আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৪৭- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৬১৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৮৩
৩৩. আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৫৬। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) ব্যতিরেকে ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী কোন জীবিত ব্যক্তি সম্পর্কে বলতে শুনিনি যে, সে জান্নাতে (যাবে)।
باب مِنْ فَضَائِلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لِحَىٍّ يَمْشِي أَنَّهُ فِي الْجَنَّةِ إِلاَّ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৪-১
৩৩. আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৫৭। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... কায়স ইবনে উবাদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মদীনাতে এমন লোকদের মধ্যে ছিলাম, যাদের মাঝে নবী (ﷺ) এর কতিপয় সাহাবী বিদ্যমান ছিলেন। সে সময় এক ব্যক্তি এল, যার মুখমণ্ডলে ভয় ভীতির চিহ্ন বিদ্যমান ছিল। তখন লোকদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ বললেন, এই ব্যক্তি জান্নাতিদের একজন, এই ব্যক্তি জান্নাতিদের একজন। তিনি সেখানে দুই রাকআত নামায আদায় করলেন এবং তা সংক্ষেপ করলেন। তারপর বেরিয়ে গেলেন, আমি তাকে অনুসরণ করলাম। তিনি তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। আমিও প্রবেশ করলাম। তারপর আমরা আলাপ আলোচনা করলাম। যখন তিনি অন্তরং্গ হলেন তখন আমি তাকে বললাম, আপনি যখন একটু আগে (মসজিদে) প্রবেশ করেছিলেন, তখন এক ব্যক্তি এইরূপ বলেছিল (এ ব্যক্তি জান্নাতিদের একজন)।
তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! কারো পক্ষে এমন কিছু বলা উচিৎ নয়, যা সে (নিশ্চিত) জানে না। তিনি বললেন, আমি আপনাকে বলছি, কেন এরূপ বলে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সময় একবার আমি একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমি সেই স্বপ্নের কথা তাঁর কাছে ব্যাক্ত করেছিলাম। আমি আমাকে একটি বাগানে দেখতে পাই। এই বাগানের প্রশস্ততা, ঘাসপাতা (সজীবতা) ও সৌন্দর্যের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এই বাগানের মধ্যভাগে একটি লৌহদণ্ড ছিল যার নিম্নভাগ ছিল মাটির মধ্যে আর উপরভাগ ছিল আকাশে। এর উপরিভাগে ছিল একটি রশি। তখন আমাকে বলা হল, তুমি এতে আরোহণ কর। আমি বললাম, আমি পারব না। এরপর একজন মিনসাফ (সেবক) আসলো। তিনি বলেন, ইবনে আউন (রাহঃ) বলেন, মিনসাফ (মানে খাদিম)।
তিনি বলেন, তিনি পিছন থেকে আমার কাপড় ধরলেন। তিনি বর্ণনা করেন যে, সে (খাদিম) তাঁর হাত দ্বারা তাঁর পিছন থেকে তাকে তুলে দিল। আমি আরোহণ করলাম, এমনকি সেই স্তম্ভের চূড়ায় পৌঁছলাম, এরপর রশিটি ধরলাম। তারপর আমাকে বলা হল, একে মজবুত করে ধর। যখন আমি জাগ্রত হলাম, তখনও ঐ রশিটি আমার হাতে। আমি নবী (ﷺ) এর কাছে এই স্বপ্নের কথা বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, সেই বাগানটি হচ্ছে ইসলাম। আর সে স্তম্ভটি হচ্ছে ইসলামের স্তম্ভ এবং সেই রশিটি হচ্ছে মজবুত দৃঢ় রশি। তুমি আমৃত্যু ইসলামের উপরে থাকবে। রাবী বলেন, আর সেই ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ)।
তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! কারো পক্ষে এমন কিছু বলা উচিৎ নয়, যা সে (নিশ্চিত) জানে না। তিনি বললেন, আমি আপনাকে বলছি, কেন এরূপ বলে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সময় একবার আমি একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমি সেই স্বপ্নের কথা তাঁর কাছে ব্যাক্ত করেছিলাম। আমি আমাকে একটি বাগানে দেখতে পাই। এই বাগানের প্রশস্ততা, ঘাসপাতা (সজীবতা) ও সৌন্দর্যের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এই বাগানের মধ্যভাগে একটি লৌহদণ্ড ছিল যার নিম্নভাগ ছিল মাটির মধ্যে আর উপরভাগ ছিল আকাশে। এর উপরিভাগে ছিল একটি রশি। তখন আমাকে বলা হল, তুমি এতে আরোহণ কর। আমি বললাম, আমি পারব না। এরপর একজন মিনসাফ (সেবক) আসলো। তিনি বলেন, ইবনে আউন (রাহঃ) বলেন, মিনসাফ (মানে খাদিম)।
তিনি বলেন, তিনি পিছন থেকে আমার কাপড় ধরলেন। তিনি বর্ণনা করেন যে, সে (খাদিম) তাঁর হাত দ্বারা তাঁর পিছন থেকে তাকে তুলে দিল। আমি আরোহণ করলাম, এমনকি সেই স্তম্ভের চূড়ায় পৌঁছলাম, এরপর রশিটি ধরলাম। তারপর আমাকে বলা হল, একে মজবুত করে ধর। যখন আমি জাগ্রত হলাম, তখনও ঐ রশিটি আমার হাতে। আমি নবী (ﷺ) এর কাছে এই স্বপ্নের কথা বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, সেই বাগানটি হচ্ছে ইসলাম। আর সে স্তম্ভটি হচ্ছে ইসলামের স্তম্ভ এবং সেই রশিটি হচ্ছে মজবুত দৃঢ় রশি। তুমি আমৃত্যু ইসলামের উপরে থাকবে। রাবী বলেন, আর সেই ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ)।
باب مِنْ فَضَائِلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، قَالَ كُنْتُ بِالْمَدِينَةِ فِي نَاسٍ فِيهِمْ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ فِي وَجْهِهِ أَثَرٌ مِنْ خُشُوعٍ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ . فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ يَتَجَوَّزُ فِيهِمَا ثُمَّ خَرَجَ فَاتَّبَعْتُهُ فَدَخَلَ مَنْزِلَهُ وَدَخَلْتُ فَتَحَدَّثْنَا فَلَمَّا اسْتَأْنَسَ قُلْتُ لَهُ إِنَّكَ لَمَّا دَخَلْتَ قَبْلُ قَالَ رَجُلٌ كَذَا وَكَذَا قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ مَا يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ مَا لاَ يَعْلَمُ وَسَأُحَدِّثُكَ لِمَ ذَاكَ رَأَيْتُ رُؤْيَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَصَصْتُهَا عَلَيْهِ رَأَيْتُنِي فِي رَوْضَةٍ - ذَكَرَ سَعَتَهَا وَعُشْبَهَا وَخُضْرَتَهَا - وَوَسْطَ الرَّوْضَةِ عَمُودٌ مِنْ حَدِيدٍ أَسْفَلُهُ فِي الأَرْضِ وَأَعْلاَهُ فِي السَّمَاءِ فِي أَعْلاَهُ عُرْوَةٌ . فَقِيلَ لِي ارْقَهْ . فَقُلْتُ لَهُ لاَ أَسْتَطِيعُ . فَجَاءَنِي مِنْصَفٌ - قَالَ ابْنُ عَوْنٍ وَالْمِنْصَفُ الْخَادِمُ - فَقَالَ بِثِيَابِي مِنْ خَلْفِي - وَصَفَ أَنَّهُ رَفَعَهُ مِنْ خَلْفِهِ بِيَدِهِ - فَرَقِيتُ حَتَّى كُنْتُ فِي أَعْلَى الْعَمُودِ فَأَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ فَقِيلَ لِيَ اسْتَمْسِكْ . فَلَقَدِ اسْتَيْقَظْتُ وَإِنَّهَا لَفِي يَدِي فَقَصَصْتُهَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " تِلْكَ الرَّوْضَةُ الإِسْلاَمُ وَذَلِكَ الْعَمُودُ عَمُودُ الإِسْلاَمِ وَتِلْكَ الْعُرْوَةُ عُرْوَةُ الْوُثْقَى وَأَنْتَ عَلَى الإِسْلاَمِ حَتَّى تَمُوتَ " . قَالَ وَالرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬১৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৪-২
৩৩. আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৫৮। মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আব্বাদ ইবনে জাবালা ইবনে আবু রাওয়াদ (রাহঃ) ......... কায়স ইবনে উবাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক সমাবেশে ছিলাম, সেখানে সা’দ ইবনে মালিক (রাযিঃ) ও ইবনে উমর (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) যাচ্ছিলেন। তারা বললেন, এই লোকটি জান্নাতীদের একজন। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম এবং তাকে বললাম, তারা আপনাকে এরূপ এরূপ বলেছেন। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! তাদের এমন কথা বলা উচিৎ নয়, যে বিষয়ে তাদের (নিশ্চিত) জানা নেই।
একবার (স্বপ্নে) আমি দেখতে পেলাম, যেন একটি সবুজ শ্যামল উদ্যানের মাঝখানে একটি স্তম্ভ রাখা হয়েছে, এর চূড়ায় ছিল একটি রশি। এর নিম্নভাগে একজন মিনসাফ (দণ্ডায়মান) ছিল। মিনসাফ (মানে খাদিম)। তখন আমাকে বলা হল, এতে আরোহণ কর। আমি তাতে আরোহণ করলাম। শেষপর্যন্ত রশিটি দৃঢ়ভাবে ধরলাম। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট তা বর্ণনা করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ মজবুত রশিটি আঁকড়ে ধরা অবস্থায় আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ইন্তিকাল করবে।
একবার (স্বপ্নে) আমি দেখতে পেলাম, যেন একটি সবুজ শ্যামল উদ্যানের মাঝখানে একটি স্তম্ভ রাখা হয়েছে, এর চূড়ায় ছিল একটি রশি। এর নিম্নভাগে একজন মিনসাফ (দণ্ডায়মান) ছিল। মিনসাফ (মানে খাদিম)। তখন আমাকে বলা হল, এতে আরোহণ কর। আমি তাতে আরোহণ করলাম। শেষপর্যন্ত রশিটি দৃঢ়ভাবে ধরলাম। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট তা বর্ণনা করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ মজবুত রশিটি আঁকড়ে ধরা অবস্থায় আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ইন্তিকাল করবে।
باب مِنْ فَضَائِلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَبَلَةَ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ قَالَ قَيْسُ بْنُ عُبَادٍ كُنْتُ فِي حَلْقَةٍ فِيهَا سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ وَابْنُ عُمَرَ فَمَرَّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ فَقَالُوا هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ . فَقُمْتُ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّهُمْ قَالُوا كَذَا وَكَذَا . قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ مَا كَانَ يَنْبَغِي لَهُمْ أَنْ يَقُولُوا مَا لَيْسَ لَهُمْ بِهِ عِلْمٌ إِنَّمَا رَأَيْتُ كَأَنَّ عَمُودًا وُضِعَ فِي رَوْضَةٍ خَضْرَاءَ فَنُصِبَ فِيهَا وَفِي رَأْسِهَا عُرْوَةٌ وَفِي أَسْفَلِهَا مِنْصَفٌ - وَالْمِنْصَفُ الْوَصِيفُ - فَقِيلَ لِيَ ارْقَهْ . فَرَقِيتُ حَتَّى أَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ فَقَصَصْتُهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَمُوتُ عَبْدُ اللَّهِ وَهُوَ آخِذٌ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬১৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৪-৩
৩৩. আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৫৯। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... খারাশা ইবনে হুরর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মদীনার মসজিদে একটি মজলিসে বসা ছিলাম। তিনি বলেন, সে মজলিসে উপস্থিত ছিলেন সুন্দর অবয়ব বিশিষ্ট একজন প্রবীণ ব্যক্তি। তিনিই আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ)। তিনি (রাবী) বলেন, তিনি তাদের সামনে সুন্দর সুন্দর কথা বলছিলেন। তিনি (রাবী) বলেন, যখন তিনি মজলিস থেকে উঠে দাঁড়ালেন তখন লোকেরা বলল, যে ব্যক্তি কোন জান্নাতিকে দেখে আনন্দিত হতে চায় সে যেন এই লোকটিকে দেখে। তিনি (খারাশা) বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি তাঁর অনুসরণ করব, যেন আমি তাঁর আবাসস্থল জেনে নিতে পারি।
তিনি (রাবী) বললেন, তারপর আমি তাকে অনুসরণ করলাম। তিনি রওয়ানা হলেন এবং মদীনা থেকে প্রায় বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। তিনি (রাবী) বলেন, আমিও তাঁর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলাম। তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন। তারপর বললেন হে ভ্রাতুষ্পুত্র! তোমার কি প্রয়োজন? রাবী বলেন, আমি তাকে বললাম, যখন আপনি মজলিস থেকে উঠে আসছিলেন তখন আমি আপনার সম্পর্কে লোকদের বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন জান্নাতিকে দেখে খুশী হতে চায়, সে যেন এই ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করে। তখন আমার মনে আপনার সাহচর্য লাভের আগ্রহ জাগে। তিনি বললেন, জান্নাতিদের সম্পর্কে আল্লাহই সম্যক জ্ঞাত আছেন। তবে লোকদের এই কথা বলার কারণ আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি।
একবার আমি নিদ্রামগ্ন ছিলাম, স্বপ্নে দেখলাম যে, এক ব্যক্তি আমার কাছে এসেছে। সে আমাকে বলল, উঠ। তারপর সে আমার হাত ধরল। আমি তাঁর সঙ্গে রওয়ানা করলাম। আমি আমার বাম দিকে কয়েকটি রাস্তা দেখতে পেলাম এবং আমি সে পথ ধরে চলতে চাইলাম। সে আমাকে বলল, ও পথে চলবে না। কেননা, এটা হচ্ছে বামপন্থিদের (জাহান্নামীদের) রাস্তা। তিনি বলেন, তারপর আমি আমার ডানদিকে কয়েকটি উজ্জ্বল সরল পথ দেখতে পেলাম। তারপর সে বলল, এই পথে চল। তিনি বলেন, তারপর সে আমাকে একটি পাহাড়ের কাছে নিয়ে এল। এরপর আমাকে পাহাড়ে উঠতে বলল। আমি যখনই উঠতে চেষ্টা করছিলাম তখন (হোঁচট খেয়ে) পড়ে যাচ্ছিলাম। তিনি বলেন, আমি বেশ কয়বার এরূপ চেষ্টা করলাম। তিনি বলেন, তারপর সে আমাকে নিয়ে রওয়ানা হল এবং একটি স্তম্ভের কাছে পৌঁছল, যার মাথা ছিল আকাশে এবং নিম্নভাগ ভূপৃষ্ঠে নীচে। স্তম্ভটির চূড়ায় একটি কড়া ছিল, সে বলল, এর উপরে আরোহণ কর।
তিনি বলেন, আমি বললাম, কিভাবে এতে আরোহণ করব? এর মাথা তো আকাশের উপরে। তিনি বলেন, তারপর সে আমার হাত ধরল এবং আমাকে উপরে নিক্ষেপ করল। হঠাৎ আমি দেখলাম যে, আমি কড়ার সাথে ঝুলন্ত আছি। তিনি বলেন তারপর সে স্তম্ভের উপর আঘাত হানল এবং তা পড়ে গেল। তিনি বলেন, আর আমি কড়ার সাথে ঝুলন্ত রয়ে গেলাম। এভাবে আমার প্রভাত হল।
