطُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ افْتَتَحْنَا مَكَّةَ ثُمَّ إِنَّا غَزَوْنَا حُنَيْنًا فَجَاءَ الْمُشْرِكُونَ بِأَحْسَنِ صُفُوفٍ رَأَيْتُ - قَالَ - فَصُفَّتِ الْخَيْلُ ثُمَّ صُفَّتِ الْمُقَاتِلَةُ ثُمَّ صُفَّتِ النِّسَاءُ مِنْ وَرَاءِ ذَلِكَ ثُمَّ صُفَّتِ الْغَنَمُ ثُمَّ صُفَّتِ النَّعَمُ - قَالَ - وَنَحْنُ بَشَرٌ كَثِيرٌ قَدْ بَلَغْنَا سِتَّةَ آلاَفٍ وَعَلَى مُجَنِّبَةِ خَيْلِنَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ - قَالَ - فَجَعَلَتْ خَيْلُنَا تَلْوِي خَلْفَ ظُهُورِنَا فَلَمْ نَلْبَثْ أَنِ انْكَشَفَتْ خَيْلُنَا وَفَرَّتِ الأَعْرَابُ وَمَنْ نَعْلَمُ مِنَ النَّاسِ - قَالَ - فَنَادَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا لَلْمُهَاجِرِينَ يَا لَلْمُهَاجِرِينَ " . ثُمَّ قَالَ " يَا لَلأَنْصَارِ يَا لَلأَنْصَارِ " . قَالَ قَالَ أَنَسٌ هَذَا حَدِيثُ عِمِّيَّةٍ . قَالَ قُلْنَا لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ - قَالَ - فَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَايْمُ اللَّهِ مَا أَتَيْنَاهُمْ حَتَّى هَزَمَهُمُ اللَّهُ - قَالَ - فَقَبَضْنَا ذَلِكَ الْمَالَ ثُمَّ انْطَلَقْنَا إِلَى الطَّائِفِ فَحَاصَرْنَاهُمْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى مَكَّةَ فَنَزَلْنَا - قَالَ - فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعْطِي الرَّجُلَ الْمِائَةَ مِنَ الإِبِلِ . ثُمَّ ذَكَرَ بَاقِيَ الْحَدِيثِ كَنَحْوِ حَدِيثِ قَتَادَةَ وَأَبِي التَّيَّاحِ وَهِشَامِ بْنِ زَيْدٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬০-১
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩১৪। মুহাম্মাদ ইবনে আবু উমর আল মক্কী (রাহঃ) ......... রাফি ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু সুফিয়ান ইবনে হারব, সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া, উয়াইনা ইবনে হিসন ও আকরা ইবনে হাবিস (রাযিঃ) কে একশ করে উট প্রদান করলেন। আব্বাস ইবনে মিরদাস (রাযিঃ) কে ঐ পরিমাণ সংখ্যা থেকে কিছু কম দিলেন। তখন আব্বাস ইবনে মিরদাস (রাযিঃ) বললেনঃ
আপনি আমার ও আমার ঘোড়ার অংশকে বণ্টন করেছেন, উয়াইনা এবং আকরার মাঝে। অথচ উয়াইনা ও আকরার কোন সমাবেশে - মিরদাস হতে অগ্রগামী হতে পারেনি। আমি তাদের চেয়ে কম বাহাদূর নই। আজকে যাকে নীচে রাখা হবে, তাকে উপরে ওঠানো হবে না।
বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তকেও একশ উট পূর্ণ করে দিলেন।
আপনি আমার ও আমার ঘোড়ার অংশকে বণ্টন করেছেন, উয়াইনা এবং আকরার মাঝে। অথচ উয়াইনা ও আকরার কোন সমাবেশে - মিরদাস হতে অগ্রগামী হতে পারেনি। আমি তাদের চেয়ে কম বাহাদূর নই। আজকে যাকে নীচে রাখা হবে, তাকে উপরে ওঠানো হবে না।
বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তকেও একশ উট পূর্ণ করে দিলেন।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ وَصَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ وَعُيَيْنَةَ بْنَ حِصْنٍ وَالأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ كُلَّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ مِائَةً مِنَ الإِبِلِ وَأَعْطَى عَبَّاسَ بْنَ مِرْدَاسٍ دُونَ ذَلِكَ . فَقَالَ عَبَّاسُ بْنُ مِرْدَاسٍ أَتَجْعَلُ نَهْبِي وَنَهْبَ الْعُبَيْدِ بَيْنَ عُيَيْنَةَ وَالأَقْرَعِ فَمَا كَانَ بَدْرٌ وَلاَ حَابِسٌ يَفُوقَانِ مِرْدَاسَ فِي الْمَجْمَعِ وَمَا كُنْتُ دُونَ امْرِئٍ مِنْهُمَا وَمَنْ تَخْفِضِ الْيَوْمَ لاَ يُرْفَعِ قَالَ فَأَتَمَّ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِائَةً .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৩১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬০-২
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৪১৫। আহমাদ ইবনে আব্দা আদ-দাব্বী (রাহঃ) ......... উমর ইবনে সাঈদ ইবনে মাসরুক (রাহঃ) সূত্রে এ সনদে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) হুনায়নের যুদ্ধলব্ধ সস্পদ বণ্টন করলেন এবং আবু সুফিয়ান ইবনে হারব (রাযিঃ) কে একশ উট প্রদান করলেন। তারপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসে একথাও রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলকামা ইবনে উলাসা (রাযিঃ) কে একশ উট প্রদান করলেন।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَسَمَ غَنَائِمَ حُنَيْنٍ فَأَعْطَى أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ مِائَةً مِنَ الإِبِلِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِهِ وَزَادَ وَأَعْطَى عَلْقَمَةَ بْنَ عُلاَثَةَ مِائَةً .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৩১৬
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬০-৩
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩১৬। মাখলাদ ইবনে খালিদ (রাহঃ) ......... উমর ইবনে সাঈদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি তার হাদীসের মধ্যে আলকামা ইবনে উলাসা ও সাফওয়ান ইবনে উমাইয়ার কথা উল্লেখ করেননি এবং তার হাদীসে কবিতারও উল্লেখ নেই।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
وَحَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ الشَّعِيرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِي الْحَدِيثِ عَلْقَمَةَ بْنَ عُلاَثَةَ وَلاَ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ وَلَمْ يَذْكُرِ الشِّعْرَ فِي حَدِيثِهِ.

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৩১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬১
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩১৭। সুরায়জ ইবনে ইউনূস (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হুনায়ন বিজয় হয়ে গেলে গনিমতের মাল বন্টন করলেন এবং আকর্ষণ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নওমুসলিমদের তা থেকে দিলেন। পরে তার কাছে এ খবর পৌছল যে, আনসারদের পছন্দ এই যে, তাদেরও অন্যান্য লোকদের সমান দেওয়া হোক। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়ালেন এবং আনসারদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসা এবং গুণাবলী বর্ণনা করলেন। তারপর বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! আমি কি তোমাদের পথহারা পাইনি? পরে আল্লাহ তাআলা আমার দ্বারা তোমাদের হিদায়াত করেছেন। আমি কি তোমাদের নিঃস্ব পাইনি? তারপর আল্লাহ তাআলা আমার দ্বারা তোমাদের বিত্তশালী করেছেন। আমি কি তোমাকের বিচ্ছিন্ন পাইনি? তারপর আল্লাহ তাআলা আমার মাধ্যমে তোমাদের সংহত করেছেন।
আনসারগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (ﷺ) অনুগ্রহশীল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা কি আমার কথার উত্তর দিবে না? তারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অনুগ্রহশীল। তিনি বললেন, তোমরা চাইলে এরূপ, এরূপ বলতে পার এবং বিষয়টা সে রকমই ছিল। তিনি কয়েকটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করলেন। (বর্ণনাকারী) আমর (রাযিঃ) বলেন যে, তিনি তা স্মরণ রাখতে পারেন নি।
তারপর নবী (ﷺ) বললেন, তোমরা কি খুশী হবে না যে, লোকেরা বকরী এবং উট নিয়ে (ফিরে) যাবে আর তোমরা তোমাদের গৃহে যাবে আল্লাহর রাসুল (ﷺ) কে নিয়ে? আনসারগণ আমার অন্তর্বাসস্বরূপ আর অন্যান্যরা আমার বহির্বাসস্বরূপ। যদি হিজরত না হত তবে অবশ্যই আমি আনসারদেরই একজন হতাম। যদি লোকেরা এক প্রান্তরে বা এক ঘাঁটিতে চলে তবে আমি অবশ্যই আনসারদের প্রান্তর ও ঘাটি দিয়েই পথ চলব। তোমরা আমার পর একের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিতে দেখবে তখন তোমরা ধৈর্যধারণ করবে, হাউযে কাউসারে আমার সাথে সাক্ষাত হওয়া পর্যন্ত।
আনসারগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (ﷺ) অনুগ্রহশীল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা কি আমার কথার উত্তর দিবে না? তারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অনুগ্রহশীল। তিনি বললেন, তোমরা চাইলে এরূপ, এরূপ বলতে পার এবং বিষয়টা সে রকমই ছিল। তিনি কয়েকটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করলেন। (বর্ণনাকারী) আমর (রাযিঃ) বলেন যে, তিনি তা স্মরণ রাখতে পারেন নি।
তারপর নবী (ﷺ) বললেন, তোমরা কি খুশী হবে না যে, লোকেরা বকরী এবং উট নিয়ে (ফিরে) যাবে আর তোমরা তোমাদের গৃহে যাবে আল্লাহর রাসুল (ﷺ) কে নিয়ে? আনসারগণ আমার অন্তর্বাসস্বরূপ আর অন্যান্যরা আমার বহির্বাসস্বরূপ। যদি হিজরত না হত তবে অবশ্যই আমি আনসারদেরই একজন হতাম। যদি লোকেরা এক প্রান্তরে বা এক ঘাঁটিতে চলে তবে আমি অবশ্যই আনসারদের প্রান্তর ও ঘাটি দিয়েই পথ চলব। তোমরা আমার পর একের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিতে দেখবে তখন তোমরা ধৈর্যধারণ করবে, হাউযে কাউসারে আমার সাথে সাক্ষাত হওয়া পর্যন্ত।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا فَتَحَ حُنَيْنًا قَسَمَ الْغَنَائِمَ فَأَعْطَى الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوبُهُمْ فَبَلَغَهُ أَنَّ الأَنْصَارَ يُحِبُّونَ أَنْ يُصِيبُوا مَا أَصَابَ النَّاسُ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَطَبَهُمْ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ أَلَمْ أَجِدْكُمْ ضُلاَّلاً فَهَدَاكُمُ اللَّهُ بِي وَعَالَةً فَأَغْنَاكُمُ اللَّهُ بِي وَمُتَفَرِّقِينَ فَجَمَعَكُمُ اللَّهُ بِي " . وَيَقُولُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمَنُّ . فَقَالَ " أَلاَ تُجِيبُونِي " . فَقَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمَنُّ . فَقَالَ " أَمَا إِنَّكُمْ لَوْ شِئْتُمْ أَنْ تَقُولُوا كَذَا وَكَذَا وَكَانَ مِنَ الأَمْرِ كَذَا وَكَذَا " . لأَشْيَاءَ عَدَّدَهَا . زَعَمَ عَمْرٌو أَنْ لاَ يَحْفَظُهَا فَقَالَ " أَلاَ تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالشَّاءِ وَالإِبِلِ وَتَذْهَبُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ إِلَى رِحَالِكُمُ الأَنْصَارُ شِعَارٌ وَالنَّاسُ دِثَارٌ وَلَوْلاَ الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنَ الأَنْصَارِ وَلَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَشِعْبًا لَسَلَكْتُ وَادِيَ الأَنْصَارِ وَشِعْبَهُمْ إِنَّكُمْ سَتَلْقَوْنَ بَعْدِي أَثَرَةً فَاصْبِرُوا حَتَّى تَلْقَوْنِي عَلَى الْحَوْضِ " .
হাদীস নং: ২৩১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬২-১
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩১৮। যুহাইর ইবনে হারব, উসমান ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুনায়নের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল বন্টনে কতিপয় ব্যক্তিকে প্রাধান্য দিলেন। তিনি আকরা ইবনে হাবিস (রাযিঃ) কে একশ উট দিলেন। উয়াইনা (রাযিঃ) কেও অনুরূপ দিলেন। আরবের শীর্য স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিকেও গনিমতের মাল দিলেন। বণ্টনে তাদের সেদিন অন্যদের উপর প্রাধান্য দিলেন। তখন এক ব্যক্তি বললেন, আল্লাহর কসম! এ বন্টনে ইনসাফ করা হয়নি। এতে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা হয়নি।
আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, এ কথা শুনে আমি মনে মনে বললাম, এ সংবাদ অবশ্যই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পৌছিয়ে দিব। তারপর আমি তাঁর নিকট এসে সে যা বলেছিল তা বলে দিলাম। এতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারা মুবারক লাল হয়ে গেল। তারপর তিনি বললেন, যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (ﷺ) ন্যায়বিচার করেননি তবে ন্যায়বিচার আর কেই বা করবে? তারপর তিনি বলেলন, আল্লাহ মুসা (আলাইহিস সালাম) এর প্রতি দয়া করুন। তাকে এর চেয়েও অধিক কষ্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি ধৈর্যধারণ করেছেন। রাবী বলেন, আমি মনে মনে করলাম, ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ কখনো আমি তার নিকট আর পৌছাব না।
আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, এ কথা শুনে আমি মনে মনে বললাম, এ সংবাদ অবশ্যই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পৌছিয়ে দিব। তারপর আমি তাঁর নিকট এসে সে যা বলেছিল তা বলে দিলাম। এতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারা মুবারক লাল হয়ে গেল। তারপর তিনি বললেন, যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (ﷺ) ন্যায়বিচার করেননি তবে ন্যায়বিচার আর কেই বা করবে? তারপর তিনি বলেলন, আল্লাহ মুসা (আলাইহিস সালাম) এর প্রতি দয়া করুন। তাকে এর চেয়েও অধিক কষ্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি ধৈর্যধারণ করেছেন। রাবী বলেন, আমি মনে মনে করলাম, ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ কখনো আমি তার নিকট আর পৌছাব না।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ حُنَيْنٍ آثَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَاسًا فِي الْقِسْمَةِ فَأَعْطَى الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ مِائَةً مِنَ الإِبِلِ وَأَعْطَى عُيَيْنَةَ مِثْلَ ذَلِكَ وَأَعْطَى أُنَاسًا مِنْ أَشْرَافِ الْعَرَبِ وَآثَرَهُمْ يَوْمَئِذٍ فِي الْقِسْمَةِ فَقَالَ رَجُلٌ وَاللَّهِ إِنَّ هَذِهِ لَقِسْمَةٌ مَا عُدِلَ فِيهَا وَمَا أُرِيدَ فِيهَا وَجْهُ اللَّهِ . قَالَ فَقُلْتُ وَاللَّهِ لأُخْبِرَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَأَتَيْتُهُ فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا قَالَ - قَالَ - فَتَغَيَّرَ وَجْهُهُ حَتَّى كَانَ كَالصِّرْفِ ثُمَّ قَالَ " فَمَنْ يَعْدِلُ إِنْ لَمْ يَعْدِلِ اللَّهُ وَرَسُولُهُ " . قَالَ ثُمَّ قَالَ " يَرْحَمُ اللَّهُ مُوسَى قَدْ أُوذِيَ بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَرَ " . قَالَ قُلْتُ لاَ جَرَمَ لاَ أَرْفَعُ إِلَيْهِ بَعْدَهَا حَدِيثًا .