আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৩০- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৪২৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯১-৪
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৭৩। আব্দুল মালিক ইবনে শু’আয়ব ইবনে লাঈস ইবনে সা’দ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুসলমানদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এল। তখন তিনি মসজিদের মধ্যে ছিলেন। সে তখন উচ্চস্বরে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমি ব্যভিচার করেছি। তখন তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে তখন তিনি যে দিকে চেহারা ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন সে দিকে গিয়ে তাঁকে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমি ব্যভিচার করেছি। তখনও তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এইভাবে সে চারবার পর্যন্ত স্বীকারোক্তি করল!

সে যখন চারবার নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিল, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ডাকালেন এবং বললেন, তোমার মাথায় কি পাগলামী আছে? সে বলল, না। তখন তিনি বললেনঃ তুমি কি বিবাহিত? সে বলল, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা তাকে নিয়ে যাও এবং পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা কর।

ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে যিনি হাদীস শ্রবণ করেছেন তিনি আমার কাছে বলেন যে, জাবির (রাযিঃ) বলেছেন, পাথর নিক্ষেপকারীদের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। আমরা তখন তাকে ঈদগাহে পাথর নিক্ষেপ করলাম। যখন তার উপর পাথর পতিত হতে লাগল তখন সে পলায়ন করল। তখন আমরা তাকে “হাররা” নামক স্থানে ধরে ফেললাম। এরপর তাকে আমরা পাথর মেরে হত্যা করলাম।

মুসলিম (রাহঃ) বলেন যে, লাঈস (রাহঃ) ......... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকেও একই সূত্রে উল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান দারেমী (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকেও এই একই সূত্রে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আর উভয়ের বর্ণিত হাদীসে ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন যে, আমাকে এক ব্যক্তি হাদীস বর্ণনা করেছেন, যিনি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে হাদীস শ্রবণ করেছেন, যেমন উল্লেখ করেছেন উকায়ল (রাহঃ)।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ أَتَى رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ فَنَادَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي زَنَيْتُ . فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَتَنَحَّى تِلْقَاءَ وَجْهِهِ فَقَالَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي زَنَيْتُ . فَأَعْرَضَ عَنْهُ حَتَّى ثَنَى ذَلِكَ عَلَيْهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ فَلَمَّا شَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ دَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَبِكَ جُنُونٌ " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَهَلْ أَحْصَنْتَ " . قَالَ نَعَمْ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ " .
قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَأَخْبَرَنِي مَنْ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ فَكُنْتُ فِيمَنْ رَجَمَهُ فَرَجَمْنَاهُ بِالْمُصَلَّى فَلَمَّا أَذْلَقَتْهُ الْحِجَارَةُ هَرَبَ فَأَدْرَكْنَاهُ بِالْحَرَّةِ فَرَجَمْنَاهُ .
وَرَوَاهُ اللَّيْثُ أَيْضًا عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ مُسَافِرٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ . وَحَدَّثَنِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ أَيْضًا وَفِي حَدِيثِهِمَا جَمِيعًا قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي مَنْ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ كَمَا ذَكَرَ عُقَيْلٌ .
হাদীস নং: ৪২৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯১-৬
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৭৪। আবু তাহির, হারামালা ইবনে ইয়াহয়া ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উকায়ল ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، وَابْنُ، جُرَيْجٍ كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . نَحْوَ رِوَايَةِ عُقَيْلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدٍ وَأَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
হাদীস নং: ৪২৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯২-১
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৭৫। আবু কামেল ফুযাইল ইবনে হুসাইন জাহদারী (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মা’ইয ইবনে মালিক (রাযিঃ) কে দেখলাম, যখন তাকে নবী (ﷺ) এর নিকট আনা হল, তিনি ছিলেন বেঁটে প্রকৃতির সুঠাম দেহের অধিকারী। তার গায়ে কোন চাদর ছিল না। তিনি নিজেই চার বার স্বীকারোক্তি করলেন যে, তিনি ব্যভিচার করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি হয়ত (শুধু চুম্বন দিয়েছ অথবা স্পর্শ করেছ) তখন তিনি উত্তরে বললেন, না, আল্লাহর শপথ! নিশ্চয়ই এই হতভাগা ব্যভিচার করেছে।

পরিশেষে তিনি তাকে পাথর নিক্ষেপ করলেন। এরপর তিনি এক ভাষণ প্রদান করে বললেনঃ সাবধান! আমরা যখন আল্লাহর পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে গমন করি, তখন কেউ কেউ পিছনে থেকে যায় এবং পাঠার ন্যায় আওয়ায করে (অর্থাৎ পাঠা যেমন সঙ্গমের সময় উচ্চস্বরে আওয়ায করে তদ্রূপ) আর তাদেরকে সে অল্প দুধ দেয়। (অর্থাৎ সঙ্গম করে, দুধের অর্থ বীর্য)। আল্লাহর শপথ! যদি আল্লাহ আমাকে এই শ্রেনীর কোন লোকের উপর ক্ষমতা প্রদান করেন, তবে আমি তাকে অবশ্যই শাস্তি দেব। (যেন অন্যেরা তার থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।)
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
وَحَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ، حَرْبٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ رَأَيْتُ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ حِينَ جِيءَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ قَصِيرٌ أَعْضَلُ لَيْسَ عَلَيْهِ رِدَاءٌ فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ أَنَّهُ زَنَى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَلَعَلَّكَ " . قَالَ لاَ وَاللَّهِ إِنَّهُ قَدْ زَنَى الأَخِرُ - قَالَ - فَرَجَمَهُ ثُمَّ خَطَبَ فَقَالَ " أَلاَ كُلَّمَا نَفَرْنَا غَازِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَلَفَ أَحَدُهُمْ لَهُ نَبِيبٌ كَنَبِيبِ التَّيْسِ يَمْنَحُ أَحَدُهُمُ الْكُثْبَةَ أَمَا وَاللَّهِ إِنْ يُمْكِنِّي مِنْ أَحَدِهِمْ لأُنَكِّلَنَّهُ عَنْهُ " .
হাদীস নং: ৪২৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯২-২
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৭৬। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এক ব্যক্তিকে আনা হল। তিনি ছিলেন বেঁটে প্রকৃতির, চুল ছিল অবিন্যস্ত এবং সুঠাম দেহের অধিকারী। তার গায়ে ছিল একটি চাঁদর। তিনি ব্যভিচার করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’বার তার স্বীকারোক্তি প্রত্যাখ্যান করলেন। এরপর তার প্রতি তিনি আদেশ জারি করলে তাকে পাথর নিক্ষেপ করা হল।

এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমরা যখনই আল্লাহর পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হই, তখন তোমাদের মধ্য হতে কেউ কেউ পিছনে থেকে যায় এবং পাঠার ন্যায় আওয়ায করে। সে তখন কোন নারীকে অল্প দুধ প্রদান করে। (অর্থাৎ ব্যভিচার করে) নিশ্চয়ই আল্লাহ যদি আমাকে তাদের কারো উপর ক্ষমতা প্রদান করেন, তবে আমি তাকে এমন শাস্তি প্রদান করবো যা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।

বর্ণনাকারী বলেন, আমি এই হাদীস সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) এর নিকট বর্ণনা করলাম। তখন তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ ব্যক্তির স্বীকারোক্তি চারবার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ، يَقُولُ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرَجُلٍ قَصِيرٍ أَشْعَثَ ذِي عَضَلاَتٍ عَلَيْهِ إِزَارٌ وَقَدْ زَنَى فَرَدَّهُ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلَّمَا نَفَرْنَا غَازِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ تَخَلَّفَ أَحَدُكُمْ يَنِبُّ نَبِيبَ التَّيْسِ يَمْنَحُ إِحْدَاهُنَّ الْكُثْبَةَ إِنَّ اللَّهَ لاَ يُمْكِنِّي مِنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ إِلاَّ جَعَلْتُهُ نَكَالاً " . أَوْ نَكَّلْتُهُ . قَالَ فَحَدَّثْتُهُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ فَقَالَ إِنَّهُ رَدَّهُ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ .
হাদীস নং: ৪২৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯২-৩
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৭৭। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) উভয়েই ......... জাবির ইবনে সামুরা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে ইবনে জাফর (রাযিঃ) এর হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। আর শাবাব (রাযিঃ)ও তাঁর উক্তি فَرَدَّهُ مَرَّتَيْنِ (তিনি তার স্বীকারোক্তি দু’বার প্রত্যাখ্যান করেন) এর সাথে মতৈক্য প্রকাশ করেছেন। আবু আমির এর অপর এক হাদীসে فَرَدَّهُ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا (তিনি তাঁর স্বীকারোক্তি দু’বার অথবা তিনবার প্রত্যাখ্যান করেছেন) বর্ণিত হয়েছে।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ جَعْفَرٍ وَوَافَقَهُ شَبَابَةُ عَلَى قَوْلِهِ فَرَدَّهُ مَرَّتَيْنِ . وَفِي حَدِيثِ أَبِي عَامِرٍ فَرَدَّهُ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا .
হাদীস নং: ৪২৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৩
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৭৮। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও আবু কামিল জাহদারী (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) মা’ইয ইবনে মালিক (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সম্পর্কে আমার কাছে যে সংবাদ পৌছেছে তা কি সত্য? তিনি বললেনঃ আমার সম্পর্কে আপনার কাছে কি সংবাদ পৌছেছে? তখন তিনি বললেন, আমার কাছে সংবাদ পৌছেছে যে, তুমি অমূক বংশের কোন এক দাসীর সঙ্গে ব্যভিচার করেছ। তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ। এরপরে তিনি এ ব্যাপারে চারবার সাক্ষ্য দিলেন (অর্থাৎ স্বীকারোক্তি করলেন)। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর প্রতি আদেশ জারি করলেন এবং তাঁকে তখন পাথর মারা হল।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ - وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ " أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ " . قَالَ وَمَا بَلَغَكَ عَنِّي قَالَ " بَلَغَنِي أَنَّكَ وَقَعْتَ بِجَارِيَةِ آلِ فُلاَنٍ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ . ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ .
হাদীস নং: ৪২৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৪-১
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৭৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আসলাম গোত্রের মা’ইয ইবনে মালিক নামক এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বললো, আমি তো এক অশ্লীল কাজ করে বসেছি। অতএব, এর জন্য আমার উপর শরীয়তের বিধান প্রয়োগ করুন। নবী (ﷺ) তাঁর এই স্বীকারোক্তি কয়েকবার প্রত্যাখ্যান করলেন।

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি ঐ ব্যক্তির গোত্রীয় লোকের কাছে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। তারা বলল, আমরা তো তার সম্বন্ধে কোন খারাপ জানিনা। কিন্তু হঠাৎ করেই সে এমন কিছু করে ফেলেছে যে, সে এখন ভাবছে যে, তার প্রতি হদ (حد শরীয়তের বিধান) প্রয়োগ ব্যতীত তার আর কোন নিষ্কৃতি নেই।

বর্ণনাকারী বলেন যে, তখন সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট ফিরে এল। তখন তিনি তাকে পাথর নিক্ষেপের জন্য আমাদের আদেশ দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা তখন তাকে ’বাকীউল গারকাদ’ নামক স্থানে নিয়ে গেলাম। আমরা তাকে বন্ধনমুক্ত করলাম না এবং তার জন্য গর্ত তৈরী করলাম না। এরপর আমরা তাকে হাড়, মাটির ঢিলা এবং পোড়া মাটির ভাঙ্গা টুকরা মারতে শুরু করলাম। সে দৌড়ে পালাল। আমরাও তার পিছনে ছুটলাম। অবশেষে সে “হাররা” নামক স্থানে উপনীত হল এবং আমাদের সামনে থেকে গেল। আমরা তাকে বারবার পাথর নিক্ষেপ করলাম। পরিশেষে সে নিশ্চল হয়ে গেল (অর্থাৎ মরে গেল)।

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছু বলার উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান হলেন এবং বললেন, আমরা যখনই আল্লাহর পথে কোন যুদ্ধে গমন করি তখন কোন না কোন ব্যক্তি আমাদের পরিবার পরিজনদের মাঝে থেকে যায় এবং পাঠার আওয়াযের ন্যায় আওয়ায করে। আমার উপর কর্তব্য হল যদি এমন কোন ব্যক্তিকে আমার কাছে আনা হয়, যে ঐরূপ কাজ করেছে, তবে আমি তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবো। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি তার জন্য (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা করেননি এবং কোনও গালি দেননি।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي، سَعِيدٍ أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَسْلَمَ يُقَالُ لَهُ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي أَصَبْتُ فَاحِشَةً فَأَقِمْهُ عَلَىَّ . فَرَدَّهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِرَارًا قَالَ ثُمَّ سَأَلَ قَوْمَهُ فَقَالُوا مَا نَعْلَمُ بِهِ بَأْسًا إِلاَّ أَنَّهُ أَصَابَ شَيْئًا يَرَى أَنَّهُ لاَ يُخْرِجُهُ مِنْهُ إِلاَّ أَنْ يُقَامَ فِيهِ الْحَدُّ - قَالَ - فَرَجَعَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَنَا أَنْ نَرْجُمَهُ - قَالَ - فَانْطَلَقْنَا بِهِ إِلَى بَقِيعِ الْغَرْقَدِ - قَالَ - فَمَا أَوْثَقْنَاهُ وَلاَ حَفَرْنَا لَهُ - قَالَ - فَرَمَيْنَاهُ بِالْعَظْمِ وَالْمَدَرِ وَالْخَزَفِ - قَالَ - فَاشْتَدَّ فَاشْتَدَدْنَا خَلْفَهُ حَتَّى أَتَى عُرْضَ الْحَرَّةِ فَانْتَصَبَ لَنَا فَرَمَيْنَاهُ بِجَلاَمِيدِ الْحَرَّةِ - يَعْنِي الْحِجَارَةَ - حَتَّى سَكَتَ - قَالَ - ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطِيبًا مِنَ الْعَشِيِّ فَقَالَ " أَوَكُلَّمَا انْطَلَقْنَا غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ تَخَلَّفَ رَجُلٌ فِي عِيَالِنَا لَهُ نَبِيبٌ كَنَبِيبِ التَّيْسِ عَلَىَّ أَنْ لاَ أُوتَى بِرَجُلٍ فَعَلَ ذَلِكَ إِلاَّ نَكَّلْتُ بِهِ " . قَالَ فَمَا اسْتَغْفَرَ لَهُ وَلاَ سَبَّهُ .
হাদীস নং: ৪২৮০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৪-২
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৮০। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... দাউদ (রাহঃ) থেকে একই সূত্রে উল্লিখিত হাদীসের মর্মার্থ বর্ণনা করেন। তিনি তার হাদীসে উল্লেখ করেন যে, এরপর নবী (ﷺ) বিকালবেলা দণ্ডায়মাল হলেন এবং আল্লাহর প্রশংসা শেষে বললেন, তাদের কি পরিণতি হবে যখন আমরা যুদ্ধে গমন করি তখন তাদের কেউ কেউ আমাদের পিছনে থেকে যায় এবং পাঠার আওয়াযের ন্যায় আওয়ায করে। (অর্থাৎ দুষ্কার্য করে।) কিন্তু তার বর্ণনায় ″আমাদের পরিবারবর্গের মধ্যে″ কথাটি বর্ণনা করেননি।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَ مَعْنَاهُ . وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْعَشِيِّ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ فَمَا بَالُ أَقْوَامٍ إِذَا غَزَوْنَا يَتَخَلَّفُ أَحَدُهُمْ عَنَّا لَهُ نَبِيبٌ كَنَبِيبِ التَّيْسِ " . وَلَمْ يَقُلْ " فِي عِيَالِنَا " .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৪-৩
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৮১। সুরাইজ ইবনে ইউনুস ও আবু বাকুর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... দাউদ (রাহঃ) থেকে একই সূত্রে উল্লেখিত হাদীসের অংশ বিশেষ বর্ণনা করেছেন। তবে সুফিয়ান (রাহঃ) তার বর্ণিত হাদীসে فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَى ثَلاَثَ مَرَّاتٍ (অতএব, সে তিনবার ব্যভিচারের স্বীকারোক্তি করল) একথা উল্লেখ রয়েছে।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
وَحَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّاءَ بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنْ دَاوُدَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . بَعْضَ هَذَا الْحَدِيثِ . غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ سُفْيَانَ فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَى ثَلاَثَ مَرَّاتٍ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৫-১
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৮২। মুহাম্মাদ ইবনে আলা হামদানী (রাহঃ) ......... সুলাইমান ইবনে বুরায়েদ (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মা’ইয ইবনে মালিক নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে পবিত্র করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, দুর্ভাগা! ফিরে চলে যাও এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তাওবা কর। বর্ণনাকারী বলেন যে, লোকটি অল্পদূর চলে গিয়ে আবার ফিরে এলো। এরপর বললো, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে পবিত্র করুন। তখন নবী (ﷺ) পূর্বের মতই কথা বললেন। চতুর্থবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ কোন বিষয়ে আমি তোমাকে পবিত্র করবো? তখন সে বললো, ব্যভিচার হতে।

সুতরাং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার (সঙ্গী সাথীদের নিকট) জিজ্ঞাসা করলেন, তার মধ্যে কি কোন পাগলামী আছে। তখন তাঁকে জানানো হল যে, সে পাগল নয়। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, সে মদ্যপান করেছে। তখন এক ব্যক্তি দণ্ডায়মান হল এবং তার মুখ শুকে দেখল, সে তার মুখ থেকে মদের গন্ধ পেল না। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি ব্যভিচার করেছ? প্রতি উত্তরে সে বললো, জ্বী, হ্যাঁ। অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার প্রতি (ব্যভিচারের শস্তি প্রদানের) নির্দেশ দিলেন। এরপর ত্যকে পাথর নিক্ষেপ করা হল।

পরে এ ব্যাপারে জনগণ দু’দলে বিভক্ত হয়ে গেল। একদল বলতে লাগল, নিশ্চয়ই সে (মা’ইয) ধ্বংস হয়ে গেছে। নিশ্চয়ই তার পাপ তাকে ঘিরে ফেলেছে। দ্বিতীয় দল বলতে লাগল, মা’ইয-এর তাওবার চেয়ে উত্তম (তাওবার অনুশোচনা) আর হয় না। সে প্রথমে নবী (ﷺ) এর কাছে আগমন করলো এবং নিজের হাত তার হাতের উপর রাখলো। এরপর বললো আমাকে পাথর দ্বারা হত্যা করুন। বর্ণনা কারী বলেন যে, দু’তিন দিন পর্যন্ত মানুষ এ অবস্থায় অতিবাহিত করল।

এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আগমন করলেন তখন তারা (সাহাবীগণ) বসে ছিলেন। তিনি সালাম দিলেন, এরপর বসলেন এবং বললেন, তোমরা মা’ইয ইবনে মালিক এর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। তখন তারা বললেন, আল্লাহ মা’ইয ইবনে মালিককে ক্ষমা করুন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে এমন তাওবা করেছে, যদি তার এক উম্মতের লোকদের মাঝে বন্টিত হয় তবে সকলের জন্যই তা যথেষ্ট হবে।

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তার নিকট আযদ গোত্রের শাখা গামিদ পরিবারের এক মহিলা আগমন করলো এবং বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে পবিত্র করুন। তখন বললেন, দুর্ভাগা! তুমি ফিরে যাও এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তাওবা কর। তখন মহিলা বললো, আপনি কি ইচ্ছা করছেন যে, আমাকেও ফিরিয়ে দিবেন যেমনিভাবে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মা’ইয ইবনে মালিককে? তখন তিনি বললেন, তোমার কি হয়েছে। মহিলা বলল, আমি ব্যভিচারের কারণে গর্ভবতী। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন তুমিই? সে প্রতি উত্তরে বলল, জ্বী, হ্যাঁ।

তখন তিনি তাকে বললেন, তোমার গর্ভের সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর। বর্ণনাকারী বলেন যে, এক আনসারী ব্যক্তি তার গর্ভের সন্তান প্রসবকাল পর্যন্ত তার দায়িত্ব গ্রহণ করল। বর্ণনাকারী বলেন, কিছুদিন পর ঐ ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বলছেন, গামেদী মাহিলা তার সন্তান প্রসব করেছে। তখন তিনি বললেন, এমতাবস্থায় তার ছোট শিশু সন্তানকে রেখে আমি তাকে রজম করতে পারিনা। কেননা তার শিশু সন্তানাকে দুধ পান করানোর মত কেউ নেই। তখন এক আনসারী লোক দাড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি তার দুধ পান করানোর দায়িত্ব নিলাম। তখন তিনি আদেশ প্রদান করলেন এবং তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করলেন।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى، - وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ الْمُحَارِبِيُّ - عَنْ غَيْلاَنَ، - وَهُوَ ابْنُ جَامِعٍ الْمُحَارِبِيُّ - عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ جَاءَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ طَهِّرْنِي . فَقَالَ " وَيْحَكَ ارْجِعْ فَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ وَتُبْ إِلَيْهِ " . قَالَ فَرَجَعَ غَيْرَ بَعِيدٍ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ طَهِّرْنِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَيْحَكَ ارْجِعْ فَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ وَتُبْ إِلَيْهِ " . قَالَ فَرَجَعَ غَيْرَ بَعِيدٍ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ طَهِّرْنِي . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى إِذَا كَانَتِ الرَّابِعَةُ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فِيمَ أُطَهِّرُكَ " . فَقَالَ مِنَ الزِّنَى . فَسَأَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَبِهِ جُنُونٌ " . فَأُخْبِرَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمَجْنُونٍ . فَقَالَ " أَشَرِبَ خَمْرًا " . فَقَامَ رَجُلٌ فَاسْتَنْكَهَهُ فَلَمْ يَجِدْ مِنْهُ رِيحَ خَمْرٍ . قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَزَنَيْتَ " . فَقَالَ نَعَمْ . فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ فَكَانَ النَّاسُ فِيهِ فِرْقَتَيْنِ قَائِلٌ يَقُولُ لَقَدْ هَلَكَ لَقَدْ أَحَاطَتْ بِهِ خَطِيئَتُهُ وَقَائِلٌ يَقُولُ مَا تَوْبَةٌ أَفْضَلَ مِنْ تَوْبَةِ مَاعِزٍ أَنَّهُ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعَ يَدَهُ فِي يَدِهِ ثُمَّ قَالَ اقْتُلْنِي بِالْحِجَارَةِ - قَالَ - فَلَبِثُوا بِذَلِكَ يَوْمَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً ثُمَّ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُمْ جُلُوسٌ فَسَلَّمَ ثُمَّ جَلَسَ فَقَالَ " اسْتَغْفِرُوا لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ " . قَالَ فَقَالُوا غَفَرَ اللَّهُ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ . - قَالَ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ قُسِمَتْ بَيْنَ أُمَّةٍ لَوَسِعَتْهُمْ " . قَالَ ثُمَّ جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْ غَامِدٍ مِنَ الأَزْدِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ طَهِّرْنِي . فَقَالَ " وَيْحَكِ ارْجِعِي فَاسْتَغْفِرِي اللَّهَ وَتُوبِي إِلَيْهِ " . فَقَالَتْ أَرَاكَ تُرِيدُ أَنْ تُرَدِّدَنِي كَمَا رَدَّدْتَ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ . قَالَ " وَمَا ذَاكِ " . قَالَتْ إِنَّهَا حُبْلَى مِنَ الزِّنَا . فَقَالَ " آنْتِ " . قَالَتْ نَعَمْ . فَقَالَ لَهَا " حَتَّى تَضَعِي مَا فِي بَطْنِكِ " . قَالَ فَكَفَلَهَا رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ حَتَّى وَضَعَتْ قَالَ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ قَدْ وَضَعَتِ الْغَامِدِيَّةُ . فَقَالَ " إِذًا لاَ نَرْجُمَهَا وَنَدَعَ وَلَدَهَا صَغِيرًا لَيْسَ لَهُ مَنْ يُرْضِعُهُ " . فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ إِلَىَّ رَضَاعُهُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ . قَالَ فَرَجَمَهَا .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৫-২
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৮৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, মা’ইয ইবনে মালিক আসলামী নবী (ﷺ) এর নিকট আগমন করলো। অতঃপর বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! নিশ্চয়ই আমি আমার আত্মার উপর যুলুম করেছি এবং ব্যভিচার করেছি। আমি চাই যে আপনি আমাকে পবিত্র করবেন। তখন তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। পরের দিন সে আবার তাঁর কাছে আগমন করলো এবং বললো, হে আল্লাহর রাসুল! আমি ব্যভিচার করেছি। তখন দ্বিতীয়বারও তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাউকে তার সম্প্রদায়ের লোকের কাছে প্রেরণ করলেন। তারা সেখানে গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনারা কি মনে করেন যে, তার বুদ্ধির বিভ্রাট ঘটেছে এবং সে মন্দ কাজে লিপ্ত হয়েছে। তারা প্রতি উত্তরে বললেন, আমরা তো তার বুদ্ধির বিভ্রাট সম্পর্কে কোন কিছু জানিনা। আমরা তো জানি যে, সে পূর্ণ বুদ্ধিমান (ও সম্পূর্ণ সুস্থ প্রকৃতির।)

এরপর মা’ইয তৃতীয়বার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে আগমন করলো। তখন তিনি আবারও একজন লোককে তার গোত্রের কাছে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেরণ করলেন। তখনও তারা তাকে জানালো যে, আমরা তার সম্পর্কে এবং তার বুদ্ধি সম্পর্কে বিরূপ কিছু জানি না। এরপর যখন চতুর্থবার তিনি আমগণ করলন, তখন তার জন্য একটি গর্ত খনন করা হল এবং তার প্রতি (ব্যভিচারের শাস্তি প্রদানের) আদেশ প্রদান করলেন। তখন তাকে পাথর নিক্ষেপ করা হল।

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর গামেদী এক মহিলা আগমন করলো এবং বলল, হে আল্লার রাসুল! আমি ব্যভিচার করেছি। সুতরাং আপনি আমাকে পবিত্র করুন। তখন তিনি তাঁকে ফিরিয়ে দিলেন। পরবর্তী দিন আবার ঐ মহিলা আগমন করলো এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কেন আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আপনি কি আমাকে ঐভাবে ফিরিয়ে দিতে চান, যেমন ভাবে আপনি মা’ইযকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন? আল্লাহর শপথ, নিশ্চয়ই আমি গর্ভবতী। তখন তিনি বললেন, যদি (ফিরে যেতে না চাও), তবে (আপাততঃ এখনকার মত) চলে যাও এবং প্রসবকাল সময় পর্যন্ত অপেক্ষা কর।

রাবী বলেনঃ এরপর যখন সে সন্তান প্রসব করল তখন তিনি সন্তানকে এক টুকরা কাপড়ের মধ্যে নিয়ে তাঁর কাছে আগমন করলেন এবং বললেনঃ এই সন্তান আমি প্রসব করেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যাও তাকে (সন্তানকে) দুধ পান করাও গিয়ে। দুধপান করানোর সময় উত্তীর্ণ হলে পরে এসো। এরপর যখন তার দুধপান করানোর সময় শেষ হল তখন ঐ মহিলা শিশু সন্তানটিকে নিয়ে তার কাছে আগমন করলো এমন অবস্থায় যে, শিশুটির হাতে এক টুকরা রুটি ছিল। এরপর বললো, হে আল্লাহর নবী! (এইতো সেই শিশু) তাকে আমি দুধপান করানোর কাজ শেষ করেছি। সে এখন খাদ্য খায়। তখন শিশু সন্তানটিকে তিনি কোন একজন মুসলমানকে প্রদান করলেন।

এরপর তার ব্যাপারে (ব্যভিচারের শাস্তি প্রদানের) আদেশ দিলেন। তার বক্ষ পর্যন্ত গর্ত খনন করানো হল এরপর জনগণকে (তার প্রতি পাথর নিক্ষেপের) নির্দেশ দিলেন। তারা তখন তাকে পাথর মারতে শুরু করল। খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) একটি পাথর নিয়ে অগ্রসর হলেন এবং মহিলার মাথায় নিক্ষেপ করলেন, তাতে তার মুখমণ্ডলে রক্ত ছিটকে পড়লো। তখন তিনি মহিলাকে গালি দিলেন।

নবী (ﷺ) গালি শুনতে পেলেন। তিনি বললেন, সাবধান! হে খালিদ! সেই মহান আল্লাহর শপথ, যার হাতে আমার জীবন, জেনে রেখো! নিশ্চয়ই সে এমন তাওবা করেছে, যদি কোন জুলুমবাজ (চাঁদাবাজ) ব্যক্তিও এমন তাওবা করতো তবে তারও ক্ষমা হয়ে যেতো। এরপর তার জানাযার নামায আদায়ের নির্দেশ দিলেন। তিনি তার জানাযায় নামায আদায় করলেন। এরপর তাকে দাফন করা হলো।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ - وَتَقَارَبَا فِي لَفْظِ الْحَدِيثِ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا بَشِيرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ الأَسْلَمِيَّ، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَزَنَيْتُ وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ تُطَهِّرَنِي . فَرَدَّهُ فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَتَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ زَنَيْتُ . فَرَدَّهُ الثَّانِيَةَ فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَوْمِهِ فَقَالَ " أَتَعْلَمُونَ بِعَقْلِهِ بَأْسًا تُنْكِرُونَ مِنْهُ شَيْئًا " . فَقَالُوا مَا نَعْلَمُهُ إِلاَّ وَفِيَّ الْعَقْلِ مِنْ صَالِحِينَا فِيمَا نُرَى فَأَتَاهُ الثَّالِثَةَ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ أَيْضًا فَسَأَلَ عَنْهُ فَأَخْبَرُوهُ أَنَّهُ لاَ بَأْسَ بِهِ وَلاَ بِعَقْلِهِ فَلَمَّا كَانَ الرَّابِعَةَ حَفَرَ لَهُ حُفْرَةً ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ . قَالَ فَجَاءَتِ الْغَامِدِيَّةُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ زَنَيْتُ فَطَهِّرْنِي . وَإِنَّهُ رَدَّهَا فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ تَرُدُّنِي لَعَلَّكَ أَنْ تَرُدَّنِي كَمَا رَدَدْتَ مَاعِزًا فَوَاللَّهِ إِنِّي لَحُبْلَى . قَالَ " إِمَّا لاَ فَاذْهَبِي حَتَّى تَلِدِي " . فَلَمَّا وَلَدَتْ أَتَتْهُ بِالصَّبِيِّ فِي خِرْقَةٍ قَالَتْ هَذَا قَدْ وَلَدْتُهُ . قَالَ " اذْهَبِي فَأَرْضِعِيهِ حَتَّى تَفْطِمِيهِ " . فَلَمَّا فَطَمَتْهُ أَتَتْهُ بِالصَّبِيِّ فِي يَدِهِ كِسْرَةُ خُبْزٍ فَقَالَتْ هَذَا يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَدْ فَطَمْتُهُ وَقَدْ أَكَلَ الطَّعَامَ . فَدَفَعَ الصَّبِيَّ إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَحُفِرَ لَهَا إِلَى صَدْرِهَا وَأَمَرَ النَّاسَ فَرَجَمُوهَا فَيُقْبِلُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بِحَجَرٍ فَرَمَى رَأْسَهَا فَتَنَضَّحَ الدَّمُ عَلَى وَجْهِ خَالِدٍ فَسَبَّهَا فَسَمِعَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبَّهُ إِيَّاهَا فَقَالَ " مَهْلاً يَا خَالِدُ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ تَابَتْ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا صَاحِبُ مَكْسٍ لَغُفِرَ لَهُ " . ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَصَلَّى عَلَيْهَا وَدُفِنَتْ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৬-১
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৮৪। আবু গাসসান মালিক ইবনে আব্দুল ওয়াহিদ মিসমাঈ (রাহঃ) ......... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, জুহাইনা গোত্রের এক মহিলা নবী (ﷺ) এর নিকট আগমন করল। সে বলল, হে আল্লাহর নবী! আমি ’হদ্দ’ (শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত ব্যভিচারের শাস্তি) এর উপযোগী হয়েছি। অতএব আমার উপর তা কার্যকর করুন। তখন আল্লাহর নবী (ﷺ) তার অভিভাবককে ডাকলেন এবং বললেন, তাকে ভালভাবে সংরক্ষণ করে রেখো। পরে সে যখন সন্তান প্রসব করবে তখন তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে। সে তাই করলো।

এরপর আল্লাহর নবী (ﷺ) প্রতি (শাস্তি প্রদানের) নির্দেশ দিলেন। তখন মহিলার কাপড় শক্ত করে বাঁধা হল। এরপর তিনি তার ব্যাপারে (শাস্তি কার্যকর করার) আদেশ দিলেন। তাকে পাথর মারা হল। পরে তিনি তার উপর (নামায) আদায় করলেন। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর নবী! আপনি তার (জানাযার) নামায আদায় করলেন অথচ সে তো ব্যভিচার করেছে! তিনি বললেন, নিশ্চয়ই সে এমনভাবে তাওবা করেছে, যদি তা মদীনার সত্তরজন লোকের মধ্যে বণ্টিত হতো, তবে তাদের জন্য তাই যথেষ্ট হতো। তুমি কি তার চেয়ে অধিক উত্তম তাওবাকারী কখনও দেখেছো। সে তো নিজের জীবন আল্লাহর ওয়াস্তে প্রদান করেছে।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
حَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ، مَالِكُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْمِسْمَعِيُّ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، - يَعْنِي ابْنَ هِشَامٍ - حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو قِلاَبَةَ، أَنَّ أَبَا الْمُهَلَّبِ، حَدَّثَهُ عَنْ عِمْرَانَ، بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ امْرَأَةً، مِنْ جُهَيْنَةَ أَتَتْ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ حُبْلَى مِنَ الزِّنَى فَقَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَصَبْتُ حَدًّا فَأَقِمْهُ عَلَىَّ فَدَعَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلِيَّهَا فَقَالَ " أَحْسِنْ إِلَيْهَا فَإِذَا وَضَعَتْ فَائْتِنِي بِهَا " . فَفَعَلَ فَأَمَرَ بِهَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَرُجِمَتْ ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهَا فَقَالَ لَهُ عُمَرُ تُصَلِّي عَلَيْهَا يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَقَدْ زَنَتْ فَقَالَ " لَقَدْ تَابَتْ تَوْبَةً لَوْ قُسِمَتْ بَيْنَ سَبْعِينَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَوَسِعَتْهُمْ وَهَلْ وَجَدْتَ تَوْبَةً أَفْضَلَ مِنْ أَنْ جَادَتْ بِنَفْسِهَا لِلَّهِ تَعَالَى " .
হাদীস নং: ৪২৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৬-২
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৮৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসির (রাহঃ) থেকে একই সূত্রে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا أَبَانٌ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
হাদীস নং: ৪২৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৮-১
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৮৬। কুতায়বা ইবনে সাঈদ, মুহাম্মাদ ইবনে রুমহ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা এবং যায়দ ইবনে খালিদ জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন, এক পল্লীবাসী (বেদুঈন) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি যে, আপনি আমার ব্যাপারে আল্লাহর কিতাব অনুসারে হুকুম প্রদান করুন। তখন তার প্রতিপক্ষ অপর এক ব্যক্তি যে তার চেয়ে অধিক বুদ্ধিমান ছিল বলল, হ্যাঁ, আপনি আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করুন, এবং (এর আগে) আমাকে (কথা বলার) অনুমতি প্রদান করুন।

তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, বলো। লোকটি বললো, আমার এক ছেলে ঐ ব্যক্তির বাড়িতে কর্মচারী ছিল। সে তার স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করেছে। অতএব, আমাকে সংবাদ দেয়া হয়েছে যে, আমার ছেলের উপর রজম (পাথর নিক্ষেপ) এর শাস্তি আরোপিত হবে। সুতরাং আমি একশ, ছাগল ও একটি দাসী তার বিনিময় প্রদান করলাম। এরপর আমি এ ব্যাপারে আলেমগণের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তারা আমাকে বললেন যে, আমার ছেলের উপর একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছর কাল নির্বাসনের হুকুম বলবৎ হবে। আর ঐ মহিলার উপর রজম (পাথর নিক্ষেপ) এর হুকুম কার্যকর হবে।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে আমার জীবন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে নিষ্পত্তি করে দেব। সুতরাং দাসী এবং ছাগল ফেরত দেয়া হবে। আর তোমার ছেলের উপর একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য নির্বাসনের হুকুম কার্যকর হবে। হে উনাইস (রাযিঃ) (একজন সাহাবা) তুমি আগামীকাল প্রত্যুষে ঐ মহিলার কাছে গমন করবে (এবং ঐ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করবে।) যদি সে তা স্বীকার করে তবে তাকে রজম (পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা) করবে।

রাবী বলেনঃ পরদিন প্রত্যুষে তিনি মহিলার কাছে গেলেন (এবং এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন।) সে তা স্বীকার করলো। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মহিলার প্রতি শরীয়তের হুকুম কার্যকর করার নির্দেশ দিলেন এবং তাকে পাথর মারা হল।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ، الْجُهَنِيِّ أَنَّهُمَا قَالاَ إِنَّ رَجُلاً مِنَ الأَعْرَابِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْشُدُكَ اللَّهَ إِلاَّ قَضَيْتَ لِي بِكِتَابِ اللَّهِ . فَقَالَ الْخَصْمُ الآخَرُ وَهُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ نَعَمْ فَاقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ وَائْذَنْ لِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قُلْ " . قَالَ إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ وَإِنِّي أُخْبِرْتُ أَنَّ عَلَى ابْنِي الرَّجْمَ فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَوَلِيدَةٍ فَسَأَلْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّمَا عَلَى ابْنِي جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ وَأَنَّ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا الرَّجْمَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ الْوَلِيدَةُ وَالْغَنَمُ رَدٌّ وَعَلَى ابْنِكَ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ وَاغْدُ يَا أُنَيْسُ إِلَى امْرَأَةِ هَذَا فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا " . قَالَ فَغَدَا عَلَيْهَا فَاعْتَرَفَتْ فَأَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرُجِمَتْ .
হাদীস নং: ৪২৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৮-২
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৮৭। আবু তাহির, হারামালা, আমর আন নাকিদ ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে একই সূত্রে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ، بْنُ حُمَيْدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَهُ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৯-১
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৮৮। হাকাম ইবনে মুসা আবু সালিহ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট একজন ইয়াহুদী পুরুষ এবং একজন ইয়াহুদী মহিলাকে আনা হল, যারা ব্যভিচার করেছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইয়াহুদী সম্প্রদায়ের কাছে গেলেন এবং তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা তাওরাত কিতাবে ব্যভিচারের শাস্তি কি পাও? তারা বলল, আমরা উভয়ের মুখমণ্ডলে কালি লাগিয়ে দেই এবং উভয়কে বিপরীতমুখী করে উটের উপর আরোহণ করিয়ে পরিভ্রমণ করাই। (এই হল তাওরাত বর্ণিত শাস্তি)

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তা হলে তোমরা তাওরাত কিতাব আনয়ন কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক। যখন رجم (আলোচনার) এর নিকটবর্তি হল তখন যে যুবকটি পাঠ করছিল সে তার হাতآيَةِ الرَّجْمِ (পাথর নিক্ষেপের আয়াত) এর উপর রেখে দিল। এবং তার সামনের ও পিছনের অংশ পাঠ করলো। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) যিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলেন, বললেন, আপনি তাকে নির্দেশ করুন সে যেন আপন হাত উঠিয়ে ফেলে। সে তার হাত উঠিয়ে নিল। দেখা গেল যে, এর নীচেই آيَةِ الرَّجْمِ (পাথর নিক্ষেপের আয়াত) রয়েছে।

সুতরাং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পাথর নিক্ষেপের নির্দেশ দিলেন। উভয়কে পাথর মারা হল। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন যে, যারা তাদের পাথর মেরেছিল, আমিও তাদের মধ্যে একজন ছিলাম। আমি দেখতে পেলাম যে, পুরুষটি মহিলাটিকে পাথরের আঘাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে (অর্থাৎ ভালবাসার আকর্ষণে নিজেই পাথরের আঘাত গ্রহণ করছিল)।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
حَدَّثَنِي الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِيَهُودِيٍّ وَيَهُودِيَّةٍ قَدْ زَنَيَا فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى جَاءَ يَهُودَ فَقَالَ " مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ عَلَى مَنْ زَنَى " . قَالُوا نُسَوِّدُ وُجُوهَهُمَا وَنُحَمِّلُهُمَا وَنُخَالِفُ بَيْنَ وُجُوهِهِمَا وَيُطَافُ بِهِمَا . قَالَ " فَأْتُوا بِالتَّوْرَاةِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ " . فَجَاءُوا بِهَا فَقَرَءُوهَا حَتَّى إِذَا مَرُّوا بِآيَةِ الرَّجْمِ وَضَعَ الْفَتَى الَّذِي يَقْرَأُ يَدَهُ عَلَى آيَةِ الرَّجْمِ وَقَرَأَ مَا بَيْنَ يَدَيْهَا وَمَا وَرَاءَهَا فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ وَهْوَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُرْهُ فَلْيَرْفَعْ يَدَهُ فَرَفَعَهَا فَإِذَا تَحْتَهَا آيَةُ الرَّجْمِ فَأَمَرَ بِهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرُجِمَا . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ كُنْتُ فِيمَنْ رَجَمَهُمَا فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يَقِيهَا مِنَ الْحِجَارَةِ بِنَفْسِهِ .
হাদীস নং: ৪২৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৯-২
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৮৯। যুহাযর ইবনে হারব ও আবু তাহির (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’জন ইয়াহুদীকে ব্যভিচারের কারণে রজম (পাথর নিক্ষেপ) করেন। ইয়াহুদীরা উভয়কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট নিয়ে এল। এরপর তিনি উল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ - عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي رِجَالٌ، مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمْ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ أَنَّ نَافِعًا، أَخْبَرَهُمْ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجَمَ فِي الزِّنَى يَهُودِيَّيْنِ رَجُلاً وَامْرَأَةً زَنَيَا فَأَتَتِ الْيَهُودُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِهِمَا . وَسَاقُوا الْحَدِيثَ بِنَحْوِهِ .
হাদীস নং: ৪২৯০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৯-৩
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৯০। আহমাদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইয়াহুদীগণ তাদের একজন পুরুষ ও নারীকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে নিয়ে এলো যারা ব্যভিচার করেছিল। অতঃপর উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) কর্তৃক নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ أَنَّ الْيَهُودَ، جَاءُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرَجُلٍ مِنْهُمْ وَامْرَأَةٍ قَدْ زَنَيَا . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ .
হাদীস নং: ৪২৯১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭০০-১
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৯১। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী (ﷺ) এর সম্মুখ একজন ইয়াহুদীকে কালি মাখা এবং বেত্রাঘাতকৃত (লাঞ্ছিত) অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বলেন, তোমরা কি তোমাদের কিতাবে ব্যভিচারের শাস্তি এরূপই পেয়েছে? তারা বলল, হ্যাঁ। এরপর তাদের মধ্য হতে একজন আলিম ব্যক্তিকে ডাকালেন এবং বললেন, তোমাকে সেই আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, যিনি মুসা (আলাইহিস সালাম) এর প্রতি তাওরাত কিতাব অবতীর্ণ করেছিলেন, তোমরা কি তোমাদের কিতাবে ব্যভিচারীর এরূপই পেয়েছ? তখন ইয়াহুদী আলিম ব্যক্তি বললেন, না। তিনি আরো বললেন, আপনি যদি আমাকে আল্লাহর কসম দিয়ে, এভাবে না বলতেন তবে আমি আপনাকে জানাতাম না। আমরা তা (প্রকৃত শাস্তি) রজম (পাথর নিক্ষেপ করা)-ই পেয়ে থাকি।

কিন্তু আমাদের সমাজের সম্মানীত ব্যক্তিদের মাঝে এর ব্যাপকতা দেখা দিলে আমরা যখন এতে কোন সম্ভ্রান্ত লোককে ধরে ফেললে, তখন তাকে ছেড়ে দিতাম এবং যখন কোন দুর্বল ব্যক্তিকে পাকড়াও করলে তখন তার উপর ’হদ্দ’ [শরীয়তের প্রকৃত শাস্তি] বাস্তবায়িত করতাম। পরিশেষে আমরা বললাম, তোমরা সকলেই এসো, আমরা সম্মিলিতভাবে এ ব্যাপারে একটি শাস্তি নির্ধারিত করে নেই, যা অভিজাত ও দুর্বল সকলের উপরই প্রযোজ্য হবে। সুতরাং আমরা ব্যভিচারের শাস্তি পাথর নিক্ষেপের পরিবর্তে কালি লাগানো এবং বেত্রাঘাত করাকেই স্থির করে নিলাম।

তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে আল্লাহ! আমিই প্রথম ব্যক্তি, যে আপনার আদেশ رجم বাস্তবায়িত করলাম যা তারা বিলুপ্ত করে ফেলেছিল। সুতরাং তিনি তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিলেন। অবশেষে ঐ ইয়াহুদীকে পাথর মারা হল। এরপর মহান আল্লাহ এই আয়াত يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ لاَ يَحْزُنْكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الْكُفْرِ إِلَى قَوْلِهِ إِنْ أُوتِيتُمْ هَذَا فَخُذُوهُ ″হে রাসুল! যারা কাজে দ্রুতগামী তাদের কার্যকলাপ যেন আপনাকে চিন্তিত না করে ...... যদি তোমরা তা প্রদত্ত হও, তবে তা ধারণ কর″ পর্যন্ত অবতীর্ণ করেন।

তারা (ইয়াহুদীরা) বলতো যে, তোমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর নিকট গমন করো, যদি তিনি তোমাদেরকে এ ব্যাপারে কালি লাগালো এবং বেত্রাঘাতের নির্দেশ প্রদান করেন, তবে তোমরা তা কার্যকর করবে; আর যদি তিনি রজমের নির্দেশ দেন তবে তা প্রত্যাখ্যান করবে। আল্লাহ তাআলা (এই মর্মে) আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ

وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ

‘যারা আল্লাহর নাযিলকৃত আয়াত মুতাবিক বিচারকার্য পরিচালনা করে না তারাই হলো কাফির সম্প্রদায়। আর যারা আল্লাহর নাযিলকৃত আয়াত অনুসারে বিচার করে না তারাই হলো অত্যচারী দল। আর যারা আল্লাহর নাযিলকৃত আয়াত অনুযায়ী বিচার করে না তারাই হলো সীমালংঘনকারী দল।

এই সবগুলো আয়াত কাফিরদের সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ مُرَّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِيَهُودِيٍّ مُحَمَّمًا مَجْلُودًا فَدَعَاهُمْ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " هَكَذَا تَجِدُونَ حَدَّ الزَّانِي فِي كِتَابِكُمْ " . قَالُوا نَعَمْ . فَدَعَا رَجُلاً مِنْ عُلَمَائِهِمْ فَقَالَ " أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى أَهَكَذَا تَجِدُونَ حَدَّ الزَّانِي فِي كِتَابِكُمْ " . قَالَ لاَ وَلَوْلاَ أَنَّكَ نَشَدْتَنِي بِهَذَا لَمْ أُخْبِرْكَ نَجِدُهُ الرَّجْمَ وَلَكِنَّهُ كَثُرَ فِي أَشْرَافِنَا فَكُنَّا إِذَا أَخَذْنَا الشَّرِيفَ تَرَكْنَاهُ وَإِذَا أَخَذْنَا الضَّعِيفَ أَقَمْنَا عَلَيْهِ الْحَدَّ قُلْنَا تَعَالَوْا فَلْنَجْتَمِعْ عَلَى شَىْءٍ نُقِيمُهُ عَلَى الشَّرِيفِ وَالْوَضِيعِ فَجَعَلْنَا التَّحْمِيمَ وَالْجَلْدَ مَكَانَ الرَّجْمِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ إِنِّي أَوَّلُ مَنْ أَحْيَا أَمْرَكَ إِذْ أَمَاتُوهُ " . فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ لاَ يَحْزُنْكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الْكُفْرِ) إِلَى قَوْلِهِ ( إِنْ أُوتِيتُمْ هَذَا فَخُذُوهُ) يَقُولُ ائْتُوا مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَإِنْ أَمَرَكُمْ بِالتَّحْمِيمِ وَالْجَلْدِ فَخُذُوهُ وَإِنْ أَفْتَاكُمْ بِالرَّجْمِ فَاحْذَرُوا . فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ( وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ) ( وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ) ( وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ) فِي الْكُفَّارِ كُلُّهَا .
হাদীস নং: ৪২৯২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭০০-২
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৯২। ইবনে নুমাইর ও আবু সাঈদ আশাজ্জ (রাহঃ) ......... আ’মাশ (রাহঃ) থেকে একই সূত্রেفَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَرُجِمَ “তখন নবী (ﷺ) এর নির্দেশ প্রদান করলেন, এরপর (ঐ ইয়াহুদীকে) পাথর মারা হল” পর্যন্ত অনুরূপ বর্ণনা করেন। এরপরে বর্ণিত আয়াত সমূহ তিনি উল্লেখ করেন নি।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَهُ إِلَى قَوْلِهِ فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَرُجِمَ . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ مِنْ نُزُولِ الآيَةِ .