আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

মুকাদ্দামায়ে মুসলিম শরীফ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

0
আন্তর্জাতিক নং: ৬
৪. যঈফ রাবীর হাদীস বর্ণনা করার নিষেধাজ্ঞা এবং হাদীস সংগ্রহের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা
মুহাম্মাদ ও যুহায়র ইবন হারব (রাহঃ).... আবু হুরায়রা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ বলেছেন : শেষ যুগে কিছু সংখ্যক লোকের আবির্ভাব ঘটবে। তারা তোমাদের কাছে এমন সব হাদীস বর্ণনা করবে, যা কখনো তোমরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা শোনেনি। সুতরাং তাদের সংসর্গ থেকে সাবধান থাকবে এবং তাদের দূরে রাখবে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ الرِّوَايَةِ عَنْ الضُّعَفَاءِ وَالِاحْتِيَاطِ فِي تَحَمُّلِهَا
(6) وحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «سَيَكُونُ فِي آخِرِ أُمَّتِي أُنَاسٌ يُحَدِّثُونَكُمْ مَا لَمْ تَسْمَعُوا أَنْتُمْ، وَلَا آبَاؤُكُمْ، فَإِيَّاكُمْ وَإِيَّاهُمْ»
tahqiq

তাহকীক:

0
আন্তর্জাতিক নং: ৭
৪. যঈফ রাবীর হাদীস বর্ণনা করার নিষেধাজ্ঞা এবং হাদীস সংগ্রহের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা
হারমালা ইবন ইয়াহইয়া আত্‌ তুজীবী (রাহঃ).... আবু হুরায়রা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ বলেছেন : শেষ যুগে কিছু সংখ্যক প্রতারক ও মিথ্যাবাদী লোকের আবির্ভাব ঘটবে। তারা তোমাদের কাছে এমন সব হাদীস বর্ণনা করবে, যা কখনো তোমরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা শোনেনি। সুতরাং তাদের সংসর্গ থেকে সাবধান থাকবে এবং তাদের দূরে রাখবে। তারা যেন তোমাদের গুমরাহ না করে এবং তোমাদের যেন ফিতনায় না ফেলে।

আবু সাঈদ আল আশাজ্জ (রাহঃ).... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, শয়তান মানুষের আকৃতিতে লোকের কাছে আসে এবং মিথ্যা হাদীস শোনায়। পরে লোকেরা সেখান থেকে পৃথক হয়ে চলে যায়। তারপর তাদের মধ্য থেকে একেক ব্যক্তি বলে, আমি এমন এক ব্যক্তিকে হাদীস বলতে শুনেছি, যার চেহারা দেখলে চিনব কিন্তু তার নাম জানি না।
মুহাম্মাদ ইব্‌ন রাফি (রাহঃ).... আব্দুল্লাহ্ ইবন আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, সমুদ্রের মধ্যে বহু শয়তান বন্দী হয়ে আছে। হযরত সুলায়মান (আ) তাদেরকে বন্দী করেছিলেন। শীঘ্রই তারা সেখান থেকে বের হয়ে পড়বে এবং লোকদের কুরআন পাঠ করে শোনাবে।*

মুহাম্মাদ ইবন আব্বাস ও সাঈদ ইবন আমর আল-আশআসী (রাহঃ).... তাউস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার বুশায়র ইবন কা'ব (রাহঃ) নামক এক ব্যক্তি ইন আব্বাস (রাযিঃ)-এর কাছে এসে হাদীস বর্ণনা করতে লাগল। ইবন আব্বাস (রাহঃ) তাকে বললেন, অমুক অমুক হাদীস আবার পড়। সে আবার সেগুলো পড়ল। এর পর সে আরো কিছু হাদীস তাঁকে শোনাল। ইবন আব্বাস (রাযিঃ) তাকে বললেন, অমুক অমুক হাদীস আবার পড়। সে তা আবার পড়ল। তারপর সে ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলল, আমি বুঝতে পারলাম না, আপনি কি আমার বর্ণিত ঐ ক'টি হাদীস অগ্রাহ্য করে অবশিষ্ট হাদীসগুলোর স্বীকৃতি দান করলেন, না ঐ কটি হাদীসকে স্বীকৃতি দিয়ে বাকী হাদীসগুলো প্রত্যাখ্যান করলেন? ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ -এর হাদীস বর্ণনা করতাম, যখন তাঁর নামে মিথ্যা হাদীস বলা হতো না। কিন্তু এখন লোকেরা যখন বাধ্য ও অবাধ্য সব রকম বাহনে আরোহণ করা শুরু করেছে** তখন আমরা নির্বিচারে হাদীস গ্রহণ করা ছেড়ে দিয়েছি।

মুহাম্মাদ ইবন রাফি (রাহঃ).... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমরা হাদীস সংরক্ষণ করতাম। আর রাসূলুল্লাহ্ -এর কাছ থেকেতো হাদীস সংরক্ষণ করাই উচিত। কিন্তু যখন তোমরা অবাধ্য ও নরম সবকিছুতে আরোহণ করা আরম্ভ করছ তখন অবস্থা দূর হয়ে গেছে!

আবু আইয়্যুব সুলায়মান ইবন উবায়দুল্লাহ আল-গায়লানী (রাহঃ).... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা বুশায়র ইবন কা'ব আল্‌-আদাবী প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর কাছে এসে হাদীস বর্ণনা করতে লাগলেন রাসুলুল্লাহ বলেছেন.... রাসূলুল্লাহ বলেছেন..... মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, ইবন আব্বাস (রাযিঃ) তার হাদীসের প্রতি কর্ণপাত করলেন না এবং তার দিকে ভ্রুক্ষেপও করলেন না। তখন বুশায়র (রাহঃ) বললেন: হে ইবন আব্বাস (রাযিঃ)। কি হলো, আমি রাসূলুল্লাহ খ-এর হাদীস শোনাচ্ছি, আর আপনি তা শুনছেন না? ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, এক সময় আমাদের অবস্থা এমন ছিল যে, যখন আমরা শুনতাম, কোন ব্যক্তি বলছে, রাসূলুল্লাহ্ বলেছেন, তখনই তার দিকে আমাদের সংগ্রহ দৃষ্টিপাত করতাম এবং আমরা তার দিকে কান দিতাম। কিন্তু যখন থেকে লোকেরা 'কঠিন ও নরম' সব বাহনে চড়া শুরু করেছে, তখন থেকে আমরা কেবল আমাদের চেনাজানা হাদীসই গ্রহণ করি।

দাউদ ইবন আমর আয্-যাব্বী (রাহঃ)..... ইব্‌ন আবু মুলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর কাছে লিখে পাঠালাম, তিনি যেন আমাকে একখানা কিতাব লিখে দেন, কিন্তু তাতে যেন বিতর্কিত ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর উল্লেখ না থাকে। ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, 'ছেলেটি কল্যাণকামী।' আমি তার জন্য কিছু বিষয় নির্বাচন করব এবং তাতে কিছু অনুল্লেখ রাখব। বর্ণনাকারী বলেন তখন। তিনি আলী (রাযিঃ)-এর লিপিবদ্ধ ফয়সালাসমূহ আনালেন। তারপর তিনি তা থেকে লিখা শুরু করলেন এবং কোন কোন অংশ দেখে বললেন, আল্লাহর কসম শুমরাহ না হলে আলী (রাযিঃ) এ ধরনের ফয়সালা করতে পারে না।***

তাউস (রাহঃ) থেকে আম্‌র আন-নাকিদ (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর কাছে একখানা কিতাব আনা হলো। তাতে লিপিবদ্ধ ছিল আলী (রাযিঃ)-এর কতক বিচারের রায়। ইবন আব্বাস (রাযিঃ) তা থেকে সামান্যমাত্র রেখে বাকীটা নষ্ট দিলেন। বর্ণনাকারী সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (রাহঃ) নিজের হাতের দিকে ইশারা করে (এক হাত) পরিমাণ দেখালেন।

হাসান ইবন আলী আল-হুলওয়ানী (রাহঃ).... আবু ইসহাক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আলী (রাযিঃ)-এর পরে। লোকেরা যখন (তাঁর নামে) ওই সব নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবন করল, তখন তাঁর জনৈক ছাত্র আক্ষেপের সাথে বললেন, আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন! কী ইল্‌ম এরা নষ্ট করে দিল।****

আলী ইবন খাশরাম (রাহঃ).... মুগীরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর ছাত্র ব্যতীত অন্য যারা আলী (রাযিঃ)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে হাদীস বর্ণনা করতেন, তাঁদের সে বর্ণনা সভ্য বলে গৃহীত হতো না।

*মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য যা কুরআন নয়, তা কুরআনের ভঙ্গিতে শোনাবে।

**অর্থাৎ হাদীস বর্ণনায় প্রশংসনীয় ও নিন্দনীয় সকল পন্থা অবলম্বন করেছে এবং যাচাই-বাছাই না করে সভ্য-মিথ্যা সব কিছু বর্ণনা করা শুরু করেছে।

***আলী (রাযিঃ) এরুপ ফয়সালা করেননি। এ অংশগুলো পরবর্তীকালে আলী (রাযিঃ)-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে কেউ সংযোজন করেছে।

****আলী (রাযিঃ)-এর নামে তারা নানা মনগড়া কথা চালিয়ে দিয়েছিল। এতে তাঁর আসল ইমের ভাষার বিস্তৃত হয়ে যায়।)
(7) وحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ التُّجِيبِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو شُرَيْحٍ أَنَّهُ سَمِعَ شَرَاحِيلَ بْنَ يَزِيدَ، يَقُولُ: أَخْبَرَنِي مُسْلِمُ بْنُ يَسَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ، يَأْتُونَكُمْ مِنَ الْأَحَادِيثِ بِمَا لَمْ تَسْمَعُوا أَنْتُمْ، وَلَا آبَاؤُكُمْ، فَإِيَّاكُمْ وَإِيَّاهُمْ، لَا يُضِلُّونَكُمْ، وَلَا يَفْتِنُونَكُمْ»
وحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدَةَ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللهِ: " إِنَّ الشَّيْطَانَ لِيَتَمَثَّلُ فِي صُورَةِ الرَّجُلِ، فَيَأْتِي الْقَوْمَ، فَيُحَدِّثُهُمْ بِالْحَدِيثِ مِنَ الْكَذِبِ، فَيَتَفَرَّقُونَ، فَيَقُولُ الرَّجُلُ مِنْهُمْ: سَمِعْتُ رَجُلًا أَعْرِفُ وَجْهَهُ، وَلَا أَدْرِي مَا اسْمُهُ يُحَدِّثُ "
وحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: «إِنَّ فِي الْبَحْرِ شَيَاطِينَ مَسْجُونَةً، أَوْثَقَهَا سُلَيْمَانُ، يُوشِكُ أَنْ تَخْرُجَ، فَتَقْرَأَ عَلَى النَّاسِ قُرْآنًا»

وحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَسَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الْأَشْعَثِيُّ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ سَعِيدٌ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حُجَيْرٍ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ: جَاءَ هَذَا إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ - يَعْنِي بُشَيْرَ بْنَ كَعْبٍ - فَجَعَلَ يُحَدِّثُهُ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ: عُدْ لِحَدِيثِ كَذَا وَكَذَا فَعَادَ لَهُ، ثُمَّ حَدَّثَهُ، فَقَالَ لَهُ: عُدْ لِحَدِيثِ كَذَا وَكَذَا، فَعَادَ لَهُ، فَقَالَ لَهُ: مَا أَدْرِي أَعَرَفْتَ حَدِيثِي كُلَّهُ، وَأَنْكَرْتَ هَذَا؟ أَمْ أَنْكَرْتَ حَدِيثِي كُلَّهُ، وَعَرَفْتَ هَذَا؟ فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ: «إِنَّا كُنَّا نُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ لَمْ يَكُنْ يُكْذَبُ عَلَيْهِ، فَلَمَّا رَكِبَ النَّاسُ الصَّعْبَ وَالذَّلُولَ، تَرَكْنَا الْحَدِيثَ عَنْهُ»
وحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «إِنَّمَا كُنَّا نَحْفَظُ الْحَدِيثَ، وَالْحَدِيثُ يُحْفَظُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَّا إِذْ رَكِبْتُمْ كُلَّ صَعْبٍ وَذَلُولٍ، فَهَيْهَاتَ»
وحَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ سُلَيْمَانُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ الْغَيْلَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ يَعْنِي الْعَقَدِيَّ، حَدَّثَنَا رَبَاحٌ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: جَاءَ بُشَيْرٌ الْعَدَوِيُّ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، فَجَعَلَ يُحَدِّثُ، وَيَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَا يَأْذَنُ لِحَدِيثِهِ، وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: يَا ابْنَ عَبَّاسٍ، مَالِي لَا أَرَاكَ تَسْمَعُ لِحَدِيثِي، أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا تَسْمَعُ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: " إِنَّا كُنَّا مَرَّةً إِذَا سَمِعْنَا رَجُلًا يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ابْتَدَرَتْهُ أَبْصَارُنَا، وَأَصْغَيْنَا إِلَيْهِ بِآذَانِنَا، فَلَمَّا رَكِبَ النَّاسُ الصَّعْبَ، وَالذَّلُولَ، لَمْ نَأْخُذْ مِنَ النَّاسِ إِلَّا مَا نَعْرِفُ "
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَمْرٍو الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ: كَتَبْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَسْأَلُهُ أَنْ يَكْتُبَ لِي كِتَابًا، وَيُخْفِي عَنِّي، فَقَالَ: «وَلَدٌ نَاصِحٌ أَنَا أَخْتَارُ لَهُ الْأُمُورَ اخْتِيَارًا، وَأُخْفِي عَنْهُ» ، قَالَ: فَدَعَا بِقَضَاءِ عَلِيٍّ، فَجَعَلَ يَكْتُبُ مِنْهُ أَشْيَاءَ، وَيَمُرُّ بِهِ الشَّيْءُ، فَيَقُولُ: «وَاللهِ مَا قَضَى بِهَذَا عَلِيٌّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ ضَلَّ»
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حُجَيْرٍ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ: «أُتِيَ ابْنُ عَبَّاسٍ بِكِتَابٍ فِيهِ قَضَاءُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَمَحَاهُ إِلَّا قَدْرَ» ، وَأَشَارَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ بِذِرَاعِهِ
حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: " لَمَّا أَحْدَثُوا تِلْكَ الْأَشْيَاءَ بَعْدَ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ: قَاتَلَهُمُ اللهُ، أَيَّ عِلْمٍ أَفْسَدُوا "
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ يَعْنِي ابْنَ عَيَّاشٍ، قَالَ: سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ، يَقُولُ: «لَمْ يَكُنْ يَصْدُقُ عَلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي الْحَدِيثِ عَنْهُ إِلَّا مِنْ أَصْحَابِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ»
tahqiq

তাহকীক: