আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৭- কুরআনে কারীমের ফাযায়েল ও আদাব-মাসাঈল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ১৮১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৯-১
১৯. ভয়-ভীতিকালে নামায আদায়ের পদ্ধতি
১৮১৫। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শংকার সময় দুই দলের একটি দলকে নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করলেন এবং অপর দলটি শক্রর মুখোমুখি থাকল। এরপর প্রথম দল ফিরে গিয়ে তাদের সাথীদের স্থানে অবস্থান গ্রহণ করে শক্রর মুখোমুখি হয়ে দাঁড়ালেন এবং দ্বিতীয় দলটি আসল। তখন নবী (ﷺ) তাদেরকে নিয়ে সালাম ফিরালেন। তারপর এদল এক রাকআত আদায় করলেন এবং ঐ দল আরেক রাক’আত আদায় করলেন।
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ بِإِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَةً وَالطَّائِفَةُ الأُخْرَى مُوَاجِهَةُ الْعَدُوِّ ثُمَّ انْصَرَفُوا وَقَامُوا فِي مَقَامِ أَصْحَابِهِمْ مُقْبِلِينَ عَلَى الْعَدُوِّ وَجَاءَ أُولَئِكَ ثُمَّ صَلَّى بِهِمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَضَى هَؤُلاَءِ رَكْعَةً وَهَؤُلاَءِ رَكْعَةً .
হাদীস নং: ১৮১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৯-২
১৯. ভয়-ভীতিকালে নামায আদায়ের পদ্ধতি
১৮১৬। আবুর রাবী যাহরানী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শংকাকালীন নামাযের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলতেন যে, ″আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সঙ্গে এ নামায আদায় করেছি।″ উপরোক্ত বর্ণনানুযায়ী।
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْخَوْفِ وَيَقُولُ صَلَّيْتُهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِهَذَا الْمَعْنَى .
হাদীস নং: ১৮১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৯-৩
১৯. ভয়-ভীতিকালে নামায আদায়ের পদ্ধতি
১৮১৭। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন এক যুদ্ধে ভয় ভীতির মধ্যে সালাতুল-খাওফ আদায় করলেন। তখন একটি দল তাঁর সাথে নামাযে দাঁড়ালেন এবং অন্য দল শক্রর মুকাবিলায় অবস্থান নিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের নিয়ে এক রাক’আত আদায় করলেন। এরপর তারা চলে গেলেন এবং অপর দল আগমন করলে তাঁদেরকে নিয়েও এক রাক’আত নামায আদায় করলেন। এরপর উভয় দল এক এক রাকআত আদায় করলেন। রাবী বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) আরো বলেন, যখন ভয়-তীতি অত্যধিক হয়ে পড়ে তখন কোন বাহনে আরোহণ অবস্থায় অথবা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইশারায় নামায আদায় করে নেবে।
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُوسَى بْنِ، عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ فَقَامَتْ طَائِفَةٌ مَعَهُ وَطَائِفَةٌ بِإِزَاءِ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالَّذِينَ مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ ذَهَبُوا وَجَاءَ الآخَرُونَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ قَضَتِ الطَّائِفَتَانِ رَكْعَةً رَكْعَةً - قَالَ - وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ فَإِذَا كَانَ خَوْفٌ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَصَلِّ رَاكِبًا أَوْ قَائِمًا تُومِئُ إِيمَاءً .
হাদীস নং: ১৮১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪০-১
১৯. ভয়-ভীতিকালে নামায আদায়ের পদ্ধতি
১৮১৮। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে সালাতুল খাওফে হাযির ছিলাম। তিনি আমাদের দু’দলে বিভক্ত করলেন। এক দল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পেছনে। আর শক্র ছিল আমাদের ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মাঝখানে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীর বললেন, আমরাও একত্রে তাকবীর বললাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুকু’ করলেন এবং আমরাও একত্রে রুকু’ করলাম। এরপর তিনি রুকু’ হতে মাথা উঠালে আমরাও সকলে মাথা উঠালাম। এরপর তিনি সিজদায় গেলেন এবং তার সঙ্গে যে দলটি ছিল, সে দলটিও। তাঁর পিছনের দল শক্রর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকলেন।

নবী (ﷺ) যখন সিজদা সমাপ্ত করলেন এবং তাঁর সংলগ্ন পেছনের দলটি দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন পেছনের দলটি সিজদায় গেল। এরপর তারা দাঁড়াল। অতঃপর পেছনের দলটি সামনে গেল এবং সামনের দলটি পেছনে এল। এরপর নবী(ﷺ) রুকু’ করলেন এবং আমরাও সবাই রুকু’ করলাম। এরপর তিনি রুকু’ থেকে মাথা উঠালেন। আমরাও মাথা উঠালাম। এরপর তিনি সিজদায় গেলেন এবং তাঁর সংলগ্ন যারা প্রথম রাকআতে পেছনে ছিলেন তাঁরাও। আর পেছনের দলটি শক্রর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকলেন যখন নবী (ﷺ) এবং তাঁর সংলগ্ন দল সিজদা সমাপন করলেন, তখন পেছনের দলটি সিজদায় গেল এবং তারা সকলে এভাবে সিজদা করল। এরপর নবী (ﷺ) ও আমরা সকলে সালাম ফিরালাম। জাবির (রাযিঃ) বলেন, যেমন তোমাদের প্রহরীগণ তাদের আমীরগণের পাহারা দেয়।
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فَصَفَّنَا صَفَّيْنِ صَفٌّ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالْعَدُوُّ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ فَكَبَّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَكَبَّرْنَا جَمِيعًا ثُمَّ رَكَعَ وَرَكَعْنَا جَمِيعًا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ وَرَفَعْنَا جَمِيعًا ثُمَّ انْحَدَرَ بِالسُّجُودِ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَقَامَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ فِي نَحْرِ الْعَدُوِّ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم السُّجُودَ وَقَامَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ انْحَدَرَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ بِالسُّجُودِ وَقَامُوا ثُمَّ تَقَدَّمَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ وَتَأَخَّرَ الصَّفُّ الْمُقَدَّمُ ثُمَّ رَكَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَرَكَعْنَا جَمِيعًا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ وَرَفَعْنَا جَمِيعًا ثُمَّ انْحَدَرَ بِالسُّجُودِ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ الَّذِي كَانَ مُؤَخَّرًا فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى وَقَامَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ فِي نُحُورِ الْعَدُوِّ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم السُّجُودَ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ انْحَدَرَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ بِالسُّجُودِ فَسَجَدُوا ثُمَّ سَلَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَسَلَّمْنَا جَمِيعًا . قَالَ جَابِرٌ كَمَا يَصْنَعُ حَرَسُكُمْ هَؤُلاَءِ بِأُمَرَائِهِمْ .
হাদীস নং: ১৮১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪০-২
১৯. ভয়-ভীতিকালে নামায আদায়ের পদ্ধতি
১৮১৯। আহমাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ইউনূস (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যুহায়না গোত্রের একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। তারা আমাদের সাথে প্রচন্ড যুদ্ধে লিপ্ত হয়। আমরা যখন যোহরের নামায আদায় করে নিলাম তখন মুশরিকরা বলতে লাগল, আমরা যদি এক যোগে আক্রমণ করতাম তাহলে মুসলমানদেরকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারতাম। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ সংবাদ দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে জানালেন। তিনি বলেন, মুশরিকরা আরো বলেছে যে, মুসলমানদের নিকট এমন একটি নামাযের সময় উপস্থিত হচ্ছে যে নামায তাদের নিকট নিজেদের সন্তান থেকেও অধিক প্রিয়। তিনি বলেন, যখন আসরের সময় হল, তখন তিনি আমাদের- দু’ কাতারে বিভক্ত করলেন। আর মুশরিকরা ছিল আমাদের এবং কিবলার মাঝখানে।

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীর বললেন, আমরাও তাকবীর বললাম। তিনি রুকু’ করলেন, আমরাও রুকু’ করলাম। এরপর তিনি সিজদা করলেন। তাঁর সাথে প্রথম সারির লোকেরাও সিজদা করল। এরপর প্রথম সারির লোকেরা দাঁড়িয়ে থাকলেন। আর পেছনের সারির লোকেরা সিজদা করলেন। এরপর প্রথম সারির লোকেরা পেছনে এলেন এবং দ্বিতীয় সারির লোকেরা সামনে আসলেন এবং প্রথম কাতারের লোকদের স্থানে দাঁড়াল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীর বললেন, আমরাও তাকবীর বললাম। তিনি রুকু’ করলেন আমরাও রুকু’ করলাম। এরপর তাঁর সাথে প্রথম সারির লোকেরা সিজদা করলেন এবং পিছনের সারির লোকেরা দাঁড়িয়ে গেল। অতঃপর যখন দ্বিতীয় সারির লোকেরা সিজদা করল, তারপর সকলে বসে গেল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সবাইকে নিয়ে সালাম ফিরালেন।

আবু যুবাইর (রাহঃ) বলেন, এরপর জাবির (রাযিঃ) বিশেষভাবে বললেন, যেভাবে তোমাদের বর্তমানকালের আমীরগণ নামায আদায় করেন।
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَوْمًا مِنْ جُهَيْنَةَ فَقَاتَلُونَا قِتَالاً شَدِيدًا فَلَمَّا صَلَّيْنَا الظُّهْرَ قَالَ الْمُشْرِكُونَ لَوْ مِلْنَا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً لاَقْتَطَعْنَاهُمْ . فَأَخْبَرَ جِبْرِيلُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَلِكَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - وَقَالُوا إِنَّهُ سَتَأْتِيهِمْ صَلاَةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنَ الأَوْلاَدِ فَلَمَّا حَضَرَتِ الْعَصْرُ - قَالَ - صَفَّنَا صَفَّيْنِ وَالْمُشْرِكُونَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ - قَالَ - فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَبَّرْنَا وَرَكَعَ فَرَكَعْنَا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ مَعَهُ الصَّفُّ الأَوَّلُ فَلَمَّا قَامُوا سَجَدَ الصَّفُّ الثَّانِي ثُمَّ تَأَخَّرَ الصَّفُّ الأَوَّلُ وَتَقَدَّمَ الصَّفُّ الثَّانِي فَقَامُوا مَقَامَ الأَوَّلِ فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَبَّرْنَا وَرَكَعَ فَرَكَعْنَا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ مَعَهُ الصَّفُّ الأَوَّلُ وَقَامَ الثَّانِي فَلَمَّا سَجَدَ سَجَدَ الصَّفُّ الثَّانِي ثُمَّ جَلَسُوا جَمِيعًا سَلَّمَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ ثُمَّ خَصَّ جَابِرٌ أَنْ قَالَ كَمَا يُصَلِّي أُمَرَاؤُكُمْ هَؤُلاَءِ .
হাদীস নং: ১৮২০
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪১
১৯. ভয়-ভীতিকালে নামায আদায়ের পদ্ধতি
১৮২০। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয আম্বারী (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে আবু হাসমাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সাহাবীদেরকে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করলেন। তাদেরকে তাঁর পেছনে দু’ কাতারে দাঁড় করালেন। তার সংলগ্ন কাতারে লোকদের নিয়ে তিনি এক রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। তাঁর পিছনের কাতারের লোকেরা এক রাকআত নামায আদায় না করা পর্যন্ত তিনি দাঁড়িয়ে থাকলেন। অতঃপর তাঁরা সন্মুখে অগ্রসর হলেন এবং যারা সম্মুখ ভাগে ছিলেন তারা পিছনে সরে এল। তিনি তাঁদেরকে নিয়ে আরেক রাক’আত নামায আদায় করলেন এবং পেছনে অবস্থানকারীগণ আরেক রাকআত আদায় না করা পর্যন্ত তিনি বসে থাকলেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন।
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ، الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِأَصْحَابِهِ فِي الْخَوْفِ فَصَفَّهُمْ خَلْفَهُ صَفَّيْنِ فَصَلَّى بِالَّذِينَ يَلُونَهُ رَكْعَةً ثُمَّ قَامَ فَلَمْ يَزَلْ قَائِمًا حَتَّى صَلَّى الَّذِينَ خَلْفَهُمْ رَكْعَةً ثُمَّ تَقَدَّمُوا وَتَأَخَّرَ الَّذِينَ كَانُوا قُدَّامَهُمْ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ قَعَدَ حَتَّى صَلَّى الَّذِينَ تَخَلَّفُوا رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ .
হাদীস নং: ১৮২১
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪২
১৯. ভয়-ভীতিকালে নামায আদায়ের পদ্ধতি
১৮২১। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... সালিহ ইবনে খাওওয়াত (রাহঃ) যাতূর রিকার যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে সালাতুল খাওফ আদায়কারী জনৈক সাহাবী সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে একটি দল কাতারে দাঁড়ান এবং অন্য দল শক্রর মুখোমুখি ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সঙ্গে যারা কাতারে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদেরকে নিয়ে এক রাক’আত নামায আদায় করলেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং তাঁরা নিজেরা তাদের নামায পূর্ণ করল। এরপর তাঁরা চলে গেলেন এবং কাতারবন্দী হয়ে শক্রর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেলেন। অতঃপর দ্বিতীয় দল এল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে নিয়ে অবশিষ্ট রাকআতটি আদায় করলেন। এরপর তিনি বসে থাকলেন এবং তাঁরা তাঁদের নামায পূর্ণ করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এদের নিয়ে সালাম ফিরালেন।
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ صَالِحِ، بْنِ خَوَّاتٍ عَمَّنْ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ ذَاتِ الرِّقَاعِ صَلاَةَ الْخَوْفِ أَنَّ طَائِفَةً صَفَّتْ مَعَهُ وَطَائِفَةٌ وِجَاهَ الْعَدُوِّ . فَصَلَّى بِالَّذِينَ مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ ثَبَتَ قَائِمًا وَأَتَمُّوا لأَنْفُسِهِمْ . ثُمَّ انْصَرَفُوا فَصَفُّوا وِجَاهَ الْعَدُوِّ وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الأُخْرَى فَصَلَّى بِهِمُ الرَّكْعَةَ الَّتِي بَقِيَتْ ثُمَّ ثَبَتَ جَالِسًا وَأَتَمُّوا لأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ سَلَّمَ بِهِمْ .
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৮২২
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪৩-১
১৯. ভয়-ভীতিকালে নামায আদায়ের পদ্ধতি
১৮২২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাযিঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে যুদ্ধে যাত্রা করলাম এবং যাতুর-রিকা নামক স্থানে পৌহুলাম। তিনি বলেন আমাদের অবস্থা এরূপ ছিল যে, আমরা যখন কোন ছায়াযুক্ত গাছের কাছে পৌছতাম তখন আমরা তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য ছেড়ে দিতাম। রাবী বলেন, হঠাৎ মুশরিকদের এক ব্যক্তি এল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তরবারী গাছে ঝুলানো ছিল। মুশরিক লোকটি নবী (ﷺ) এর তরবারীটি হাতে তুলে নিয়ে খাপ থেকে বের করে নিল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলল, তুমি কি আমাকে ভয় কর? তিনি বললেন, না।

মুশরিক বলল, তোমাকে আমার থেকে কে রক্ষা করবে? তিনি বললেন, আল্লাহ আমাকে তোমার হাত থেকে রক্ষা করবেন। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণ ঐ ব্যক্তিকে তাড়া দিলেন। সে তরবারী খাপে ডুকিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখল। রাবী বলেন, ইতিমধ্যে নামাযের জন্য আযান দেওয়া হল। তখন একটি দলকে নিয়ে তিনি দু’রাকআত নামায আদায় করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অপর দলকে নিয়ে দু-রাকআত নামায আদায় করলেন। রাবী বলেন, অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হল চার রাক’আত এবং সাহাবীগণের হল দু’ রাক’আত।
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كُنَّا بِذَاتِ الرِّقَاعِ قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا عَلَى شَجَرَةٍ ظَلِيلَةٍ تَرَكْنَاهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَسَيْفُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُعَلَّقٌ بِشَجَرَةٍ فَأَخَذَ سَيْفَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاخْتَرَطَهُ فَقَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَخَافُنِي قَالَ " لاَ " . قَالَ فَمَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّي قَالَ " اللَّهُ يَمْنَعُنِي مِنْكَ " . قَالَ فَتَهَدَّدَهُ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَغْمَدَ السَّيْفَ وَعَلَّقَهُ - قَالَ - فَنُودِيَ بِالصَّلاَةِ فَصَلَّى بِطَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ تَأَخَّرُوا وَصَلَّى بِالطَّائِفَةِ الأُخْرَى رَكْعَتَيْنِ قَالَ فَكَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ وَلِلْقَوْمِ رَكْعَتَانِ .
হাদীস নং: ১৮২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪৩-২
১৯. ভয়-ভীতিকালে নামায আদায়ের পদ্ধতি
১৮২৩। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান দারিমী (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে নামাযূল খাওফ আদায় করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’ দলের একটি দলকে নিয়ে দু-রাক’আত নামায আদায় করলেন। এরপর আরেক দল নিয়ে দু’রাক’আত নামায আদায় করলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’ রাক’আত করে চার রাকআত নামায আদায় করলেন এবং প্রত্যেক দলকে নিয়ে আদায় করলেন দু’রাকআত।
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ حَسَّانَ - حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - وَهُوَ ابْنُ سَلاَّمٍ - أَخْبَرَنِي يَحْيَى، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ جَابِرًا، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِإِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ صَلَّى بِالطَّائِفَةِ الأُخْرَى رَكْعَتَيْنِ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَصَلَّى بِكُلِّ طَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ .