আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

মুকাদ্দামায়ে মুসলিম শরীফ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

0
৫. পরিচ্ছেদ : হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত। নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়। বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রুটি তুলে ধরা শুধু জায়েয নয়, বরং ওয়াজিব; এটা গীবত নয়, যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম, বরং এটা শরীআতের পক্ষে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা
হাসান ইবন রাবী (রাহঃ)..... মুহাম্মাদ ইবন সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন : নিশ্চয়ই এই ইলম হলো দীন। কাজেই কার কাছ থেকে তোমরা দীন গ্রহণ করেছ, তা যাচাই করে নাও।

আবু জা'ফর মুহাম্মাদ ইব্‌নূস সাব্বাহ্ (রাহঃ).... ইন সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, এমন এক সময় ছিল, যখন লোকেরা সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করত না। কিন্তু পরে যখন ফিতনা দেখা দিল, তখন লোকেরা হাদীস বর্ণনাকারীদের বলল, তোমরা যাদের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করেছ, আমাদের কাছে তাদের নাম বল। যাতে দেখা যায় কারা আহলে সুন্নত। যারা এই সম্প্রদায়ের হবে, তাঁদের হাদীস গ্রহণযোগ্য হবে। আর দেখা হবে, কারা বিদ'আতী? তাদের হাদীস গ্রহণ করা হবে না।

সুলায়মান ইবন মুসা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি তাউস (রাহঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম এবং বললাম, অমুক ব্যক্তি আমাকে এরূপ এরূপ হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি বললেন : যদি সেই ব্যক্তি নির্ভরযোগ্য হয়, তাহলে তাঁর থেকে হাদীস গ্রহণ করবে।

সুলায়মান ইন মুসা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তাউস (রাহঃ)-কে বললাম, অমুক ব্যক্তি আমাকে এই হাদীস বলেছে। তিনি বললেন, তোমার কাছে হাদীস বর্ণনাকারী যদি নির্ভরযোগ্য হয়, তাহলে তার থেকে তা গ্রহণ করবে।

ইব্‌ন আবুয্ যিনাদ (রাহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি মদীনায় একশ'জন লোকের সাক্ষাৎ পেয়েছি, যাঁরা মিথ্যা থেকে নিরাপদ ছিলেন। তবু তাদের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করা হতো না। কেননা তাঁদের সম্পর্কে বলা হতো যে, তারা এর উপযুক্ত নন।

মুহাম্মাদ ইবন আবু উমর আল-মক্কী ও আবু বকর ইবন খাল্লাদ আল-বাহিলী (রাহঃ)...... মিসআ'র (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি সা'দ ইবন ইবরাহীমকে বলতে শুনেছি; নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি (সিকাহ) ব্যতীত কেউ যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাদীস বর্ণনা না করে।

মার্ভের অধিবাসী মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবন কুহযাৎ (রাহঃ).... আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মুবারক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত। যদি সনদ না থাকত, তাহলে যার যা ইচ্ছা তাই বলত। মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমাদের ও লোকদের মাঝখানে রয়েছে খুঁটি অর্থাৎ সনদ।

আবু ইসহাক ইবরাহীম ইবন আত্‌-তালিকানী বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, হে আবু আব্দুর রহমান, এই হাদীসটি সম্পর্কে আপনার কি অভিমত যাতে আছে, “অন্যতম সৎকাজ হল তোমার সালাতের সাথে পিতামাতার জন্যও সালাত আদায় করবে আর তোমার সিয়ামের সাথে পিতামাতার জন্যও সিয়াম পালন করবে?"

তিনি বলেন, হে আবু ইসহাক। কার বরাতে এই হাদীসটি বর্ণনা করছ? আমি বললাম, এটি শিহাব ইবন খিরাশ থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বললেন, হ্যাঁ, ইনি নির্ভরযোগ্য। তবে তিনি কার কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন ? আমি বললাম, হাজ্জাজ ইবন দীনার থেকে। তিনি বললেন, হ্যাঁ, ইনি নির্ভরযোগ্য। তিনি কার কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন? আমি বললাম, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বললেন, হে আবু ইসহাক, হাজ্জাজ ইবন দীনার ও রাসূলুল্লাহ্ -এর মাঝে এত দুস্তর প্রান্তর রয়েছে, যা অতিক্রম করতে গেলে উটের গর্দানও ভেঙ্গে পড়বে।* তবে পিতামাতার জন্য সাদকা করার বিষয়ে কোন মতভেদ নেই।
*অর্থাৎ হাজ্জাজ ইবন দীনার এত পরের মানুষ যে, রাসূল থেকে সরাসরি বিওয়ায়াত করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং এই হাদীসটি গ্রহণযোগ্য নয়।

মুহাম্মাদ (রাহঃ).... আব্দুল্লাহ্ ইবন মুবারক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একদিন লোকদের সামনে বলে ছিলেন, তোমরা আমর ইবন সাবিত (রাহঃ)-এর হাদীস বর্জন কর, কেননা সে মহান পূর্বসূরিদের দোষারোপ করে।

আবু বকর ইবন নাযর ইবন আবু নাযর (রাহঃ) বুহাইয়া (রাহঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম আবু আকীল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা আমি কাসিম ইবন উবায়দুল্লাহ্ (রাহঃ) ও ইয়াহইয়া ইব্‌ন সাঈদ (রাহঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এ সময় ইয়াহ্ইয়া (রাহঃ) কাসিম (রাহঃ)-কে বললেন, হে আবু মুহাম্মাদ, আপনাকে দীন ও শরীআত সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন করে উত্তর ও ব্যাখ্যা না পাওয়া আপনার মত ব্যক্তির পক্ষে শোভনীয় নয়। কাসিম (রাহঃ) তাকে বললেন, কি কারণে ? ইয়াহ্ইয়া (রাহঃ) বললেন, কেননা, আপনি আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ)-এর দু'জন সত্যপন্থি মহান খলীফার উত্তরপুরুষ। রাবী বলেন, এর জবাবে কাসিম (রাহঃ) তাকে বললেন, যে ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তা'আলা জ্ঞান দান করেছেন, তার দৃষ্টিতে এর চেয়েও অশোভনীয় হলো, না জেনে কোন কথা বলা কিংবা অনির্ভরযোগ্য ব্যক্তি থেকে হাদীস গ্রহণ করা। আবু আকীল (রাহঃ) বলেন, একথা শুনে ইয়াহ্ইয়া (রাহঃ) নীরব হয়ে গেলেন, আর কোন উত্তর দিলেন না।

বিশর ইবন হাকাম আল-আবুদী (রাহঃ).... বুহাইয়ার আযাদকৃত গোলাম আবু আকীল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, লোকেরা আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ)-এর কোন এক উত্তরসুরি (কাসিম)-কে একটি প্রশ্ন করল, যার উত্তর তাঁর জানা ছিল না। তখন ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ (রাহঃ) তাঁকে বললেন, আল্লাহর কসম, আমার কাছে অবাক লাগছে যে, আপনার মত ব্যক্তিকে দীন সংক্রান্ত বিষয়ে একটি প্রশ্ন করা হলো অথচ তার কোন জবাব পাওয়া গেল না—অথচ আপনি হচ্ছেন দু'জন মহান নেতা উমর (রাযিঃ) ও ইবন উমর (রাযিঃ)-এর বংশধর। এর জবাবে তিনি (কাসিম) বললেন, আল্লাহর কসম! মহান আল্লাহর দৃষ্টিতে এবং আল্লাহ্ প্রদত্ত জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তির দৃষ্টিতে এর চাইতে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, “যে সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই তা বলা কিংবা অনির্ভরযোগ্য লোক থেকে হাদীস বর্ণনা করা।” ইয়াহইয়া (রাহঃ) ও কাসিম (রাহঃ)-এর এই আলোচনার সময় আবু আকীল ইয়াহ্ইয়া ইবন মুতাওয়াক্কিল (রাহঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

আমর ইবন আলী আবু হাফস (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, আমি ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আমি সুফ্যান সাওরী (রাহঃ), ও'বা (রাহঃ), মালিক (রাহঃ) ও ইবন উয়ায়না (রাহঃ)-কে হাদীস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয় এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেউ যদি আমার কাছে তার সম্পর্কে জানতে চায়, তবে আমি কি বলবা তখন তারা বললেন : তুমি সেই প্রশ্নকারীকে জানিয়ে দাও যে, সে নির্ভরযোগ্য নয়।

উবায়দুল্লাহ্ ইবন সাঈদ (রাহঃ) বর্ণনা করেন, নাযর (রাহঃ) বলেছেন, একদিন ইবন আওন তাঁর দরজার চৌকাঠে দাঁড়ানো ছিলেন, তখন শাহর ইবন হাওশার বর্ণিত একটি হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, লোকে শাহরকে বর্শাবিদ্ধ করেছে। আবুল হুসায়ন মুলিম ইবন হাজ্জাজ (রাহঃ) বলেন, এর অর্থ লোকেরা তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছে।

হাজ্জাজ ইবন শায়ির (রাহঃ).... শু'বা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শাহর ইবন হাওশাবের সাথে আমার দেখা হয়েছে। কিন্তু আমি তাকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করি না।

মার্ভের অধিবাসী মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন কুহ্যায (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবন মুবারক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি সুফয়ান সাওরী (রাহঃ)-কে বললাম, আব্বাদ ইবন কাসীর-এর অবস্থা তো আপনি জানেন (যে, বাহাত তিনি দীনদার ব্যক্তি) কিন্তু তিনি যখন হাদীস বর্ণনা করেন, গুরুতর বিষয় পেশ করেন। আপনি কি মনে করেন, আমি লোকদের বলে দেব যে, তারা যেন তাঁর থেকে হাদীস গ্রহণ না করে। সুফয়ান সাওরী (রাহঃ) বললেন, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। আব্দুল্লাহ্ ইবন মুবারক (রাহঃ) বলেন, তারপর থেকে আমি কোন মজলিসে উপস্থিত থাকলে এবং সেখানে আব্বাদ সম্বন্ধে আলোচনা উঠলে আমি তাঁর দীনদারীর প্রশংসা করতাম কিন্তু বলে দিতাম যে, তোমরা তার থেকে হাদীস গ্রহণ করো না।

মুহাম্মাদ (রাহঃ).... আব্দুল্লাহ্ ইন মুবারক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি শু'বার কাছে গেলে, তিনি বললেন, এইযে আব্বাদ ইবন কাসীর, তোমরা তার থেকে সতর্ক থাকবে। ফযল ইবন সাহল (রাহঃ) বলেন, আমি মুআল্লা আল-রাযী (রাহঃ)-কে মুহাম্মাদ ইবন সাঈদ (রাহঃ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, যিনি আব্বাদ ইবন কাসীর থেকে হাদীস বর্ণনা করেন, তিনি আমাকে ঈসা ইবন ইউনুস-এর সূত্রে অবহিত করলেন যে, তিনি বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইন সাঈদ (রাহঃ)-এর গৃহ দ্বারে উপস্থিত ছিলাম। এ সময় সুফয়ান (রাহঃ)-ও তাঁর কাছে ছিলেন। যখন সুফ্ফান বাইরে এলেন, আমি তাঁকে মুহাম্মাদ ইব্‌ন সাঈদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আমাকে বললেন, সে নির্জলা মিথ্যাবাদী।

মুহাম্মাদ ইবন আবু আত্তাব (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, আফ্ফান (রাহঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ আল-কাস্তান (রাহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমরা সৎ ব্যক্তিদের (অর্থাৎ সূফী সাধকদের) অন্য কোন বস্তুর ব্যাপারে এতখানি মিথ্যা বলতে দেখিনি যতখানি দেখেছি হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে।

ইবন আবু আত্তাব (রাহঃ) বলেন, আমি সরাসরি মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ আল-কাত্তান (রাহঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি তাঁর পিতার সূত্রে বললেন, তুমি সূফী লোকদেরকে হাদীস বর্ণনার চাইতে অন্য কিছুতেই অধিক মিথ্যা বলতে দেখবে না। ইমাম মুসলিম (রাহঃ) বলেন, মিথ্যা তাঁদের মুখ থেকে বেরিয়ে যায়, তাঁরা ইচ্ছা করে মিথ্যা বলেন না।

ফযল ইবন সাহল (রাহঃ).... ইয়াযীদ ইবন হারুন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, খলীফা ইবন মুসা (রাহঃ) বলেছেন, আমি গালিব ইবন উবায়দুল্লাহ্ (রাহঃ)-এর কাছে গেলাম। তিনি আমাকে হাদীস লিখাতে গিয়ে বললেন, মাকহুল (রাহঃ) আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এমন সময় তাঁর পেশাবের বেগ হলো। তিনি পেশাব করতে চলে গেলেন। আমি এই অবসরে তাঁর পাণ্ডুলিপিখানির প্রতি তাকালাম। দেখলাম তাতে লেখা রয়েছে, আবান (রাহঃ)..... আনাস (রাহঃ) সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং আবান (রাহঃ) অমুকের সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ দেখে আমি তাঁর কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ না করে চলে এলাম।

আর আমি হাসান ইব্‌ন আলী আল হলওয়ানীকে বলতে শুনেছি, আমি আফফান (রাহঃ)-এর পাণ্ডুলিপিতে আবুল মিরূদাম হিশামের হাদীস দেখেছি, যা তিনি উমর ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। হিশাম (রাহঃ) বলেন, আমার কাছে এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন, তাঁকে অমুকের পুত্র ইয়াহইয়া বলা হয়। তিনি মুহাম্মাদ ইবন কাবের সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। হুলওয়ানী বলেন, আমি আফ্ফান (রাহঃ)-কে বললাম, লোকেরা বলে হিশাম না কি মুহাম্মাদ ইবন কা'ব (রাহঃ) থেকে এ হাদীস শুনেছেন? আফ্ফান (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসটির কারণেই হিশাম বিপাকে পড়েছেন। তিনি এ হাদীসটির সনদে বলতেন, ইয়াহ্ইয়া (রাহঃ) আমাকে মুহাম্মাদের সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। পরে তিনি দাবি করেন যে, স্বয়ং মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে তিনি এ হাদীস শুনেছেন।(টিকা ১)

মুহাম্মাদ ইয়ূন আব্দুল্লাহ্ ইবন কুহযায় (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইবন উসমান ইবন জাবালা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক (রাহঃ)-কে বললাম, ঐ ব্যক্তিটি কে, যার থেকে আপনি “ঈদুল ফিতরের দিন পুরস্কার লাভের দিন" সম্পর্কিত আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ)-এর হাদীসটি বর্ণনা করেছেন? জবাবে ইবুন মুবারক (রাহঃ) বললেন, তিনি হলেন সুলায়মান ইবন হাজ্জাজ (রাহঃ)। লক্ষ্য কর আমি তার মারফত কি বস্তু তোমার হাতে তুলে দিয়েছি।(টিকা ২)

ইবন কুহযাদ, আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, “কারো শরীর থেকে এক দিরহাম পরিমাণ রক্ত বের হলে (তার উযূ নষ্ট হয়ে যাওয়া) সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনাকারী রাওহ ইবন শুতায়ফ (রাহঃ)-কে আমি দেখেছি এবং তার এক মজলিসে বসেছি। আমার সঙ্গীদের কেউ আমাকে তার কাছে বসা অবস্থায় দেখে ফেলবে মনে করে আমি তখন লজ্জাবোধ করছিলাম। কেননা লোকেরা তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করা পছন্দ করে না।

ইবন কুহযায় (রাহঃ).... আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাকিয়্যা (রাহঃ) একজন সত্যবাদী লোক। কিন্তু তিনি (সিকাহ যাইফ) সব ধরনের লোকের কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেন।

(টিকা)১. একবার বলেন, ইয়াহইয়ার মাধ্যমে জনেছি, আবার বলেন সরাসরি অনেছি। এতে বর্ণনাকারীর বিভ্রান্তি প্রমাণিত হয়।
২:এটা সুলায়মান ইবন হাজ্জাজের প্রশংসা ও নিন্দা উভয়ই হতে পারে। ইমাম নববী () বলেন, প্রশংসা, কিন্তু ইমাম মুসলিম (য) বিতর্কিত হাদীসের বর্ণনা প্রসঙ্গে এটি উল্লেখ করেছেন যে হিসেবে নিশাই বোঝা যায়।

কুতায়বা ইবন সাঈদ (রাহঃ).... শাবী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিস আল-আওয়ার আল-হামদানী আমার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছে; কিন্তু সে ছিল মিথ্যাবাদী।

আবু আমির আব্দুল্লাহ ইবন বুরাদ আল-আশআরী (রাহঃ)... শা'বী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিস আল-আওয়ার আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছে। এরপর শা'রী (রাহঃ) শপথ করে বলেন, সে মিথ্যাবাদীদের অন্যতম

কুতায়বা ইবন সাঈদ (রাহঃ).... আলকামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি দু'বছরে কুরআন মজীদ পড়েছি। একথা শুনে হারিস বলল, কুরআন সহজ কিন্তু ওয়াহী কঠিন।(টিকা ১)

হাজ্জাজ ইবন শায়ির (রাহঃ)... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিস বলেছে, আমি তিন বছরে কুরআন শিখেছি এবং ওয়াহী শিখেছি দু'বছরে। অথবা সে বলেছে, ওয়াহী শিখেছি তিন বছরে এবং কুরমান শিখেছি দু'বছরে।

( টিকা) ১. হ্যারিসের বিশ্বাস ছিল, রাসুল আলী (রাযিঃ)-কে ওয়ারী বা তপ্ত জ্ঞান দিয়ে গিয়েছেন। এই জ্ঞান লাভ করা কঠিন। অথচ আলী (রাহঃ) প্রকাশ্যে এ কথার প্রতিবাদ করেছেন। এ মিথ্যা আরোপের কারণে হারিসকে যইফ (দুর্বল) বলা হয়।

হাজ্জাজ ইবন শায়ির (রাহঃ).... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিসকে মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

কুতাইবা ইবন সাঈদ (রাহঃ).... হামযা আল-যাইয়াত (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, মুৱা হামদানী (রাহঃ) হারিস (রাহঃ)-এর কাছ থেকে (দীন বিরোধী) কিছু কথা শুনে বললেন, তুমি দরজায় বস। রাবী বলেন, মুররা (রাহঃ) ঘরে প্রবেশ করে হাতে তরবারি তুলে নিলেন। রাবী বলেন, মন্দ পরিণতি ঘটতে পারে, এই আশংকায় হারিস তখন পলায়ন করল।
উবায়দুল্লাহ্ ইবন সাঈদ (রাহঃ).... ইব্‌ন আউন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ) আমাদের বললেন, তোমরা মুগীরা ইবন সাঈদ (রাহঃ) ও আবু আব্দুর রহীমের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণে সতর্ক থেকো। কেননা তারা উভয়ই মিথ্যাবাদী।

আবু কামিল আল্-জাহদারী, (রাহঃ).... আসিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমরা আবু আব্দুর রহমান সুলামী (রাহঃ)-এর কাছে আসা যাওয়া করতাম। এ সময় আমরা ছিলাম বয়সে তরুণ। তিনি আমাদের বলতেন, আবুল আহওয়াস ছাড়া অন্য কোন কিসসা-কাহিনীকারদের সাথে ওঠাবসা করো না। আর অবশ্যই তোমরা শাকীক থেকে সতর্ক থাকবে। কেননা এই শাকীক খারিজীদের আকীদা পোষণ করে। তবে আবু ওয়ায়ল (রাহঃ) এই শাকীক নন।

আবু গাস্সান মুহাম্মাদ ইবন আমর আল-রাযী (রাহঃ) বলেন, আমি জারীর (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি জাবির ইব্‌ন ইয়াযীদ জু’ফীর সাথে সাক্ষাত করেছি। কিন্তু আমি তার কাছ থেকে কোন হাদীস লিখিনি, কেননা সে রাজ'আতে(টিকা ১) বিশ্বাসী ছিল।

হাসান আল্‌ হুলওয়ানী (রাহঃ).... মিসআ'র (রাহঃ) বলেন, জাবির ইব্‌ন ইয়াযীদ (রাহঃ) তার নতুন মতবাদ আবিষ্কারের আগে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন।(টিকা ২)

সালামা ইন শাবীব (রাহঃ).... সুফিয়ান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, জাবির তার ভ্রান্ত আকীদা প্রকাশের পূর্বে লোকেরা তার থেকে হাদীস গ্রহণ করত, কিন্তু সে যখন তার আকীদা প্রকাশ করল, তখন লোকেরা তাকে হাদীস বর্ণনায় মিথ্যাবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করল এবং কিছুসংখ্যক লোক তাকে বর্জন করল। সুফ্ফান (রাহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, সে কী আকীদা পোষণ করতো ? তিনি বললেন, সে ছিল রাজ'আতে বিশ্বাসী।

(টিকা)১:রাজ’আত রাফজা মতবাদের মত একটি মতবাদ। এদের বিশ্বাস যে, হযরত আলী (রাযিঃ) মেঘমালায় রয়েছেন। তিনি সেখান থেকে বের হয়ে যতক্ষণ আমাদের কারো নেতৃত্বে বের হওয়ার নির্দেশ না দিবেন, ততক্ষণ কোন আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করব না।
২:নব আবিষ্কৃত ভ্রান্ত মতবাদ প্রকাশের পূর্বে তার হাদীস গ্রহণযোগ্য ছিল।

হাসান আল-হুলওয়ানী (রাহঃ).... জাররাহ ইবন মিনহাল (রাহঃ) বলেন, আমি জাবিরকে বলতে শুনেছি, আবু জাফরের সূত্রে আমার কাছে নবী করীম (ﷺ)-এর সত্তর হাজার হাদীস মজুদ আছে।

হাজ্জাজ ইব্‌ন শায়ির (রাহঃ).... জাবির ইবন ইয়াযীদ বলেছেন যে, আমার কাছে পঞ্চাশ হাজার হাদীস মওজুদ

আছে। আমি এর সামান্য কিছুও বর্ণনা করিনি। যুহায়র (রাহঃ) বলেন, এরপর সে একদিন একটি হাদীস বর্ণনা করে বলল, এটা ঐ পঞ্চাশ হাজার হাদীসের একটি। ইবরাহীম ইবন খালিদ আল-ইয়াশকুরী (রাহঃ).... সাল্লাম ইবন আবু মুতী (রাহঃ) বলেন আমি জাবির ইবন ইয়াযীদ

জু'ফীকে বলতে শুনেছি যে, আমার কাছে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত পঞ্চাশ হাজার হাদীস মজুদ আছে। সালামা ইন শাবীব (রাহঃ).... সূফয়ান বলেন, আমি শুনলাম এক ব্যক্তি জাবিরকে জিজ্ঞেস করল, আমি কিছুতেই এ দেশ ত্যাগ করব না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার পিতা আমাকে অনুমতি না দেন অথবা আল্লাহ্ তা'আলা আমার জন্য কোন সুরাহা না করেন। কেননা তিনি উত্তম ফয়সালাকারী (সূরা ইউসুফ : ৮০)। এই আয়াতের ব্যাখ্যা কি ? তখন জাবির বলল : এ আয়াতের ব্যাখ্যা অদ্যাবধি প্রতিফলিত হয়নি। সুফয়ান (রাহঃ) বলেন, জাবির মিথ্যা বলেছে। (হুমায়দী বলেন) আমরা সুফ্ফান (রাহঃ)-কে জিজ্ঞেস তাহলে এ আয়াত থেকে তার উদ্দেশ্য কি? সুফিয়ান (রাহঃ) বললেন, "রাফিযীরা বলে, আলী (রাযিঃ) মেঘের রাজ্যে অবস্থান করছেন। আমরা তাঁর বংশের কোন ব্যক্তির সমর্থনে জিহাদে বের হব না, যে পর্যন্ত না আলী (রাযিঃ) আকাশ থেকে আওয়ায দিয়ে বলবেন, তোমরা অমুকের সাথে জিহাদে বেড়িয়ে পড়।” জাবির বলে, এ হল এ আয়াতের প্রকৃত ব্যাখ্যা। সুফফ্ফান (রাহঃ) বলেন, সে মিথ্যা বলেছে, কেননা এ আয়াত তো ইউসুফ (আ)-এর ভাইদের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত।

সালামা (রাহঃ).... সুফিয়ান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে তিনি বলেন, আমি জাবিরকে প্রায় ত্রিশ হাজার হাদীস বলতে শুনেছি। কিন্তু আমি তার থেকে সামান্য কিছু প্রকাশ করাও বৈধ মনে করি না, যদিও আমাকে এত এত পরিমাণে (ধন-সম্পদ) দান করা হয়। মুসলিম (রাহঃ) বলেন, আমি আবু গাস্সান মুহাম্মাদ ইবন আমর আল-রাযী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি জারীর ইবন আব্দুল হামীদকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি হারীস ইয়ূন হাসীরার সঙ্গে কখনো সাক্ষাত করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি একজন মিতভাষী প্রবীণ বৃদ্ধ। কিন্তু একটি গুরুতর কাজে বাড়াবাড়ি করেন।(টিকা ১)

আহমদ ইন ইবরাহীম দাওরাকী (রাহঃ)... আইয়্যুব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা এক ব্যক্তির উল্লেখ করে বললেন, তার কথার ঠিক নেই। তিনি আরেক ব্যক্তির আলোচনা করে বললেন, সে পণ্যের ক্রয়-মূল্য বাড়িয়ে বলে (অর্থাৎ হাদীসে নিজের থেকে সংযোজন করে)।

হাজ্জাজ ইব্‌ন শায়ির (রাহঃ).... হাম্মাদ ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আইয়্যুব (রাহঃ) আমাকে বলেছেন, আমার এক প্রতিবেশী আছে। এই বলে তিনি তার গুণাবলী ও মর্যাদার আলোচনা করলেন। তারপর বললেন, সে আমার সামনে দু'টি খেজুরের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিলে আমি তার সাক্ষ্য বৈধ বলে। গ্রহণ করব না।

মুহাম্মাদ ইব্‌ন রাফি (রাহঃ) ও হাজ্জাজ ইবন শায়ির (রাহঃ).... আব্দুর রাযযাক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, মামার (রাহঃ) বলেছেন, আমি আইয়্যুব (রাহঃ)-কে কখনো গীবত করতে দেখিনি। কিন্তু আব্দুল করীমের অর্থাৎ আবু উমায়্যার গীবত করতে দেখেছি। একদিন তিনি তার আলোচনা করে বলেছেন, আল্লাহ্ তার প্রতি অনুগ্রহ করুন। সে নির্ভরযোগ্য ও আস্থাভাজন ব্যক্তি নয়। একদা সে আমাকে ইকরিমা (রাহঃ)-এর একটি হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল। পরে সে তা এভাবে বর্ণনা করেছে, আমি ইকরিমা থেকে শুনেছি।(টিকা ২)

(টিকা) ১.রাজআত-এর আকীদা পোষণ করেন।

২: অর্থাৎ সে তা সরাসরি ‘ইকরিমা থেকে শুনেছে বলে দাবি করে, অথচ এ দাবি মিথ্যা ।

ফযল ইবন সাহল (রাহঃ).... 'আফফান ইব্‌ন মুসলিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাম্মাদ (রাহঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, অন্ধ আবু দাউদ আমাদের নিকট উপস্থিত হয়ে বলতে লাগল হযরত বারা (রাযিঃ) এবং যায় ইব্‌ন আরকাম (রাযিঃ) আমাদের হাদীস শুনিয়েছেন। আমরা কাতাদা (রাহঃ)-এর কাছে গিয়ে একথা আলোচনা করলাম। তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে। তাঁদের থেকে সে কিছুই শোনেনি। সে তো ছিল একজন ভিক্ষুক। ভাউন জারিফের(১) সময় লোকদের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করত।

টিকা ১, এক ধরনের মারাত্মক মহামারী। ৬৭ হিজরী, ৮৭ হিজরী, ১১৯ হিজরী এবং ১৩৬ হিজরীতে কয়েকবার এ ভয়ানক মহামারী সংঘটিত হয়েছিল। এখানে ৮৭ হিজারীর জারিফের কথা বলা হয়েছে।


হাসান ইবন আলী আল-হুল্ওয়ানী (রাহঃ).... হাম্মাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, অন্ধ আবু দাউদ কাতাদা (রাহঃ)-এর নিকট হাযির হলো। সে চলে গেলে লোকেরা বলল, আবু দাউদ দাবি করে যে, সে আঠারজন বদরী (বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী) সাহাবীর সাথে সাক্ষাত করেছে। একথা শুনে কাতাদা (রাহঃ) বললেন, সে তো জারিফ মহামারির পূর্বে ভিক্ষা করে বেড়াত। সে হাদীস শিক্ষা করার এবং এ সম্পর্কে আলোচনা করার সুযোগ পায়নি। আল্লাহর কসম! হাসান বসরী (রাহঃ) প্রত্যক্ষভাবে কোন বদরী সাহাবী থেকে হাদীস শোনার সুযোগ পাড় করেননি। সাঈদ ইব্‌ন মুসাইয়্যিব (রাহঃ) ও হযরত সা'দ ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) ছাড়া অন্য কেউ বদরী সাহাবী থেকে প্রত্যক্ষভাবে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেননি।

উসমান ইব্‌ন আবু শায়বা (রাহঃ)—তিনি বলেন, জারীর (রাহঃ), রাকাবা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু জাফর আল-হাশিমী আল-মাদানী (রাহঃ) হাদীস জাল করত, কথা হিসেবে যা সত্য হত, কিন্তু সেগুলো প্রকৃতভাবে নবী এর হাদীস নয় ।

হাসান আল-হুলওয়ানী (রাহঃ).... আবু ইসহাক ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ ইব্‌ন সুফ্ফান (রাহঃ) থেকে এবং মুহাম্মাদ ইব্‌ন ইয়াহইয়া (রাহঃ).... ইউনুস ইবন উবায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তারা বলেন, আমর ইবন উবায়দ হাদীসে মিথ্যা বর্ণনা করত।

আমর ইবন আলী আবু হাফস (রাহঃ)... 'আমর ইবন উবায়দ বলেন, হাসান বসরী (রাহঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমাদের (মুসলমানদের) উপর অস্ত্র উত্তোলন করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।” আউফ (রাহঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আর মিথ্যা বলেছে। সে এ হাদীসটিকে তার বদ আকীদার সাথে একত্রিত করার অপচেষ্টা করেছে।

টিকা২. মু'তাযিলা মতবাদ।

উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমর আল-কাওয়ারীরী (রাহঃ)—হাম্মাদ ইব্‌ন যায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আইয়্যূবের সাহচর্যে থেকে তার কাছ থেকে হাদীস শুনত। একসময় আইয়্যূব তাকে অনুপস্থিত দেখে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে লোকেরা বলল, আবু বকর! (আইয়্যূবের উপনাম) সে তো আজকাল উবায়দের সাথে থাকে। হাম্মাদ বলেন, এর মধ্যে একদিন সকালে আমি আইয়্যূবের সাথে বাজারে যাচ্ছিলাম। এমন সময় ঐ লোকটি তার সামনে এল। আইয়্যূব তাকে সালাম করে তার কুশলাদি জিজ্ঞেস করলেন। তারপর তাকে বললেন, আমি জানতে পারলাম, তুমি না কি বর্তমানে ঐ ব্যক্তির সাহচর্যে আছ ? হাম্মাদ বলেন, তিনি তার নাম উল্লেখ করে বললেন, আমুরের সাহচর্যে? সে বলল, হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। হে আবু বকর! সে তো আমাদের আশ্চর্য ও অশ্রুতপূর্ব কথা শোনায় । হাম্মাদ বলেন, আইয়্যূব তাকে বললেন, আমরা এ ধরনের আশ্চর্যজনক কথাবার্তা এড়িয়ে চলি, অথবা বললেন, দূরে থাকি।

হাজ্জাজ ইব্‌ন শায়ির (রাহঃ).... হাম্মাদ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আইয়্যূব (রাহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আমর ইব্‌ন উবায়দ হাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, নাবীয পান করে নেশাগ্রস্ত হলে তাকে দোররা মারা হবে না। তা কি ঠিক? তখন আইয়্যূব বললেন, আম্‌র ইবন উবায়দ মিথ্যা বলেছে। আমি হাসান (রাহঃ)-কে শুনেছি, তিনি বলেছেন নাবীয(টিকা ১) পান করে নেশাগ্রস্ত হলে দোররা মারা হবে।
টিকা১:খেজুর, মনাক্কা, কিসমিস ইত্যাদি ভেজানো পানি।

হাজ্জাজ (রাহঃ).... সাল্লাম ইব্‌ন আবু মুতী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আইয়্যূবের কাছে এ সংবাদ পৌঁছল যে, আমি আম্‌রের কাছে যাই। একদিন তিনি আমাকে বললেন, তোমার কি ধারণা, যার দীনদারীর ব্যাপারে তুমি আস্থা রাখতে পার না, তার হাদীসের উপর তুমি কিরূপে আস্থা রাখতে পার?

সালামা ইন শাবীব (রাহঃ).... আবু মুসা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, আমর ইবন উবায়দ তার নতুন ভ্রান্ত আকীদা(টিকা ২) প্রকাশ করার পূর্বে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছে।

টিকা ২. মু'তাযিলা মতাদর্শ।

উবায়দুল্লাহ ইবন মু'আয আল-আনবারী (রাহঃ) বলেন, আমার পিতা বলেছেন, আমি ওয়াসিত শহরের কারী আবু শায়বা (রাহঃ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে তারা (রাহঃ)-এর কাছে চিঠি লিখে পাঠালাম। জবাবে তিনি আমাকে লিখে পাঠালেন, তার কাছ থেকে কিছুই লিখবে না আর আমার এই চিঠিখানা ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলবে। আলু-হলওয়ানী (রাহঃ) বলেন, আফ্ফানকে বলতে শুনেছি, সালিহ আল-মুরবীর সূত্রে বর্ণিত সাবিতের একটি রিওয়ায়াত হাম্মাদের কাছে বর্ণনা করলে তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে। আমি হাম্মামকে সালিহ মুরখীর একটি হাদীস পড়ে শোনালে তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে।

মাহমুদ ইবন গায়লান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু দাউদ বলেছেন, তারা আমাকে বললেন, তুমি জারীর ইবন হাযমের কাছে যাও এবং তাকে বল, হাসান ইবন উমারা থেকে হাদীস গ্রহণ করা তোমার জন্য ঠিক নয়। কেননা সে মিথ্যা বলে। আবু দাউদ বলেন, আমি শু’বাকে জিজ্ঞেস করলাম, তার প্রমাণ কী? তারা বললেন, হাসান ইবন উমারা... হাকাম (রাহঃ) থেকে আমাদের কাছে এমন বহু কিছু বর্ণনা করেছেন, আমি তার কোন ভিত্তি খুঁজে পাইনি। আবু দাউদ বলেন, আমি বললাম সেগুলো কোন কোন হাদীস? শু'বা বললেন, আমি হাকামকে জিজ্ঞেস করলাম, নবী করীম (ﷺ) কি উহুদের শহীদদের জানাযার সালাত পড়েছেন? তিনি বললেন, তিনি তাদের জানাযার সালাত পড়েন নি। কিন্তু হাসান ইবন উমারা... হাকাম এর সূত্রে ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী করীম (ﷺ) তাদের জানাযার সালাত পড়েছেন এবং দাফন করেছেন।' শু'রা বলেন, আমি হাকামকে জিজ্ঞেস করলাম, "জারজ সন্তানদের সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?” তিনি বললেন, "তাদের জানাযা পড়তে হবে।" আমি জিজ্ঞেস করলাম, তা কোন হাদীস থেকে প্রমাণিত এবং এর বর্ণনাকারী কে? হাকাম বললেন, হাসান বসরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। কিন্তু হাসান ইবন উমারা বলেন, হাকাম আমাদের ইয়াহইয়া ইবন জায্যারের সূত্রে আলী (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হাসান আল-হুলওয়ানী (রাহঃ) বলেন যে, আমি ইয়াযীদ ইব্‌ন হারূনকে যিয়াদ ইব্‌ন মায়মূন সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি শপথ করেছি, তার (যিয়াদ) থেকে কোন কিছুই বর্ণনা করব না এবং খালিদ ইন মাহদূজ থেকেও না। ইয়াযীদ ইব্‌ন হারূন বলেন, একবার আমি যিয়াদ ইব্‌ন মায়মূনের সঙ্গে সাক্ষাত করে তাঁকে একটি হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। সে এ হাদীসটি আমাকে বাকর আল-মুযানীর সূত্রে বর্ণনা করল । দ্বিতীয়বার গিয়ে আমি তাকে সেই হাদীসটির সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে তা মুওয়াররিকের সূত্রে বর্ণনা করল। আমি তৃতীয়বার গিয়ে তাকে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, সে আমাকে হাসান বসরীর সূত্রে বর্ণনা করল । ইয়াযীদ ইবন হারূন তাদের উভয়কে মিথ্যাবাদী বলতেন। হুলওয়ানী বলেন, আমি আব্দুস সামাদের কাছে যিয়াদ ইবন মায়মূনের উল্লেখ করলে তিনি তাকে মিথ্যাবাদী বলে চিহ্নিত করেন।

মাহমুদ ইব্‌ন গায়লান (রাহঃ) বলেন যে, আমি আবু দাউদ তায়ালিসীকে বললাম, আপনি তো আব্বাস ই মনসুর থেকে অনেক হাদীসই বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আপনি কি তার থেকে আত্তারার হাদীস শোনেন নি, যা নাযর ইবন শুমায়ল আমাদের বর্ণনা করেছেন? তিনি আমাকে বললেন, চুপ করো। আমি ও আব্দুর রহমান ইবন মাহদী যিয়াদ ইব্‌ন মায়মূনের সঙ্গে সাক্ষাত করে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি যে এসব হাদীস আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা কর, তা কতটুকু সহীহ্ ও সঠিক? যিয়াদ বলল, আপনার কি অভিমত, যদি কোন ব্যক্তি গুনাহ করার পর তাওবা করে, তবে আল্লাহ্ তা'আলা কি তার তাওবা কবূল করবেন না? আবু দাউদ বলেন, আমরা বললাম, হ্যাঁ, কবূল করবেন। যিয়াদ বলল, সত্য কথা হচ্ছে, আমি আনাস (রাযিঃ) থেকে কম বা বেশী কিছুই শুনিনি। অন্য লোকেরা যদি অবগত না থাকে, তাহলে আপনারাও কি জানবেন না যে, আমি কখনো আনাস (রাযিঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করিনি ? আবু দাউদ বলেন, এর কিছুদিন পর আমাদের কাছে সংবাদ পৌঁছলো যে, সে পুনরায় আনাস (রাযিঃ)-এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করে। আমি ও আব্দুর রহমান আবার তার কাছে গেলাম। সে বলল, আমি তাওবা করলাম। পরে দেখা গেল যে, সে আগের মতই আনাস (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করছে। তখন আমরা তাকে পরিত্যাগ করলাম।

হাসান আল-হুলওয়ানী (রাহঃ) বলেন, আমি শাবাবাকে বলতে শুনেছি যে, আব্দুল কুদ্দুস আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করতেন এবং বলতেন, সুওয়ায়দ ইব্‌ন আকালা (আসলে সুওয়ায়দ ইব্‌ন গাফাল।)(টিকা ১)
শাবাবা বলেন, আমি আব্দুল কুদ্দুসকে আরো বলতে শুনেছিঃ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ يُتَّخَذَ الرَّوْحُ عرْضًا রসূলুল্লাহ ﷺ পার্শ্বের থেকে বায়ু গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।” শাবাবা বলেন, কেউ তাঁকে জিজ্ঞেস করল, এ কথাটির অর্থ কি? তখন বললেন, কেউ যেন বায়ু গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে পার্শ্বের দেয়ালে জানালা বা ছিদ্র তৈরী না করে।(টিকা ২)
টিকা ১:তিনি 'গাফালা’ স্থলে আকালা' উচ্চারণ করতেন। এ দ্বারা তাঁর হাদীস বর্ণনায় অবিশ্বস্ততার কথা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২: প্রকৃতপক্ষে হাদীসটি হল,نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ يُتَّخَذَ الرَّوْحُ غرْضًا রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তীরন্দাজী শেখার জন্য কোন প্রাণীকে নিশানা বানাতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু তিনি الرَّوْحُ এর স্থলে الرَّوْحُ (ر মধ্যে যবর দিয়ে) এবং غرْضًا এর স্থলে বলতেন عرْضًا এবং ভুল অর্থ করতেন।

মুসলিম (রাহঃ) বলেন, আমি উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমর আল-কাওয়ারিরীকে বলতে শুনেছি : তিনি বলেন, আমি হাম্মাদ ইব্‌ন যায়দ (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি এক ব্যক্তিকে, যিনি কিছুদিন মাহদী ইব্‌ন হেলালের সাহচর্যে ছিলেন—বললেন, ওটা কেমন একটি লবণাক্ত ঝরণা, যা তোমাদের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে? সে বলল, হে আবু ইসমাঈল! (মুহাম্মাদ-এর উপনাম) হ্যাঁ, সত্যিই ওটা লবণাক্ত পানির ঝরণাই বটে।

হাসান আল-হুলওয়ানী বলেন, আমি 'আফফানকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি আবু আওয়ানাকে বলতে শুনেছি, হাসান বসরী (রাহঃ) থেকে যে হাদীসই আমার কাছে পৌঁছাত, আমি তা আবান ইব্‌ন আবু আইয়াশের কাছে পেশ করতাম। সে আমাকে তা পড়ে শুনাত ।

সুওয়ায়দ ইন সাঈদ আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আলী ইব্‌ন মুসহির বলেছেন, আমি ও হামযা আয্-যাইয়াত আবান ইব্‌ন আবু 'আইয়াশ থেকে প্রায় এক হাজার হাদীস শুনেছি। আলী বলেন, একদিন আমি হামযার সাথে সাক্ষাত করলে তিনি আমাকে অবহিত করলেন যে, তিনি নবী কে স্বপ্নে দেখেছেন এবং আবান থেকে যে সমস্ত হাদীস শুনেছিলেন তা (স্বপ্নের মধ্যে) তাঁকে শুনিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি -এর সামান্য ক'টি অর্থাৎ পাঁচটি বা ছ'টি ছাড়া একটিরও স্বীকৃতি দেননি।

আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আব্দুর রহমান দারিমী (র) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, যাকারিয়া ইবন আদী বলেন, আবূ ইসহাক আল-ফাযারী আমাকে বলেছেন যে, বাকিয়্যা (নামক রাবী) যে সব হাদীস প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসগণের কাছ থেকে বর্ণনা করে, শুধু সেগুলো লিখে নাও এবং যে সব হাদীস অখ্যাত ও অপরিচিত লোকদের থেকে বর্ণনা করে, তা লিখো না। কিন্তু ইসমাঈল ইব্‌ন আইয়াশের কোন হাদীসই গ্রহণ করো না, তা পরিচিত ও প্রসিদ্ধ ব্যক্তি থেকেই হোক আর অপরিচিত ও অখ্যাত ব্যক্তিদের থেকেই হোক।

ইসহাক ইবন ইবরাহীম আল-হানযালী (র) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মুবারক (র)-এর এক ছাত্রের কাছে শুনেছি যে, ইব্‌ন মুবারক (র) বলেছেন, বাকিয়্যা উত্তম ব্যক্তিই ছিলেন, যদি তার মধ্যে একটি দোষ না থাকত ৷ তিনি রাবীর (বর্ণনাকারী) নামকে কুনিয়াত (ডাক নাম) এবং কুনিয়াতকে নামদ্বারা প্রকাশ করতেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত আমাদের আবূ সাঈদ ওহাযীর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জানলাম যে, ওহাযী হলেন সেই আব্দুল কুদ্দুস (যাকে হাদীস বিশারদগণ বর্জন করেছেন)।
আহমাদ ইবন ইউসূফ আযদী বলেন, আমি আব্দুর রাযযাককে বলতে শুনেছি, আমি ইবন মুবারক (র)-কে সুস্পষ্ট ভাষায় আব্দুল কুদ্দুস ছাড়া আর কাউকে মিথ্যাবাদী বলতে দেখিনি। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, আব্দুল কুদ্দুস চরম মিথ্যাবাদী।

আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান দারিমী বলেন, আবূ নু'জাঈম একদা মু'আল্লা ইবন ইরফানের আলোচনা প্রসঙ্গে বললেন, মু'আল্লা বলেছে যে, আবূ ওয়ায় আমাদের বর্ণনা করেছেন, সিফ্ফীনের যুদ্ধে ইবন মাসউদ (রা) আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন। তার কথা শুনে আবূ নু'আঈম বললেন, তোমার কি ধারণা, তিনি মৃত্যুর পরে পুনরুজ্জীবিত হয়ে ফিরে এসেছেন? আমর ইবন আলী ও হাসান আল-হলওয়ানী (র) আফ্ফান ইবন মুসলিম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা ইসমাঈল ইবন উলাইয়ার নিকট বসা ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি অন্য আর এক ব্যক্তি থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করল। তখন আমি বললাম, “সে ব্যক্তি হাদীস বর্ণনার উপযুক্ত নয়।" আফ্ফান বলেন, আমার কথা তনে ঐ ব্যক্তি বলল, তুমি তো তার গীবত করলে। ইসমাঈল বললেন, না, সে তার গীবত করেনি, বরং সে যে হাদীস বর্ণনা করার উপযুক্ত নয়, সেই সত্যটিকে উদ্ঘাটন করেছে।

আবূ জাফর দারিমী (র) থেকে বর্ণিত যে, বিশর ইবন উমর বলেন, আমি মালিক ইবন আনাসকে সাঈদ ইবু মুসায়্যিব (র) থেকে হাদীস বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইব্‌ন আব্দুর রহমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। মালিক ইবন আনাস বললেন, সে হাদীস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আমি তাকে তাওয়ামার আযাদকৃত গোলাম সালিহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, সেও নির্ভরযোগ্য নয়। আমি তাকে আবুল হুয়ায়রিস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, সেও নির্ভরযোগ্য রাবী নয়। তারপর আমি তাঁকে ত’বা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, যার থেকে ইবন আবূ যি'ব হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বললেন, সেও নির্ভরযোগ্য রাবী নয়। এরপর আমি তাঁকে হারাম ইবন উসমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, সেও নির্ভরযোগ্য নয়। তারপর আমি মালিক ইবুন আনাসের নিকট উক্ত পাঁচ ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, এদের কেউই হাদীস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। অবশেষে আমি তাঁকে আর একজন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম যার নাম এখন আমার মনে নেই। তার সম্পর্কে তিনি বললেন, তার কোন হাদীস তুমি আমার কিতাবগুলোতে দেখেছ কি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, যদি সে হাদীস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য হতো, তাহলে তুমি অবশ্যই আমার কিতাবের মধ্যে তার নামের উল্লেখ পেতে (কাজেই সেও নির্ভরযোগ্য নয়)।

ফযল ইব্‌ন সাহল থেকে বর্ণিত, ইব্‌ন আবূ যি’ব শুরাবিল ইব্‌ন সা'দ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। অথচ শুরাবিল ছিল অভিযুক্ত।

মুহাম্মাদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্ ইবন কুহ্যায (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূ ইসহাক তালেকানীকে বলতে শুনেছি যে, ইব্‌ন মুবারককে বলতে শুনেছি, যদি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করা এবং আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মুহাব্বার-এর সঙ্গে সাক্ষাত করার মধ্যে ইখতিয়ার দেয়া হতো, তাহলে প্রথমে আমি তার সাথে সাক্ষাত করে পরে জান্নাতে প্রবেশ করতাম। পরে যখন আমি তাকে দেখলাম, তখন আমার কাছে উটের বিষ্ঠাও তার থেকে উৎকৃষ্ট মনে হলো।

উবায়দুল্লাহ্ ইব্‌ন আম্‌র বলেন, ফযল ইব্‌ন সাহল থেকে বর্ণিত আছে যে, ওয়ালীদ ইব্‌ন সালিহ্ আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। উবায়দুল্লাহ্ ইন আমর—যায়দ বলেন অর্থাৎ ইব্‌ন আবূ উনায়সা, বলেছেন, তোমরা আমার ভাই (ইয়াহ্ইয়া) থেকে হাদীস গ্রহণ করো না।

আত্মদ ইবন ইবরাহীম দাওরাকী থেকে বর্ণিত, আব্দুস সালাম আল-ওয়াবিসী বলেছেন, আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন জা'ফর রাক্কী (র) উবায়দুল্লাহ্ ইবন 'আমর থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, ইয়াহ্ইয়া ইব্‌ন উনাইসা মিথ্যাবাদী ছিলেন।

আত্মদ ইবন ইবরাহীম (র) হাম্মাদ ইব্‌ন যায়দ থেকে বর্ণনা করেন যে, আইয়্যূবের নিকট ফারকাদের উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন, ফারকাদ হাদীস বর্ণনার যোগ্য নয় ।(টিকা ১)
টিকা ১:প্রকৃতপক্ষে ফারকাদ একজন প্রসিদ্ধ তাবিঈ ও আল্লাহভীরু, ইবাদতগুয়ার লোক ছিলেন, তবে হাদীস বর্ণনা করার জন্যে যে সব গুণের প্রয়োজন, সেগুলো তার মধ্যে ছিল না।

আব্দুর রহমান ইব্‌ন বিশর আল-আব্দী (র) বলেন, আমি ইয়াহ্ইয়া ইব্‌ন সাঈদ আল-কাত্তান (র)-এর কাছে মুহাম্মাদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন উবায়দ ইব্‌ন উমায়র লায়সীর উল্লেখ করলে, তিনি তাকে অত্যন্ত যঈফ (দুর্বল) বলে মন্তব্য করেছেন। এ সময় কেউ ইয়াহ্ইয়াকে জিজ্ঞেস করল, সে কি ইয়াকুব ইব্‌ন আতা থেকেও যঈ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি বললেন, মুহাম্মাদ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্ ইবন উরায়দ ইবন উমায়র থেকে কেউ হাদীস বর্ণনা করবে তা আমি ভাবতে পারি না। বিশ্ব ইন আল-হারাম (র) বলেন, আমি ইয়াহ্ইয়া ইন সাঈদ আল-কাত্তানকে বলতে শুনেছি, হাকাম ইব্‌ন যুবায়র ও আব্দুল আ'লা যঈফ (দুর্বল) এবং ইয়াহ্ইয়া ইন মুসা ইব্‌ন দীনারও যাঈফ (দুর্বল)। তিনি আরো বলেছেন, তার হাদীস হচ্ছে বাতাসের মত। তিনি মুসা ই দিহকান ও ঈসা ইব্‌ন আবূ ঈসা মাদানীকেও যঈফ (দুর্বল) বলেছেন।
মুসলিম (র) বলেন, আমি হাসান ইব্‌ন ঈসা (র)-এর কাছে শুনেছি যে, তিনি বলেন, আমাকে ইব্‌ন মুবারক বলেছেন, যখন তুমি জারীরের কাছে যাবে তখন তার থেকে তিন ব্যক্তির হাদীস ছাড়া আর সমস্ত হাদীস লিপিবদ্ধ করে নিও। এ তিন ব্যক্তি হচ্ছে : “উবায়দা ইব্‌ন মুআত্তিব, আস-সারী ইব্‌ন ইসমাঈল ও মুহাম্মাদ ইব্‌ন সালিম।

মুসলিম (র) বলেন, অভিযুক্ত রাবীদের দোষ-ত্রুটি ও তাদের সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ আলিমদের যে মতামত আমরা বর্ণনা করেছি, তার ফিরিস্তি বেশ দীর্ঘ। এ সম্পর্কে সবকিছু আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে সংকলনের কলেবর বেড়ে যাবে। তবে আমরা এখানে যা আলোচনা করেছি, তা যে কোন বিচক্ষণ ও হাদীস সম্পৰ্কীয় নীতি-পদ্ধতি বোঝা ব্যক্তির পক্ষে যথেষ্ট। মুহাদ্দিসগণ রাবী এবং ঘটনা বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করে দেয়া অপরিহার্য মনে করেছেন। বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রুটি সম্পর্কে যখনই তাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছে, তখনই তারা তা দীনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে করে বৈধ বলে ফাওয়া দিয়েছেন। কেননা দীনের কোন কথা বর্ণনা করলে তার মাধ্যমে হয় কোন কাজ হালাল অথবা হারাম প্রমাণিত হবে, অথবা তাতে কোন কাজ করার নির্দেশ অথবা নিষেধ থাকবে, অথবা এর মাধ্যমে কোন কাজ করতে উৎসাহিত করা হবে বা কোন কাজ না করার জন্য নিরুৎসাহিত করা হবে। এমতাবস্থায় কোন রাবীর মধ্যে যদি সততা ও বিশ্বস্ততার উপাদান না থাকে, আর অন্য রাবী তা জানা সত্ত্বেও তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনার সময় তার সম্পর্কে অনবহিত লোকদের সামনে এ ত্রুটি তুলে না ধরে, তবে সে গুনাহগার হবে এবং সাধারণ মুসলিমদের সাথে প্রতারণাকারী বলে গণ্য হবে। কেননা যারা এসব হাদীস শুনবে, তারা এর সবগুলোর উপর অথবা এর কোন একটির উপর আমল করবে। অথচ এর সবগুলো অথবা অধিকাংশই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। নির্ভরযোগ্য ও আস্থাশীল বর্ণনাকারীদের বর্ণিত নির্ভুল ও সহীহ হাদীসের এক বিরাট সম্ভার আমাদের সামনে রয়েছে। কাজেই এমন এক ব্যক্তি থেকে হাদীস গ্রহণ করার জন্য ব্যস্ত হওয়ার আদৌ প্রয়োজন নেই, যার বর্ণনা নির্ভরযোগ্য নয় এবং সে নিজেও বিশ্বস্ত রাবী নয়।
আমি মনে করি, যে সব লোক এ ধরনের যঈফ হাদীস এবং অখ্যাত সনদ বর্ণনা করে এবং এ সবের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও দুর্বলতা সম্পর্কে অবহিত হওয়া সত্ত্বেও এর গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তাদের উদ্দ্যেশ্য হলো নিজেদের সাধারণ মানুষের কাছে অধিক হাদীস সংগ্রহকারী হিসেবে পরিচিত করা এবং লোকদের এই বাহবা আদায় করা যে, অমুক ব্যক্তি কত হাদীস সংগ্রহ করেছে, কত হাদীস সংকলন করেছে। ইল্‌মে হাদীসের ক্ষেত্রে যে এ নীতি অবলম্বন করে এবং এ পথে পা বাড়ায়, হাদীস শাস্ত্রে তার কোন স্থান নেই। বস্তুত এমন ব্যক্তি আলিম (জ্ঞানী) হিসেবে আখ্যায়িত না হয়ে জাহিল (মূর্খ) নামে অভিহিত হওয়ার অধিক যোগ্য।
بَابُ بَيَانِ أَنَّ الْإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنِ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنَ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنَ الذَّبِّ عَنِ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ
حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، وَحَدَّثَنَا فُضَيْلٌ، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ وَحَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِينٌ فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأْخُذُونَ دِينَكُمْ ‏.‏

27 - حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ لَمْ يَكُونُوا يَسْأَلُونَ عَنِ الإِسْنَادِ، فَلَمَّا وَقَعَتِ الْفِتْنَةُ قَالُوا سَمُّوا لَنَا رِجَالَكُمْ فَيُنْظَرُ إِلَى أَهْلِ السُّنَّةِ فَيُؤْخَذُ حَدِيثُهُمْ وَيُنْظَرُ إِلَى أَهْلِ الْبِدَعِ فَلاَ يُؤْخَذُ حَدِيثُهُمْ ‏.‏

28 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، قَالَ لَقِيتُ طَاوُسًا فَقُلْتُ حَدَّثَنِي فُلاَنٌ، كَيْتَ وَكَيْتَ ‏.‏ قَالَ إِنْ كَانَ صَاحِبُكَ مَلِيًّا فَخُذْ عَنْهُ ‏.‏

29 - وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ الدِّمَشْقِيَّ - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، قَالَ قُلْتُ لِطَاوُسٍ إِنَّ فُلاَنًا حَدَّثَنِي بِكَذَا، وَكَذَا، ‏.‏ قَالَ إِنْ كَانَ صَاحِبُكَ مَلِيًّا فَخُذْ عَنْهُ ‏.‏

30 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا الأَصْمَعِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَدْرَكْتُ بِالْمَدِينَةِ مِائَةً كُلُّهُمْ مَأْمُونٌ ‏.‏ مَا يُؤْخَذُ عَنْهُمُ الْحَدِيثُ يُقَالُ لَيْسَ مِنْ أَهْلِهِ ‏.‏

31 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، يَقُولُ لاَ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ الثِّقَاتُ ‏.‏

32 - وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، - مِنْ أَهْلِ مَرْوَ - قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَانَ بْنَ عُثْمَانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُبَارَكِ، يَقُولُ الإِسْنَادُ مِنَ الدِّينِ وَلَوْلاَ الإِسْنَادُ لَقَالَ مَنْ شَاءَ مَا شَاءَ ‏.‏

33 - وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ أَبِي رِزْمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ، يَقُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقَوْمِ الْقَوَائِمُ ‏.‏ يَعْنِي الإِسْنَادَ ‏.‏

34 - وَقَالَ مُحَمَّدٌ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، إِبْرَاهِيمَ بْنَ عِيسَى الطَّالَقَانِيَّ قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحَدِيثُ الَّذِي جَاءَ ‏"‏ إِنَّ مِنَ الْبِرِّ بَعْدَ الْبِرِّ أَنْ تُصَلِّيَ لأَبَوَيْكَ مَعَ صَلاَتِكَ وَتَصُومَ لَهُمَا مَعَ صَوْمِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ يَا أَبَا إِسْحَاقَ عَمَّنْ هَذَا قَالَ قُلْتُ لَهُ هَذَا مِنْ حَدِيثِ شِهَابِ بْنِ خِرَاشٍ ‏.‏ فَقَالَ ثِقَةٌ عَمَّنْ قَالَ قُلْتُ عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ ‏.‏ قَالَ ثِقَةٌ عَمَّنْ قَالَ قُلْتُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ إِنَّ بَيْنَ الْحَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ وَبَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَفَاوِزَ تَنْقَطِعُ فِيهَا أَعْنَاقُ الْمَطِيِّ وَلَكِنْ لَيْسَ فِي الصَّدَقَةِ اخْتِلاَفٌ ‏.‏

6 - باب الْكَشْفِ عَنْ مَعَايِبِ، رُوَاةِ الْحَدِيثِ وَنَقَلَةِ الأَخْبَارِ وَقَوْلِ الأَئِمَّةِ فِي ذَلِكَ ‏‏

35 - وَقَالَ مُحَمَّدٌ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ شَقِيقٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُبَارَكِ، يَقُولُ عَلَى رُءُوسِ النَّاسِ دَعُوا حَدِيثَ عَمْرِو بْنِ ثَابِتٍ فَإِنَّهُ كَانَ يَسُبُّ السَّلَفَ ‏.‏

36 - وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو النَّضْرِ، هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، صَاحِبُ بُهَيَّةَ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ الْقَاسِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ فَقَالَ يَحْيَى لِلْقَاسِمِ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ إِنَّهُ قَبِيحٌ عَلَى مِثْلِكَ عَظِيمٌ أَنْ تُسْأَلَ عَنْ شَىْءٍ مِنْ أَمْرِ هَذَا الدِّينِ فَلاَ يُوجَدَ عِنْدَكَ مِنْهُ عِلْمٌ وَلاَ فَرَجٌ - أَوْ عِلْمٌ وَلاَ مَخْرَجٌ - فَقَالَ لَهُ الْقَاسِمُ وَعَمَّ ذَاكَ قَالَ لأَنَّكَ ابْنُ إِمَامَىْ هُدًى ابْنُ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ‏.‏ قَالَ يَقُولُ لَهُ الْقَاسِمُ أَقْبَحُ مِنْ ذَاكَ عِنْدَ مَنْ عَقَلَ عَنِ اللَّهِ أَنْ أَقُولَ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ آخُذَ عَنْ غَيْرِ ثِقَةٍ ‏.‏ قَالَ فَسَكَتَ فَمَا أَجَابَهُ ‏.‏

37 - وَحَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ الْعَبْدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، يَقُولُ أَخْبَرُونِي عَنْ أَبِي عَقِيلٍ، صَاحِبِ بُهَيَّةَ أَنَّ أَبْنَاءً، لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ سَأَلُوهُ عَنْ شَىْءٍ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ فِيهِ عِلْمٌ فَقَالَ لَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَاللَّهِ إِنِّي لأُعْظِمُ أَنْ يَكُونَ مِثْلُكَ وَأَنْتَ ابْنُ إِمَامَىِ الْهُدَى - يَعْنِي عُمَرَ وَابْنَ عُمَرَ - تُسْأَلُ عَنْ أَمْرٍ لَيْسَ عِنْدَكَ فِيهِ عِلْمٌ ‏.‏ فَقَالَ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ وَاللَّهِ عِنْدَ اللَّهِ وَعِنْدَ مَنْ عَقَلَ عَنِ اللَّهِ أَنْ أَقُولَ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ أُخْبِرَ عَنْ غَيْرِ ثِقَةٍ ‏.‏ قَالَ وَشَهِدَهُمَا أَبُو عَقِيلٍ يَحْيَى بْنُ الْمُتَوَكِّلِ حِينَ قَالاَ ذَلِكَ ‏.‏

38 - وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ أَبُو حَفْصٍ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، قَالَ سَأَلْتُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ وَشُعْبَةَ وَمَالِكًا وَابْنَ عُيَيْنَةَ عَنِ الرَّجُلِ لاَ يَكُونُ ثَبْتًا فِي الْحَدِيثِ فَيَأْتِينِي الرَّجُلُ فَيَسْأَلُنِي عَنْهُ ‏.‏ قَالُوا أَخْبِرْ عَنْهُ أَنَّهُ لَيْسَ بِثَبْتٍ ‏.‏

39 - وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّضْرَ، يَقُولُ سُئِلَ ابْنُ عَوْنٍ عَنْ حَدِيثٍ، لِشَهْرٍ وَهُوَ قَائِمٌ عَلَى أُسْكُفَّةِ الْبَابِ فَقَالَ إِنَّ شَهْرًا نَزَكُوهُ إِنَّ شَهْرًا نَزَكُوهُ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ رَحِمَهُ اللَّهُ يَقُولُ أَخَذَتْهُ أَلْسِنَةُ النَّاسِ تَكَلَّمُوا فِيهِ ‏.‏

40 - وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، قَالَ قَالَ شُعْبَةُ وَقَدْ لَقِيتُ شَهْرًا فَلَمْ أَعْتَدَّ بِهِ ‏.‏

41 - وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، - مِنْ أَهْلِ مَرْوَ - قَالَ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ قُلْتُ لِسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ إِنَّ عَبَّادَ بْنَ كَثِيرٍ مَنْ تَعْرِفُ حَالَهُ ‏.‏ وَإِذَا حَدَّثَ جَاءَ، بِأَمْرٍ عَظِيمٍ فَتَرَى أَنْ أَقُولَ، لِلنَّاسِ لاَ تَأْخُذُوا عَنْهُ قَالَ سُفْيَانُ بَلَى ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَكُنْتُ إِذَا كُنْتُ فِي مَجْلِسٍ ذُكِرَ فِيهِ عَبَّادٌ أَثْنَيْتُ عَلَيْهِ فِي دِينِهِ وَأَقُولُ لاَ تَأْخُذُوا عَنْهُ ‏.‏

42 - وَقَالَ مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ قَالَ أَبِي قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ انْتَهَيْتُ إِلَى شُعْبَةَ فَقَالَ هَذَا عَبَّادُ بْنُ كَثِيرٍ فَاحْذَرُوهُ ‏.‏

43 - وَحَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ سَأَلْتُ مُعَلًّى الرَّازِيَّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ الَّذِي، رَوَى عَنْهُ، عَبَّادٌ فَأَخْبَرَنِي عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، قَالَ كُنْتُ عَلَى بَابِهِ وَسُفْيَانُ عِنْدَهُ فَلَمَّا خَرَجَ سَأَلْتُهُ عَنْهُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ كَذَّابٌ ‏.‏

44 - وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَتَّابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَفَّانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمْ نَرَ الصَّالِحِينَ فِي شَىْءٍ أَكْذَبَ مِنْهُمْ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

45 - قَالَ ابْنُ أَبِي عَتَّابٍ فَلَقِيتُ أَنَا مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، فَسَأَلْتُهُ عَنْهُ فَقَالَ عَنْ أَبِيهِ، لَمْ تَرَ أَهْلَ الْخَيْرِ فِي شَىْءٍ أَكْذَبَ مِنْهُمْ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ يَقُولُ يَجْرِي الْكَذِبُ عَلَى لِسَانِهِمْ وَلاَ يَتَعَمَّدُونَ الْكَذِبَ ‏.‏

46 - حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ أَخْبَرَنِي خَلِيفَةُ بْنُ مُوسَى، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى غَالِبِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فَجَعَلَ يُمْلِي عَلَىَّ حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ، حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ، فَأَخَذَهُ الْبَوْلُ فَقَامَ فَنَظَرْتُ فِي الْكُرَّاسَةِ فَإِذَا فِيهَا حَدَّثَنِي أَبَانٌ عَنْ أَنَسٍ وَأَبَانٌ عَنْ فُلاَنٍ فَتَرَكْتُهُ وَقُمْتُ ‏.‏

47 - قَالَ وَسَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيَّ، يَقُولُ رَأَيْتُ فِي كِتَابِ عَفَّانَ حَدِيثَ هِشَامٍ أَبِي الْمِقْدَامِ حَدِيثُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ هِشَامٌ حَدَّثَنِي رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ يَحْيَى بْنُ فُلاَنٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ قَالَ قُلْتُ لِعَفَّانَ إِنَّهُمْ يَقُولُونَ هِشَامٌ سَمِعَهُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّمَا ابْتُلِيَ مِنْ قِبَلِ هَذَا الْحَدِيثِ كَانَ يَقُولُ حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مُحَمَّدٍ ثُمَّ ادَّعَى بَعْدُ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْ مُحَمَّدٍ ‏.‏

48 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُثْمَانَ بْنِ جَبَلَةَ، يَقُولُ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ مَنْ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي رَوَيْتَ عَنْهُ، حَدِيثَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏"‏ يَوْمُ الْفِطْرِ يَوْمُ الْجَوَائِزِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ الْحَجَّاجِ ‏.‏ انْظُرْ مَا وَضَعْتَ فِي يَدِكَ مِنْهُ ‏.‏

49 - قَالَ ابْنُ قُهْزَاذَ وَسَمِعْتُ وَهْبَ بْنَ زَمْعَةَ، يَذْكُرُ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ يَعْنِي ابْنَ الْمُبَارَكِ رَأَيْتُ رَوْحَ بْنَ غُطَيْفٍ صَاحِبَ ‏"‏ الدَّمِ قَدْرِ الدِّرْهَمِ ‏"‏ وَجَلَسْتُ إِلَيْهِ مَجْلِسًا فَجَعَلْتُ أَسْتَحْيِي مِنْ أَصْحَابِي أَنْ يَرَوْنِي جَالِسًا مَعَهُ كُرْهَ حَدِيثِهِ ‏.‏

50 - حَدَّثَنِي ابْنُ قُهْزَاذَ، قَالَ سَمِعْتُ وَهْبًا، يَقُولُ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ بَقِيَّةُ صَدُوقُ اللِّسَانِ وَلَكِنَّهُ يَأْخُذُ عَمَّنْ أَقْبَلَ وَأَدْبَرَ ‏.‏

51 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَارِثُ الأَعْوَرُ الْهَمْدَانِيُّ، وَكَانَ، كَذَّابًا ‏.‏

52 - حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُفَضَّلٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، يَقُولُ حَدَّثَنِي الْحَارِثُ الأَعْوَرُ، وَهُوَ يَشْهَدُ أَنَّهُ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ ‏.‏

53 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ قَالَ عَلْقَمَةُ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ فِي سَنَتَيْنِ ‏.‏ فَقَالَ الْحَارِثُ الْقُرْآنُ هَيِّنٌ الْوَحْىُ أَشَدُّ ‏.‏

54 - وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ، - يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ - حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ الْحَارِثَ، قَالَ تَعَلَّمْتُ الْقُرْآنَ فِي ثَلاَثِ سِنِينَ وَالْوَحْىَ فِي سَنَتَيْنِ - أَوْ قَالَ الْوَحْىَ فِي ثَلاَثِ سِنِينَ وَالْقُرْآنَ فِي سَنَتَيْنِ ‏.‏

55 - وَحَدَّثَنِي حَجَّاجٌ، قَالَ حَدَّثَنِي أَحْمَدُ، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَالْمُغِيرَةِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ الْحَارِثَ، اتُّهِمَ ‏.‏

56 - وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ حَمْزَةَ الزَّيَّاتِ، قَالَ سَمِعَ مُرَّةُ الْهَمْدَانِيُّ، مِنَ الْحَارِثِ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ اقْعُدْ بِالْبَابِ ‏.‏ قَالَ فَدَخَلَ مُرَّةُ وَأَخَذَ سَيْفَهُ - قَالَ - وَأَحَسَّ الْحَارِثُ بِالشَّرِّ فَذَهَبَ ‏.‏

57 - وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ قَالَ لَنَا إِبْرَاهِيمُ إِيَّاكُمْ وَالْمُغِيرَةَ بْنَ سَعِيدٍ وَأَبَا عَبْدِ الرَّحِيمِ فَإِنَّهُمَا كَذَّابَانِ ‏.‏

58 - حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ - قَالَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، قَالَ كُنَّا نَأْتِي أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيَّ وَنَحْنُ غِلْمَةٌ أَيْفَاعٌ فَكَانَ يَقُولُ لَنَا لاَ تُجَالِسُوا الْقُصَّاصَ غَيْرَ أَبِي الأَحْوَصِ وَإِيَّاكُمْ وَشَقِيقًا ‏.‏ قَالَ وَكَانَ شَقِيقٌ هَذَا يَرَى رَأْىَ الْخَوَارِجِ وَلَيْسَ بِأَبِي وَائِلٍ ‏.‏

59 - حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ قَالَ سَمِعْتُ جَرِيرًا، يَقُولُ لَقِيتُ جَابِرَ بْنَ يَزِيدَ الْجُعْفِيَّ فَلَمْ أَكْتُبْ عَنْهُ كَانَ يُؤْمِنُ بِالرَّجْعَةِ ‏.‏

60 - حَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ يَزِيدَ، قَبْلَ أَنْ يُحْدِثَ، مَا أَحْدَثَ ‏.‏

61 - وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ كَانَ النَّاسُ يَحْمِلُونَ عَنْ جَابِرٍ، قَبْلَ أَنْ يُظْهِرَ، مَا أَظْهَرَ فَلَمَّا أَظْهَرَ مَا أَظْهَرَ اتَّهَمَهُ النَّاسُ فِي حَدِيثِهِ وَتَرَكَهُ بَعْضُ النَّاسِ فَقِيلَ لَهُ وَمَا أَظْهَرَ قَالَ الإِيمَانَ بِالرَّجْعَةِ ‏.‏

62 - وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، وَأَخُوهُ، أَنَّهُمَا سَمِعَا الْجَرَّاحَ بْنَ مَلِيحٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرًا، يَقُولُ عِنْدِي سَبْعُونَ أَلْفَ حَدِيثٍ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كُلُّهَا ‏.‏

63 - وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ سَمِعْتُ زُهَيْرًا، يَقُولُ قَالَ جَابِرٌ - أَوْ سَمِعْتُ جَابِرًا، يَقُولُ - إِنَّ عِنْدِي لَخَمْسِينَ أَلْفَ حَدِيثٍ مَا حَدَّثْتُ مِنْهَا بِشَىْءٍ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ حَدَّثَ يَوْمًا بِحَدِيثٍ فَقَالَ هَذَا مِنَ الْخَمْسِينَ أَلْفًا ‏.‏

64 - وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ الْيَشْكُرِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْوَلِيدِ، يَقُولُ سَمِعْتُ سَلاَّمَ بْنَ أَبِي مُطِيعٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرًا الْجُعْفِيَّ، يَقُولُ عِنْدِي خَمْسُونَ أَلْفَ حَدِيثٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

65 - وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً، سَأَلَ جَابِرًا عَنْ قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏{‏ فَلَنْ أَبْرَحَ الأَرْضَ حَتَّى يَأْذَنَ لِي أَبِي أَوْ يَحْكُمَ اللَّهُ لِي وَهُوَ خَيْرُ الْحَاكِمِينَ‏}‏ فَقَالَ جَابِرٌ لَمْ يَجِئْ تَأْوِيلُ هَذِهِ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ وَكَذَبَ ‏.‏ فَقُلْنَا لِسُفْيَانَ وَمَا أَرَادَ بِهَذَا فَقَالَ إِنَّ الرَّافِضَةَ تَقُولُ إِنَّ عَلِيًّا فِي السَّحَابِ فَلاَ نَخْرُجُ مَعَ مَنْ خَرَجَ مِنْ وَلَدِهِ حَتَّى يُنَادِيَ مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ ‏.‏ يُرِيدُ عَلِيًّا أَنَّهُ يُنَادِي اخْرُجُوا مَعَ فُلاَنٍ ‏.‏ يَقُولُ جَابِرٌ فَذَا تَأْوِيلُ هَذِهِ الآيَةِ وَكَذَبَ كَانَتْ فِي إِخْوَةِ يُوسُفَ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

66 - وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ، حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا، يُحَدِّثُ بِنَحْوٍ مِنْ ثَلاَثِينَ أَلْفَ حَدِيثٍ مَا أَسْتَحِلُّ أَنْ أَذْكُرَ مِنْهَا شَيْئًا وَأَنَّ لِي كَذَا وَكَذَا ‏.‏

67 - قَالَ مُسْلِمٌ وَسَمِعْتُ أَبَا غَسَّانَ، مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرٍو الرَّازِيَّ قَالَ سَأَلْتُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ الْحَمِيدِ فَقُلْتُ الْحَارِثُ بْنُ حَصِيرَةَ لَقِيتَهُ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ شَيْخٌ طَوِيلُ السُّكُوتِ يُصِرُّ عَلَى أَمْرٍ عَظِيمٍ ‏.‏

68 - حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ ذَكَرَ أَيُّوبُ رَجُلاً يَوْمًا فَقَالَ لَمْ يَكُنْ بِمُسْتَقِيمِ اللِّسَانِ وَذَكَرَ آخَرَ فَقَالَ هُوَ يَزِيدُ فِي الرَّقْمِ ‏.‏

69 - حَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ أَيُّوبُ إِنَّ لِي جَارًا - ثُمَّ ذَكَرَ مِنْ فَضْلِهِ - وَلَوْ شَهِدَ عِنْدِي عَلَى تَمْرَتَيْنِ مَا رَأَيْتُ شَهَادَتَهُ جَائِزَةً ‏.‏

70 - وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ قَالَ مَعْمَرٌ مَا رَأَيْتُ أَيُّوبَ اغْتَابَ أَحَدًا قَطُّ إِلاَّ عَبْدَ الْكَرِيمِ - يَعْنِي أَبَا أُمَيَّةَ - فَإِنَّهُ ذَكَرَهُ فَقَالَ رَحِمَهُ اللَّهُ كَانَ غَيْرَ ثِقَةٍ لَقَدْ سَأَلَنِي عَنْ حَدِيثٍ لِعِكْرِمَةَ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ عِكْرِمَةَ ‏.‏

71 - حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا أَبُو دَاوُدَ الأَعْمَى فَجَعَلَ يَقُولُ حَدَّثَنَا الْبَرَاءُ، قَالَ وَحَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ، ‏.‏ فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِقَتَادَةَ فَقَالَ كَذَبَ مَا سَمِعَ مِنْهُمْ إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ سَائِلاً يَتَكَفَّفُ النَّاسَ زَمَنَ طَاعُونِ الْجَارِفِ ‏.‏

72 - وَحَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، قَالَ دَخَلَ أَبُو دَاوُدَ الأَعْمَى عَلَى قَتَادَةَ فَلَمَّا قَامَ قَالُوا إِنَّ هَذَا يَزْعُمُ أَنَّهُ لَقِيَ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ بَدْرِيًّا ‏.‏ فَقَالَ قَتَادَةُ هَذَا كَانَ سَائِلاً قَبْلَ الْجَارِفِ لاَ يَعْرِضُ فِي شَىْءٍ مِنْ هَذَا وَلاَ يَتَكَلَّمُ فِيهِ ‏.‏ فَوَاللَّهِ مَا حَدَّثَنَا الْحَسَنُ عَنْ بَدْرِيٍّ مُشَافَهَةً ‏.‏ وَلاَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ بَدْرِيٍّ مُشَافَهَةً إِلاَّ عَنْ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏

73 - حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ رَقَبَةَ، أَنَّ أَبَا جَعْفَرٍ الْهَاشِمِيَّ الْمَدَنِيَّ، كَانَ يَضَعُ أَحَادِيثَ كَلاَمَ حَقٍّ وَلَيْسَتْ مِنْ أَحَادِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ يَرْوِيهَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

74 - حَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سُفْيَانَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، قَالَ كَانَ عَمْرُو بْنُ عُبَيْدٍ يَكْذِبُ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

75 - حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ أَبُو حَفْصٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاذَ بْنَ مُعَاذٍ، يَقُولُ قُلْتُ لِعَوْفِ بْنِ أَبِي جَمِيلَةَ إِنَّ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاَحَ فَلَيْسَ مِنَّا ‏"‏ قَالَ كَذَبَ وَاللَّهِ عَمْرٌو وَلَكِنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَحُوزَهَا إِلَى قَوْلِهِ الْخَبِيثِ ‏.‏

76 - وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ قَدْ لَزِمَ أَيُّوبَ وَسَمِعَ مِنْهُ فَفَقَدَهُ أَيُّوبُ فَقَالُوا يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّهُ قَدْ لَزِمَ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ ‏.‏ قَالَ حَمَّادٌ فَبَيْنَا أَنَا يَوْمًا مَعَ أَيُّوبَ وَقَدْ بَكَّرْنَا إِلَى السُّوقِ فَاسْتَقْبَلَهُ الرَّجُلُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ أَيُّوبُ وَسَأَلَهُ ثُمَّ قَالَ لَهُ أَيُّوبُ بَلَغَنِي أَنَّكَ لَزِمْتَ ذَاكَ الرَّجُلَ ‏.‏ قَالَ حَمَّادٌ سَمَّاهُ ‏.‏ يَعْنِي عَمْرًا ‏.‏ قَالَ نَعَمْ يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّهُ يَجِيئُنَا بِأَشْيَاءَ غَرَائِبَ ‏.‏ قَالَ يَقُولُ لَهُ أَيُّوبُ إِنَّمَا نَفِرُّ أَوْ نَفْرَقُ مِنْ تِلْكَ الْغَرَائِبِ ‏.‏

77 - وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ زَيْدٍ، - يَعْنِي حَمَّادًا - قَالَ قِيلَ لأَيُّوبَ إِنَّ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ رَوَى عَنِ الْحَسَنِ قَالَ لاَ يُجْلَدُ السَّكْرَانُ مِنَ النَّبِيذِ ‏.‏ فَقَالَ كَذَبَ أَنَا سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ يُجْلَدُ السَّكْرَانُ مِنَ النَّبِيذِ ‏.‏

78 - وَحَدَّثَنِي حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَلاَّمَ بْنَ أَبِي مُطِيعٍ، يَقُولُ بَلَغَ أَيُّوبَ أَنِّي آتِي عَمْرًا فَأَقْبَلَ عَلَىَّ يَوْمًا فَقَالَ أَرَأَيْتَ رَجُلاً لاَ تَأْمَنُهُ عَلَى دِينِهِ كَيْفَ تَأْمَنُهُ عَلَى الْحَدِيثِ

79 - وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مُوسَى، يَقُولُ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُبَيْدٍ، قَبْلَ أَنْ يُحْدِثَ، ‏.‏

80 - حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، كَتَبْتُ إِلَى شُعْبَةَ أَسْأَلُهُ عَنْ أَبِي شَيْبَةَ، قَاضِي وَاسِطٍ فَكَتَبَ إِلَىَّ لاَ تَكْتُبْ عَنْهُ شَيْئًا وَمَزِّقْ كِتَابِي ‏.‏

81 - وَحَدَّثَنَا الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَفَّانَ، قَالَ حَدَّثْتُ حَمَّادَ بْنَ سَلَمَةَ، عَنْ صَالِحٍ الْمُرِّيِّ، بِحَدِيثٍ عَنْ ثَابِتٍ، فَقَالَ كَذَبَ ‏.‏ وَحَدَّثْتُ هَمَّامًا، عَنْ صَالِحٍ الْمُرِّيِّ، بِحَدِيثٍ فَقَالَ كَذَبَ ‏.‏

82 - وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ قَالَ لِي شُعْبَةُ ايتِ جَرِيرَ بْنَ حَازِمٍ فَقُلْ لَهُ لاَ يَحِلُّ لَكَ أَنْ تَرْوِيَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُمَارَةَ فَإِنَّهُ يَكْذِبُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قُلْتُ لِشُعْبَةَ وَكَيْفَ ذَاكَ فَقَالَ حَدَّثَنَا عَنِ الْحَكَمِ بِأَشْيَاءَ لَمْ أَجِدْ لَهَا أَصْلاً ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لَهُ بِأَىِّ شَىْءٍ قَالَ قُلْتُ لِلْحَكَمِ أَصَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَتْلَى أُحُدٍ فَقَالَ لَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِمْ ‏.‏ فَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عُمَارَةَ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ مِقْسَمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى عَلَيْهِمْ وَدَفَنَهُمْ ‏.‏ قُلْتُ لِلْحَكَمِ مَا تَقُولُ فِي أَوْلاَدِ الزِّنَا قَالَ يُصَلَّى عَلَيْهِمْ ‏.‏ قُلْتُ مِنْ حَدِيثِ مَنْ يُرْوَى قَالَ يُرْوَى عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ ‏.‏ فَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عُمَارَةَ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏

83 - وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ، ‏.‏ وَذَكَرَ زِيَادَ بْنَ مَيْمُونٍ فَقَالَ حَلَفْتُ أَلاَّ أَرْوِيَ عَنْهُ شَيْئًا وَلاَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَحْدُوجٍ ‏.‏ وَقَالَ لَقِيتُ زِيَادَ بْنَ مَيْمُونٍ فَسَأَلْتُهُ عَنْ حَدِيثٍ فَحَدَّثَنِي بِهِ عَنْ بَكْرٍ الْمُزَنِيِّ ثُمَّ عُدْتُ إِلَيْهِ فَحَدَّثَنِي بِهِ عَنْ مُوَرِّقٍ ثُمَّ عُدْتُ إِلَيْهِ فَحَدَّثَنِي بِهِ عَنِ الْحَسَنِ ‏.‏ وَكَانَ يَنْسُبُهُمَا إِلَى الْكَذِبِ ‏.‏ قَالَ الْحُلْوَانِيُّ سَمِعْتُ عَبْدَ الصَّمَدِ وَذَكَرْتُ عِنْدَهُ زِيَادَ بْنَ مَيْمُونٍ فَنَسَبَهُ إِلَى الْكَذِبِ ‏.‏

84 - وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ قَدْ أَكْثَرْتَ عَنْ عَبَّادِ بْنِ مَنْصُورٍ فَمَا لَكَ لَمْ تَسْمَعْ مِنْهُ حَدِيثَ الْعَطَّارَةِ الَّذِي رَوَى لَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ قَالَ لِيَ اسْكُتْ فَأَنَا لَقِيتُ زِيَادَ بْنَ مَيْمُونٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ فَسَأَلْنَاهُ فَقُلْنَا لَهُ هَذِهِ الأَحَادِيثُ الَّتِي تَرْوِيهَا عَنْ أَنَسٍ فَقَالَ أَرَأَيْتُمَا رَجُلاً يُذْنِبُ فَيَتُوبُ أَلَيْسَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِ قَالَ قُلْنَا نَعَمْ ‏.‏ قَالَ مَا سَمِعْتُ مِنْ أَنَسٍ مِنْ ذَا قَلِيلاً وَلاَ كَثِيرًا إِنْ كَانَ لاَ يَعْلَمُ النَّاسُ فَأَنْتُمَا لاَ تَعْلَمَانِ أَنِّي لَمْ أَلْقَ أَنَسًا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ فَبَلَغَنَا بَعْدُ أَنَّهُ يَرْوِي فَأَتَيْنَاهُ أَنَا وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَالَ أَتُوبُ ‏.‏ ثُمَّ كَانَ بَعْدُ يُحَدِّثُ ‏.‏ فَتَرَكْنَاهُ ‏.‏

85 - حَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ شَبَابَةَ، قَالَ كَانَ عَبْدُ الْقُدُّوسِ يُحَدِّثُنَا فَيَقُولُ سُوَيْدُ بْنُ عَقَلَةَ ‏.‏ قَالَ شَبَابَةُ وَسَمِعْتُ عَبْدَ الْقُدُّوسِ يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ يُتَّخَذَ الرَّوْحُ عَرْضًا ‏.‏ قَالَ فَقِيلَ لَهُ أَىُّ شَىْءٍ هَذَا قَالَ يَعْنِي تُتَّخَذُ كُوَّةٌ فِي حَائِطٍ لِيَدْخُلَ عَلَيْهِ الرَّوْحُ ‏.‏

86 - قَالَ مُسْلِمٌ وَسَمِعْتُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ حَمَّادَ بْنَ زَيْدٍ، يَقُولُ لِرَجُلٍ بَعْدَ مَا جَلَسَ مَهْدِيُّ بْنُ هِلاَلٍ بِأَيَّامٍ مَا هَذِهِ الْعَيْنُ الْمَالِحَةُ الَّتِي نَبَعَتْ قِبَلَكُمْ قَالَ نَعَمْ يَا أَبَا إِسْمَاعِيلَ ‏.‏

87 - وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَفَّانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَوَانَةَ، قَالَ مَا بَلَغَنِي عَنِ الْحَسَنِ، حَدِيثٌ إِلاَّ أَتَيْتُ بِهِ أَبَانَ بْنَ أَبِي عَيَّاشٍ فَقَرَأَهُ عَلَىَّ ‏.‏

88 - وَحَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَا وَحَمْزَةُ الزَّيَّاتُ، مِنْ أَبَانَ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ نَحْوًا مِنْ أَلْفِ حَدِيثٍ ‏.‏ قَالَ عَلِيٌّ فَلَقِيتُ حَمْزَةَ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَنَامِ فَعَرَضَ عَلَيْهِ مَا سَمِعَ مِنْ أَبَانَ فَمَا عَرَفَ مِنْهَا إِلاَّ شَيْئًا يَسِيرًا خَمْسَةً أَوْ سِتَّةً ‏.‏

89 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ قَالَ لِي أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ اكْتُبْ عَنْ بَقِيَّةَ، مَا رَوَى عَنِ الْمَعْرُوفِينَ، وَلاَ تَكْتُبْ عَنْهُ مَا رَوَى عَنْ غَيْرِ الْمَعْرُوفِينَ، وَلاَ تَكْتُبْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، مَا رَوَى عَنِ الْمَعْرُوفِينَ، وَلاَ عَنْ غَيْرِهِمْ، ‏.‏

90 - وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ بَعْضَ، أَصْحَابِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ نِعْمَ الرَّجُلُ بَقِيَّةُ لَوْلاَ أَنَّهُ كَانَ يَكْنِي الأَسَامِيَ وَيُسَمِّي الْكُنَى كَانَ دَهْرًا يُحَدِّثُنَا عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْوُحَاظِيِّ فَنَظَرْنَا فَإِذَا هُوَ عَبْدُ الْقُدُّوسِ ‏.‏

91 - وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّزَّاقِ، يَقُولُ مَا رَأَيْتُ ابْنَ الْمُبَارَكِ يُفْصِحُ بِقَوْلِهِ كَذَّابٌ إِلاَّ لِعَبْدِ الْقُدُّوسِ فَإِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ لَهُ كَذَّابٌ ‏.‏

92 - وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا نُعَيْمٍ، ‏.‏ وَذَكَرَ الْمُعَلَّى بْنَ عُرْفَانَ فَقَالَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو وَائِلٍ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا ابْنُ مَسْعُودٍ بِصِفِّينَ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ أَتُرَاهُ بُعِثَ بَعْدَ الْمَوْتِ

93 - حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ عَفَّانَ بْنِ مُسْلِمٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ إِسْمَاعِيلَ ابْنِ عُلَيَّةَ فَحَدَّثَ رَجُلٌ، عَنْ رَجُلٍ، فَقُلْتُ إِنَّ هَذَا لَيْسَ بِثَبْتٍ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ الرَّجُلُ اغْتَبْتَهُ ‏.‏ قَالَ إِسْمَاعِيلُ مَا اغْتَابَهُ ‏.‏ وَلَكِنَّهُ حَكَمَ أَنَّهُ لَيْسَ بِثَبْتٍ ‏.‏

94 - وَحَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ سَأَلْتُ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الَّذِي، يَرْوِي عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ ‏.‏ وَسَأَلْتُهُ عَنْ صَالِحٍ، مَوْلَى التَّوْأَمَةِ فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ ‏.‏ وَسَأَلْتُهُ عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ ‏.‏ وَسَأَلْتُهُ عَنْ شُعْبَةَ الَّذِي رَوَى عَنْهُ ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ ‏.‏ وَسَأَلْتُهُ عَنْ حَرَامِ بْنِ عُثْمَانَ فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ ‏.‏ وَسَأَلْتُ مَالِكًا عَنْ هَؤُلاَءِ الْخَمْسَةِ فَقَالَ لَيْسُوا بِثِقَةٍ فِي حَدِيثِهِمْ ‏.‏ وَسَأَلْتُهُ عَنْ رَجُلٍ آخَرَ نَسِيتُ اسْمَهُ فَقَالَ هَلْ رَأَيْتَهُ فِي كُتُبِي قُلْتُ لاَ ‏.‏ قَالَ لَوْ كَانَ ثِقَةً لَرَأَيْتَهُ فِي كُتُبِي ‏.‏

95 - وَحَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ سَعْدٍ، وَكَانَ، مُتَّهَمًا ‏.‏

96 - وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ الطَّالَقَانِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ الْمُبَارَكِ، يَقُولُ لَوْ خُيِّرْتُ بَيْنَ أَنْ أَدْخُلَ الْجَنَّةَ وَبَيْنَ أَنْ أَلْقَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَرَّرٍ لاَخْتَرْتُ أَنْ أَلْقَاهُ ثُمَّ أَدْخُلَ الْجَنَّةَ فَلَمَّا رَأَيْتُهُ كَانَتْ بَعْرَةٌ أَحَبَّ إِلَىَّ مِنْهُ ‏.‏

97 - وَحَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، حَدَّثَنَا وَلِيدُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو قَالَ زَيْدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أُنَيْسَةَ لاَ تَأْخُذُوا عَنْ أَخِي، ‏.‏

98 - حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ السَّلاَمِ الْوَابِصِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ كَانَ يَحْيَى بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ كَذَّابًا ‏.‏

99 - حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ ذُكِرَ فَرْقَدٌ عِنْدَ أَيُّوبَ فَقَالَ إِنَّ فَرْقَدًا لَيْسَ صَاحِبَ حَدِيثٍ ‏.‏

100 - وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ الْقَطَّانَ، ذُكِرَ عِنْدَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ اللَّيْثِيُّ فَضَعَّفَهُ جِدًّا ‏.‏ فَقِيلَ لِيَحْيَى أَضْعَفُ مِنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَطَاءٍ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ مَا كُنْتُ أُرَى أَنَّ أَحَدًا يَرْوِي عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ ‏.‏

101 - حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ الْقَطَّانَ، ضَعَّفَ حَكِيمَ بْنَ جُبَيْرٍ وَعَبْدَ الأَعْلَى وَضَعَّفَ يَحْيَى مُوسَى بْنَ دِينَارٍ قَالَ حَدِيثُهُ رِيحٌ ‏.‏ وَضَعَّفَ مُوسَى بْنَ دِهْقَانَ وَعِيسَى بْنَ أَبِي عِيسَى الْمَدَنِيَّ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ عِيسَى، يَقُولُ قَالَ لِيَ ابْنُ الْمُبَارَكِ إِذَا قَدِمْتَ عَلَى جَرِيرٍ فَاكْتُبْ عِلْمَهُ كُلَّهُ إِلاَّ حَدِيثَ ثَلاَثَةٍ لاَ تَكْتُبْ حَدِيثَ عُبَيْدَةَ بْنِ مُعَتِّبٍ وَالسَّرِيِّ بْنِ إِسْمَاعِيلَ وَمُحَمَّدِ بْنِ سَالِمٍ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ وَأَشْبَاهُ مَا ذَكَرْنَا مِنْ كَلاَمِ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي مُتَّهَمِي رُوَاةِ الْحَدِيثِ وَإِخْبَارِهِمْ عَنْ مَعَايِبِهِمْ كَثِيرٌ يَطُولُ الْكِتَابُ بِذِكْرِهِ عَلَى اسْتِقْصَائِهِ وَفِيمَا ذَكَرْنَا كِفَايَةٌ لِمَنْ تَفَهَّمَ وَعَقَلَ مَذْهَبَ الْقَوْمِ فِيمَا قَالُوا مِنْ ذَلِكَ وَبَيَّنُوا وَإِنَّمَا أَلْزَمُوا أَنْفُسَهُمُ الْكَشْفَ عَنْ مَعَايِبِ رُوَاةِ الْحَدِيثِ وَنَاقِلِي الأَخْبَارِ وَأَفْتَوْا بِذَلِكَ حِينَ سُئِلُوا لِمَا فِيهِ مِنْ عَظِيمِ الْخَطَرِ إِذِ الأَخْبَارُ فِي أَمْرِ الدِّينِ إِنَّمَا تَأْتِي بِتَحْلِيلٍ أَوْ تَحْرِيمٍ أَوْ أَمْرٍ أَوْ نَهْىٍ أَوْ تَرْغِيبٍ أَوْ تَرْهِيبٍ فَإِذَا كَانَ الرَّاوِي لَهَا لَيْسَ بِمَعْدِنٍ لِلصِّدْقِ وَالأَمَانَةِ ثُمَّ أَقْدَمَ عَلَى الرِّوَايَةِ عَنْهُ مَنْ قَدْ عَرَفَهُ وَلَمْ يُبَيِّنْ مَا فِيهِ لِغَيْرِهِ مِمَّنْ جَهِلَ مَعْرِفَتَهُ كَانَ آثِمًا بِفِعْلِهِ ذَلِكَ غَاشًّا لِعَوَامِّ الْمُسْلِمِينَ إِذْ لاَ يُؤْمَنُ عَلَى بَعْضِ مَنْ سَمِعَ تِلْكَ الأَخْبَارَ أَنْ يَسْتَعْمِلَهَا أَوْ يَسْتَعْمِلَ بَعْضَهَا وَلَعَلَّهَا أَوْ أَكْثَرَهَا أَكَاذِيبُ لاَ أَصْلَ لَهَا مَعَ أَنَّ الأَخْبَارَ الصِّحَاحَ مِنْ رِوَايَةِ الثِّقَاتِ وَأَهْلِ الْقَنَاعَةِ أَكْثَرُ مِنْ أَنْ يُضْطَرَّ إِلَى نَقْلِ مَنْ لَيْسَ بِثِقَةٍ وَلاَ مَقْنَعٍ وَلاَ أَحْسِبُ كَثِيرًا مِمَّنْ يُعَرِّجُ مِنَ النَّاسِ عَلَى مَا وَصَفْنَا مِنْ هَذِهِ الأَحَادِيثِ الضِّعَافِ وَالأَسَانِيدِ الْمَجْهُولَةِ وَيَعْتَدُّ بِرِوَايَتِهَا بَعْدَ مَعْرِفَتِهِ بِمَا فِيهَا مِنَ التَّوَهُّنِ وَالضَّعْفِ إِلاَّ أَنَّ الَّذِي يَحْمِلُهُ عَلَى رِوَايَتِهَا وَالاِعْتِدَادِ بِهَا إِرَادَةُ التَّكَثُّرِ بِذَلِكَ عِنْدَ الْعَوَامِّ وَلأَنْ يُقَالَ مَا أَكْثَرَ مَا جَمَعَ فُلاَنٌ مِنَ الْحَدِيثِ وَأَلَّفَ مِنَ الْعَدَدِ ‏.‏ وَمَنْ ذَهَبَ فِي الْعِلْمِ هَذَا الْمَذْهَبَ وَسَلَكَ هَذَا الطَّرِيقَ فَلاَ نَصِيبَ لَهُ فِيهِ وَكَانَ بِأَنْ يُسَمَّى جَاهِلاً أَوْلَى مِنْ أَنْ يُنْسَبَ إِلَى عِلْمٍ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক: