আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ১০৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৭-১
৭. নামাযে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরন
১০৮২। আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবনুস সাব্বাহ ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... মুআবিয়া ইবনুল হাকাম আস-সুলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে নামায আদায় করেছিলাম। ইত্তবসরে আমাদের মধ্যে একজন হাঁচি দিল। আমি ইয়ারহামুকাল্লহ বললাম। তখন লোকেরা আমার দিকে আড় চোখে দেখতে লাগল। আমি বললাম আমার মায়ের পূত্র বিয়োগ হোক। তোমরা আমার প্রতি তাকাচ্ছ কেন? তখন তারা তাদের উরুর উপর হাত চাপড়াতে লাগল। আমি যখন বুঝতে পারলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে, তখন আমি চুপ হয়ে গেলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শেষ করলেন, আমার মাতা-পিতা তাঁর জন্য কুরবান হোক! আমি তার মত এত সুন্দর করে শিক্ষা দিতে পূর্বেও কাউকে দেখিনি, তাঁরপরেও কাউকে দেখিনি। আল্লাহর কসম! তিনি আমাকে ধমক দিলেন না, মারলেন না, গালিও দিলেন না। বরং বললেন, নামাযে কথা কথাবার্তা বলা ঠিক নয়। বরং তা হচ্ছে- তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন পাঠের জন্য।

আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জাহিলী যুগ বিদুরিত হল বেশী দিন হয়নি, এইতো ইসলাম এসেছে আমাদের কেউ কেউ তো গণকদের নিকট আসা যাওয়া করে। তিনি বললেন, তুমি তাদের কাছে যেওনা। আমি পূনরায় বললাম, আমাদের কেউ কেউ তো শুভ ও অশূভ লক্ষণের অনুকরণ করে। তিনি বললেন, এটি তাদের মনগড়া বিষয়। এটি যেন তাদেরকে (কোন ভাল কাজ করতে) বাধা না দেয়। আমি বললাম, আমাদের মধ্যে কিছু লোক রেখা অঙ্কন করে, (ভাগ্য নির্ণয় করে) তিনি বললেন, একজন নবী রেখা অঙ্কন করতেন। যার রেখা সেই নবীর রেখার সঙ্গে মিলবে তারটা ঠিক হবে।

(বর্ণনাকারী মুআবিয়া বলেন) আমার একটি দাসী ছিল। সে উহুদ ও জাওয়ানিয়ার দিকে আমার ছাগল চরাত। একদিন আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখি, একটি বাঘ এসে একটি ছাগল নিয়ে গেল। যেহেতু আমিও মানুষ, সেহেতু অন্যান্য মানুষের মত আমারও রাগ এসে গেল। আমি তাকে একটি চড় বসিয়ে দিলাম। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এলাম। তিনি আমার এই কাজকে অত্যন্ত অপছন্দ করলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কি তাকে আযাদ করে দিব? তিনি বললেন, তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো আমি তাকে তার নিকট নিয়ে এলাম। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ কোথায় আছেন? সে বলল, আকাশে। তিনি বললেন, আমি কে? সে বলল, আপনি আল্লাহর রাসুল। তখন তিনি বললেন, ওকে আযাদ করে দাও। কেননা ও মু’মিনা।
باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَتَقَارَبَا فِي لَفْظِ الْحَدِيثِ - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ بَيْنَا أَنَا أُصَلِّي، مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ . فَرَمَانِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهْ مَا شَأْنُكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ . فَجَعَلُوا يَضْرِبُونَ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُصَمِّتُونَنِي لَكِنِّي سَكَتُّ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبِأَبِي هُوَ وَأُمِّي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ فَوَاللَّهِ مَا كَهَرَنِي وَلاَ ضَرَبَنِي وَلاَ شَتَمَنِي قَالَ " إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ " . أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ وَقَدْ جَاءَ اللَّهُ بِالإِسْلاَمِ وَإِنَّ مِنَّا رِجَالاً يَأْتُونَ الْكُهَّانَ . قَالَ " فَلاَ تَأْتِهِمْ " . قَالَ وَمِنَّا رِجَالٌ يَتَطَيَّرُونَ . قَالَ " ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ فَلاَ يَصُدَّنَّهُمْ " . قَالَ ابْنُ الصَّبَّاحِ " فَلاَ يَصُدَّنَّكُمْ " . قَالَ قُلْتُ وَمِنَّا رِجَالٌ يَخُطُّونَ . قَالَ " كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ فَذَاكَ " . قَالَ وَكَانَتْ لِي جَارِيَةٌ تَرْعَى غَنَمًا لِي قِبَلَ أُحُدٍ وَالْجَوَّانِيَّةِ فَاطَّلَعْتُ ذَاتَ يَوْمٍ فَإِذَا الذِّيبُ قَدْ ذَهَبَ بِشَاةٍ مِنْ غَنَمِهَا وَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ لَكِنِّي صَكَكْتُهَا صَكَّةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَظَّمَ ذَلِكَ عَلَىَّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ أُعْتِقُهَا قَالَ " ائْتِنِي بِهَا " . فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَقَالَ لَهَا " أَيْنَ اللَّهُ " . قَالَتْ فِي السَّمَاءِ . قَالَ " مَنْ أَنَا " . قَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ . قَالَ " أَعْتِقْهَا فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ " .
হাদীস নং: ১০৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৭-২
৭. নামাযে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরন
১০৮৩। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীর (রাহঃ) থেকে উপরোক্ত সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
হাদীস নং: ১০৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৮-১
৭. নামাযে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরন
১০৮৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, যুহাইর ইবনে হারব, ইবনে নুমাইর ও আবু সাঈদ আল-আশাজ্জ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তাঁর নামাযরত অবস্থায় সালাম করতাম এবং তিনি ঐ অবস্থায়ই আমাদের সালামের জওয়াব দিতেন। কিন্তু আমরা আবিসিনিয়া হতে ফিরে এসে যখন ঐ অবস্থায় তাকে সালাম দিলাম, তিনি তার কোনও জবাব দিলেন না। নামায শেষে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আপনার নামাযত অবস্থায় আপনাকে সালাম দিতাম, (আপনি তার জবাব দিতেন, কিন্তু এখন আপনি জবাব দিলেন না, এর কারণ কি?) তিনি বললেন, নামাযে নির্ধারিত আমল রয়েছে (সুতরাং এসময় অন্য কাজে মশগুল হওয়া যায় না)।
باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ - وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ - قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَيَرُدُّ عَلَيْنَا فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِي سَلَّمْنَا عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْنَا فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَيْكَ فِي الصَّلاَةِ فَتَرُدُّ عَلَيْنَا . فَقَالَ " إِنَّ فِي الصَّلاَةِ شُغُلاً " .
হাদীস নং: ১০৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৮-২
৭. নামাযে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরন
১০৮৫। ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আ’মাশ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি উক্তরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ
حَدَّثَنِي ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ السَّلُولِيُّ، حَدَّثَنَا هُرَيْمُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَهُ .
হাদীস নং: ১০৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৯-১
৭. নামাযে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরন
১০৮৬। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমরা নামাযে কথাবার্তা বলতাম। প্রত্যেকেই তার পাশের ব্যক্তির সাথে আলাপ করত। অতঃপর যখন (আল্লাহর জন্য দাঁড়াবে বিনীতভাবে) (২ঃ ২৩৮) আয়াতটি নাযিল হলো, তখন চুপ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরস্পরে আলাপ করতে নিষেধ করা হয়।
باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلاَةِ يُكَلِّمُ الرَّجُلُ صَاحِبَهُ وَهُوَ إِلَى جَنْبِهِ فِي الصَّلاَةِ حَتَّى نَزَلَتْ ( وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ) فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ وَنُهِينَا عَنِ الْكَلاَمِ .
হাদীস নং: ১০৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৯-২
৭. নামাযে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরন
১০৮৭। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইসমাঈল ইবনে আবু খালিদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَوَكِيعٌ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كُلُّهُمْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
হাদীস নং: ১০৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪০-১
৭. নামাযে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরন
১০৮৮। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনে রূম্হ‌ (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে একটি কাজে পাঠিয়েছিলেন। আমি ফিরে এসে দেখি, তিনি চলছেন। কুতায়বা ইবনে সাঈদ বলেন, (সওয়ারীতে নফল) নামায আদায় করছেন। আমি (ঐ অবস্থায়ই) তাঁকে সালাম করলাম। তিনি ইঙ্গিতে আমাকে চুপ করতে বললেন। তারপর নামায শেষ করে আমাকে ডাকলেন এবং বললেন, তুমি এইমাত্র আমাকে সালাম দিয়েছিলে অথচ আমি নামাযরত ছিলাম। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি এই সময় পূর্বমুখী ছিলেন।*


*সাওয়ারী অবস্থায় নফল নামাযে তাকবীরে তাহরীমার সময় কিবলা রুখ হয়ে দাঁড়িয়ে শুরু করার পর আর কিবলা রুখ থাকার প্রয়োজন নেই।
باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَنِي لِحَاجَةٍ ثُمَّ أَدْرَكْتُهُ وَهُوَ يَسِيرُ - قَالَ قُتَيْبَةُ يُصَلِّي - فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَأَشَارَ إِلَىَّ فَلَمَّا فَرَغَ دَعَانِي فَقَالَ " إِنَّكَ سَلَّمْتَ آنِفًا وَأَنَا أُصَلِّي " . وَهُوَ مُوَجِّهٌ حِينَئِذٍ قِبَلَ الْمَشْرِقِ .
হাদীস নং: ১০৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪০-২
৭. নামাযে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরন
১০৮৯। আহমাদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনী মুস্তালিক গোত্রের দিকে যাওয়ার সময় আমাকে কোনও এক কাজে পাঠিয়েছিলেন। আমি ফিরে এসে দেখি, তিনি তাঁর উটের উপর নামায আদায় করছেন। আমি ঐ অবস্থায়ই তাঁর সাথে কথা বললাম। তিনি হাতদ্বারা (চুপ করতে) ইশারা করলেন। বর্ণনাকারী যুহাইর এই সময় তাঁর হাতদ্বারা ইশারা করে দেখালেন, আমি আবার কথা বললাম। আবার এরূপ ইশারা করলেন। বর্ণনাকারী যুহাইর এবারও তাঁর হাতদ্বারা মাটির দিকে ইশারা করে দেখালেন। তখন আমি তার কুরআন তিলাওয়াত শুনছিলাম। মাথায় ইশারা করে রুকু সিজদা করছিলেন। তারপর নামায শেষ করে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি যে কাজে তোমাকে পাঠিয়েছিলাম, তার কি করেছ? আমি নামায আদায় করছিলাম বলে তোমার কথার উত্তর দিতে পারি নি। যুহাইর বলেন, আবুয-যুবাইর এ হাদীস বর্ণনা করার সময় কিবলামুখী হয়ে বসেছিলেন। তিনি হাতে ইশারা করে বনী মুস্তালিকের দিকে দেখিয়েছিলেন। সেদিক ছিল কাবার ভিন্নদিকে।
باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُنْطَلِقٌ إِلَى بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ يُصَلِّي عَلَى بَعِيرِهِ فَكَلَّمْتُهُ فَقَالَ لِي بِيَدِهِ هَكَذَا - وَأَوْمَأَ زُهَيْرٌ بِيَدِهِ - ثُمَّ كَلَّمْتُهُ فَقَالَ لِي هَكَذَا - فَأَوْمَأَ زُهَيْرٌ أَيْضًا بِيَدِهِ نَحْوَ الأَرْضِ - وَأَنَا أَسْمَعُهُ يَقْرَأُ يُومِئُ بِرَأْسِهِ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ " مَا فَعَلْتَ فِي الَّذِي أَرْسَلْتُكَ لَهُ فَإِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أُكَلِّمَكَ إِلاَّ أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي " . قَالَ زُهَيْرٌ وَأَبُو الزُّبَيْرِ جَالِسٌ مُسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةِ فَقَالَ بِيَدِهِ أَبُو الزُّبَيْرِ إِلَى بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَقَالَ بِيَدِهِ إِلَى غَيْرِ الْكَعْبَةِ .
হাদীস নং: ১০৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪০-৩
৭. নামাযে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরন
১০৯০। আবু কামিল আল জাহদারী (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি এক সফর উপলক্ষে নবী (ﷺ) এর সহযাত্রী ছিলাম। তিনি আমাকে কোনও এক কাজে পাঠালেন। ফিরে এসে দেখি, তিনি কিবলা ছাড়া অন্য দিকে মুখ করে তার উটের উপর নামায আদায় করছেন। আমি সালাম করলাম। কিন্তু উত্তর দিলেন না। নামায শেষ করে বললেন, আমি যদি নামাযরত না থাকতাম, তবে তোমার সালামের উত্তর অবশ্যই দিতাম।
باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ كَثِيرٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَبَعَثَنِي فِي حَاجَةٍ فَرَجَعْتُ وَهُوَ يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ وَوَجْهُهُ عَلَى غَيْرِ الْقِبْلَةِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ إِلاَّ أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي " .
হাদীস নং: ১০৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪০-৪
৭. নামাযে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরন
১০৯১। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে কোনও এক কাজে পাঠিয়েছিলেন। অতঃপর বর্ণনাকারী হাম্মাদ কর্তূক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ شِنْظِيرَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَاجَةٍ . بِمَعْنَى حَدِيثِ حَمَّادٍ .