তিনি বলেন, এরপর আমি নবী (ﷺ) এর কাছে এসে স্বপ্নের কথা বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, তুমি তোমার বাম দিকে যে রাস্তাগুলি দেখছ, তা হচ্ছে বামপন্থীদের (কাফিরদের) পথ এবং তোমার ডানদিকে যে সব রাস্তা দেখেছ, তো হচ্ছে আসহাবুল ইয়ামীন (বা জান্নাতিগণের) রাস্তা। তুমি যে পাহাড়টি দেখেছিলে তা হচ্ছে শহীদগণের বাসস্থান, তা তুমি পাবে না। তুমি যে স্তম্ভটি দেখেছিলে সেটা হচ্ছে ইসলামের স্তম্ভ। যে কড়াটি তুমি দেখেছিলে সেটা হচ্ছে ইসলামের কড়া। আর তুমি মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
তিনি (রাবী) বললেন, তারপর আমি তাকে অনুসরণ করলাম। তিনি রওয়ানা হলেন এবং মদীনা থেকে প্রায় বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। তিনি (রাবী) বলেন, আমিও তাঁর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলাম। তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন। তারপর বললেন হে ভ্রাতুষ্পুত্র! তোমার কি প্রয়োজন? রাবী বলেন, আমি তাকে বললাম, যখন আপনি মজলিস থেকে উঠে আসছিলেন তখন আমি আপনার সম্পর্কে লোকদের বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন জান্নাতিকে দেখে খুশী হতে চায়, সে যেন এই ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করে। তখন আমার মনে আপনার সাহচর্য লাভের আগ্রহ জাগে। তিনি বললেন, জান্নাতিদের সম্পর্কে আল্লাহই সম্যক জ্ঞাত আছেন। তবে লোকদের এই কথা বলার কারণ আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি।
একবার আমি নিদ্রামগ্ন ছিলাম, স্বপ্নে দেখলাম যে, এক ব্যক্তি আমার কাছে এসেছে। সে আমাকে বলল, উঠ। তারপর সে আমার হাত ধরল। আমি তাঁর সঙ্গে রওয়ানা করলাম। আমি আমার বাম দিকে কয়েকটি রাস্তা দেখতে পেলাম এবং আমি সে পথ ধরে চলতে চাইলাম। সে আমাকে বলল, ও পথে চলবে না। কেননা, এটা হচ্ছে বামপন্থিদের (জাহান্নামীদের) রাস্তা। তিনি বলেন, তারপর আমি আমার ডানদিকে কয়েকটি উজ্জ্বল সরল পথ দেখতে পেলাম। তারপর সে বলল, এই পথে চল। তিনি বলেন, তারপর সে আমাকে একটি পাহাড়ের কাছে নিয়ে এল। এরপর আমাকে পাহাড়ে উঠতে বলল। আমি যখনই উঠতে চেষ্টা করছিলাম তখন (হোঁচট খেয়ে) পড়ে যাচ্ছিলাম। তিনি বলেন, আমি বেশ কয়বার এরূপ চেষ্টা করলাম। তিনি বলেন, তারপর সে আমাকে নিয়ে রওয়ানা হল এবং একটি স্তম্ভের কাছে পৌঁছল, যার মাথা ছিল আকাশে এবং নিম্নভাগ ভূপৃষ্ঠে নীচে। স্তম্ভটির চূড়ায় একটি কড়া ছিল, সে বলল, এর উপরে আরোহণ কর।
তিনি বলেন, আমি বললাম, কিভাবে এতে আরোহণ করব? এর মাথা তো আকাশের উপরে। তিনি বলেন, তারপর সে আমার হাত ধরল এবং আমাকে উপরে নিক্ষেপ করল। হঠাৎ আমি দেখলাম যে, আমি কড়ার সাথে ঝুলন্ত আছি। তিনি বলেন তারপর সে স্তম্ভের উপর আঘাত হানল এবং তা পড়ে গেল। তিনি বলেন, আর আমি কড়ার সাথে ঝুলন্ত রয়ে গেলাম। এভাবে আমার প্রভাত হল।
তিনি বলেন, এরপর আমি নবী (ﷺ) এর কাছে এসে স্বপ্নের কথা বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, তুমি তোমার বাম দিকে যে রাস্তাগুলি দেখছ, তা হচ্ছে বামপন্থীদের (কাফিরদের) পথ এবং তোমার ডানদিকে যে সব রাস্তা দেখেছ, তো হচ্ছে আসহাবুল ইয়ামীন (বা জান্নাতিগণের) রাস্তা। তুমি যে পাহাড়টি দেখেছিলে তা হচ্ছে শহীদগণের বাসস্থান, তা তুমি পাবে না। তুমি যে স্তম্ভটি দেখেছিলে সেটা হচ্ছে ইসলামের স্তম্ভ। যে কড়াটি তুমি দেখেছিলে সেটা হচ্ছে ইসলামের কড়া। আর তুমি মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
باب مِنْ فَضَائِلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ - حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا فِي حَلْقَةٍ فِي مَسْجِدِ الْمَدِينَةِ - قَالَ - وَفِيهَا شَيْخٌ حَسَنُ الْهَيْئَةِ وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ - قَالَ - فَجَعَلَ يُحَدِّثُهُمْ حَدِيثًا حَسَنًا - قَالَ - فَلَمَّا قَامَ قَالَ الْقَوْمُ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا . قَالَ فَقُلْتُ وَاللَّهِ لأَتْبَعَنَّهُ فَلأَعْلَمَنَّ مَكَانَ بَيْتِهِ . قَالَ فَتَبِعْتُهُ فَانْطَلَقَ حَتَّى كَادَ أَنْ يَخْرُجَ مِنَ الْمَدِينَةِ ثُمَّ دَخَلَ مَنْزِلَهُ - قَالَ - فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَأَذِنَ لِي فَقَالَ مَا حَاجَتُكَ يَا ابْنَ أَخِي قَالَ فَقُلْتُ لَهُ سَمِعْتُ الْقَوْمَ يَقُولُونَ لَكَ لَمَّا قُمْتَ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا . فَأَعْجَبَنِي أَنْ أَكُونَ مَعَكَ قَالَ اللَّهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْجَنَّةِ وَسَأُحَدِّثُكَ مِمَّ قَالُوا ذَاكَ إِنِّي بَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ إِذْ أَتَانِي رَجُلٌ فَقَالَ لِي قُمْ . فَأَخَذَ بِيَدِي فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ - قَالَ - فَإِذَا أَنَا بِجَوَادَّ عَنْ شِمَالِي - قَالَ - فَأَخَذْتُ لآخُذَ فِيهَا فَقَالَ لِي لاَ تَأْخُذْ فِيهَا فَإِنَّهَا طُرُقُ أَصْحَابِ الشِّمَالِ - قَالَ - فَإِذَا جَوَادُّ مَنْهَجٌ عَلَى يَمِيِنِي فَقَالَ لِي خُذْ هَا هُنَا . فَأَتَى بِي جَبَلاً فَقَالَ لِي اصْعَدْ - قَالَ - فَجَعَلْتُ إِذَا أَرَدْتُ أَنْ أَصْعَدَ خَرَرْتُ عَلَى اسْتِي - قَالَ - حَتَّى فَعَلْتُ ذَلِكَ مِرَارًا - قَالَ - ثُمَّ انْطَلَقَ بِي حَتَّى أَتَى بِي عَمُودًا رَأْسُهُ فِي السَّمَاءِ وَأَسْفَلُهُ فِي الأَرْضِ فِي أَعْلاَهُ حَلْقَةٌ فَقَالَ لِيَ . اصْعَدْ فَوْقَ هَذَا . قَالَ قُلْتُ كَيْفَ أَصْعَدُ هَذَا وَرَأْسُهُ فِي السَّمَاءِ - قَالَ - فَأَخَذَ بِيَدِي فَزَجَلَ بِي - قَالَ - فَإِذَا أَنَا مُتَعَلِّقٌ بِالْحَلْقَةِ - قَالَ - ثُمَّ ضَرَبَ الْعَمُودَ فَخَرَّ - قَالَ - وَبَقِيتُ مُتَعَلِّقًا بِالْحَلْقَةِ حَتَّى أَصْبَحْتُ - قَالَ - فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَصَصْتُهَا عَلَيْهِ فَقَالَ " أَمَّا الطُّرُقُ الَّتِي رَأَيْتَ عَنْ يَسَارِكَ فَهِيَ طُرُقُ أَصْحَابِ الشِّمَالِ - قَالَ - وَأَمَّا الطُّرُقُ الَّتِي رَأَيْتَ عَنْ يَمِينِكَ فَهِيَ طُرُقُ أَصْحَابِ الْيَمِينِ وَأَمَّا الْجَبَلُ فَهُوَ مَنْزِلُ الشُّهَدَاءِ وَلَنْ تَنَالَهُ وَأَمَّا الْعَمُودُ فَهُوَ عَمُودُ الإِسْلاَمِ وَأَمَّا الْعُرْوَةُ فَهِيَ عُرْوَةُ الإِسْلاَمِ وَلَنْ تَزَالَ مُتَمَسِّكًا بِهَا حَتَّى تَمُوتَ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: