আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৪৭- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৬১৬০
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৫-১
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৬০। আমর নাকিদ, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা উমর (রাযিঃ) হাসসান (রাযিঃ) এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। উমর (রাযিঃ) তার প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন। তখন তিনি বললেন, আমি কবিতা আবৃত্তি করতাম এমন অবস্থায়, যখন মসজিদে আপনার চাইতে উত্তম ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এরপর তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন, তুমি আমার পক্ষ থেকে জবাব দাও। হে আল্লাহ! তাকে পবিত্র আত্মা (জিবরাঈল) দ্বারা সাহায্য কর। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, “ইয়া আল্লাহ! হ্যাঁ।”
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، كُلُّهُمْ عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ عُمَرَ، مَرَّ بِحَسَّانَ وَهُوَ يُنْشِدُ الشِّعْرَ فِي الْمَسْجِدِ فَلَحَظَ إِلَيْهِ فَقَالَ قَدْ كُنْتُ أُنْشِدُ وَفِيهِ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ . ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَالَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ أَسَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَجِبْ عَنِّي اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ " . قَالَ اللَّهُمَّ نَعَمْ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৬১
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৫-২
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৬১। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম মুহাম্মাদ ইবনে রাফি ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার হাসসান (রাযিঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সহ সাহাবীদের এক সমাবেশে বলেছিলেন, হে আবু হুরায়রা, আল্লাহর কসম! আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলতে শুনেছেন? ...... এরপর তিনি উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেন।
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ حَسَّانَ، قَالَ فِي حَلْقَةٍ فِيهِمْ أَبُو هُرَيْرَةَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَسَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَ مِثْلَهُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬১৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৫-৩
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৬২। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান দারিমী (রাহঃ) ......... আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি হাসসান ইবনে সাবিত আনসারী (রাযিঃ) কে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কে সাক্ষী করে বলতে শুনেছেন যে, হে আবু হুরায়রা! আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, আপনি কি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন যে, হে হাসসান! তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষ থেকে জবাব দাও। হে আল্লাহ! তাকে পবিত্র আত্মা (জিবরাঈল) দ্বারা মদদ করুন। তখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ।
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيَّ، يَسْتَشْهِدُ أَبَا هُرَيْرَةَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ هَلْ سَمِعْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يَا حَسَّانُ أَجِبْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ " . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَعَمْ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬১৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৬-২
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৬৩। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ......... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাসসান ইবনে ছাবিতের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তুমি তাদের (কাফিরদের) বিরুদ্ধে ব্যাঙ্গ কবিতা রচনা কর, অথবা বলেছেন, তুমি তাদের ব্যাঙ্গ কবিতার উত্তর দাও। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তোমার সঙ্গে রয়েছেন।
যুহাইর ইবনে হারব, আবু বকর ইবনে নাফি, ইবনে বাশশার (রাহঃ) ভিন্ন ভিন্নরূপে ......... শু’বা (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
যুহাইর ইবনে হারব, আবু বকর ইবনে নাফি, ইবনে বাশশার (রাহঃ) ভিন্ন ভিন্নরূপে ......... শু’বা (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، - وَهُوَ ابْنُ ثَابِتٍ - قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ " اهْجُهُمْ أَوْ هَاجِهِمْ وَجِبْرِيلُ مَعَكَ " .
حَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
حَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৭-১
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৬৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... হিশাম থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) সেসব লোকের মধ্যে শামিল ছিলেন, যারা আয়িশা (রাযিঃ) সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করেছিলেন। তাই আমি তাকে গালাগালি করেছিলাম। তখন আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, হে আমর ভগ্নিপুত্র! তাকে ছেড়ে দাও। কেননা তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষ থেকে কাফিরদের বিরুদ্ধে (ব্যাঙ্গ) কবিতা দ্বারা প্রতিরোধ করতেন।
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ، كَانَ مِمَّنْ كَثَّرَ عَلَى عَائِشَةَ فَسَبَبْتُهُ فَقَالَتْ يَا ابْنَ أُخْتِي دَعْهُ فَإِنَّهُ كَانَ يُنَافِحُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬১৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৭-২
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৬৫। উসমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... হিশাম (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَاهُ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬১৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৮-১
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৬৬। বিশর ইবনে খালিক (রাহঃ) ......... মাসরুক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একদা) আমি আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। তখন তাঁর কাছে হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন। তিনি সে সময় তাঁর জন্য কবিতা আবৃতি করে শোনাচ্ছিলেন এবং তাঁর কবিতাটির কয়েকটি পংক্তি দ্বারা (নবীর) স্তুতিকাব্য আবৃতি করছিলেন। তিনি বলছিলেন,
“তিনি সতী (আত্মা)! বুদ্ধিমতী, কোন সন্দেহ দ্বারা তাকে অপবাদ দেয়া যাবে না। তিনি উদাসীনদের গোশত থেকে অভুক্ত থেকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় শয্যা ত্যাগ করেন (কারো গিবত করেন না)”
তখন আয়িশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, কিন্তু আপনি তো এমন নন। মাসরুক (রাযিঃ) বলেন, আমি তাকে (আয়িশাকে) বললাম, আপনি তাকে আপনার কাছে প্রবেশের অনুমতি দেন কেন? অথচ আল্লাহ বলেছেন, وَالَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ لَهُ عَذَابٌ عَظِيمٌ “এবং তার মধ্যে যে এ ব্যাপারে [আয়িশা (রাযিঃ)]-এর দুর্নাম করার ব্যাপারে প্রধান ভুমিকা গ্রহণ করেছে তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি” (২৪ঃ ১১)
তখন আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, এর চাইতে কঠিন শাস্তি আর কি হতে পারে যে, সে অন্ধ হয়ে গিয়েছে? এরপর তিনি বললেন, তিনি তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষ থেকে তাদের (কাফিরদের) বিরুদ্ধে কবিতা দ্বারা প্রতিহত (যুদ্ধ) করতেন অথবা ব্যাঙ্গ কবিতার দ্বারা বাকযুদ্ধ করতেন।
“তিনি সতী (আত্মা)! বুদ্ধিমতী, কোন সন্দেহ দ্বারা তাকে অপবাদ দেয়া যাবে না। তিনি উদাসীনদের গোশত থেকে অভুক্ত থেকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় শয্যা ত্যাগ করেন (কারো গিবত করেন না)”
তখন আয়িশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, কিন্তু আপনি তো এমন নন। মাসরুক (রাযিঃ) বলেন, আমি তাকে (আয়িশাকে) বললাম, আপনি তাকে আপনার কাছে প্রবেশের অনুমতি দেন কেন? অথচ আল্লাহ বলেছেন, وَالَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ لَهُ عَذَابٌ عَظِيمٌ “এবং তার মধ্যে যে এ ব্যাপারে [আয়িশা (রাযিঃ)]-এর দুর্নাম করার ব্যাপারে প্রধান ভুমিকা গ্রহণ করেছে তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি” (২৪ঃ ১১)
তখন আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, এর চাইতে কঠিন শাস্তি আর কি হতে পারে যে, সে অন্ধ হয়ে গিয়েছে? এরপর তিনি বললেন, তিনি তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষ থেকে তাদের (কাফিরদের) বিরুদ্ধে কবিতা দ্বারা প্রতিহত (যুদ্ধ) করতেন অথবা ব্যাঙ্গ কবিতার দ্বারা বাকযুদ্ধ করতেন।
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ وَعِنْدَهَا حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يُنْشِدُهَا شِعْرًا يُشَبِّبُ بِأَبْيَاتٍ لَهُ فَقَالَ حَصَانٌ رَزَانٌ مَا تُزَنُّ بِرِيبَةٍ وَتُصْبِحُ غَرْثَى مِنْ لُحُومِ الْغَوَافِلِ فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ لَكِنَّكَ لَسْتَ كَذَلِكَ . قَالَ مَسْرُوقٌ فَقُلْتُ لَهَا لِمَ تَأْذَنِينَ لَهُ يَدْخُلُ عَلَيْكِ وَقَدْ قَالَ اللَّهُ ( وَالَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ لَهُ عَذَابٌ عَظِيمٌ) فَقَالَتْ فَأَىُّ عَذَابٍ أَشَدُّ مِنَ الْعَمَى إِنَّهُ كَانَ يُنَافِحُ أَوْ يُهَاجِي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬১৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৮-২
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৬৭। ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... শু’বা (রাহঃ) সূত্রে এই সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করতেন। তবে তিনি বর্ণনায় حَصَانٌ ও رَزَانٌ উল্লেখ করেননি।
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ قَالَتْ كَانَ يَذُبُّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَلَمْ يَذْكُرْ حَصَانٌ رَزَانٌ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬১৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৯-১
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৬৮। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাসসান (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে আবু সুফিয়ানের (ইবনুল হারিস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব) বিরুদ্ধে ব্যাঙ্গ কবিতা রচনার অনুমতি দিন। তিনি বললেন, তাঁর সঙ্গে আমার আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকা অবস্থায় তা কিভাবে (করবে)? তখন তিনি বললেন, সেই মহান সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন, আটার খামির থেকে যেভাবে চুল সন্তপর্ণে বের করে নেয়া হয়, আমি আপনাকে সেভাবে তাদের ভিতর থেকে বের করে নেব। এরপর হাসসান (রাযিঃ) বললেনঃ “মান-সম্মান ও আভিজাত্যের শীর্ষ চূড়া বনু হাশিমের বংশধরদের মধ্যে বিনতে মাখযুমের সন্তানদের জন্য। আর তোমার বাপ তো গোলাম ছিল।“ এই হচ্ছে তাঁর কাসীদাহ।
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ حَسَّانُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي فِي أَبِي سُفْيَانَ قَالَ " كَيْفَ بِقَرَابَتِي مِنْهُ " . قَالَ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ لأَسُلَّنَّكَ مِنْهُمْ كَمَا تُسَلُّ الشَّعَرَةُ مِنَ الْخَمِيرِ . فَقَالَ حَسَّانُ وَإِنَّ سَنَامَ الْمَجْدِ مِنْ آلِ هَاشِمٍ بَنُو بِنْتِ مَخْزُومٍ وَوَالِدُكَ الْعَبْدُ قَصِيدَتَهُ هَذِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৯-২
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৬৯। উসমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... হিশাম ইবনে উরওয়া (রাযিঃ) এর সূত্রে এই সনদে বর্ণিত যে, আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর কাছে মুশরিকদের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্গ কবিতা রচনার অনুমতি চাইলেন। তবে তাঁরা এই বর্ণনায় আবু সুফিয়ানের কথা উল্লেখ করেননি। আব্দার বর্ণনায়الْخَمِيرِ এর স্থলে الْعَجِينِ রয়েছে।
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَتِ اسْتَأْذَنَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي هِجَاءِ الْمُشْرِكِينَ . وَلَمْ يَذْكُرْ أَبَا سُفْيَانَ وَقَالَ بَدَلَ الْخَمِيرِ الْعَجِينِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬১৭০
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৯০
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৭০। আব্দুল মালিক ইনব শু’আয়ব ইবনে লাইস (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কুরাইশদের বিরুদ্ধে তোমরা ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা রচনা কর। কেননা, তা তাদের বিরুদ্ধে তীর নিক্ষেপের চাইতে অধিকতর শক্তিশালী। এরপর তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহ (রাযিঃ) এর কাছে এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করলেন। তিনি তাকে বললেন, ওদের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা রচনা কর। তিনি ব্যাঙ্গ কবিতা আবৃতি করলেন, কিন্তু তিনি তাতে খুশী হলেন না। তখন তিনি কা’ব ইবনে মালিককে ডেকে পাঠালেন। এরপর তিনি হাসসান ইবনে সাবিতের কাছে লোক পাঠালেন। সে যখন তাঁর কাছে গেল তখন হাসসান (রাযিঃ) বললেন, তোমাদের জন্য সঠিক সময় এসেছে যে, তোমরা সেই পশুরাজ সিংহকে ডেকে পাঠিয়েছ, যে তাঁর লেজ দ্বারা সাবাড় করে দেয়। এরপর তিনি তাঁর জিহবা বের করে নাড়াতে লাগলেন।
এরপর বললেন, সেই মহান সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছনে, আমি আমার জিহবা দ্বারা ওদেরকে ফেড়ে টুকরো টুকরো করে দেব, যেমনিভাবে হিংস্র বাঘ তার থাবা দিয়ে চামড়া খসিয়ে ফেলে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে হাসসান! তুমি তড়িঘড়ি করো না। কেননা, আবু বকর (রাযিঃ) কুরাইশদের বংশলতিকা সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত আছেন। কারণ, তাদের মধ্যে আমারও আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং তিনি এসে আমার বংশ তোমাকে পৃথক করে বাতলে দিবেন।
এরপর হাসসান (রাযিঃ) তাঁর (আবু বকর (রাযিঃ) এর কাছে গেলেন এবং (বংশলতিকা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হয়ে) ফিরে এলেন। এরপর তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি আপনার বংশপঞ্জী সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেছেন। সেই মহান সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমি আপনাকে তাদের মধ্য থেকে এমন সুকৌশলে বের করে আনব, যেমনিভাবে অটার মণ্ড থেকে সূক্ষ্ম কেশাগ্র বের করা হয়।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে হাসসান সম্পর্কে বলতে শুনেছি যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ থেকে কাফিরদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ’রুহুল কুদ্স’ অর্থাৎ জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) সারাক্ষণ তোমাকে সাহায্য করতে থাকবেন। আর তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, হাসসান তাদের (বিরুদ্ধে) নিন্দাবাদ করলেন। তিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি এনে দিলেন এবং আত্মতৃপ্তি লাভ করলেন। হাসসান (রাযিঃ) বললেনঃ
তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) এর নিন্দাবাদ করছ, আর আমি তার পক্ষ থেকে জবাব দিচ্ছি এতে আছে আল্লাহর কাছে পুরষ্কার ও প্রতিদান।
তুমি ব্যাঙ্গ করেছ এমন মুহাম্মাদকে, যিনি পুন্যবান, একনিষ্ঠ ও সর্বশ্রেষ্ঠ পরহেযগার,
তিনি হচ্ছে আল্লাহর রাসুল, যার চরিত্র মাধুর্য অনুপম।
আমার পিতা ও তাঁর পিতা, আমার ইজ্জত আবরু
মুহাম্মাদের সম্মানের জন্য রক্ষাকবচ (অতন্দ্র প্রহরী)।
আমি কসম করে বলছি, কাদা (পার্বত্য ঘাঁটি)-র দুই প্রান্তে (মুসলিম মুজাহিদ বাহিনীর) বিজয় ধুলি উড়বে
তা তোমরা দেখতে পাবে, নতুবা আমার জন্য মতম করা হবে (আমি ধ্বংস হয়ে যাব)
যুদ্ধাভিযানকালে সে অশ্বারোহী বাহিনীর লাগামের সাথে দৌড় পাল্লা দেয়
(অথবা বললাম নিয়ে ঠোকাঠুকি করে)
(আর) তাদের কাঁধের উপরে রয়েছে রক্তের তৃষ্ণার্ত বর্শা (অথবা ক্ষুধার্ত সিংহ)
আমাদের অশ্বারোহীরা ছুটে চলে দ্রুতবেগে দুরন্ত।
আর মহিলারা আদর ও সম্মান করে নিজেদের ওড়না দিয়ে তাদের (ঘোড়াদের) মুছে দেয়।
তোমরা যদি আমাদের (ইসলামের) বিমুখ হও, (জনশূন্যকর)
তাহলেও আমরা উমরা পালন করবই এবং ইসলামের বিজয় নিশান উড়বে
আর আবরণ উন্মুক্ত হয়ে যাবে (অন্ধকার চিরদিনের জন্য বিদূরিত হয়ে যাবে)।
নতুবা তোমরা প্রতিক্ষায় থাক ঐ সময়ের, যে দিন (মুসলমানদের সাথে কাফিরদের) মুকাবিলা হবে;
আর সেদিন আল্লাহ যাকে চান বিজয় মাল্য পরিয়ে দেবেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আমি আমার বান্দাকে রাসুল হিসাবে পাঠিয়েছি;
যিনি সত্য বলেন (সর্বদা লোকদের সত্যের দিকে আহবান জানান) যার মধ্যে নেই কোন কপটতা, অস্পষ্টতা।
আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেন,
আমি এমন এক বাহিনী তৈরী করেছি যারা আনসার।
যাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে শত্রু মুকাবিলা করা
(প্রত্যহ তারা শত্রু মুকাবিলায় থাকে সতত প্রস্তুত)
প্রতিদিন আমাদের ভাগ্যে জুটে মা’আদ (কুরাইশ গোষ্ঠী) এর পক্ষ থেকে
কখনো বা গাল মন্দ, যুদ্ধ বিগ্রহ অথবা নিন্দাবাদ।
তোমাদের মধ্যে যে, আল্লাহর রাসূলের নিন্দাবাদ করে;
অথবা তাঁর, প্রশংসা ও সাহায্য সহায়তা করে এ দুইই সমান।
(কেননা) জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্বাচিত সম্মানিত বাণীবাহক (দূত)
এবং তিনি রুহুল কুদ্স (পবিত্র আত্মা) যার সমকক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই।
এরপর বললেন, সেই মহান সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছনে, আমি আমার জিহবা দ্বারা ওদেরকে ফেড়ে টুকরো টুকরো করে দেব, যেমনিভাবে হিংস্র বাঘ তার থাবা দিয়ে চামড়া খসিয়ে ফেলে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে হাসসান! তুমি তড়িঘড়ি করো না। কেননা, আবু বকর (রাযিঃ) কুরাইশদের বংশলতিকা সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত আছেন। কারণ, তাদের মধ্যে আমারও আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং তিনি এসে আমার বংশ তোমাকে পৃথক করে বাতলে দিবেন।
এরপর হাসসান (রাযিঃ) তাঁর (আবু বকর (রাযিঃ) এর কাছে গেলেন এবং (বংশলতিকা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হয়ে) ফিরে এলেন। এরপর তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি আপনার বংশপঞ্জী সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেছেন। সেই মহান সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমি আপনাকে তাদের মধ্য থেকে এমন সুকৌশলে বের করে আনব, যেমনিভাবে অটার মণ্ড থেকে সূক্ষ্ম কেশাগ্র বের করা হয়।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে হাসসান সম্পর্কে বলতে শুনেছি যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ থেকে কাফিরদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ’রুহুল কুদ্স’ অর্থাৎ জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) সারাক্ষণ তোমাকে সাহায্য করতে থাকবেন। আর তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, হাসসান তাদের (বিরুদ্ধে) নিন্দাবাদ করলেন। তিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি এনে দিলেন এবং আত্মতৃপ্তি লাভ করলেন। হাসসান (রাযিঃ) বললেনঃ
তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) এর নিন্দাবাদ করছ, আর আমি তার পক্ষ থেকে জবাব দিচ্ছি এতে আছে আল্লাহর কাছে পুরষ্কার ও প্রতিদান।
তুমি ব্যাঙ্গ করেছ এমন মুহাম্মাদকে, যিনি পুন্যবান, একনিষ্ঠ ও সর্বশ্রেষ্ঠ পরহেযগার,
তিনি হচ্ছে আল্লাহর রাসুল, যার চরিত্র মাধুর্য অনুপম।
আমার পিতা ও তাঁর পিতা, আমার ইজ্জত আবরু
মুহাম্মাদের সম্মানের জন্য রক্ষাকবচ (অতন্দ্র প্রহরী)।
আমি কসম করে বলছি, কাদা (পার্বত্য ঘাঁটি)-র দুই প্রান্তে (মুসলিম মুজাহিদ বাহিনীর) বিজয় ধুলি উড়বে
তা তোমরা দেখতে পাবে, নতুবা আমার জন্য মতম করা হবে (আমি ধ্বংস হয়ে যাব)
যুদ্ধাভিযানকালে সে অশ্বারোহী বাহিনীর লাগামের সাথে দৌড় পাল্লা দেয়
(অথবা বললাম নিয়ে ঠোকাঠুকি করে)
(আর) তাদের কাঁধের উপরে রয়েছে রক্তের তৃষ্ণার্ত বর্শা (অথবা ক্ষুধার্ত সিংহ)
আমাদের অশ্বারোহীরা ছুটে চলে দ্রুতবেগে দুরন্ত।
আর মহিলারা আদর ও সম্মান করে নিজেদের ওড়না দিয়ে তাদের (ঘোড়াদের) মুছে দেয়।
তোমরা যদি আমাদের (ইসলামের) বিমুখ হও, (জনশূন্যকর)
তাহলেও আমরা উমরা পালন করবই এবং ইসলামের বিজয় নিশান উড়বে
আর আবরণ উন্মুক্ত হয়ে যাবে (অন্ধকার চিরদিনের জন্য বিদূরিত হয়ে যাবে)।
নতুবা তোমরা প্রতিক্ষায় থাক ঐ সময়ের, যে দিন (মুসলমানদের সাথে কাফিরদের) মুকাবিলা হবে;
আর সেদিন আল্লাহ যাকে চান বিজয় মাল্য পরিয়ে দেবেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আমি আমার বান্দাকে রাসুল হিসাবে পাঠিয়েছি;
যিনি সত্য বলেন (সর্বদা লোকদের সত্যের দিকে আহবান জানান) যার মধ্যে নেই কোন কপটতা, অস্পষ্টতা।
আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেন,
আমি এমন এক বাহিনী তৈরী করেছি যারা আনসার।
যাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে শত্রু মুকাবিলা করা
(প্রত্যহ তারা শত্রু মুকাবিলায় থাকে সতত প্রস্তুত)
প্রতিদিন আমাদের ভাগ্যে জুটে মা’আদ (কুরাইশ গোষ্ঠী) এর পক্ষ থেকে
কখনো বা গাল মন্দ, যুদ্ধ বিগ্রহ অথবা নিন্দাবাদ।
তোমাদের মধ্যে যে, আল্লাহর রাসূলের নিন্দাবাদ করে;
অথবা তাঁর, প্রশংসা ও সাহায্য সহায়তা করে এ দুইই সমান।
(কেননা) জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্বাচিত সম্মানিত বাণীবাহক (দূত)
এবং তিনি রুহুল কুদ্স (পবিত্র আত্মা) যার সমকক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই।
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اهْجُوا قُرَيْشًا فَإِنَّهُ أَشَدُّ عَلَيْهَا مِنْ رَشْقٍ بِالنَّبْلِ " . فَأَرْسَلَ إِلَى ابْنِ رَوَاحَةَ فَقَالَ " اهْجُهُمْ " . فَهَجَاهُمْ فَلَمْ يُرْضِ فَأَرْسَلَ إِلَى كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ قَالَ حَسَّانُ قَدْ آنَ لَكُمْ أَنْ تُرْسِلُوا إِلَى هَذَا الأَسَدِ الضَّارِبِ بِذَنَبِهِ ثُمَّ أَدْلَعَ لِسَانَهُ فَجَعَلَ يُحَرِّكُهُ فَقَالَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لأَفْرِيَنَّهُمْ بِلِسَانِي فَرْىَ الأَدِيمِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَعْجَلْ فَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ أَعْلَمُ قُرَيْشٍ بِأَنْسَابِهَا - وَإِنَّ لِي فِيهِمْ نَسَبًا - حَتَّى يُلَخِّصَ لَكَ نَسَبِي " . فَأَتَاهُ حَسَّانُ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ لَخَّصَ لِي نَسَبَكَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لأَسُلَّنَّكَ مِنْهُمْ كَمَا تُسَلُّ الشَّعَرَةُ مِنَ الْعَجِينِ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لِحَسَّانَ " إِنَّ رُوحَ الْقُدُسِ لاَ يَزَالُ يُؤَيِّدُكَ مَا نَافَحْتَ عَنِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ " . وَقَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " هَجَاهُمْ حَسَّانُ فَشَفَى وَاشْتَفَى " . قَالَ حَسَّانُ هَجَوْتَ مُحَمَّدًا فَأَجَبْتُ عَنْهُ وَعِنْدَ اللَّهِ فِي ذَاكَ الْجَزَاءُ هَجَوْتَ مُحَمَّدًا بَرًّا تَقِيًّا رَسُولَ اللَّهِ شِيمَتُهُ الْوَفَاءُ فَإِنَّ أَبِي وَوَالِدَهُ وَعِرْضِي لِعِرْضِ مُحَمَّدٍ مِنْكُمْ وِقَاءُ ثَكِلْتُ بُنَيَّتِي إِنْ لَمْ تَرَوْهَا تُثِيرُ النَّقْعَ مِنْ كَنَفَىْ كَدَاءِ يُبَارِينَ الأَعِنَّةَ مُصْعِدَاتٍ عَلَى أَكْتَافِهَا الأَسَلُ الظِّمَاءُ تَظَلُّ جِيَادُنَا مُتَمَطِّرَاتٍ تُلَطِّمُهُنَّ بِالْخُمُرِ النِّسَاءُ فَإِنْ أَعْرَضْتُمُو عَنَّا اعْتَمَرْنَا وَكَانَ الْفَتْحُ وَانْكَشَفَ الْغِطَاءُ وَإِلاَّ فَاصْبِرُوا لِضِرَابِ يَوْمٍ يُعِزُّ اللَّهُ فِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَقَالَ اللَّهُ قَدْ أَرْسَلْتُ عَبْدًا يَقُولُ الْحَقَّ لَيْسَ بِهِ خَفَاءُ وَقَالَ اللَّهُ قَدْ يَسَّرْتُ جُنْدًا هُمُ الأَنْصَارُ عُرْضَتُهَا اللِّقَاءُ لَنَا فِي كُلِّ يَوْمٍ مِنْ مَعَدٍّ سِبَابٌ أَوْ قِتَالٌ أَوْ هِجَاءُ فَمَنْ يَهْجُو رَسُولَ اللَّهِ مِنْكُمْ وَيَمْدَحُهُ وَيَنْصُرُهُ سَوَاءُ وَجِبْرِيلٌ رَسُولُ اللَّهِ فِينَا وَرُوحُ الْقُدْسِ لَيْسَ لَهُ كِفَاءُ

তাহকীক: